ক্যানসারের লড়াই-এর মধ্যেই দুঃসংবাদ

বলিউড অভিনেত্রী হিনা খানের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন। স্তন ক্যানসারের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছেন তিনি। কেমোথেরাপি চলছে তার। মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে বদ্ধ-পরিকর হিনা। তবে লড়াইটা হয়ত এতটাও সহজ নয়। এর মধ্যেই ইনস্টাগ্রামে দুঃসংবাদ দিয়ে সাহায্য চাইলেন অভিনেত্রী।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্যানসারের লড়াই-এর মধ্যেই নতুন রোগ থাবা বসাল অভিনেত্রীর শরীরে। মিউকোসাইটিসে আক্রান্ত তিনি। বৃহস্পতিবার এ দুঃসংবাদটি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ার শেয়ার করেছেন হিনা।

অভিনেত্রীর কাতর আর্তি, ‘আমার জন্য প্রার্থনা করুন। কেমোথেরাপির আরও একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে মিউকোসাইটিস।

তবে আমি প্রতি পদে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলছি সেরে ওঠার জন্য। আপনাদের মধ্যে কেউ যদি এই রোগের সঙ্গে লড়াই করে থাকেন, তাহলে দয়া করে এর সঠিক সমাধানের উপায় বলে দিন আমায়। এটা খুবই কঠিন, যখন আপনি কিছুই খেতে পারবেন না। ’

মিউকোসাইটিস হল এমন একটা সংক্রমণ যা কেমোথেরাপি চিকিৎসার ফলে হয়। মিউকোসাইটিস হল শ্লেষ্মা ঝিল্লিতে প্রদাহ ও ক্ষতির কারণে হয়, যা মুখ, গলা, পাচনতন্ত্র এবং প্রজনন সিস্টেম সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ এবং গহ্বরে সমস্যা তৈরি করে।

হিনা খানের এই পোস্টে তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন শিল্পা শেট্টি, জুহি পারমার, ভারতী সিং, মৌনি রায় সহ আরও অনেকেই।

তবে আবার মিউকোসাইটিস থেকে বাঁচতে বহু অনুরাগীরা হিনা খানকে নানান পরামর্শ দিয়েছে। কেউ কেউ তাকে শরীরকে হাইড্রেট রাখতে লেবুর রস, দই-এর ঘোল, কিংবা প্রচুর জল পান করার কথা বলেছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে দেশীয় অস্ত্র ও গুলিসহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ২ নেতা আটক

মেহেরপুরের গাংনীতে গুলি ও বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্রসহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকে আটক করেছে যৌথ বাহিনি। আজ শনিবার ভোররাতে যৌথ বাহিনির একটি টিম গাংনী উপজেলার চরগোয়াল গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করেন।

আটকরা হলেন, গাংনী উপজেলার চরগোয়াল গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা রাজন আলী (২৯) ও একই গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা রাকিবুল ইসলাম (৩৫)। এদের কাছ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি, দেশীয় ২৭টি অস্ত্রর মধ্যে ১৬টি ছোট বড় হাসুয়া, একটি কুড়াল, ১টি চাপাতি, ১টি দা, ছুরি ৩ টি, রড ৪ টি ও আঁকড়া ১ টি।

মেহেরপুর সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লে: কর্ণেল নাবিল আহমেদের নেতৃত্বে যৌথবাহিনির একটি টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চরগোয়ালগ্রামের নদীর ধারে অভিযান চালিয়ে রাকিবুল ইসলাম ও রাজনকে আটক করেন। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে একই গ্রামের সবকুল আলীর জামাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৮টি রাউন্ড গুলি ও ২৭ টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যৌথবাহিনির অভিযান টের পেয়ে বাড়ির মালিক লাবলু পালিয়ে যায়।

গাংনী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা রাজন ও রাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে এলাকায় চুরি ডাকাতিসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। তারা একাধিকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। দুজনেই একাধিকবার জেল খেটেছে।
মেহেরপুর সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লে: কর্ণেল নাবিল আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

গাংনী থানার তদন্ত অফিসার মনোজ কুমার নন্দী জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে।




ফরহাদ হোসেনের রাজনীতি ছিল প্রশাসন ও পুলিশ নির্ভর!

৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে যাবার পর থেকে হদিস নেই সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের। অনেকেই ধারনা করেন তিনি সীমান্ত ফাঁকি দিয়ে ভারত পালিয়েছেন। তবে প্রথম দিকে গুঞ্জন উঠেছিলো কানাডায় পালিয়েছেন। তবে তিনি কোথায় কেউ জানেন না। সরকার পতনের দিনই বিক্ষুব্ধ জনতা তার মেহেরপুরের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফরহাদ হোসেন ও তার পরিবার জেলার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছিলেন। নিজ দলের দুর্দিনের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কোনঠাসা করে, চাটুকার, দুর্নীতিবাজ, পরিবার ও আত্মীয়স্বজন নিয়ে তিনি জেলার আওয়ামী রাজনীতি, বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের টেন্ডার, পন্য সরবরাহ ব্যবস্থা, সরকারি অফিসসমূহের নিয়োগ, বদলি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করার একক কর্তৃত্ব স্থাপন করেন। জেলার শিল্প, সাহিত্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতি অঙ্গনেও থাবা বসান।

জেলা শিল্পকলা একাডেমি, পাবলিক লাইব্রেরি, ক্রীড়া সংস্থা, ডায়াবেটিস হাসপাতালসহ, প্রেসক্লাব সর্বত্র তিনি নিজের অযোগ্য লোকদের বসিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ধ্বংসের পথে নিয়ে যান। তার এসব অপকর্মের সহায়ক ছিলেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারগণ। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তার বিরোধী বলয়ের কিংবা ভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের স্বাভাবিক প্রবেশাধিকার ছিলনা। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিতেও বারণ করা হতো। তিন খলিফার সাথে পরামর্শক্রমে প্রশাসন চালাতেন সাবেক ডিসি আতাউল গণি, ড. মনসুর আলম খান ও বর্তমান ডিসি শামীম হাসান। পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক ও জেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহিম শাহীনদের নিয়ে ডিসির ছাদের গোলঘরে নিয়মিত অফিস শেষে সভা বসত। গত নির্বাচনের আগ মুহুর্তে অবশ্য হাসানুজ্জামান মালেকের সাথে মন্ত্রীর দুরত্ব বাড়ে, তাই এক খলিফা বাদ নতুন খলিফা শ্বাশ্বত নিপ্পনের আবির্ভাব হয়। এখান থেকে নানা পরিকল্পনা হত। ব্যতিক্রম ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। তিনি পূর্বসূরিদের অনুসরণ না করে ডিসি অফিসকে দল, মত নির্বিশেষে সবার জন্য উন্মুক্ত করেন। ঝিমিয়ে পড়া শিল্পকলা, ক্রীড়া সংস্থা ও পাবলিক লাইব্রেরি পুনর্গঠন ও উপযুক্ত লোক দিয়ে গতিশীল করার পরিকল্পনা করেন।যুগ যুগ ধরে শহরের ভেতর গড়ে ওঠা অবৈধ ট্রাক-বাস স্ট্যান্ড পৌর টার্মিনালে স্থানান্তরসহ নানাবিধ জনবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন। https://youtu.be/_xScWUFlbRc?si=mwQgzbq2fRUe_ZCj

মন্ত্রীর রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে প্রশাসনকে তিনি জনবান্ধব ও গণমুখী প্রশাসনে পরিনত করার নানা উদ্যোগ নেন। কিন্তু এসমস্ত জনবান্ধব উদ্যোগ মন্ত্রী ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের রুষ্ট করে। যার ফলে মাত্র ৩ মাসের মাথায় নির্বাচনের আগেই তাকে প্রত্যাহার করে নেন। তার আগেও আরেকজন জেলা প্রশাসক ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তিনিও মন্ত্রীর আস্থাভাজন না হওয়াতে মাত্র চার মাসে মেহেরপুর থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। তার আগে শফিকুল ইসলাম নামের আরেক জেলা প্রশাসককেও বছর খানেকের মধ্যে বদলি করেন ফরহাদ হোসেন।

