নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল অজিরা। এবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বৃষ্টি আইনে নিউজিল্যান্ডকে ২৭ রানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) অকল্যান্ডে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে ১০ ওভার ৪ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান সংগ্রহ করে অজিরা। ট্রাভিস হেড ৩০ বলে ৩৩ ও ম্যাথু শর্ট করেন ১১ বলে ২৭ রান।

এরপর বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। বৃষ্টি আইনে নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য টার্গেট দাঁড়ায় ১০ ওভারে ১২৬ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। দলীয় ২৯ রানে জোড়া উইকেট হারায় তারা।

এরপর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ফিন অ্যালান। তবে দলীয় ৫১ রানে ৯ বলে ১৩ রান করে আউট হন অ্যালান।

এরপর ক্রিজে আসা মার্ক চ্যাপম্যানকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন ফিলিপস। তবে বলে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে ব্যর্থ হয় তারা।

শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। চ্যাপম্যান ১৫ বলে ১৭ ও ফিলিপস ২৪ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুর সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

মেহেরপুর সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেহেরপুর সরকারি কলেজের খেলার মাঠে এ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

বার্ষিক ক্রীড়া উপ-কমিটির আহবায়ক মোঃ খেদমত আলী মালিথার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ক্রিয়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.এ.কে.এম নজরুল কবীর।

এছাড়াও এসময় শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন, প্রফেসর খুরশিদ আলম,ফুয়াদ খান,মেহেরুন ডলি,আলমগীর হোসেন,এ.এইচ.এম রাশিদুল হকসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেহেরপুর সরকারি কলেজে মোট ১১ টি ক্রিয়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।এর মধ্যে ১০০ মিটার দৌড়,২০০ মিটার দৌড়, ১৫০০ মিটার দৌড়, লৌহ গোলক নিক্ষেপ, বর্ষা নিক্ষেপ, দীর্ঘ লম্ফ, পিলো পাসিং,ও যেমন খুশি তেমন সাজো।

এর আগে জাতীয় পতাকা,কলেজ পতাকা ও ক্রিয়া পতাকা উত্তোলন করে করা হয়। এবং শপথ গ্রহণ,কবুতর অবমুক্তকরণ ও প্রজ্বলিত মশাল নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।




মুজিবনগরে অস্ত্র ও গুলিসহ ৫ জন আটক

একটি বিদেশী পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি ও পিস্তলের ম্যাগজিনসহ ৫ সন্ত্রাসী ও জুয়াড়ি আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।

গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার সময় মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের শামীম হোসেন ওরফে বিজয় শেখের বাড়ির সিঁড়ি ঘরের পায়খানার ট্রাংকীর ভিতর থেকে মুজিবনগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পিস্তুল, গুলি ও ম্যাগজিন উদ্ধার করেন।

আটকরা হলেন, শিবপুর গ্রামের মৃত শাহাজুল শেখের ছেলে ওই বাড়ির মালিক শামীম হোসেন ওরফে বিজয় শেখ (২২), তার অপর ৪ সঙ্গী একই উপজেলার কোমরপুর গ্রামের বিল্লাল শেখের ছেলে প্রিন্স শেখ (৩৪), সিরাজুল ইসলামের ছেলে শাহিন রেজা (২৪) যশোর কোতোয়ালী উপজেলার ঝুমঝুমপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে রাজন হাসান (২৯) ও শফিকুল ইসলামের ছেলে আলামিন (৩১)।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল দত্ত এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, শিবপুর গ্রামের শামীম রেজা ওরফে শেখ বিজয়ের বাড়িতে কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শিবপুর গ্রামে অনলাইন জুয়ার মাস্টার মাইন্ড শেখ বিজয়ের বাড়িতে মুজিবনগর থানার ওসি উজ্বল দত্তের নেতুত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ যুবক কে আটক করে। এসময় বাড়ির নির্মাণাধীন ট্যাংকির ভিতর থেকে একটি বিদেশী নাইন এমএম পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন ও এক রাউন্ড গুলি, ৫টি মোবাইল উদ্ধার এবং একটি প্রাইভেটকার আটক করে।পরে তাদের আটক করে মুজিনগর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান সাংবাদিকদের বলেন, শেখ বিজয় অনলাইন জুয়ার মাস্টার মাইন্ড হিসেবে এর আগে কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয়। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে শেখ বিজয়ের বাড়িতে কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে যশোর জেলার দুই যুবক সহ ৫ জনকে আটক করে। এসময় তাদের স্বীকারক্তি অনুযায়ী ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ১ রাউন্ড গুলি, একটি প্রাইভেটকার ও ৫টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় একজন পালিয়ে যায় তাকে ধরতে পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম মাঠে কাজ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করার লক্ষ্যে তাদের অবস্থান হতে পারে।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও সাইবার ক্রাইম আইনে মুজিবনগর থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।




