দর্শনায় মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্যবসায়ী গ্রেফতার

দামুড়হুদা উপজেলা পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের মানসিক প্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহম্মদ আলী (৫৬) নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাসহ আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে ওই গ্রামের একটি ঝালখেতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।গ্রেফতারকৃত আহম্মদ আলী(৫৬) পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের মদনা ইউনিয়নের মদনা দক্ষিণপাড়ার মৃত জুড়ান মন্ডলের ছেলে।

পুলিশ জানায়, দর্শনার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার এক শিশুকন্যা (১২) বাড়ির পাশে মাঠে যায়। এসময় ওই গ্রামের আহম্মদ আলী শিশুটিকে মাঠে একা পেয়ে একটি ঝাল খেতের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধায় জানাজানি হলে শিশুর পিতা বাদী হয়ে ঐদিন রাতেই আহম্মেদ আলী(৫৬) বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই আহম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ১২টার দিকে গ্রামের নস্কর দোহা বিলে পদ্মফুল (ঢেঁপ) তুলতে যায় মানসিক প্রতিবন্ধী এক শিশু। এসময় গ্রামের সার-কীটনাশক ও ডিজেল ব্যবসায়ী আহম্মদ আলী শিশুটিকে মাঠে একা পেয়ে ঝাল খেতের মধ্যে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সন্ধ্যার পর গ্রামে বিচার-সালিশের আয়োজন করা হয়। বিচার-সালিশে আহম্মদ আলী প্রভাব খাটিয়ে বিচারের রায়কে অমান্য করলে শুরু হয় হট্টগোল। এক পর্যায় হাতাহাতি শুরু হলে বিচারের রায় ভেস্তে যায়। পরে খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহম্মদ আলীকে গ্রেফতার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমীর বলেন, আসামিকে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ও ভুক্তভোগী শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে ।




দর্শনা কেরুজে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে হাফিজুলের দায়িত্বভার গ্রহণ

দর্শনা কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক হিসাবে হাফিজুর রহমান শপথ বাক্য পাঠ করে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে।

আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টায় কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যালয় এ শপথ বাক্য অনুষ্ঠান  অনুষ্টিত হয়।

শপথ বাক্য অনুষ্ঠানে কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত থেকে শপথ বাক্য পাঠ করান কেরু এন্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।

এ সময় তিনি বলেন, গঠন তন্ত্রের ১৯ এর ২৬ ধারা গ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে ১ নং সহ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাবেন। নীতিমালার নিয়মানুয়ায়ী হাফিজুল ইসলাম ১নং সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। শ্রমিক ইউনিয়নের নীতিমালা অনুযায়ী তাকে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হলো।

তিনি আরও বলেন সাধারণ সম্পাদক পদটি খুবুই গুরুত্বপূর্ণ সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এছাড়া কেরু এ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের সার্বিক উন্নয়নে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সকল পর্যায় সহযোগিতা করে যাবেন বলে আশা করছি।

এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মহাব্যাবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহা,মহাব্যাবস্থাপক অর্থ মোহাম্মদ আব্দুস ছাত্তার, মহাব্যাবস্থাপক কৃষি আশরাফুল আলম ভৃইয়া, ডিষ্টিলারী জি এম রাজিবুল হক, মহাব্যাবস্থাপক প্রশাসন ইউসুফ আলী।

