টিকটককে ছাড়িয়ে বিশ্বের শীর্ষ অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম

২০২০ সালে টিকটককে অনুসরণ করে কম দৈর্ঘ্যের ভিডিও ফিচার ‘রিলস’ নিয়ে আসে ইনস্টাগ্রাম। ওয়্যার ৩২৫ বিশ্বের সর্বাধিক ডাউনলোড করা অ্যাপ হিসেবে টিকটককে ছাড়িয়ে গেল ইনস্টাগ্রাম। টিকটকের কম দৈর্ঘ্যের ভিডিওর ফিচার নকল করে রিলস চালু করে হারানো অবস্থান ফিরে পেল ছবি ও ভিডিও শেয়ারের যুক্তরাষ্ট্রের এই প্ল্যাটফর্ম। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

২০১০ সালে ইনস্টাগ্রাম চালু করে মার্ক জাকারবার্গ। উন্মোচনের পরপরই এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এই অ্যাপ ‘ইনফ্লুয়েন্সার সংস্কৃতির’ ভিত্তি স্থাপন করে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের টিকটক প্ল্যাটফর্ম থেকে নিজের অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্রেই কঠোর প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়েছে।

প্ল্যাটফর্মটিকে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে নিতে এই ফিচার ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী অ্যাপটি ৭৬ হাজার ৭০০ কোটি বার ডাউনলোড করা হয়েছে, যা ২০২২ সালের চেয়ে ২০ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী টিকটক ৭৩ হাজার ৩০০ কোটি বার ডাউনলোড করা হয়েছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় ৪ শতাংশ বেড়েছে। । ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে টিকটকই সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা হয়।

বাজার বিশ্লেষক সংস্থা সেনসর টাওয়ার বলেছে, ‘সম্ভবত রিল ফিচারের জনপ্রিয়তার জন্য ইনস্টাগ্রাম পুনরুজ্জীবন পেয়েছে। পাশাপাশি স্ন্যাপচ্যাটের মতো কিছুক্ষণ পর অদৃশ্য হয়ে যাওয়া ফটো শেয়ারিং ও স্টোরি-ভিডিওর মতো ফিচার প্ল্যাটফর্মটির জনপ্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করেছে।’

যুক্তরাজ্যভিত্তিক ডিজিটাল বিপণন সংস্থা অ্যাকুরাকাস্টের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরহাদ দিভেচা বলেন, প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়া টিকটকের হুমকির প্রতি দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ইনস্টাগ্রাম উপকৃত হয়েছে। এ ছাড়া বৃহত্তর জনসংখ্যার কাছে প্ল্যাটফর্মটির জনপ্রিয়তাও ইনস্টাগ্রামকে এগিয়ে রাখতে সাহায্য করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘ইনস্টাগ্রামের একটি ইতিবাচক দিক হলো-একটি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে ইনস্টাগ্রামের আবেদন রয়েছে এবং ‘টিকটকের মতো এটি শুধু বাচ্চাদের’ কাছেই জনপ্রিয় নয়।’

সেন্সর টাওয়ারের মতে, প্রতি মাসে প্রায় ১৫০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে। অপরদিকে প্রতি মাসে ১১০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী টিকটক ব্যবহার করে। তবে টিকটকের বেশি সময় সক্রিয় থাকে এমন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি। টিকটকের ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে ৯৫ মিনিট অ্যাপটি ব্যবহার করে থাকেন যেখানে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী গড়ে ৬২ মিনিট অ্যাপটি সক্রিয় থাকেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টিকটককে একটি গুরুতর প্রতিযোগিতামূলক হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও ইনস্টাগ্রামের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। ২০২২ সালে তিনি বলেন, তার কোম্পানির অ্যাপগুলো থেকে ব্যবহারকারীদের মনোযোগে সরিয়ে ফেলার জন্য অসংখ্য প্রতিযোগী রয়েছে ও টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো ‘খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে’।

