স্ত্রী হিসাবে ক্যাটরিনাকে কত নম্বর দিলেন ভিকি?

২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর সাতপাকে বাঁধা পড়েন ভিকি কৌশল ও ক্যাটরিনা কাইফ। তবে বিয়ের আগে থেকেই আড়ালে-আবডালে দুই বছর প্রেম করেছেন এই বলিউড যুগল।

নিজেদের সম্পর্ককে ক্যামেরার ঝলকানি থেকে দূরেই রেখেছিলেন এই পাওয়ার কাপল। বিয়ের আগে কখনো নিজেদের সম্পর্কের বিষয়ে জনসমক্ষে মুখ খোলেননি ভিকি বা ক্যাটরিনা কেউ-ই। স্বামী হিসাবে ভিকির প্রশংসা করছেন ক্যাটরিনা। কিন্তু স্ত্রী হিসাবে ক্যাটরিনাকে কত নম্বর দেবেন ভিকি?

ভিকি বলেন, ‘বিয়ের পর জীবন সত্যিই বদলে যায়। বিয়ের আগে জীবনের সঙ্গে পরের জীবনের কোনো মিল থাকে না। বিয়ের পর ‘আমি’টা ‘আমরা’ হয়ে যায়। প্রতিটা সিদ্ধান্ত যৌথভাবে নেওয়া জরুরি। আমি সবচেয়ে বেশি পরিণত হয়েছি বিগত আড়াই বছরে। আমার ক্ষেত্রে এই বদলটা অত্যন্ত নেতিবাচক।’

কথায় আছে, সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। ভিকির সংসার কি ক্যাটরিনার গুণেই সমৃদ্ধ? ভিকির জবাব, ‘ক্যাটরিনা আমার চেয়ে অনেক বেশি পরিণত। দুজনের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। সেটা থাকবেই। কিন্তু খাবার অর্ডার করা কিংবা বেড়াতে যাওয়ার জায়গা ঠিক করার ক্ষেত্রে আমরা সব সময় আলোচনা করেই করি।’

শুটিং নেই। ব্যস্ততা কম। দুজনেই বাড়িতে থাকছেন। এমন দিনে একে-অপরের সঙ্গে সময় কাটানো সবচেয়ে পছন্দের ভিকির। ভিকি বলেন, ‘ক্যাটরিনা স্ত্রী হিসাবে সেরা। ওর সঙ্গে থাকলে কোনো চিন্তা থাকে না। মনে হয় যেন ভেসে যাচ্ছি।’

সূত্র: যুগান্তর




কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় হেলপার নিহত

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় শান্ত ইসলাম (১৮) নামে এক ট্রাকের হেলপার নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরের দিকে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শান্ত ইসলাম ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা উপজেলার রাজাবাড়ী এলাকার মোস্তফা আলীর ছেলে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহেল শেখ জানান, বুধবার ভোরের দিকে বটতৈল এলাকার রুহুল ফিলিং স্টেশনের কাছে নেত্রকোনা থেকে মিষ্টিকুমড়ো বোঝাইকৃত ঝিনাইদহগামী ১টি ট্রাক রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা পাথরবোঝায় আরেকটি ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে চলন্ত ট্রাকের হেলপার শান্ত ইসলাম পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।




বিসিবিতে নতুন কোন পদে থাকছেন, নিজেই জানালেন নান্নু

মিনহাজুল আবেদীন নান্নু চলতি মাসেই প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন। প্রায় এক যুগ পর এই পদ ছাড়ছেন তিনি।

তার জায়গায় আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে নেবে গাজী আশরাফ হোসেন লিপু-হান্নান সরকার-আব্দুর রাজ্জাকের নির্বাচক প্যানেল।

নান্নু-বাশারকে যখন নির্বাচক প্যানেল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তখন বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, বিসিবিতেই রাখা হবে নির্বাচকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনকে। পরে সুমনকে আনুষ্ঠানিকভাবে নারী উইংয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হওয়া। তবে বাকি ছিল প্রধান নির্বাচক নান্নুর নিয়োগ।

তবে সম্প্রতি বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব চলাকালে নান্নু জানিয়েছিলেন হেড অব প্রোগ্রাম পদটি পছন্দ তার। যে পদে ইতোমধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড মুরসে। এবার বিসিবিতে নিজের পছন্দের পোস্টেই নিয়োগ পাচ্ছেন নান্নু। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

