আলমডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

আলমডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে একজন মাদক ব্যবসায়ীকে মাদক সহ গ্রেফতার করে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় চুয়াডাঙ্গা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রনের পরিদর্শক মোঃ নাজমুল হোসেন খান এর নেতৃত্বে ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন সহ , মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়,আলমডাঙ্গা উপজেলাধিন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার এরশাদপুর চাতাল মোড় এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান খোকাই শেখের ছেলে মাদক ব্যাবসায়ি শাহাদত হোসেন (৫৫) কে আটক করে।

এ সময় খোকাই শেখের চাতাল মোড়ের নিজ দখলীয় ভিটার সাথে এক কক্ষ বিশিষ্ট দোকান ঘরের মধ্যে রক্ষিত আলমারির মধ্য হতে ৫ লিটার রেকটিফাইড স্পিরিটসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে উপ পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মাদক দ্রব্য আইনে একটা নিয়মিত মামলা দায়ের করেন বলে জানাগেছে। এ বিষয়ে ওসি শেখ গনি মিয়া সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।




চুয়াডাঙ্গায় শহীদি মার্চ পালন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে চুয়াডাঙ্গায় শহীদি মার্চ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় গণঅভ্যুত্থানের এক মাস পূর্ণ হওয়ায় শহীদদের স্মরণে এই শহীদি মার্চ করা হয়।

এসময় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের মেইন গেইট থেকে বের হয়ে শহরের কোর্ট মোড় অভিমূখ হয়ে বড় বাজার চত্বরে সংক্ষিপ্ত মার্চ সমাবেশ করে।

সমাবেশে বক্ত্যারা বলেন, দেশটা ভালো ভাবে গড়তে হবে। কোনো জায়গায় অনিয়ম দূর্নীতি দেখলে রুখে দাঁড়াতে হবে। সাদাকে সাদা কালোকে বলতে হবে। জনগণের আস্তার জায়গা গড়তে হবে। ছাত্র সমাজের প্রতি মানুষের যে আসা আকাঙ্খার পরিবর্তে নিজ নিজ জায়গা থেকে দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান। যে সকল সাধারণ শিক্ষার্থী মারা গেছেন। তাদের মৃত্যুর বিচার করতে হবে। এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে ওই সব দপ্তর দূর্নীতি সংস্কার করতে হবে। চুয়াডাঙ্গা কৃষকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রশাসনকে তাদের প্রতি আস্থা ফিরে নিয়ে আসতে হলে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে হবে।

এসময় শহীদি মার্চ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ শিক্ষার্থী রনি বিশ্বাস, সজিবুল ইসলাম, তামান্না, শাওন, রিমন, সাকিব, আব্দুল্লাহ আল কাফি, মাসুম বিল্লাহ, ঝুমুর বিশ্বাস, সুমাইয়া, প্রমুখ।




দর্শনায় শহীদি মার্চের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

দর্শনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র -ছাত্রীদের নিহতদের স্বরনে শহীদি মার্চের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় ছাত্র-জনতার বিজয়ের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে দর্শনার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র/ছাত্রী ও দর্শনাবাসীর উদ্যোগে দর্শনা রেলবাজার সংলগ্ন শহীদ শাহারিয়ার শুভ মঞ্চে নিহতদের স্বরনে শহীদি মার্চের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করা হয়।

আলোচনার শুরুতেই কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন বাইজিদ বোস্তামি। এ স্বরন সভায় দোয়ার অনুষ্ঠানে সোহান ইসলাম এর সভাপতিত্বে দিক নির্দেশনা মুলোক বক্তব্য রাখেন তন্ময় তৌহিদ।

এ অনুষ্ঠানে দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন, দর্শনা পৌরসভার ঈমাম সমিতির সভাপতি ও কেরু হাই স্কুলের সাবেক শিক্ষক হাজী মাওঃ নুরুল ইাসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-ছাত্রী-জনতার আন্দোলনের বিপ্লবী নাঈম সৌরভ। এ অনুষ্ঠানে বিনা খরচে বক্স ও সাউন্ড সিসটেম দিয়ে সিগনেচার ও সুর সাথী সহযোগিতা করেন।