একই বছর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি রিপাবলিকান পরামর্শক সংস্থাকে কোম্পানির প্রতিদ্বন্দ্বীকে ঘিরে জনসাধারণের অবিশ্বাস তৈরির জন্য অর্থ প্রদান করেছিল মেটা। চীনের মালিকানার প্রভাব সম্পর্কে চলমান উদ্বেগের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুতর রাজনৈতিক বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছে টিকটক। এই সপ্তাহে টিকটকের মূল কোম্পানি বেইজিংভিত্তিক বাইটড্যান্সকে প্ল্যাটফর্মটিকে বিক্রিতে বাধ্য করতে বা নিষিদ্ধ করতে মার্কিন কংগ্রেসনাল প্যানেল একটি বিল অনুমোদন করছে। টিকটক ব্যবহারকারীর ডেটা চুরি করেছে চীনের সরকার এমন দাবি নিয়ে মার্কিন আইন প্রণেতারা ও পশ্চিমা বিশ্বের অন্যত্র রাজনীতিবিদরা উদ্বিগ্ন। তবে এই দাবি ধারাবাহিকভাবে অস্বীকার করেছে টিকটক।




টাইব্রেকারে হেরে বিদায় রোনালদোর আল নাসরের

এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল বিদায় নিয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ক্লাব আল নাসর। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল আইনের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল আল নাসর। সোমবার (১১ মার্চ) রাতে ফিরতি লেগে রাতে ঘরের মাঠে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ৩-২ গোলের ব্যবধানে জয় পায় সৌদি ক্লাবটি।

তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ গোলের সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের খেলায় ১০৩ মিনিটে গোল করে আল আইন। এরপর ম্যাচের ১১৮ মিনিটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান রোনালদো। শেষ পর্যন্ত ৪-৪ গোলে সমতায় থেকে শেষ হয় ১২০ মিনিটের খেলা।

এরপর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে আল নাসরের পক্ষে শট নেন চার জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র রোনালদো গোল করতে সক্ষম হন। মার্সেলো ব্রোজোভিচ, আলেক্স তেলেস ও ওটাভিও গোল করতে ব্যর্থ হন। তাতে টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে হেরে বিদায় নেয় রোনালদোর আল নাসর।
সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে সোশ্যাল ম্যাপ সম্পর্কিত কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে প্রেরণা আর্থ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে সোশ্যাল ম্যাপ সম্পর্কিত এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হযয়েছে। গতকাল সোমবার (১১ মার্চ) প্রেরণা আর্থ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নিজ কার্যালয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

দুদিনব্যাপী চলমান কর্মশালায় সংস্থার চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ হাসানুজ্জামান মালেকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশ বরেণ্য সমাজবিজ্ঞানী এম এ ওয়াহেদ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সমাজ সেবক ও কর্মকর্তা এম এ গনি।

এসময় উপস্থিত অতিথিরা বলেন, আমাদের দেশে সরকারি, আধাসরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে অনেক কর্মসূচি নেওয়া হয়। এ সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব থাকে। এছাড়া নিড অ্যাসেসমেন্ট এবং সোশ্যাল ম্যাপ না থাকায় অনেক বড় উদ্যোগও সফলভাবে বাস্তবায়িত হতে পারেনা। আমাদের প্রেরণা সংস্থা এটি ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান। এ সংস্থা সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কয়েকটি ক্ষুদ্র কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ সকল কর্মসূচি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংস্থার কর্মী ও সদস্যদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।




আলমডাঙ্গার বধ্যভূমি পরিদর্শনে ও নেতাকর্মিদের সাথে মতবিনিময় এমপি ছেলুন  

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন আলমডাঙ্গার বধ্যভূমি পরিদর্শন ও নেতাকর্মিদের সাথে মত বিনিময় করেছেন।

তিনি গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বধ্যভূমিতে এসে বধ্যভূমি পরিদর্শন শেষে মত বিনিময় করেন। মত বিনিময়কালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন,আওয়ামীলীগ হলো মাটি ও মানুষের সংগঠন।

