‘গেম অব থ্রোনস’ আসছে বড় পর্দায়

আমেরিকান ফ্যান্টাসি ড্রামা ‘গেম অব থ্রোনস’ সম্প্রচার শুরু হয় ২০১১ সালে, শেষ হয় ২০১৯ সালে। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পায় এই টেলিভিশন সিরিজ। সম্প্রতি ‘গেম অব থ্রোনস’ নিয়ে এবার সিনেমা নির্মাণে কাজ শুরু হয়েছে। প্রযোজনা করছে ওয়ার্নার ব্রাদার্স। এটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

চলচ্চিত্রবিষয়ক মার্কিন গণমাধ্যম হলিউড রিপোর্টার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জর্জ আর. আর. মার্টিনের লেখা এ ফ্যান্টাসি ইউনিভার্স নিয়ে সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রাদার্স। একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, প্রকল্পটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, এর সঙ্গে এখনো কোনো নির্মাতা, অভিনেতা ও লেখক যুক্ত হননি।

যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। তবে হলিউড রিপোর্টার প্রতিবেদনটিতে জানিয়েছে, ২০১৯ সালে ‘গেম অব থ্রোনস’ সিরিজের শেষ মৌসুমের পরিবর্তে তিনটি ফিচার ফিল্ম দিয়ে এটি শেষ করতে চেয়েছিলেন এর দুই নির্মাতা ডেভিড বেনিঅফ ও ডি বি ওয়েইস। এ বিষয়ে প্রস্তাব দিলেও সাড়া মেলেনি। এমনকি সিনেমা নিয়ে এর লেখক জর্জ আর মার্টিনও দারুণ আগ্রহী ছিলেন।

২০১৪ সালে হলিউড রিপোর্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্টিন জানিয়েছিলেন, সিনেমার বিভিন্ন প্লট নিয়ে তিনিও ভাবছেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আগ্রহী ছিল না এইচবিও। তারা বিষয়টিকে নিজেদের সম্পত্তি হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে চেয়েছে। ২০১১ সালে টিভি সিরিজে ঝড় হয়ে এসেছিল ‘গেম অব থ্রোনস’।

২০১৯ সাল পর্যন্ত এ ঝড়ে টিভি সিরিজের ইতিহাসে নানা রেকর্ড ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। জন স্নো, ডেনেরিস টারগারিয়ান, আরিয়া স্টার্ক আর সানসা স্টার্কেরা হয়ে ওঠেন পরিচিত চরিত্র।

বিভিন্ন রাজপরিবারের সিংহাসন পাওয়ার লড়াই নিয়ে তৈরি হয়েছে মার্কিন চ্যানেল এইচবিওর ‘গেম অব থ্রোনস’-এর কাহিনি। সিরিজটির শেষ পর্ব টারগারিয়ান রাজপরিবারের শেষ উত্তরসূরি ডিনেরাস টারগারিয়ানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস পালন

“সমবায়ে গড়ব দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে মেহেরপুরের মুজিবনগরে র‍্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস।

দিবসটি উপলক্ষে আজ শনিবার (০২ নভেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে থেকে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মুজিবনগর উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হক মন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ  (ওসি) মিজানুর রহমান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: খন্দকার সানজিদা আক্তার, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক প্রিন্স, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান (শের খাঁন), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ খান, তুষার, মুজিবনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও গোপালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম।

এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, গোপালনগর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মাহফুজ আলম, সুপ্রতিবেশি মহিলা সমবায় সমিতির সভাপতি রেহেনা খাতুন প্রমুখ।

আলোচনা শেষে শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি গোপালনগর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ,  সুপ্রতিবেশি মহিলা সমবায় সমিতি  এবং শ্রেষ্ঠ সমবায়ী হিসেবে জহুরুল হককে পুরস্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক, উপজেলার বিভিন্ন সমবায় সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সমবায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।




সাফজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। শনিবার (২ নভেম্বর) সাফজয়ী দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সংবর্ধনা নিতে সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সকাল সাড়ে ১০টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করেন। তাদের বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