মোরসালিনের গোলর ভুটানকে হারালো বাংলাদেশ

দুই ম্যাচের প্রীতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে মাঠে নামে দু’দল। শেখ মোরসালিনের গোলে শুরুতেই এগিয়ে হ্যাবিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে ১-০ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

ম্যাচের ৫ মিনিটেই গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। ডান দিক থেকে রাকিব হোসেনের বাড়ানো বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন ভুটানের গোলরক্ষক। সেখান থেকে ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়ে জালে জড়ান শেখ মোরসালিন।

পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ভুটান। ম্যাচের ১৯ মিনিটে গোলের ভালো সুযোগ পায় তার। তবে গোলরক্ষক মিতুল মার্মার দক্ষতায় রক্ষা পায় বাংলাদেশ।

এরপর গোলের লক্ষ্যে আরও বেশ কিছু আক্রমণ করে ভুটান। অন্যদিকে লিড পেলেও ছন্নছাড়া ফুটবল খেলে বাংলাদেশ। বল পজিশনে এগিয়ে থেকেও গোল পেতে ব্যর্থ হয় ভুটান। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচে সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ভুটান। বেশ কিছু আক্রমণে বাংলাদেশের ডিফেন্সকে ব্যস্ত রাখে তারা। তবে অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে ভুটানের ফুটবলাররা।

অন্যদিকে ম্যাচের শেষ দিকে সহজ সুযোগ পায় বাংলাদেশও। তবে বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন জনি। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে ১-০ গোলে জয় পায় বাংলাদেশ।

সূত্র: ইত্তেফাক




কোটচাঁদপুরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

মামলা দিয়ে হয়রানি ও হুমকি – ধামকির প্রতিবাদে কোটচাঁদপুরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষক খায়রুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্থানীয় পৌর পাঠাগার মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করে তিনি।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। শিক্ষকতা করে সমাজে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে চেয়েছিলাম। সেই আশায় গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছিলাম।
কিন্তু কালের পরিবর্তনে আমার সে আশা পূরণ হয়নি।এর পরিবর্তে জুটেছে বিভিন্নভাবে লাঞ্চনা। হতে হয়েছে মামলার স্বীকার।

তিনি বলেন, আমি ২০১১ সালে কোটচাদপুর পৌরসভাধীন ৩নং ওয়ার্ডে বর্তমান বিএনপি’র উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ লিয়াকত আলী সাহেবের বাড়ির পাশে ৫.১৪ শতক জমি কিনে ছিলাম। এরমধ্যে ৩ শতকের উপর ভবন করা হয়েছে। বাকী ২.১৪ শতক খালি পড়ে আছে। ওই জমি কেনার পর থেকে বিএনপি’র ওই নেতার সঙ্গে চলে আসছিল ঝামেলা। বিষয়টি নিয়ে মোঃ লিয়াকত আলী আমার বিরুদ্ধে আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা করেছেন।
এ ছাড়া তিনি ও তাঁর অনুসারীরা বিভিন্ন সময় আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেন। এর ধারাবাহিকতায় গেল ৫ আগষ্ট ওই নেতা তাঁর সমর্থিত লোকজন দিয়ে আমাকে মারপিট করান। ওইদিন যদি এলাকার মানুষেরা আমাকে তাদের হাত থেকে রক্ষা না করতেন, তাহলে সেদিন ওরা আমাকে মেরে ফেলতেন।

শিক্ষক খায়রুল ইসলাম আরো বলেন, তারা আমাকে এভাবে হয়রানি আর নির্যাতন করে ওই জমি থেকে উৎখাত করতে চান। এটা না হওয়া পর্যন্ত তারা থামবে না। বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছি।
এ কারনে আমি আপনাদের মাধ্যমে উক্ত ঘটনাটি সমাজের মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাই। জানাতে চাই বিএনপির নীতি নির্ধারক কর্মকর্তাদের। যাতে করে আমি ওই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রান পেয়ে সমাজে থাকতে পারি।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ লিয়াকত আলী বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে ছড়ানো মিথ্যা প্রপাকান্ড। ষড়যন্ত্রকারিরা আমার বিরুদ্ধে তাদের কে দিয়ে একের পর এক মিথ্যা রটনা রটাচ্ছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের নিকট।