জেলার যেকোন কর্মকর্তা নির্বিবাধে মন্ত্রী ও তার পরিবারের আদেশ নির্দেশ পালন করতেন। কেউ অন্যথা করলে তার শাস্তি ছিল অবধারিত। ফরহাদ হোসেনের রাজনীতি ছিল মুলত প্রশাসন ও পুলিশ নির্ভর।

২০১৪ সালের পূর্বে এলাকার সাথে তার কোন যোগাযোগ ছিলনা। ছিলনা রাজনৈতিক কোন পদ পদবী। এলাকায় কোন পরিচিতিও ছিলনা। হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিনাভোটের নির্বাচনে হয়ে যান এমপি। ২০১৮ সালে কথিত রাতের ভোটের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী হন। ছাত্রজীবনে তার বিভাগের সিনিয়র তৎকালীন ডিসি ড. আতাউল গণির উপর ভর করে রাতের ভোট নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করেন। প্রশাসনকে চরম দলীয়করণ তার সময়েই শুরু হয়। সর্বশেষ বিরোধীদলবিহিন একপেশে নির্বাচনেও তার পছন্দের ডিসি শামীম হাসান ও এসপি রাফিউল আলমের উপর ভর করে নির্বাচনী মাঠ সাজান। তবে, প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর অভিযোগে নির্বাচনের আগে এসপি প্রত্যাহার হলেও থেকে যান ডিসি। তার উপর ভর করে কারচুপির নির্বাচন করে বিজয়ী হন। তবে তার পছন্দেও ডিসি শামীম হাসান এখনও মেহেরপুরের ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, পুলিশ সুপার এস এম নাজমুলকে ইতোমধ্যে বদলি করা হয়েছে। তবে নতুন এসপি পদায়ন হয়নি।

জেলার জনপ্রতিনিধিদের সাথে ফরহাদ হোসেনের বিরোধ ছিল। আওয়ামী লীগের বিরোধ নিয়ে কোন সাংবাদিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করলে তাকে বিরোধী দলের ট্যাগ দিয়ে তার সাঙ্গ পাঙ্গদের দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতো। তার বিরোধের জের বিশেষত গাংনী আসনের এমপি শহীদুজ্জামান খোকন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইয়ারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, সদর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন ও কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যক্রমে তার অযাচিত হস্তক্ষেপের কারনে দ্বন্ধ বিরোধের সৃষ্টি হয় ও জেলার সার্বিক উন্নয়ন ব্যহত হয়। প্রশাসন ও পুলিশ নিরপেক্ষ হওয়ার প্রেক্ষিতে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এবং তার পরিবার ও আত্মীয়কেন্দ্রিক রাজনীতি কোথাও দেখা যাচ্ছেনা।
সাবেক মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ঘুষ বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, অনলাইন জুয়ার পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে মেহেরপুর প্রতিদিন সংবাদ প্রকাশ করবে। মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে। চোখ রাখুন মেহেরপুর প্রতিদিনে।




গাংনীর নওয়াপাড়া বাজার কমিটি গঠন মইনুল ইসলাম সভাপতি মিলন সম্পাদক

গাংনীর নওয়াপাড়া বাজার কমিটির দ্বি-বার্ষিকী বাজার পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।  কমিটিতে মইনুল ইসলাম সভাপতি ও মিরাজুল ইসলাম মিলন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে নওয়াপাড়া বাজারের সকল ব্যবসায়ীদের সমর্থনে ২০ সদস্যের একমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, সিদ্দিকুর রহমান ও কোষাধ্ক্ষ মনোনীত হয়েছেন বদিউজ্জামান।

পুরাতন কমিটির সময়সীমা শেষ হওয়ায় পুরতন কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। বাজার পরিচালনায় ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা, বাজারের উন্নয়নে নতুন কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

নতুন কমিটির সভাপতি সম্পাদক সহ সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীগণ।




