শান্ত-মুশি জুটিতে বড় জয় বাংলাদেশের

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। এই জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।

বুধবার (১৩ মার্চ) জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও জেনিথ লিয়ানাগের ফিফটিতে ৪৮ ওভার ৫ বলে ২৫৫ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও তানজিম সাকিব নেন ৩টি করে উইকেট।

২৫৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকেন টাইগার ব্যাটাররা। এরপর ক্রিজে আসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন শান্ত।

৬৯ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৯২ রানে ৩৭ বলে ৩৭ রান করে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। এরপর ক্রিজে আসা মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন শান্ত। লঙ্কান বোলারদের ওপর চড়াও হন এই দুই ব্যাটার।

দুজনেই তুলে নেন ফিফটি। এরপর আরও আগ্রসী ব্যাটিং করতে থাকেন শান্ত-মুশফিক। মারমুখী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন টাইগার কাপ্তান। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে ৩২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।

শান্ত ১২৯ বলে ১২২ ও মুশফিক ৮৪ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




আলমডাঙ্গায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল দশটার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন, ওসি তদন্ত একরামুল হোসাইন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র খন্দকার মুজিবুল হক, হারদী হসপিটালের আর এম ও ডাক্তার শারমিন সুলতানা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল্লাহিল কাফি, কৃষি অফিসার রেহানা পারভীন, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আব্দুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাবেক পৌর মেয়র এম সবেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল কুদ্দুস, একাত্তরের অগ্নি সেনা বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দিন পারভেজ।

কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামীম রেজার উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আজিজুল হাকিম, তথ্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, কোষাধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া, স্যার ডিলার সমিতির সভাপতি হাজী রফিকুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আল মামুন।

তাছাড়া অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান, মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম মাসুদ কামাল, উপজেলা মডেল মসজিদের হাজী হাফেজ ওমর ফারুক প্রমুখ।




আলমডাঙ্গায় ৯ দোকানিকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা জরিমানা

আলমডাঙ্গায় রমজানের দ্বিতীয় দিনে বাজার তদারকিতে নেমেছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত ও মনিটরিং দল। ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা ছাড়াও পৌর শহরের ৯টি দোকানিকে অতি মুনাফার জন্য সাড়ে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও মনিটরিং দল ঘুরে আসার পরপরই দাম বাড়িয়ে দিতে দেখা গেছে অসাধু ব্যবসায়ীদের। এক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগের কথা বলছে উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আলমডাঙ্গা পৌরবাজারে আজ বুধবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার মনিটরিং করতে দেখা যায়। বর্ধিত দামে বিক্রি হওয়া খেজুর, তরমুজ, শসা, ডালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা এবং আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা। পরীক্ষা করেছেন ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ। এরমধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মূল্যে পণ্যবিক্রির দায়ে ৯ ব্যবসায়ীকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত ও মনিটরিং দল চলে আসার পর পরই এসব ফল, শসা ও মুদির দোকানে আবার অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে।




ঝিনাইদহের এক সময়ের খরোস্রোতা বেগবতী এখন মরা খাল

ঝিনাইদহ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত বেগবতী নদীটি নাব্যতা হারিয়ে এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে। বিশেষ করে জেলার প্রতিটা জায়গায়ই এই নদীটি প্রভাবশালীদের অবৈধ দখল ও দূষণের কারনে ভরাট হয়ে একেবারেই সংকুচিত হয়ে গেছে।

আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগেও বেগবতী নদীতে পানি থাকতো ভরপুর। ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নদী পথে দানব আকৃতির লঞ্চ, ষ্টিমার ও বড় বড় নৌকা নিয়ে ঝিনাইদহ সহ কালীগঞ্জ অঞ্চলে ধান, পাট ক্রয় করতে আসতো ব্যাপারীরা। ধানের বিনিময়ে কুমার সম্প্রদায়ের লোকজন আসতো মৃৎ শিল্পের হাড়ি পাতিলসহ বিভিন্ন বাসন কোষন বিক্রয় করতে। নদির দু’পাড়ের জেলে, বাগদি সম্প্রদায়ের লোকজন সারা বছর বেগবতী নদীতে মাছ ধরে এলাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করতো।

