নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় রোমানা আহমেদকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের কারণে রোমানা আহমেদকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।গতকাল শুক্রবার বিএনপির সিনিয়ির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড রুহুল কবির রিজভি স্বাক্ষরিত এক পত্রে বহিষ্কারের খবর জানা গেছে।

বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, দলীয় নির্দেশনা না মেনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে রোমানা আহমেদকে বহিষ্কার করা হলো।

রোমানা আহমেদ মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, আগামি ৮ মে মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।




পাকিস্তানে মুক্তি পেল ‘মোনা: জ্বীন-২’

দেশের সীমানা পেরিয়ে এবার পাকিস্তানে মুক্তি পেল ঈদের সিনেমা ‘মোনা: জ্বীন-২’। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘মোনা: জ্বীন-২’ সিনেমাটি মাল্টিপ্লেক্সসহ পাকিস্তানের ২৪টি প্রেক্ষাগৃহে প্রতিদিন ৮২টি শো চলবে।

সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, পাকিস্তানে মুক্তির ব্যাপারে সিনেমাটির প্রযোজক আবদুল আজিজ বলেন, এম আর নাইন সিনেমাটির আমার প্রযোজক পার্টনার যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। উনিই পাকিস্তানে সিনেমাটির প্রদর্শনীর ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থেকে ইংরেজি সাবটাইটেলে সিনেমাটির প্রদর্শিত হচ্ছে সেখানে।

তিনি আরও বলেন, গত ঈদের আগে সেন্সরের জন্য ওখানে সিনেমাটি পাঠিয়েছিলাম। যাদের মাধ্যমে আমি সিনেমাটি ওখানে পাঠিয়েছি, তাদের কাছ থেকে শুনেছি যে পাকিস্তানের সেন্সর বোর্ডের সদস্যরাও সিনেমাটি পছন্দ করেছেন। এ কারণেই মনে হচ্ছে এটি পাকিস্তানের দর্শকের পছন্দ হয়ে যেতে পারে।

প্রযোজক আব্দুল আজিজের দাবি, ‘মোনা: জ্বীন-২’ এর বাজেট পাকিস্তানের প্রেক্ষাগৃহ থেকে উঠে আসতে পারে।

কামরুজ্জামান রোমান নির্মিত এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুপ্রভাত। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, আহমেদ রুবেল, দীপা খন্দকার, আরিয়ানা জামান, সেহজাদ ওমর, সাজ্জাদ হোসেন, সামিনা বাশারসহ অনেকে।

সূত্র: ইত্তেফাক




সাংবাদিক মোহাম্মদ মহসীন কে মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাব থেকে বহিষ্কার

মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সকল পদ থেকে মোহাম্মদ মহসীনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে প্রেস ক্লাবের নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় নৈতিক স্থলনের অভিযোগ উঠায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মাহবুব চান্দু, যুগ্ম সম্পাদক আকতারুজ্জামান, কোষাধাক্ষ দিলরুবা খাতুন, দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানা, গণযোগাযোগ সম্পাদক এ সিদ্দিকী শাহিন, সদস্য মোর্তজা ফারুক রুপক।

উল্লেখ্য, আমাদের সূর্যোদয় পত্রিকার সাংবাদিক মোহাম্মদ মহসীন সহ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে মেহেরপুর সদর থানায় এক ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়া ওই ব্যবসায়ীর সাথে চাঁদা নেওয়া ও পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তার ফেরত দেওয়ার চেষ্টার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।




আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের জমি দখলের অভিযোগ 

আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের পরিত্যক্ত জমি দখল করে বাঁশের বেড়া নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বে-সরকারি ব্রাইট মডেল স্কুলের পরিচালক জাকারিয়া হিরোর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষানুরাগীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার সকালে কলেজ কতৃপক্ষ, থানাপুলিশের সহযোগীতায় নির্মিত বাঁশের বেড়া অপসরণ করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, ১১ একর জমির ওপর ১৯৬৫ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। দীর্ঘ ৪৭ বছর পর ২০১৮ সালে কলেজটি জাতীয় করণ করা হয়। ইতিমধ্যে কলেজের সুরক্ষায় পুরাতন প্রাচীল ভেঙে চারদিকে নতুন সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি কলেজের একাডেমিক ভবনের পাশে পরিত্যক্ত জমির পুরাতন প্রাচীল ভেঙে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় বে-সরকারি ব্রাইট মডেল স্কুলের পরিচালক ওই জমি তাঁর নিজেদের জমি বলে দাবি করেন। এবিষয়ে জানে না- সরকারি কলেজ কতৃপক্ষ। শুক্রবার ভোরে ব্রাইট মডেল স্কুলের পরিচালক জাকারিয়া হিরো নোটিশ বিহীন গোপনে বাঁশের বেড়া দিয়ে দখলের চেষ্টা করেন। এ খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জে এম আব্দুর রকীব সহ সহকারী সকল শিক্ষকবৃন্দ। এছাড়া খবর পেয়ে পরিদর্শন করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও সরকারি কলেজের সভাপতি (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস, থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) শেখ গণি মিয়া।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ গনি মিয়া বলেন,আলমডাঙ্গা সরকারী কলেজের জমি জবর দখল করা হচ্ছে বলে ইউএনও সাহেব আমাকে জানালে আমি ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠায়। পরে আমি ও ইউএনও সাহেব স্থান পরিদর্শন করি। সেখানে গিয়ে জমিতে বেড়া দেওয়া দেখতে পাই। পরে প্রশাসন ও কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়ে ওই বেড়া অপসারণ করা হয়।




দামুড়হুদা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী এস.এ.এম জাকারিয়া আলমের গণসংযোগ

দামুড়হুদা আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক গণসংযোগ -প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস.এ.এম জাকারিয়া আলম। হাট-বাজারে গিয়ে কুশল বিনিময় করছেন ভোটারদের সাথে।

আজ সকাল কার্পাসডাঙ্গা গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার বাজার’ এলাকা গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস. এ. এম জাকারিয়া আলম।দিনরাত উপজেলার আনাচে- কানাচে গণসংযোগ ও পথসভা চালিয়ে ভোটারদের মন জয় করছেন তিনি প্রতিদিন নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে এবং উপজেলাবাসীকে মাদকমুক্ত করতে তার নির্বাচনী এলাকায় দোয়া চান।তিনি নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন’সহ নানামুখী উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন ভোটারদের মাঝে।

গণসংযোগ ও পথসভা কালীন চেয়ারম্যান প্রার্থী এস.এ.এম জাকারিয়া আলম এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, উপজেলাবাসী চাইলে এই নির্বাচনে আমি জয়লাভ করবো ইনশা আল্লাহ। নির্বাচিত হলে উপজেলাবাসীর জন্য প্রথম কোন কাজটি করবেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ অনুযায়ী উপজেলা থেকে মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করব। সম্মেলিত উদ্যোগে মরন নেশা মাদকের হাত থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে হবে। তিনি সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সহযোগীতা চান এবং তাদের মাধ্যমে উপজেলাবাসীর কাছে দোয়া ও ভোট কামনা করেন।

এস. এ. এম জাকারিয়া আলম আরো বলেন, ‘আমি সাধারণ মানুষের প্রার্থী হয়েছি। সাধারণ মানুষ আমার পক্ষে কাজ করছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আমার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে আশা করি আমরা জয়ী হব। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ সর্বস্তরে মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করব।এই নির্বাচনে জনগণ আমাকে নির্বাচিত করবে ইনশাল্লাহ।




দামুড়হুদার কাঁঠাল তলায় একতা পরিবারের পক্ষ থেকে ফ্রী লেবুর শরবত বিতরণ

সারা দেশের ন্যায় দামুড়হুদা উপজেলায় প্রচন্ড তাপদহের কারনে পথচারীদের সাময়িক স্বস্তি দিতে একতা পরিবারের পক্ষ থেকে ২য় দিনের মতো ফ্রী লেবুর শরবত বিতরণ করেছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর কাঁঠাল তলায় এই শরবত বিতরণ করা হয়।

