কোটচাঁদপুর নির্বিচারে গাছ কেটে ও ফসল বিনষ্ট করে রাস্তা সংস্কার

নির্বিচারে গাছ কেটে ও ফসল বিনষ্ট করে মেরামতের কাজ হচ্ছে কোটচাঁদপুর জিসি-গান্না জিসি ভায়া তালিনা সড়কের। সিডিউল অনুপাতে কাজ করা হচ্ছে দাবি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। ক্ষয়ক্ষতির দায়ভার ঠিকাদারকে নিতে হবে বলছেন উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ।

ওই ঘটনার তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা অবকাঠামো পুনর্বাসন শীর্ষক প্রকল্প (CAFDRIRP) এর আওতায়। কাজটি পান রাজশাহীর গাড়ামারী সাহেব বাজারের বরেন্দ্র কনষ্ট্রাকশন। এ কাজের প্রাক্কল্পিত মূল্য ছিল ২,৫৭,৭৮,৯২৬.০০ টাকা। আর চুক্তি মূল্য ছিল ২,৩২,০১,০৩৩,৪০০ টাকা।

পরে কাজটি কিনে নেন ঝিনাইদহের কাজী মাহবুবুর রহমান কনস্ট্রাকশন। এরপর গেল ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মেরামতের কাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানটি চাষিদের সব বাঁধা উপেক্ষা করে সড়কের দুই পাশের মেহগনি, কড়াই, নিম, তাল ও খেজুর গাছ কেটে দিয়েছেন। নষ্ট করেছেন ধান, ভূট্রা, মসুরি, গমসহ বিভিন্ন ফসল এমন অভিযোগ ভুক্তভুগীদের।

এ দিকে ওই সব কাটা গাছ নিয়ে ব্যবসায় মেতেছেন সংশ্লিষ্ট অফিসের সুপার ভাইজার আব্দুর রহিমসহ ও এলাকার কিছু অসাধু মানুষ। তারা ওই কাটা গাছ নিয়ে গিয়ে তাদের ইচ্ছে মত ব্যবসা করেছেন এমন দাবি ও তাদের।

তবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে কাজী মাহবুবুর রহমান কনস্ট্রাকশনের মালিক ঠিকাদার মাহবুবুর রহমান রুনু বলেন,গাছ কাটার সময় অফিসের সুপার, এসও ও কার্যসহকারী ছিলেন। ওনারা যদি গাছ অফিসে না দিয়ে থাকেন, তাঁর জন্য ওনারা দায়ী। ওনাদের ধরলে সব পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, সিডিউল অনুযায়ী সড়কের পাশ থেকে মাটি কেটে দেয়ার কথা। আমরা সেটাই করছি। আর ওই কাজ করতে গিয়ে সড়কের কিছু গাছ মারতে হয়েছে, তা না হলে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা সম্ভব হচ্ছিল না।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কালিগঞ্জের শিশুতলা থেকে বালিয়াডাঙ্গা সড়কে একইভাবে সড়কের পাশ থেকে মাটি কেটে দেয়া হয়েছে। তারা কোন অভিযোগ করেননি। চাষিদের ক্ষতি নিয়ে প্রশ্নে করলে তিনি বলেন, চাষিরা আমার কাছে কোন করেননি।

এ ব্যাপারে তালিনা গ্রামের শান্তি সর্দার বলেন, আমার মাত্র ১০ কাঠা জমিতে ভূট্রার চাষ ছিল। মাটি কাটার স্বার্থে অর্ধেক জমির কাঁচা ভূট্রার গাছ কেটে নিতে হয়েছে। কাঠা পড়েছে আমার বেশ কয়েকটি কড়াইসহ অন্যান্য গাছও।

তিনি বলেন, ভেকু দিয়ে মাটি না কেটে কোদাল দিয়ে মাটি কাটলে চাষিদের এত বেশি ক্ষতি হত না। গাছ পালাও বিনষ্ট হত না। এত ক্ষতিপূরন কে দিবে আমাদের। কে আছে আমাদের কথা শোনার। আমরা এ ঘটনার তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।

