বিএনপির দুই পক্ষের ৫ কর্মী আহত

মেহেরপুরের মুজিবনগরে রাজনৈতিক কথাকাটাকাটিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সৃষ্ঠ সংঘর্ষে পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন, মুজিবনগরের রতনপুর গ্রামের হাসমত খাঁ’র ছেলে মো: জসিম উদ্দীন (৪০), আরোজ আলীর ছেলে শেরেগুল ইসলাম (৪২), মতেহার আলীর ছেলে জাহান আলী (৪৩) ও আসমত আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ ও হোটেল মালিক জানসুরাত (৫০)।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে মুজিবনগর উপজেলার কেদারাগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মায়ের দোয়া হোটেলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

আহতদের মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসাপতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ত্যক্ষদর্শিরা জানান, কেদারাগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মায়ের দোয়া হোটেলের সামনে জসিম উদ্দীন, শেরেগুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ ও জাহান আলী অপরপক্ষে মোঃ ইয়াসিন (৪০ বোরহান (৪২), সাগর (২২) আশিক(৩০), দিদার (৩৫) ও সহোদর ভাই রুবেল এবং ছগির হোসেনের মধ্যে এলাকায় অধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। বাকবিতন্ডার এক পর‌্যায়ে উভয় পক্ষে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। হোটেল মালিক জানসুরাতকে মারধর করে এই ঘটনার জের ধরে দ্বিতীয় দফায় লাঠিশোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালিন সময়ে পাঁচজন আহত হন।

মুজিবনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘাত এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, এখন পর‌্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।




দামুড়হুদায় জাতীয় ভোটার দিবস পালিত

দামুড়হুদায় জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার সকাল ১০টায় “তোমার আমার বাংলাদেশ, ভোট দিব মিলেমিশে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের যৌথ আয়োজনে প্রথমে নির্বাচন অফিস চত্বর থেকে র‍্যালি বের হয়। র‍্যালি শেষে পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভোটার দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ভোটার তালিকা স্বচ্ছভাবে করতে হবে। ভোটার হওয়ার যোগ্যতা রাখে এমন কোনো নাগরিক যেন ভোটার তালিকা থেকে বাদ না যায়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। দেশের প্রতিটি ভোটার যেন সুষ্ঠু পরিবেশে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত যেকোনো নির্বাচনে স্বচ্ছভাবে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের মতো ভোট ব্যবস্থা আমরা আর চাই না।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ মহলের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নূর উল্লাহ, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি সামসুজ্জোহা পলাশ, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ আলী, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম রেজা, উপজেলা সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা ইমরান খান, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মারুফ বিল্লাহ, নাহিদ হাসান, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।




ঝিনাইদহে এক লেবুর দাম ২০ টাকা

রমাজনের প্রথম দিন থেকেই ঝিনাইদহে দাম বেড়েছে সব ধরনের সবজির। প্রয়োজনীয় সবজি বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। মাঝে কয়েক দিন দাম কমলেও গত দু-তিন দিনের ব্যবধানে কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

রবিবার (২ মার্চ) সকালে শহরের নতুন হাটখোলা ও ওয়াপদা বাজার ঘুরে দেখা যায়, পটল ও ঢেঁড়স এই দুইটি সবজির দাম শতক ছুঁয়েছে।

এ ছাড়া অন্যান্য সবজি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৮০ টাকা। সবজির মধ্যে প্রতি কেজি আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পাকা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ১০০-১২০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা পেঁপে ৪০ টাকা ও শসা ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতি হালি লেবু ৩৫ টাকা থেকে দাম উঠেছে ৮০ টাকা পর্যন্ত, শসা ৪০ টাকা কেজি থেকে দাম বেড়ে হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ইফতারে ব্যবহার হয় এমন অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে গত দুদিনে।
খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা বড় আকারের এক হালি লেবুর দর হাঁকছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস লেবু ২০ টাকা। আকারে ছোট লেবুর পিস কেনা যাচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়।

আব্দুল খালেক নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সব কিছুর দাম অনেক বেশি। ৭০-৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। পাশাপাশি মাছ-মাংসের দামও অনেক। তাই, সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তোফাজ্জেল হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘অন্য দেশে দেখি রমজানে পণ্যের দাম কমে যায়, কিন্তু আমাদের দেশে এর উল্টো ঘটে। রমজানে যে হারে জিনিসের দাম বাড়ছে যা সীমার বাইরে। এখন ১ হাজার টাকা নিয়ে বাজারে আসলে কিছু কেনায় হয় না।’
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, ‘রমজানে যেন বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পণ্যের দাম তো অনেক কারণে বাড়ে। তবু আমাদের তদারকি চলছে যেন কেউ অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে না পারে।’




কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ভোকেশনাল শাখা ও শাখাধীন প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে ১৯ ক্যাটাগরির পদে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে ৭৫১ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৮০ শব্দ ও বাংলায় ৫০ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৩০ শব্দ ও বাংলায় ২৫ শব্দ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

২. পদের নাম: লাইব্রেরিয়ান

পদসংখ্যা: ৬৫

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিসহ লাইব্রেরি সায়েন্সে ডিপ্লোমা থাকতে হবে। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

৩. পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৭০ শব্দ ও বাংলায় ৪৫ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৩০ শব্দ ও বাংলায় ২৫ শব্দ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৪. পদের নাম: হিসাবরক্ষক

পদসংখ্যা: ২৮

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষায় অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৫. পদের নাম: ইউডিএ কাম অ্যাকাউন্ট্যান্ট

পদসংখ্যা: ৪

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)

৬. পদের নাম: এলডিএ কাম স্টোরকিপার

পদসংখ্যা: ১৭

যোগ্যতা: ব্যবসায় শিক্ষায় এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৭. পদের নাম: সহকারী কাম স্টোরকিপার

পদসংখ্যা: ১১

যোগ্যতা: ব্যবসায় শিক্ষায় এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৮. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম স্টোরকিপার

পদসংখ্যা: ৪৬

যোগ্যতা: ব্যবসায় শিক্ষায় এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৯. পদের নাম: এলডিএ কাম টাইপিস্ট

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ২০ শব্দ ও বাংলায় ২০ শব্দ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

১০. পদের নাম: সহকারী কাম টাইপিস্ট

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ২০ শব্দ ও বাংলায় ২০ শব্দ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

১১. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর

পদসংখ্যা: ২৭

যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ২০ শব্দ ও বাংলায় ২০ শব্দ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

১২. পদের নাম: কেয়ারটেকার

পদসংখ্যা: ৭৪

যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

১৩. পদের নাম: ড্রাইভার কাম মেকানিক

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। ড্রাইভারের (ভারী) ক্ষেত্রে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ ভারী যানবাহন চালনায় পারদর্শী এবং ড্রাইভারের (হালকা) ক্ষেত্রে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ হালকা যানবাহন চালনায় পারদর্শী হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

১৪. পদের নাম: এলডিএ কাম ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা: ৭৯

যোগ্যতা: ব্যবসায় শিক্ষায় এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

১৫. পদের নাম: ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (সপ)

পদসংখ্যা: ৭ (জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস ৫টি ও ফার্ম মেশিনারি ২টি)

যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট ট্রেডে এইচএসসি (ভোকেশনাল) অথবা সংশ্লিষ্ট ট্রেডে এসএসসি (ভোকেশনাল) বা দাখিলসহ (ভোকেশনাল) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যূন দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অথবা বিজ্ঞানে এইচএসসি বা সমমান পাসসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্যূন এক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা; অথবা এসএসসি বা সমমান পাসসহ দুই বছর মেয়াদি ট্রেড কোর্সে উত্তীর্ণ বা জাতীয় দক্ষতা মান ২ এবং ৩-এ উত্তীর্ণ।

বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)

১৬. পদের নাম: ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (ল্যাব)

পদসংখ্যা: ১৫

যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট ট্রেডে এইচএসসি (ভোকেশনাল) অথবা সংশ্লিষ্ট ট্রেডে এসএসসি (ভোকেশনাল) বা দাখিলসহ (ভোকেশনাল) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যূন দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অথবা বিজ্ঞানে এইচএসসি বা সমমান পাসসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্যূন এক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা অথবা এসএসসি বা সমমান পাসসহ দুই বছর মেয়াদি ট্রেড কোর্সে উত্তীর্ণ বা জাতীয় দক্ষতা মান ২ এবং ৩-এ উত্তীর্ণ।

বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)

১৭. পদের নাম: অফিস সহায়ক/নিরাপত্তা প্রহরী

পদসংখ্যা: ৪৭

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

১৮. পদের নাম: অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা: ৩১৭

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

১৯. পদের নাম: অফিস সহায়ক/গার্ডেনার

পদসংখ্যা: ৫ যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য একই ওয়েবসাইটে জানা যাবে। ২০২৪ সালের ২৫ মার্চ জারিকৃত ১৬৭ নম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ইতিমধ্যে যারা আবেদন করেছেন, তাদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।

