৭ মার্চ, ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত

জাতীয় শোক, শিশু ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চসহ আটটি দিবস বাতিল করছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত সেপ্টেম্বর মাসে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সরকার এসব জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত ৭ অক্টোবর তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদসচিব মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। শিগগিরই এসব দিবস বাতিল করে পরিপত্র জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাতিল হওয়া আটটি দিবসের মধ্যে পাঁচটিই শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত। এর মধ্যে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস।

এ ছাড়া বাতিলের তালিকায় রয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস, ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেসকো ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বৈশ্বিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে প্রদত্ত ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ সরকার। দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে।

এরপর কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ মার্চের একাধিক অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করা হয়। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর বা বিজয় দিবস থেকে তা কার্যকর হয়। ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংবিধান দিবস পালিত হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশের ইশতেহারকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস পালন করে শেখ হাসিনার সরকার।

পরের বছর দিবসটির নাম পরিবর্তন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস করা হয়। ২০২৩ সালে তা ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়।

সূত্র: কালের কণ্ঠ




কুষ্টিয়ার পদ্মায় তীব্র ভাঙন: হুমকির মুখে বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মহাসড়ক

কুষ্টিয়ায় পদ্মায় আবারও ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। জেলার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া মির্জানগর এলাকায় পদ্মার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনও তীব্র হচ্ছে। ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে বৈদ্যুতিক টাওয়ার, ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী জাতীয় মহাসড়ক।

সম্প্রতি পানির তোড়ে হঠাতই তলিয়ে যায় জাতীয় গ্রিডের ২ নাম্বার বৈদ্যুতিক টাওয়ার। পানির তোড়ে তলিয়ে যাচ্ছে একরের পর একর ফসলি জমি। স্থানীয় মাদরাসা ও বসতবাড়িও হুমকির মুখে পড়েছে। মাস দেড়েক আগে আরও একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ার তলিয়ে যায় পানির তোড়ে। অব্যাহত ভাঙনে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ওই এলাকার হাজারো মানুষ।

মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক ইসাহক জানান, ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কয়েক বিঘা জমি। বসতবাড়িই এখন সম্বল। যেভাবে ভাঙছে নদী তাতে শেষ সম্বল বসতবাড়ি যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যাবে।

একই এলাকার সুমনা খাতুন জানান, সহায় সম্বল বলতে বাড়িটুকুই। জমি জায়গা যা ছিল তা আগেই নদী কেড়ে নিয়েছে। বাড়িটুকু হারালে পরিবার নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো।

বহলবাড়িয়া জামিউল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ জুয়েল জানান, মাদরাসার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে পদ্মা নদী। যেভাবে ভাঙছে তাতে যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে মাদরাসাটি। এনিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান বিআইডব্লিউটিএ ও কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান জানান, পদ্মায় পানি কমার সঙ্গে ভাঙনও তীব্র হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব এলাকায় ভাঙন তীব্র হচ্ছে সেই এলাকায় ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে। তবে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পানি কমলেই কাজ শুরু করা হবে।

গত এক সপ্তাহে মিরপুর উপজেলার সাহেব নগর, মির্জানগর, তালবাড়িয়া এলাকায় প্রায় ১০০ একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।




সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এভারকেয়ার হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ এবং সাবেক মন্ত্রী ও মতিয়া চৌধুরীর মামা মোস্তফা জামাল হায়দার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন মতিয়া চৌধুরী।

তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী।

তিনি ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রুষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।

১৯৭১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন।

১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের ১নং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সূত্র: কালেরকণ্ঠ




মেহেরপুরে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ও সমাপনি

মেহেরপুরে ৫১তম জাতীয় স্কুল মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা গ্রীষ্ম কালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ উপলক্ষে দাবা, কাবাডি ও সাঁতারের উদ্বোধনী ও সমাপনি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (১৬ই অক্টোবর) সকাল ১০টার সময় জাতীয় স্কুল মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির উদ্যোগে মেহেরপুর জেলা স্টেডিয়ামে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্বাস উদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার নাসরিন সুলতানা, সরকারি কমিশনার আবির আনসারী, মেহেরপুর আদর্শ মাধ্যমিক শিক্ষাক পরিষদের সভাপতি জাব্বারুল ইসলাম মাস্টার, মেহেরপুর জেলা শিক্ষাক সমিতির সভাপতি ইসরাইল হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসের গবেষক কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান, জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক ওয়াসীম আকরাম, মেহেরপুর সদর উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার আনারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার হসনাইন করিম, মেহেরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালযয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক প্রমুখ।




