চুয়াডাঙ্গায় মোটরযান চালকদের লাইসেন্স নবায়নের দাবীতে মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গায় মোটরযান চালকদের লাইসেন্স নবায়নের দাবীতে মানববন্ধন করেছে পেশাদার মোটরযান চালক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পেশাদার মোটরযান চালকরা বলেন, পেশাদার চালকদের লাইসেন্স নবায়নের আবেদনের ফাইল বিআরটিএ অফিসে কয়েক বছর ধরে পড়ে আছে। আঙুলের ছাপ দিয়েও লাইসেন্স পাওয়া যাচ্ছে না। জন্ম তারিখ সংশোধন করে চালকদের লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য বিগত এক বছরে চারবার তারা মানববন্ধন করেছে। আঙুলের ছাপ দেয়া পেশাদার চালকদের লাইসেন্স তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা জন্ম তারিখের সঙ্গে অমিল থাকায় আঙুলের ছাপ দেয়া প্রায় ৫০ জন চালকের লাইসেন্স দীর্ঘদিন যাবৎ প্রিন্ট হচ্ছিল না। এরপর মানববন্ধন ও আন্দোলনের কারনে জন্ম তারিখ সংশোধন কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু যাদের কারনে মানববন্ধন করা হয়েছিলো, তাদের লাইসেন্সগুলো এখনও পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হয়নি। ৪৭৭ নং স্মারকে ২০০১ সালে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন হয়েছিলো। এই প্রজ্ঞাপনের পরে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আরো একটি প্রজ্ঞাপন ২০১৬ সালে হয়েছিলো এবং মানববন্ধন ও আন্দোলনের পরে ২০২৩ সালে একটি অনুমোদন দেওয়া হয়। যে অনুমোদনের কারণে সমস্ত জন্ম তারিখ সংশোধন পূর্বক চালকদের লাইসেন্স প্রিন্ট করা হয়। কিন্তু যে সকল লাইসেন্স প্রিন্ট হতে বাকী ছিলো সেই সকল লাইসেন্সের একটি তালিকা সদর কার্যালয়ে ও অন্যান্য দফতরে প্রেরণ করা হয়েছিলো। উক্ত দপ্তরগুলো তালিকা চেয়ে তালিকা অনুযায়ী কাজ শেষ না করে তালিকাভুক্ত লাইসেন্সগুলো পূর্বে অনলাইন থেকে ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালাতো এবং চালকরা তাদের জীবিকা অর্জন করতে রাস্তায় গাড়ি চালাতে প্রশাসনিক কিছুটা সুবিধা পেত। কিন্তু তালিকা দেয়ার পর উক্ত লাইসেন্সগুলো মনে হয় কোনো আক্রোশে রেফারেন্স রিমার্কে ফেলে দিয়েছে। সেই সঙ্গে জনগণকে ভুল বোঝানোর মতো প্রতারণা করা হয়েছে। যার কারনে এই লাইসেন্সগুলো অনলাইন কপি আর দেখা যাচ্ছে না। এই চালকদের লাইসেন্সগুলো যে রেফারেন্স রিমার্কে ফেলেছে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। যাদের ভলিউম ও রেকর্ড পরীক্ষা পাশের রেজুলেশন সব ঠিক আছে, জন্ম তারিখের জন্য চালকরা স্ত্রী সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অনেকের ছোট বড় স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

বিআরটিএ সদর কাযার্লয়ের দূর্ণীতিগ্রস্হ কর্মকর্তাদের অতিদ্রুত বদলী করা উচিত বলে চালকরা মনে করে। যে দেশে বৈধ চালকের চেয়ে অবৈধ চালকের সংখ্যা একেবারে কম না, সে দেশে বৈধ চালকদের লাইসেন্সগুলো সমস্যা সমাধান করে দিতে অসুবিধা কিসের ? মানববন্ধনে কয়েক দফা দাবীর মধ্যে যাদের নন স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স ছিলো তাদের লাইসেন্স স্থানীয় বিআরটিএ অফিস থেকে ভলিউম ও রেকর্ড দেখে এক্সেল করার একটি সুযোগ প্রদান করেছিলো। কিন্তু ওই সুযোগটা কবে এসেছে আর কবে শেষ হয়েছে এটা বোধগম্য ছিলো না। এই নন স্মার্ট কার্ডগুলো এক্সেল করার মাধ্যমে লাইসেন্সগুলোর স্মার্ট কার্ড করার জন্য আবারো এক মাসের জন্য এই সুযোগটা প্রদান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নচেৎ সারা বাংলাদেশে এই সকল চালকদের পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় বসা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম.জেনারেল ইসলাম, ট্রাঙ্কলড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রানা ইসলাম।

