গাংনীতে ফেনসিডিলসহ মাদক কারবারী আটক

৩০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ জনিরুল ইসলাম ওরফে জনি (৩৫) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় একটি রেজিষ্ট্রেশনবিহীন পালসার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

জনিরুল ইসলাম গাংনী উপজেলার মহম্মদপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

গতকাল শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে দেবিপুর-তেরাইল রাস্তার মাঝখানে অভিযান চালিয়ে তাকে ফেনসিডিল সহ আটক করা হয়।

বামন্দী পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই শরিফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ এই অভিযান চালান।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাদক উদ্ধারের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা দিয়ে আটক জনিকে গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




চাকরি দিবে ব্র্যাক ব্যাংক

সম্প্রতি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির রিটেল ডিপোজিট বিভাগ ‘অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি

পদ ও বিভাগের নাম : অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার, রিটেল ডিপোজিট

আবেদনের বয়সসীমা : নির্ধারিত নয়

পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

কর্মস্থল : বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৫ বছর

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ১৮ জুলাই ২০২৪

কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ তারিখ : ০৩ আগস্ট ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : যে কোনো বিষয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা : রিপোর্টিং ও উপস্থাপনা দক্ষতা ছাড়াও কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজের দক্ষতা থাকতে হবে।

অন্যান্য সুবিধা : ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে  এখানে ক্লিক করুন।




দামুড়হুদায় জমাজমি সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদা উপজেলার সুবলপুর গ্রামের জমাজমি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪ টার সময় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার সুবলপুর গ্রামের কলিম উদ্দিন এর ছেলে মোঃ হাফিজ উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা মোঃ হাফিজ উদ্দিন পিতাঃ কলিম উদ্দিন, জাইদুল পিতা: মৃত: আইনাল হক এবং মোঃ কামাল পিতা: মৃত: ইমান আলী সর্বসাং সুবলপুর, আমাদের বাবার নামে রেকর্ড ভুক্ত জমি যা বর্তমানে হালসন খাজনা পরিশোধ আছে। আমাদের জমির পরিমাণ ২০ শতক জমি যা উপজেলার সুবলপুর গ্রামের বিবাদী মোঃ ইব্রাহিম পিতাঃ মৃত: অনু আলী, মো: বক্কর পিতা: মৃত: রমজান আলী গংরা জোর পূর্বক জমি দখলকরে রাখে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতে মামলা করি। মামলা শেষে আদালত লিখত সিদ্ধান্ত আমাদের দিয়েছেন। বিবাদীগনরা আমাদের রেকর্ড এর জমি জোর পূর্বক দখল করে রেখেছেন। আমরা দখল নিতে গেলে তারা আমাদের খুন করার হুমকি দেয়। যার কারনে আমরা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে রায় পেয়েছি। তার পরও জমি নিজেদের দখলে নিতে পারিনাই। দখল নিতে গেলে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে জমি না ছাড়ার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। বিবাদী গনের পাকা বাড়ী এবং মাঠে ৫/৬ বিঘা জমি রহিয়াছে। অথচ দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় ভূমিহীন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছেন, যা মিথ্যা। জমির দাগ নং: ৯৬৫, খতিয়ান নং: ৮৬৫ মৌজা কুড়ালগাছি। জমির পরিমাণ ২০ শতক। প্রকাশ থাকে যে বিবাদীরা গ্রাম আদালতে জমির কোন কাগজপত্র উপস্থিত করতে পারেনি, যার কারনে আমাদের পক্ষে রায় হয়। তার পারেও জোর পূর্বক আমাদের জমি দখল করে আমাদের নামেই মিথ্যা ও বানোয়াট কেচ মামলা করে হয়রানি করছে এবং সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করছে। জমির কাগজপত্র দেখে বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত পূর্বক সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।




