শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে ১৮৭ পদে নিয়োগ

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের রাজস্ব খাতে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ১০ ক্যাটাগরির পদে ১১ থেকে ১৬তম গ্রেডে মোট ১৮৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আবেদন ১৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী ০৯ মে পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম : স্টোর অফিসার

পদসংখ্যা : ১টি

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত যে কোনো বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। শিক্ষাজীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি অথবা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ১২৫০০–৩০২৩০ টাকা (গ্রেড–১১)

২. পদের নাম : হিসাবরক্ষক

পদসংখ্যা : ২৫টি

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত যে কোনো বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। শিক্ষাজীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি অথবা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা (গ্রেড-১১)

৩. পদের নাম : কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা : ২৭টি

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিটিউড টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

৪. পদের নাম : সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা : ৪টি

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। সাঁটলিপিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে ৮০ শব্দ ও বাংলায় ৫০ শব্দ; কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিং, ই-মেইল, ফ্যাক্স মেশিন ইত্যাদি চালনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

৫. পদের নাম : উচ্চমান সহকারী

পদসংখ্যা : ৯টি

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৬. পদের নাম : সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা : ৩টি

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। সাঁটলিপিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে ৭০ শব্দ ও বাংলায় ৪৫ শব্দ; কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিং, ই-মেইল, ফ্যাক্স মেশিন ইত্যাদি চালনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৭. পদের নাম : হিসাব সহকারী/হিসাব সহকারী কাম ক্যাশিয়ার/অফিস সহকারী কাম ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা : ৩৯টি

যোগ্যতা : ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে এইচএসসি বা সমমান পাস। এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৮. পদের নাম : অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদসংখ্যা : ৭৬টি

যোগ্যতা : অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দের গতি থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিং, ই-মেইল, ফ্যাক্স মেশিন ইত্যাদি চালনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৯. পদের নাম : স্টোর কিপার

পদসংখ্যা : ১টি

যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

১০. পদের নাম : ইলেকট্রিশিয়ান

পদসংখ্যা : ২টি

যোগ্যতা : সংশ্লিষ্ট ট্রেডে এইচএসসি (ভোকেশনাল) পাসসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অন্যূন ছয় মাসের বাস্তব অভিজ্ঞতা; অথবা এইচএসসি বা সমমান পাসসহ এক বছরের ট্রেড সার্টিফিকেট কোর্সে উত্তীর্ণ। ইলেকট্রিসিটি লাইসেন্সিং বোর্ডের বি-সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত হতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

বয়সসীমা : ১ মার্চ ২০২৪ থেকে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর।

আবেদন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা পঞ্চগড় সিভিল সার্জনের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে ক্লিক করুন এখানে।

আবেদন ফি : অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ ও ২ নম্বর পদের জন্য ৩০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৩৫ টাকাসহ মোট ৩৩৫ টাকা এবং ৩ থেকে ১০ নম্বর পদের জন্য ২০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ২৩ টাকাসহ মোট ২২৩ টাকা টেলিটক প্রি–পেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা : ১৮ এপ্রিল থেকে ৯ মে ২০২৪, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।




জমে উঠেছে কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ কাপড়ের হাট

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাপড়ের বাজার কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ কাপড়ের হাট। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে প্রতিদিনই বাড়ছে বেচাকেনা। শুধু পাইকারি নয়, এই হাটে খুচরাও বিক্রি বেড়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকানগুলোতে বেচাবিক্রি চলে।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও নিত্যনতুন ডিজাইনের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসিয়েছে দোকানিরা। ফলে ক্রেতাদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে বাজার।

জানা যায়, প্রায় অর্ধ শতাধিক বছর আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহে গড়ে ওঠে পাইকারি কাপড়ের হাট। সপ্তাহের বুধবার, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পরপর এই তিনদিন এখানে হাট বসে।

দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় কুষ্টিয়াসহ পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষ এই হাটে কাপড় কিনতে আসেন। এছাড়া পাইকারি বাজার হওয়ায় আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরাও আসেন এখানে। এই হাটে গজ কাপড়, থান কাপড়, পাঞ্জাবির কাপড়, থ্রিপিচ, শাড়ি, সুতির কাপড়, জাকাতের কাপড়, মশারি, কোর্ট, প্যান্ট ও শার্টের পিচ, লুঙ্গি, রেডিমেট পোশাক পাওয়া যায়। সপ্তাহের বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার পোড়াদহ কাপড়ের হাট বসে। এই হাটে প্রায় ২ হাজার দোকান আছে।
যেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে প্রায় ১৫-২০ হাজার লোকের।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম এই পাইকারি পোশাকের বাজার পোড়াদহের কাপড়ের হাট। ঈদকে সামনে রেখে দেশের হাজার হাজার পাইকাররা শাড়ি, পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, গামছা, বেডশিট, থ্রিপিস, টুপিস, প্যান্ট-শার্ট পিসসহ বিভিন্ন ধরনের বাহারি পোশাক কিনতে ছুটে আসেন এই হাটে।

নিত্যনতুন ডিজাইনের কাপড়ের পাশাপাশি দাম কম হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন তারা। সুলভ মূল্যে এ সকল পণ্য কিনতে পেরে খুশি পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারা।

বর্তমানে এই হাটে পাইকারি হিসেবে থ্রিপিস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০০ হাজার টাকা, লুঙ্গি ১৮০ থেকে ৭০০ টাকা, শাড়ি ৩৫০ থেকে ২০০০ টাকা এবং পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত।

এছাড়াও অন্যান্য পণ্য হাতের নাগালে পাওয়া যায়। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও চাঁদরাত পর্যন্ত দেড় থেকে দুইশো কোটি টাকা বিক্রির আশা করছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।

পোড়াদহ বাজারের সবচেয়ে বড় শাড়ি, থ্রিপিস, শার্ট পিস, পাঞ্জাবির মোকাম অঙ্গশোভায় গিয়ে দেখা গেছে, দোকানে প্রচণ্ড ভিড়। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মশান থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা বিপুল হোসেন বলেন, ‘পোড়াদহ কাপড়ের হাটে কেনাকাটা করার মজাই আলাদা। আমি প্রতিবছর পরিবারের জন্য এখান থেকেই কেনাকাটা করি।’

জাকাতের কাপড় কিনতে আসা ইয়াসিন আলী বলেন, ‘দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় আমি এখান থেকে কাপড় কিনি।’

মেহেরপুর থেকে আসা পাইকারি কাপড় ব্যবসায়ী সাব্বির ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখান থেকে পাইকারি কাপড় কিনি। কম দামে বেশ ভালো কাপড় পাওয়া যায়।’ তিনি বলেন, এই হাট থেকে আমি বিভিন্ন আইটেমের থ্রি-পিসসহ অন্যান্য কাপড়চোপড় কিনেছি। এলাকায় আমার দোকান আছে, সেখানে এগুলো বিক্রি করবো। ভালোই লাভ হয়।

সেতু গার্মেন্টসের মালিক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো হাওয়ায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা এখানে কাপড় কিনতে আসেন।’

হাটে আসা ক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এই হাটে ঈদের মার্কেট করতে এসেছি। এক দোকান থেকে অন্য দোকানে গিয়ে কাপড় দেখছি। যেটা ভালো লাগে সেটা কিনবো। তবে তুলনামূলক মোটামুটি সকল কাপড় সাশ্রয় মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।

কেনাকাটা করতে আসা আফরোজা খাতুন বলেন, শুনেছি পোড়াদহ হাটে কম দামের কাপড় সস্তায় পাওয়া যায়। আমরা এখানে আসি কম দামে কাপড় কেনার জন্য। এখানে অনেক ভালো ভালো কোয়ালিটির কাপড়ও বিক্রি হয়।

কাপড়ের হাটের ব্যবসায়ী ছালেহা বস্ত্র বিতানের স্বত্বাধিকারী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, রমজানের অর্ধেকের বেশি চলে গেলেও বেচাকেনা বেশ ভালোই হচ্ছে। পোড়াদহ কাপড়ের হাটটি পাইকারি মার্কেট। যার কারণে এক দামে কেনা-বেচা হয়। তাতে ক্রেতাদের ঠকার কোন সম্ভাবনা থাকে না। এ জন্য উৎসব মুখরভাবে ম্যাক্সিমাম যারা ক্রেতা, তারা সরাসরি হাটে চলে আসে।

পোড়াদহ কাপড়ের হাট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনি খা বলেন, এই হাটে প্রচুর লোকের সমাগম হয়। দেশের দূরদূরান্ত জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা কেনাকাটা করতে আসে। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও চাঁদরাত পর্যন্ত দেড় থেকে দুইশো কোটি তাকার কাপড় বিক্রি হবে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিরপুর সার্কেল) আব্দুল খালেক বলেন, ‘পোড়াদহ হাটে পুলিশের টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।’