মানববন্ধনে ছাত্র-ছাত্রী, চালক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, লেখক, নিরাপদ সড়ক চাই ও শ্রমিকরা অংশগ্রহণ করেন।




বন্যা পরবর্তী সময়ের প্রস্তুতি

আকস্মিক বন্যায় তলিয়ে গেছে দেশের ১১ থেকে ১৩টি জেলা। বন্যা-কালীন সময়ে ত্রাণ ও দুর্গতদের সাহায্য গুরুত্ব পেয়েছে। কিন্তু বন্যা পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসন ও কিছু করণীয় থাকে।

আভাস পেলে যা করবেন
আকস্মিক বন্যার শঙ্কা অনেক বেড়েছে। তাই বন্যার আভাস পেলে মুড়ি, চিড়া, গুড়, চিনি বা শুকনো জাতীয় খাবার সংরক্ষণ করা ভালো। বিশেষ করে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংরক্ষণের জন্য চৌবাচ্চার ব্যবস্থা করা ভালো। এছাড়া সহজে বহনযোগ্য চুলা ও রান্না করার জন্য শুকনো জ্বালানির ব্যবস্থা রাখতে পারেন। বাড়ির বৃদ্ধ, শিশু, শারীরিক প্রতিবন্ধী বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীর দিকে বিশেষ নজর রাখুন। এছাড়া টাকা, জমির দলিল, শিক্ষা সনদসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিরাপদে রাখুন। পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সংরক্ষণে রাখুন। বন্যা পরবর্তী সময়ে বন্যার পানিতে হাঁটবেন না, সাঁতার কাটবেন না বা গাড়ি চালাবেন না। কারণ ৬ ইঞ্চি পানির স্তরেও আপনি নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন।

ডায়রিয়া হলে করণীয়
বন্যার সময় ডায়রিয়া বেশি দেখা দেয়। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। লবণ ও পানির অভাব পূরণ করাই এর একমাত্র চিকিৎসা। শরীর থেকে যে পরিমাণ পানি বেরিয়ে যায়, তা যদি দ্রুত ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয়, মানুষ তখনই অসুস্থ হয়ে পড়েন ও শরীরে লবণ পানির ঘাটতি দেখা দিলে মৃত্যু হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।

বন্যার সময় চর্ম রোগ
বন্যার পানি গোসল বা গায়ে লাগানো থেকে বিরত থাকুন। কেননা এ পানি বিভিন্ন জীবাণুর ধারক ও বাহক। তাই এ পানির সংস্পর্শে বিভিন্ন চর্ম রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। সব সময় পানির সংস্পর্শে থাকার জন্য হাতে-পায়ে স্যাঁতসেঁতে ও ভেজা আবহাওয়ার কারণে ত্বক বা ত্বকের খোসপাঁচড়া, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, প্যারনাইকিয়া, স্ক্যাবিস জাতীয় নানা ধরনের ত্বকের অসুখ হয়ে থাকে।

বন্যায় টিউবওয়েল ডুবে গেলে করণীয়
যেসব টিউবওয়েল বন্যায় ডুবে গেছে, সেগুলোর পানি ডিসইনফেকশন না করে পান করবেন না। নিজেরাই করতে পারেন এ কাজ। ১০০ গ্রাম ব্লিচিং পাউডারের সঙ্গে দেড় থেকে দুই লিটার পরিমাণ পানি একটি জগ বা পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর টিউবওয়েলের মূল অংশটি পাইপ থেকে খুলে পাইপের মধ্যে সেই মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। টিউবওয়েলের মূল অংশটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট, প্রয়োজনে আরও বেশি সময় ধরে হাতল চাপতে থাকুন।