মাছ কিনে খাওয়া লাগতো না নদীর পাড়ের কৃষকদের। নদীর মাছ দিয়েই তাদের পূরো বছর চলে যেত সাথে পূরণ হতো আমিষের চাহিদা। বর্তমান নদীতে বড় বড় নৌকা তো দূরের কথা নদীর অনেক স্থান শুকিয়ে গিয়ে আবাদি জমিতে পরিনত হয়েছে। এই নদীর মধ্যে চাষ হচ্ছে ফসলসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি। এক সময়ের খরস্রোতের বেগবতী নদীর পানির এতোটাই বেগ ছিল যে, এই নদীর পানির গতিসম্পন্ন বেগের জন্য এই নদীর নাম বেগবতী করা হয়েছিল।

বেগবতী নদীটি মুলত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙা নদী থেকে শুরু হয়ে ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের বিলাঞ্চল হয়ে মাগুরা জেলার একটি নদীতে মিশেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা কবাই, হানুয়া, আঙ্গারিয়া, মুরাদিয়া, বিষয়খালী, নলডাঙ্গা বাজারের পাশদিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কোলা বাজারের বড় রায়সা গ্রামের পাশ অতিক্রম করে মাগুরা জেলার সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে ফটকি নদীতে নিপাতিত হয়েছে।

বেগবতী নদীর দৈর্ঘ্য ৫৩ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৩২ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা (পাউবো) কর্তৃক বেগবতী নদীর প্রদত্ত পরিচিতি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬৩ নং নদী। বেগবতী নদী চুয়াডাঙ্গা জেলার মাথাভাঙা নদীর একটি শাখা নদী।

নদী পাড়ের বাসিন্দা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তৈলকূপী গ্রামের মীর আরিফ বাক্কু জানান, অবৈধ দখলদারদের দখল উৎসব ও দূষণের কারনে এবং সময়ের বিবর্তনে নদীটি এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে। ভরা মৌসুমেও ঢেকে আছে কচুরিপানায়। এই নদীটি রক্ষায় এগিয়ে আসেনি কেউ, কারোর কানে পৌছায় না বেগবতী নদীর নিরব কান্না! এই নদীটি যেসব অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সে অঞ্চলের শোভা বর্ধনের পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় নদীটির অংশীদারীত্ব অসম।

বাংলাদেশ নদী রক্ষা কমিটির কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ও মানবধিকার কর্মী শিবু পদ বিশ্বাস বলেন, বেগবতী নদীটি ঝিনাইদহ সদর উপজেলা থেকে মাগুরা জেলার ফটকি নদী পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৫৩ কিলোমিটার গড় প্রস্থ ৩২ মিটার। আমরা আগে দেখেছি বেগবতী নদী যে সমস্থ হাট বাজার বা শহর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে, সেই সমস্থ এলাকায় নৌবন্দর ছিল। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লঞ্চ, স্টিমার ও বড় বড় নৌকা বাণিজ্য করতে আসতো এসব নৌবন্দরে। এখানে মনোমুগ্ধকর ও প্রাকৃতিক পরিবেশ ছিল অসম্ভব নান্দনিক। এখন আর এসবের কিছুই নেই। দখল ও দূষনের কারনে দু’পাড়ের প্রভাবশালী সুবিধাবাদী মহল ময়লা আবর্জনা ফেলে নদী ভরাট করে দখল করে নিয়েছে নদীর সিংহভাগ। দখলের পর স্থায়ী ভবনসহ মার্কেট, বিভিন্ন কলকারখানার ময়লা আবর্জনা নদীতে ফেলে দূষিত করা হচ্ছে পানি। আমরা চাই সরকারি উদ্যোগে নদীটি দখলমুক্ত এবং খনন করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে পানি চলাচল স্বাভাবিক হোক। যাতে নদীতে বারো মাস পানি থাকে। আর পানি থাকলেই নদী পথে ব্যবসা বানিজ্যের সুবিধাসহ বিলুপ্তপ্রায় সকল দেশীয় প্রজাতির মাছ বংশ বিস্তার করবে এবং আমিষের ঘাটতি পূরন হবে। তাই বেগবতী নদীসহ জেলার মধ্যে প্রবাহিত নবগঙ্গা, চিত্রা, বুডি, ভৈরবা, গড়াই, কপোতাক্ষসহ সকল নদ-নদী দখলমুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ৬৩ জেলার খাল খনন প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায়ে ধরে দিয়েছি এটা পাশ হলে এর কার্যক্রম শুরু হবে। এটা একনেকে টার্নিক কমিশন থেকে অবজাভেশন দিয়েছে ওটা অবজাভেশন করে আবার জমা দিলে তারপর পাশ হবে। তারপর অবৈধ দখলমুক্ত এবং খনন কার্যক্রম শুরু হবে। তবে কতোদিনের মধ্যে হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি এই কর্মকর্তা।