যে কারণে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি কম

টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হয় ইন্টারনেট সংযোগ। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেট চালু হয়। তবে বিভিন্ন এলাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও সীমিত পরিসরে ব্যবহার করতে পারেন ব্যবহারকারীরা। যদিও পরের দিন বুধবার রাত থেকে কিছু কিছু বাসা-বাড়িতেও মিলছে ইন্টারনেট সেবা। কিন্তু নেই ইন্টারনেটের স্পিড বা গতি। এতে সাধারণ গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।

ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)’র সভাপতি মো. এমদাদুল হক বলেন, মোবাইল ডেটা ও স্থানীয় ক্যাশ সার্ভার বন্ধ থাকার কারণে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের স্পিড স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ভাগের এক ভাগে রয়েছে।

তিনি বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট এবং সংযোগবিচ্ছিন্ন ক্যাশ সার্ভার চালু না করলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিও বাড়বে না। বর্তমানে দেশের সব সংযোগ চালু করার পরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের পুরো ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে।

এমদাদুল হক বলেন, বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা যে পরিমাণ ইন্টারনেট ট্রাফিক তৈরি করেন, তার ৮০ শতাংশের বেশি পূরণ করে স্থানীয় ক্যাশ সার্ভারগুলো।কিন্তু এখন ক্যাশ সার্ভার কাজ না করায় সম্পূর্ণ ইন্টারনেট ট্রাফিক আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথ ৬,৩০০ জিবিপিএস এর বেশি। ক্যাবল বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মাধ্যমে এর ৫৫ শতাংশ ব্যবহার হয়। বাকি ৩ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয় মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে। কিন্তু এখন কেউই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না। তারাও ঝুঁকেছেন ব্রডব্যান্ডে। এতে ব্রডব্যান্ডের ব্যান্ডউইথে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। এরমধ্যে লোকাল ক্যাশ সার্ভার বন্ধ থাকার ফলে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বহুগুণ বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, ক্যাশ সার্ভার হলো তথ্য সংরক্ষণ বা ধারণ করার নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক সার্ভার বা সেবা। এতে স্থানীয়ভাবে ব্যবহৃত ওয়েবপেজ ও অন্যান্য ইন্টারনেট কনটেন্ট সেভ করা থাকে। অস্থায়ী স্টোরেজ বা ক্যাশ থেকে আগের ব্যবহৃত তথ্য প্রদানের নির্দেশ দিয়ে ক্যাশ সার্ভার ইন্টারনেট ডেটার গতি বাড়াতে এবং একইসঙ্গে ব্যান্ডউইথের চাহিদা কমাতে ভূমিকা রাখে।

সূত্র: ইত্তেফাক




কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পানিতে ডুবে আশিক (১২) নামে মানসিক প্রতিবন্ধী (বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন) এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে জলাশয়ে ভাসমান অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আশিক উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর কারিতলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, শিশু আশিক প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পূর্বে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে সন্ধান চালিয়ে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে নিজ বাড়ির পাশে জলাশয়ে তার ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। নিহত শিশু মৃগী রোগেও আক্রান্ত ছিল বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। অসাবধানতাবসত পানিতে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজনের ধারণা।

মরিচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জানান, মানসিক প্রতিবন্ধী ও মৃগী রোগে আক্রান্ত আশিক নামে এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। সকালে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন।




যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় শাফিন আহমেদের জানাজা অনুষ্ঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় ব্যান্ডতারকা শাফিন আহমেদের প্রথম নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভার্জিনিয়ার দার আল নুর ইসলামিক কমিউনিটি মসজিদে শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় তার জানাজা হয়। যেখানে প্রায় দুই হাজার মানুষের উপস্থিতি ছিল বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শিল্পীর ছেলে আযরাফ রাকিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে বাবার প্রথম জানাজা হয়েছে ভার্জিনিয়ার দার আল নুর মসজিদে। প্রায় দুই হাজার মানুষের উপস্থিতি ছিল।

তবে শাফিন আহমেদের মরদেহ আনার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে রাকিন বলেন, “বাংলাদেশে নিয়ে আসার বিষয়টি এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। অনেক ধরনের প্রসেস আছে, সে প্রসেসগুলো সম্পূর্ণ করার চেষ্টা চলছে।”

