মুজিবনগরে নেপিয়ারে স্বাবলম্বী কৃষক

মেহেরপুরের মুজিবনগরে নেপিয়ার ঘাস চাষ করে গবাদিপশুর খাদ্য চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত ঘাস বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেক চাষি ও খামারি। চাষ সহজ হওয়ায় এবং একবার রোপণে অনেক দিন ঘাস পাওয়ায় উপজেলার অনেক কৃষক এবং খামারি এখন ঝুঁকছেন নেপিয়ার চাষের দিকে। প্রতিটি উপজেলাতেই এখন কম-বেশি এই ঘাসের চাষ হচ্ছে। অনেকে আবার নেপিয়ার বিক্রিকে পেশা হিসেবে নিয়ে সচ্ছলতা অর্জন করেছেন। খড়ের (বিচালি) দাম বেশি হওয়ায় বেশির ভাগ গরুর খামারিরা বর্তমানে নেপিয়ার ঘাস দিয়ে গবাদিপশুর খাদ্যের চাহিদা পূরণ করছেন। অধিক পুষ্টিগুণ থাকায় এই ঘাস পশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও মাংস বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই সুস্থ-সবল পশু পালনে সবুজ ঘাস হিসেবে নেপিয়ারে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। নেপিয়ার ঘাস দেখতে আখের মতো। ৪ থেকে ১০ ফুট বা তার চেয়েও বেশি লম্বা হয়। দ্রুত বাড়ে, সহজে জন্মে, খরাসহিষ্ণু, পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য এই ঘাস।

মানিকনগর গ্রামের নেপিয়ার ঘাস চাষি ইয়াসিন মোল্লা জানান, প্রথমে তিনি নিজের গবাদিপশুকে খাওয়ানোর জন্য ১০ কাঠা জমিতে নেপিয়ার লাগান। অতিরিক্ত ঘাস বিক্রি করা শুরু করলে তাঁর চাষের খরচ উঠে আসে। বিষয়টি লাভ জনক মনে হওয়ায় তিনি নিজের জমিসহ লিজ নেওয়া ৫ বিঘা জমিতে আবার নেপিয়ারের চাষ করেন। ঘাস বিক্রি করে সে এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমানে নেপিয়ার ঘাস বিক্রি করাই তাঁর পেশা। ইয়াসিন মোল্লার মতো এলাকার অনেকেই এখন এই ঘাস বিক্রিকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন।

নেপিয়ার ঘাসের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বর্ষার শুরুতে ঘাসের শিকড় বা চারা রোপণ করতে হয়। রোপণের আগে প্রতি একর জমিতে দেড় থেকে দুই টন গোবর সার মিশিয়ে দিতে পারলে ভালো হয়। গোবর সার না দিলে পরিমাণ মত রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয়। প্রতিটি সারির মাঝে দূরত্ব রাখতে হয় দুই-তিন ফুট। প্রতিটি চারার মাঝে দূরত্ব থাকবে দেড় ফুট করে। চারা বা শিকড় লাগানোর পর যদি রোদ হলে বা মাটিতে রস কম থাকলে সেচের প্রয়োজন হয়। সাধারণত প্রতি একর জমিতে সাত থেকে আট হাজার চারা বা শিকড়ের দরকার হয়। ভালো ফলন ও বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত সার এবং পানি দিতে হয়। প্রথমবার ঘাস কাটার পর বিঘাপ্রতি ২০ কেজি ইউরিয়া ও ১০ কেজি পটাশ সার দিলে এই ঘাস দ্রুত বাড়ে।
রতনপুর গ্রামের গরুর খামারি মাইকেল টুইস মন্ডল বলেন, ‘বর্তমানে খড়ের দাম অনেক বেশি। কিন্তু কিনতে গেলে পাওয়া যাচ্ছে না। দানাদার খাদ্যের দামও বাড়ছে। এসব কারণে খড়ের বিকল্প হিসেবে নিজের ১ বিঘা জমিতে নেপিয়ার চাষ করে অল্প পরিমাণ বিচালির সঙ্গে মিশিয়ে গবাদিপশুকে খাওয়াচ্ছি।’

মুজিবনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ‘থাইল্যান্ড থেকে এই ঘাস আমাদের দেশে এসেছে। এর উৎপাদন খরচ কম। অন্যান্য ঘাসের তুলনায় বেশ পুষ্টিকর। একবার রোপণ করলে ৪ থেকে ৫ বছর ফলন পাওয়া যায়। তাই উপজেলার কৃষক ও খামারিরা নিজেরাই এই ঘাস উৎপাদনে ঝুঁকেছেন। অন্যান্য ফসলের চেয়ে এখন ঘাস চাষে লাভ বেশি হচ্ছে। নেপিয়ার ঘাস চাষে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস কৃষক ও খামারিদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছে।




মেহেরপুরে পাট চাষিদের সমস্যা যেন পিছু ছাড়ছে না

মেহেরপুরে চলতি মৌসুমে পাট চাষ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা সমস্যায় উৎপাদন বিপর্যয়ের শঙ্কা ন্যায্যমুল্য না পাওয়া পোকার আক্রমণসহ বিভিন্ন সমস্যা যেন পিছু ছাড়ছে কৃষকদের। পাট চাষে মৌসুমের শুরুতে দেশব্যাপী চলা দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে তুলনামূলক ভাবে পাট বেড়েছে কম, আর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ছোট ছোট পাট গাছেই ধরেছে ফুল ও ফল। বৃষ্টি না হওয়ায় সেই সঙ্গে মরছে গাছও। এর মাঝে বেড়ে ওঠা পাটে শেষ সময়ে এসে দেখা দিয়েছে পানির সমস্যা। অনাবৃষ্টির কারনে খাল, বিল ও পুকুর ডোবাই পানি না থাকায় পাট পঁচানো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। স্যালোমেশিনে পানি দিয়ে পাট পঁচানো হলেও পাটের দাম না পাওয়ায় খরচের অর্ধেক টাকাও উঠছেনা চাষিদের।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আষাঢ়ের ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে চাষিদের জমি থেকে পাট কেটে জাগ দেয়ার কথা। সেই জমিতে আবার আউশ ধানের চারা রোপন করা হয়। অথচ খাল বিল ও কাজলা নদীতে পানি না থাকায় পাট পঁচানো সম্ভব হচ্চেনা। পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। জমি থেকে পাট কাটতে না পারায় ধানের আবাদও করতে পারছেননা চাষিরা। ফলে ধানের আবাদ থেকে পিছিয়ে পড়ছেন অনেকেই। আবার অনে কৃষক চাষ করে শেষ পাট গাছে তিড়িং পোকার আক্রমণের সাথে যোগ হয়েছে জমি থেকে ওঠে আসা লবণাক্ততা। যার ফলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই দুর্বল হয়ে মরে যাচ্ছে পাট গাছ। আর বাকি গুলোতে তিড়িং পোকার আক্রমনে পাতা শুন্য হয়ে যাচ্ছে গাছ। যেখানে প্রতিটি পাট গাছ বেড়ে ওঠে ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতায়। সেখানে অনাবৃষ্টির কারনে পাট সেভাবে বেড়ে উঠতে পারেনি। ৪ থকে ৫ ফুট হওয়ার সময় পাট গাছ মরে যাচ্ছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী কৃষকরা।

কৃষকরা বলছেন, পোকার আক্রমণ ও আবাদি জমিতে লবণাক্ততা থেকে রক্ষা পেতে কৃষি বিভাগের পরমর্শ নির্দেশনা মানার পরও মিলছে না কোন সমাধান। ফলে এবছরেও অনেকটাই নিশ্চিত দাম ও ফলন বিপর্যয়ের কারনে পড়তে হবে লোকশানে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে মেহেরপুরের তিনটি উপজেলায় ১৬ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এতে জেলায় এবছর ২লক্ষ ৪০ হাজার ৬৩৬ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আগামও রোপনকৃত সব পাটই প্রায় মেচিওউর হয়ে গেছে তারপরও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে এমনটি ঘটছে। এজন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের পাট চাষি হাবিবুর রহমান ও আব্দুল আলিম বলেন,এবছর পাট চাষ করে বিপদে পড়ে গেছি। শুরুর দিকে ছিলো প্রচন্ড রোদ সাথে ছিলোনা উপর বৃষ্টি। যার ফলে পাট উচ্চতায় এমনিতেই দেড় দুই ফিট কমে গেছে। সেচের জন্যও গুনতে হয়েছে বাড়তি খরচ। আর এখন শুরু হয়েছে তিড়িং পোকার আক্রমন ও পাটের জমিতে লবন ওঠে আসা। যে কারনে পাটের উৎপাদন তিন ভাগের এক ভাগই কমে যাবে।

