গাংনীতে ক্লিনিক মালিককে ১ বছর কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা

মেহেরপুরে হাসিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও গাংনী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক হাফিজুর রহমানকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা ও হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

নানা অব্যবস্থাপনা, ক্লিনিকের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্স, দক্ষ চিকিৎসক, সেবিকা ও সার্জিক্যাল সরঞ্জামাদি না থাকার অভিযোগে এই দণ্ডাদেশ ও জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম এই দণ্ডাদেশ দেন।

এসময় মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ মহী উদ্দিন, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সুপ্রভা রানী, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মারুফ, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডাক্তার মহী উদ্দিনের নেতৃত্বে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপি ওই ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ভ্রাম্যমা আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট নাদির হোসেন শামীম বলেন, ২০০৯ সালের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আই নের ৫২ ধারায় ক্লিনিকের মালিক হাফিজুর রহমানকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ, এক লাখ টাকা জরিমানা ও হাসিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও গাংনী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের হাসপাতাল বিভাগ পরবর্তি নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, গত রবিবার (১৭ মার্চ) বিকালে গাংনী উপজেলার দেবিপুর গ্রামের সেলিমের স্ত্রী পান্না খাতুন ভুল চিকিৎসায় মারা যান। পরে গভীর রাত পর্যন্ত নিহতের স্বজনদের সাথে মিটমাট করার জন্য ২ লাখ টাকার বিনিময়ে দফারফার চেষ্টা করেন ক্লিনিক মালিক। এছাড়া সংবাদ পত্র নিউজ বন্ধ করতে দৌড়ঝাঁপ করেন।




শাহরুখ-গৌরির সম্মানের এড শিরানের প্রাইভেট কনসার্ট!

এটি ছিল ভারতে এড শিরানের তৃতীয় সফর। এর আগে ২০১৫ সালে প্রথম এসেছিল এই তারকা। এরপর ২০১৭ তে। তবে এবারের ট্যুরে একটানা ৩০ টি গান গেয়ে মুগ্ধ করে দর্শককে। পাবলিক কনসার্টে এসে বারবার ভারতে আসার জন্য প্রতিশ্রুতি দেয় এই ৩৩ বছর বয়সি পপস্টার।

তবে বিভিন্ন সোস্যাল হ্যান্ডেলে কনসার্টের চেয়েও যেন বেশি চর্চা হচ্ছে এড শিরান আর শাহরুখের সেই সিগনেচার পোজ নিয়ে। ছবিটি ভাইরাল হয়। এছাড়া গত ১৬ মার্চ শাহরুখের অনারে বলিউড সেলেবদের জন্য একটি প্রাইভেট কনসার্টের আয়োজন করে। সেখানে দেখা যায় এড শিরান আর শাহরুখ পাশাপাশি বসে আছে।শিরান তার বিখ্যাত ‘পারফেক্ট’ গানটি গাইছে শুধু একটি গিটার স্ট্রামিং করে। দর্শক সারিতে মাধুরী, মালাইকা, ফারাহ খানসহ একাধিক সেলেব্রিটিরা যার যার মোবাইলে এড শিরানের গান ক্যাপচার করছে।=

এই ঘরোয়া শোয়ের হোস্ট ছিলেন মিসেস খান গৌরি। গৌরি ও গৌরি পুত্র সকলেই এড শিরানের ব্যপক ভক্ত। অন্যদিকে মাধুরীর ছেলেও গিটার বাজায়। এড শিরানের গান গুন গুন করে গায় সে। এদিকে গত কয়েকবছরে বিশ্ব তারকাদের অধিকাংশই ভারতে ট্যুর দিলে কিংখানের বাড়িতে এসে আড্ডা আর ছবি পোস্ট দেয়াটা যেন এখন রীতিতে পরিণত হয়েছে। কিং খান বলে কথা! গৌরি বলেন, ‘শিরানের মনটা শিশুদের মতো। রকস্টারদের আমরা এরকম ভাবতে চাই না। অথচ শিরান যেন একেবারেই অন্যরকম। ঘরোয়া আর খুব মিশুক একটি ছেলে। দারুণ একটি সন্ধ্যা উপহার দেবার জন্য ওকে ধন্যবাদ।’

সূত্র: ইত্তেফাক




দীর্ঘ ভিডিওতে টিকটকে বেশি আয়ের সুযোগ

জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক বেশি আয়ের জন্য নতুন কর্মসূচি এনেছে। এজন্য নির্মাতাদের লম্বা দৈর্ঘ্যের ভিডিও বানাতে বলেছে চীনা কোম্পানিটি। খবর ম্যাশেবল।