মাইলস ব্যান্ডের অন্যতম ভোকালিস্ট শাফিন আহমেদ জুলাইয়ের ৯ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে কনসার্ট করেন তিনি। ভার্জিনিয়ায় গত ২০ জুলাইয়ে আরেকটি কনসার্টে অংশ নেওয়া আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন হন গায়ক। হাসপাতাল থেকেই গত ২৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় দেশের কিংবদন্তি এব্যান্ড তারকার মৃত্যু হয়।

মাইলসের কি বোর্ডিস্ট মানাম আহমেদ জানিয়েছেন, শাফিন হৃদরোগে ভুগছিলেন অনেক দিন ধরেই। তার হৃদযন্ত্রে রিং পরানো ছিল। সমস্যা ছিল কিডনিতেও।

আশি ও নব্বইয়ের দশকের কিশোর-তরুণ শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়ে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এ ব্যান্ড তারকা দেশে ও দেশের বাইরে কনসার্টও মাতিয়েছেন গিটার হাতে। তার ‘চাঁদ তারা সূর্য নও তুমি’, নীলা, আজ জন্মদিন তোমার, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ধিকি ধিকি’ এর মত গান মুখে মুখে ফিরেছে সবার।

বাংলাদেশের সংগীত অঙ্গনের দুই মহারথী সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম এবং সুরকার কমল দাশগুপ্তের ছেলে শাফিন নিজে ছিলেন বেইজ গিটারিস্ট, সুরকার এবং গায়ক। ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তার জন্ম।

ফরিদ রশিদের হাত ধরে ১৯৭৯ সালে তারা গড়ে তোলেন ব্যান্ড দল ‘মাইলস’। প্রথম কয়েক বছর তারা বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেলে ইংরেজি গান গাইতেন। এরমধ্যেই প্রকাশিত হয় দু’টি ইংরেজি গানের অ্যালবাম ‘মাইলস’ ও ‘এ স্টেপ ফারদার’। পরে মাইলসের বাংলা গানের প্রথম অ্যালবাম ‘প্রতিশ্রুতি’ বের হয় ১৯৯১ সালে।

মাইলসের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘প্রথম প্রেমের মতো’, ‘গুঞ্জন শুনি’, ‘সে কোন দরদিয়া’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ধিকি ধিকি’, ‘পাহাড়ি মেয়ে’, ‘নীলা’, ‘কি যাদু’, ‘কতকাল খুঁজব তোমায়’, ‘হৃদয়হীনা’, ‘স্বপ্নভঙ্গ’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘শেষ ঠিকানা’, ‘পিয়াসী মন’, ‘বলব না তোমাকে’, ‘জাতীয় সঙ্গীতের দ্বিতীয় লাইন’ ও ‘প্রিয়তমা মেঘ’।

মাইলস থেকে বেরিয়ে পরে তিনি গড়ে তোলেন নিজের ব্যান্ড দল ‘ভয়েস অব মাইলস’।

সূত্র: ইত্তেফাক




জমকালো আয়োজনে প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধন

‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিক গেমসের ৩৩তম আসরের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জমকালো আয়োজনে ফ্রান্সের প্যারিসে অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েন ম্যাক্রো। শুক্রবার (২৬ জুলাই) বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় সিন নদীতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন বিখ্যাত সংগীত শিল্পী লেডি গাগা।

৬ থেকে ৭ হাজার অ্যাথলেট অস্টারলিটজ সেতু থেকে নৌকা ও বার্জে করে সিন নদীর ৬ কিলোমিটার পাড়ি দেন। অলিম্পিকে তিনবারের গোল্ড মেডেলে জেতা ফ্রান্সিস মারি জোস পেরেক এবং টেডি রিনার অলিম্পিক মশাল প্রজ্বলন করেন।