নওয়াপাড়া গ্রামের পাট চাষি সাহাবুদ্দিন বলেন, এবার পাট চাষে খরচ বেশি হয়েছে। বিপরীতে পাটের অবস্থা তুলনামূলক খারাপ। তারপরও অধিক পরিচর্যার কারনে মাঠে থাকা পাট কোন মতে টিকে আছে। কম সময়ের মধ্যে পাট কাটা শুরু হয়ে যাবে। পানির অভাবে পাট কাটতে পারছিনা। এবছর ধলার বিল ও কাজলা নদীতেও পানি নেই। তাই পাট জমিতেই পড়ে আছে। এসময় মাটির নিচ থেকে লবণ বের হয়ে জমির অর্ধেক পাট মরে লাল হয়ে শুকাতে শুরু করেছে। সেচ দেয়া বলেন আর কিটনাশক প্রয়োগ করা। কত কিছুই না করলাম, তাতে কোন লাভ হয়নি। মধ্যে থেকে খরচ করাটাই লোকসান। গত বছরেও দাম না পেয়ে পাটের আবাদে লোকসান করেছি, এবার পাট চাষে করে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

মাইলমারি গ্রামের পাট চাষি আকবার আলী জানান, এমনিতেই বৃষ্টির অভাবে এবার পাট বুনতে একটু দেরি হয়েছে। তারপরে বেড়েছে কম। আর শেষ সময় পাটক্ষেতগুলোতে হানা দিয়েছে তিড়িং পোকায়। পাটের ডগা-কাণ্ড ও পাতা কেটে ফেলেছে পোকাগুলো। যার ফলে মাঠে এ পাট এখনো এক মাস থাকলেও কোন লাভ হবে না। মণ প্রতি ১০ থেকে ১২ কেজি করে ফলণ কমে যাবে। তারপর বতর্মান বাজারে আবার পাটের দাম কম। যেখানে এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করে ফসল ঘরে তুলতে প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হবে। সেখানে সমুলে পাট পাওয়া যাবে ১০ থেকে ১২ মণ। আমাদের অঞ্চলে পাটের দাম নেই। বর্তমানে প্রতিবেল কাচাঁ পাট বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা বেল। এতে উৎপাদনের অর্ধেক টাকাও উঠছেনা। যার ফলে এবছরেও পাট চাষে লোকশানে পড়তে হবে। পাট নিয়ে এমন হতাশার গল্প শোনান, ধলা গ্রামের ইদ্রিস আলী, সামসুল আলম, হান্নান আলীও মেছের মন্ডল। তারা জানান এমনটি চলতে থাকলে আর আগামীতে পাট চাষ করবেন না।

