আঙুলের চোটে টেস্ট সিরিজ শেষ মুশফিকের

চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় তুলে নেওয়ার পর ফুরফুরে মেজাজে টাইগাররা। এই সূচিতে এখনো লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ রয়েছে। যার মধ্যে প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে সিলেটে আগামী ২২ মার্চ। গেল পরশু দিন এই ম্যাচের জন্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

তবে ঘোষিত ঐ স্কোয়াড থেকে ছিটকে গেলেন দলের অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে জেতাতে ব্যাট হাতে দলের হয়ে দারুণ ভূমিকা পালন করেছেন মুশফিক। শুধু তাই নয় সিরিজ জয়ের পর তার উদযাপনটাও ছিল ভিন্ন ধরনের যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিমধ্যেই সকলের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর মধ্যেই জানা গেল মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে দুঃসংবাদ।

জানা গেছে, গেল পরশু দিন ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদের বল ধরতে গিয়ে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে চোট পান মুশফিক। সেসময় চোট সাড়াতে ম্যাজিক স্প্রের পর টেপ পেঁচিয়ে পুরো ম্যাচ খেলেছিলেন। ঐ চোট সাড়াতেই তাকে মাঠের বাহিরে থাকতে হবে ৪ থেকে ৫ সপ্তাহ। এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনটি জানিয়েছে বিসিবি।

জানা গিয়েছে, গতকাল ঢাকায় স্ক্যানে মুশফিকের আঙুলে হালকা চিড় ধরা পড়েছে। যেটি সেরে উঠতে ৪-৫ সপ্তাহ সময় লাগবে। এর ফলে ২২ মার্চ শুরু টেস্ট সিরিজে তাকে পাওয়া যাবে না। শুধু তাই নয় দ্বিতীয় টেস্টেও খেলতে পারবেন না তিনি। এ বিষয়ে জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি বর্তমানে তার চোটের জন্য পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং প্রায় তিন থেকে চার সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে, তাই তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অংশ নিতে পারবেন না।

এদিকে মুশফিকের শূন্য স্থানে ১৫ জনের স্কোয়াডে নতুন করে কার নাম যুক্ত করা হবে তা জানানো হয়নি। তবে শোনা যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে চান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই এখনো প্রকাশ্যে আসেনি। তবে সাকিব যদি আসলেও এই টেস্টে স্কোয়াডে যুক্ত হয়। তাহলে প্রায় ৩৫০ দিন পর সাদা পোশাকে মাঠে নামতে দেখা যাবে সাবেক এই টাইগার অধিনায়ককে।
সূত্র: ইত্তেফাক




১২০ বছর বয়সী বৃদ্ধা নয়তোন নেছার পাশে দাড়ালেন ঝিনাইদহের ইউএনও

মৃত্যু সনদ দিয়ে ভাতা বন্ধ করে দেওয়া ১২০ বছর বয়সী বৃদ্ধা নয়তোন নেছার পাশে দাড়ালেন ঝিনাইদহের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া আক্তার চৌধুরী।

গতকাল সোমবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালিচরনপুর ইউনিয়নের কেষ্টপুর গ্রামের ওই বৃদ্ধাকে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের খাবার সামগ্রী নিজ হাতে ভ্যানে উঠিয়ে দেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার সহায়তা নিয়ে নয়তোন নেছার সাথে দেখা করে তাঁর বয়স্কভাতার কার্ডের ভুল দ্রুত সংশোধন করে ২৫ হাজার টাকা দেন। এর আগে, মৃত নাদের মন্ডলের স্ত্রী নয়তোন নেছার মৃত্যুর সনদ দিয়ে তার বয়স্ক ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে। গরিব, অসহায় নয়তোন নেছার ভাতার কার্ড বন্ধ থাকার কথা জানতে পেরে তিনি নিজে ৩০ কেজি চাল, ৫ কেজি ডাল, ২ লিটার তেল, ২ কেজি চিনি ও ২ প্যাকেট সেমাই পৌঁছে দেন।

সেসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আব্দুল হাই সিদ্দিকী, গান্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল হাসান মাসুম সহ অন্যান্যরা।