এ শপথ বাক্য অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম বলেন, আপনারা আমাকে যে দায়িত্ব দিচ্ছেন আমি যেন সে দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে পারি। আমি যেন শ্রমিকদের পাশে থেকে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায় করেতে পারি। এছাড়া আমার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সহ ইউনিয়নের সকল পর্যায়ের শ্রমিক নেতাদের সাথে নিয়ে সকলে মিলে প্রশাসনের সাথে শ্রমিকদের অধিকার ও মিলের উন্নয়নে কাজ করে যেতে পারি আমার জন্য দোয়া করবেন
এ সময় তিনি আরও বলেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ আমার রাজনৈতিক গুরু তার পরিবারের কথা ও তার কথা আমি আজীবন মনে রাখবো।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সহ সভাপতি মফিজুল ইসলাম, রেজাউল হক, কোষাধ্যক্ষ আবু সাইদ, ইউনিয়নের সদস্য নুরুল ইসলাম, লোমান, হারিজুল ইসলাম, ডাবলু লোমানসহ ইউনিয়নের সকল বিভাগের সদস্য ও নেত্রীবৃন্দ ।

শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শ্রমিক ইউনিয়নের আশরাফুল হক।

উল্লেখ্য গত ১৭ অক্টোবর ৯ বারের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদের চাকুরী মেয়াদ শেষ হওয়ায় এ পদটি শৃন্য হয়ে যায়। শুন্য হওয়ায় পর সহ সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমানকে আজ শপথ শেষে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত করা হয়।




গাংনীর মড়কা জাগরণ কলেজে শতভাগ ফেল

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মড়কা জাগরণ কলেজ থেকে এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোন শিক্ষার্থীই পাস করেনি। এর আগেও এই কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অধিকাংসই পাস করতে পারেনি।

জানা যায়, মড়কা জাগরণ কলেজ থেকে এ বছর ৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কেউই পাস করতে পারেনি। এর আগে, ২০২২ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে ৭ জন অংশ নিয়ে ৩ জন, ২০২২ সালে ৬ জন পরীক্ষা দিয়ে ২ জন এবং ২০২১ সালে ১৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কেউই পাস করতে পারেনি।

কোন পরীক্ষার্থী পাস না করা এবং প্রতিবার এতো কম সংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানার জন্য কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সালামের মোবাইলে একাধিকবার কল করে তাকে কলেজের আসার অনুরোধ করা হলেও তিনি প্রথমে জানান গ্রামের বাড়ি জুগিরগোফাতে আছেন। পরে তার গ্রামে গিয়ে ফোন দিলে তিনি জানান এইমাত্র মেহেরপুর শহরে এসেছেন।

তবে, তিনি আমার কলেজের একাদশ শ্রেনীতে ৫২ জন ও দ্বাদশ শ্রেনীতে ৬২ জন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি রয়েছেন। নিয়মিত ক্লাশ করানো হয়। এতো ছাত্র ছাত্রী অধ্যায়নরত থাকলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ৫ জন, ৭ জন, ৬ কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, কলেজের ভর্তি হলেও শেষ অবধি লেখাপড়া ছেড়ে চলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

গত বৃহস্পতিবার বিকালে কলেজে গিয়ে দেখা গেছে, কলেজটি বন্ধ। কলেজের বিল্ডীং আঙিনায় ময়লার স্তুপ। কক্ষগুলো বহুদিন না খোলার কারণে শ্রেনীকক্ষে ময়লা জমে রয়েছে।

এলাকার কিছু যুবক কলেজ মাঠটিতে ফুটবল খেলা করছেন। তাদের সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই যুবকরা জানান, কলেজটি শুরুর দিকে প্রচুর শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে কলেজটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীরাও নেই কলেজও খোলা থাকেনা। কয়েকজন শিক্ষক মাঝে মধ্যে এসে কলেজ খুলে কিছু সময় কাটিয়ে চলে যান।

জানা গেছে, ২০০১ সালে মড়কা জাগরণ কলেজটি স্থাপিত হয়। কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন রোকনুজ্জামান টিপু। শুরুর দিকে কলেজটি জাঁকজমকভাবে শুরু হয়। প্রচুর পরিমাণ ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হয়। কয়েক বছর যেতে না যেতেই শুরু হয় একটি মহলের ষড়যন্ত্র। কলেজের অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান টিপু ছাত্র শিবিরের রাজনীতি করার কারণে তাকে ষড়যন্ত্র করে বের করে দেন। তারপর থেকেই কলেজের অবস্থা লেজে গোবরে হয়ে পড়ে। এখানে কোনো ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হয়না। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে এখানে ক্লাসও হয়না। এখানে কিছু ছাত্র ছাত্রী ভর্তি দেখানো হয়ে থাকে। তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা অধিকাংশই ব্যবসা বা মাঠে ঘাটে কাজ ও গৃহণী। যে কারণে, এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পাওয়া যায়না।