একতা পরিবারের পক্ষ থেকে লেবুর শরবত বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নিজাম উদ্দিন। এসময় তিনি বলেন, প্রচুর তাপদহের কারনে মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কঠিন তাপদহের মধ্যেও জীবন জীবিকার তাগিদে মানুষ বাইরে বের হচ্ছে। এমন সময় সাধারণ মানুষের জন্য এমন মহতী উদ্যোগ গ্রহনের জন্য একতা পরিবারকে ধন্যবাদ জানায়। সেই সাথে এমন ভালো কাজ চলমান রাখবেন এমন প্রত্যাশা করি একতা পরিবারের কাছে। আমি সব সময় একতা পরিবারের সাথে আছি এবং থাকবো।

জানাগেছে বিগত টানা ৩ সপ্তাহ ধরে সারা দেশের ন্যায় দামুড়হুদা উপজেলায় প্রচন্ড তাপদাহ চলছে। এরই মধ্যে গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতো গরমে জীবন জিবিকার তাগিদে মানুষ ঘর থেকে বের হলেও তাপদহের কারনে মানুষ স্বস্তি পাচ্ছেনা। ঠিক এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার একতা পরিবার মানুষের সাময়িক স্বস্তি দিতে ফ্রী লেবুর শরবত বিতরণের উদ্যোগ নেন। এরই আলোকে ২য় দিনের মতো গতকাল শুক্রবার পাখি ভ্যান চালক, ইজিবাইক চালক, বাইসাইকেল চালক, ট্রাক চালক সহ সাধারণ পথচারী ও যাত্রীদের মাঝে প্রায় ১ হাজার লিটার লেবুর শরবত ফ্রী বিতরণ করা হয়।

এবিষয়ে পাখি ভ্যান চালক সামিউল ইসলাম বলেন, এই প্রচন্ড রোদ গরমে সব সময় গলা শুকিয়েই থাকছে। মন চাচ্ছেনা ঘর থেকে বের হতে। কিন্তু কাজ না করলে খাবো কি? তাই কষ্ট হলেও জীবিকার তাগিদে রাস্তায় বের হতে হচ্ছে। শুকনো গলায় ঠান্ডা লেবুর শরবত খেয়ে প্রাণটা জুড়িয়ে গেলো। এমন রোদে ফ্রী’তে লেবুর শরবত দেওয়ায় একতা পরিবারকে ধন্যবাদ জানায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, একতা পরিবারের সদস্য, দৈনিক সময়ের সমীকরন পত্রিকা’র দামুড়হুদা প্রতিনিধি মোজাম্মেল শিশির, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকা’র দামুড়হুদা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম মিলন, মেহের প্রতিদিন পত্রিকা’র দামুড়হুদা প্রতিনিধি রকিবুল হাসান তোতা, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকা’র স্টাফ রিপোর্টার জাহাঙ্গীর আলম মানিক, দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকা’র দামুড়হুদা প্রতিনিধি আসহাবুল আলম, দৈনিক সময়ের সমীকরন পত্রিকা’র জয়রামপুর প্রতিনিধি হেলাল উদ্দিন, বেনাপুল টিভি’র দামুড়হুদা প্রতিনিধি মোঃ ইকরামুল হক, ডেনটিস্ট সোহানুর রহমান সোহান, শোভন সহ, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকা’র হাউলী প্রতিনিধি আনারুল ইসলাম প্রমূখ। শরবত তৈরী কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন সিরাজুল ইসলাম বুদো। আজ শনিবার দিনভর কার্পাসডাঙ্গায় ফ্রী লেবুর শরবত বিতরণ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।




ঝিনাইদহে বৈধ মদের দোকানে অবৈধ ক্রেতাদের ভিড়

ঝিনাইদহ শহরের সরকার অনুমোদিত দেশী মদের দোকানে চলছে মাদকের রমরমা বানিজ্য। সেখানে সরকারি লাইসেন্সধারী মাদকসেবীদের কাছে মদ বিক্রির কথা থাকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও উঠতি বয়সী যুবকদের কাছে দেদারসে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে রাস্তা ঘাটে মাদক সেবীদের মাতলামীর যন্ত্রনায় প্রায় নাজেহাল হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।