ঝিনাইদহে সমৃদ্ধি প্রকল্পের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা

ঝিনাইদহে হোম বেইজড গার্মেন্টস নারী শ্রমিকদের সুরক্ষা, অধিকার ও মর্যাদা (সমৃদ্ধি) প্রকল্পের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৯মার্চ) সকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমৃদ্ধি প্রকল্পের জেলা জোটের সভাপতি আমিনুর রহমান টুকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি নুরুন্নাহার মহিলা কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ এন এম শাহজালাল, সদর থানার নারী ও শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি হেলথ ডেক্স’র কর্মকর্তা এস আই ডলি রানী সরকার, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, পৌরসভার কাউন্সিলর ফারহানা রেজা আঞ্জু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই)’র পরিচালক শরীফা খাতুন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে হোম বেইজড নারী গার্মেন্টস নারী শ্রমিকদের কাজের স্বীকৃতি, ন্যায্য মজুরী ও মর্যাদা ও ক্ষমতায়িত হবার মাধ্যমে তাদের সার্বিক কল্যাণ বৃদ্ধি করতে ২০২২ সালের অক্টোবর থেমে ঝিনাইদহে সমৃদ্ধি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ’র সহযোগিতা এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে উই। ঝিনাইদহ পৌরসভা ও সদর উপজেলার কালীচরণপুর এবং পাগলা কানাই ইউনিয়নে এই প্রকল্প চলমান ছিলো। মার্চে এক প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে। প্রকল্প চলমান থাকা অবস্থায় ৫০০ জনকে জেন্ডার ভিত্তিক, ৫০০ জনকে দর্জি সেলাই প্রশিক্ষণসহ হোম বেইজড গার্মেন্টস নারী শ্রমিকদের নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।




ওয়ার্ল্ড ভিশনে চাকরির সুযোগ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটি সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজার পদে লোকবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ

পদের নাম: সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজার

পদসংখ্যা: ০১টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা: সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং বা এমবিএ ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা: রেড ক্রস, এনজিওতে কাজের অভিজ্ঞতা, ওয়ার্ড, এক্সেল এবং পাওয়ার পয়েন্ট, কন্ট্রাক্টস ম্যানেজমেন্ট, চুক্তি প্রশাসন এবং লজিস্টিকসহ মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রামগুলো ব্যবহারে দক্ষতা থাকতে হবে।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ৫ বছর
চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র: অফিসে

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা: কমপক্ষে ৩০ বছর
কর্মস্থল: ঢাকা

বেতন: ১ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা (মাসিক)

অন্যান্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে  ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ২৫ মার্চ ২০২৪




ঝিনাইদহের কর্মসংস্থান ও মানুষের কল্যানে সারাদেশে সেবা প্রদান করছে“সিও”

দেশ ও মাটি মানুষের কল্যানে সারা বাংলাদেশে সেবা প্রদান করে এগিয়ে যাচ্ছে “সিও”। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ ও ভাগ্য বদলে অগ্রনী ভূমিকা রাখছে ঝিনাইদহের সিও সংস্থা। বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী মানব কল্যান প্রতিষ্ঠান সিও ১৯৮৬ সালে জেলা শহরের চাকলাপাড়ায় কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি মানব সেবা, বেকারত্ব দূরিকরনের লক্ষ্যে উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে সাবলম্বী করা,স্বাস্থ্য সেবা, কৃষি, সমাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে সরকারকে সহযোগিতার পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভুমিকা রেখে চলেছে। ঝিনাইদহ জেলায় প্রথম শুরু করলেও হাটি হাটি পা পা করে বর্তমানে দেশের ৪৩ টি জেলায় তাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সিও’র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক সামছুল আলম জানান, কৃষি, ক্ষুদ্র উদ্দ্যোগী ও মহিলা উদ্দ্যোক্তাদের পুজিগঠনে সহযোগিতা করা। গৃহায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের গৃহের ব্যবস্থা ও আর্থিক সহযোগিতা দ্বারা আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়। সামাজিক বনায়ন ও নার্সারী প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা হয়। বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সরবরাহ করে এই প্রকল্প দ্বারা স¦াস্থ্য সচেতন করা হয়। শিক্ষা প্রকল্প যেমন, শিশু শিক্ষা, কিশোর-কিশোরী শিক্ষার মাধ্যমে স্বাক্ষর জ্ঞান দান করা হয়। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্পের কারনে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা চলমান আছে। পোল্ট্রি, ডেইরী ফার্ম, মৎস্য চাষ প্রকল্পর সহযোগিতায় পুষ্টির অভাব পূরনে অভাবনীয় সাফল্য রেখে চলেছে।