আকিজ ফুডে চাকরির সুযোগ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগ জুনিয়র এক্সিকিউটিভ পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড পদের নাম : জুনিয়র এক্সিকিউটিভ বিভাগ : কোয়ালিটি কন্ট্রোল পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা : ফুড টেকনোলজি বা রসায়নে বিএসসি/এমএসসি অন্যান্য যোগ্যতা : পণ্যের গুণমান বজায়, উৎপাদন ত্রুটিতে দক্ষতা অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ২ থেকে ৩ বছর, তবে অভিজ্ঞতা না থাকলেও আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা।

চাকরির ধরন : চুক্তিভিত্তিক কর্মক্ষেত্র : অফিসে প্রার্থীর ধরন : শুধু পুরুষ বয়সসীমা : কমপক্ষে ২৫ বছর

কর্মস্থল : দেশের যে কোনো স্থানে বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা : প্রভিডেন্ট ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স, গ্র্যাচুইটি, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, বিশেষ ছুটি।

আবেদন করবেন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে  ক্লিক করুন

সূত্র: কালেবেলা




মেহেরপুরে সদর উপজেলা জামায়াতের কর্মীদের শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

“পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন” মেহেরপুর জামায়াত ইসলামী সদর উপজেলা শাখা কর্মীদের দিনব্যাপী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (১৬ই অক্টোবর) সকাল ৯টার সময় কলেজ পাড়া ট্রাস্ট মসজিদে এ কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর সদর উপজেলা জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি মোঃ সোহেল রানা সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর কুষ্টিয়া অঞ্চল টিম সদস্য আব্দুল মতিন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজ উদ্দিন খান, মেহেরপুর সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ জাব্বারুল ইসলাম (মাস্টার) , পৌর আমির সোহেল রানা ডলার।

এ ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন তারবিয়েত সেক্রেটারি মিয়ারুল ইসলাম, উপজেলা ইউনিট সদস্য হাবিবুর রহমান, উপজেলা বায়তুল মাল সম্পাদক মহাসিন আলী, শ্যামপুর ইউনিয়ন আমির মাওলানা মফিজুল ইসলাম, আমঝুপি ইউনিয়ন আমির আলমগীর হোসেন তানসেন।




নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিন আসর পর এশিয়ান দল ছাড়া সেমিফাইনাল

সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলমান নারী টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হয়েছে গতকাল। নিশ্চিত হয়ে গেছে সেমিফাইনালের টিকিট কাটা চার দল। তবে তাতে নাম নেই কোনো এশিয়ার দেশের।

যদিও গেল আসরের সেমিফাইনাল খেলা ভারতের এবারের আসরেও খেলার সম্ভাবনা ছিল কিন্তু তা হতে দেয়নি পাকিস্তান। এতে এই টুর্নামেন্টের তিন আসর পর কোনো এশিয়ান দল ছাড়াই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে শেষ চারের খেলা। আগামীকাল দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে এই আসরের প্রথম সেমিফাইনাল। আর শুক্রবার একই সময় শারজাহতে মাঠে গড়াবে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচ। টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী রবিবার।

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ তিন আসরেই ভারত খেলেছে সেমিফাইনাল পর্বে। এর মধ্যে ২০২২ সালে খেলেছে ফাইনালও। তবে চলমান আসরে তা সম্ভব হয়নি। গ্রুপ পর্ব থেকেই তাদের নিতে হলো বিদায়। তাতে গ্রুপ পর্ব থেকেই শেষ হলো এশিয়ার দলগুলোর যাত্রা।

সবশেষ ২০১৬ সালে দেখা গিয়েছিল এমন চিত্র। যদিও এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে ভারত ছাড়া আর কোনো দলই এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের কোনো আসরে সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। সবশেষ ৮ আসরের মধ্যে ভারত পাঁচ আসরেই খেলেছে সেমিফাইনাল। চলতি আসরের গ্রুপ পর্ব থেকে এশিয়ান দলগুলোর মধ্যে সবার আগে বিদায় নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা তারপর বাংলাদেশ। পাকিস্তানও ছিল বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে। তবে সবার থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল ভারত। গ্রুপ পর্বে নিজেদের চার ম্যাচের মধ্যে প্রথম তিনটির মধ্যেই দুটি জয় তুলে নেয় তারা একটি হারে। শেষ ম্যাচটি জিতলেই সেমির টিকিট নিশ্চিত হয়ে যেত।

এই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল টুর্নামেন্টের সফলতম দল অস্ট্রেলিয়া। তাদের বিপক্ষে জয়ের কাছে গিয়েও হারে ৯ রানে। এমন হারের পরও ভারতের ভাগ্য টিকে ছিল পাকিস্তানের ওপর। ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে সোমবার পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দিলেই ভারত পৌঁছে যেত। তবে তা হয়নি। হয়তো টিভির পর্দায় পাকিস্তানের হারের মধ্য দিয়েই নিজেদের বিদায় দেখেছেন হারমান- মান্ধানারা।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে লাগামহীন সবজি বাজার