দামুড়হুদার বোয়ালমারি গ্রামে কৃষকের আম গাছ কাটে ফেলার অভিযোগ

দামুড়হুদার নাটুদা ইউনিয়নের বোয়ালমারি গ্রামের কৃষক সোহারাব আলীর জমিতে থাকা আম গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মেহেরপুরে সেনাবাহিনীর নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুর গ্রামের রতন শেখ, নাঈম শেখ ও তৌওমিল শেখের নিকট ২০০৭ সালে কবলা দলিলে ১.০০ একর জমি ক্রয় করে দামুড়হুদা উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামের সোহারাব আলী। আর সেই সময় থেকেই তিনি ভোগ দখল করে আছেন। কিন্তু গত পরশু তারা জমিতে প্রবেশ করে আম গাছ কর্তন করে। এছাড়া জমিতে থাকা ঘাসও কেটে নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সোহরাব আলীর ছেলে ফারুক হোসেন অভিযোগ করে বলেন আমার বাবা তাদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে। কিন্তু ২০২১ সালে তারা হয়রানি মূলক মামলা করে। বর্তমানে মামলা বিচারাধীন। বর্তমানে ওই জমিতে পুকুর খনন করার চেষ্টা করছে তারা। এ বিষয়ে মেহেরপুর সেনাবাহিনীর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান সোহারাব আলীর ছেলে মোঃ ফারুক।




মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠন

মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে এক সাধারণ সভায় ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়।  আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মেহেরপুর কমিউনিটি সেন্টারে এ কমিটি গঠন করা হয়।

ব্যবসায়ী আনারুল হক কালুকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন আবু আব্বাস আহমেদ, ইসরাইল হোসেন ইলু, আব্দুর রাজ্জাক এবং ফয়েজ উদ্দিন।

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বাজারের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় ও ব্যবসায়ীদের নির্বিঘ্নে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনায় সহযোগিতা প্রদানের লক্ষে সাধারণ সভা অনুষ্টিত হয়।

সাধারণ সভার সভাপতিত্ব করেন বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান দিপু। এসময় ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম হাঁসা, আনোয়ারুল হক কালু, মোস্তাফিজুর রহমান টোটন, রন্টু, সাইফুল ইসলাম, মিরন, রবি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান দিপু সমিতির আয় ব্যায়ের হিসাব দাখিল করেন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।




আলমডাঙ্গা ইসলামী আন্দোলন উপজেলা শাখার গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৩ টার দিকে আলমডাঙ্গা পুরাতন বাসস্ট্যান্ড (স্বাধীনতা স্তম্ভ ৭১) মোড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি মাওঃ আকরাম হোসাইন সাইরাফী এর সভাপতিত্বে বিশাল গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওঃ জহুরুল ইসলাম আজিজী।

গণসমাবেশে প্রধান অতিথি তার বক্তবে বলেন, পীর সাহেব চরমোনাই ৯ দফা ঘোষণা বাস্তবায়নে তারা জনমত গড়ে তুলবেন। তাদের এজেন্ডার ভিতরে রয়েছে বিগত সরকারের সকল মন্ত্রী-এমপি এবং নেতাকর্মীদের সম্পদের হিসাব নিতে হবে। সকল সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে। দুর্নীতিগ্রস্থ যে সকল নেতাকর্মীরা রয়েছে তাদের নির্বাচন করার বৈধতা বাতিল করতে হবে। আগামী নির্বাচনে সংখানুপাতিক (পি.আর) পদ্ধততে নির্বাচন দিতে হবে। কেননা পি.আর পদ্ধতি ছাড়া জনগণের রায়ের সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব হয় না।তিনি আরও বলেন- দেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বৈরাচার মুক্ত হলেও এখনো কিছু মানুষ স্বৈরাচারী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। স্বৈরাচার শাসকের সময় যেরকমভাবে বিভিন্ন হাটবাজার, খাল-বিল, স্টিমারঘাট, লঞ্চঘাট লুটপাট করে খেত, এখন একদল স্বার্থান্বেষী সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। প্রধান বক্তা অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন ভারত এক স্বৈরাচারকে এদেশের মসনদে বসিয়ে দেশের জনগণের উপর যেরকমভাবে অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল জনগণ দেরিতে হলেও সেটা প্রতিহত করেছে। এক্ষেত্রে ভারত চরমভাবে হতাশ হয়েছে। হতাশা থেকে প্রতিশোধ স্বরুপ ভারত আমাদের উপর পানি আগ্রাসন চালিয়েছে। কিন্তু দেশের সর্বস্তরের জনতা যেভাবে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মরত প্রত্যেক সদস্য, বাংলাদেশ পুলিশ সদস্য তাদের একদিনের আয় এবং অনেকে বন্যার্তদের সহযোগিতায় গাড়ি ভাড়া ফ্রি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের স্টাফদের এক দিনের আয় দান করেছেন। তেমনিভাবে দেশের মানবিক সংগঠনগুলো নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে মানবতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ মানবতার সাহায্যের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন এবং ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। আমি এই জনতাকে সাধুবাদ জানাই। তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো জনতার ঐক্যবদ্ধ হওয়াতে ভারতকে আরো হতাশায় নিমজ্জিত হতে দেখা যাচ্ছে।”