জানা গেছে, শহরে প্রায় শতাধিক লাইসেন্সধারী মদক্রেতা আছে। কিন্তু সেখানে তালিকা মেনে মদ বিক্রি করেন না বিক্রেতা। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল পর্যন্ত সেখানে চলে মাদকের আড্ডা। উঠতি বয়সী যুবক,স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেনিপেশার মানুষ মদ কিনতে আসে। আর এসব ঘটনা ঘটছে শহরের কবি গোলাম মোস্তফা সড়কের তাসলিম ক্লিনিকের বিপরীতে অবস্থিত স্মরজিৎ কুমার সরকারের লাইসেন্সধারী মদের দোকান সংলগ্ন তার বাড়িতে।

ঝিনাইদহের সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন জানান,গত কয়েক মাস ধরে শহরজুড়ে চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ডের মত ঘটনা ঘটেই চলেছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ দ্রুত এর লাগাম টানতে না পারলে শহরে এর চেয়ে আরো ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে।

বিষয়টি নিয়ে মাদক বিক্রেতা স্মরজিৎ সরকার জানান,আমি এখানে নিয়ম মেনেই মদ বিক্রি করি। মাঝে মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অনুরোধে কিছু ব্যক্তিকে মদ দিতে হয়।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক গোলক মজুমদার জানান, এসব ঘটনা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।




দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা: জনজীবনে নেমে এসেছে চরম বিপর্যস্ত

চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে । প্রচন্ড পরিমাণ তাপে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্থিরতা। শিশু থেকে সকল বয়সী মানুষ অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে সাথে বেড়েছে লোডশেডিং। গতকাল শুক্রবার বিকাল তিনটার সময় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১১ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এটিই।

চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ আরও কিছু দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি বলেন, আগামী তিন দিন আরও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। ৪৩ থেকে ৪৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে তাপমাত্রার পারদ। সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন তিনি।

এদিকে তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। গরমে এসি ও ফ্যানের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে বিদ্যুতের ব্যবহারও। ফলে বেড়েছে লোডশেডিং। দিনে বাসায় থাকা দায় হয়ে পড়েছে মানুষের। এর মধ্যে রয়েছে রাতে মশার যন্ত্রণা। গরমের সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় সারা রাত নির্ঘুম কাটাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

অপরদিকে জেলা সদর হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া ও শিশু রোগীর সংখ্যা। ওয়ার্ডের মেঝেতে রেখে চলছে চিকিৎসা। এছাড়া বহির্বিভাগেও রয়েছে রোগীদের চাপ। প্রতিদিন গড়ে গরমজনিত কারণে ৭০০-৮০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা: আতাউর রহমান।
গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের উৎপাদন সে তুলনায় না বাড়ায় লোডশেডিং বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চুয়াডাঙ্গা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আবু হাসান।

তিনি বলেন, জেলায় গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। পল্লী বিদ্যুতের আওয়াধীন এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। সেখানে আমরা পাচ্ছি ৯০-৯২ মেগাওয়াট। আমাদের মূল গ্রিডের যে ধারণক্ষমতা, সেখানেও টানতে পারছে না। ঘাটতি পূরণ করতেই লোডশেডিং চলছে।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র ফিরোজ হোসেন বলেন, বেশ কয়েকদিন যাবত গরমের তীব্রতা বেড়েই চলেছে চুয়াডাঙ্গায়। সরকারের পক্ষ থেকে যদিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে । ঘর এবং ঘরের বাইরে সকল স্থানে গরম। সাথে বাতাসে আদ্রতার সাথেও গরম অনুভূতি হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গার দিনমজুর রুহুল বলেন, গরমের কারণে আমরা ঠিকমতো কাজে যেতে পারছি না। কাজে গেলেও আমরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না। অনেক রৌদ পড়ছে। এই রোদে যেন মাথা ফেটে যাবে এমন ভাব হচ্ছে। অল্প কাজ করেই আমরা ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি।