বিষয়টি নিয়ে গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারকের সাথে কথা হলে তিনি প্রথমেই বলেন এধরণের অবস্থা চলতে থাকলে কলেজটি অল্পদিনেই বন্ধ হয়ে যাবে। এমপিওভূক্ত হওয়ার তো প্রশ্নই আসেনা।

তিনি বলেন, কলেজ এমপিওভূক্ত হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। পৌরসভা এলাকার বাইরে কোনো কলেজকে এমপিওভূক্ত করতে হলে কমপক্ষে ৩০ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে কমপক্ষে ২৫ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ পাশ করতে হবে। এমনিভাবে পৌরসভা এলাকার বাইরে কোনো কলেজের এমপিওভূক্তকরণের জন্য ৪০ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সেখানে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে ৩৫ জন। পাশের হার ৭০ শতাংশ থাকতে হবে। অথচ, মড়কা জাগরণ কলেজে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলেজটি থেকে এযাবৎ পর্যন্ত শিক্ষা বোর্ডের এই শর্ত পুরণ করতে পারেনি। তারপরেও কলেজটি চলছে কিভাবে সেটা খুঁজে বের করতে হবে।

এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, যশোর বোর্ডের আওতায় এইএসসি পরীক্ষার ফলাফলে গাংনী উপজেলার কলেজগুলোর ফলাফলের অবস্থা সর্বনিম্ন পর্যায়ে আছে। যেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমি এসএসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে পর্যায়ক্রমে বসেছি। আগামি সপ্তাহ থেকে কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের ডাকা হবে। ফলাফল বিপর্যের কারণগুলো খুঁজে বের করা হবে। আসলে এতো খারাপ ফলাফলের জন্য আমরা কেউ দায় এড়াতে পারিনি।