মেহেরপুরে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ

ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে গণসমাবেশ  অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে এ গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়‌।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য,মাওলানা মুফতি ইমরান হোসাইন।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মেহেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ আক্কাস আলী মাস্টার, গাংনী থানা শাখার সভাপতি মোঃ ফয়সাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, মেহেরপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো আরিফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল গাফফার, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন মেহেরপুর জেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম খলিল আবীরসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় মাদক সম্রাট কতৃক আহত হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় মাদক সম্রাট জাহিদুল গ্যাং কতৃক আহত হওয়ায় ভূক্তভোগীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার সময় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্য পেশ করেন দামুড়হুদা উপজেলার সদর খাঁ পাড়া গ্রামের মতলেব আলী’র ছেলে আব্দুর রহিম।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রহিম বলেন, আমি যুব রেড ক্রিসেন্ট সৌসাইটির দামুড়হুদা উপজেলা যুব প্রধান হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়ে দূর্নিতী ও মাদকের বিরুদ্ধে সভা-সেমিনার করার কারণে ইয়াবা ও ফেন্সী সম্রাট জাহিদুল ইসলাম ইয়াবাসহ ধরা পড়ে। সেখানে মাদক সেবনের কারণে তাকে জেল ও জরিমানা করা হয়। তারা সন্দেহ করে যে, আমি আব্দুর রহিম তাদেরকে ধরিয়ে দিয়েছি। তারিই ফলশ্রুতিতে কয়েক বছর আগে আমাকে বিবাদীপক্ষ মোঃ জাহিদুল মেম্বার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে আমাকে বেদম মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এরই সূত্র ধরে আমি বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে পত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনের নেতৃত্ব দেয় ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ গ্রহন করি। যাহার ফলোশ্রুতিতে স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের নেতাকর্মীরা ও যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম ও যুবলীগের সাবেক থানা সভাপতি তালেবসহ তার সাঙ্গ পাঙ্গোরা ভালোভাবে সেটা মেনে নিতে পারিনি। বিভিন্ন সময় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিয়ে আসিতেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় জাহিদুল মেম্বার ও তার ভাই তালেবের নেতৃত্বে আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তুলিয়া নিয়ে যাবার সময় আমার পিতা মতলেব আলী, ছোট ভাই আব্দুল করিম, বড় ভাই আব্দুর রহমান বাধা দিলে আমাদের সকলকে, রামদা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে আমাদেরকে এলোপাতাড়িভাবে কুপায়।

এক পর্যায়ে আমার বড়ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত জানিয়া সকলে পলিয়ে যাই। ঘটনার বিবরনী দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানাই। তৎখনিক অফিসার ইনচার্জ পুলিশ সদস্যদের পাঠিয়ে আমাদেরকে রক্ষা করে ও হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করিয়া দেই এবং বলে তোমরা নির্দিষ্ট আসামীগনের পরিচয় দিয়ে থানায় এজাহার দায়ের কর। সেই মর্মে আমার ছোট ভাই আব্দুল করিম বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ জানাই। তবে আজ সকালে আসামীরা সকলে মিলে আমার বাড়িতে মটর সাইকেলে অগ্নি সংযোগ করে পুড়িয়ে দেই। নায্য বিচার পাইবার জন্য সংবাদ সম্মেলনের ইচ্ছা পোষণ করি।




দর্শনায় যৌথ বাহীনির অভিযানে ৬ যুবক আটক

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় যৌথ বাহীনি সন্ত্রাসী ও মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে দর্শনা পুরাতন বাজারে। এ অভিযানে গাঁজা সেবনের সরঞ্জাম ও খাওয়ার অপরাধে ৬ যুবককে আটক করে।