‘ক্রিয়েটর ফান্ড’ নামের কর্মসূচির মাধ্যমে আয়ের পরিমাণ কম হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তুষ্ট ছিলেন টিকটক নির্মাতারা। ফলে ২০২০ সালে চালু হওয়া এ কর্মসূচি গত নভেম্বরে বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। আর নতুন এক উদ্যোগের আওতায় ভিডিওর দৈর্ঘ্য এক মিনিটের বেশি হলে ‘ক্রিয়েটর রিওয়ার্ডস প্রোগ্রামের’ আওতায় বেশি আয়ের সুযোগ করে দেয় চীনের ভিডিও বিনিময়ের নেটওয়ার্কটি। গত বছর এই মনিটাইজেশন সিস্টেমের নাম ছিল ক্রিয়েটিভিটি প্রোগ্রাম। এখন নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ক্রিয়েটর রিওয়ার্ডস প্রোগ্রাম। বেশিসংখ্যক বিজ্ঞাপন বিক্রির উদ্দেশ্যে এই ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

টিকটকের তথ্যমতে, পরীক্ষামূলকভাবে নতুন এই কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের নির্বাচিত ভিডিও নির্মাতাদের আয় গত ছয় মাসে বেড়েছে ২৫০ শতাংশের বেশি। পরীক্ষামূলক পর্যায় থাকার সময়ই মাসে ৫০ হাজার ডলার আয় করা নির্মাতাদের সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণ।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীর হাসিনা প্রাইভেট হাসপাতালে আবারও ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু

হাসিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও গাংনী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আবারও ভুল চিকিৎসায় পান্না খাতুন (২২) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
পান্না খাতুন গাংনী উপজেলার দেবিপুর গ্রামের মো: সেলিমের স্ত্রী।
এঘটনার পরপরই ওই ক্লিনিকের মালিক হাফিজুল ইসলাম ও চিকিৎসকরা ক্লিনিকটি বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন।

তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত, ক্লিনিকের মালিক হাফিজুল ইসলাম বামন্দী করবী ক্লিনিকে বসে রোগীর স্বজনের সাথে টাকা দিয়ে মিটমাট করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

এই ঘটনায় সিজারকারি চিকিৎসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ইমরানের সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।

তবে, ক্লিনিক মালিক হাফিজুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান, সিজারের সময় আমি অপারেশন থিয়েটারে থাকি। পান্না খাতুন ভুল চিকিৎসায় নয়, কার্ডিয়াক অ্যার্টাক্টে মারা গেছেন। নিহত পান্না খাতুনকে এনেসথেসিয়া দেন চিকিৎসক ইমরান হোসেন।

হাসপাতালের রিসিভসনের দায়িত্বে নিয়োজিত পপি খাতুন বলেন, প্রতিষ্ঠানের মালিক হাফিজুল ইসলাম ইফতার করতে বাড়িতে গেছেন। আর আসেনি। ডাক্তার আবু সালেহ মোহাম্মদ ইমরান সিজার করেছেন। এসময় সেবিকা ছিলেন পারুলা খাতুন নামের একজন।

তিনি আরও জানান, নিহত পান্না খাতুন (২২) সকালের দিকে প্রসব বেদনা নিয়ে আমাদের এখানে ভর্তি হন। সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে তাকে সিজার করা হয়। রোগী ও সন্তান প্রথম দিকে সুস্থ থাকলেও কিছুক্ষণ পর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাউন্ডে আসা চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান রিংকু তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানেই নিয়ে যাওয়ার সময় পথের মধ্যে মারা যান তিনি।

একই কথা জানান, ক্লিনিক মালিক হাফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, রোগী প্রথম দিকে সুস্থ থাকলেও পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান রিংকু তাকে রেফার্ড করেন।

তবে, চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান রিংকু বলেন, আমি রোগীর অবস্থা দেখে স্বজনদের বলেছি রোগী এখানে থাকলে মারা যাবে। দ্রুত উন্নত হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে, আমি রেফার্ডের কাগজপত্র কোথাও স্বাক্ষর করিনি। রোগীর কার্ডিয়াক অ্যাট্রাক্ট হয়েছে লিখতে বলেছিলেন মালিক। আমি সেটি লিখিনি।

জানা গেছে, এঘটনার পরপরই হাসপাতালের মালিক হাফিজুল ইসলাম বিষয়টি প্রশাসনের নজর এড়াতে শুরু করেন দৌড়ঝাঁপ। রোগীর স্বজনদের সাথে মিটমাট করতে বামন্দীর করবী ক্লিনিকে বসেন। রোগীর স্বজনদের এক লাখ টাকা দিয়ে মিটমাট করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে, এক লাখ টাকা নয় আরও বাড়াতে দর কষাকষি চালাচ্ছিলেন।

