মেহেরপুরের আমদহ ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে “শিশু বরণ অনুষ্ঠিত”

প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন, সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত ও ঝরেপড়া রোধকল্পে শিশুদের বিদ্যালয়ে আনন্দমুখর ও অনিয়মিত দূর করতে মেহেরপুর সদর উপজলার বামনপাড়া,বন্দর ও চকশ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয় ভর্তিকৃত নবাগত ছাত্র ছাত্রীদর নিয়ে শিশু বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

গণসাক্ষরতা অভিযান এর সহযাগীতায় মানব উনয়ন কেন্দ্র (মউক) ও কমিউনিটি এডুকশন ওয়াচ গ্রুপ এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক, জন প্রতিনিধি, এস এম সি সদস্য ও এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপ এর সদস্য সহ অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলন।

সভায় অভিভাবকদের দায়-দায়িত্ব ও করনীয় সম্পর্কে বিশদ আলোচনা রাখে প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজল রেখা।
অনুষ্ঠানে নবীন শিশুদের ফুল দিয়ে বরন করে নেওয়া হয় এবং প্রত্যেক শিশুর হাতে বিশেষ উপহার দেওয়া হয়।




চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে দিন মজুরের মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা মদনা গ্রামে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে বশির আলী (৫০)নামের এক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।নিহত বশির আলী একই গ্রামের দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের আফসার আলীর ছেলে।

ঘটনার বিবরনে জানাগেছে,  আজ শুক্রবার ২২ মার্চ সকাল ১০ টার দিকে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের মদনা উত্তর পাড়ার মৃত্য ইলার উদ্দীনের বাড়ি ভুট্রা শুকানোর কাজে যায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শামসুল হক জানান, আজ শুক্রবার সকালে গ্রামের একজনের বাড়ির ছাদে ভুট্টা শুকাতে দিয়েছিলেন তিনি। ভুট্টা নেড়েচেড়ে দেয়ার সময় অসাবধানতাবশত বাড়ির ছাদের পাশেই বিদ্যুতের তারের সাথে স্পৃষ্ট হয়ে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নেয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া মা আরিজ বলেন, ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। ধারণা করছি, হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে।’

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে। তার অকাল মৃত্যুতে ঐ এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের মাতম।




দামুড়হুদায় বাজার তদারকি ও মোবাইল কোর্টে ৩ প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজার তদারকি ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৩ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকসানা মিতা।

মোবাইল কোর্ট সুত্রে জানাগেছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখার অপরাধে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারায় মোস্তাফিজুর রহমানকে ৫ হাজার টাকা, এছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন এর ৫২ ধারায় ইব্রাহিম খলিলকে ২ হাজার টাকা এবং এছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় আশরাফুলকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে মোবাইল কোর্ট।

এছাড়া কার্পাসডাঙ্গা বাজার তদারকি করে উপজেলা প্রশাসন। মোবাইল কোর্টের নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকসানা মিতা। সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিলিমা আক্তার হ্যাপী, মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির একটি টিম।




দর্শনায় বিজিবি-বিএস এফের পতাকা বৈঠক, আপন ঠিকানায় ভারতীয় মা ও ছেলে

মােবাইল ফােনে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সন্দীপের এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করেছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিন চব্বিশ পরগনাের বাসিন্দা প্রাণ কৃষ্ণ দাস। এরপর সেই মেয়েকে বিয়ে করতে সে তার মা কাজলী দাসকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধভাবে যশাের বেনাপােল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসে। বিয়ে শেষে ফেরার সময় বাঁধে বিপত্তি।

ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে তাদের পুলিশ সােপর্দ করে। তারপর তাদের ঠাঁই হয় ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে। এরপর সাজা শেষে আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ইমিগ্রশন চেকপােস্টর শুন্য রেখায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ভারতে ফেরত পাঠায়।