ঐতিহ্য মেনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সবার আগে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় অলিম্পিকের জন্মভূমি গ্রিসকে। এরপর শরণার্থী অলিম্পিক দল ও বর্ণানুক্রমিকভাবে একে একে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর কন্টিনজেন্ট আসতে থাকে বার্জে করে।

প্যারিস অলিম্পিক আয়োজক কমিটির সভাপতি টনি এস্তাগুয়েত গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমন আয়োজন করতে পেরে আমরা সত্যিই অনেক খুশি। খেলাধুলা এবং সংস্কৃতির এই বড় আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতে পেরে আমি খুবই খুশি। বৃষ্টি থাকা সত্ত্বেও আয়োজনটি দারুণ ছিল।’

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) সভাপতি টমাস বাখ বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে স্বপ্ন দেখার জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। জয়ের মাধ্যম আত্মবিশ্বাসী হও এবং আমাদের আরও খেলা উপহার দাও। চলুন আমরা এবার অলিম্পিক গেমস উপভোগ করি।’

সূত্র: ইত্তেফাক




সরকারি খালের মুখ বন্ধ, হুমকিতে কুমারখালীর হাজারো বিঘা জমির ফসল

কুষ্টিয়ার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ গড়াই নদী শাসনের (ড্রেজিং) নামে প্রবাহমান সরকারি খালের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। হুমকিতে পড়েছে কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, এনায়েতপুর ও এতমামপুর গ্রামের অন্তত দুই হাজার বিঘা কৃষি জমি। ঝুঁকিতে রয়েছে অর্ধশত পুকুর। স্থানীয়দের ভাষ্য, বার বার বলার পরও পাউবো অপরিকল্পিতভাবে নদী শাসন করেছে। বন্ধ করে দিয়েছে খালের মুখ। এতে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফসলসহ জমি প্লাবিত হয়েছে। দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। তারা দ্রুত বালু অপসারণের দাবি জানান।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোবিন্দপুর গ্রামের কোলের মাঠ থেকে গড়াই নদী পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ড্রেনেজ খাল রয়েছে। তা দিয়ে গোবিন্দপুর, এনায়েতপুর ও এতমামপুর গ্রামের প্রায় দুই হাজার বিঘা কৃষি জমিতে পানি যাওয়া-আসা করে। তবে প্রায় দুই মাস আগে গড়াই নদী শাসনের নামে ড্রেজিংকৃত বালু ফেলে ওই খালের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে।

আর কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ধান, পাটসহ বিভিন্ন ফসল প্লাবিত হয়েছে। হুমকিতে রয়েছে অন্তত ৫০টি পুকুর। গত বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন যেয়ে দেখা যায়, খালের পানিতে স্রোত নেই। সদ্য রোপণ করা ধানের চারা ডুবে গেছে। পাটখেতে হাঁটু পানি। আর খালের মাথায় প্রায় ৩০০ মিটার চওড়া বালুর স্তূপ রয়েছে।

এ সময় গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক টুটুলের সাথে কথা হলে জানান, মাঠে পুকুরসহ তার প্রায় ১৮ বিঘা জমি রয়েছে। তার মধ্যে ৭ বিঘা জমিতে তিনদিন আগে আমন ধানের চারা রোপণ করেছেন। তবে গত কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিতে চারা পানিতে ডুবে গেছে।

তার ভাষ্য, দুই মাস আগে পাউবো বালু ফেলে খালের মুখ ভরাট করেছে। সেজন্য পানিপ্রবাহ বন্ধ হওয়ায় ধান ও পাটখেত প্লাবিত হয়েছে। অন্তত দুই হাজার বিঘা জমি হুমকিতে পড়েছে।

কৃষক লিয়াকত আলী জানান, দিন ১৫ পরেই পাট কাটা শুরু হবে। তবে পাটের জমিতে হাঁটু সমান পানি জমে আছে। পানির কারণে পাটের মাথা লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত পানি অপসারণের দাবি জানান।

শফিকুল নামে আরেক কৃষক জানান, বালুর কারণে প্রায় দুই হাজার বিঘা তিন ফসলি জমি হুমকিতে পড়েছে। তিনি খালের মুখ থেকে বালুর স্তূপ সরানোর দাবি জানান।