সবজিভান্ডার খ্যাত মেহেরপুরের সবজি যায় সারা দেশে। অথচ, সেই জেলার সবজির বাজারে এখন আগুন। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি। সবজি বাজারে গিয়ে নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সবারই অবস্থা এখন নাজেহাল।

সপ্তাহের ব্যবধানে লাগামহীনভাবে দাম বাড়ার কারণে স্বস্তি ফিরছে না কিছুতেই। কাঁচাবাজার নিয়ে এমনটাই অভিযোগ ভোক্তাদের। বাজার মনিটরিং না থাকার কারনে সবজির বাজার অস্থির বলে মনে করছেন ক্রেতারা। বাজার মনিটরিং এর জোর দাবি জানান ভোক্তারা।

সাপ্তাহিক হাটের দিনে গতকাল মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে গাংনী সবজি বাজার ও গত সোমবার গাঁড়ডোব পুড়াপাড়া সাপ্তাহিক হাট, মেহেরপুর শহরের কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি গোল বেগুন ১২০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, মুলা ৭০, পটোল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, কচুর মুখী ৭০, টমেটো ১৬০, শিম ২০০ ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়, প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা। এদিকে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১০ টাকা, রসুন ২৪০ টাকা, কলা (ইরি) ৩০ টাকা, কাঁচ কলা ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, লতি (প্রতি আটি) ৮০ টাকা, কুমড়ার জালি (প্রতি পিচ) ৫০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০, ঝিঙা ৬০ টাকা, ওল ৮০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, মাটির নিচের আলু (হরিনপেয়ি) ২০০ টাকা, মাটির নিচের আলু (তিনপাতা) ৮০ টাকা, জলপাই ৬০ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকা, আদা ৩৪০ টাকা, করল্লা ৬০ টাকা।

এছাড়া লালশাকের আঁটি ২০ টাকা, প্রতি কেজি পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক (প্রতি আটি) ৩০ টাকা, মুলাশাক (প্রতি আটি) ৩০ টাকা, ডাটাশাক (প্রতি আটি) ৩০ টাকা, কলমিশাক (প্রতি আটি) ১০-১৫ টাকা ও পালংশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গাঁড়াডোব পুড়াপাড়া বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, টানা বৃষ্টির কারণে মাঠকে মাঠ সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে, গত ১৫ দিন যাবৎ সবজির এই দাম বৃদ্ধি হয়েছে। তবে, এখন থেকে কমতে শুরু কেেরছে।

মেহেরপুর শহরের বড় বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম ও জুলহাস হোসেন জানান, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সবজির দাম হঠাৎ করে ফড়িয়া আড়তদাররা বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই বাজারে সবজি বিক্রি কমে গেছে।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান।

আর বিক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।

গাংনী উপজেলার সবজি গ্রাম সাহারবাটির সবজি চাষি মহিবুল ইসলাম, কামাল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন চাষি জানান, এবার ১০ বিঘা, ৫ বিঘা ৩ বিঘা জমিতে কাঁচা মরিচ চাষ করেছেন। ঢাকা, চিটাগাং, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে এসে ট্রাক বোঝায় করে সাড়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা কেজি দরে জমি থেকে কাঁচা মরিচ পাইকারি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এবার কাঁচা মরিচ উৎপাদন করে লাভবান হয়েছেন এলাকার চাষিরা। কিন্তু বাজারে এর দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় কৃষকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া আড়তদারেরা।

মেহেরপুর বড় বাজারের আড়তদার আবুল বাশার খোকন বলেন, ‘মাঠ থেকে কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য সবজি বাইরের ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই মাঠের ঝাল বাজারে এসে আরও ঝাঁজালো হচ্ছে। সবজির চাহিদা থাকায় এবার কৃষক ও ব্যবসায়ী উভয়ই লাভবান হচ্ছেন।’

