দামুড়হুদায় একতা পরিবারের পক্ষ থেকে তৃষ্ণার্তদের মাঝে ফ্রী শরবত বিতরণ

সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায় প্রচন্ড তাপদহের কারনে পথচারীদের সাময়িক স্বস্তি দিতে একতা পরিবারের পক্ষ থেকে ফ্রী লেবুর শরবত বিতরণ করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকার সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দামুড়হুদা বাসট্যান্ড কৃষি ব্যাংকের সামনে এই শরবত বিতরণ করা হয়। একতা পরিবারের পক্ষ থেকে লেবুর শরবত বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী।

এসময় তিনি বলেন, প্রচুর তাপদহের কারনে মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কঠিন তাপদহের মধ্যেও জীবন জীবিকার তাগিদে মানুষ বাইরে বের হচ্ছে। ঠিক সে সময় এমন মহতী উদ্যোগ গ্রহনের জন্য একতা পরিবারকে ধন্যবাদ জানায়। সেই সাথে এমন ভালো কাজ চলমান রাখবেন এমন প্রত্যাশা করি একতা পরিবারের কাছে। আমি সব সময় একতা পরিবারের সাথে আছি এবং থাকবো।

জানাগেছে বিগত ২/৩ সপ্তাহ ধরে সারা দেশের ন্যায় দামুড়হুদা উপজেলায় প্রচন্ড তাপদাহ চলছে। যার কারনে জীবন জিবিকার তাগিদে মানুষ ঘর থেকে বের হলেও তাপদহের কারনে মানুষ স্বস্তি পাচ্ছেনা। ঠিক এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার একতা পরিবার মানুষের সাময়িক স্বস্তি দিতে ফ্রী লেবুর শরবত বিতরণের উদ্যোগ নেন। এরই আলোকে আজ বৃহস্পতিবার দিনভর পাখি ভ্যান চালক, ইজিবাইক চালক, বাইসাইকেল চালক, ট্রাক চালক সহ সাধারণ পথচারী ও যাত্রীদের মাঝে ১ হাজার ৫০০শ লিটার লেবুর শরবত ফ্রী বিতরণ করা হয়।

এবিষয়ে পাখি ভ্যান চালক বৃদ্ধ সাজিহার আলম বলেন, এই প্রচন্ড রোদ গরমে সব সময় গলা শুকিয়েই থাকছে। মন চাচ্ছেনা ঘর থেকে বের হতে। কিন্তু কাজ না করলে খাবো কি? তাই কষ্ট হলেও জীবিকার তাগিদে রাস্তায় বের হতে হচ্ছে। শুকনো গলায় ঠান্ডা লেবুর শরবত খেয়ে প্রাণটা জুড়িয়ে গেলো। এমন রোদে ফ্রী’তে লেবুর শরবত দেওয়ায় একতা পরিবারকে ধন্যবাদ জানায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি এম নুরুন্নবী, একতা পরিবারের সদস্য, দৈনিক সময়ের সমীকরন পত্রিকা’র দামুড়হুদা প্রতিনিধি মোজাম্মেল শিশির, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম মিলন, মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকা’র দামুড়হুদা প্রতিনিধি রকিবুল হাসান তোতা, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার জাহাঙ্গীর আলম মানিক, দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি আসহাবুল আলম, দৈনিক আকাশ খবর পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি মশিউর রহমান, দৈনিক সময়ের সমীকরন পত্রিকার জয়রামপুর প্রতিনিধি হেলাল উদ্দিন, দৈনিক জনতার ইশতেহার পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি রাজু আহাম্মেদ সন্জু, বেনাপুল টিভি’র দামুড়হুদা প্রতিনিধি মোঃ ইকরামুল হক, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার হাউলী প্রতিনিধি আনারুল ইসলাম প্রমূখ। শরবত তৈরী কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন সিরাজুল ইসলাম বুদো।




আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের আয়োজনে মাঠ দিবস

আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তর কতৃক আয়োজিত ২০২৩/২৪ অর্থবছরে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় মাঠ দিবস অনুষ্টিত।

গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টার সময় হারদী কুয়াতলা মহাম্মদপুর গ্রামে মাঠদিবস অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার রেহেনা পারভীন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা খামার বাড়ীর তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আরশেদ আলী।