এ বিভাগে হেড অব প্রোগ্রাম অস্ট্রেলিয়ান ডেভিড মুরসের সঙ্গে মূলত কাজ করবেন নান্নু।

বিসিবির বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজন, গেম ডেভেলপমেন্ট, টুর্নামেন্ট এসব নিয়ে কাজ করবেন তিনি। সার্বিকভাবে ক্রিকেটের সবকিছুর উন্নতিতেই চোখ থাকবে তাদের।

প্রায় এক যুগ বিসিবির প্রধান নির্বাচক ছিলেন নান্নু। নানা আলোচনা-সমালোচনার পর গত ১২ ফেব্রুয়ারি বোর্ডসভায় তার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। ওই দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিসিবিতে নতুন ঠিকানা খুঁজে পেয়েছেন নান্নু।

সূত্র: যুগান্তর




গাংনীতে একই পরিবারের ৩ জনকে কুপিয়ে জখম

ছাগলে তামাক ক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের নারীসহ তিনজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তক্ত করেছে প্রতিপক্ষরা।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টার সময় গাংনী পৌরসভার ফতাইপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, ফতাইপুর গ্রামের মৃতু মঙ্গল শেখের ছেলে জনি (৩৮) তার স্ত্রী জাম্বিয়া খাতুন (২৮) ও ছেলে বিজয় (১৪)।

আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, ফতাইপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে জহুরুল ইসলামের একটি ছাগল জনির তামাক ক্ষেত প্রায়ই খেয়ে যায়। একে জনি প্রতিবাদ করলে এনিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ছাগল মালিক জহুরুল ইসলাম ও তার ভাই আরিফুল ইসলাম গোলাপ দেশীয় তৈরী ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। এতে জনি তার স্ত্রী জাম্বিয়া ও ছেলে বিজয় মারাত্মক আহত হন।

আহত জনি জানান, আমার তামাক ক্ষেত জহুরুল ইসলামের একটি ছাগল প্রায় দিনই খেয়ে যায়। জহুরুলকে বলতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। এনিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আহত জনি।

গাংনী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহত এবং হামলাকারীরা আপন চাচাত ভাই। বিষয়টি পারিবারিকভাবে মেটানোর চেষ্টা করছি।




দর্শনায় জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০২৪ উদযাপন

জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে দর্শনা পৌরসভায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

স্মার্ট হবে স্থানীয় সরকার নিশ্চিত করবে সেবার অধিকার প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে র‍্যালি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় পৌরসভার সামনে থেকে র‍্যালি বের হয়ে দর্শনার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৌরসভার হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবুর সভাপতিত্বে আলোচনা করেন পৌর সচিব সাজেদুল আলম, পৌরসভার কর নির্ধারক সরওয়ার হোসেন, শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আরিফিন হোসেন সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ সহ-সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম সহ পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ।




দর্শনা শহরে আতংক ছড়াচ্ছে কিশোর গ্যাং

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় রীতিমতো আতংক ছড়াচ্ছে কিশোর গ্যাং। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের আচরণ এতটাই বেপরোয়া যে তাদের কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এরা অনেকটাই ‘ডনের মত আচরণ করে।

আক্রমণাত্মক ভাবভঙ্গি ও চালচলন, অশ্লীল বাচনভঙ্গি, পাড়া-মহল্লা, অলিগলিতে জড়ো হয়ে কোনো কারণ ছাড়াই উচ্চস্বরে গালিগালাজ করা। রাতবিরাতে মহল্লার বিভিন্ন বাড়ির মূল ফটকে লাথি মেরে বা অন্য কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করে ভিতিকর পরিস্থিতি তৈরি,স্কুল কলেজ ছুটি হলে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, উচ্চশব্দে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে ও হাইড্রলিক হর্ণ বাজিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে জনসাধারনের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দিনের পর দিন কিশোর গ্যাংয়ের বেপরোয়া কর্মকান্ড ভাবিয়ে তুলছে সংশ্লিষ্ট এলাকাসী ও অভিভাবকদেরকে। এদের নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেই তেমন কোনো ভূমিকা।