একটি সুত্র জানিয়েছে, সরকারি বিধি মোতাবেক বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যন্ত্র পাতি না থাকলেও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন সিজারিয়ান। এখানে দক্ষ সিজারিয়ান ও এনেসথেসিয়া চিকিৎসক, নার্স না থাকলেও ক্লিনিক মালিক হাফিজুল ইসলাম চালিয়ে যাচ্ছেন এই ব্যবসা। ওটি রুমে নিজের থাকার ব্যাপারে হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমি ক্লিনিকের মালিক হিসেবে ওটিতে থাকতে পারি। সিজার ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষণ করি। তিনি আরো বলেন, এর আগে জুগিন্দা গ্রামের একজন রোগী মারা গেছেন। সেটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের মাধ্যমে সমঝোতা করা হয়েছে। এটাও সমঝোতা করে নেবো।

গভীর রাত হওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।




চুয়াডাঙ্গায় প্রান্তিক নারীদের জন্য সাশ্রয়ী বাজার কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে প্রান্তিক নারীদের জন্য সপ্তাহব্যাপী সাশ্রয়ী মূল্যে বাজার কর্মসূচির ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) চুয়াডাঙ্গা।

চুয়াডাঙ্গা পুনাকের নিজস্ব অর্থায়ন এবং জেলা পুলিশের সিনিয়র অফিসারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সাশ্রয়ী বাজার কর্মসূচির আওতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রান্তিক নারীরা চাল, ডাল, তেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজ, ছোলা, মুড়ি, বেসন ও খেজুরের মত ১০টি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্যপন্য চলতি বাজার মূল্যের অর্ধেক মূল্যে ক্রয় করার সুযোগ পাচ্ছেন।

আজ রবিবার সকাল ১১টায় পুলিশ লাইন্সের সম্মুখে পুলিশ ফুড পার্ক চত্বরে প্রান্তিক নারীদের জন্য সপ্তাহব্যাপী সাশ্রয়ী বাজার কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার এবং চুয়াডাঙ্গা পুনাকের প্রধান উপদেষ্টা আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম-সেবা। কর্মসূচিটির সার্বিক সমন্বয় করছেন চুয়াডাঙ্গা পুনাকের সভানেত্রী মিসেস জান্নাতুল ফেরদৌস।

পুলিশ সুপার বলেন, আর্থিকভাবে অসচ্ছল অনেক মানুষই বিনামূল্যে পণ্য নিতে সম্মানিত বোধ করেন না। তাই পুনাক ও জেলা পুলিশের অফিসারদের সমন্বিত অংশগ্রহণে সাশ্রয়ী মূল্যের এই বাজার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পবিত্র মাহে রমজানে প্রান্তিক নারীদের সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ করতে পেরে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ ও পুনাক পরিবার স্বাচ্ছন্দ বোধ করছে। সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচিটি আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ০১টা অবধি চালু থাকবে।

পুনাক সভানেত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ইফতার পার্টির আয়োজন না করে চুয়াডাঙ্গা পুনাক জেলার প্রান্তিক নারীদের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়াস নিয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের জনহিতকর কাজের ব্যাপ্তি বাড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

উক্ত আয়োজনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুনাক সাধারণ সম্পাদক মিসেস জোবায়দা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ মিসেস সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হুমায়রা আক্তার সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসারবৃন্দ।




চুয়াডাঙ্গায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

চুয়াডাঙ্গায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় সাথে পালিত হয়েছে।

আজ রবিবার সকাল থেকে দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন আনন্দ র‍্যালি আলোচনা সভা কেক কাটা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাঙালির অবিসাংবাদিত নেতা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালে ১৭ মার্চ বাঙ্গালি জাতির মুক্তির অগ্রদূত গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতা সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা পালিত হয়েছে দিনটি।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন সকাল সাড়ে আটটা থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর প্রকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শুরু করেন।

শুরুতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও চুয়াডাঙ্গা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। তারপর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সামাজিক সংগঠন রাজনৈতিক সংগঠন ও পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সকল পদমর্যাদার অফিসার, ফোর্স সহ বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনিব হাসি সবার ঘরে” প্রতিপাদ্য সামনে রেখে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম সেবা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার শারমিন আক্তার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.এ কে এম সাইফুর রশিদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষার্থী।

