৫ বছরে ১৬২ প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নয়ন বরাদ্দ ২৫৯ কোটি টাকা

ঐতিহাসিক মুজিবনগরখ্যাত মেহেরপুর জেলা এখন উন্নয়নে বাংলাদেশের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ভরপুর এই জেলার অবকাঠামো উন্নয়নে দিনদিন পাল্টে যাচ্ছে সার্বিক উন্নয়ন।

বিশেষ করে জেলার শিক্ষাঙ্গনে এসেছে আমুল পরিবর্তন। মেহেরপুরের শিক্ষাখাতে গত ৫ বছরের উন্নয়নে জেলার তিনটি উপজেলা এখন স্বকীয় অবস্থানে পৌঁছেছে। সৃষ্টির নান্দনিকতায় জেলায় গড়ে উঠেছে সরকারি বেসরকারি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোর সুরম্য ভবন। একে একে গড়ে উঠেছে ১৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এখানকার সরকারি, বেসরকারি স্কুল কলেজের ৪ তলা ও বহুতল ভবনগুলি দৃষ্টি কাড়বে। এই তালিকাতে বাদ যায়নি জেলার দাখিল, কামিল ও ফাজিল মাদ্রাসাও। অথচ, এক সময়ে জরাজীর্ণ ভবণগুলো সময়ের ব্যবধানে পেয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া।

মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, জেলার শিক্ষাখাতের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে বিগত পাঁচ বছরে জেলায় ২৫৮ কোটি, ৮৬ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে ২২০ কোটি, ২৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকার কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোয়নের লক্ষে জেলার ১৮ টি নির্বাচিত বেসরকারি কলেজ সমূহের উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প (পূর্ত কাজ) মাধ্যমে জেলার ১৮ টি নির্বাচিত বেসরকারি কলেজের জন্য ২৬ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেখানে ইতোমধ্যে ২৫ কোটি ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোয়নের লক্ষে জেলার ১৮ টি নির্বাচিত বেসরকারি কলেজ সমূহের উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প (এ্যাপ্রোচ রোড) মাধ্যমে জেলার ১১ টি নির্বাচিত বেসরকারি কলেজের জন্য ৪৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।

বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন (৩০০০ স্কুল) শীর্ষক প্রকল্প (পূর্ত কাজ) এর আওতায় ৫৪ কোটি ৬৮ লাখ ২৯ হাজার টাকা ব্যায়ে জেলার নির্বাচিত ২০ টি বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।

নির্বাচিত ২০ টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন (৩০০০ স্কুল) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যায়ে জেলার নির্বাচিত ২০ টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।

বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উর্দ্ধমুখী সম্প্রশারণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জেলায় নির্বাচিত ২৩ টি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৯ কোটি ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উর্দ্ধমুখী সম্প্রশারণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জেলায় নির্বাচিত ২৩ টি বিদ্যালয়ের আসবাব পত্র তৈরী ও বিতরণ করা হয়েছে। যেখানে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৫ কোটি ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

নির্বাচিত ১২ টি মাদ্রাসা সমূহের উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত ১২ টি মাদ্রাসা সমূহের উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। যেখানে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।

কারিগরী অধিদপ্তারাধীন ৬৪ টি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ(টিএসসি) স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রক্ল্পের আওতায় ১৫ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যায়ে জেলায় একটি কারিগরী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপন করা হয়েছে।

সরকারি কলেজ সমূহের বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ (২০০ সরকারি কলেজ) শীর্ষক প্রক্ল্পের আওতায় ১৫ কোটি ১১ লাখ টাকা বরাদ্দে মেহেরপুরে সরকারি কলেজে কাজ করা হয়েছে।

নির্বাচিত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন (৩২৩ সরকারি স্কুল) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৮২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

রাজস্ব খাতের আওতায় ৩৬ কোটি ৫১ লাখ ছয় হাজার টাকা বরাদ্দে সরকারি /বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহের নতুন ভবণ নির্মানের (মাউশি) কাজ চলমান। ইতোমধ্যে ৪২ টি বিদ্যালয়ের বিল্ডিং কাজ শেষ হয়েছে।

রাজস্ব খাতের আওতায়১১ কোটি ৫৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকা বরাদ্দে জেলার ১১ টি সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

রাজস্ব খাতের আওতায় ৪৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যায়ে সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (সরকারি কামাশি) শীর্ষক প্রকল্প একটি বিদ্যালয়ের নতুন ভবণ নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়া রাজস্ব খাতের আওতায় ৭ টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১কোটি সাড়ে ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দে মেরামত ও সংস্কার কাজ করা হয়েছে। রাজস্ব খাতের আওতায় বেসরকারি ৯৬ টি বিদ্যালয়ে ৮ কোটি সাড়ে ৪৭ লাখ টাকা ব্যায়ে সংস্কার ও মেরামত করা হয়েছে।