মা ও শিশু স্বাস্থ্য প্রকল্পে যে সমস্ত মা এবং শিশু মাতৃত্বকালীন পুষ্টির অভাবে থাকে সেসকল মা ও শিশুকে পুষ্টিকর খাবার বিতরণ এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করা হয়।

এইচ.আই.ভি. এইডস প্রকল্পের মাধ্যমে উঠান বৈঠক ও সভা সেমিনার দ্বারা সচেতনমূলক আলোচনা করা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের দ্বারা খাদ্য,বস্ত্র ও অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগিতা করা হয়। প্রতিবন্ধী উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বারা তাদেরকে হুইল চেয়ার, সাদা ছড়ি, হেয়ার এইড, স্টিক ইত্যাদি সামগ্রী বিতরণ ও আর্থিক সহায়তা করা হয়।

কুঠির শিল্প প্রকল্পে পুরুষ ও মহিলা উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে পুজিগঠন দ্বারা সাবলম্বী করা হয়। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। জিংক ধান উৎপাদন এই প্রকল্প দ্বারা সকলকে জিংকের অভাব পূরন ও তার উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন করন। ভি,জি,ডি প্রকল্পের মাধ্যমে বিনা মূল্যে খাদ্য দ্রব্য বিতরণ, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রদান করা হয়।

শিক্ষা ভাতা প্রকল্পে যেসকল শিক্ষার্থী অর্থের অভাবে লেখা পড়া করা সম্ভব হয়ে উঠে না তাহাদের শিক্ষা বৃওির মাধ্যমে লেখাপড়া করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। প্রশিক্ষন প্রকল্পে প্রশিক্ষকের মাধ্যমে দক্ষতা ও স্বক্ষমতা অর্জনে সহয়তা করা মানব সম্পদ গঠনে সহায়তা করাসহ বেকারত্ব দূরীকরন করা হয়। সচেতনতা কার্যক্রম, বাল্য বিবাহ, বহুবিবাহ, যৌতুক, আত্নহত্যা মাদক এর কুফল ও জন্ম নিয়ন্ত্রন, নারী নির্যাতন, কিশোর কিশোরীদের বয়সন্ধি কালীন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও পুষ্টিকর খাবার বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পে কাজ করছে। ত্বিনফল, করমচা ফল, ডেউয়া ফল, ড্রাগন ফল, আভাকাডো ফল, নাশপাতি ফল, স্ট্রবেরী ফল, আগুর ফল, আতা ফল, দেশী কাগজী লেবু, বারমাসী আমসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল চাষ করা হয়। এবং তাদের জীবনমান উন্নত করা হচ্ছে। ফুল চাষের অন্তর্গত যেমন : জার্ভেরা ফুল, গ্ল্যাডিওলাস ফুল, গাঁদা ফুল, চায়না গোলাপ ফুল, রজনীগন্ধা, ডালিয়া ফুল সহ বিভিন্্ন ফুল চাষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। সবজী চাষ প্রকল্পে বিভিন্ন প্রকার সজবী চাষ করা হয় যেমন: বেগুন, বারমাসী টমেটো, ফুলকপি, লাল বাঁধাকপি, গাজর, মুলা, বীট, ব্রকলি, ক্যাপসিক্যাম, লালশাক, মাশরুম সহ নানানরকম সবজী উৎপাদন করে দেশে সবজীর চাহিদা পূরন করে বিদেশে রপ্তানী করা হচ্ছে।

এছাড়া ও ‘সিও’ প্রতিষ্ঠানটি দক্ষ প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ গঠন ও আধুনিক ও বৈঞ্জানিক পদ্ধতিতে কৃষি কার্যক্রম প্রশিক্ষন প্রদান করছে। ফলে “সিও” প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালককে ১০০ টির অধিক প্রতিষ্ঠান সম্মাননা প্রদান করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় “সিও” দেশ ও মাটি মানুষের কল্যানে সারা বাংলাদেশে সেবা প্রদান করে এভাবেই এগিয়ে চলেছে।

