ঝিনাইদহে শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই, শিক্ষার মান উন্নয়নসহ লেখাপড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে ঝিনাইদহে শিশু শিক্ষা নিকেতনের উদ্যোগে মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (০১ নভেম্বর) সকালে শহরের আরাপপুর শিশু শিক্ষা নিকেতনে এ বৃত্তির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ২য় থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।

আয়োজক ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান ও পরিচালক নাছরিন আক্তার জানান, মেধাবৃত্তির এই পরীক্ষায় ঝিনাইদহের ৬ উপজেলা থেকে ৫’শ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হবে। ট্যালেন্ট, ১ম, ২য় ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পাবে শিক্ষার্থীরা।

অভিবাবক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট।




মুজিবনগরে জাতীয় যুব দিবস পালন

“দক্ষ যুব গড়বে দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ “এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মুজিবনগরে পালিত হয়েছে জাতীয় যুব দিবস।

দিবসটি উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি যুব র‌্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে একই জায়গায় এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে, আলোচনা সভা, প্রশিক্ষণ সনদ ও ঋণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাফর ইকবাল এর সঞ্চালনায়, আলোচনা সভা, প্রশিক্ষণ সনদ ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর থানার এস আই সাজ্জাদ হোসেন, মুজিবনগর উপজেলা ছাত্র সমন্বয়ক আরিফ খান, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সী ওমর ফারূক প্রিন্স। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মতিউর রহমানসহ প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ।

জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে আত্মকর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে এবং যুবকদের আত্মনির্ভরশীল হিসাবে গড়ে তোলার জন্য অনুষ্ঠান শেষে ১৪ জন যুবক ও যুবতি মহিলার মাঝে সাড়ে ১০ লক্ষ টাকার ঋণের চেক ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী সাংবাদিক ও যুবক-যুবতিরা উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারী আটক

গাংনীতে ৫ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারীকে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ। আজ শুক্রবার (০১ নভেম্বর) ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম তাঁদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আটক করেন।

আটককৃতরা হলো, গাংনী উপজেলার গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে শামিম হোসেন ওরফে রাজু (২৮) ও একই গ্রামের রতন আলীর ছেলে মোমিনুল ইসলাম(২১)।

গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নিজ বাড়িতে মাদক নিয়ে অবস্থান করছে এমন সংবাদেব ভিত্তিতে উপপরিদর্শক (এসআই) পিন্টুর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ওই বাড়িতে অভিযান চালান।

এসময় ৫ কেজি গাঁজাসহ রাজু ও মোমিনুল ইসলাম আটক হন।

আটককৃত রাজু ও মমিনুলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে মেহেরপুর জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




জামায়াতে ইসলামীকে স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে প্রচার করা হয়েছে: তাজউদ্দিন খান

জামায়াতে ইসলামীকে বাংলাদেশের মানুষ ১৭ টি বছর ধরে চিনেছে। এদেশের পেপার পত্রিকায়, এদেশের টিভি চ্যানেল, এমনকি রেডিওসহ সব জাগাতে আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার করা হয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী এবং ধর্ষক হিসাবে।আমাদের নামে প্রচার করা হয়েছে ১৯৭১ সালে জ্বালাও পুরাও সহ সমস্ত অপরাধ আমরা করেছি। আমাদের বিরুদ্ধে যেভাবে প্রচার করা হয়েছে তার এক পার্সেন্টও যদি জনগণ বিশ্বাস করতো তাহলে আমরা এদেশে বসবাস করতে পারতাম না। কিন্তু জনগণ এখন বুঝতে পারছে, এ সকল প্রচার এতদিন অপপ্রচার ছিল।

আজ শুক্রবার (০১ নভেম্বর) বিকালে আনন্দবাস বাজার প্রাঙ্গণে মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সকল কথা বলেন মেহেরপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাও: তাজউদ্দীন খান।