এদিকে সম্প্রতি এইচএসসির প্রকাশিত ফলাফলগুলোতে দেখা গেছে একমাত্র গাংনী সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিবারের মত তাদের সাফল্য এবারও ধরে রেখেছে। কলেজটি থেকে ৯১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। পাশ করেছে ৮৮ জন। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে ৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ জন শিক্ষার্থী। কলেজটির পাশের শতকরা হার ৮৮.৮৮ শতাংশ। গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে পরীক্ষায় নিয়েছিল ৪২৬ জন শিক্ষার্থী। এখানে মোট পাশ করেছে ১৯৬ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ২৩০ জন শিক্ষার্থী। এখানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ জন। পাশের শতকরা হার ৪৬.০৩ শতাংশ। গাংনী মহিলা ডিগ্রী থেকে ২৬৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১২৩ জন। জিপিএ৫ পেয়েছে ৮ জন। কলেজটি থেকে অকৃতকার্য হয়েছে ১৪৬ জন। এখানে শতকরা ৪৫.৭২ শতাংশ পাশ করেছে। করদি ডিগ্রী কলেজ থেকে ১৫০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৫৪ জন। কলেজটির ফলাফল শতকরা হার ৩৬.০০ শতাংশ। কাজিপুর ডিগ্রী কলেজ থেকে ২১৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৬৮ জন। কলেজের ফলাফল ৩১.১১ শতাংশ।তেরাইল জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে ৮২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে মাত্র ২৪ জন। কলেজটি থেকে অকৃতকার্য হয়েছে ৫৮ জন শিক্ষার্থী। এখানে ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। কলেজটির ফলাফল ২৯.৬২ শতাংশ। বিএন কলেজ থেকে ২৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে মাত্র ৫ জন। কলেজ থেকে অকৃতকার্যের সংখ্যা ২১ জন। পাশের মথকরা হার মাত্র ১৯.২৩ শতাংশ। গাংনী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৬৮ জন। এখানে অকৃতক্র্য হয়েছে ১৩৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। পাশের শতকরা হার ৩৩.১৭ শতাংশ। বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১৬০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৬১ জন। এখানে অকৃকার্য হয়েছে ৯৯ জন। এখানে পাশের শতকরা হার ৩৮.১২ শতাংশ। কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় ৩৮ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২১ জন। এখানে অকৃতকার্য হয়েছে ১৭ জন। এখানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। পাশের শতকরা হার ৫৫.২৬ । বিএম শাখায় গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে ৮৭ জন অংশ নিয়ে ৭৮ জন পাশ করেছে। এখানে ফেল করেছে ৯ জন। পাশের শতকরা হার ৮৯.৬৫ শতাংশ। তেরাইল-জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে ৬৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৭ জন শিক্ষার্থী। কলেজের শতকরা পাশের হার ২৪.৬৩ শতাংশ। গাংনী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১১৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১০০ জন। এখানে অকৃতকার্য হয়েছে ১৪ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন শিক্ষার্থী। পাশের শতকরা হার ৮৮.১৭ শতাংশ। গাংনী টেকনিকেল এন্ড বিএম কলেজ থেকে পরীক্ষায় ৪৩ জন অংশ নিয়ে ৩২ জন পাশ করেছে। ফেল করেছে ১১ জন। পাশের শতকরা হার ৭৪.৪১ শতাংশ। ধানখোলা টেকনিকেল এন্ড বিএম কলেজ থেকে ৩৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২৯ জন। কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১ জন ও অকৃতকার্য হয়েছে ৯ জন শিক্ষার্থী। এখানে পাশের শতকরা হার ৭৬.৩১ শতাংশ। হাড়াভাঙ্গা ডিএইচ ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ২৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২০ জন। এখানে ৯ অকৃতকার্য হয়েছে। পাশের শতকরা হার ৬৮.৯৬ শতাংশ।

এদিকে গাংনী সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে ২৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২৩ জন। এখানে অকৃতকার্য হয়েছে মাত্র ১ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ৫ পেয়েছে ১ জন। পাশের শতকরা হার ৯৫.৮৫ । হাড়াভাঙ্গা ডিএইচ ফাজিল মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষায় ১৬ জন অংশ নিয়ে ১৫ জন পাশ করেছে। এখানেও ফেল করেছে মাত্র ১ জন শিক্ষার্থী। পাশের শতকরা হার ৯৩.৭৫ জন। মানিকদিয়া ১১ পাড়া আলীম মাদ্রাসা থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৫ জন। এখানে অকৃতকার্য হয়েছে ৩ শিক্ষার্থী। পাশের শতকরা হার ৮৩.৩৩ শতাংশ।




আর্টসেলে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্র

দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেল। তাদের পথচলার ২৫ বছর অর্থাৎ রজতজয়ন্তী উদযাপনে এরই মধ্যে মার্কিন মুল্লুকে পাড়ি জমিয়েছে দলটি। সেখানের ডেনভার শহরে আজ ১৯ অক্টোবর কনসার্ট করবে তারা।