দর্শনা ইমিগ্রশন চেকপােস্ট ইনচার্জ এসআই আতিকুর রহমান জানান, ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টম্বর দালাল চক্রের মাধ্যমে যশােরের পুটখালী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। এরপর চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপ গিয়ে ছেলের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করায়। বউকে বাংলাদেশে রেখ বিয়ের ১৫ দিন পর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টােবর দালালের মাধ্যমে দেশে ফেরার সময় বিজিবির টহল দলের সদস্যরা তাদের আটক করে পুলিশ দেয়। মহশপুর থানা পুলিশ তাদের আদালতে সােপর্দ করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানাের আদেশ দেন। ভারতের দক্ষিণ-চব্বিশ পরগোনা জেলার ফুলতলী থানার মথুরানগর কলােনী লম্রপাড়া প্লটের বাসিন্দা প্রাণ কৃষ্ণ দাস পেশায় একজন মৎসজীবি। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায় আরা ১দিন সাজা হয় তাদের। এরপর কারাগারে ছিল ৪ মাস ২১ দিন। কারাভােগ শেষ চেকপাস্ট দিয়ে আনুষ্ঠানিভাব হস্তান্তর করা হয় মা ও ছেলেকে।

এ সময় ভারতীয় বিএস এফের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন,ভারতীয় গেদে কোম্পানি কমান্ডার ভিতা সিং ইচ,
ভারতীয় ইমিগ্রেশন ইন্সপেক্টর এস কে বোস কাষ্টমস সুপার সুব্রত মন্ডল,কৃষ্ণগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর শামসুর রহমান, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ডি আই বি এ এস আই সাধন মন্ডল।

বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা আইসিপি ইনচার্জ সুবেদার মন মোহন, দর্শনা চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আতিকুর রহমান, দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই টিপু সুলতান, ডি এস বি এ এস আই মাসুদ রানা, এ এস আই আব্দুল মোমিন দু’দেশের বিজিবি-বিএসএফ এবং ইমিগ্রশনের আরও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিন নার্সের বিরুদ্ধে দায়িত্ব ও কর্তব্য অবহেলার অভিযোগ

আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিন সিনিয়র স্টাফ নার্সের বিরুদ্ধে দায়িত্ব ও কর্তব্য অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। ডাইরিয়া রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে হয়রানীর অভিযোগও তুলেছে ভুক্তভোগী সামসুন নাহারের স্বামী শফিকুল ইসলাম।

অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলা হারদি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসিমা বেগম , সেলিনা খাতুন ও শারমিন আরা।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সামসুন নাহার। তিনি গত ১৯শে মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে তার স্ত্রী সামসুন নাহার ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হারদি হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিন জরুরী বিভাগে দায়িত্বপালন করেন চিকিৎসক ডাঃ পার্থ কুমার পাল। তিনি রোগের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এবং চিকিৎসা সেবা দেবার জন্য ডাইরিয়া ওয়ার্ডে পাঠান। তারা প্রথমে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় দায়িত্বরত স্টাফ নার্সের কাউন্টারে গেলে তারা ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সামসুন নাহারকে নিয়ে গেলে নার্স সেলিনা খাতুন আবারো কাউন্টারে ফেরৎ দেয়। এভাবে এ ভবন থেকে অন্য ভবনে দৌড়াদৌড়ির শিকার হয়। ততক্ষণ চিকিৎসকের চিকিৎসা পত্রের কোন চিকিৎসা দেননি। ওই রোগীর শারীর অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় চিকিৎসা না নিয়ে শফিকুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে দ্রুত স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন এবং চিকিৎসা দেন। শফিকুল ইসলাম দাবি করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি রোগীদের নার্সের তামাশা খুবই দুঃখজনক। এমন হয়রানীর শিকার যেনো পরবর্তীতে অন্য কোন রোগী যেনো না হয় সেকারনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেবার দাবি জানান।