রাজস্ব খাতের আওতায় ১৫ টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ব্যায়ে মেরামত ও সংস্কার কাজ করা হয়েছে। মাওশির উদ্যোগে জেলার ৯০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯ কোটি ৫১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যায়ে উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।

মাওশির উদ্যোগে ৬১ টি সরকার ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২ কোটি ৬১ লাখ ১৭ হাজার টাকা ব্যায়ে আসবাব পত্র তৈরী ও বিতরণ করা হয়েছে।

মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যালস্কুল এন্ড কলেজেরজন্য ৭ লাখ ৮ হাজার টাকা ব্যায়ে আসবাব পত্রপ্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৩ টি বেসরকারি কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৪ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যায়ে আসবাব পত্র প্রদান করা হয়েছে।

জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুরম্য বিল্ডিং তৈরী, সংস্কার ও আসবাবপত্র প্রদানসহ নানাবিধ উন্নয়ন করার ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাকিবুল আহসান বলেন, আমাদের বিভাগের উন্নয়ন কাজগুলো স্বচ্ছতার সাথে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এতে সাংবাদিকদেরও সহযোগীতার কামনা করছি।




স্পেনকে রুখে দিল ব্রাজিল

স্পেনের প্রায় নিশ্চিত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ব্রাজিল। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে স্পেনকে ৩-৩ গোলে রুখে দিয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দলটি।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে স্পেনের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। এরপর দারুণভাবে ঘুঁরে দাঁড়িয়ে ২-২ গোলে সমতা আনে দরিভল জুনিয়রের শিষ্যরা।

৮৬ মিনিটে স্পেনের মিডফিল্ডার রদ্রির দ্বিতীয় পেনাল্টি গোলে ফের ৩-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। শেষ মুহূর্তে সেই গোল শোধ করে ব্রাজিলকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত রাখেন লুকাস পাকেতা।

স্বাগতিক স্পেনকে ম্যাচের ১২ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে গোল করে লিড দেন রদ্রি। এরপর ৩৬ মিনিটে দানি এলবোর গোলে ২-০ তে এগিয়ে যায় স্পেন। দারুণভাবে ঘুঁরে দাঁড়িয়ে ৪০ মিনিটে রদ্রিগো ও ৫০ মিনিটে এনড্রিকের গোলে সমতায় ফেরে ব্রাজিল। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল করলেন বিস্ময়বালকখ্যাত এনড্রিক।

ব্রাজিলে দারুণ শুরু করেছেন দরিভল। ইনজুরিতে বিধ্বস্ত দলকে বড় দুটি দলের অপরাজিত থেকে সবাইকে চমকে দিয়েছেন তিনি। এর আগে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষক মারা গেছেন

পাঁচ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষক আসাদুল বিশ্বাস(৪৮)। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালের দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নিহত আসাদুল বিশ্বাস মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি বিশ্বাস পাড়ার হানিফ বিশ্বাসের ছেলে ও আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

আমঝুপি গ্রামের স্কুল শিক্ষক ফয়জুল কবীর জানান, নিহত আসাদুল বিশ্বাস গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা সড়কের কোলারমোড় নামক স্থানে মোটরসাইকেলযোগে রাস্তা ক্রস করছিলেন। এমন সময় অপর একটিদ্রুতগামী মোটরসাইকেল তাকে সরাসরি ধাক্কা মারে। এতে রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন স্কুল শিক্ষক আসাদুল বিশ্বাস।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

সেখানেই আজ সকালের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।




মুজিবনগরে স্বাধীনতা দিবস পালিত

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মেহেরপুরের মুজিবনগরে ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনটির শুভ সূচনা করা হয়।সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স স্মৃতিসৌধে এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তব ও অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, উপজেলা নবাগত নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুস সাদাত রত্ন, মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল কুমার দত্ত, মুজিবনগরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আসাদুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আহসান আলী খান সহ মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মোল্লা, মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন দারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম রবি, দারিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাকিম হক খোকন কমান্ডার, বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান মধু, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা এ্যাড: রুত শোভা মন্ডল, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি তকলিমা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক তহমিনা খাতুন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেব লীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতিন,সদস্য সচিব আইয়ুব হোসেন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জাহিদ হাসান রাজীব, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান মানিক, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীবৃন্দ সহ উপজেলা আনসার ভিডিপি টুরিস্ট পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে সকাল ৮ টায় মুজিবনগর উপজেলা চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম ও মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল কুমার দত্ত।