আর্টসেলের যুক্তরাষ্ট্র সফর শুরু হয় ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের পারডু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সেখানে তারা ৭ সেপ্টেম্বর প্রথম কনসার্ট করে। এরপর তারা ভার্জিনিয়াতে ২২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় কনসার্ট করে। লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ২৭ সেপ্টেম্বর তাদের তৃতীয় কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৫ অক্টোবর ডালাস ও হিউস্টনে ১১ অক্টোবর কনসার্ট করে দলটি। এরপর ১৪ অক্টোবর ফিলাডেলফিয়াতে, এবার ডেনভার শহর মাতাবে লিংকন-ফয়সালরা।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজেদের কনসার্ট নিয়ে কালবেলাকে ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট ফয়সাল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আমরা এরই মধ্যে সাতটি কনসার্ট করেছি। শ্রোতাদের কাছ থেকে এখানে আমরা অভাবনীয় ভালোবাসা পাচ্ছি। প্রতিটি শো শ্রোতাদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে যাচ্ছে। এমন একটি অভিজ্ঞতা আমাদের সত্যিই মুগ্ধ করছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে এর আগে আমরা কখনো কনসার্ট করিনি। প্রথমবার এসে এমন ভালোবাসা পাব তা সত্যিই কল্পনা করিনি। সুযোগ হলেই তাই এখানে আমরা আসতে চাই। কারণ আয়োজকদের শৃঙ্খলা ও ব্যান্ডের প্রতি ভক্তদের ভালোবাসা আমাদের ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করেছে এবং মধুর কিছু স্মৃতি উপহার দিয়েছে।’

এ সময় ফয়সাল আরও জানান, ২৩ অক্টোবর আর্টসেলের ভার্জিনিয়াতে শ্রোতাদের অনুরোধে আরও একটি কনসার্ট করবে। এ ছাড়া ২৬ অক্টোবর নিউইয়র্ক কনসার্টের মধ্য দিয়ে শেষ হবে যুক্তরাষ্ট্র সফর। এরপর ২৯ অক্টোবর তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

এ সফরে নয়টি কনসার্ট করবে আর্টসেল। যার মধ্যে সাতটি শহরে কনসার্ট সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আছে ভার্জিনিয়া ও নিউইয়র্ক কনসার্ট। যেসব শহরে আর্টসেল কনসার্ট করেছে-ইন্ডিয়ানা, ভার্জিনিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস, ডালাস, হিউস্টন, ফিলাডেলফিয়া ও ডেনভার।

এর আগে আর্টসেল তাদের ২৫ বছর পালনে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় ট্যুর করেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্র মাতাচ্ছে দলটি। এ ছাড়া রজতজয়ন্তী উদযাপনে দেশেও বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

ব্যান্ড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ এই যাত্রায় ভক্তদের অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছে আর্টসেল। ১৯৯৯ সালে লিঙ্কন, সাজু, সেজান ও এরশাদের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় আর্টসেলের। তাদের শ্রোতাপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে-‘অনিকেত প্রান্তর’, ‘ধূসর সময়’, ‘দুঃখ বিলাস’, ‘পথচলা’ ইত্যাদি। গত বছর প্রকাশিত হয়েছে আর্টসেলের তৃতীয় অ্যালবাম ‘অতৃতীয়’।

আর্টসেল ব্যান্ডের বর্তমান লাইনআপ জর্জ লিংকন ডি কস্টা, কাজী আশেকিন সাজু, সায়েফ আল নাজি সেজান, ফয়সাল ও ইকবাল আসিফ জুয়েল।

সূত্র: কালবেলা




ঝিনাইদহে ইমাম-খতিবদের দ্বায়িত্ব-কর্তব্য শীর্ষক সেমিনার

বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইমাম ও খতিবদের দ্বায়িত্ব-কর্তব্য শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে শহরের কুটুম কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ইমাম পরিষদের আয়োজনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ।

প্রধান আলোচক ছিলেন লেখক, অনুবাদক ও গবেষক ড. মাও. শহিদুল ইসলাম ফারুকী। আলোচক ছিলেন, ঝিনাইদহ জামিয়াতুস সুন্নাহ’র উচ্চতর দাওয়াহ ও তুলনামুলক ধর্মবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মুশাহিদ আলী চমকপুরী, জেলার ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ প্রমুখ।