এমন কার্যক্রমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের। সিও সংস্থার কার্যক্রমের উপকারভোগীর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৩৭ লাখের মত দাড়িয়েছে।

উপকারভোগী মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের রুপালী খাতুন জানান, সিও সংস্থা থেকে ২০ হাজার টাকা ঋন নিয়ে দোকান করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। একই উপজেলার রহিমা বেগম ৫০ হাজার টাকা ঋন নিয়ে করেছেন ছাগলের খামার। ঋন পরিশোধ করে এখন তারা দুজনেই স্বামী সন্তান নিয়ে খুব ভালো ভাবে দিনাতিপাত করছেন।

শুধু তারা দুজনেই নয় দেশের ৪৩ টি জেলায় এমন হাজার হাজার পরিবার ক্ষুদ্র ঋন নিয়ে আর্থিকভাবে হয়েছেন স্বাবলম্বী। পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

সিও সংস্থা দেশের দরিদ্র জনগোষ্টির কল্যানে বিভিন্ন প্রকল্প সফল ভাবে নিয়মবিধি মেনেই বাস্তবায়ন করে মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য কাজ করছে, যা সিও সংস্থা অবশ্যই প্রসংশার দাবিদার। সিও সংস্থার ভবিষৎ পরিকল্পনা হাসপাতাল, এতিমখানা, মেডিকেল কলেজ তৈরী করে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া। তাই সিও’র প্রতিটা কার্যক্রমই মানুষের কল্যানে কাজ করা।




আলমডাঙ্গার পুকুর সংস্কারের নামে মাটি কেটে বিক্রয়, একজনকে জরিমানা

আলমডাঙ্গার পোয়ামারী গ্রামে স্কোভেটর দিয়ে পুকুর সংস্কারের নামে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে ইটভাটায় বিক্রির দায়ে আমির হোসেন নামে এক ব্যাক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন। একই সময়ে ওই ব্যক্তিকে অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড ঘোষনা করলে জরিমানার টাকা পরিষোধ করা হয় ।

অভিযুক্ত আমির হোসেন আলমডাঙ্গা উপজেলার পোয়ামারী গ্রামের মৃত জিয়ামদ্দিনের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের পোয়ামারী গ্রামের আমির হোসেন। গত কয়েকদিন যাবৎ পুকুর সংস্কারের জন্য দায়িত্ব দেন হাবিবুর রহমান রঞ্জুকে। সে পুকুর সংস্কারের নামে ওই পুকুরের মাটি কেটে ইটভাটা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছিল। এতে মাটি পরিবহণে ব্যবহৃত ট্রাক্টর চলাচলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা দাস ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

এসময় ওই পুকুরের মালিক আমির হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ঘোষনা করা হয়। এ সময় অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান জরিমানার টাকা তাৎক্ষণিক পরিষোধ করেন।




বাবা-মার পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন খালিদ

বাবা-মার পাশেই সমাহিত হলেন চাইম ব্যান্ডের মূল ভোকাল ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ। আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাদ জোহর গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদে তার আরেকটি জানাজা শেষে শহরের গেটপাড়ার কবরস্থানে বাবা-মার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হন তিনি।

পুরো নাম খালিদ সাইফুল্লাহ। যিনি খালিদ নামেই অধিক পরিচিত। গতকাল সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খালিদের মৃত্যুতে দেশের সংগীতভুবনে শোকের ছায়া নেমে আসে।

গতকাল রাত ১১টায় ঢাকার গ্রিন রোড জামে মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে খালিদের মরদেহ নিয়ে রাতেই গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা করে স্বজনরা। রাত সাড়ে ৩টায় গোপালগঞ্জ শহরের বাসায় পৌঁছায় খালিদের নিথর দেহ।

১৯৬৫ সালে গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এ শিল্পী ১৯৮১ সাল থেকে গানের জগতে পা রাখেন। ১৯৮৩ সালে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন। এখান থেকেই তার খ্যাতির শুরু। তার গান এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘আবার দেখা হবে’, ‘তুমি নেই তাই’ ইত্যাদি।