এসময় নারী ফুটবল দলের পক্ষ থেকে ফুটবলারদের অটোগ্রাফ সংবলিত অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের একটি জার্সি উপহার দেওয়া হয় প্রধান উপদেষ্টাকে। পরে নারী দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাফজয়ী ২৩ নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সাফজয়ী ফুটবলারদের বাইরে সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রধান কোচ পিটার বাটলার ও দলের ম্যানেজার মাহমুদা অনন্যাকে। তবে এই সংবর্ধনায় ছিলেন না কোনো বাফুফে কর্মকর্তা।

নেপালের কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের কন্টিনজেন্ট ছিল ৩২ জনের। ২৩ জন খেলোয়াড়ের পাশাপাশি কোচিং স্টাফ ও অন্যান্য কর্মকর্তা ছিলেন ৯ জন। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে কোচিং স্টাফের মধ্যে শুধু হেড কোচ ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ম্যানেজার গিয়েছিলেন। গোলরক্ষক কোচ, সহকারী কোচ, ফিজিও, মিডিয়া অফিসার যেতে পারেননি।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪ পালিত

“সমবায়ে গড়ব দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরে জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪ পালিত পালিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসন ও জেলা সমবায় কার্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভা আজ শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজন করা হয়।

এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়।

জেলা সমবায় অফিসার প্রভাষ চন্দ্র বালার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

জেলা সমবায় কার্যালয়ের সহকারী প্রশিক্ষক রোকনুজ্জামান তুষারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ তরিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গাজী মূয়ীদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক বজলুর রহমান, জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উপ-পরিচালক এ জে এম সিরাজুল মূনীর।

এছাড়াও এসময় জেলা সমবায় কার্যালয়ের উপ-সহকারী নিবন্ধক মোঃ এনামুল হক, জেলা সমবায় দপ্তরের পরিদর্শক মোঃ নুরুজ্জামান, প্রশিক্ষক নুরুজ্জামান, তাঁত বিশেষজ্ঞ মাসুদ রানা, সহকারী পরিদর্শক মোঃ সাইফুল রহমান, জাহিদ হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে মেহেরপুর কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতিকে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ১ তম পুরষ্কার মোঃ আসলাম হোসেন, ২য় পুরষ্কার মোছাঃ আঞ্জুয়ারা খাতুন, ৩য় পুরষ্কার মোঃ মনিরুজ্জামান অর্জন করেন।

আলোচনার আগে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রাঙ্গনে জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ এবং জেলা সমবায় অফিসার প্রভাষ চন্দ্র বালা।




একটি প্রত্যয়ন, জামিন, আলোচনা—সমালোচনা

সন্ত্রাস দমন আইনে গ্রেফতারের একদিন পর জামিন লাভ করেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এ কে এম শফিকুল আলম। তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

অ্যাড. এ কে এম শফিকুল আলমের পক্ষে দেওয়া জেলা আইনজীবী সমিতির একটি প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে আলোচনা—সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মুখে মুখে থেকে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বর্তমান জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজন। তিনি একদিকে যেমন বিএনপির শীর্ষ নেতা, অপরদিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিও। বর্তমানে তিনি পড়েছেন দোটানায়, ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখ ‘ অবস্থায় পড়েছেন তিনি।

প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে ফেসবুকে কেন্দ্রীয় যুবদলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রিন্স আহমেদ ইমরান লিখেছেন, “জুলাই—আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতে করেছে। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সফিকুল আলমের জামিনদার হলেন মেহেরপর মেহেরপুর সদর থানা বিএনপি সভাপতি মারুফ আহম্মেদ বিজন ভাই। শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করবেন না, তাহলে মানুষ ক্ষমা করবে না ।”

প্রিন্স আহমেদ ইমরানের স্ট্যাটাসে অ্যাড. এহান উদ্দিন মনা লিখেছেন, আসলে ভাই তোমাদের বিষয়টা জানার ভুল আছে। বিজন ভাই ঐখানে রাজনৈতিক ব্যাক্তি হিসাবে সাক্ষর করেন নাই উনি মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ওনার জিম্মায় মেহেরপুর জেলা জজ সাহেব জামিন দিয়েছে। এখানে বিজন ভাই নয় সভাপতি হিসেবে যে দায়িত্বে থাকতো তাকেই এই দায়িত্বটা পালন করতে হতো আইনজীবী হিসাবে। সুতরাং আপনাদের ভাবনাটা সম্পূর্ণই ভুল।