বাড়ি ফিরলে বা পুনর্বাসনে
অনুমতি দিলেই বা নিরাপদ বলার পরেই বাড়ি ফিরবেন। একটি সারভাইভাল কিট প্যাক করুন। সেখানে কমপক্ষে তিন দিনের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও পানি নিন। প্রত্যেকের জন্য একটি করে পোশাক, প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখুন। জরুরি তথ্যের জন্য রেডিও, স্থানীয় পরিবর্তনকারী সিস্টেম বা সরকারী নির্দেশাবলী শুনুন। বাড়িতে ঢোকার আগে দেখে নিন কোনো কাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে কি না। বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র পরিদর্শন করার আগে পাওয়ার চালু করবেন না। সাপ ও বিভিন্ন প্রাণী আপনার বাড়িতে থাকতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন। সম্ভব হলে গ্লাভস ও বুট পরুন। বন্যা-দূষিত প্রতিটি ঘর পরিষ্কার, জীবাণুমুক্ত ও শুকিয়ে নিন।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে জেলা উলামা সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে উলামা বিভাগ ও বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাস্সিরিন মেহেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে জেলা উলামা সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (৩১ আগষ্ট) সকাল ১০ টার দিকে মেহেরপুর ট্রাস্ট জামে মসজিদে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর উলামা বিভাগের মেহেরপুর জেলা সভাপতি হাফেজ মাওঃ ফিরাতুল ইসলাম (নাঈম) এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওঃ মোঃ তাজউদ্দিন খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওঃ মুহাঃ মাহবুব উল আলম। প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ও মুফাসসিরে কুরআন হাফেজ মাওলানা মুফতি আমির হামজা।

এছাড়াও এসময় বিশেষ আলোচনা হিসেবে বাংলাদেশ মজলিসুল মুফাসসিরিন খুলনা বিভাগীয় সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওঃ ইব্রাহিম খলিল মুজাহিদ, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিন কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি হাফেজ মাওঃ জুলফিকার আলী, বাংলাদেশ মাজলিলুল মুফাসসিরিন কেন্দ্রীয় জাতীয় পরিষদ সদস্য মাওঃ মোঃ আব্দুল হামিদ, বাংলাদেশ মাজলিবুল মুফাসসিরিন মেহেরপুর জেলা সভাপতি মাওঃ মোহাঃ জাহাঙ্গীর আলম জিহাদী উপস্থিত ছিলেন।




আসছে ধারাবাহিক নাটক ‘জেন-জি’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুথানের মাধ্যমে বিদায় নিয়েছে দেশের ১৫ বছরের স্বৈরশাসন। ইতিহাসে এ মহা বিপ্লবের এর পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান যাদের তাদের বলা হয় ‘জেনারেশন জি’ বা ‘জেন-জি’।

যেই জেনারেশন একটা সময় ‘রাজনীতি‘ শব্দটিই ঘৃণার চোখে দেখত, আজ সেই জেনারশনের মাঝেই দেখা যাচ্ছে শুদ্ধ রাজনৈতিক চর্চা। পরিবর্তন এসেছে তাদের ভাবনার জায়গাগুলোতে।

অন্যদিকে, দেশ-বিদেশের সাধারণ মানুষও বাংলাদেশের ‘জেন-জি’দের ওপর বিস্মিত ও মুগ্ধ না হয়ে পারছেন না। সকলের মাঝেই তাদের কাজগুলো নিয়ে চলছে প্রশংসা, আলোচনা-সমালোচনা।

এসব কিছু মাথায় রেখে ‘জেনারেশন-জি’ নিয়ে একটি ধারাবাহিক নাটক নির্মাণের কথা ভাবছেন নির্মাতা ও পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ। নাম দেওয়া হয়েছে ‘জেন-জি আমি কে? তুমি কে?’ নাটকটির রচনা করেছেন মেজবাহ উদ্দিন সুমন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ধারাবাহিকটির দৃশ্যধারণ শুরু হবে বলে নির্মাতাসূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।

জানা গেছে, ‘জেন-জি আমি কে? তুমি কে?’ নাটকটি হবে পলিটিক্যাল স্যাটায়ারধর্মী ধারাবাহিক। মজার মজার স্যাটায়ারের মাধ্যমে রাজনৈতিক অবস্থার চিত্র দেখানো হবে নাটকটিতে। উঠে আসবে জেনারেশনের সঙ্গে জেনারেশনের ভাবনা ও মতের পার্থক্য।

পরিবারের বাবার স্বৈরাচারী মনোভাবের দেয়াল ভাঙবে আমাদের জেন জি‘রা। এ দেয়াল ভাঙা ও অচলায়তন থেকে পুরো পরিবারকে নতুন প্রজন্ম কিভাবে বের করে আনে, এ বিষয়গুলো এ ধারাবাহিকে উঠে আসবে। হাস্যরসের মাধ্যমে গুরত্বপূর্ণ বার্তা দেবে এ ধারাবাহিক।