তালিনা গ্রামের মন্টু মিয়া বলেন, মজিদ নামের ১ জনেরই ১ শ খেজুর গাছ কাটা পড়েছে। এ ছাড়া আরো অনেক চাষিরও কাটা পড়েছে গাছ।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন,ঠিকাদার কাজ শুরু করেছেন আমি জানতাম না। এরপর জানতে পারলাম গাছ মারার ঘটনা। এরপর কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে ঠিকাদারকে। তিনি কাজ করেননি। আপনারা ওনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।
তিনি বলেন, আমি তো ঠিকাদারের সঙ্গে মারামারি করতে পারবো না। আমি তাকে কাজ করতে না করেছি, এরপরও তিনি এগুলো করছেন। তবে আমি স্যারকে বলেছি, স্যার ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। নির্বিচারে গাছ কাটা ও ফসল নষ্টের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুললে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঠিকাদারকে এ সব বন্ধ করতে বলেছিলাম।তিনি বন্ধ করেননি, তাহলে এ সবের দায়ভারও ওনাকে নিতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া নায়েব সাহেবকে পাঠানো হয়েছে। তিনি দেখে আসার পর রিপোর্ট দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।




বাগানবিলাস বাড়ির আঙ্গিনা-বারান্দায়

বাড়ির আঙ্গিনায়, বারান্দায় অথবা ছাদের শোভা বাড়াতে যে গাছের নামটি মনে আসে সেটি হল বাগানবিলাস। ভিন্ন ভিন্ন রঙের ফুলে যেন রঙিন হয়ে তোলে চারিদিক। ইংরেজিতে ফুলটির নাম বুগেনভিলিয়া। ফরাসী আবিষ্কারক লুই অটোইন ডি বোগেইনভিলিয়া’র নাম অনুসারে এ গাছের নামকরণ করা হয়েছে। কেউ কেউ ভালোবেসে এটিকে কাগজ ফুল বা কাগজি ফুল নামেও ডেকে থাকেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৈজ্ঞানিক নামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নামকরণ করেছেন বাগানবিলাস। সারা বছর বাগানের শোভা বাড়ায় ফুলটি । বাগান প্রেমীদের কাছে বাগানবিলাস একটি সেরা উপহার। এছাড়াও, আমদের দেশের প্রায় সব জায়গায় এই গাছ চোখে পরে। বিশেষ করে বাড়ির সামনের গেট অথবা পার্কে। বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে এই গাছের ফুল । লাল, কমলা, হলুদ, সাদা, গোলাপি, আরো কত রং!

তবে অনেকেরই অভিযোগ থাকে যে তাদের বুগেনভিলিয়া গাছে ফুল আসছে না। পাতায় ভরে যাচ্ছে গাছ, ভালো গ্রোথ থাকলেও ফুলের অভাব।

বাগানবিলাস গাছে ফুল আনার সবচেয়ে ভালো উপায় হল পানির অভাব তৈরি করা। বাগান বিলাস গাছের মাটি ভেজা থাকা মানেই এতে সেভাবে ফুলের দেখা পাওয়া যাবে না। তাই গাছের মাটি পুরো শুকিয়ে পাতা ঝিমিয়ে পড়া অবধি অপেক্ষা করতে হবে। এবং তারপরও যে পানি দেবেন সেটাও খুব সামান্য হতে হবে। মানে সেইটুকুই পানি দিতে হবে যতটা গাছটির বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন। কয়েকদিন এরকম করলেই দেখবেন গাছ ভরে ফুল এসেছে।

গাছে শুধু পর্যাপ্ত সূর্যের তাপ বা আলো পেলেই হবে না। রোদ পছন্দ করে এই গাছ । গাছটি সরাসরি রোদে রাখতে হবে দিনে অন্তত ৪-৫ ঘণ্টার জন্য। গাছ যত রোদ পাবে তত বেশি ফুল ফুটবে। কারণ এই গাছের খুব বেশি এনার্জির প্রয়োজন হয়। গরমে অনেক সময়ই দেখা যায় ফুলের রং একটু হালকা হয়ে গিয়েছে। অনেক সময় রোদের তীব্রতার কারণেই এমনটা হতে পারে। ভয় পেয়ে গাছকে ভুলেও ছায়ায় রাখবেন না।

বাগান বিলাস লতানো গাছ। তবে গাছ ঝাঁকড়া না হলে ফুলও কম পাবেন । সেক্ষেত্রে বুগেনভিলিয়া গাছ নার্সারি থেকে কিনে আনার পর তাতে পিঞ্চিং করতে হবে। গাছের পিঞ্চিং অর্থাৎ ডালের মাথার দিকের কচি দুটো কিংবা তিনটে পাতা খুটে দেওয়া। এতে গাছ ভরে নতুন নতুন শাখার জন্ম নিবে ।