কৃষক বন্ধন আলী বলেন রোদের প্রখরে ফল-ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। আম, লিছু, ধানসহ বিভিন্ন ফসল পুড়ে যাচ্ছে। এতে লোকসানের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফসলে অতিরিক্ত পরিমাণ পানি দিতে হচ্ছে। শেষমেষ ফসল আমরা ঠিকমতো ঘরে তুলতে পারবো কি এটা নিয়েও আমাদের চিন্তা হচ্ছে।




মেহেরপুরে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ

আমাদের সূর্যোদয় পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ উঠেছে দুই সাংবাদিক মোঃ আব্দুর রউফ ও মোঃ মহসিন আলীর বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ওবায়দুল্লাহ বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ হস্তান্তর করেছেন। মেহেরপুর সদর থানার ডিউটি অফিসার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী মোঃ ওবায়দুল্লাহ’র (৪৮) দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মোঃ আব্দুর রউফ (৫৮) এবং মোঃ মহসিন আলী (৬০) নিজেদের স্থানীয় দৈনিক আমাদের সূর্যোদয় পত্রিকার প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার ওবায়দুল্লাহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান।

এ সময় তারা তাকে সুদী ব্যবসায়ী আখ্যায়িত করেন এবং বলেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে তার অপকর্মের সকল প্রমাণ রয়েছে। এ সময় তারা তাকে ভয় ভীতি দেখান এবং মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে বলেন তাদেরকে টাকা দিলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হবে।

একই সাথে তারা হুমকি দেন টাকা না দিলে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাকে নিয়ে খবর প্রকাশিত করা হবে। পরে তারা ব্যবসায়ী ওবায়দুল্লাহর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরো ১ লাখ টাকা দেওয়ার জনয় আল্টিমেটাম দেন।

এরপর বুধবার ২৪ এপ্রিল বিকেল ৫ টা ২৫ মিনিটে আব্দুর রউফ ০১৭১৬১৩৪৮৩০ নম্বর থেকে ওবায়দুল্লাহকে কল দিয়ে আবারো ১ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে হুমকি ধামকি দিলে, তিনি থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ সময় তিনি তার প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি ক্যমেরায় ধারনকৃত পূর্বে চাঁদা প্রদানের ভিডিওটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

উল্লেখ্য, নব্য সাংবাদিক সাজা আব্দুর রউফ ইতিপূর্বে আইন বহির্ভূতভাবে নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দেওয়া ও চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অপরাধে একাধিকবার ভ্রাম্যমান আদালত দ্বারা দণ্ডিত হয়েছেন। বিগত তিন চার দিন যাবত তিনি আবার নিজেকে সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছেন।

মেহেরপুর জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের ব্ল্যাকমেল ও চাঁদাবাজির ঘটনা প্রকৃত সাংবাদিকদের মান ক্ষুন্ন করে। এদের বিরুদ্ধে জেলার সকল সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। আমি ভুক্তভোগীকে অনুরোধ করব পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিতে।

জেলা প্রশাসক একটি কমিটি গঠন করে দিলে সেই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্ত কথিত সাংবাদিকদের কালো তালিকাভুক্ত করব। যাতে তারা পরবর্তীতে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা না নিতে পারে। ‘

আব্দুর রউফ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৪ সালে গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের চেরাগী পাড়ার ফর্মান আলী নামের এক ব্যাক্তির মাধ্যমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ডোমকল থেকে বাংলাদেশে আসেন আব্দুর রউফ। সেই সময় তার ঠোটের উপর কাটা দাগ ছিলো যা আঞ্চলিক ভাষায় গর্ণা কাটা বলে পরিচিত। তিনি সেই সময় এলাকায় ঠাণ্ডা জ্বর নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে শুরু করলে এলাকায় পরিচিতি লাভ করেন ভারতীয় গর্ণা কাটা ডাক্তার হিসেবে।