হারদি হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স (ইনচার্জ) জানান, কাউন্টারে তিন-চার জন রোগী ভর্তির জন্য তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছিল। ওই রোগীকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তবে কি কারণে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছে তার জানা নেই।




আলমডাঙ্গা উপজেলা ব্যাপি মাদকের ছড়াছড়ি- ইউপি চেয়ারম্যান

আলমডাঙ্গা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় উপজেলা ব্যাপী মাদকের ব্যাপক ছড়াছড়িতে চেয়ারম্যানরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাসের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত থাকার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আজকের সভায় ১৫ ইউপি চেয়ারম্যানসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মাসিক এই সভায় আলমডাঙ্গা উপজেলার গ্রামে গ্রামে ভয়াবহ আকারে মাদকের কারবার বিক্রেতা ও ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ। তাদের এলাকার মাদকের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন।

এছাড়াও চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোজাহিদুর রহমান লোটাস জোয়ার্দ্দার বলেন, যদি এধরনের পরিস্থিতি চলতে থাকে ঈদের পরে এলাকার সচেতন মানুষ নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলবো। তার এই বক্তব্যকে সহমত প্রশন করেছেন উপস্থিত সকল চেয়ারম্যানবৃন্দ।

মাদক নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানদের অভিযোগ, সম্প্রতি আলমডাঙ্গা উপজেলা জুড়ে মাদক বিক্রেতা ও ক্রেতাদের অভায়রণ্যে পরিণত হয়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলে প্রকাশ্যে ও গোপনে রমরমা মাদক বেচাকেনা চলছে। তারা পুলিশ প্রশাসনের নিরবতাকে দায়ি করেন। একারণে উপজেলা জুড়ে চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ উপজেলায় প্রায় ১০ টি ফাঁড়িপুলিশের ক্যাম্প রয়েছে। তাদের ক্যাম্প এলাকার মধ্যে মাদক সেবীর আনাগোনা চললেও আইন প্রয়োগের কোন নেই উদ্যোগ। তাদের প্রশাসনিক আমলে না নেওয়ার জন্য মাদক ক্রেতা-বিক্রেতা সোচ্চার হয়ে উঠেছে।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন,উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডাক্তার শারমিন আক্তার,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, পৌরসভার প্যানেল মেয়র খন্দকার মজিবুল হক, থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ,প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল্লাহিল কাফি।তাছাড়া অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত, সমাজ সেবা অফিসার নাজমুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক,তথ্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান, এনামুল হক,আশিকুর রহমান অল্টু, আসাদুল হক মিকা, তাপসির আহমেদ লাল, মিনাজ উদ্দিন, তরিকুল ইসলাম, মুজাহিদুর রহমান লোটাস, মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, এজাজ ইমতিয়াজ, হাসানুজ্জামান সারোয়ার,অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আশুরা খাতুন, সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান, মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

এছাড়া সভায় আলমডাঙ্গা পৌর শহরে ঈদ বাজারের যানজট, ফুটপাত দখল, ভ্রাম্যমাণ আদালত, বিদ্যুৎ সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।




আলমডাঙ্গায় বিস্কুট কেনার অজুহাতে ইজিবাইক চুরি

ঝিনাইদহ হরিশপুর গ্রামের যুবক ইমরান হোসেন (২৫)। সে অভাবের সংসারে ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত চার মাস আগে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে তিনি ভাড়ায় ইজিবাইক নেয়।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে আলমডাঙ্গা পৌর শহরের হলুদ পট্টি এলাকা থেকে কৌশলে ইজিবাইক চুরি করে নেয় চোরচক্রের সদস্যরা। এতে হতাশাগ্রস্থ হয়ে ইজিবাইক খুঁজতে থাকে শহর জুড়ে। পরে থানা পুলিশের সহযোগীতা নিয়েও খুঁজে পাননি তার ভাড়ায় চালিত ইজিবাইক।