ধারাবাহিকটি প্রযোজনা করছে ক্রিয়েটিভ ল্যাব প্রডাকশন হাউস থেকে। শিঘ্রই কোনো একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ধারাবাহিকটি প্রচারিত হবে বলে জানা গেছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্টে নেই শরিফুল

রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এই টেস্টে একাদশে নেই পেসার শরিফুল ইসলাম। তার জায়গায় একাদশে এসেছেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। মূলত চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্টের একাদশের বাইরে রয়েছেন শরিফুল।

প্রথম টেস্ট চলাকালে শরিফুল পায়ের কুচকিতে অস্বস্তিবোধ করেন। পরবর্তীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার চোটের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন বিসিবির ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘প্রথম টেস্ট শেষ হওয়ার পরই শরিফুলকে এমআরআই করানো হয়। তার গ্রেড-১ এর অ্যাডাক্টর স্ট্রেইন ধরা পড়েছে। তার এই ইনজুরি সারতে অন্তত দশদিন লাগবে। ইতোমধ্যেই পুনর্বাসন শুরু করে দিয়েছে সে।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটের বড় জয় পায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে বল হাতে ৩ উইকেট শিকার করেন এই টাইগার পেসার। এছাড়া ব্যাট হাতে ১৪ বলে ২২ রানে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন শরিফুল।

সূত্র: ইত্তেফাক




দাম কমলো জ্বালানি তেলের

দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার। আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এ খবর জানিয়েছেন।

এদিন বেলা ১১টার দিকে খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত নির্মাণাধীন রুপসা ৮০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প পরিদর্শনের আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আজ রাত ১২টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।’

জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, ডিজেলের দাম ১০৬.৭৫ টাকা থেকে ১.২৫ টাকা কমিয়ে ১০৫.২৫ টাকা, অকটেনের দাম ১৩১ টাকা থেকে ৬ টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১২৭ টাকা থেকে ৬ টাকা কমিয়ে ১২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের ধারাবাহিকতায় ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বর্তমান বিক্রয়মূল্য লিটারপ্রতি ১০৬ দশমিক ৭৫ টাকা থেকে ১ দশমিক ২৫ টাকা কমিয়ে ডিজেল ১০৫ দশমিক ৫০ টাকা ও কেরোসিন ১০৫ দশমিক ৫০ টাকা করা হয়েছে। একইসঙ্গে পেট্রোলের বর্তমান মূল্য ১২৭ টাকা থেকে ছয় টাকা কমিয়ে ১২১ টাকা এবং অকটেনের মূল্য ১৩১ টাকা থেকে ছয় টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করা হয়েছে।

পুনর্নির্ধারিত বা সমন্বয়কৃত এই মূল্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর বলে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে এই সংক্রান্ত গ্যাজেটও প্রকাশিত হয়েছে।

উচ্চ মূল্যস্ফৃীতি নিয়ন্ত্রণে বিপিসি মুনাফা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার। ফলে সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহকরা কমমূল্যে বাজারে জ্বালানি তেল কিনতে পারবেন।




নতুন নাটক বিনির্মাণে কাজ করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দর্শনার অনিবার্ণ

দর্শনা অনিবার্ণ থিয়েটার দীর্ঘদিন পর নতুন নাটক বিনির্মাণে কাজ করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দর্শনা অনির্বাণ থিয়েটার।

গতকাল শুক্রবার সন্ধায় অনিবার্ণ থিয়েটারের নিবার্হী সদস্য আওয়াল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নাটকের কাজ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এছাড়া চলতি মাসে পযার্য়ক্রমে সংগঠন ওয়ার্শপ, নাটকের মহড়া ও নাট্য কর্মশালাসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিতে যাচ্ছে। এছাড়া দর্শনার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ গ্রহনকারীদের সাথে মতবিনিম সভা করার সিদ্ধান্ত নেয় হয়েছে। দেশে করোনাসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন বড় ধরণের অনুষ্ঠান পরিবেশনের প্রত্যয় নিয়েছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, অর্থ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম লিপু,সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মুকুল, সহ-সম্পাদক অনুষ্ঠান, সম্পাদক প্রকাশনা প্রচার সাজ্জাদ হোসেন, সাবির হোসেন (মিকা), আবুল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান (মনা),নিবার্হী মিলন, সদস পপি, পল্লী, পূবার্, পূজা, বর্ষন, ববি, ফাইম, রাজা, রিফাত, রিদয় প্রমুখ।