প্রায় দুই মাস ধরে খালের মুখ বন্ধের বিষয়টি জানেন না বলে জানান কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ড্রেজার) মো. জিনারুল। তিনি জানান, নদী শাসনের সময় খালের মুখ ভরাট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে বালু সরানোর জন্য চেয়ারম্যানের লোকদের নিজস্ব ভ্যেকু দিয়েছিলেন।

উপসহকারী প্রকৌশলীর এই বক্তব্য অস্বীকার করে যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান জানান, তাকে খালের মুখ বন্ধ ও জলাবদ্ধতার কথা জানিয়েছেন কৃষকরা। এতে চরম বিপাকে পড়েছে সবাই। তবে কুষ্টিয়া ৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ পাউবোর সঙ্গে কথা বলে দ্রুত বালু অপসারণ করে পানিপ্রবাহ সচল করার আশ্বাস দেন।




গাংনীতে সড়কে প্রাণ হারালেন প্রতিবন্ধী নারী

মেহেরপুরের গাংনীতে গরু বোঝাই দ্রুতগামি স্যালোইঞ্জিন চালিত লাটাহাম্বার চাকায় শাড়ি আটকিয়ে প্রাণ হারালেন নিছারন নেছা (৫৫) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী উপজেলার চোখতোলা মাঠ নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিছারন নেছা উপজেলার কাষ্টদহ গ্রামের আব্দুল মোতালেবের মেয়ে। ঘটনার পরপরই লাটাহাম্বার চালক ও গরুর মালিকরা গরু নিয়ে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, মানসিক প্রতিবন্ধী নিছারন নেছা চোখতোলা হতে জোড়পুকুরিয়ার দিকে রাস্তার ডান পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন। গরু বোঝাই লাটাহাম্বারটি বামন্দী থেকে গাংনীর দিকে আসছিলো। দ্রুত গতির লাটাহাম্বারটি ঢালাই রাস্তা থেকে নতুন নির্মিত রাস্তায় নামার সময় স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই নারীর উপর উঠে যায়। এসময় চাকার সাথে শাড়ি আটকিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এর পরপরই পালিয়ে যায় লাটাহাম্বার চালক ও গাড়িতে থাকা গরু ব্যবসায়ীরা।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে।




পানি সংকটে পাট জাগ দিতে না পারায় কুষ্টিয়ায় কমছে পাটের আবাদ

চলতি বছর কুষ্টিয়ায় পাটের আবাদ কমেছে ৯০ হাজার বিঘা জমিতে। ন্যায্য দাম না পাওয়ার পাশাপাশি পাট জাগ দেওয়ার খাল-বিল ভরাট হয়ে যাওয়া এবং আশানুরূপ ফলনা না হওয়া, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় আবাদ কমেছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, এবার অধিকাংশ কৃষক ধান চাষ করেছেন।

তবে পাট অধিদপ্তরের দাবি, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় কমেছে পাটের আবাদ। আর কৃষি বিভাগ বলছে, পাট চাষে আগ্রহী করার জন্য কৃষকদের প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুবিধা ও বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পঁচানোর পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে চাষিদের।

জেলা পাট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ায় চলতি বছরে পাট চাষ হয়েছে ৮৬ হাজার একর জমিতে। অথচ পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ১৫ হাজার একর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২৯ হাজার (৯০ হাজার বিঘা) একর জমিতে পাটের আবাদ কমেছে। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ একর। আবাদ হয়েছিল ১ লাখ ১৫ একর জমিতে। উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ৪ লাখ বেল পাট।