মেহেরপুরে ১৭ বিঘা জমির কলা গাছ কেটে তসরুপ, ক্ষতি প্রায় ২০ লাখ টাকা

মেহেরপুরের রাতের আঁধারে এক কৃষকের ১৭ বিঘা কলা গাছ কেটে তসরুপ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে কৃষকের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। আর পুলিশ বলছে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গেল এক মাস আগে রাতের আঁধারে পাঁচ বিঘা কলা গাছ কেটে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। সেই রেস কাটেতে না কাটতেই আবারো বারো বিঘা জমির কলা গাছ কেটে তসরুপ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের মধ্যপাড়ার মাঠে এই ঘটনা ঘটে। কলা খেতে মালিক রহিদুল ইসলামের দাবি এতে তার ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।

কলা চাষি রহিদুল ইসলাম জানান,অন্যের জমির প্রতি বিঘা ২০ হাজার টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে ১৭ বিঘা জমিতে তিনি কলা চাষ শুরু করেন। লিজ খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘাতে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। আসন্ন রমজান উপলক্ষে এই কলা খেত থেকে আমি প্রায় ২০ লাখ টাকার কলা বিক্রি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলাম। আমার নিজ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পার গোয়াল গ্রামে কলা চাষ হয় না তাই। আমি পার্শ্ববর্তী জেলায় কলা চাষ করতে এসেছিলাম। আমার কারো সাথে শত্রুতা না থাকার পরেও আমার এত বড় ক্ষতি করেছে যা আমার পক্ষে পুষিয়ে নেয়া অসম্ভব।

রহিদুল ইসলামের নিকট আত্মীয়রা জানান, গত এক মাস আগে যখন আমার ভাইয়ের ৬ বিঘা জমির কলা গাছ কেটে দিয়ে দুর্বৃত্তরা তখন এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করার পরও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ, তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

এলাকাবাসি জানান, যারা রাতের আঁধারে কৃষকের ফসল নষ্ট করেছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান,লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




দর্শনায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তুহিনের মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানার বেগমপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় তুহিন ইমরান (১৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

আজ শ‌নিবার ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চি‌কিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। টানা ৯ দিন মৃত্যর সাথে পান্জা লড়ে হেরে গেলেন তুহিন ইমরান।

নিহত ইমরান সদর উপজেলার ছোট শলুয়া গ্রামের আশরাফুজ্জামান ওরফে সানাউল্লাহর ছেলে।

দর্শনা থানার ওসি ‌বিপ্লব কুমার সাহা জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে তু‌হিন মোটরসাইকেলে করে বেগমপুর গ্রাম থেকে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় বেগমপুর কেরুর ফার্মের সামনে পৌঁছালে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে তু‌হিন গুরুতর আহত হন।

এ সময় খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তার প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ভর্তি রাখেন।

তু‌হিনের অবস্থার অবনতি হলে ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৩টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দি‌কে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তু‌হিন মারা যান।




দামুড়হুদা প্রসূতি মাকে আর্থিক সহায়তা করলেন চেয়ারম্যান হযরত আলী

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকার দ্বারা বিরুপ আচারণের স্বীকার হাতিভাঙ্গা গ্রামের প্রসূতি মা ও শিশুকে দেখা শুনা ও অর্থিক সহায়তা করলেন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী।

আজ শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে হাতিভাঙ্গা বসতি পাড়ায় তারা চাঁদ ফকিরের বাড়িতে গিয়ে অসহায় পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং অর্থিক সহায়তা করেন ।

জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলার হাতিভাঙ্গা গ্রামের বসতি পাড়ার অসহায় পরিবার তারাচাঁদ ফকিরের মেয়ে রোজিনা খাতুন টাকার অভাবে হাসপাতাল কিম্বা ক্লিনিকে নিতে না পেরে গত রবিবার বাড়িতে নরমালে ডেলিভারিতে ছেলে সন্তান জম্ম হয়। নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সময় প্রসাবের রাস্তা কেটে যায় এতে রক্ত বের হতে থাকে। পরিবার ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় রোজিনা খাতুনকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ইমার্জেন্সিতে কতব্যরত চিকিৎসক শুনার পর সেবিকাদের নিকট পাঠান।তখন সেবিকার দায়িত্ব পালন করেন অশিতা হালদার, জেনিফা খাতুন ও আয়া সেলিনা খাতুন। এ সময় রোগি দেখার পর অশিতা হালদার ও আয়া সেলিনা খাতুন কিছু টাকা দাবি করে বলে যে হাত মোজা, সাবান,সুতা কিনে আনতে।পরে এগুলো কিনে আনার পর ভুক্তভোগীরা বলে আমরা গরিব মানুষ ২ হাজার টাকা দিব তখন সেবিকা অশিত টাকা কম হওয়ায় রাগগ্নিত হয়ে রোগি এবং রোগির লোকজনকে তাড়িয়ে দেয়।

এমন ঘটনায় স্থানীয় প্রত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ নজরে আসে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের মানবিক চেয়ারম্যান হযরত আলির। পরে তিনি বিভিন্ন সংবাদকর্মী ও এলাকাবাসীর কাছে ঘটনা শুনে সত্যতা মিললে ছুটে যান হাতিভাঙ্গার বসতি পাড়ার অসহায় পরিবার তারাচাঁদ ফকিরের বাড়িতে। সেখানে তার পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং প্রসূতি মা ও সন্তানের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা করেন। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার খাদ্য সম্যগ্রী সেই পরিবারের দেন।

এ সময় প্রসূতি মা রোজিনা খাতুন বলেন, আমার আব্বা গরিব মানুষ আমাকে ঠিকমতো চিকিৎসা করতে পারছে না আর সেই সময় চেয়ারম্যান ভাই আমাদের বাড়িতে এসে সহযোগিতা করেছেন এ কথা কোন দিন ভুলব না। সেদিন নার্সরা আমাকে যেভাবে তাড়িয়ে দিয়েছিল রক্তক্ষরণ হয়ে আমি মরে যেতাম। নার্সরা আমার সাথে যা করেছে তা যেন আর অন্য করো সাথে না করে।

দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, স্থানীয় পত্র প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত ও সংবাদিক ভাইদের কাছে খবর পেয়ে আমি ছুটে চলে এসেছি। আসলেই আমি অবাক হয়ে গেছি ঘটনা শুনে।চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য মাননীয় এমপি হাজী আলী আজগার টগর এই এলাকার জনগণের কথা ভেবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারের ওটি, এক্সরে মেশিন, অক্সিজেন, নতুন বিল্ডিং করে দিয়েছেন। তার পর ও যদি সঠিকভাবে রোগিরা সেবা না পাই তাহলে রোগিরা যাবে কোথায়। এমন ঘটনা শুনলে নিজেদেরই লাজ্জা লাগে। তাই আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতাকে অনুরোধ করবো হাসপাতালে নিয়োজিত ডাক্তার ও নার্সদের একটু মানবিকভাবে চিকিৎসা প্রদানের জন্য।




গাংনীতে শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুকে হুইলচেয়ার উপহার

মেহেররপুরের গাংনীর ঢেপা গ্রামে শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুর মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়েছে।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান গোলাম আম্বিয়া গনপাঠাগার এর পক্ষ থেকে ঢেপা গ্রামের জিয়াউল হকের শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুকে একটি হুইল চেয়ার উপহার দেওয়া হয়েছে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হামিদুল ইসলাম হিল্লোল প্রতিবন্ধী শিশুর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে হুইল চেয়ারটি প্রদান করেন।

হুইল চেয়ার পাওয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুর পিতা জিয়াউল হক জানান, কয়েক বছর ধরে আমার প্রতিবন্ধী শিশুটিকে নিয়ে খুব সমস্যার মধ্যে আছি। অনেক জায়গায় বলেও একটা হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা হয়নি। আমাদের পাশের গ্রাম চিতলার গোলাম আম্বিয়া গণ পাঠাগার এর পক্ষ থেকে আজ উন্নত মানের একটা হুইল চেয়ার দেওয়া হয়েছে আমার ছেলেকে। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক দোয়া করি যারা আমাদের মতো গরিব মানুষকে সহযোগিতা করেছে।

গোলাম আম্বিয়া গণ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হামিদুল ইসলাম হিল্লোল জানান, চিতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান শিক্ষক প্রয়াত শিক্ষাবিদ গোলাম আম্বিয়ার নামে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এলাকায় অসহায় মানুষের মাঝে বিভিন্নভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করা হয়। আজকে শারিরীক প্রতিবন্ধী শিশুর মাঝে একটি হুইলচেয়ার উপহার দেওয়া হয়েছে । এবারের শীতে অনেক গরিব অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতারণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সেবামূলক কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