এই ফুলের অনেক উপকারিতা রয়েছে, এটি জলে ফুটিয়ে সেবন করা যায় অথবা এর রস বানিয়ে খাওয়া যায়। এছাড়াও, আপনি এর চা তৈরির সুবিধাও নিতে পারেন, যা কোলেস্টেরলের উপর খুব কার্যকর। অনেক সময় পরিবর্তিত আবহাওয়ার কারণে বাড়িতে সবারই সর্দি-কাশির সমস্যা বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, বোগেনভিলিয়া ফুলই পারফেক্ট প্রতিকার। এই ফুল জলে ফুটিয়ে পান করলে কাশি পুরোপুরি সেরে যাবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে এনজিওর ঋণে স্বর্বশান্ত, কিস্তি না দিতে পেরে আত্ম*হ*ত্যা

মুজিবনগরে এনজিও ঋণের কিস্তির চাপে দিশেহারা নুরজাহানা খাতুন (৪২) গলাই ফাঁশ লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অপরদিকে গাংনীতে ঋণের কিস্তির টাকা দিতে না পেরে বিষপান করেছেন রিপন হোসেন (৩২) নামের এক মাংস বিক্রেতা।

গাংনীর মাংস বিক্রেতা রিপন হোসেন বেঁচে গেলেও মারা গেছেন গেছেন মুজিবনগরের গৃহবধূ নুরজাহান।

নুরজাহান বেগম মুজিবনগর উপজেলার নাজিরাকোনা গ্রামের নুর আলীর স্ত্রী। রিপন আলী গাংনী উপজেলার গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের হাটপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেশীরা জানান, অভাব অনটনের থেকে মুক্তি পেতে নুরজাহান বেগম প্রায় ১৪/১৫ টি এনজিও থেকে ঋণের টাকা নিয়েছেন। ঋণের টাকায় স্বাবলম্বী না হয়ে অরও দরিদ্র হয়ে পড়েছে পরিবারটি। প্রতিদিনই দুই তিনটা এনজিও”র প্রতিনিধিরা ঋণের কিস্তি নিতে তার বাড়িতে আসেন। একদিকে অভাব অনটন অন্যদিকে কিস্তির চাপ। এনিয়ে তার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতিদিন ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো।  গতকাল রবিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হয়। পরে ঘরের মধ্যে গিয়ে আড়ার সাথে গলাই ফাঁশ লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এসময় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম মৃত্যু ঘোষনা করেন।

এদিকে একই দিনে বিকালে গাংনী উপজেলার গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের মাংস বিক্রেতা রিপন হোসেনের কাছে একটি এনজিও প্রতিনিধি ঋণের কিস্তি নিতে আসেন। এসময় ওই প্রতিনিধিকে সন্ধ্যার দিকে আসতে বলেন। এনজিও প্রতিনিধি চলে গেলে রিপন আলী নিজ ঘরে গলাই ফাঁশ লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সামান্য উন্নতি হলে বাড়ি এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।




ভাবনাকে কাজের মেয়ে বলে কটাক্ষ!

তিন বছর আগে অভিনেত্রী আশনা হাবীব ভাবনা সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন। সেই সময়ে ভাবনা ও তার মাকে কটাক্ষ করে এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী বলেছিলেন তাদের দেখতে অনেকটাই কাজের মেয়ের মতো। সম্প্রতি সহকর্মীর সেই কটাক্ষ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন অভিনেত্রী।

এ ব্যাপারে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে ভাবনা বলেন, আমার শোবিজ অঙ্গনের কাছের একজন মানুষ আমাকে নিয়ে এমন কথা বলবে, সেটি কখনো কল্পনাই করিনি আমি। তার উদ্দেশ্য ছিল আমাকে সরাসরি অপমান বা ছোট করা। তবে তার ওই অপমান, ছোট করার চেষ্টাগুলোই শক্তি জুগিয়েছে আমায়।

এমন অনেকেই আছে যারা সহ্য করতে পারে না যেকেন একের পর এক নায়িকা হচ্ছি। কিন্তু যতই ছোট করা হোক না কেন আমায়, আমি কখনোই পেছনে ফিরে তাকাইনি। নিজের যোগ্যতার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চিন্তা করেছি সবসময়।