দামুড়হুদায় গণহত্যা ও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্ততিমূলক সভা

দামুড়হুদায় ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, ২৫ মার্চ গনহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিদা খাতুন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানা, সমবায় অফিসার হারুন অর রশিদ, দামুড়হুদা ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দীন, দামুড়হুদা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি রুস্তম আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড সৈয়দ মজনুর রহমান, আছের উদ্দিন, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি এম নূরন্নবী, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হযরত আলী ,দামুড়হুদা উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মামুনুর রশিদ সহ উপজেলার সকল অফিসার বৃন্দ, সমাজসেবক, শিক্ষক ও সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা বলেন, গণহত্যা ও মহান স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় জীবনের অহংকার। দিবসটি যথাযথভাবে উদযাপনে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন প্রতিবছরই বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে থাকে। এবছরও দিবসটি পালনে প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্ততি নিবে।

এছাড়াও দিবসের সকল কর্মসূচি সুন্দর, সফল ও সার্থক করতে প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা- কর্মচারীদের অনুরোধ জানান বক্তারা।




রোজায় পানিশূন্যতা এড়ানোর ৫ উপায়

বছর ঘুরে আবারও চলে এসেছে পবিত্র রমজান মাস। এ মাসে প্রতি বছর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রোজা রাখেন সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহারে বিরত থেকে। দীর্ঘ সময় পানি পান না করায় এবং ইফতারে পরিমাণমত পানি পান না করায় এসময় হতে পারে খুব সহজেই পানিশূন্যতা।

পানিশূন্যতা হলে শরীরে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন, অতিরিক্ত মুখ বা ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি। এর থেকে তৈরি হতে পারে নানা জটিলতা। তাই রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে যা করবেন:

১। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়ে দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করুন সচেতনভাবে। প্রতিবেলা খাওয়ার ১০ মিনিট আগে ও পরে পানি পান করুন। খাওয়ার মাঝে পানি পান না করাই ভালো। এছাড়াও একবারে অতিরিক্ত পরিমাণ পানি পান না করাই ভালো।

২। রোজায় খাদ্য তালিকায় সহজপাচ্য খাবার রাখুন। ভাজাপোড়া বা তেল মসলাযুক্ত শরীরকে আরও পানিশূন্য করে তোলে।

৩। ইফতারে রাখুন প্রচুর পানিজাতীয় খাবার ও ফল। রাখতে পারেন শসা ও তরমুজ জাতীয় ফল। এতে শরীরে পানির ঘাটতি দুর হবে।

৪। ডাবের পানি খেতে পারেন প্রতিদিন। প্রয়োজনে স্যালাইন খান। সেইসঙ্গে চিনিমুক্ত শরবত রাখুন ইফতারে। তবে অতিরিক্ত চা কিংবা কফি পান থেকে বিরত থাকুন এ সময়।