পরে মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ ও বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এ সময় বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বিএনসিসি এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন করেন।

কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রোদর্শনের পরে বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা শেষে মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধ পরবর্তী সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল শেষে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।




মেহেরপুর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন

জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতপ পুস্পস্তবক অর্পণ এবং আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করেছে মেহেরপুরের বিচার বিভাগ।

গতকাল মঙ্গলবার মেহেরপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা জজ আদালত ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বৃন্দ। এ সময় তাদের সাথে জাজশিপ ও ম্যাজিস্ট্রেসির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বককর সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস। এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ ১ম ও ২য় আদালতের বিচারক মোঃ শাহিনুর রহমান ও কবির হোসেন সহ জেলা জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকবৃন্দ।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা জজ আদালতের নাজির উসমান গনি এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আসাদুজ্জামান আসাদ।




কুষ্টিয়ায় অবৈধ ট্রলির ধাক্কায় স্কুল শিক্ষার্থী নিহত

কুষ্টিয়ায় স্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ ট্রলির ধাক্কায় আলী হোসেন (১৪) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালের দিকে শহরের হরিশংকরপুরে এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আলী হোসেন কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাঁওতা কারিগরপাড়া গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী হাসান আলীর ছেলে এবং সে সাঁওতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, স্কুল শিক্ষার্থী আলী হোসেন নিজ বাড়ি থেকে বাইসাইকেল যোগে কুষ্টিয়া শহরের যাওয়ার পথে হরিশংকরপুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ইট বোঝায় ট্রলি তাকে ধাক্কা দেয়। এতে স্কুল ছাত্র রাস্তায় ছিটকে পড়ে ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




মেহেরপুরে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভা

মেহেরপুর জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে “স্বাধীনতার গুরুত্ব ও তাৎপর্য” শীর্ষক আলোচনা সভা,কোরআন খতম ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এ আলোচনা সভা,কোরআন খতম ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ জি এম সিরাজুম মূনীমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান।

জেলা ইসলামী ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় এছাড়া জেলা মডেল মসজিদ ইমাম মুফতী মোঃ সাদিকুর রহমান,ফিল্ড সুপারভাইজার ফিল্ড সুপারভাইজার তাওহীদুল ইসলাম, ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার আবু রায়হান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাস্টার ট্রেনার মাওলানা মোঃ আব্দুল হামিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনার পরে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।




গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কলেজ প্রাঙ্গনে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা।

একই সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্নদানকারি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পূষ্পস্তবক অর্পণ করেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এএসএম ইমন। পরে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী কলেজ পরিচালা পর্ষদের সভাপতি  এম এ এস ইমনের নেতৃত্বে কলেজ প্রাঙ্গন থেকে বের হয়ে গাংনী শহরের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে। পরে আলোচনা সভা অনুিিষ্ঠত হয়।

কলেজ অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক ,রাজধানী টেলিভিশনের চেয়ারম্যান এম এ এস ইমন।

এদিন দুপুরে শিক্ষক কর্মচারি বৃন্দের সাথে শিক্ষার মানউন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা হয় এবং পরবর্তীতে গভর্নিং বডির নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকল অনুষ্ঠানে কলেজের সহকারি অধ্যাপক(বাংলা বিভাগ) রমজান আলী, সকারি অধ্যাপক (ব্যবস্থাপনা বিভাগ) হারুন অর রশিদ রবি,সহকারি অধ্যাপক(অর্থ) সাইফুর রহমান টোকনসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




ছোটপর্দায় স্বাধীনতা দিবস

প্রতিবছরই স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হয় দেশের টিভি চ্যানেলগুলো। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। দিবসটি উপলক্ষে এবারও তারা সিনেমা, নাটক, আলোচনা অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠান দিয়ে অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছে।

সেই অনুষ্ঠানগুলো নিয়েই এই আয়োজন-

‘চাঁদের খাঁচা’