‘ভয়ংকর সুন্দর’ সিনেমার এ নায়িকা জানান, তাকে ও তার মায়ের সম্পর্কে ওই অভিনেত্রী বলেছিলেন, ভাবনা কী করে নায়িকা হয়? ওর চেহারা তো ওর মায়ের মতো। আর ওর মা তো দেখতে আমাদের বাসার কাজের মেয়ে রহিমার মতো।

ভাবনা বলেন, আমাকে নিয়ে কেউ একটা মন্তব্য করতেই পারে। কিন্ত আমার মাকে টেনে এনে কেন অপমান করা। আমি চাইলে সেদিন তাকে ওই কথার জবাব দিতে পারতাম; দেইনি। আমার মা-বাবা সেই শিক্ষা দেননি আমাকে। কাউকে ছোট করে কখনো বড় হওয়া যায় না। আমাদের সহকর্মীদের মধ্যেই অনেকে আছেন, যারা অন্যদের টেনে নিচে নামাতে চান।

তবে ভাবনা সেই অভিনেত্রীর নাম জানাননি। নাম প্রকাশ করে তাকে ছোট করতে চাননি। ওই অভিনেত্রী একজন শিক্ষিত সংস্কৃতিমনা সহকর্মী। তাকে কখনোই ছোট করতে চান না ভাবনা।

ভাবনা বলেন, এখনো কিন্তু আমরা কথা বলি, কখনো আবার আড্ডা দেই। তার নাম প্রকাশ করে ছোট করার কী প্রয়োজন। সে তার নিজের মতো থাক। আমাকে ও মাকে যারা ছোট করেছিলেন, আমি তাদের অন্যভাবে জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছি।

আমাকে যেদিন অপমান করা হয়, ওই দিনই মাথায় আসে ‘কাজের মেয়ে’ নামে একটি বই লিখব আমি। যে মেয়েটি অনেক কাজের ও পরিশ্রমী। সেই বইটি এবার প্রকাশ হয়েছে বইমেলায়। আর শেষ দিন মনে হলো পেছনের ঘটনা সবাইকে জানানো দরকার।

এ অভিনেত্রীর ভাষ্য একজন কাজের মেয়ে কি মানুষ নয়? তাকে ছোট করা কি একজন শিল্পীর মানায়? ভাবনা বলেন, একজন শিল্পী কি কখনো কোনো মানুষকে ছোট করতে পারে? আমি দেখতে হয়তো কাজের মেয়ের মতো হতে পারি।

এতে সমস্যা কী? কাজের মেয়ে মানুষ নয় নাকি। আমরা দিন শেষে কাজের মানুষ হতে চাই। একজন শিল্পী হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব বলে মনে করি, সমাজের অসংগতিগুলো শিল্পের মাধ্যমে উপস্থাপন করা, প্রশ্ন তোলা। কেননা, বোধহীন শিল্পী হতে চাই না আমি।

সূত্র: ইত্তেফাক




স্মার্টফোনের এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট হবে কোপাইলট

নতুন বেটা ভার্সনে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে মাইক্রোসফটের এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট কোপাইলট। এখন থেকে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের ডিফল্ট এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে মাইক্রোসফট কোপাইলট। অর্থাত্ গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও স্যামসাং বিক্সবির মতো ডিফল্ট ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে কোপাইলটকে।

মাইক্রোসফট কোপাইলটের বেটা সংস্করণটি সম্পর্কে প্রযুক্তি বিশ্লেষক মিশাল তার এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে জানান, নতুন ফিচারের মাধ্যমে মাইক্রোসফট কোপাইলট অ্যান্ড্রয়েডে ডিফল্টভাবে ব্যবহার করা যাবে। তবে বেটা ভার্সনে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য অ্যাপের তুলনায় সব ফিচার এখনো যুক্ত করা হয়নি। প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মাইক্রোসফট এর মধ্যেই অন্যান্য ফিচার নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। মাইক্রোসফট মূলত কোপাইলটের ব্যবহারকারী বাড়ানোকে এখন অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