পাট ব্যাবসায়ী মহিবুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১৯”শ থেকে ২ হাজার টাকা পযর্ন্ত। তাছাড়া বিশ্ব বাজারে পাটের চাহিদা কম থাকাই স্থানীয় বাজারে চাহিদা কমে গেছে পাটের। আমাদের জেলায় অধিকাংশ পাট ব্যাবসায়ীর গোডাউনেই রয়েছে পুরানো পাট। তার উপর আবার যদি নতুন পাট বাজারে আসে। এমনিতেই পাটের বতর্মান বাজারদর আরো কিছুটা কমে যাবে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, বর্তমানে জেলায় যে সকল জমিতে পাট কেটে আউশ ধানের আবাদ করা হয় সেসকল অধিকাংশ পাট প্রায় মেচিউর হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে পাট কাটা ও জাগ দেয়া শুরু হয়ে গেছে। এ শেষ সময়টিতে মাটির নিচ থেকে লবণাক্ততা বের হওয়ার কারনে অনেক জমির পাট মারা যাচ্ছে। আবার তিড়িং পোকায় পাটের পাতা ও ডোগা কাটছে। এ থেকে পাটকে রক্ষার জন্য জেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া এখন বৃষ্টির সময়, পর্যাপ্ত বৃষ্টি পাত হলে তিড়িং পোকার আক্রমণ ও লবণাক্ততার কারনে পাট মরে যাওয়ার হাত থেকে কৃষকরা রক্ষা পাবে। এছাড়াও পাটের জমিতেই একটি অংশে গর্ত করে সেখঅনে পাট পঁচনের ব্যবস্থা করতে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।




মেহেরপুরে কৃষিতে বিশেষ অবদানে উদ্যোক্তাদের সম্মাননা প্রদান

মেহেরপুরে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ খাতে বিশেষ অবদান রাখায় জেলার বিভিন্ন গ্রামের ছয় জন কৃষি উদ্যোক্তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির প্রধান কার্যালয়ে বর্ণাঢ্য অয়োজনের মধ্যদিয়ে কৃষি উদ্যোক্তাদের সম্মানা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বে-সরকারি সংস্থা পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)।

সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলান নির্বাহী অফিসার (ই্উএনও) প্রীতম সাহা।

বিশষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: সাদ্দাম হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: ইমরান হোসেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাক্তার আরিফূল ইসলাম।

সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো: রমজান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মুহা: মোশাররফ হোসেন, পরিচালক মো: কামরুজ্জামান, উপ-পরিচালক (ঋণ কার্যকর্ম) কামরুল আলম, সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তাবৃন্দ।

কৃষি উদ্যোক্তা সম্মাননা অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় জেলার কৃষিতে উন্নয়ন ও কৃষকদের ভুমিকা নিয়ে প্রসংশনীয় বক্তব্য রাখেন অতিথিবৃন্দরা। বক্তব্য শেষে ছয় জন কৃষি উদ্যোক্তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।

সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত কৃষি, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ খাতের কর্ম তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনটি খাতের কৃতিত্বপূর্ণ অবদান এবং সাফল্যের স্বীকৃতি প্রদানে অর্থিক সহায়তা করে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।

পিএসকেএস আয়োজিত সম্মাননা প্রাপ্ত উদ্যোক্তারা হলেন-উন্নত জাতের পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে সম্মাননা পেয়েছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের কৃষক হাসানুর জামান,অরচার্ড উন্নয়ন ব্যবস্থাপনায় গাংনী উপজেলার যুগিন্দা গ্রামের সাহিবুল ইসলাম, পুষ্টি সংবেদনশীল মলা মাপছের ব্রুড ব্যাংক গাড়াডোব গ্রামের রোজিনা খাতুন, ফেভারমুক্ত পাঙ্গাস মাছ ছাষে ষোলটাকা গ্রামের নাজেরা খাতুন,পাঠা মোটাজাত করনে রামনগর গ্রামের শাহিদা খাতুন, বিশষ অবাসন নিশ্চিতকরে আধা বানিজ্যিক ভাবে দেশী মুরগি পালনে বিশেষ ভুমিকা রাখায় তেরাইল গ্রামের সেলিনা খাতুনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অলোচনায় উল্লেখ করা হয়, পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি মানুষের জীবন মান উন্নয়নে সবর্দা কাজ করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মৎস্য খাতে ৮২৩টি, কৃষিখাতে ৩৩৮টি, প্রাণি সম্পদ খাতে ৪৮৫টি, মোট ১হাজার ৪৪৬টি প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রদর্শনি বাস্তবায়ন করে। ১০৯জনকে বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ৮৩টি খামার দিবস ১১২টি পরামর্শ সভা করা হয়। এছাড়াও কৃষি মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ খাতে ২ হাজার ৭২৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মদক্ষ করে তোলা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভিভিন্ন এলাকার শতাধিক কৃষক ও কৃষানীরা উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে মাচা পদ্ধতিতে চিচিংগা চাষ, ফলন ও দামে খুশি চাষিরা