সুত্র বলছে, গ্যাং গ্রুপের কিছু সদস্য দর্শনার একটি প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে যুক্ত। আর ওই প্রভাবশালী মহলের বলয়ে থেকে এরা নানা কর্মকান্ড সংঘটনে সিদ্ধহস্ত। বিশেষ মহলের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ালেও এদের কেও কিছু বলতে সাহস পায়না।

জানা গেছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি, রবিবার দিবাগত রাতে অর্থাৎ শবেবরাতের রাতে দর্শনা পৌর শহরের আজমপুর মহল্লার অন্তত দশটি বাড়ির মূল ফটকে লাথি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে একটি গ্যাং গ্রুপ। সেই তাণ্ডবের একটি দৃশ্য ধরাপড়ে ভবনে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায়।

সিসিটিভিতে রেকর্ড হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় দর্শনা-মুজিবনগর মহাসড়ক থেকে আজমপুর মহল্লায় প্রবেশের সংযোগ সড়কের শুরতেই থাকা বাড়ির মূল ফটকে ৮/১০ জনের একটি গ্রুপ বেধড়ক লাথি মারতে থাকে। এরপর উচ্চশব্দে আওয়াজ করে স্থানীয় কাউন্সিলরের বাড়ির ফটকে আঘাত করে।

এরপর আরো কয়েকটি বাড়ির ফটকে একই ভাবে আঘাত করে চলে যায় গ্রুপটি। ভিডিও পর্যালোচনা করে রিয়াদ নামের একজনের নাম শোনা যায়। খোজনিয়ে জানাযায় রিয়াদ দর্শনা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার ভাগ্নে।

ভুক্তভোগী এক বাড়িওয়ালা বলেন, গত রোববার রাত ১১টার দিকে বাড়ির ফটকে তীব্র শব্দে কয়েকজন কিশোর বা যুবক আঘাত করে। এতে আমরা আতংকিত হয়ে পড়ি। এরপর ঘরের জানালার কাছে এসে উচ্চশব্দে অশ্লিল কথা বলে। এতে করে আমার একবছরের মেয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এর আগের এমন ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিকার চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রতক্ষদর্শী জানান, এই গ্রুপটা খুবই ভয়ংকর। এদের একজনের নাম সম্রাট। একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী মহল এদের শেল্টার দেয়।

জানতে চাইলে দর্শনা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র ১- রবিউল হক সুমন বলেন, আমিও বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি রবিবার রাতের ঘটনা। একদল উশৃংখল কিশোর রাতে বেপরোয়া আচরণ করছে। এদের নিয়ন্ত্রণ করতে নানা সামাজিক কর্মকান্ডে তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে। যদি শুরুতেই নিয়ন্ত্রন করা না যায় তাহলে এরা ভবিষ্যতে আরো বড় সমস্যার সৃষ্টি করবে।

এ ঘটনায় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন,আমরা সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়েছি। পরে তাদের আর খুজে পাওয়া যায়নি। তবে এসব কর্মকান্ড যারা ঘটাচ্ছে তাদের আইনের আওতায় এনে এদের শাস্তি দেওয়া হবে। তবে শহরে যারা দ্রত গতিতে মোটরসাইকেল চালায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ (পিপিএম) বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের কর্মকান্ড সমাজে বড় একটা সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে। এদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পক্ষ থেকে পাড়া-মহল্লাসহ যেখানে তারা থাকবে সেখানেই অভিযান চালানো হবে। তাদেরকে কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।




দামুড়হুদায় জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত

দামুড়হুদায় জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‍্যালি এবং র‍্যালি শেষে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলী মুনছুর বাবু’র সভাপতিত্বে সেবা ও উন্নতির দক্ষ রুপকার, উন্নয়নে উদ্ভাবনে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস, উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রসিদ, উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রসিদ, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই তৌহিদুল ইসলাম শেখ সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।




জমে উঠেছে কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবি সমিতির নির্বাচন

জমে উঠেছে কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। অল্প সময়ের এ নির্বাচনকে ঘিরে আমেজ বইছে ভোটারদের মাঝে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা এখন তুঙ্গে।

দলমত নির্বিশেষে প্রতিবার নির্বাচন হলেও এবারই প্রথম জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের শীর্ষ পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। দলগত সমর্থনে তাদের অনেক ভোটার রয়েছে।

নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারণা। ভোটারদের কাছেও চলছে প্রার্থীদের বিগত দিনের ভালমন্দ কাজের চুলচেরা বিশ্লেষণ। আর মাত্র ২ দিন বাকী ২০২৪-২০২৫ মেয়াদের কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ নির্বাচনের।

প্রার্থীরা বসন্তকালের মৃদু শীতের শিতলতা মাড়িয়ে নির্বাচনের উত্তাপ ছড়াতে রাতের আধারে ভোট প্রার্থনায় ছুটছে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। চলছে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের সাথে মতবিনিময় ও ভোট চাইবার কাজ।

চলছে নিজ নিজ সেরেস্তার আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণের জোর লবিং ও চেষ্টা। পেশাগত হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও ভোটকে কেন্দ্র করে একে অপরের সাথে দেখা করছে এবং ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা।

প্রার্থীরা আইনজীবীদের সার্বিক কল্যাণে ও সমিতির উন্নয়নের কথা শুনাচ্ছেন ভোটারদের। নিজ নিজ ক্যাম্পে বসেও ভোটারদের সাথে খোশগল্প মিষ্টিমুখসহ নানা আপ্যায়নে আপ্যায়িত করছেন প্রার্থীরা। আবার কেউ কেউ পেশাগত হাজারো ব্যস্ততাকে উপেক্ষা করে ভোট চাইতে ভোটারদের কাছে ছুটছেন।

তফশীল অনুযায়ী আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার ২০২৪-২০২৫ সাল মেয়াদী কমিটির নির্বাচন সমিতির নিজস্ব ভবনের নতুন হল রুমে অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে একটানা বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।

এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন-সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড. মীর ছানোয়ার হোসেন এবং সদস্য হিসেবে দায়িত্বে আছেন এ্যাড. আকরাম হোসেন দুলাল ও এ্যাড. শরীফ উদ্দিন রিমন।

নির্বাচনে এখন প্রায় প্রকাশ্যে দুটি প্যানেলের প্রার্থী-কর্মী সমর্থকরা দল বেধে ভোট চাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। প্রচারনার ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত এই অবস্থা থাকে কিনা সেটি বিবেচ্য না হলেও হ্যাভিওয়েট প্রার্থীরা কে কোন প্যানেলের প্রার্থী সেটি কিন্তু ভোটারদের কাছে পরিস্কার হয়ে উঠেছে। নির্বাচন নিয়ে আইনজীবীদের মাঝে উত্তাপের আমেজ বইছে বার প্রাঙ্গনে। প্রার্থীরা খুব জোরে-সরেই নেমেছেন নির্বাচনী মাঠে। চলছে নিজ নিজ সেরেস্তার আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণের জোর চেষ্টা। পেশাগত হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও ভোটকে কেন্দ্র করে একে অপরের সাথে দেখা করছে এবং ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা।

নির্বাচন কমিশন সুত্রে জানা গেছে, সভাপতি পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা জজ আদালতের জজশীপের (জিপি) সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড. আ, স, ম, আখতারুজ্জামান (মাসুম), কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড. মুহঃ হারুনুর রশিদ, এ্যাড. সোহেল খালিদ মোঃ সাঈদ অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে ক্লিন ও পরিচ্ছন্ন মানুষ, তরুণ আইনজীবীদের প্রিয় প্রার্থী ও আইকোন, জুনিয়র ও সিনিয়র আইনজীবী বান্ধব, একজন প্রতিষ্ঠিত ফৌজদারী আইনজীবী এ্যাড. খন্দকার সিরাজুল ইসলাম।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শেখ মোঃ আবু সাঈদ, সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড. খাদেমুল ইসলাম এবং কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনপ্রিয় তরুণ ও মেধাবী তারুণ্যের প্রতীক, কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির জুনিয়র ও সিনিয়র সাধারণ আইনজীবীদের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে, অধিক গ্রহনযোগ্য আইনজীবী এ্যাড. দেওয়ান মাসুদ করিম মিঠু।

সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে এ্যাড.তানজিলুর রহমান এনাম ও এ্যাড. মোঃ ফারুক আজম মৃধা। সহ-সভাপতি পদে এ্যাড. মঞ্জরুল আলম (সান্নু) ও এ্যাড. এস.এম. মনোয়ার হোসেন মুকুল। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে এ্যাড. ইকবাল হোসেন টুকু, এ্যাড. মনোয়ারুল ইসলাম (মনিরুল), এ্যাড. হাসান রাজ্জাক রাজু ও এ্যাড. মোঃ ইমরান হোসেন দোলন। কোষাধ্যক্ষ পদে এ্যাড. মোঃ শহিদুল ইসলাম (১), এ্যাড. মোঃ আবুল হাশিম ও এ্যাড. মোঃ কামরুল ইসলাম খোকন। গ্রন্থগার সম্পাদক পদে এ্যাড. সোহেলী পারভীন ঝুমু, এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহামন ও এ্যাড. মোঃ নুরুল ইসলাম (নুরুল)। সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে এ্যাড. আশুতোষ কুমার পাল (দেবাশীষ), এ্যাড. রোকুনুজ্জামান (সাজু) ও এ্যাড. মকলেছুর রহমান পিন্টু। দপ্তর সম্পাদক পদে এ্যাড. মোঃ ওয়ালীউল বারী ও এ্যাড. রকিবুজ্জামান (রানা)। সিনিয়র সদস্য পদে এ্যাড. আব্দুর রশিদ (২) এ্যাড.আয়েশা সিদ্দিকা, এ্যাড. নিজাম উদ্দিন (২), এ্যাড. হাফিজুর রহমান (হাফিজ) এ্যাড. রাজীব আহসান রঞ্জু, এ্যাড.আকতারুজ্জামান (আক্তার) ও এ্যাড.মারুফ বিল্লাহ। জুনিয়র সদস্য পদে এ্যাড. বশির উদ্দিন, এ্যাড.আব্দুর রাজ্জাক, এ্যাড. সাইফুর রহমান (সুমন), এ্যাড. তরিকুল ইসলাম সাগর ও এ্যাড. আহসান হাবীব লিংকন চুড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন।




কুষ্টিয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার, জরিমানা আদায়

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় হাসপাতালের প্যাথলজি সেন্টারকে মেয়াদ উত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার করায় ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া জেলা শাখা।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ভেড়ামারা উপজেলা শহর এলাকায় তিনটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে এ জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল।

এসময় তিনি জানান, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভেড়ামারা উপজেলা শহরের এলাকার কয়েকটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়।

এ সময় প্যাথলজিতে রোগ নির্ণয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার করায় ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ এর ৫১ ধারায় সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার কে ৩০ হাজার, হেলথ গার্ডেন ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার কে ২০ হাজার টাকা এবং মামণি ডায়াগনস্টিক সেন্টার কে ২৫ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: মো: নুরুল আমিন বলেন, রিএজেন্ট গুনগতমানের না হলে কোনোভাবেই রোগ নির্নয় সম্ভব নয়। এজন্য চিকিৎসায় পরীক্ষা নিরীক্ষার ক্ষেত্রে রিএজেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

এ সময় অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: মো: নুরুল আমিন এবং জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো: আরাফাত আলীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।




কুষ্টিয়ায় ফেনসিডিলসহ ৩ ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়ায় দৌলতপুর উপজেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রাম থেকে ২৫৯ বোতল আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেনসিডিলসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে।

মঙ্গলবার ভোরে র‌্যাব-১২ সিপিসি-১ কোম্পানির একটি চৌকস অভিযানিক দল মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ।

র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া কোম্পানির সিপিসি-১ এর একটি চৌকস অভিযানিক দল মঙ্গলবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় চরদিয়াড় গ্রামের মো. লুৎফর মালিথার ছেলে ফৌরদোস মালিথা(৪২), বৈদ্যনাথতলা গ্রামের মৃত শাহাদত মালিথার ছেলে মো. সাজদার হোসেন (৪৩), ও বৈদ্যনাথতলা গ্রামের মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. বজলুর রহমান (৩৮)কে গ্রেপ্তার করে ২৫৯ বোতল আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করে।

যার আনুমানিক মূল্য ৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বলে জানায়। গ্রপ্তোরকৃতরা জানায়,দীর্ঘদিন ধরে তারা মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অপর দিকে সোমবার ভোরে কুষ্টিয়ার মিরপুর ও দৌলতপুরে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৩২০ বোতল আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে।

এ সময় একটি ড্রাম ট্রাক, একটি কভার্ড ভ্যানসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলের আনুমানিক মূল্য ৯লাখ ৬০ হাজার টাকা বলে র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া জানায়।