বেটা সংস্করণের মধ্য দিয়ে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও স্যামসাং বিক্সবির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে হাজির হচ্ছে মাইক্রোসফট কোপাইলট। তবে এখনো মাইক্রোসফটের অ্যাপ উন্নয়ন প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ হয়নি। এর আগে গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে অ্যান্ড্রয়েডের সঙ্গে যুক্ত হয় মাইক্রোসফট কোপাইলট অ্যাপটি।

মাইক্রোসফট আর ওপেন এআইয়ের অংশীদারত্বের মধ্য দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। প্রবেশ করেছে জিপিটি-ফোর টারবো যুগে। তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ মাইক্রোসফট কোপাইলট। গুগল প্লে স্টোর থেকে যে কেউ বিনামূল্যে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন। কোম্পানির এ চ্যাটবটের মাধ্যমে যেকোনো ব্যবহারকারী কোড লেখা থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক ই-মেইল তৈরিসহ সবধরনের কাজ করতে পারবেন। এতে ওপেনএআইয়ের সর্বশেষ জিপিটি ৪ ও ডাল-ই-৩ ব্যবহার করা হয়েছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ ও ফ্যান বিতরণ

দামুড়হুদায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের অবকাঠামো উন্নয়ন উপ-প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্লাস্টিকের বেঞ্চ ও ফ্যান বিতরণ করা হয়েছে।

আজ রবিবার বেলা ১০ টার সময় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কারিগরী সহায়তায় ও উপজেলা পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার মান উন্নয়ন কল্পে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ ও ফ্যান বিতরণ করা হচ্ছে। স্কুলের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে অবশ্যই ভালো ব্যবহার করবেন। আপনাদের কাছ থেকেই তারা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে এবং আপনাদের কাছ থেকেই তারা ভালো মন্দ সবকিছু শিখবে।

উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সী (জাইকা’র) সহায়তায় অনুষ্ঠানে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা: সাহিদা খাতুন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু হাসান, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রাফিজুল ইসলাম।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা ফার্স্ট মাল্টিমিডিয়া মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ, সহকারী প্রধান শিক্ষক জহির রায়হান সোহাগ সহ উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে দামুড়হুদা উপজেলার ৬৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩০৫ টি বৈদ্যুতিক সিলিং ফ্যান ও ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৯১ জোড়া প্লাস্টিকের বেঞ্চ বিতরণ করা হয়।




সুস্থ দাঁত প্রাণখোলা হাসি

মুখের দুর্গন্ধ আপন মানুষকেও দূরে ঠেলে দেয়। এই দুর্গন্ধ দূর করতে ডেন্টিস্টের কাছে না গিয়ে নিজেই অবলম্বন করতে পারেন অতি সহজ কিছু উপায়। তাই নিয়ে লিখেছেন হাছিবুর রহমান।

প্রতিদিন নিয়ম করে দিনে দু’বার, রাতে আর সকালে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করা উচিত। কোনো মিষ্টি জাতীয় খাবার, যেমন-চকলেট, ক্যান্ডি এবং যেকোনো ধরনের সফট ড্রিঙ্কস খাওয়ার পরে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করতে হবে। যদি ঘরের বাইরে থাকেন তাহলে মাউথ ওয়াশ দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ৬ মাস অন্তর ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে দাঁত দেখান। শুধু দাঁত নয়, দাঁতের মাড়িও ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। প্রতিদিন অন্তত একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করুন। যুক্তরাষ্ট্রের দুজন দন্ত বিশেষজ্ঞ অ্যালিস লি এবং অ্যালিসন নিউগার্ড দাঁতের যত্নের ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। যেমন-

নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করুন

ব্যস্ততার কারণে সকালে অনেকেই একসঙ্গে কয়েকটা কাজ করেন। তাদের দেখা যায়, দাঁত ব্রাশ করতে করতেই গোসল করছেন বা মেইল চেক করছে। কিন্তু ভালো দাঁত পেতে হলে দাঁতের কোনো অংশ যাতে বাদ না পড়ে এবং ভালোভাবে পরিষ্কার হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ধূমপান ত্যাগ করুন

ধূমপান শুধু আমাদের হৃদপিণ্ড বা ফুসফুসেরই ক্ষতি করে না। আমাদের দাঁত নষ্ট করার জন্য দায়ী। ধূমপানের ফলে মাড়ি কালো হয়ে যায়, দাঁত দুর্বল হয়ে পড়ে, মুখেও দুর্গন্ধ হয়।