এ সংগঠনের তৃণমূলের কর্মিরা হলো অত্যন্ত নিবেদিত। তাদের তেমন কোন চাওয়া পাওয়া নেই। তারা আওয়ামীলীগকে হৃদয়ে ধারণ করে। যার প্রমাণ তারা বার বার দিয়েছে। এবারের নির্বাচনেও তারা আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে, শেখ হাসিনার প্রতি আস্তা রেখে নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে আবারও নির্বাচিত করেছে। তাদের এই ভালোবাসার ঋণ শোধ হবার নয়। তৃণমূলের নেতাকর্মিদের নৌকার প্রতি যে আস্তা তার প্রতিদান আমাদের দিতে হবে।

তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু এই দেশকে সোনার বাংলা গড়ে তোলার যে স্বপ্ন দেখতেন তাঁর সেই স্বপ্ন আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদেরকেও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। দুঃখি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।উল্লেখ্য জননেতা সোলায়মান হক জোয়ার্দার সম্প্রতি বিদেশে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেই তার নিজ এলাকা চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গায় ফিরে আসেন।

মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস,বন ও পরিবেশ বিষয়ক সমরপাদক সহিদুল ইসলাম, সাবেক সদস্য সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু ,সাবেক উপপ্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন,ইউপি চেয়ারম্যান আসিকুর রহমান ওল্টু,সোহানুর রহমান সোহান,শেখ আসাদুল হক মিকা,প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু,সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম,জেলা মৎসজীবিলীগের সভাপতি শাহাবুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী ঠাণ্ডু রহমানউৎপলনহক, আব্দুল মালেক, কালিদাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, জয়নাল আবেদীন, পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আলাল উদ্দিন, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মিজানুর ররহমান,যুবলীগের উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক ডিটু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল হক, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল হোসাইন বাদশা, পাপন রহমান, গোলাম সারোয়ার শামিম, লাভলু, শরিফুল মেম্বার প্রমুখ।

এর আগে এমপি ছেলুন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাসের সাথে দাপ্তরিক কাজের বিষয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তিতে এমপি ছেলুন শিক্ষাঙ্গের বেহাল দশার কথা তুলে ধরেন।এখন থেকে আমাদের সকলকে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিতে তদারকি বাড়াতে হবে। ভবিষৎ প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হলে অভিভাবকদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এরপর বধ্যভুমি পার্কের নকসা দেখেন এবং অচিরেই বধ্যভুমি শিশু পার্কের কারার সংকল্প ব্যাক্ত করেন।




আলমডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়কে হেলেপড়া গাছ পথচারীর মরণফাঁদ

আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কের দু’পাশে শতাধিক গাছ ও গাছের ডালপালা কাটা হয়নি। সড়ক জুড়ে রয়েছে কিছু হেলে পড়া গাছ। সারি সারি গাছের ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে মরা গাছও। এসব গাছ পথচারীর জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায়ই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে হাজারো গাড়ি। যে কোনো মুহূর্তে মরা গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার সদর হতে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার ও কুষ্টিয়া সদর অভিমুখে ৭ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে। এছাড়া পৌর এলাকা থেকে উপজেলার বেলগাছি বোর্ড বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ হেলে গেছে। এছাড়া এসব গাছের ডাল শুকিয়ে প্রায়ই ভেঙে পড়ছে সড়কের ওপর। গাছের ডালপালা সড়কের দিকে হেলে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। কয়েক বছর ধরে এসব গাছ মরে থাকলেও কাটার উদ্যোগ নেয়নি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ বিভাগ। ঝড়-বৃষ্টির সময় মরা গাছের ডাল ভেঙে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা এড়াতে এসব গাছ দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ট্রাক ড্রাইভার আবেদ হোসেন জানান, চুয়াডাঙ্গা টু আলমডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়কের কিছু গাছ হেলে পড়েছে। গাছের শুখনো ডালগুলো সড়কের মধ্যে আসায় ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করতে হয়। ঝড়-বৃষ্টির দিন সড়কে গাছ ও ডাল পড়ে যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়।

ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক মোশারফ হোসেন বলেন, পৌর শহরের সন্নিকটের সাত কপাট এলাকার আঞ্চলিক সড়কের একটি গাছ সড়কের মাঝে অর্ধেক হেলে পড়েছে। এতে যাতায়াতে আতঙ্কে থাকি, কখন গাছ ভেঙে ইজিবাইকের উপর পড়ে।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে হেলে পড়া গাছ ও ডালপালা অপসারণের জন্য তাদের অবগত করেছি। তবে পুলিশের প্রশাসনিক কার্যক্রমের বাইরে থাকায় জড়াল ভূমিকা নিতে পারছি না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস জানান, আঞ্চলিক সড়কটি সওজের হলেও সড়কের দুই পাশের গাছগুলো জেলা পরিষদের। তারাই গাছগুলো দেখাশোনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো ইতিমধ্যে মার্কিং করেছেন। টেন্ডার পক্রিয়াধীন রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য মজনুর রহমান জান্টু বলেন, সড়কের দুই পাশে গাছ ও ডালপালা হেলে পড়া গুলো চিন্হিত করে মার্কিং করা হচ্ছে। যাচাই বাছাই করে সেগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হবে। তিনি আরো বলেন- সাত কপাট নামক সড়কের রাস্তার উপরে হেলে পড়া একটি গাছ অর্ধাংশ দ্রুত কেটে সড়ক উন্মুক্ত করা হবে।




আলমডাঙ্গার ফরিদপুরে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানে ইট ব্যবহারের অভিযোগ

আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল রবিবার সরেজমিন ঘুরে নিম্নমানের ইট ভাঙা কাজে শ্রমিকদের ব্যস্ততার ছবি উঠেছে এসেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ থাকলেও মানহীন ইট অপসারণের ব্যবস্থা নিচ্ছে না স্থানীয় প্রকৌশলী বিভাগ এলজিইডি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অত্যন্ত নিম্নমানের ইট ঠুনকো আঘাতেই গুরো হয়ে যাচ্ছে। দেড় কোটি টাকার সড়কে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ইট থেকে শুরু করে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে দায়সারাভাবে কাজ শুরু করলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। তবে ঠিকাদার আপত্তি উপেক্ষা করলে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় যেসব ইট ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিম্নমানের। এতে রাস্তা টেকসই নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রামের মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘব করে সোনার বাংলা বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মেসার্স মন্ডল ফিড কর্ণার মোতালেব হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেনি।

আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি তাহিদ আহম্মেদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিনে পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি সত্যতা পাই তাহলে মানহীন ইট অপসারণ করে কাজ করা হবে।




দর্শনার সুলতানপুরে খামার দিবস পালিত

দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সুলতানপুর গ্রামে আজ সোমবার বেলা ১১টার সময় খামার দিবস পালিত হয়েছে।

সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত প্রাণীসম্পদ খাতের আওতায় বাউ মুরগী পালনে সফল খামারীদের নিয়ে এ খামার দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এহতেশামুল হক। এছাড়াও উপস্থি ছিলেন সহকারী প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা হাসান রেজা, ব্যবসায়ী ও কৃষক রকিবুল ইসলাম ও নাসির উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) অর্থায়নে এবং ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় খামার দিবসে ৮০ জন খামারী উপস্থিত ছিলেন।




ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মেহেরপুর জেলা শাখার কমিটি গঠন

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মেহেরপুর জেলা শাখার ২০২৪ সেশনের নব্য গঠিত আহ্বায়ক কমিটি গঠন ও জেলা সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে।

আজ সোমবার (১১ই মাচ) দুপুর ২ টার সময় আশারায়ে মোবাশ্বারা মাদরাসায় জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের অর্থ ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হোসাইন ইবনে সোরোয়ার।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মেহেরপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ আরিফুল ইসলাম মেহেরপুরী। উক্ত সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন ২০২৩ সেশনের সাবেক সভাপতি ইমরান ইবনে খাদেম।

সম্মেলনের শেষ কেন্দ্রীয় মেহমান হোসাইন ইবনে সোরোয়ার বলেন, দিন দিন বাংলাদেশের কোনাই কোনাই ইসলামী ছাত্র আন্দোলন এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছাত্ররা বুঝতে পারছে ইসলামি ছাত্র আন্দোলন প্রতিটা ছাত্র দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আলহামদুলিল্লাহ! সেই তাগিদে মেহেরপুর জেলার মেধাবী ছাত্ররাও সম্পৃক্ত হচ্ছে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সাথে।