প্রধান অতিথি বলেন আমরা পরিক্ষা মুলক ভাবে তেলজাত দ্রব্য বিশেষ করে শরিষার তেল উৎপাদনে সফল হয়েছি। আপনারা সয়াবিন তেলের পরিবর্তে শরিষার তেল দিয়ে রান্না করেন, এতে খাটি তেল যেমন পাবেন, তেমন ভেজাল তেল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন, সোয়াবিন তেল উৎপাদন করতে ৩ কেজি প্রকৃত সোয়াবিন লাগে, প্রতিকেজি সোয়াবিনের দান ১ শত টাকা তাহলে এক কেজি সোযাবিন তেল করতে খরচ হয় ৩ শত টাকা। দেশে কি কোন পাগল আছে যে ৩ শত টাকা খরচ করে ১২৫ টাকা কেজি তেল বিক্রয় করবে, তাহলে ঐ তেলে অবশ্যই ভেজাল তেল মেশান হচ্ছে,তাই আসুন ভেজাল না খেযে খাটি শরিষার তেল খাই, আমরা সারা দেশে কয়েকটি এলাকা শরিষা চাষের আওতায় এনেছি তার মধ্যে আলমডাঙ্গা উপজেলা একটি, তাই আমি মনে করি আপনারা বিশেষ করে এই অঞ্চলের চাষি ভাইয়েরা ভাগ্যবান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ,যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ হীরক কুমার সরকার, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কাইছার ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম। উপ-সহকারি কৃষি অফিসার আরিফুল ইসলামের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার রেহানা পারভীন।

এ ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপসহকারী কৃষি অফিসার আবদুস সামাদ, বক্তব্য রাখেন উপ সহকারী কৃষি অফিসার এ বি এম মমিন অর রশিদ, আব্দুস সামাদ মন্টু, অঞ্জিরা খাতুন, মুরতুজা জামান, কৃষক হুমায়ুন কবির, উপ-সহকারি কৃষি কর্অমকর্তা, খাদেমুল বাসার, আমজাদ হোসেন, নজরুল ইসলাম, সেলিনুর রহমান, কৃষক হুমাযন প্রমুখ। সভা শেষে অটোমেটিক সরিষা ভাঙ্গানো মেশিন দিয়ে তেল তৈরি করার পদ্ধতি শেখানো হয়।




গণসংযোগ ও পথসভায় ভোটা চাইলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী এস.এ.এম জাকারিয়া আলম

দামুড়হুদা আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক গণসংযোগ -প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস.এ.এম জাকারিয়া আলম। হাট-বাজারে গিয়ে কুশল বিনিময় করছেন ভোটারদের সাথে।

আজ সকাল কার্পাসডাঙ্গা গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার বাজার’ এলাকা গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস. এ. এম জাকারিয়া আলম।দিনরাত উপজেলার আনাচে- কানাচে গণসংযোগ ও পথসভা চালিয়ে ভোটারদের মন জয় করছেন তিনি প্রতিদিন নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে এবং উপজেলাবাসীকে মাদকমুক্ত করতে তার নির্বাচনী এলাকায় দোয়া চান।তিনি নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন’সহ নানামুখী উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন ভোটারদের মাঝে।

গণসংযোগ ও পথসভা কালীন চেয়ারম্যান প্রার্থী এস.এ.এম জাকারিয়া আলম এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, উপজেলাবাসী চাইলে এই নির্বাচনে আমি জয়লাভ করবো ইনশা আল্লাহ। নির্বাচিত হলে উপজেলাবাসীর জন্য প্রথম কোন কাজটি করবেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ অনুযায়ী উপজেলা থেকে মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করব। সম্মেলিত উদ্যোগে মরন নেশা মাদকের হাত থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে হবে। তিনি সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সহযোগীতা চান এবং তাদের মাধ্যমে উপজেলাবাসীর কাছে দোয়া ও ভোট কামনা করেন।

এস. এ. এম জাকারিয়া আলম আরো বলেন, ‘আমি সাধারণ মানুষের প্রার্থী হয়েছি। সাধারণ মানুষ আমার পক্ষে কাজ করছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আমার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে আশা করি আমরা জয়ী হব। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ সর্বস্তরে মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করব। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী




দামুড়হুদায় মাঠদিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত প্রদর্শনীর মাঠদিবস ও কারিগরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার সময় দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়জনে উপজেলার জয়রামপুর মাঠ পাড়ায় মাঠদিবস ও কারিগরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হাউলী ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাহাজ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প, যশোর অঞ্চলের মনিটরিং অফিসার হীরক সরকার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে হীরক সরকার তেল ফসলের উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, বারি সরিষা-১৪ জাতের ফসলটি যদি আপনারা আমন ধান কাটার পরে জমিটা পতিত না রেখে সে সময় বারি সরিষা-১৪ জাতের ফসল উৎপাদন করে আবার সেই জমিতে বোরোধান চাষ করা যাই। তাহলে দেশে তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। জমিও পরে থাকবেনা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কায়সার ইকবাল, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, মুকুল হোসেন, চাঁদনী খাতুন সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত কৃষক কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন।




প্রখর রোদে ভ্যান রিকসা চালক ও হতদরিদ্রদের মাঝে ছাতা বিতরণ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভ্যান, রিক্সাচালক ও গরীব মানুষের মাঝে ৭০০ ছাতা বিতরণ করেছেন মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহিদুজ্জামান শিপু।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫এপ্রিল) সকাল থেকে গাংনী উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডসহ শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চলন্ত রিকসা, ভ্যান, আলগামন, নসিমন করিমন ও শ্রমজীবি নিরন্ন মানুষের হাতে ছাতা তুলে দেন তিনি।
এসময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তানভীর ইসলাম উজ্জল, শ্রমিকলীগ নেতা মিজানুর রহমান মজনু, জিয়াউল ইসলাম, শাহিনুজ্জামান মিলনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শাহিদুজ্জামান শিপু বলেন, এই প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরমে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। যারা খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষ। বিশেষ করে ভ্যান, রিকসা, আলগামন, নসিমন করিমন চালক, দিন মজুর, কৃষক এই রোদে কষ্ট করছেন সামান্য সহযোগীতা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো প্রচেষ্টা। শহরে ঘুরে ঘুরে আমি যাদের পেয়েছি তাদের হাতে উপহার সরুপ একটা করে ছাতা তুলে দিয়েছি। যাদের অর্থ আছে, তাদেরও উচিৎ ছিন্নমূল মানুষদের কল্যানে এগিয়ে আসা।

গাংনী উপজেলা শহরের কয়েকজন রিকসা চালক ছাতা পেয়ে শাহিদুজ্জামান শিপুর ছাতা পেয়ে তাকে প্রান খুলে দোওয়া করে বলেন এ শিপু জনতার।

উল্লেখ্য শাহিদুজ্জামান শিপু দেশে করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই গরীব ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী থেকে শুরু করে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাইসাইকেল বিতরণ, অসহায় দরিদ্র নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুহল চেয়ার বিতরণ করে কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।




কোটচাঁদপুর গাছ কেটে বিক্রি ও কম্পাউন্ডের জমি লিজ দেওয়ার অভিযোগ

গাছ কেটে বিক্রি ও কম্পাউন্ডের জমি লিজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মশিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)কোটচাঁদপুর অফিসের কর্মকর্তা। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন,(বিটিসিএল) ঝিনাইদহের প্রকৌশলী আবু জাহিদ।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)কোটচাঁদপুর অফিসে গেল তিন বছর হল কর্মরত রয়েছেন,মশিয়ার রহমান। তিনি ওই অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি এই কর্মস্থলে যোগদানের পর ওই কম্পাউন্ডের ভিতর থেকে এর আগে কাঠাল গাছ সহ বেশ কয়েকটি গাছ কেটে বিক্রি করে দেন। কম্পাউন্ডের জমি লিজ দিয়ে নিয়েছেন টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার বিক্রি করেছেন একটি একাশিয়া গাছ। যার আনুমানিক দাম ৪ হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান বলেন,বিটিসিএল গাছ বিক্রি করতে পারেন। আর এ ঘটনাটি স্যার জানেন। স্যারের অনুমতি নিয়ে গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। আর টাকা স্যারকে দেয়া হয়। তবে তিনি জমি লিজ দেয়া ও অন্যান্য গাছ কেটে বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড( বিটিসিএল) প্রকৌশলি আবু জাহিদ বলেন,গাছ কাটার সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। আর টাকা নেওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা না। তিনি বলেন,আমার বাড়ি এখানেই শৈলকূপায়। ঝিনাইদহের কল্পনা এমপি আছে,ওনাকে তো আপনারা চিনেন। আমরা ওই ফ্যামিলির ছেলে। আপনি মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করে দেখবেন আমরা কি ধরনের।