পরিষ্কার টুথব্রাশ

টুথব্রাশ পরিষ্কার কোনো জায়গায় রাখুন এবং দাঁত ব্রাশ করার আগে অল্প একটু ধুয়ে নিলেই তা যথেষ্ট।

পরিমাণমতো ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি

হাড় ও দাঁতের গঠনে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর কোনো বিকল্প নেই। তাই যথেষ্ট পরিমাণে এই দুই উপাদান গ্রহণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ১১ টি স্বর্ন বারসহ মহিলা চোরাকারবারি আটক

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ৬ বিজিবি চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১ কেজি ৩২০ গ্রাম ওজনের ১১ টি স্বর্নের বারসহ মোছাঃ তাছলিমা খাতুনকে (২৫) চোরাচালানীকে আটক করে। আটককৃত তাছলিমা পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে।

রবিবার ৩ মার্চ সকাল ১০ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান,পিএসসির নেতৃত্বে,অভিযান চালায় দর্শনার ছয়ঘরিয়া গ্রামে।

এ সময় ৬ বিজিবির সুলতানপুর ক্যাম্পের বিওপি কমান্ডার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্তের মেইন পিলার ৭৮ হতে আনুমানিক ৪শ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ছয়ঘরিয়া পাঁকা রাস্তার উপর মসজিদের সামনে এ্যাম্বুশ করে।

পরে বিজিবি একটি ইজিবাইক সীমান্তের দিকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে।ইজিবাইকটি সন্দেহ হলে তল্লাশি শুরু করে।তল্লাশি চলা কালে একজন মহিলার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয় পরে তাকে আটক করে। পরে তাছলিমার দেহ তল্লাশি করে ১১ টি স্বর্নের বার উদ্ধার করে।

আটককৃত বার গুলির আনুমানিক বাজার মৃল্যে ১কোটি ৩০ লাখ টাকা।এ ঘটনায় আটককৃত মহিলা চোরাচালানী তাছলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে নায়েক মোঃ দিদার বাদশা বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করেছে।জব্দকৃত স্বর্ণের বারগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




ঝিনাইদহে মাছচাষী হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

ঝিনাইদহে মাছ চাষী শরিফুল ইসলাম টুলু হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। আজ রোববার (৩মার্চ) সকালে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ বাহাউদ্দিন আহমেদ এ দন্ডাদেশ প্রদাণ করেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন জানান, ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে সদর উপজেলার লাউদিয়া গ্রামের একটি পুকুরে মাছের খাবার দিয়ে বাড়ি ফিরছিলো ওই গ্রামের শফিকুল ইসলাম টুলু। সেসময় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, জসিম, খোকনসহ আরও কয়েকজন তাকে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরদিন তিনি মারা যায়।

এ ঘটনায় ৯ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই সরফুদ্দিন বাদি হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামী জাহিদুল, খোকন, ইলিয়াস, জসিম ও সেলিমকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করে।




ম্যানেজার পদে নিয়োগ দিবে ওয়ালটন

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটি টেকনিক্যাল ম্যানেজার পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি

পদের নাম : টেকনিক্যাল ম্যানেজার

পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা : বিএসসি (ইইই/এমই/ইটিই/এমটিই/আইপিই)

অন্যান্য যোগ্যতা : পণ্যের মান এবং পণ্য পরীক্ষা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে। ইলেকট্রনিক শিল্পে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার পাবে। মাইক্রোসফ্ট অফিস, এক্সেল এবং পাওয়ার পয়েন্টে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে।

অভিজ্ঞতা : ০১-০৩ বছর। তবে অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদন করতে পারবেন।
চাকরির ধরন : ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিসে

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)
কর্মস্থল : গাজীপুর (কালিয়াকৈর)

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা : মোবাইল বিল, চিকিৎসা ভাতা, পারফরমেন্স বোনাস, লাভ শেয়ার, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, দুপুরের খাবারের সুবিধা (আংশিক ভর্তুকি), বছরে ২টি উৎসব বোনাস, কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য পরিষেবার সুবিধা, স্ন্যাকস, পরিবহন সুবিধা, ঋণ সুবিধা, চিকিৎসা পরিষেবা, করপোরেট ডিসকাউন্ট।

আবেদন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময় : ১৬ মার্চ ২০২৪