মেহেরপুরে মাচা পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের চিচিংগা চাষে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। চিচিংগা চাষে উপযুক্ত মাটি, এবং অনুকুল আবহাওয়ায় বাম্পার ফলন পাচ্ছেন চাষিরা। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সবজি হিসেবে চাহিদা থাকায় নিজ জেলার চাহিদা পুরুন করেও রপ্তানি করা হচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। দাম ভাল পেয়ে খুশি চাষিরা। বৃষ্টিপাত বেশি হলে আরও বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব বলছেন কৃষকরা, সবজিখ্যাত মেহেরপুর জেলায় আরও নতুন নতুন সবজি আবাদে চাষিদের উদ্বুদ্ধকরনসহ নানা ভাবে সহায়তা করা হচ্ছে বলছেন কৃষি বিভাগ।

মেহেরপুরের বিভিন্ন মাঠে প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে মাচা পদ্ধতি ব্যবহার করে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও সুস্বাদু সবজি চিচিংগা আবাদ করা হচ্ছে। স্বল্প সময় ও অল্প খরচের এ সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন অনেক কৃষক। এখন চিচিংগা তোলার ভরা মৌসুম। জেলার বিভিন্ন বাজারে এখন ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে চিচিংগা। জেলার মানুষের তরকারি চাহিদা পুরুন করেও বিভিন্ন এলাকার পাইকার ব্যবসায়ীরা চিচিংগা ট্রাক ভর্তি করে পাঠাচ্ছেন ঢাকা, বরিশাল, সিলেট, চট্রোগ্রামসহ দেশেল বড় বড় শহরে। প্রতিকেজি চিচিংগা পাাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা। আর খুচরা বাজারে এসবজির দাম ৩০ টাকা কেজি।
মেহেরপুর সদর উপজেলার, রামদাসপুর গ্রামের কৃষক জামাল হোসেন এক বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল বঙ্গরেখা জাতের চিচিংগা আবাদ করেছেন। জমি প্রস্তত, বীজ, সার ,কীটনাশক ও মাচা তৈরীতে বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। এখন এক বিঘা জমি থেকে প্রতি সপ্তায় দুদিন করে চিচিংগা পাচ্ছেন।

চাষি জামাল হোসেন জানান, প্রতি সপ্তায় অন্তত ৫ থেকে ৬মন করে চিচিংগা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিমণ চিচিংগা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা দরে। ইতোমধ্যে তিনি প্রায় এক লক্ষ টাকার চিচিংগা বিক্রি করেছেন। তিন মাসে তিনি আরও লক্ষাধিক টাকার চিচিংগা বিক্রির আশা করছেন।

ষোলমারি গ্রামের চাষি নাহিদ আলম বলেন গেল বছর আামি এক বিঘা জমিতে চিচিংগা আবাদ করেছিলাম। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা লাভ হয়েছিল। এবারও এক বিঘা জমিতে চাষ করেছি। একাধঅরে তিন মাস চিচিংগা বিক্রি করতে পারবো। এবছরে সব সবজির দাম ভাল হওয়ায় চিচিংগারও চাহিদা আছে বাজারে। জমি থেকে প্রতি সপ্তায় দুদিন করে পাইকাররা চিচিংগা নিয়ে যায়। আবার স্থানীয় বাজারেও আমরা বিক্রি করি। অন্যান্য সবজির চেয়ে চিচিংগার চাহিদা এবছর অনেক বেশি,দামও ভাল।

গাংনী.কাথুলী গ্রামের চাষি আব্দুল কুদ্দুস জানান, যতদিন চাহিদা থাকে ততদিন আমরা সবজি হিসেবে চিচিংগা বিক্রি করি। শেষের দিকে চাহিদা কমে গেলে বীজের জন্য চিচিংগা রেখে দিই। বীজ বিক্রি করেও ভাল টাকা লাভ করি প্রতি বছর।