চাষিদের দাবি, পাটের ফলন ভালো হলেও চাষিরা নানা সমস্যায় ভোগেন। আগের বছরগুলোতে অনাবৃষ্টির কারণে পুকুর, খাল-বিল ও নালাগুলোতে পানি ছিল না। যে কারণে কৃষকরা পাট জাগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় সমস্যায় পড়েছিলেন। পানির ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে পুকুর ভাড়া করে সেখানে পানি দিয়ে পাট জাগ দিয়েছেন। তাতে খরচ আরও বেড়ে যায়।
অনেকেই জমিতেই বাঁধ তৈরি করে পানি জমিয়ে কাদামাটি দিয়ে পাট জাগ দিয়েছেন। এতে পাটের মান নষ্ট হওয়ায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কৃষক। খাল-বিল সংস্কার করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখলে পাট পচানো সম্ভব। এর ফলে পাটের আবাদ বৃদ্ধি পেতে পারে।

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা গ্রামের কৃষক আবু হোসেন আলী বলেন, আমি নিয়মিত পাট চাষ করতাম। পাট চাষে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। পাট পচানো পানি আর শ্রমিকের অভাব থাকা সত্বেও পাঠ চাষ করতাম। এতো কিছুর পরেও ন্যায্যমূল্য পাইনি।

একই উপজেলার কাতলামারি গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, ঠিকমতো পানি পাওয়া যায় না পাট পচানোর জন্য। প্রচণ্ড রোদ ও গরমের কারণে মাঠেই পাট নষ্ট হয়েছে। অনেকেরই জমিতে পাট বের হয়নি। তাই এবার পাটের আবাদ কম হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া গ্রামের কৃষক মনছের আলী বলেন, পাট চাষ করলে বিপদে পড়তে হয়। পাট বিক্রি করে এখন খরচও উঠে না। আর পাট জাগ দেওয়ার পানি নেই খাল-বিলে। এজন্য পাটের আবাদ কমছে। অনেক কৃষকই এখন পাটের বদলে অন্য ফসল চাষে ঝুঁকছেন।

মশান গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান শাহ বলেন, গতবার আমি তিন বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছিলাম। যে টাকা খরচ করেছিলাম সেটাও আসেনি। তাই এবার পাট চাষ করিনি।

মিরপুর উপজেলার কাকিলাদহ গ্রামের কৃষক সবুজ আলী বলেন, পাট পচানোর জন্য কোনো উন্মুক্ত জলাশয় না থাকায় চাষিরা এই ফসল চাষ করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। খাল-বিল সংস্কার ও দখল হয়ে যাওয়া জলাশয় উন্মুক্ত ঘোষণা করলে পাট চাষ বৃদ্ধি করা সম্ভব।

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা পাট চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ পরামর্শ দিচ্ছি। এ বছর কৃষকরা পাট চাষ কম করেছেন। আশা করছি, দাম ভালো পেলে আগামীতে পাট চাষ বৃদ্ধি পাবে।

কুষ্টিয়া জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ সুফি মোঃ রফিকুজ্জামান বলেন, জেলায় চলতি বছরে পাট চাষ হয়েছে ৮৬ হাজার একর জমিতে। অথচ পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ১৫ হাজার একর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২৯ হাজার (৯০ হাজার বিঘা) একর জমিতে পাটের আবাদ কমেছে। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ একর। আবাদ হয়েছিল ১ লাখ ১৫ একর জমিতে। উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ৪ লাখ বেল পাট।

তিনি আরও বলেন, সরকার পাট চাষ ও বীজ উৎপাদনে কৃষকদের প্রণোদনা দিচ্ছে। পাটের আবাদ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দখল হয়ে যাওয়া খাল-বিল ও প্রাকৃতিক জলাশয় উদ্ধারে কাজ চলছে।

কুষ্টিয়া জেলা মুখ্য পাট পরিদর্শক সোহরাব উদ্দিন বলেন, পাটের আবাদ বৃদ্ধি করতে কৃষকদের সার ও বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকার কারণে পাটের আবাদ কমেছে। আশা করছি, আগামীতে পাটের আবাদ বৃদ্ধি পাবে।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা বলেন, পাটের আবাদ কমে যাওয়ার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাট চাষিদের পাট পচানোর সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাট চাষ বৃদ্ধিতে কৃষক পর্যায়ে প্রণোদনা বৃদ্ধি করা হবে।