আবু জাহিদ আরো বলেন,মশিয়ার রহমান সাহেব এটা কোন রকম করতে পারেন না। ওনি এটা করে চাকুরীর বিধি লংঘন করেছেন। আমি ঘটনা নিয়ে স্যারের সঙ্গে কথা বলবো। এরপর তদন্ত শেষে ওনার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন,ঘটনাটি আমার জানা নাই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।




গাংনীতে বিদুৎষ্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

বিদ্যুৎচালিত সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎষ্পৃষ্টে আব্দুল হান্নান(৭৫)নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল দশটার দিকে গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামের দক্ষিন পাড়ায় এই ঘটনাটি ঘটে। আব্দুল হান্নান দেবীপুর গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে।

আব্দুল হান্নানের মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য হিরোক আহমেদ।

তিনি জানান, আব্দুল হান্নান নিজ বাড়ির পাশে নিজের বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের সুইস দিতে গিয়ে বিদুৎষ্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে স্থানীয়রা হান্নানের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন।

স্থানীয় বামন্দী ক্যাম্প পুলিশের এসআই শরীফুল ইসলাম জানান, বিদুৎষ্পৃষ্টে কৃষক মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মরদেহ ওই কৃষকের পরিবারের হেফাজতে রয়েছে।




গরমে নাজেহাল দিনমজুরদের পানি,গামছা ও ক্যাপ দিলেন মেয়র

চলছে গ্রীষ্মের তাণ্ডব। ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রা। সবমিলিয়ে জনজীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। এই তীব্র গরমে মেহেরপুরের দিনমজুর ও সাধারণ পথচারীদের স্বস্তি দিতে সুপেয় পানি, গামছা ও ক্যাপ বিতরণ করেছেন পৌর মেয়র মাহাফুজুর রহমান রিটন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে দিনমজুর ও পথচারীদের মাঝে এ বোতলজাত বিশুদ্ধ খাবার পানি ও ক্যাপ বিতরণ করা হয়।

পৌর শহরের শতশত পথচারী ও রিক্সা চালকদের হাতে এইসব জিনিস তুলে দেন পৌর মেয়র মাহাফুজুর রহমান রিটন এবং প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান রিটন।

এসময় পৌর মেয়র বলেন, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে মানুষ প্রচণ্ড অস্থিরতার মধ্যে আছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষরা ঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। একটু কাজ করলেই হাঁপিয়ে উঠছেন। গরম থেকে কিছুটা প্রশান্তি দেওয়ার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, পৌর কমিউনিটি সেন্টার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে যাতে পথচারী মানুষ আশ্রয় নিয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে আবারো কাজ শুরু করতে পারে। এছাড়াও সুপ্রিয় স্যালাইন পানির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।

আগামী ২৫ সাল পর্যন্ত মেহেরপুর পৌরসভা একটি গ্রীন জনে পরিণত করব এবং প্রত্যেকটি বাসা বাড়িতে ছাদ বাগান করার জন্য উৎসাহিত করব। মেহেরপুর পৌর সভায় যাতে প্রচুর পরিমাণ গাছ থাকে সেই জন্য তাৎক্ষণিক ১০ হাজার গাছ আমরা রোপণ করবো।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, পৌর সচিব জি. এম. ওবায়দুল্লাহ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মহাসিন আলী, কাউন্সিলর মীর জাহাঙ্গীর হোসেন, আল মামুন, আব্দুর রহিম, মুস্তাক আহমেদ, শারমিন সুলতানাসহ পৌর কর্মচারীরা।