পরে ইমরান ইবনে খাদেম কে সভাপতি, আতিকুর রহমান কে সহ-সভাপতি ও ইব্রাহিম খলিল আবির কে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে মেহেরপুর জেলা নব্য গঠিত আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। কমিটি গঠন শেষে দোয়ার মাধ্যমে সম্মেলন শেষ করেন।




মেহেরপুরে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় খাদ্য তালিকা নির্দেশিকা ২০২০ এর উপর প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মো: শামীম হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের (অ্যাড. সেক্রেটারি) ফুড প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিটের (এফপিএমইউ) মহাপরিচালক মোঃ শহিদুল আলম এনডিসি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলার পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বিপিএম বার পিপিএম, মেহেরপুর জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মহী উদ্দীন আহমেদ, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গবেষণা পরিচালক মোস্তফা ফারুক, গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক সহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় খাদ্য তালিকা নির্দেশিকা ২০২০ এর উপর প্রশিক্ষণের সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (জে এম শাখা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা ) মোছা: রনী খাতুন।




খেজুর ভালো কি না বুঝবেন যেভাবে

রোজাদারদের ইফতারের প্রধান অনুষঙ্গ খেজুর। তাই রমজানে খেজুরের চাহিদা বাড়ে। ক্রেতাদের এই চাহিদাকে মাথায় রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে বিক্রি করে ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খেজুর।

তবে ইফতারের খেজুর না খেলেই নয়। তাই বাজার থেকে খেজুর কেনার সময় অবশ্যই দেখে কিনতে হবে। কারণ পচা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খেজুর খেলে পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়বে।

বাজারে অনেক ধরনের খেজুর আছে। বেশিরভাগ ক্রেতারা রমজানের এ সময় খেজুর কেনেন। নিয়মিত খেজুর না কেনায় আসল পণ্য চিনতে চেনা যায় না। ফলে কিছু দোকানি নিম্নমানের খেজুরকে ভালোমানের বলে বিক্রি করেন। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নিম্নমানের খেজুর তো বাজারে রয়েছেই।

বাজারে অনেক ধরনের খেজুর রয়েছে। ভালো খেজুর চেনার কিছু উপায় রয়েছে। প্যাক করা খেজুর কেনা সবচেয়ে ভালো। এই খেজুরগুলোর প্যাকেটে সাধারণত মেয়াদ লেখা থাকে। এছাড়া খোলা খেজুর কিনতে হলে খেয়াল রাখতে হবে খেজুরে যেন পচা গন্ধ, পোকা ধরা, বেশি কালছে, বেশি শুকিয়ে যাওয়া না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

খেজুর সাধারণত দেড় বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে খেজুর ভালো রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে আমাদের ফ্রিজের নরমালে রাখা। ফ্রিজের নরমাল তাপমাত্রা খেজুর ভালো রাখে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাছি, পিঁপড়া বা পোকা থাকা খেজুর কেনা যাবে না। এগুলো থাকলে বুঝতে হবে কৃত্রিম মিষ্টি মেশানো হয়েছে অথবা খেজুরটি মেয়াদোত্তীর্ণ। ভালো খেজুরের চামড়া হয় কোঁচকানো। কোঁচকানো চামড়া দেখে খেজুর কিনতে হবে। ভালো খেজুরের চামড়া খুব বেশি মসৃণ ও টানটান হবে না। খেজুর খুব বেশি মিষ্টি হলে বুঝতে হবে কৃত্রিম মিষ্টি মেশানো হয়েছে।

খেজুর যত পুরোনো হবে, ভেতরটা তত বেশি লালচে হবে। ভেতরটা সাদা হলে বুঝতে হবে খেজুরটা ভালো। খেজুরের গা তেলতেলে হলে বা পাউডার জাতীয় কিছু থাকলে ধরে নিতে হবে কিছু মেশানো হয়েছে। সেগুলো না কেনাই ভালো।

খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয় চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। খেজুর হচ্ছে শক্তির অন্যতম একটি ভালো উৎস।

সূত্র: ইত্তেফাক