৫। রোজা রেখে রোদ এড়িয়ে চলাই ভালো। ভারি ব্যায়ামও এসময় এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে ইফতারের পর হালকা শরীরচরচর্চা করে নিতে পারেন। নয়তো ঘাম বেশি হয়ে পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ার আশংকা থাকে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে মৌমাছির আক্রমণে ৭ জন আহত

মেহেরপুরে মৌমাছির আক্রমণে ৭জন আহত হয়েছে। আজ বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের ইসলামনগরে এই ঘটনা ঘটে।

এ সময় মৌমাছির কামড়ে আহত হয় জাহান ফকির, ভ্যানচালক আকাশ, মিরাজ, লিলি, জানু সহ আরো দুইজন।

প্রত্যক্ষদোষীরা জানান, আমঝুপি ইউনিয়নের ইসলামনগর সড়কের বট গাছে থাকা মৌ চাকে বাজপাখি ছোবল দিলে মৌমাছির চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় পাখিভ্যানে থাকা যাত্রীসহ ৭ জন আহত হয়। আমরা তাদেরকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।




দর্শনায় ইট বোঝায় ট্র্যাক্টটরের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ইট ভর্তি ট্র্যাকটররের চাকায় পিষ্ট হয়ে মিনারুল (১৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে।নিহত মিনারুল দর্শনা থানার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া নতুন পাড়ার সার্তকের ছেলে।

প্রত্যক্ষসুত্রে জনাযায়, আজ বুধবার (১৩ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে সুপার ভাটা থেকে ট্রলিতে ইট বোঝায় করে সুপার ভাটার ২শ গজ অদুরে দক্ষিন চাঁদপুর গ্রামের ড্রাইভার ফিনুর কাছ থেকে ট্রলিতে উঠতে যায়।

এ সময় মিনারুলের পা ফসকে চলন্ত ট্র্যাকটররের চাকার নিচে পড়ে যায়।এতে তার শরীলের উপর দিয়ে চলে যায়।সাথে সাথে তার বায়ু পথ দিয়ে নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে ঘটনাস্থলে যুবক মিনারুল নিহত হয়।স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তবত ডাক্টার তাকে মৃত্য ঘোষনা করে।নিহত মিনারুলের লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মর্গে আছে বলে জানাযায়। মিনারুলের অকাল মৃত্যুতে তার পরিবারসহ ঐ গ্রামে নেমে এসেছে শোকের মাতম।

এ ঘটনায় দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমারসাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিয়ষটি আমি শুনেছি তবে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ভটা মালিকসহ ড্রাইভারের বিরুদ্ধে।




মেহেরপুরে সাবেক শিক্ষকের মৃত্যু

মেহেরপুরের হিজুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আব্দুল মুতালিব ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ দুপুর ১ টার সময় হিজুলি গ্রামে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়। তিনি এনজিও কর্মী ও সাংবাদিক সাদ আহাম্মদের পিতা।

মৃত্যুকালে আব্দুল মুতালিবের বয়স হয়েছিলো (৮০ বছর)। তিনি ২ ছেলে ও ২ মেয়েসহ পিতা ছিলেন।

আজ বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটের সময় জানাজা শেষে হিজুলি কবরস্থানে দাফন করা হবে।




মেহেরপুর বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান, দুই যুবকের জেল জরিমানা

মেহেরপুর বিআরটিএ অফিস অভিযান পরিচালনা করে সরকারি কাজে বাধা প্রদান করায় দুই যুবককে জেলা ও জরিমনা করেছে দুদকের একটি টিম।

আজ বুধবার (১৩ মার্চ ) দুপুরে দুদুক সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করায় নাজমুস সাকিব ও শাওন খান নামের দুই যুবককে আটক করেন তিনি।

পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবির হোসেন সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দণ্ডবিধির ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় নাজমুস সাকিবকে ২০০ টাকা জরিমানা এবং শাওন খানকে ৩দিনের জেল ও ২০০টাকা জরিমানা করেন। দণ্ডিত শাওন খান মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার এবং নাজমুস শাকিব স্টেডিয়াম পাড়ার বাসিন্দা।

দুদকের সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান মেহেরপুর প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।