চুল দাড়ি কেটেও পালিয়ে রেহাই পাইনি অপরাধীরা–তনু

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের আরামডাঙ্গা পূর্বপাড়া যুব সাংগঠনিক ক্লাবের আয়োজনে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আরামডাঙ্গা পূর্বপাড়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় কার্পাসডাঙ্গা ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু তালেব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর তার দলের নেতারা অপরাধের জন্য চুল দাড়ি কেটে পালাতে গিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারেনি। অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি মানিকের অবস্থা আপনারা দেখেছেন। কলার পাতায় শুয়ে থেকেও পার পাননি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাসেম, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন,সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসুল আলম মেম্বর,সিনিয়র সহ-সভাপতি করম আলী মেম্বর,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জুলফিক্কার আলী ভুট্টো, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম টুটুল, দামুড়হুদা থানা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মতিন খসরু,২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক আতিয়ার মালিথা, সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি এ্যাড:আব্দুল্লাহ আল মামুন এরশাদ, সাবেক মেম্বর মুকুল মোল্লা, আবু ছাইদ মোড়ল, মোক্তার আলী, থানা যুবদল নেতা মাবুবুর রহমান জনি, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আবজালুর রহমান সবুজ।যুবদল নেতা দেলোয়ার, রুস্তম, কবির, আহসান, মমিন,ক্লাবের সভাপতি আল আমিন, বিপ্লব, আলামিন, ওসমান, ইয়াকুব প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো:আব্দুল কাদের।




দর্শনা-দামুড়হুদা মহাসড়কে ত্রিমুখী সংঘর্ষ নিহত ১

দর্শনা দামুড়হুদা মহাসড়কের কাঠাল তলায় মোটরসাইকেল ভ্যান মাইক্রোবাস ত্রিমুখী সংঘর্ষে আবু তাহের নামের একজন ভ্যান চালকের মর্মান্তিক মৃত্য হয়েছে।

জানাগেছে গতকাল শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে ভ্যানে করে যাত্রী নিয়ে জয়রামপুর কাঁঠালতলা নামক স্থানে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেলর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ভ্যান চালক আবু তাহের রাস্তায় ছিটকে পড়ে গেলে অন্য দিক থেকে আশা মাইক্রোবাস তার পায়ের উপরদিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মারাত্মকভাবে আহত হয়। আহত আবু তাহেরকে পথচারীরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে বিকাল ৩ টার দিকে তার মৃত্য হয়। নিহত আবু তাহের দর্শনা পৌরসভার পরানপুর গ্রামের কাউছার আলীর ছেলে।

বাদ মাগরিব পরানপুর স্কুলমাঠে আবু তাহের জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাপন সম্পূর্ণ হয়। আবু তাহেরের আকস্মিক মৃত্যুতে ঐ গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া।




গাংনীতে বোমা ও কাফনের কাপড় উদ্ধার

মেহেরপুরের গাংনী পৌর শহরের চৌগাছার একটি বাড়ির গেট থেকে একটি বোমা ও কাফনের কাপড় উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাত ১০ টায় চৌগাছা গ্রামের জহিরুল ইসলাম মিঠুর বাড়ির প্রধান ফটক থেকে বোমা ও কাফনের কাপড় উদ্ধার করা হয়। জহিরুল ইসলাম মিঠু চৌগাছা ৪ নং ওয়ার্ডের হাসান সরোয়ারের ছোট ছেলে ও গাংনী বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী।

জহিরুল ইসলাম মিঠু জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে প্রবেশ করার সময় একটি সবুজ কালারের ব্যাগ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে গাংনী থানার এস আই কামরুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ব্যাগের মধ্যে থেকে লাল টেপ দিয়ে মড়ানো একটি বোমা ও কাফনের কাপড় উদ্ধার করে।

তিনি আরো জানান, গত ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার রাতে তার বাড়িতে বোমা হামলা করা হয়। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার আতংঙ্কের মধ্যে রয়েছে। দ্রত সময়ের মধ্যে দৃস্কৃতিকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি করেন তিনি।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, বোমাটি উদ্ধার করে পানি ভর্তি বালতিতে রাখা হয়েছে। ভয়ভীতি দেখানোর জন্য কেউ এটা করতে পারে। তবে দৃস্কৃতিকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।