সেমিনারে বক্তারা, ইসলামের নৈতিকতা এবং সামাজিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ইমামরা বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে মনে করেন। সেই সাথে সমাজে সহিংসতা, চরমপন্থা এবং ধর্মীয় বিদ্বেষের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মানুষকে ইসলামের শান্তির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়াও বর্তমান সময়ে সামাজিক সমস্যা যেমন মাদকাসক্তি, নারী ও শিশু নির্যাতন, এবং সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় ইমামদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পরামর্শ দিয়ে বলেন, জুমার খুতবা ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।




তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরির সুযোগ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। রাজস্ব খাতে ৭টি পদে ১০ জনকে নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত।

প্রতিষ্ঠানের নাম : বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)

আবেদন শুরুর তারিখ : ১৪ অক্টোবর ২০২৪

পদসংখ্যা : ৭টি

জনবল নিয়োগ : ১০ জন

বয়সসীমা: ১৮ থেকে ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

আবেদনের শেষ সময় : ১৪ নভেম্বর ২০২৪

পদের নাম : অ্যাসোসিয়েট (আইন উপদেষ্টা)

পদসংখ্যা : ০১টি

বেতন : ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: আইন বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সনদপ্রাপ্ত।

পদের নাম : লিয়াজোঁ অফিসার (আইটিইই)

পদসংখ্যা: ০১টি

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি অথবা দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।

পদের নাম : সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ০১টি

বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি

পদের নাম : সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ০১টি

বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি

পদের নাম : ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা: ০১টি

বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি

পদের নাম : গাড়িচালক

পদসংখ্যা: ০১টি

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। হালকা বা ভারী গাড়ি চালনার বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ হালকা বা ভারী গাড়ি চালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

পদের নাম : অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা: ০৪টি

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

আবেদন ফি : পরীক্ষার ফি ১ ও ২নং পদের জন্য ৬১২ টাকা, ৩ থেকে ৬নং পদের জন্য ২১২ টাকা এবং ৭নং পদের জন্য ১১২ টাকা রকেট/বিকাশ/নগদের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

সূত্র: কালবেলা




সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ীর পুরস্কার পেলেন মেসি

একটা সময় নিন্দুকেরা বলছেন, নিজের জন্য এবং ক্লাবের জন্য খেলেন মেসি। জাতীয় দলের জন্য না, তার মধ্যে নেই দেশপ্রেম। তবে জাতীয় দলে হয়েও সবকিছু অর্জন করার পর সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে যখন ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়ছিলেন মেসি।

তখন তার চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়েছিল বেদনার অশ্রু। একটা ট্রফির জন্য কিংবদন্তির এমন কান্না দেখে কোটি ফুটবল ভক্তদের হৃদয় কেঁদেছে। আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ককে সময়ের সেরা খেলোয়াড় তো বটেই, অনেকে এলএম-টেন মানেন সর্বকালের সেরা ফুটবলার।

এবার এই তালিকায় যোগ দিয়েছে স্প্যানিশ জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম মার্কা। তার হাতে তুলে দিয়েছে সর্বকালের সেরা ও সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী ফুটবলারের পুরস্কার জিতলেন এই কিংবদন্তি। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের একটা সময় স্প্যানিশদের তল্লাটে কাটিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি।

এক যুগের বেশি সময় ধরে খেলেছেন স্প্যানিশ জায়েন্ট ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে। ক্লাবটিকে চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ১০টি লা লিগায় শিরোপাসহ জিতেছেন মোট ৩৪টি শিরোপা। এছাড়াও পুরো ক্যারিয়ারে ৪৬টি ব্যক্তিগত ও ৫৬টি দলগত শিরোপা জিতেছেন এই কিংবদন্তি। এবার ক্যারিয়ারে গোধূলীলগ্নে এসে স্প্যানিশ জনপ্রিয় দৈনিক মার্কা কর্তৃক সর্বকালের সেরা ও সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন সর্বোচ্চ আট বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলার।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে শিক্ষক-কর্মচারী ক্রেডিট ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১৯ আক্টোবর) সকালে শহরের কুটুম কমিউনিটি সেন্টারে দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লিমিটেড (কাল্ব)’র সহোযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটির ১৩ তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সদর উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী খুরশিদ মোহাম্মদ সালেহ’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. কামাল আজাদ পান্নু, জেলা সমবায় অফিসার মোঃ জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) জেলা শাখার সভাপতি মহিউদ্দীন, আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জি এম রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলা সমবায় অফিসার শামিমা নাছরিন ও সদর উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কৃপা সিন্ধু বিশ্বাস প্রমূখ।