আবেদন ফি

অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ১৪ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা; ১৫ থেকে ১৯ নম্বর পদের জন্য ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা এবং সব গ্রেডে অনগ্রসর (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ) প্রার্থীদের পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা: ৪ থেকে ২৪ মার্চ ২০২৫, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।




গাংনীতে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত

“তোমার আমার বাংলাদেশে, ভোট দেব মিলেমিশে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৭ম জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে গাংনীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

রবিবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে হাসপাতাল বাজার প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ভোটরা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্বে করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রীতম সাহা। আলোচনা বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাহিদ ইসলাম।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সামসুল আলম সোনা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেহেরপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব মুজাহিদুল ইসলামসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ ।

আলোচনা সভায় বক্তারা জাতীয় ভোটার দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে ধরেন। সেই সাথে নতুন ভোটারদের নিবন্ধন ও ভোটাধিকার প্রয়োগে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।




পড়াশোনার চাপ বাড়ছে, সন্তানের মন স্থির রাখতে যা করবেন

এখন ডিজিটাল যুগ। আগের চেয়ে আপনার সন্তানের পড়াশোনার চাপ দশগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু পড়াশোনাই নয়, স্কুলের পড়াশোনার বাইরেও নাচের ক্লাস, গান শেখা, ছবি আঁকা বা আবৃত্তি শেখা, ক্রিকেট ও ফুটবল খেলা— সবই চলছে সমানতালে। সব মিলিয়ে আপনার শিশুসন্তানেরও মনের ওপর চাপ বাড়ছে। প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে গিয়ে উদ্বেগের বোঝা বাড়ছে। সে কারণে আপনার সন্তানকে মনস্থির রাখতে ধ্যান অভ্যাস করান।

এ বিষয়ে মনোবিদরা বলছেন, মানসিক চাপ ছোটদের মস্তিষ্কের গঠন ও বৃদ্ধিকে ব্যাহত করতে পারে। কারণ যে শিশুরা দীর্ঘদিন ধরে খুব বেশি মানসিক চাপ ভোগ করেছে, তাদের বুদ্ধির বিকাশ তেমনভাবে হয়নি। স্মৃতিশক্তিও তেমনভাবে উন্নত হয়নি।

ইউনিসেফের একটি সমীক্ষাসূত্রে জানা গেছে, শিশু যদি বেশি উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় ভোগে, তা হলে তাদের আচরণগত পরিবর্তন দেখা দেয়। শিশু অনেক বেশি অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে। ভবিষ্যতে তাদের মেলামেশায় সমস্যা হয়— এমনকি অপরাধমূলক কাজে প্ররোচিতও হতে পারে। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হতে হবে অভিভাবকদের। সে জন্য ছোট থেকেই ধ্যানের অভ্যাস করালে, শিশুর মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমবে। মনোযোগও বাড়বে। ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডার’ (এডিএইচডি)-এ আক্রান্ত শিশুদের জন্যও মেডিটেশন বা ধ্যান খুবই উপযোগী।

পাঁচ মিনিটের মাইন্ডফুল ব্রিদিং

শান্ত হয়ে বসে চোখ বন্ধ করে নাক দিয়ে গভীরভাবে শ্বাস টেনে ৩-৪ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। তার পর ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়তে হবে। খুব তাড়াহুড়া করলে এই ধ্যান হবে না। সবটাই করতে হবে ধীরগতিতে। নাক দিয়ে যতক্ষণ ধরে শ্বাস টানবে শিশু, মুখ দিয়ে সেই শ্বাস ছাড়তে হবে আরও বেশি সময় ধরে। স্কুলে পরীক্ষা থাকলে বা বোর্ডের পরীক্ষার আগে যখন উদ্বেগ বাড়বে, তখন এই ধ্যান করলে মন স্থির হবে।

ঘর অন্ধকার করে একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে দিন। শান্ত হয়ে বসে মোমবাতির শিখার দিকে তাকিয়ে থাকতে বলুন সন্তানকে। চোখের পাতা না ফেলে যতক্ষণ পারবে তাকিয়ে থাকুক। মন বারবার বিক্ষিপ্ত হবে, কিন্তু অভ্যাস করলে মন স্থির হবে খুব তাড়াতাড়ি। যে শিশুদের মনোযোগ কম, অস্থিরতা ও চঞ্চলতা বেশি, তাদের জন্য খুবই উপযোগী হতে পারে এমন ধ্যান।

শান্ত হয়ে পদ্মাসনের ভঙ্গিতে বসতে বলুন সন্তানকে। চোখ বন্ধ রেখে প্রথমে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নেবে। তারপর মুখ দিয়ে শ্বাস নিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রাখতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়তে হবে। শ্বাসছাড়ার সময়ে পেট যেন ভেতরের দিকে ঢুকে আসে। এই প্রক্রিয়া ২০ বার করে করতে হবে। নিয়মিত কপালভাতি করলে মনঃসংযোগ বাড়ে ও স্মৃতিশক্তিও উন্নত হয়।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত

“তোমার আমার বাংলাদেশে, ভোট দেব মিলেমিশে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৭ম জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে আলোচনা সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার সকাল ১০টায় মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা নির্বাচন অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা নির্বাচন অফিসার মো. ওয়ালিল্লাহ।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ। সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দোলন কান্তি চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় এছাড়া আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম, টিটিসির অধ্যক্ষ আরিফ হোসেন তালুকদার প্রমুখ।

এর আগে ৭ম জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে একটি র‍্যালি বের করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে র‍্যালিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে ৭ম জাতীয় ভোটার দিবসের সূচনা করা হয়।




কন্যা রাহার সব ছবি মুছে ফেললেন আলিয়া, কিন্তু কেন?

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ছিল রাহা কাপুরের একগুচ্ছ ছবি। ভক্ত-অনুরাগীরা প্রায়ই একরত্তির ছবির জন্য সেই অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে দেখতেন। হঠাৎ নিজের সামাজিক মাধ্যম থেকে রাহার সব ছবি মুছে দিলেন অভিনেত্রী। হঠাৎ কী এমন হলো যে এ সিদ্ধান্ত নিলেন আলিয়া ভাট? এ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে নেটিজেনদের মাঝে। রাহার মুখ দেখা যাচ্ছে, এমন সব ছবিই প্রায় মুছে দিয়েছেন অভিনেত্রী।

এমনকি জামনগর ও প্যারিসে গিয়ে তোলা একাধিক ছবিও আর নেই আলিয়ার সামাজিক মাধ্যমে। রাহার একটি ছবিই শুধু রয়েছে। নতুন বছর উদযাপনের আগে ছবিটি পোস্ট করেছিলেন আলিয়া। রণবীর ও আলিয়ার কোলে ছোট্ট রাহা রয়েছে ঠিকই, কিন্তু দেখা যাচ্ছে না তার মুখ।

আলিয়ার অনুরাগীরা মনে করছেন, নিরাপত্তার খাতিরেই রাহার সব ছবি সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনার পরেই নাকি আরও বেশি করে সতর্ক হয়েছেন আলিয়া। তাই সব ছবি মুছে দিয়েছেন তিনি।

সাইফের ওপর হামলার ঘটনায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল বলিউড। তদন্তে জানা গিয়েছিল এক দুষ্কৃতকারী প্রথমেই ঢুকে পড়ে কারিনা-সাইফের ছোট ছেলে জেহর ঘরে। ছোট্ট জেহ সেই পরিস্থিতিতে বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিল। ন্যানির সাহায্যে কোনোমতে সেই ঘর থেকে পালিয়ে যায় সে। সেই ঘটনার পর থেকে সতর্ক হয়ে পড়েছেন কারিনা ও সাইফও। দুই সন্তানকে কখনই ফটোসাংবাদিকদের থেকে আড়াল করেননি তারকা দম্পতি। বরং ফটোসাংবাদিকদের সঙ্গে দুই খুদের ভালোই সখ্য দেখা গেছে। ক্যামেরার সামনে তাদের নানা অঙ্গভঙ্গিও করতে দেখা গেছে তাদের অতীতে। কিন্তু সেসব বন্ধ হয়েছে। ফটোসাংবাদিকদের সামনে আর দুই পুত্রকে আনছেন না কারিনা ও সাইফ। এই নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আলিয়াও সতর্ক হয়েছেন বলে ধারণা করছেন নেটিজেনরা।

সূত্র: যুগান্তর




স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পালাতে সহযোগিতা করলেন বিএনপি নেতা

ঝিনাইদহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিচুর রহমান মিঠু মালিথাকে ভারতে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ মিঠু মালিতার বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় দুইটি ও ঢাকায় একটি মামলা রয়েছে।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্টেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অঅওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে মিঠু পলাতক ছিলেন। সবশেষ গত কয়েকদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এ নেতা জেলার মহেশপুরে অবস্থান করছিলেন। ওই এলাকায় থাকার সময়ে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার আশ্রয়ে থাকতেন তিনি। স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা জিয়ার অফিসে তাকে বসতে দেখেছেন বলে জানান।