বিটিভিতে আজ রাত ৯টায় প্রচারিত হবে বিশেষ নাটক ‘চাঁদের খাঁচা’। সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের রচনায় এটি প্রযোজনা করেছেন শাহজামান মিয়া। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিমি করিম, সাব্বির আহমেদ, শতাব্দী ওয়াদুদ, রমিজউদ্দিন রাজু, লুৎফর রহমান জর্জ, জিয়াউল হাসান কিসলু, হাফিজুর রহমান সুরুজ, সিলভিয়া, সৈয়দ মোশারফ, মোস্তাফিজুর রহমান, সুস্ময় সাহাসহ অনেকে। নাটকের গল্পে দেখা যাবে নাবিলার স্বামী মামুনকে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি সেনারা অফিস থেকে ধরে নিয়ে মেরে ফেলে। এরপর নাবিলা তার সন্তান ইফতিকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যায়। কিন্তু ছেলেটি প্রায়ই বাবাকে নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে ওঠে। এক রাতে আকাশে বড় চাঁদ ওঠে। ইফতি চাঁদের দিকে তাকিয়ে কাঁদতে থাকে। দাদাকে বলে, পাকিস্তানি সেনারা তার বাবাকে চাঁদের খাঁচায় আটকে রেখেছে।

‘যোগ-বিয়োগ’

এনটিভিতে আজ দুপুর ১টায় প্রচারিত হবে বিশেষ নাটক ‘যোগ-বিয়োগ’। সারওয়ার রেজা জিমির রচনা ও তুহিন হোসেনের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, আনিকা কবির শখ, মিতা চৌধুরী, সুষমা সরকার প্রমুখ। রাশেদ ও কবির হঠাৎ তাদের বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে পরিবার নিয়ে হাজির হয় জেলা শহরের বাড়িতে। তাদের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আকতারুজ্জামান এই শহরেই সফল ব্যবসায়ী হিসেবে সম্মানের জীবন কাটিয়ে সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। তার আকস্মিক মৃত্যু এই পরিবারের কর্মী জেবুন্নেছা আর আর তার দুই পুত্র-পুত্রবধূ-নাতনির জন্য যেন এক পুনর্মিলনীর উপলক্ষ হয়ে ওঠে। কিন্তু এই পারিবারিক পুনর্মিলনীতে সহসাই নিদারুণ আঘাত হয়ে আসে একটি সংবাদ। পারিবারিক উকিল জানান, আকতারুজ্জামান তার সম্পত্তির একটি বড় অংশ উইল করে লিখে দিয়ে গেছেন এক নারীকে, যাকে এই পরিবারের কেউ চেনে না।

‘মুক্তিযুদ্ধের সেইসব দিনগুলি’

দিনাত জাহান মুন্নীর সঞ্চালনা এবং রফিকুল ইসলাম ফারুকীর প্রযোজনায় ‘মুক্তিযুদ্ধের সেইসব দিনগুলি’ বাংলাভিশনে প্রচার হবে আজ রাত ১১টা ২৫ মিনিটে। এতে অতিথি হিসেবে থাকছেন মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোরশেদ খান বীরবিক্রম এবং লে. জেনারেল (অব.) এম হারুন অর রশীদ বীরপ্রতীক।

‘যেখানে সীমান্ত তোমার’

আজ রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে বিশেষ নাটক ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’। সারওয়ার রেজা জিমির রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন তুহিন হোসেন। অভিনয় করেছেন আরশ খান, ফারিয়া শাহরীনসহ আরো অনেকে। গল্পে দেখা যাবে, মুনিরের বিয়ে ঠিক হয়েছে। তার বাবা চান যত দ্রুত সম্ভব বিয়েটা সেরে ফেলতে। কারণ দেশে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। তরুণ-যুবকরা মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিচ্ছে। মুনির মেয়ের ছবি দেখেছে। কিন্তু এই সময়ে বিয়েটা মেনে নিতে পারছে না। বিয়ের আগের রাতে পালিয়ে যায় সে। কিন্তু নৌকায় উঠতেই চমকে যায় মুনির। নৌকায় আগেই বসেছিল তার বাগদত্তা!

‘আঁধারে আভা’

আজ সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে চ্যানেল আই প্রচার করবে বিশেষ নাটক ‘আঁধারে আভা’। নাহিদুল ইসলাম ও নূর ইমরান মিঠুর রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন নূর ইমরান মিঠু। এছাড়াও চ্যানেলটিতে দুপুর ১টা ০৫ মিনিটে মুশফিকুর রহমান গুলজার পরিচালিত বাংলা চলচ্চিত্র ‘দুঃসাহসী খোকা’ সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে। এর বাইরে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে মুকিত মজুমদার বাবুর পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় বিশেষ অনুষ্ঠান ‘বিপন্ন প্রকৃতি ১৯৭১’।