র‍্যালি পরবর্তী আলোচনা সভা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থিত ডিসি সাহিত্য মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শারমিন সুলতানার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু। চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম এন্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক। আলোচনা সভা শেষ চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্প কলার আয়োজনে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, জাতির সূর্য্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ,বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা স্কুলের শিক্ষক ও কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও আলোচনা সভা

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওয়েভ ফাউন্ডেশন ও পিকেএসফের উদ্যোগে আজ রবিবার বেলা ২টায় মনোহরপুর ইউনিয়নের ধোপাখালী প্রবীন কেন্দে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতেই মাদবখালী বকুল শিক্ষা সহায়তা কেন্দ্রে শিক্ষাথীরা দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী মালিহা খাতুন কোরআন থেকে তেলাওয়াত করে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা্ আশরাফ আলী।

প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থি ছিলেন, মনোহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, তিনি বলেন, ১৯২০ সালে বঙ্গবন্ধু জন্ম হয় গোপালগঞ্জ জেলার টঙ্গিপাড়া গ্রামে। শিশুকাল থেকে মুজিব ছিলেন নেত্রীত্ব দেওয়ার প্রবনতা। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল বঙ্গবন্ধু তার জীবনে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করে কেটেছে। ৬ দফা ১১ দফাসহ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রাম করে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে। তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্প, পদ্মা সেতু, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলি টানেল, মেট্রো রেলসহ রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। তার এ উন্নয়নে আমরা বিশ্বে কাছে পরিচিতি লাভ করেছি।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের আর এমও মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি সদস্য আদিলুর রহমান, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক জাহির রায়হান ও সমৃদ্ধি কর্মসূচির সমন্বয়কারী আব্দুস শুকুর এবং মনোহরপুর ইউনিয়নের বালাই নাশক কমিটির সভাপতি রাজেদুল ইসলাম ও মনোহরপুর ইউনিয়ন কমিটির প্রবীন কমিটি সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন।

এরপর ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনা করেন, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের আর এমও মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি এক নাগাড়ে ৭৫জন রো্গীকে চিকিৎসা প্রদান করেন এবং সহযোগী হিসাবে ছিলেন, সহকারী মেডিকেল অফিসার সোহেল রানা। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সমৃদ্ধি কর্মসূচির মনোহরপুর ইউনিয়ন সমন্বয়কারী আওয়াল হোসেন ও এসডিও আসাদুজ্জামান লিটন




দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ রবিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের নতুন বাস্তপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত হলো দামুড়হুদা উপজেলা নতুন বাস্তপুর গ্রামের মৃত ওয়াজ মন্ডলের ছেলে মোঃ আলী কদর।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানের দিকনির্দেশনায় দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) শেখ মাহবুবুর রহমান এর নেতৃত্বে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ৩ মাসের সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আজ রবিবার বিকাল ৫ টার দিকে এসআই ইউসুফ আলী সঙ্গীয় ফোর্সসহ দামুড়হুদা থানাধীন নতুন বাস্তপুর গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি নতুন বাস্তপুর গ্রামের মোঃ আলী কদর কে গ্রেফতার করে।

দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) শেখ মাহবুবুর রহমান জানান, ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত সাজা পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি আলী কদরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা রয়েছে, তা বিচার প্রক্রিয়াধীন। আজ আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।




দামুড়হুদায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

“বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে” প্রতিপাদ্য নিয়ে দামুড়হুদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার সকাল ৯টার সময় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, র‍্যালি শেষে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগে উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধু মুরালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলী মুনছুর বাবু ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা। এরপরে একে একে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দামুড়হুদা মডেল থানা, দর্শনা থানা, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদ, সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ছাত্র লীগ সহ রাজনৈতিক সংগঠন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলী মুনছুর বাবু। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আছির উদ্দিন, উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ হেলেনা আক্তার নিপা, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি তদন্ত মাহবুবুর রহমান, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বিপ্লব কুমার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জল হক, আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার সহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দামুড়হুদা মডেল মসজিদের পেশ ঈমান হাফেজ মাঃ মোঃ মামুনুর রশীদ।




দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

“বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে ” প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা দেশের ন্যায় দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়ন পরিষদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

আজ রবিবার সকাল ৯টার সময় দিবস টি উপলক্ষে হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের আয়জনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দীন এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন সচিব নাঈম হোসেন, ৫নং ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান ২ মোঃ শহিদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য শাহজামাল, আঃ হান্নান পটু, রিকাত আলী সহ ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাবৃন্দ সকল ইউপি ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য বৃন্দ, সকল গ্রাম পুলিশ সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে আলোচনা করা হয়।

আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।