বাগোয়ান ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ফারুক হুসাইনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও মেহেরপুর জেলা সমাজ কল্যান বিভাগের সাবেক সেক্রেটারী আলহাজ জারজিস হোসাইন, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাও: মো: খানজাহান আলী,সাধারন সম্পাদক খাইরুল বাশার, মেহেরপুর জেলা উলাম বিভাগের সভাপতি ও উপজেলা কর্ম পরিষদের সদস্য হাফেজ মাও: ফিরাতুল ইসলাম নাঈম, মেহেরপুর পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমীর সোহেল রানা ডলার, দারিয়াপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোস্তাফিজুর রহমান,মোনাখালি ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান ও মুজিবনগর উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আবু তালহা।

উক্ত অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের সনচালনা করেন বাগোয়ান ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সাধারন সম্পাদক মো: হাফিজুর রহমান।




মেহেরপুরে কাপড়ের সমাহার নিয়ে জে এস মার্টের উদ্বোধন

দেশি-বিদেশি নামকরা সব ব্র্যান্ডের কাপড়ের সমাহার নিয়ে উদ্বোধন হয়েছে “জে এস মার্ট” নামের প্রতিষ্ঠানের।

আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মেহেরপুরে শহরের গুড়ের আড়ৎ এর সামনে এই প্রতিষ্ঠানের ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন জেলা নির্বাচন অফিসার ওয়ালিউল্লাহ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জে এস মার্টের সত্ত্বাধিকারী ক্লিনটন মন্ডল, দিলন মন্ডল, মিলন মন্ডল, গৌরব মন্ডল, চার্জের পুরোহিত প্রমুখ।

উদ্বোধনীর আগে এক প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

জে এস মার্টের সত্ত্বাধিকারী বলেন, দেশি বিদেশি নামকরা সব ব্র্যান্ডের কাপড়ের সমাহার নিয়ে শুরু করলাম জে এস মার্ট নামক একটি কাপড়ের দোকান।

আমরা এই ব্যবসায় সততা ও নিষ্ঠার সাথে সকলের সেবায় নিয়োজিত থাকব। দেশি বিদেশি পণ্য সুলভমূল্যে ক্রয়ের জন্য সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সব শ্রেণীর ক্রেতাদের পছন্দের ও উন্নত ব্র্যান্ডের ভালো মানের কাপড় সরবরাহের লক্ষ্যেই আমাদের পথচলা।




দামুড়হুদায় জাতীয় যুব দিবস পালিত

“দক্ষ যুব গড়বে দেশ,বৈষম্যহীন বাংলাদেশ”-এ স্লোগান কে সামনে রেখে দামুড়হুদা উপজেলায় জাতীয় যুব দিবস -২০২৪ পালিত হয়েছে।

দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনা সভা-যুব ঋণ-সনদ ও গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, দামুড়হুদা কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী অফিসার মমতাজ মহল।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জামান পলাশ,সাধারণ সম্পাদক তানজীর ফয়সাল।

সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান,সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান,শারমিন নাহার,সাংবাদিক হাতেম সহ প্রায় অর্ধশতাধিক যুবক।

আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, আমরা বীরের জাতি,আমাদের যুবরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।ভবিষ্যতের জন্য আশার আলো নিয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবকরা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে এবং সফলতা অর্জন করবে এমন আশাব্যাক্ত করে।

আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন ট্রেডে ২০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণকৃত প্রশিক্ষিত যুবকদের মাঝে ৩০ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৬ লাখ টাকার যুব ঋণের চেক, ৩ জনকে প্রশিক্ষণ সনদ ও ১০ জন যুবকের মাঝে ফলজ গাছের চারা বিতরণ করেন।




গাংনীতে হত্যা মামলার আসামি সাবেক ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের নাহারুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৯ নং আসামি সাবেক ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা মহিবুল ইসলামকে (৬৮) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১২ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্পের একটি দল।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে তার মেঝো ছেলে স্যাকমো চিকিৎসক ঝন্টুর বাসাতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১২ এর একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে কাশিয়ানি থানা পুলিশের সহযোগীতায় তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত মহিবুল ইসলাম গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের মৃতু ওয়াজ উদ্দীন মন্ডলের বড় ছেলে। সে বিএনপির স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য (মেম্বর)।

আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১২ এর ক্রাইম প্রিভেনসন সেন্টার সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র এএসপি আশরাফ উল্লাহ পিপিএম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এর আগে একই মামলায় গত ৭ অক্টোবর ভোররাতে মহিবুল ইসলামের দুই ছেলে মো. সাহাবুর রহমান মিন্টু (৪০) ও মো. শাহা আলম ওল্টু (২৮) কে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামে তাঁদের শশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তারা মেহেরপুর জেলা কারাগারে রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট রাত ১০টার দিকে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে বাওট গ্রামের কুরু বিশ্বাসের ছেলে নাহারুল ইসলাম (৫৫) নিহত হন। এতে আহত হন উভয়পক্ষের আটজন।

আহতরা হলেন, নিহত নাহারুল ইসলামের বড় ভাই আইনাল হোসেন (৬২), আব্দাল হোসেন (৫৮), ইনামুল হক (৪০) ও তার ছেলে সিয়াম (১৭)।

অপরপক্ষের আহত হন মটমুড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বার বিএনপি নেতা মহিবুল ইসলাম (৬৮), ভাই সাবেক মেম্বার বিএনপি নেতা আশরাফুল ইসলাম কালু (৫৬), হামিদুল ইসলাম (৪৬) ও আমিরুল ইসলাম (৪০)।

এ ঘটনায় নিহত নাহারুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন বাদী হয়ে গাংনী থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামিরা পলাতক ছিলেন।

আজ শুক্রবার সকালের দিকে গ্রেপ্তারকৃত মহিবুল ইসলামকে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।




মেহেরপুরে জাতীয় যুব দিবস পালিত

“দক্ষ যুব গড়বে দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরে জাতীয় যুব দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা, যুব ঋণের চেক, সনদপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনার আগে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে একটি র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়।

জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

এসময় যুবকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যুবসমাজকে সচেতন থাকতে হবে এবং অন্যদের কেউ সচেতন করতে হবে।
যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে এবং একজন দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) মোঃ তরিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) গাজী মূয়ীদুর রহমান, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ডেপুটি কো-অডিনেটর ইকবাল মাহমুদ, ডিবির ওসি শেখ মেজবা উদ্দিন প্রমুখ।

জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সিনিয়র প্রশিক্ষক মোছাঃ মাহমুদা খাতুনের সঞ্চালনায় এছাড়াও এসময় সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাজেদুল ইসলাম, সিনিয়র প্রশিক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনার পরে শপথ পাঠ, যুব ঋণের চেক, সনদপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।




মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডঃ শফিকুল আলম জামিনে মুক্তি

সন্ত্রাস বিরোধী আইনে র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২)’র অভিযানে গ্রেফতারের একদিন পরেই জামিনে মুক্তি পেলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের বিচারক মো মনজুল ইমামের আদালতে জামিনের আবেদন করলে তিনি জামিন দেন।

মেহেরপুর জজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, খন্দকার আব্দুল মতিনসহ কয়েক ডজ্জন আইনজীবী সিনিয়র আইনজীবি জামিনের আবেদন করেন।

তবে, একই মামলায় পৃথকভাবে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেকের পক্ষে জামিনের আবেদন করলেও তিনি জামিন পাননি ।

অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী বলেন, মেহেরপুর জজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলমের পক্ষে জেলা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে জেলা জজকোর্টের বিচারক মো মনজুল ইমাম এ্যাডঃ শফিকুল আলমের জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিক জামিনের পর অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি সাংবাদিকদের কাছে কৃতজ্ঞ। সাংবাদিকরা আমার ব্যাপারে সবাই পজেটিভ সংবাদ পরিবেশন করেছে। তিনি আরও বলেন, আমাকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার উদ্দেশ্য আটক করা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ খালেক এবং যুগ্ম সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শফিকুল আলমকে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব-১২) সিপিসি-৩ গাংনী ক্যাম্প পৃথক অভিযান চালিয়ে আটক করেন।

তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) ধারা ৬(২)/১০/১১/১২/১৩ মূলে দায়ের করা মামলা যার নম্বর -১১, তারিখ ১৯/০৮/২৪ গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।