২০০৭ সালের দিকে বামন্দী আলহেরা ফার্মেসিতে অস্থায়ী চেম্বার খুলে রোগী দেখা শুরু করেন। এক পর্যায়ে আব্দুর রউফ তার ঠোট অপারেশন করে গর্ণাকাটা সারিয়ে ফেলেন। সেই সময় গাংনী র‌্যাব ক্যাম্প বামন্দীর আলহেরা ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে আব্দুর রউফকে অর্থদণ্ড প্রদান করে এবং রুগী দেখার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

এরপর আব্দুর রউফ মেহেরপুরে চলে আসে এবং শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ফার্মেসিতে আবার চেম্বার খুলে বসেন। অতঃপর মেহেরপুরের এক নারীকে বিয়ে করে মেহেরপুরের স্থানীয় হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলক কুমার দাস বলেন, ‘মাত্র কিছুদিন পূর্বে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অপরাধে আমরা আব্দুর রউফকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। চিকিৎসা সেবা সম্পর্কিত তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নাই। বাংলাদেশের চিকিৎসা করার জন্য বিএমডিসির ছাড়পত্র বা অনুমোদন তার নাই। কিন্তু সে নিজের নামের পূর্বে ডাক্তার লিখে পরিচয় দিয়ে বেড়ায়। হঠাৎ করে দুই তিন দিন যাবত শুনছি আব্দুর রউফ একজন সাংবাদিক। হয়তো নিজের অপকর্ম ধামাচাপা দিতেই এখন এই রূপ ধারণ করেছে।’

অভিযুক্ত সাংবাদিক মোঃ মহাসিন আলীকে ব্ল্যাকমেল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল্লাহ একজন সুদ ব্যবসায়ী। আমার কাছে সব রেকর্ড আছে। নিউজ তৈরি হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজে টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান। আবারো বলেন আমার কাছে সব রেকর্ড আছে আমি নিউজ লিখছি।’

তবে, আব্দুর রউফ প্রথমে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করলেও পরে স্বীকার করে নিউজ না করার অনুরোধ করেন।

আমাদের সূর্যোদয়ের প্রকাশক ও সম্পাদক আবুল কাশেম অনুরাগী বলেন, ‘ মাত্র একদিন আগে আব্দুর রউফ কে আমি আমার প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড দিয়েছি। তবে মহসিন আলী দীর্ঘদিন ধরে আমার পত্রিকায় কাজ করছে। কখনো তার বিরুদ্ধে আমি এ ধরনের অভিযোগ শুনিনি। আপনি যদি কোন তথ্য প্রমাণ পান আমাকে জানাবেন। আমি নিজেই ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কোন ব্যক্তির অপকর্মের দ্বায় আমার প্রতিষ্ঠান ও আমি নেবো না। ‘

মেহেরপুর সদর থানার ওসি সেখ কনি মিয়া চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চলছে। পরবর্তীতে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেটা আমি জেনে আপনাকে নিশ্চিত করব। ‘




মেহেরপুরে আনারুল ইসলামের পক্ষে জাতীয় পার্টির সমর্থন সভা

মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদের নেতা কর্মীরা আগামী ৮ মে আসন্ন মেহেরপুর উপজেলার নির্বাচনে মটরসাইকেলের প্রার্থী মোঃ আনারুল ইসলামের নির্বাচনী সমর্থন সভার আয়োজন করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল ) রাতে মেহেরপুর শহরের কাথুলী বাসইস্টার্নে এ নির্বাচনী সমর্থন সভার আয়োজন কর হয়।

সভার সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোঃ মোসলেম আলী।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা জাতীয় পার্টি বুঝি না, আওয়ামী লীগ বুঝি না, বিএনপি বুঝি না। এখন আমরা দল মত নির্বিশেষে মোটরসাইকেলকে ভোট দিয়ে আমাদের মেহেরপুর উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবো।

প্রধান অতিথি হিসেবে সমর্থন সভায় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আনারুল ইসলাম।

সভার পরিচালনায় ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা.মোঃ ইমদাদুল হক জীবন।

জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি হামিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সোহরাব হোসেন, মোঃ ওহাব আলী, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ বারেক আলী, মোঃ লালচাঁদ আলী প্রমুখ।