এসি ঘরে ত্বক ভালো রাখতে

তীব্র তাপদাহে এসি যেন একটু স্বস্তি যোগায়। চল্লিশের ঘরের তাপমাত্রায় যানবাহন থেকে শুরু করে ঘর, অফিস, শপিংমলে সব জায়গাতেই সারাবেলা এসিতেই কাটছে অনেকের সময়। তবে গরমে এসিতে থাকাটা আরামদায়ক হলেও ত্বকের ওপর কিন্তু এর প্রভাব ভালো নয়। এ যন্ত্রের ঠান্ডা বাতাসে শুষ্ক ত্বকের পাশাপাশি স্বাভাবিক ও তৈলাক্ত ত্বকেও সমস্যা বেড়ে যায়। দীর্ঘ সময় এমন কৃত্রিম ঠান্ডা পরিবেশে থাকলে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়াসহ ত্বকে ভাঁজ পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যার সমাধানে যা করবেন:

.দীর্ঘ সময় এসির নিচে থাকলে ত্বক শুষ্ক হতে থাকে। তাই শীতাতপনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ঢোকার আগে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন এবং সঙ্গে রেখেও দিন। এ সময় ত্বকের যত্নে প্রয়োজন প্রচুর ময়েশ্চারাইজার। প্রয়োজনে ময়েশ্চারাইজারের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিনও। গ্লিসারিন ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে ভীষণ কার্যকর।
.এসির বাতাস ত্বকের পাশাপাশি রুক্ষ করে তোলে ঠোঁটও। ঠোঁটের কোমলতা ধরে রাখতে গরমেও ব্যবহার করুন পর্যাপ্ত পেট্রোলিয়াম জাত জেলি। চাইলে লিপগ্লসও ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নিতে ভুলবেন না।

.দীর্ঘ সময় এসিতে থাকলে ত্বকের যত্নে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন। দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করুন। এছাড়াও চেষ্টা করুন রসালো ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে সার্বজনীন পেনশন স্কীম মাঠ পর্যায়ে অবহিতকরণ সভা

সার্বজনীন পেনশন স্কীম-একটি রাষ্টের টেকসই উন্নয়নের অন্যতম শর্ত হলো- উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সকল নাগরিককে সম্পৃক্ত করা এবং সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। বৈষম্যহীন সামাজিক কাঠামোয় সকল নাগরিকের বিশেষ করে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪ ও ১৫ অনুচ্ছেদে এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনয়নে প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

এ লক্ষ্যে তিনি ২০০৮ সনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে একটি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন করার বিষয়ে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করাসহ ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের ঘোষণা প্রদান করেন। এর ধারাবাহিকতায় সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ প্রণীত হয় যার অধীনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ১৭ আগস্ট ২০২৩ তারিখ সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী জনকল্যাণমূখী পদক্ষেপ, যা সকল নাগরিকের অবসরকালীন আর্থিক মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচিত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ সর্বজনীন পেনশন স্কিম মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা করেছে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজনে, উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এর সঞ্চালনায়, এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সাদাত রত্ন, মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল কুমার দত্ত, সোনালী ব্যাংক মুজিবনগর শাখা ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার হাসনাইন জাহিদ, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান , দারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান রবিসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষিকা, মসজিদের ইমাম, গ্রাম পুলিশ এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সরকার সকল শ্রেনী পেশার মানুষের বয়স্ক কালিন নিরাপত্তার জন্য ৫ টি সর্বজনীন পেনশন স্কীম চালু করেছে সেগুলো হল-
১।প্রবাস স্কীম-(প্রবাসী) যার মাসিক চাঁদা ২০০০-১০০০০।
২।প্রগতি স্কীম-(বেসরকারী চাকুরিজীবী) যার মাসিক চাঁদা ২০০০-১০০০০।
৩।সুরক্ষা স্কীম-(সকর্মে নিয়োজিত) যার মাসিক চাঁদা ১০০০-৫০০০।
৪।সমতা স্কীম- (অতিদরিদ্র )যার মাসিক চাঁদা ৫০০
৫।প্রত্যয় স্কীম- (স্বায়িত্বশাসিত পতিষ্ঠানে কর্মরত চাকুরিজীবীদের জন্য বিশেষায়িত স্কিম) যার মাসিক চাঁদা ২০০০-১০০০০।
সার্বজনীন পেনশন স্কীমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কেও যুক্ত হতে পারবেন এবং ৬০ বছর বয়সে চাঁদা বন্ধ হয়ে প্রতি মাসে পেনশন শুরু হবে।

অবহিতকরণ সভা শেষে উপজেলা চত্বরে স্থাপিত সার্বজনীন পেনশন স্কিমের রেজিস্ট্রেশন বুথের উদ্বোধন করা হয়।