সূত্র: ইত্তেফাক




হার ঠেকানোর লড়ায়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

পাঁচ দিন আগে কুয়েতের মাঠে বিশ্বকাপ এবং এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ৫-০ গোলে হেরে বাংলাদেশ আজ ফিরিত ম্যাচ খেলবে ঘরের মাঠে। বসুন্ধরা কিংসের মাঠে বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন ফিরতি ম্যাচ শুরু হবে বিকাল সাড়ে ৩টায়।

৫ গোল হজম করা দলটি আজ না হারার লক্ষ্য নিয়ে নামতে চায়। কুয়েতে ছিল ফিলিস্তিনের হোম ম্যাচ। আজ বাংলাদেশের হোম ম্যাচ ঢাকায়। ৫ গোলে হারের পর বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা মনে করছেন জেতা সম্ভব। বলেছেন হারতে চাই না। যে খেলায় আমার ৫ গোল খেয়েছিলাম সেই খেলায় আমাদের ছেলেরা একটু ভালো খেলেই যখন সুযোগ পাচ্ছিল মনে করেছিল জয় চলে আসতে পারে। বেশি সাহস দেখাতে গিয়ে আমাদের দুর্দশা হয়েছে। আমি ছেলেদের জানিয়েছি সাহস দেখাও নিজের সামর্থ্য নিয়ে।’

তিনি বলেন, ‘সবাই ৫ গোলের কথাই বলছে। কিন্তু এখানে আমি রেজাল্ট দেখছি না। বাস্তববাদী হতে হবে। ফুটবলে শট টাইমের হিসাব করলে হবে না। উন্নতি হচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। আমিও হতাশ। কিন্তু এটাও ঠিক যে ওভার অল উন্নতি হচ্ছে।’

হ্যাভিয়ের বললেন, ‘আমরা যখন রাউন্ড টু পর্বে যোগ্যতা অর্জন করি তখনই জানতাম কঠিন লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে হবে।’ বসুন্ধরা কিংসের মাঠে জাতীয় দল এখন পর্যন্ত হারেনি। তার ওপর আজকে স্বাধীনতা দিবস। এই দুটি বিষয় কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। বলেছেন, ‘প্রথম খেলাটা মানুষকে হতাশ করেছে। এখন দর্শকদের ভালো কিছু উপহার দিতে হবে। আশা করি, আজ পয়েন্ট পাব।’

নিজেদের মাঠে খেলা, সবই চেনা, পরিবেশ চেনা। এখানে প্রতিপক্ষ ফিলিস্তিন একটু হলেও সমস্যায় পড়বে। সেটি কাজে লাগাতে চান কাবরেরা। কোচ তার প্লেয়ারদের জানিয়ে দিয়েছেন আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার ম্যাচ এটি, আমাদের জন্য বড় একটি দিন। সামনের দিকে তাকাতে হলে আজকের ম্যাচে ভালো কিছু করতে হবে।’

কোচের মতো অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়াও পয়েন্ট পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। জামালের কথা, ‘আমরা হারতে চাই না। ৩ পয়েন্ট পেলে বেস্ট।’ ৫ গোলে হারের প্রশ্নে জামাল বলেন, ‘ঐ ১০ মিনিট কি হয়েছিল বলতে পারি না। ওটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু বলার নেই। এখান থেকে শিখতে হবে। এটা নিয়ে আমরা নিজেরা অনেক আলাপ করছি। কি হয়েছিল সেটা ভুলে যেতে বলেছি। সামনের দিকে তাকাতে হবে। আজকের ম্যাচটা আমাদের কাছে ফাইনালের মতো। আমাদের দর্শকের সামনে হারতে চাই না।’

আজকের ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের কোচ অধিনায়কের মতো ফিলিস্তিনি ফুটবলারদের এতো উচ্ছ্বাস নেই। তারা পাঁচ দিন ম্যাচ খেলেছে। রিকভারি করেছে। এখন মাঠে নেমে জয়টা নিয়ে বিমানে উঠতে চান। প্রতিপক্ষের মাঠে যুদ্ধ করার প্রয়োজন নেই। ম্যাচ জিতলেই তারা খুশি। সারাক্ষণ টিভির পর্দায় ইসরাইলি হামলায় ধ্বংস দেখে দেখে মন খারাপ করছেন ফিলিস্তিনি ফুটবলাররা। শোকটাকে শক্তিতে পরিণত করতে ফিলিস্তিনি ফুটবলাররা সব সময় প্রস্তুত। তাদের সাহস অনেক বেশি। দেশের জন্য আরেকটি জয় নিয়ে ফিরতে চান তারা।

সূত্র: ইত্তেফাক