সূত্র: ইত্তেফাক




আলমডাঙ্গায় পাম্প সচলের দাবিতে কৃষক জোটের মানববন্ধন

জিকে সেচ প্রকল্পের অকেজো পাম্প দ্রুত সচলকরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষক জোট।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে পৌর এলাকার পানি শূণ্য জিকে খালের মধ্যে অবস্থান করে এ মানববন্ধন করেন। এতে অংশ নেন সেচ খালের আওতাধীন কয়েক শতাধিক কৃষক। ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি থেকে এ অঞ্চলে প্রত্যেক কৃষকের বোরো ধানের জমিতে সেচের পানি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন কৃষক জোটের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী, উপজেলা কৃষক জোটের সভাপতি এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস উষা, মহাসিন আলী, কৃষক জোটের ডাউকি ইউনিয়ন সভাপতি মোজাম্মেল হক, কালিদাসপুর ইউনিয়ন সভাপতি হাসানুজ্জামান রিপন, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান খাঁন, সদস্য মজিরন নেছা, তাপসি খাতুন, তহমিনা বেগম। কৃষক জোটের প্রকল্প সমন্নয়কারী মশিউর রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা আসমা হেনা চুমকি, রিসোর সমন্নয়কারী দারুল ইসলাম, কৃষক জোটের মাঠ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার কৃষকের বোরো মৌসুমে ধান চাষ জিকে খালের পানির উপর নির্ভরশীল। এই অঞ্চলের কৃষকদের দিনের পর দিন অবহেলা করা হচ্ছে। তাঁরা ঠিকমতো পানি পাননি। অতিকষ্টে তাঁদের ফসল ফলাতে হয়। মৌসুমের শুরুতেই সেচ পানি সংকটে রয়েছে। দীর্ঘদিন সেচ পাম্প নষ্টের অজুহাতে কৃষকদের দুর্ভোগে ফেলে হয়রানীর অভিযোগও করেন।

উপস্থিত কৃষক আব্দুল ওহাব আলী বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে সেচ খালে পানি সরবরাহ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলার জিকের অধীনে সেচের জমি আছে ১ লাখ ৯৭ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে বোরো ৩৫ থেকে ৪০ হাজার; আমন ৫০ থেকে ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়।

ভেড়ামারায় প্রধান পাম্প হাউসের দুটির মধ্যে ২০২২ সাল থেকে একটি নষ্ট। অন্যটি দিয়ে পানি সরবরাহ করা হচ্ছিল। ফেব্রুয়ারির শুরুতে চুয়াডাঙ্গায় পানি দিলে চাষিরা বোরো রোপণ করেন। ২১ দিনপর আবারো সচল সেচ পাম্পটিও অকেজো হয়ে পড়ে। সেচ পানি না পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রায় দুইশত হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়ে পড়েছে। দ্রুত সেচ পাম্প সংস্কার করে পানি দেওয়ারও দাবি জানান তাঁরা।




মেহেরপুরে নাশকতা মামলায় বিএনপির ৭ নেতার জামিন

নাশকতার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও অঙ্রগ সংগঠনের ৭ নেতা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকালে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাসের আদালতে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন দেন।

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও আমঝুপি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহাবুব আলম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজিদ, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রায়হান, আমঝুপি ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাফিজুর রহমান।

এদিকে বিএনপি সহযোগী সংগঠনের এই ৭ নেতা সন্ধ্যায় কারাগার থেকে বের হলে কারাফটকে ফুলের মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন তাদের ফুলের মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এর আগে একই মামলায় সাবেক সাংসদ মাসুদ অরুন জামিনে মুক্তি লাভ করেন।

২০২৩ সালে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে সরকার বিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় নাশকতার অভিযোগ এনে সদর থানা পুলিশ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে।

মামলা দুটিতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহাবুব আলম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজিদ, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রায়হান, আমঝুপি ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাফিজুর রহমানকে আসামি করা হয়।

মামলায় মাসুদুর রহমানসহ অন্যান্যরা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন।

গত ১০ মার্চ দুপুরে মেহেরপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক আবু বক্কর সিদ্দিক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন বলেন, সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে তাদের মিথ্যা মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জেলে যান।