সভায় সমিতির বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব সদস্যদের মাঝে তুলে ধরে এর লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া সমিতির সদস্যবৃদ্ধি,ঋণ ও সঞ্চয়ের পরিমান বৃদ্ধি করে শিক্ষকদের জীবন মানোন্নয়ন নিয়ে বক্তারা আলোচনা করেন।




গাংনীর কাথুলীতে ২ কেজি গাঁজাসহ একজন আটক

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী বাজারে অভিযান চালিয়ে ২ কেজি গাঁজাসহ লিখন আলী নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটকক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন। আটক লিখন আলী কাথুলী গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম উপজেলার কাথূলী বাজারস্থ মোঃ খেজমত আলীর মিষ্টির দোকানের সামনে অভিযান চালায়। এসময় দোকানের সামনে পাকা রাস্তা থেকে ২ কোজি গাঁজাসহ লিখন আটক করে গাংনী থানায় নেওয়া হয়।  এঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদ্রক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে।শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।




দর্শনায় বিএনপি করা মামলার আসামী সাঈদ ড্রাইভারসহ ৫ জন গ্রেফতার

দর্শনা থানাধীন এলাকা থেকে আজ বিকাল ৩টার দিকে কেরুজ মিলের সাঈদ ড্রাইভার ওরয়ে মোটা সাঈদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

দর্শনা ইসলাম বাজার ভাড়া বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। সাঈদ হোসেন ড্রাইভার চন্ডিপুর গ্রামের মৃত লোকমান সদ্দার্র এর ছেলে।

দর্শনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ শহীদ তীতুমির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে মোটা সাঈদসহ বিভিন্ন মামলায় ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করেন। বিএনপি কর্মী রবিউল ইসলাম হেবার করা ডাকাতি ও বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচুরের মামলায় সাঈদ ড্রাইভারকে গ্রেফতার করেন পুলিশ।

এ সাঈদ গত ৪ আগষ্ট দর্শনা বাসস্ট্যান্ড ৪ রাস্তার মোড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র/ছাত্রীদের মিছিলে উপর মান্নান ও তোতার নেত্রীত্বে লাটি সোটা ও বোমা হামলা করে। সে কেরু মিল এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামীলীগের হয়ে দীর্ঘদিন ব্যাপক দাপট দেখিয়েছে আসছিল।

এছাড়া গত পরশু দর্শনা থানাধীন এলাকা থেকে বিভিন্ন মামলার আসামী বিশেষ করে গহেরপুর মাঝিপাড়ার অমরেশ মাঝির ছেলে জিআর নং-২৬২/২৪ মামলার আসামী শ্রী অরবিন্দ (৩৫), একই গ্রামের শ্রী রতন মাঝির ছেলে গউর কুমার (২৩), ভেমরা থানার বামেন গ্রাম বর্তমান ঠিকানা দোস্ত গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সিআর-৫৬৮/২৪ মামলার আসামী নাসির উদ্দিন (৪৩) ও হিজলগাড়ী বাজার পাড়ার মৃত আক্কাস আলীর ছেলে পলাশ (৩৮) ১২৬/২৩ নং সাজা প্রাপ্ত আসামীদের গ্রেফতার করেন বলে পুলিশ জানায়।