আজ  বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে দর্শনা রেল ইয়ার্ডে যৌথ বাহীনি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। এ সময় যৌথ বাহীনি দেখে ৮/১০ জনের একদল যুবক পালিয়ে পুরাতন বাজার বিএনপি নেতা মোখলেছুর রহমান টিপু তরফদারের বাড়ি প্রাচীর টপকে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে।

এসময় যৌথবাহিনী তাদের পিছু নিয়ে গেটের তালা ভেঙ্গে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে মাদক সেবনের সরঞ্জামসহ তাদেরকে আটক করে।

আটককৃত হলো চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের বাহার আলীর ছেলে মোমিন (২৪) দর্শনা পৌরসভার ইসলাম বাজারের চঞ্চলের ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ (২২) একই পাড়ার আলীর ছেলে সাকিব হাসান (২০) দর্শনা কেরু হাসপাতালা পাড়ার আনোয়ার হোসেন ছেলে আসিফ (২১)দর্শনা কেরু পাড়ার তছলিমের ছেলে সাব্বির (১৭)ও ইসলাম বাজার পাড়ার ইসমাইল হোসেন তাজের ছেলে তাজকে (২৩)আটক করে।এ অভিযানে নেতৃত্ব দেয় চুয়াডাঙ্গা সেনাবাহিনী চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ও দর্শনা থানা পুলিশ।

পরে আটককৃতদের উত্তম মাধ্যম দিয়ে দর্শনা থানা পুলিশ সোপর্দ করে।




মেহেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহীদি মার্চ’ পালিত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে মেহেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহীদি মার্চ’ পালিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর ) সকাল ১১ টার দিকে মিছিলের মাধ্যমে এ ‘শহীদি মার্চ’ পালন করে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

মিছিলটি শহীদ শামসুজ্জোহা পার্ক থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এসময় নানা স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।

এ সময় তামিম, সিয়াম, জাঈম, শীতল, ফারদিন, কৌশিক, অয়ন, জাবির, আশিক, এস এম প্লাবন, জাইম আল হাসানসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।




লিটনের র‌্যাঙ্কিং নিয়ে আইসিসির ভুল তথ্য

রাওয়ালপিন্ডিতে দুই টেস্টের দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন লিটন দাস। সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে দারুণ সব শটে খেলেন ৫৬ রানের ইনিংস। যদিও শতক না করতে পারার আক্ষেপ নিয়ে ফিরে যান সাজঘরে।

তবে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে দলের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে জ্বলে ওঠে তার ব্যাট। ঘুচান প্রথম টেস্টে শতক করতে না পারার আক্ষেপও। এক সময়ে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে কক্ষপথে আনে লিটন-মিরাজের ১৬৫ রানের রেকর্ড জুটি।

হাসান মাহমুদকে নিয়ে গড়েন ৬৯ রানের আরও এক জুটি। নিজে খেলেন ২২৮ বলে ১৩৮ রানের এক ইনিংস। জিতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এরপর খবর আসে আইসিসির র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির খবর।

২৭তম স্থানে থেকে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামেন তিনি। দ্বিতীয় টেস্ট শেষে ১২ ধাপ এগিয়ে ৬৬৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ১৫তম স্থানে উঠে আসেন তিনি। র‌্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদে এমনটাই জানায় আইসিসি।

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার মিডিয়া বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ১৩৮ রানের ইনিংস খেলে ক্যারিয়ার সেরা ১৫ নম্বরে উঠে এসেছেন লিটন। ভুলটা হয়েছে এখানেই। এর আগে গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নিজের ক্যারিয়ার সেরা ১২তম স্থানে ছিলেন তিনি।

এর আগে একই বছরের মে মাসে ৭২৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে প্রথমবারের মতো ক্যারিয়ারসেরা ১২তম স্থান ছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার। তবে বর্তমানে ১২ ধাপ এগিয়ে ১৫তম স্থানে উঠে এসেছেন লিটন।

সূত্র: কালবেলা