ষোলমারি গ্রামের পাইকার ব্যবসায়ী মিশকাত,মিন্টু ও রামদাসপুরের মুন্তাজ আলী জানান, আমাদের অঞ্চলে উৎপাদিত সবজির চাহিদা বাইরের জেলায় অনেক ভাল। অন্যান্য সবজির পাশাপাশি যে চিচিংগা আবাদ হয়, সে চিচিংগা দেখতে অনেক ভাল। খেতেও সুস্বাদু। আমরা প্রতিনিয়ত অন্যান্য সবজির সাথে ট্রাকভর্তি করে ঢাকা,বরিশাল, সিলেট ও চট্রোগ্রামে বিক্রি করি। এতে কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছেন ,তাদের পাশাপাশি আমরা(ব্যবসায়ীরাও ) লাভবান হচ্ছি।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, মেহেরপুর জেলার মাটি ও আবহাওয়া সব আবাদেরই উপযোগী। কৃষরা এ মাটিতে যা ফলানোর চেষ্টা করেন তাই ফলে। কয়েক বছর যাবত জেলায় মাচা পদ্ধতি অবলম্বন করে চিচিংগা আবাদ করেছেন। এ আবাদে আজও কেউ লোকসানে পড়েনি। সকলেই লাভবান হচ্ছেন। আমরা নতুন নতুন আবাদে কৃষদদের উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি। সেই সাথে চিচিংগাসহ বিভিন্ন সবজি আবাদে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগীতা অব্যাহত রেখেছি।




মেহেরপুরে কিশোর গ্যাং ও কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা

মেহেরপুরে কিশোর গ্যাং ও কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) আয়োজিত আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের মানব উন্নয়ন কেন্দ্রের (মউক) হল রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ-কনসোর্টিয়ামের (এসিপি) সহযোগিতায় মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন আমঝুপি ইউনিয়ন কমিউনিটির ওয়াচ গ্রুপের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুর রকিব।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনারুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাশেম, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুল ইসলাম, মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর নির্বাহী প্রধান মোঃ আসাদুজ্জামান সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও এসময় জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, আউট আব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন এর ডিপিএম সাদ আহম্মেদ, মানব উন্নয়ন কেন্দ্রের (মউক) প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোছাঃ ফাহিমা খাতুন, সহকারী এডমিন অফিসার হালিমা খাতুন ডলি, সুপারভাইজার সুমাইয়া খাতুন, সহকারী প্রোগ্রাম অফিসার চাঁদতারা সূর্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




কোটচাঁদপুরে কর্তাভোজা কল্যাণ ট্রাস্টের মাসিক সভা

কর্তাভোজা কল্যাণ ট্রাস্টের মাসিক সভায় আত্মপ্রকাশ ঘটল ভবেশ চন্দ্র দেবের লেখা পুস্তক সতীমা ও সত্যদর্শন। বুধবার বিকেলে কোটচাঁদপুর বাগডাঙ্গা উপাসনালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ আত্মপ্রকাশ ঘটে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মহাশয় গোবিন্দ দেব অধিকারী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এলাঙ্গী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য এনামুল হক।

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সতীমা ও সত্যদর্শন পুস্তকের লেখক ভবেশ চন্দ্র দেব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,বাগডাঙ্গা গ্রামের রঞ্জন দেব,চৌগাছার মুত্তদহ গ্রামের আনন্দ মহন দেব, চৌগাছা খড়িংঞ্চার মহাশয় গোবিন্দ অধিকারী, মহেশপুরের সুন্দরপুরের মহাশয় অনিল দেব,তাহেরপুরের মহাশয় অশ্বিনে দেব,বাগডাঙ্গা গ্রামের রতন দেব, মহেশপুরের মদন সত্য বুদ্দিশ্বর দেব,সত্য রঞ্জন দেব।

পরে উপস্থিত ভক্তবৃন্দদের মধ্যে পুস্তক বিতরন করা হয়। এ সময় তারা বলেন,আস্তে আস্তে আমাদের এ সংগঠনের প্রসার ঘটছে। সামনের দিনে আমরা আমার এ পুস্তক গুলো আরো ভক্তবৃন্দের হাতে তুলে দেয়া হবে।