জেলা শ্রমিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাওঃ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আকরাম হোসাইন সাইরাফী, সিনিয়র সহ সভাপতি আমিনুল হক, সেক্রেটারী ডা. ওয়ালিদ হোসেন জোয়ার্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন, সদস্য মীর শফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খাসকররা ইউনিয়নের সভাপতি মাওঃ আব্বাস উদ্দিন, আইলহাস ইউনিয়নের সেক্রেটারী মাও. জাহিদ হাসান, শাখার উপদেষ্টা মাওঃ আব্দুস সুবহান, নাগদাহ ইউনিয়নের সেক্রেটারী আল মামুন রতন, জেহালা ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মুফতি সাজ্জাদুর রহমান, পৌর সেক্রেটারী তানভীরুল হক জোসেফ। সমাবেশ শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামী আন্দোলন উপজেলা সদস্য মুফতি সিরাজুল ইসলাম।

সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বলেন, একাত্তরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও সঠিক নেতৃত্বের অভাবে দেশ যেরকমভাবে দুর্নীতি থেকে মুক্ত হতে পারে নাই। ঠিক বর্তমানেও ২৪-এ এসেও যদি আমরা নেতা নির্বাচনে ভুল করি তাহলে ৭১ পরবর্তী সময়ের যেরকমভাবে ভুলে মাসুল দিয়েছে আমরা এবারও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম সেই ভুলের মাশুল দিতে হবে। আমরা একই ভুল বারবার করব না। এবার দেশপ্রেমিক জনতাকে সাথে নিয়ে দেশকে নিজেরা গুছিয়ে নেব ইনশাআল্লাহ্।

অন্যান্য বক্তারা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ড সমালোচনা করেন। শেখ হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন। তার শাসনামলে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। আর সেগুলো উদ্ধার করে টাকা পাচারকারী ও দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। তারা বলেন, অবিলম্বে তার দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। ৫ আগস্টে যে সমস্ত পুলিশ সদস্য নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপরে গুলি করেছিল তাদেরও শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান বক্তারা। এরপর সংক্ষিপ্ত দোয়ার মাধ্যমে গণ-সমাবেশের কর্মসূচি শেষ হয়।




বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নে মতবিনিময় সভা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকাল ৪ টার দিকে মদনা মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্তরে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিউল্লাহ। প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন, সাধারণ সম্পাদক আজিবর রহমান।

বিএনপি নেতা কাজি আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, থানা কৃষকদলের যুগ্নআহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, বিএনপি নেতা মামুন রেজা, আশরাফুল হক আনার, আলী আহম্মদ, সিরাজুল ইসলাম, মাসুদ মাস্টার, আবুল কাশেম, মিজানুর রহমান, মুন্তাজ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, শামসুল আলম মিঠু, বাবলু হক, সেচ্ছাসেবক দলের নেতা তরিকুল ইসলাম সুজন, দর্শনা থানা যুবদলের যুগ্নআহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম, যুবদলনেতা উজ্জল, লিটন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, জয়নাল, অজিজুল হক, নিশান, ছাত্রদলনেতা ইমাজ উদ্দিন, হাসান আলী, রিফাত আহমেদ, সোহেল, এনামুল প্রমুখ। উপস্থাপনা করেন বাবুল আক্তার ও মাসুদ মাস্টার।