মেহেরপুর তহবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু হানিফ জানান, টানা অতিবৃষ্টির কারণে এবার জেলার বিস্তির্ণ সবজি ফসল নষ্ট হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানেও সাম্প্রতিক বন্যা অতিবৃষ্টির কারণে অন্যান্য ফসলসহ সবজি নষ্ট হয়েছে। ফলে আমাদের জেলার সবজির ওপর বাইরের চাপ বেড়েছে। বর্তমান বাজারে বাইরের ক্রেতাদের সংখ্যাও অনেক বেশি। তারা সরাসরি মাঠ থেকে সবজি কিনে ট্রাকে করে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন ৩৫-৪৫ ট্রাক সবজি সারা দেশে বিক্রির উদ্দেশ্যে চলে যায়। যে কারণে স্থানীয় বাজারেও সবজির দাম বেড়েছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, মেহেরপুর জেলা সবজিখ্যাত। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কৃষকরা সবজি চাষ করেছেন। সাম্প্রতিক টানা বর্ষণে সবজি খ্যাত কিছুটা নষ্ট হলেও উৎপাদন খুব একটা খারাপ হয়নি। এবার চাষিরা তাদের উৎপাদিত সবজি ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে বর্ষায় প্লাবিত হয়ে সবজি খেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মেহেরপুরের সবজির দাম ঢাকার সমান হয়ে গেছে। এবার সাড়ে ৪ হাজার ২৪১ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে এবং ফলনও খুব ভালো হয়েছে। তবে বাজার ব্যবস্থাপনার সুষ্ঠু বণ্টন করতে পারলে সবজিসহ সব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন, সবজি বাজার নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি সার্বিক) কে আহবায়ক করে টাস্কফোর্স গঠণ করা হয়েছে। যেখানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রয়েছে। বাজার মনিটারিং কমিটি বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছেন। আমরা আশা করছি দ্রুতই সব জিনিসের দাম সহনশীল পর্যায়ে পৌছাবে।




মেহেরপুরে ভোক্তার অভিযান, গ্যাসের দোকানে জরিমানা

খোলা বাজারে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ভাউচার না দেওয়ার অপরাধে মেহেরপুর শহরে ২ প্রতিষ্ঠান মালিকের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান অভিযান।

আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে শহরের কাঁসারি বাজার এবং বড়বাজার এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।

মেহেরপুর জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সরকারি পরিচালক সজল আহমেদ এই অভিযান পরিচালনা করেন।

তিনি জানান, শহরের কাঁসারি বাজার এলাকার সবুজ এবং বড়বাজার এলাকার আগরওয়ালার গ্যাসের দোকানে অভিযান চালানো হয়। এসময় বিক্রেতার কাছে গ্যাস বিক্রির ভাউচার না দেওয়ার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় সবুজের নিকট থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং আগরওয়ালার ৫ হাজার টাকা সহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া এসময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, সবজি, মাছ মাংসসহ বিভিন্ন দোকানে সতর্কতাসুলক লিফলেট বিতরণ ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের আইন মেনে সতর্কতার সাথে ব্যবসা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।




দর্শনার কেরুজে সুগারক‍্যান প্লান্টা মেশিনে আখ রোপনের শুভ উদ্বোধন

দর্শনা কেরুজ ডিহি ও আড়িয়া খামারে সুগারক‍্যান প্লান্টার মেশিনে আখ রোপনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।

এ সময় তিনি বলেন, এ সুগারক্যান প্লান্টার মেশিনে আখ লাগালে খরচ কমবে অন্যদিকে লেবার খরচ বাঁচবে। তাই আমরা আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করলে ফলন ও চিনির আহরন বাড়বে। তাই আমরা আগামীতে আরও প্লান্টার মেশিন নিয়ে আসা যায় কিনা সে চিন্তা ভাবনা করছি। আমরা পাবলিকদেরও সহযোগিতা করতে পারি কিনা সে দিকে আমাদের খেয়াল আছে।

অপরদিকে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মিলসগেট পশ্চিম সাবজোনের ২০নং ইউনিটের ঈশ্বরচন্দ্রপুরে সরাসরি ও পরীক্ষামূলক খামারে রোপা পদ্ধতিতে বেডে আখরোপনের শুভ উদ্বোধন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহাব‍্যবস্থাপক (কৃষি) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, ডিজিএম (সম্প্রাসারন মাহবুবুর রহমান ও সাবজোন প্রধান মোজতাহিদুল ইসলামসহ সিডিএ গাজী মিজানুর রহমান। পরে ব‍্যবস্থাপনা পরিচালক কেরুজ বায়োফার্টিলাইজার প্লাণ্ট পরিদর্শন করেন এবং আয় আয়-ব‍্য‍য়ের খোঁজ -খবর নেন পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের আয় বর্ধনের জন্য বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, আপনারা আখ চাষ করুন আগামীতে আখের মৃল্য আরও বৃদ্ধি করা হবে। আপনারা আখ লাগাবেন এবং সার্বিক সহিযোগিতা করবে কেরু এ্যান্ড কোম্পানি। এ মিল আপনাদের এ মিল টিকে থাকলে আপনাদের অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছলতা আসবে। আগামী অর্থ বছরে আখের মৃল্য টন প্রতি ৬ হাজার টাকা নির্ধারন করা হবে।

তিনি আরও বলেন ভাল বীজের আখ লাগাবেন আপনার লাভবান হবেন এবং পরিস্কার -পরিচ্ছন্ন আখ সরবাহ করবেন।অধিক চিনি আহরনের জন‍্য পরিস্কার -পরিচ্ছন্ন ও টপট্রাসমুক্ত আখ মিলে সরবরাহ করার আহব্বান জানান তিনি।