স্মৃতিময় বর্ষা

বারান্দায় দাঁড়িয়ে গিল্লুমামা
‘এই-এই হচ্ছেট কী?’
ধমক দিয়েছিল রেগে,
বৃষ্টিতে ভেঁজা দারুণ খেলার
আমরা গিয়েছি ভেগে।

কই যে গেল সেই দিনগুলো
ফিরে যেতে এখনও –
খেলা করে মনে স্মৃতিগুলো।

“এই ভেঁজো না জ্বরে ভুগবে
ঘরে ফিরে আয় তোরা।’
থামাতে মামার চিৎকার,
দমেনি ছেলেবেলার ছুটাছুটি
আনন্দ নেয়া বর্ষার।




কুষ্টিয়ায় কোটা সংস্কারের দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ

কুষ্টিয়ায় কোটা সংস্কারের দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ, ট্রেনে হামলা, ছাত্রলীগের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনে হামলার ঘটনায় কয়েক জন যাত্রী আহত হয়েছে।

আজ বুধবার বিকালে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শহরের মজমপুর গেট চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে মজমপুর গেটে জড়ো হতে থাকে।

বিক্ষুদ্ধরা কোটা সংস্কারের দাবিতে ও ঢাকাসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলা এবং মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রায় দেড় ঘন্টা উত্তরাঞ্চলের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে।

এরপর তারা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক ধরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের চৌড়হাসের দিকে যায়। সেখানে ফুলতলা ও চৌড়হাস মোড়ের দিকে পৌঁছালে ছাত্র লীগের একটি মিছিলের সাথে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় তারা। সাতটি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারীরা। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাজবাড়ী থেকে পোড়াদহ গামী শাটল ট্রেন মজমপুর পৌঁছানো মাত্র ট্রেন থামানোর জন্য মুহুর্মুহু পাথর নিক্ষেপ করে হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা।

পৌনে এক ঘন্টা ট্রেনটি আটকে রাখার পর পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ প্রায় পৌঁনে এক ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল করে। এদিকে পাথরের আঘাতে ট্রেনের এক যাত্রী আহত হয়।




দামুড়হুদায় ২০ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ২

দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের মদক বিরোধী অভিযানে ২০ পিচ অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার ভগিরতপুর ঝবঝবি ব্রীজ এলাকা থাকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের মোঃ সিরাজ আলী মন্ডল এর ছেলে মোঃ লিপু আলী (২৪) এবং মৃত আঃ কুদ্দুস এর ছেলে মোঃ সাইদুল (২৫)।

পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদা মডেল থানার মাদক বিরোধী অভিযানে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোঃ আসাদুর রহমান সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ মাদক বিরোধী অভিযান ডিউটি পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দামুড়হুদা থানাধীন ভগিরতপুর গ্রামস্থ ভগিরতপুর ঝবঝবি ব্রীজ সংলগ্ন জনৈক মোঃ মুক্তার আলীর মুদি দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর থেকে আসামী লিপু আলী ও সাইদুল কে ২০ পিচ অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট (মূল্য অনুমান ৬,০০০ টাকা) সহ হাতেনাতে আটক করে। আটককৃত আসামীদ্বয় বর্তমানে দামুড়হুদা মডেল থানা হেফাজতে আছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রজু করা হয়েছে।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবীর বলেন, ইয়াবা সহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রজু করা হয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের মিছিল

বাঙালির মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ, একাত্তরের ঘৃণিত গণহত্যাকারী রাজাকারদের প্রতি সাফাই এবং আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা তৈরীর প্রতিবাদে মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (১৭ জুলাই ) বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাসভবন থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। পরে যেখানে সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মিছিলের নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন আহমেদ।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আবু মোর্শেদ শোভন সরকার, সদর উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুলকার নাইম বাইজিদ, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক পিন্টু মিয়া, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম আল রাতুল, নাসিম আহমেদ রাব্বি, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান মাহমুদ অনিক,পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবির হাসান প্রমুখ।