দর্শনা রামাযুস ক্লাবের কমিটি গঠন ছাত্তার সভাপতি মুক্ত সম্পাদক

দর্শনা রামনগর মাথাভাঙ্গা যুব সংঘের দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকালে দর্শনা মেমনগর মাঠে অনুষ্ঠিত কমিটি গঠন সভার সভাপতিত্ব করেন রামাযুসের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ।

আলোচনা করেন, জহির রায়হান, ফারুক আহমেদ, হানিফ মন্ডল, আশরাফুল আলম আসান, মনিরুজ্জামান রুনু, জাহান আলী, হাসান মাস্টার, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

পরে সর্বসম্মতিক্রমে আব্দুছ ছাত্তার সভাপতি ও মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সহ-সভাপতি সুজন আহমেদ, সনজারুল, সহসম্পাদক জুয়েল রানা ও জাকির হোসেন। সার্বিক অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ হোসেন।




ঔষধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধির টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনতাই

মেহেরপুরের গাংনীতে বোমা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ঔষধ কোম্পানির দুই বিক্রয় প্রতিনিধি (রিপ্রেজেন্টেটিভ) এর কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনতাই করেছে দূর্বৃত্তরা।

আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে গাংনী উপজেলার করমদি- ভোমরদহ রাস্তার চোরপোতা ভিটাপাড়া নামক স্থানে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গোব ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি (ভেটোনারী) এর প্রমোশন অফিসার মাজেদুল ইসলাম (৩৫) ও ইথিক্যাল ড্রাগস কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি মিরাজ আলী (৩৮) গুরুতর আহত হয়েছেন।

আহত মাজেদুল ইসলাম নাটোর জেলার পাচুড়িয়া বাগতিপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে ও মিরাজ আলী কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা শহরের বাসিন্দা।

আহত মাজেদুল ইসলাম জানান, সীমান্তবর্তী তেঁতুলবাড়িয়া, করমদি, পলাশীপাড়া এলাকা থেকে ঔষধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে মোটরসাইকেল যোগে গাংনী ফিরছিলেন। তেঁতুলবাড়িয়া থেকে ভোমরদহ রাস্তা দিয়ে চোরপোতা নামক স্থানে মাঠের মধ্যে পৌছালে ৬/৭ জনের একদল সশস্ত্র ছিনতাইকারী দল পথরোধ করে। মোটরসাইকেলের গতি কমানোর সাথে সাথে তারা মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নিতে চাই। চাবি দিতে না চাওয়ায় প্রথমে তারা আমার হাতের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। পরে হাতে একটি বোমা মারে। বোমা ও অস্ত্রের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পকেটে থাকা ২০ হাজার টাকা ও একটি ১০০ সিসি ডিসকভার মোটরসাইকেল ছিনতাই করে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা।

পরে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনে পার্শ্ববর্তি ভোমরদহ গ্রামের লোকজন এসে আহতাবস্থায় আমাদের উদ্ধার করেন।

গার্ডিয়ান হেল্থকেয়ারের গাংনী প্রতিনিধি কামরুজ্জামান জানান, ঔষধ কোম্পানির এই দুই প্রতিনিধি তেঁতুলবাড়িয়া থেকে ঔষধের অর্ডার ও টাকা তুলে গাংনীতে ফিরছিলেন।

আহত মাজেদুল ইসলামকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ও মিরাজকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক এমকে রেজা জানান, আহত মাজেদুল ইসলামের ডান হাতে বোমার আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হয়েছে এছাড়া বাম হাতে বোমার আঘাত ও ধারালো অস্ত্রের কোপে ক্ষত হয়েছে। আহত মাজেদুল ইসলামের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি টিম অভিযান শুরু করেছে।