আলমডাঙ্গার জামজামি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগবাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া স্কুল ফান্ডের টাকায় কেনা জমি স্ত্রীর নামে রেজিস্ট্রিসহ শিক্ষকদের বেতন বন্ধ রেখেছে ওই অধ্যক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এসব অভিযোগ তোলেন।

তারা বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষ বনে গেছেন। দেশের পটপরিবর্তনের পর শিক্ষক ও সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা তাঁর বিষয়ে মুখ খুলতে বসেছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে আলমডাঙ্গার জামজামী গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য গ্রামের শাহাদৎ হোসেন মন্টু ৪২ শতক ও মঙ্গল সর্দ্দার নামের একব্যক্তি ৩০ শতক জমি দান করেন। গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার পর প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মহিবুল ইসলাম। তিনি স্কুলের পাশে প্রতিষ্ঠানের টাকায় নবিরন নেছা নামের এক মহিলার নিকট থেকে ৩২ শতক জমি ক্রয় করেন। ওই জমি ক্রয়ের সময় প্রধান শিক্ষক মহিবুল ইসলাম তার স্ত্রী জেসমিন আরার নামে রেজিষ্ট্রি করেন। কয়েক বছর আগে প্রতিষ্ঠানে কলেজ শাখা খোলা হয়। কলেজ শাখা খোলার সময় মহিবুল ইসলাম তার স্ত্রীকে দিয়ে জমিটি কলেজের নামে রেজিস্ট্রি করে অবৈধভাবা দাতা সদস্য মনোনীত হন। এছাড়াও ততকালিন ক্ষমতাসিনদের ছত্রছায়ায় শিক্ষকদের সাথে অসদাচারণ,বেতন না দিয়ে শিক্ষদের হয়রানি করাসহ শিক্ষক নিয়োগের নামে টাকা আত্মসাত করেন।

প্রতিষ্ঠানের সাবেক ম্যাজিং কমিটির সদস্য রফি উদ্দিন জানান, তার ভাগ্নে হবি থানার গাংদী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের চাকুরীর জন্য অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলামের নিকট চারজন শিক্ষককে সাথে নিয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেন। পরে দুই দফায় রফিউদ্দিন আরও ১ লাখ ৫ হাজার টাকা দেন। ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে চাকুরী দেননি। চাকরী না পেয়ে টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে তিনি আওয়ামীলীগের ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেন।

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মহিনুর রহমান, জহুরুল ইসলাম, ছানোয়ার হোসেন, আরমান আলী, জিন্নাত আলী, হেকিম আলী, শরিফুল ইসলাম, ইমাদুল হক, আবুল কাশেম অভিযোগ করে জানান অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলাম গত ১৬ বছর ধরে দলীয় ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে তার তেলবাজ অনুসারী শিক্ষকদের সাথে নিয়ে শিক্ষক প্রতিনিধি করে প্রতিষ্ঠান চালাতেন। তিনি তৎকালিন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সেলুন জোয়ার্দ্দারের ভাই রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনকেও সভাপতি করেন । তাকে সাথে নিয়ে মেতে উঠেন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বাণিজ্যে। কয়েক বছরে নিয়োগ বাণিজ্য করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করে অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলাম। দীর্ঘ বছর ধরে প্রতিষ্ঠান থেকে কোন টাকা শিক্ষকদের দেননি, এমনকি শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে নেওয়া উপবৃত্তির টিউশন ফ্রির টাকাও আত্মসাৎ করেন তিনি।

শিক্ষকরা আরও জানান, বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বেতন বিনা কারণে বন্ধ করে রেখে হয়রানি করেন।

অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলাম তার দাড়ি ছিড়ে দেওয়াও হুমকি দেওয়া সহ প্রতিষ্ঠানের বেশকিছু শিক্ষককে মামলার ভয় দেখাতে থাকেন।

এসকল অভিযোগ তুলে শিক্ষকরা অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলামের অপসারন দাবী করেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলাম বলেন, তার নামে শিক্ষকরা যে সকল অভিযোগ তুলেছেন তা সঠিক নয়। তিনি এসকল কাজের সাথে জড়িত নন।