শিশুদের স্বার্থে একসঙ্গে বিটিআরসি ও সিসিমপুর

ইন্টারনেট জগতে শিশুদের নিরাপদ রাখা ও ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এ বিষয়ে শিশু ও অভিভাবকদের উৎসাহী করার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও সিসিমপুর।

পাশাপাশি বিটিআরসি পরিচালিত ‘সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাব্যবস্থা ডিজিটালকরণ’ প্রকল্পের ১০০ স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা তৈরিতেও কাজ করা হবে। সিসিমপুর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘সেইফ ইন্টারনেট ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।

এ উপলক্ষ্যে সোমবার (০১ এপ্রিল) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ও সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (এসডব্লিউবি)-এর মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিটিআরসি’র চেয়ারম্যানের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেম এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক লে. কর্ণেল এস এম রেজাউর রহমান, পিএসসি, সিগন্যাল এবং এসডব্লিউবি’র পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহ আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় বিটিআরসি’র সিস্টেম এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল -উর- রহমান, এনডিসি, পিএসসি, টিই উপস্থিত ছিলেন।

২০২১ সাল থেকে শিশুদের জন্য ইন্টারনেটে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত এবং ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ইন্টারনেট সোসাইটি ফাউন্ডেশন-এর অর্থায়নে ‘সেইফ ইন্টারনেট ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে সিসিমপুর-এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ। প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যেই শিশুদের জন্য গল্পের বই, শিশু ও অভিভাবদের জন্য সচেতনতামূলক ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, গেমস তৈরি ছাড়াও বিটিআরসি’র সাথে যৌথভাবে অভিভাবকদের জন্য প্যারেন্টাল ম্যানুয়াল তৈরি করা হয়েছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




শর্ট ভিডিও ফিচার নিয়ে আসছে লিংকডইন!

যারা চাকরি খুঁজছেন মূলত তারা, তবে কমবেশি সকলেই লিংকডইন-অ্যাপের সঙ্গে পরিচিত। সকলেই এটিকে চেনেন চাকরিসংক্রান্ত অ্যাপ হিসেবেই। জানেন কি অন্যরকম এক ফিচার নিয়ে আসছে এই প্ল্যাটফর্মটি? মূলত ব্যবহারকারীদের বিনোদনের জন্যই ফিচার।

ব্যাপারটা ঠিক কী? সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, লিংকডইন-এবার আনতে চলেছে শর্ট ভিডিও ফিচার। অর্থাত্ ওই অ্যাপে চাকরিসংক্রান্ত তথ্যের পাশাপাশি বিনোদনের জন্য থাকবে ছোট ছোট ভিডিও। থাকবে ‘ভিডিও’ ট্যাব।

ভাবছেন কোন ধরনের ভিডিও আসবে আপনার ওয়ালে? উত্তর দিয়েছে সংস্থা। জানা গিয়েছে, রেলেভ্যান্ট ভিডিওই যাবে ব্যবহারকারীদের ওয়ালে। সংস্থার দাবি, নতুন এই ফিচারের কারণে ক্রিয়েটিভিটির হাবে পরিণত হবে এই অ্যাপ। এর আগে গেমিং ফিচার অ্যাড করেছিল লিংকডইন।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে সকলেই শর্ট ভিডিওর সঙ্গে পরিচিত। দিনভর হাজারো কাজের মাঝে একটু সময় পেলেই সকলেই টুক করে ঢুঁ মেরে আসেন ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকে। উদ্দেশ্য একটাই, শর্ট ভিডিও। এবার লিংকডইন-এও দেখতে পারবেন ভিডিও। যা আকর্ষণ বাড়াবে বলেই মনে করছে সংস্থা।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে সড়কে কেড়ে নিল দুটি তাজা প্রাণ

মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের চাঁদবিলে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় হাসান আলী (২৫) নামের এক যুবক ও অজ্ঞাত এক দিনমজুর নিহত হয়েছেন।

সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার সময় সদর উপজেলার চাঁদবিলে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হাসান আলী চাদবিল গ্রামের লিটন হোসেনের ছেলে। অপর নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। অজ্ঞাত মরদেহটি মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় চাঁদবিল গ্রামের হাসান আলী গরুর জন্য ঘাস কাটতে এবং দিনমজুর অজ্ঞাত ব্যক্তিটি সাইকেল যোগ রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুর গামী একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের দুজনকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মুত্যু হয়। হাসানের পরিচয় সনাক্ত হওয়ায় তাকে নিজ বাড়িতে এবং অজ্ঞাত মরদেহটি উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ কনি মিয়া জানান, অজ্ঞাত মরদেহটি সনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন স্থানে খবর দেওয়া হয়েছে। ট্রাকের চালককে আটক করা হয়েছে এবং ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।




টাইগারদের ক্যাচ মিসের মহড়া

সাগরিকায় লঙ্কানদের বিপক্ষে ক্যাচ মিসের মহাড়ার পর ভালো অবস্থানে থেকে প্রথম দিন শেষ করেন সফরকারীরা। দ্বিতীয় দিনে দেখা যায় টাইগার ফিল্ডারদের একই চিত্র।

যেন ক্যাচ মিসের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। দুই দিনে দুই হালি ক্যাচ মিস করে চট্টগ্রামে লঙ্কানদের রানের পাহাড় গড়ার সুযোগ দেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।

এর আগে লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজ-নির্ধারণী ম্যাচে সাগরিকায় টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম দিনে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৩১৪ রান তোলেন লঙ্কানরা। প্রথমদিন শেষে সফরকারীদের হয়ে ৩৪ রানে দিনেশ চান্দিমাল এবং ১৫ রানে অপরাজিত থাকে অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।

গতকাল প্রথম সেশনে লঙ্কান শিবিরে প্রথম আঘাতটা হানে সাকিব আল হাসান। ম্যাচের ১০৫তম ওভারে ৫৯ রানের অপরাজিত থাকা দিনেশ চান্দিমালকে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলে ফেরান সাকিব। ব্যক্তিগত ৭০ রানে লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান খালেদ আহমেদ।

গতকাল লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন কামিন্দু মেন্ডিস। প্রথম ইনিংস শেষে ১০ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে পাহাড়সমান ৫৩১ রান জমা করেন লঙ্কানরা। চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের ছয় ব্যাটার দেখা পায় অর্ধশতকের। যার মধ্যে দুইটি ছিল নব্বই ফেরোনো ইনিংস।

যদিও এটিও একটি ইতিহাস হয়ে ধরা দেয় লঙ্কান শিবিরে। ভেঙে দেয় ৪৮ বছর আগে গড়া ভারতের রেকর্ড। ১৯৭৬ সালে নিজেদের ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে ভারতের ছয় জন ব্যাটার দেখা পায় অর্ধশতকের। তবে কেউই পায়নি সেঞ্চুরির দেখা। সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ভারত ৯ উইকেটে ৫২৪ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত।

গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে ৫৩১ রান করে সেই রেকর্ড ভাঙেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। যা ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এই বিরল রেকর্ড। চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশি বোলাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন এক বছর পর সাদা পোশাকের ম্যাচ খেলতে নামা সাকিব আল হাসান।

এছাড়াও দুই উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমদু এবং এক উইকেট করে শিকার করেন পেসার খালেদ আহমেদ এবং স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে স্বাস্থ্য সনদের টাকা নিচ্ছেন বড়বাবু

স্বাস্থ্য সনদ প্রদানে ঘুষ নেওয়ার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেও সিভিল সার্জন কোন বিভাগীয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেননি। অভিযুক্ত মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান অফিস সহকারী (বড়বাবু) খলিলুর রহমান।

তিনি দাপটের সাথেই বলছেন সিভিল সার্জনের নির্দেশেই ১২ বছর ধরে স্বাস্থ্য সনদের টাকা নেয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও চিত্রে দেখা ও শোনা যায় কোরিয়া যাবার জন্য একদল যুবক বড়বাবুর রুমে সনদ পেতে দেন দরবার করছেন।

যারা প্রতিসনদে ৭শ করে টাকা দিচ্ছেন তাদের সনদ দেয়া হচ্ছে। যারা ব্যর্থ হচ্ছে তাদের সনদ ফাইল বন্দি করা হচ্ছে। ৭শ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করা এক যুবকের আপত্তির মুখে তাকে সিভিল সার্জনের রুমে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

কোরিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়াটি পাঁচটি ধাপে শেষ হয়। প্রথমেই অনলাইন নিবন্ধন। এরপর লটারি করে বোয়েসেল। বিজয়ীদের কোরিয়ার ভাষাগত দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়। এটি পাস করলে দক্ষতা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এরপর পুলিশের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ভিসার আবেদন করা যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোরিয়াগামীদের এক যুবক জানান- অল্প সময়ের মধ্যে আমরা বিদেশ চলে যাবো, তাই কোন ঝামেলা না করে ৭শ করে টাকা ম্যানেজ করে খলিলকে দিই। তারপর সে আমাদের রিপোর্ট দেই।

যোগাযোগ করা হলে অফিস সহকারি খলিলুর রহমান জানান- সিভিল সার্জনের অনুমতি নিয়েই ২০১২ সাল থেকে সব ধরণের সাস্থ্যসনদে টাকা নেয়া হয়। স্বাস্থ্য সনদের টাকা রাস্ট্রের কোষাগারে জমা হয় কী না জানতে চাইলে তার সদুত্তর দিতে পারেননি।

সিভিল সার্জন ডা. মহী উদ্দিন আহমেদের কাছে টাকার নেয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটার নিয়ম আমার জানা নেই। জেনে জানাবো। আর আমি সম্প্রতি মেহেরপুরে জয়েন করেছি। আপনাদের অভিযোগটি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।




আলমডাঙ্গায় প্রকাশ্যে ইটভাটা পুড়ছে বনজ কাঠ, প্রশাসন নির্বিকার

আইনের তোয়াক্কা না করে আলমডাঙ্গার ইটভাটাগুলোতে অবাধে কাঠ ও লাকড়ি পোড়ানো হচ্ছে। সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে এসব কাঠ সংগ্রহ করায় হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। এর মধ্যে অধিকাংশ ইটভাটারই লাইসেন্স নেই। এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের তেমন তৎপরতাও নেই। এছাড়াও ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুকুর খননের নামে মাটি কেটে এসব অবৈধ ভাটায় মাটি পরিবহন করা হচ্ছে। এতে কোটি কোটি টাকার নির্মিত সরকারি রাস্তা গুলো ভেঙে গর্তে পরিণত হয়েছে। ধুলোবালিতে সড়কগুলো পাশের বসতবাড়িতে রং পরিবর্তন হয়ে হলচে ধারণ করছে। এসব অবৈধ ইটভাটায় দীর্ঘদিন কাঠ ও লাকড়ি পোড়ানো হলেও কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামস্থ প্রধান সড়কের পাশে জাবর ও চান্দালীর ইটভাটা রয়েছে। এছাড়া কুমারী ইউনিয়নের গেটবন্ডবিল এলাকায় বাবু মুন্সিরও ইট ভাটা রয়েছে। এই তিনটি ইটভাটা বছরের পর বছর প্রকাশ্যে কাঠ ও লাকড়ি পোড়ালেও পরিবেশ অধিদপ্তর নিরব ভূমিকা পালন করছে। উপজেলা প্রশাসনও এসব ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

এবিষয়ে ফরিদপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুকে তারা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব ইটভাটা গুলো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবৈধ ট্রাক্টরে শত শত গাড়ি মাটি পরিবহন করে। এতে সড়কে কাদামাটিতে রাস্তায় যাতায়াতে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গাড়ি চলাচলে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।

বাড়াদি গ্রামের আব্দুল জব্বার জানান, গেটবন্ডবিল এলাকার বাবু মুন্সীর ইটভাটার অত্যাচারে অতিষ্ট পথচারীরা। একদিকে অবৈধ ট্রাক্টরের উৎপাত। অন্য দিকে কাঠ পোড়ানো দুর্গন্ধ বাতাসে শ্বাস নেওয়াও কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। সড়কে পড়ে থাকা কাঁদামাটি হালকা বৃষ্টিতে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়। উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার মৌখিক অভিযোগ করলেও কোন সুরাহ মেলেনি।




আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত

আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে। আজ আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে ফুডপার্ক হোটেলে ইফতার পুর্ব আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি সাবেক প্রধান শিক্ষক ওমর আলী মাষ্টার।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু। তিনি বলেন পবিত্র রমজান মাস সিয়াম সাধনের মাস, এই মাসে আপনারা যারা সাহিত্য সেবা করেন, তারা লেখনীর মাধ্যমে পবিত্র মাহে রমজান সম্পর্কে তুলে ধরুন। সকলে সততার সাথে নিষ্টার সাথে কবিতা, গল্পে,প্রবন্ধে সবকিছুতেই সত্য লেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আমরা যারা সাংবাদিকতা করি তারাও পবিত্র মাসে সপথ নেব সততা ও নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করব। আল্লাহ পাক সততা এবং হালাল রুজিসহ সকলকে সত্যপথ দেখাতে সহায়তা করবে,এই মাসে আল্লাহ তালা কবর বাসিদের আজাব মাফ করে দেন, তাই রহমতের মাসের শেষ দিন ২০ রমজানে আমরা যারা উপস্থিত আছি তারা কোন ভাবেই কাউকে ঠকাব না, আমাদের দ্বারা কেউ প্রতারিত হবে না।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক কবি ও সাহিত্যিক হামিদুল ইসলাম, গাঙচিল সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি জামিরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক কবি হাবিবুর রহমান মজুমদার, সাহিত্য পরিষদের সাংগাঠনিক সম্পাদক কবি গোলাম রহমান চৌধুরি, কবি সিদ্দিকুর রহমান, কবি মহসীনুজ্জামান চান্দ, কবি জাহাঙ্গির হোসেন,মোবারক হোসেন প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন কবি সিদ্দিকুর রহমান




আলমডাঙ্গায় অবৈধ ব্যাটারি চালিত ভ্যানে পৌর শহরে তীব্র যানজট ; ভোগান্তি

রমজান মাসকে ঘিরে আলমডাঙ্গা পৌর শহরে বেড়েছে খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতা ও অবৈধ যানবাহনের আনাগোনা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাপড়, কসমেটিকস ও জুতা স্যান্ডেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান পাট খোলা রয়েছে। সে কারণে শহরের তিন কিলোমিটার সড়ক জুড়ে যানজটের ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় লোকজন। তবে সড়ক সংকুচিত ও অবৈধ ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়ির অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলাচলকে দায়ি করছেন সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পৌর শহরের হাইরোড সহ বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলো সরু। সাধারণ মানুষের জন্য পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো ফুটপথ হিসেবে ব্যবহার করেন। অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের সামনের অংশ ব্যবহার করছেন। একারণে ক্রেতারা তাদের গাড়ি সড়কের পাশেই দাঁড় করিয়ে কেনাকাটা করেন। এতে ফুটপথ ব্যবহারকারীদের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর শহরের মোড়ে মোড়ে অবৈধ ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়ির অবৈধ স্টান্ড। এসব সড়কে মালবাহী ট্রাক কিংবা প্রাইভেট কার প্রবেশ করলেই দীর্ঘ যানজটে পরিণত হয়। সড়ক সংকুচিত হলেও প্রতিদিন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আলতায়েবা মোড় থেকে চারতলা মোড় পর্যন্ত প্রায় ২০০ মিটার সড়কের দু’পাশে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি রিপ্রেজেন্টেটিভদের মোটরসাইকেলের লম্বা সারি। এছাড়া স্বাধীনতা স্তম্ভ হতে চারতলা মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের পাশে ফুটপথ দখল করে চায়ের দোকান, মোটরসাইকেল গ্যারেজ, কনফেকশনারী ও ফাস্টফুড এবং সাইকেল ও ক্রোকারিজের দোকান মালিকেরা তার সামনের অংশ দখল করে রেখেছে। একই চিত্র মাছ বাজার, হলুদপট্টি, কাপড়পট্টি, হাজী মোড় হতে লালব্রীজ সড়ক। এছাড়া শহরের তিনটি প্রবেশদ্বারে রয়েছে অবৈধ যানবাহন নসিমন-আলমসাধু, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও ভ্যানগাড়ি। এক স্থানে তিন যানবাহনের স্টান্ড হওয়ায় বিভিন্ন সময় সড়কে যাতায়াতে মোটরসাইকেল আরোহী সড়ক দুর্ঘটনার সম্মূখিন হন।

সৈয়দ হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, বছরের পর বছর ধরে এই যানজটে জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। পৌরসভার উন্নয়ের আশা দিয়ে মেয়র নির্বাচিত হলেও পরে তাদের খোঁজখবর থাকে না। পৌরবাসীর ভাগ্য বদল হয় না। ব্যাটারি চালিত ভ্যান কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারল না। এ শহর দিনের পর দিন আরো যানজটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।