প্রতি উত্তরে প্রিন্স আহমেদ ইমরান লিখেছেন, “এহান উদ্দিন মনা, আওয়ামী লীগের সাথে কিসের সৌজন্যতা। যারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয় নাই তাদের সাথে কিসের সৌজন্যতা।”

নাজমুল হোসেন নামের একজন এহান উদ্দিনকে মেনশন করে লিখেছেন, “২০১৮ শফিকুল আলম সভাপতি ছিল তখন বিএনপির কয়টা আইনজীবীর জিম্মাদার হয়েছিল বলবেন কি? এমন কোন ডকুমেন্ট আছে।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মী অ্যাড, শফিকুল আলমের মামলার নথি ও জেলা আইনজীবী সমিতির প্রত্যায়ন পত্রও পাঠিয়েছেন মেহেরপুর প্রতিদিন কার্যালয়ে।




মুজিবনগরে বিএনপির নেতা রফিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মহানজনপুর ইউনিয়নের গোপালপুর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খোরশেদ আলম দুখুর পিতা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি আজ শুক্রবার দিবাগত রাত চারটার দিকে কুষ্টিয়া মান্নান হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি তার স্ত্রী, ৩ ছেলে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

আজ শুক্রবার ১১টার দিকে গোপালপুর ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।

জানাযা ও দাফনকাজে জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, পৌর বিএনপি’র সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবিব সোনা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ শেনজির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেন মিন্টু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসানাত আফরোজ, জেলা বিএনপি’র ও মহাজনপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন।




মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক গুরুতর অসুস্থ, আইসিইউতে ভর্তি

র‌্যাবের হাতে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গ্রেফতারকৃত মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এমএ খালেক জেলখানার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পুলিশী পাহারায় মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) তে ভর্তি করা হয়েছে।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক চিকিৎসক জমির মো: হাসিবুস সাত্তার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মেহেরপুর জেলা কারাগার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে কারা পুলিশ এমএ খালেককে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) তে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এমএ খালেকের হার্টেরও সমস্যা রয়েছে এবং ভারতের বেঙ্গালুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে, বর্তমানে তাঁর অবস্থা ভালো।

মেহেরপুর জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার দেবদুলাল জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরের দিকে এমএ খালেককে কারাগারে নিয়ে আসেন পুলিশ। তারপর বিকালের দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারাগারের চিকিৎসক তাঁকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানেই ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।




চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর পদধ্বনি অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর পদধ্বনির ১৫৫১ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ কার্যালয়ে আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটাই চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাপ্তাহিক পদধ্বনি অনুষ্ঠিত হয়। ১৫৫১তম পর্বে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ইকবাল আতাহার তাজ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাবেক সভাপতি বনোয়ারী লাল বাগলা গুরুতর অসুস্থ থাকায় ওনার সুস্থতা কামনা করা হয়। স্বরচিত লেখা পাঠ করেন আবু নাসিফ খলিল, নটরাজ হারুন অর রশিদ, খালেকুজ্জামান, এম এ হামিদ,শওকত আলী বিশ্বাস,কাজল গুরু, বনলতা, মিম্মা সুলতানা,সুমন মালিক,শহিদুল ইসলাম, আনছার আলী,কাজল মাহমুদ, হুমায়ুন কবীর,সুমন ইকবাল,ডা. তোফাজ্জল প্রমুখ।

স্বরচিত লেখার উপর আলোচনা করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ইকবাল আতাহার তাজ, সহ সভাপতি আনছার আলী, কাজল মাহমুদ,আবু নাসিফ খলিল প্রমুখ। চিরায়ত সাহিত্য থেকে লেখা পাঠ করেন এ্যাড. বজলুল রহমান। অনুভূতি ব্যক্ত করেন অধ্যক্ষ শাহাজাহান, শেখ সেলিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সহ সাধারণ সম্পাদক সুমন ইকবাল ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোলাম কবীর মুকুল, হোসেন মোহাম্মদ ফারুক প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে সভাপতি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।