হুইল চেয়ার বিতরণের সময় সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবী সদস্য আব্দুস সামাদ,জামান রহমান, সাধন কুমার মন্ডল ,হামিদুল, কাইস মাহমুদ ও উপহার পাওয়া শিশুর পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।




স্ত্রীর ওষুধ কিনে বাড়ি ফেরা হলোনা কৃষক রমজান আলীর

মেহেরপুর সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী ইছাখালি মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় রমজান আলী(৫২) নামের এক কৃষক মারা গেছেন। অসুস্থ স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনে বাড়ি ফেরার সময় দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

আজ শনিবার ( ২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রমজান আলী সদর উপজেলার ইছাখালি গ্রামের মৃত ফরমান আলীর ছেলে। এঘটনায় মোটরসাইকেল চালক পার্শ্ববর্তি হরিরামপুর গ্রামের আসানুর আলীর ছেলে আসিফ হোসেন (২২) আহত হয়েছেন। তার অবস্থাও আশংকাজনক।

প্রত্যক্ষদর্শি মাসুদ রানা জানান, নিহত রমজান আলী স্থানীয় একটি ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে বাড়ি যাওয়ার জন্য রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময় হরিরামপুর থেকে আসা মেহেরপুর গামী দ্রুতগামী পালসার মোটরসাইকেলটি তাকে স্বজোরে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ১০/১২ হাত দুরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। এতে রমজান আলী গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতু ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে মেহেরপুর ফাঁয়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত আসিফকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর স্টেশন মাস্টার রুহুল আমিন জানান, খবর পেয়ে মোটরসাইকেল চালক আসিফকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পরপরই সেটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেইনি। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




 ঝিনাইদহে ২ দিন ব্যাপী কারাতে সেমিনারের সমাপনি ও সনদপত্র বিতরণ

‘স্বাস্থ্য আপনার মূল্যবান সম্পাদ’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে সমাপ্ত হলো ২ দিন ব্যাপী কারাতে সেমিনার।

গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই সেমিনার শনিবার বিকালে সমাপ্ত হয়েছে। ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সোতোকান কারাতে দো’র আয়োজনে এ সেমিনার ও প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়।

সমাপনি দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, বিশেষ অতিথি হিসেবে মোঃ নিয়ামুল করিম টিপু, সাংবাদিক শাহানুর আলমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন এবং পৌর মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইউনুচ আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাজী আলী আহম্মেদ লিকু।

আয়োজকরা জানান, ২ দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণে শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অর্ধশত শিক্ষার্থীকে আত্মরক্ষার নানা কৌশল শেখান। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসারের কারাতে কোচ সিহান কিতামুরা তেতসুরো, জাতীয় কারাতে প্রশিক্ষক জসিম উদ্দিন, প্রশিক্ষক মোঃ মতিউর রহমান, অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন বিপ্লব।

এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের আত্মরক্ষার পাশাপাশি আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে বলে অভিভাবকরা বিশ্বাস করেন। প্রশিক্ষণ শেষে ৩০জন প্রশিক্ষনার্থীর হাতে সনদপত্র ও সফলতার জন্য পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।




ঝিনাইদহের বরুণ হত্যা মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতার

ঝিনাইদহের চাঞ্চল্যকর বরুণ হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬।

গতকাল শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহ একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, বরুণ হত্যা মামলার পলাতক আসামী- মোঃ রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশেদ ঝিনাইদহ জেলার সদর
থানাধীন হামদহ পুলিশ লাইন সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যব-৬ এর আভিযানিক দল ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন হামদহ পুলিশ লাইন সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামী- মোঃ রাশেদুল ইসলাম রাশেদ (৪৭) কে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।

উল্লেখ যে, গত ৯ জানুয়ারী সন্ধ্যায় বরুণ ঘোষকে বাড়ির কাছের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে শহরের ঘোষপাড়া ব্রিজ মোড় এলাকার ৫/৭ জন দুর্বৃত্ত তাকে মানুষের সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত বরুনের ভাই অরুণ কুমার ঘোষ জানান, দীর্ঘদিন বরুন ঘোষ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ বিষয়ে ভিকটিম এর স্ত্রী বাদী হয়ে একই দিন ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা আরও নয়/দশ জনকে আসামি করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার বিষয়ে র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং উক্ত হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তারে র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে। সেই ধারাবাহিকায় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে ঝিনাইদহ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।