ইমরানের পিতা ইউনুস আলীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত চার আগে হরিণাকুন্ডু উপজেলা শহরে ব্যাটারি চালিত ভ্যান চালিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন। ইমরানের চার ও তিন বছরের দুটি মেয়ে এবং সদ্য ভূমিষ্ঠ ছেলে সন্তান থাকায় পরিবারের আর্থিক চাপে পড়েন। তারই কারণে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে একটি ইজিবাইক ভাড়ায় নেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে নিয়ে হরিণাকুন্ডু বাজার হতে আলমডাঙ্গা শহরের আসেন। বেলা ১২ টার দিকে শহরের হলুদপট্টি এলাকায় তাকে ইজিবাইক থামাতে বলে। ওই ব্যক্তি বিস্কুট কেনার অজুহাতে বাজারে প্রবেশ করে। তার সাথে ইমরানও ইজিবাইক তালা দিয়ে যায়। সেখান থেকে ফিরে এসে দেখেন, তার ইজিবাইক নেই।

কান্না জড়িত কন্ঠে ভুক্তভোগী ইমরান বলেন, সামনে ঈদ। ছোট ছোট বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে ভাড়ায় গিয়েছি। গাড়িটাও হারিয়ে গেলো। একমাত্র আল্লাহই জানেন তার কী হবে। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল।

আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) শেখ গনি মিয়া জানান, ইজিবাইক চুরির ঘটনায় অভিযোগ করা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে ও ইজিবাইক উদ্ধারে কাজ চলছে। এছাড়া শহরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।




কুষ্টিয়ায় ৬৭০টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি শুরু

কুষ্টিয়ায় সুলভ মূল্যে গরুর মাংস বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পৌরবাজারে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের আয়োজনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আব্দুল ওয়াদুদ।

এ সময় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পার্থ প্রতিম শীল, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আল মামুন হোসেনসহ মাংস বিক্রেতা ও ভোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আল মামুন হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়ার বাজারগুলোতে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আজ থেকে পৌরবাজারের একটি মাংসের দোকানে প্রতিদিন ৬৭০টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে।
এদিকে সুলভ মূল্যে মাংস ক্রয় করতে পেরে বেশ খুশি ভোক্তারা।




কুষ্টিয়ায় মাছ ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৩ আসামি গ্রেফতার

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম ওরফে নান্নু (৪৫) হত্যা মামলায় আরো তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গতকাল বুধবার রাতে ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া র‌্যাব-১২, সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার বি এন এম আবুল হাশেম সবুজ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের আতাহার আলীর ছেলে মো. সবুজ আলী (৪৩), হেলাল উদ্দিনের ছেলে মো. বাবু (২৫) ও মো. আতাহারের ছেলে মো. সুমন (৪২)।

নিহত নান্নু উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক।

কুষ্টিয়া র‌্যাব -১২, সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার বিএন এম আবুল হাশেম সবুজ জানান, গত ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় ইফতার শেষে মোটরসাইকেল করে নান্নু কেশবপুর এলাকায় তার ইজারাকৃত পুকুরে মাছ পাহারা দিতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে নান্নুকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে এবং কলাবাগানে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন রাতেই নিহত নান্নুর সমর্থকরা বেশকিছু ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এসব ঘটনায় কুমারখালী থানায় দুইটি পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।

হত্যা মামলায় ঘটনার দিন আটককৃত যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান গ্রেফতার হন। তিনি বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

চাঞ্চল্যকর নান্নু হত্যা মামলার পলাতক তিনজন আসামিকে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।




কুষ্টিয়ায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত

কুষ্টিয়ায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মনির হোসেন (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের মোল্লাতেঘরিয়া এলাকায় মনির অক্সিজেনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মনির হোসেন কুমারখালি উপজেলার কয়া আবাসন এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে মনির হোসেন শহরের কাজ শেষে বাইসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরতেছিলো। এ সময় মোল্লাতেঘরিয়া এলাকায় মনির অক্সিজেনের সামনে একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।