কোটচাঁদপুরে জাতীয় যুব দিবস পালিত

“দক্ষ যুব গড়বে দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ”এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে জাতীয় যুব দিবস ২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য যুব র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (০১ নভেম্বর) সকালে উপজেলা প্রসাশন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‍্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন দিক প্রশিক্ষণ শেষে অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উঠছে মে। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শামসুল আলম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাফদারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, দোড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বিশ্বাস, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম, মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার ফারুক হোসেন, কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বাশার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাইফুল ইসলাম শিলু, ফায়েজ আহাম্মেদ অনিক, শাহরিয়ার রহমান অভিক, আলী হাসান প্রমুখ।

সে সময় ১১ জনের মাঝে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকার যুব ঋণের চেক বিতরণ করা হয়। এ সময় শিক্ষক, ছাত্র, ছাত্রী, উদ্দোক্তা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গার নেহালপুরে টিসিবি’র পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গার নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবি’র পণ্য বিতরণে ব্যাবক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কার্ড থাকা সত্বেও অনেক কার্ডধারীকে দেয়া হয়নি মালামাল। সকাল থেকে দিনমুজুর কামাই করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেছে খালি হাতে। মালামাল না পেয়ে নিজের কার্ড ফেরত চাইলেও তা দেয়নি কর্তপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তোভোগি মহলে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নে গত পরশু বৃহস্পতিবার টিসিবি’র পন্য বিক্রির নির্ধারিত দিন ধার্য ছিলো। কার্ডপ্রতি ৪৭০ টাকায় ৫ কেজি চাল, ২ কেজি মসুরির ডাল এবং ২ লিটার তেল বরাদ্ধ ছিলো। ইউনিয়নের কোটালী গ্রামের কলম আলী, ইনতাজ, মমিন, রাজ্জাক, আছিয়া, জবেদা, আ.রহমান, মনভাজ, কহিনুর, আনেছা, শুকুর আলী, শামীম, আমিরুল, নেকবার, আনারুল, বিল্লাল, জরি আলী, বকুল, জাহাঙ্গীর, সাদিকুল, নাজমা, রহিমা, খাইরুল, কাবিল, শহিদুল, জামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, শুরু থেকে আমরা টিসিবি’র মালামাল পেয়ে আসছি। সে মোতাবেক জন কামাই করে সকাল টিসিবি’র মালামাল কেনার জন্য পরিষদে যায়। পরিষদের পক্ষ থেকে আমাদেরকে জানানো হয় তালিকায় তোমাদের নাম নেই। তখন আমরা আমাদের কার্ডটি ফেরত চাই। কার্ড ফেরত দিতে নানা টালবাহানা শুরু করে দেয় দায়িত্বরতরা। এক এক সময় একএক ধরনের তথ্য দেয়া হয় আমাদের। এনিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং হট্রগোল ও চরম বিশৃংখলা দেখা দেয়। চৌকিদার মিজানুর, আজিজুল ও আমিরুল আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার ও মারমুখি আচরণ করে। আমরা কেন টিসিবি’র পণ্য পাবনা তার যৌক্তিক কারণ জানতে চাই। অধিকার চাইতে গেলে দায়িত্বরতা পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেবারও ভয় দেখায়। একপর্যায় আমাদের মালামাল লাগবে না, আমাদের কার্ডটি অন্ত:ত্ব ফেরত দেন। কার্ডটি ফেরত দিতেও ব্যার্থ হয় কর্তৃৃপক্ষ।

এদিকে একটি সূত্র জানায়, সাবেক বেগমপুর ইউনিয়নে ২ হাজার ৫৬টি টিসিবি’র কার্ডধারী সদস্য আছে। যার মধ্যে নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নে প্রায় ১ হাজার ১৫৬টি বরাদ্ধ রয়েছে। পরে অবশ্য ২ হাজার কার্ড দু’টি ইউনিয়নে সমান ভাগে ভাগ হয়েছে বলে জানাগেছে।

কার্ডধারীরা অভিযোগ করে আরও বলেন, কার্ডধারী দরিদ্র মুনুষগুলো একটু স্বাশ্রয়ে পণ্য কেনার আশায় দিন কামাই করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেয়ে না খেয়ে মালামাল না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। আর চৌকিদার দফাদারা যে আচরন করে খে সেটা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নিকট বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানিয়েছে ভুক্তোভোগি মহল।