গত শুক্রবার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজুলের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিঠু মালিতা। খবর পেয়ে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে স্থানীয় জনতা। পরে বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান জিয়ার লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পালাতে সহযোগিতা করে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক বাসিন্দা জানান, ৫ আগস্টের পরে মহেশপুর উপজেলা পরিষদের সামনে কয়েকদিন মিঠু মালিথাকে দেখেছেন। বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান জিয়ার সঙ্গে বেশ সখ্যতা আছে মিঠু মালিথার। ৪ দিন আগেও বিএনপি নেতা জিয়ার সঙ্গে তাকে মহেশপুরে দেখা গেছে।

জেলা কৃষকদলের সদস্য মোহাম্মদ উল্লাহ শাওকী তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর মহেশপুর বর্ডার দিয়ে একাধিক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা এবং কর্মীরা ভারতে পালিয়ে গেছে বলে গেছে বলে জানা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার মহেশপুরের বোয়ালিয়া গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য হাফিজুলের বাড়িতে পাচারের জন্য প্রস্তুত ছিল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিন্টুর ক্যাডার নামে পরিচিত মিঠু মালিথা। খবর পেয়ে এলাকার জনসাধারণ বাড়িটা ঘিরে ফেলে এবং তাকে পুলিশে দেওয়ার জন্য খবর দেয়। কিন্তু আগেই খবর পেয়ে শীর্ষস্থানীয় সুবিধাভোগী নেতারা দ্রুত সেখানে ছুটে যায় এবং জনগণের কাছ থেকে মিঠু মালিথাকে ছাড়িয়ে নিয়ে তাকে পালাতে সাহায্য করে। এ ঘটনায় প্রশাসন কেন নীরব ভূমিকা পালন করছে তা রহস্যজনক।’

মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘৫ আগস্টের পর মিঠু মালিথার সঙ্গে মহেশপুর শহরে কয়েকবার দেখা হয়েছে। শুনেছি তিনি এখানে তার খালাতো ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন। তাকে ভারতে পালাতে আমি কোনো সহযোগিতা করিনি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘বোয়ালিয়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা অবস্থান করছিলেন এমন খবর স্থানীয়রা জানায়। পরে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে তাকে পাইনি।’




সেমির প্রতিপক্ষ বাছাইয়ে ভারত-নিউজিল্যান্ডের একাদশ হতে পারে যেমন

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। এখন সেমিতে প্রতিপক্ষ বাছাইয়ের সুযোগ ভারত ও নিউজিল্যান্ডের সামনে। সেমির আগে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হতে আজ দুপুর ৩ টায় দুবাইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-নিউজিল্যান্ড। সেমির আগে দুদলের একাদশেই আসতে পারে বেশ কিছু পরিবর্তন।

দুবাইয়ে আজ ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে জয়ী দল ‘এ’ গ্রুপের সেরা হিসেবে খেলবে সেমিতে। যারা সেমিতে মুখোমুখি হবে গ্রুপ ‘বি’ রানার্সআপ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। অন্যদিকে এই ম্যাচে হারা দল মুখোমুখি হবে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

নকআউট পর্বের আগে প্রয়োজনীয় শেষ পরীক্ষা সেরে নিতে পারেন কোচ গৌতম গম্ভীর। বিশ্রাম পেতে পারেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এছাড়াও একাদশে লোকেশ রাহুলের জায়গায় উইকেটকিপার হিসেবে দেখা যেতে পারে ঋষভ পান্তকে। এছাড়াও একাদশে সুযোগ মিলতে পারে বরুণ চক্রবর্তীর।

অন্যদিকে, ভারতের মতো নিউজিল্যান্ডও সেমি নিশ্চিত করে ফেলায় একাদশে পরিবর্তন করতে পারে। অভিজ্ঞ কেন উইলিয়ামসনকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। তার জায়গায় প্রথম একাদশে আসতে পারেন মার্ক চাপম্যান। মিচেল ব্রেসওয়েলের জায়গায় প্রথম একাদশে আসতে পারেন ড্যারিল মিচেল। ব্যাটিং অর্ডারের আট নম্বরে থাকবেন অধিনায়ক স্যান্টনার।

ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: শুভমান গিল (অধিনায়ক) বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আয়ার, অক্ষর প্যাটেল, ঋভষ পান্ত (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাডেজা, মোহাম্মদ শামি, হর্ষিত রানা, অর্শদীপ সিং, বরুণ চক্রবর্তী।

নিউজিল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ: উইল ইয়ং, ডেভন কনওয়ে, মার্ক চাপম্যান, রাচিন রবীন্দ্র, টম লাথাম, গ্লেন ফিলিপস, ড্যারিল মিচেল, মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), জ্যাকব ডার্ফি, উইল ওরুর্ক, কাইল জেমিসন।

সূত্র: যুগান্তর