গরমে সুস্থ থাকতে হতে হবে সচেতন

রমজানের শুরু আর বাড়ছে গরমের দাবদাহ। গরমের তীব্রতা বাড়ায় বেশির ভাগ মানুষই যেন কাহিলও হয়ে পড়ছেন। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। এই গরমে সারা দিনের কর্মব্যস্ততায় ঘেমে নেয়ে মাথা ব্যথা, বমিভাব, শরীরে অস্বস্তি, ডায়রিয়া, অ্যালার্জি ও হিট স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত গরমে নিজেকে সুস্থ রাখতে সচেতন হতে হবে নিজেদেরই।

সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা উচিত । আর যেহেতু গরমকালে শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে পানি ও লবণ বের হয়ে যায় তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যালাইন, পানি ও ফলের রস খেতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। ডাবের পানিও এসময় অত্যন্ত উপকারী।

এছাড়া অত্যধিক মাত্রায় ঘাম হলে শরীর থেকে সব পানি বেরিয়ে যায়। তাতে পেটের সমস্যাও তৈরি হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে পেট ফুলে থাকে অনেকের। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়, বেশি পরিমাণে পানি পান করা। সেই সাথে শরবত ও তরল খাবার বেশি খাওয়া।

মেলাটোনিন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। অতিরিক্ত গরমে আমাদের শরীরের মেলাটোনিন উৎপাদন কমিয়ে দেয়। তার মাত্রা কমে গেলে আমাদের শরীরের ক্লান্তিভাব বেশি হয়।

কারণ, গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখার জন্য ঘাম হওয়া প্রয়োজন। আর সেটা করতে শরীরের যথেষ্ট পরিশ্রম হয়। তাই শরীর অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এ জন্য রোদে বের হওয়ার আগে ছাতা ব্যবহার করতে হবে সেই সঙ্গে সানগ্লাস।

শরীরে মেলাটোনিনের সংখ্যা কমে গেলে ঘুম আসতেও দেরি হয়। যেহেতু গরমে দিন বড় এ জন্য রাতে শরীর মানিয়ে নিতে সময় নেয়। ঘুম আসতে দেরি হয়। ঘুমের অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। ঘুমের সময় সঙ্গে ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখবেন না।

অনেকসময় শরীর হুট করেই তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে না। তাতেই জ্বর, ঠাণ্ডালাগা, মাথাধরার মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয়। এ জন্য প্রটেকশন নিয়ে তারপর বাইরে বের হওয়া উচিত

গরমে হালকা সুতির পোশাক পরাই ভালো। যাতে ঘাম হলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। এছাড়া ঢাকা জুতোর বদলে খোলা চপ্পল ব্যবহার করতে পারেন। গরমে বিয়ার, সোডা বা নরম পানীয় না খাওয়াই ভালো। এতে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা বে়ড়ে যায়। এডাড়া চা বা কফির পরিমাণও কমিয়ে ফেলা শরীরের জন্য খুব ভালো।

গরমে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং জ্বর, ঠান্ডার সংক্রমণ ঠেকাতে টিস্যু ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া এসময় বাইরে থেকে ফিরেই ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি সরাসরি পান করা যাবে না। এসি রুমে থাকলে তাপমাত্রা খুব বেশি না কমিয়ে বাইরের আবহাওয়ার সঙ্গে মিল রেখে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রিতে কমানো যায়।

এছাড়া গরমে জীবাণু হাত থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত হাত ধুয়া উচিত। এসময় ঘনঘন চোখ-নাকে হাত না দেয়া ভালো। আর হাত ধোয়ার পরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন এবং বারবার হাত ধুতে না চাইলে ব্যাগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা উচিত। এতে প্রয়োজনে হাতে লাগিয়ে নিতে পারেন।

শিশুকে গরমে প্রতিদিন গোসল করাতে ভুলবেন না। সামান্য কাশি হলেও করাবেন। সম্ভব হলে আদাপানি, তুলসীপানি খাওয়াতে পারেন। গোসলের পর অবশ্যই শিশূর চুলটা ভালোভাবে মুছে দিতে হবে। ঘেমে গেলেও ভালোভাবে চুলটা শুকনো করে মুছে দিন এছাড়া টানা কয়েক দিন থাকে তবে এসবের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

সূত্র: ইত্তেফাক