বিপিএল শেষ চারের দৌড়ে যারা

খুলনা টাইগার্সের যেমন উত্থান হয়েছিল, তেমন পতনও হয়েছে। কাগজ-কলমে টিকে থাকলেও গতকাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬৫ রানের হার খুলনার বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে। শেষ চার নিশ্চিত রংপুর রাইডার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চট্টগ্রামের। আর সেই দৌড়ে এগিয়ে আছে ফরচুন বরিশাল। আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও দলটি এক পা দিয়ে রেখেছে বিপিএলের পরের পর্বে। এই অবস্থান থেকে বরিশালকে টপকে শেষ চারে যাওয়া খুলনার জন্য রীতিমতো অসম্ভব ব্যাপার।

চট্টগ্রাম পর্ব শেষে মিরপুরের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার মাঠে নামবে বরিশাল ও কুমিল্লা। এই ম্যাচে বরিশাল জয় পেলে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ চার নিশ্চিত হবে দলটির। তখন দিনের অন্য ম্যাচ খুলনা-সিলেটের লড়াই কেবল আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে প্রথম ম্যাচে বরিশাল হারলে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা জিতলে তখন দুদলেরেই পয়েন্ট ১২ হবে। তাতে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকা দল পরের পর্বে যাবে। যেখানে অনেকটাই এগিয়ে আছে বরিশাল। তাতে বলা যায়, বড় কোনো অঘটন না ঘটলে এলিমিনেটর পর্বে খেলা হচ্ছে বরিশালের।

চলতি বিপিএলে সবার আগে শেষ চার নিশ্চিত করেছে রংপুর। এরপর নাম লিখিয়েছে কুমিল্লা। তৃতীয় দল হিসেবে শেষ চারে গেছে চট্টগ্রাম। রংপুর-কুমিল্লার অবস্থান এক বা দুইয়ে থাকবে। অর্থাত্ দুটি দলই প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলবে। সেখান থেকে জয়ী দল সরাসরি ফাইনালে যাবে। আর হেরে যাওয়া দলের সামনে আরো একটি সুযোগ থাকবে ফাইনালে ওঠার। টেবিলের তিন ও চার নম্বরে থাকা দল খেলবে এলিমিনেটর ম্যাচ। সেখান থেকে জয়ী দল চলে যাবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। তাদের প্রতিপক্ষ হবে প্রথম কোয়ালিফায়ারের (রংপুর-কুমিল্লা) পরাজিত দল। এখান থেকে যারা জিতবে তারা ফাইনাল খেলবে।

দশম বিপিএলের শুরু থেকে চমক দেখিয়েছিল খুলনা। টানা চার ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে উঠে বসে এনামুল হক বিজয়রা। তবে এরপরই ঘটে ছন্দপতন। পাঁচ ম্যাচ হেরে ছিটকে যায় তারা। পরে একটি ম্যাচে জয় আসে। আর সবশেষ ম্যাচে হেরে এখন বিদায়ের দারপ্রান্তে খুলনা। এবার সবার আগে বিদায় নিয়েছে দুর্দান্ত ঢাকা। রেকর্ড ১১টি ম্যাচে টানা হেরে বিদায় নেয় দলটি। আর গেলবারের ফাইনালিস্ট সিলেট স্ট্রাইকার্সও এবার নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। প্রথম পর্ব থেকেই বাদ পড়তে হয়েছে দলটিকে।

সূত্র: ইত্তেফাক




আমঝুপিতে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি পালন

আমঝুপিতে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। আজ বুধবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এসময় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন  আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যানের জেষ্ট পুত্র মোঃ সেলিম রেজা,  ইউপি সদস্য আবুল কাশেম, মকবুল হোসেন, আঃ মজিদ, বনিতা খাতুন, আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহম্মদ আলী, আতিক থান্দার, ফয়জুল কবির, শরিফ আহমেদ, রাসেল আহমেদ, আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমীন, হাফিজুজজামান, রাফিউল, ফারাহ হোসেন লিটন, আসাদুল, রুবেল, নার্গিস, সাহানাজ, আমঝুপি আলীম মাদরাসার মাহাবুব আলম, আলামিন, শারফুল, শফিকুল, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত, আসাদুল হক মন্টু, টুটুল, আঃ জলিল, আরফাজ হোসেন, মিল্টন,  বাংলাদেশ কৃষকলীগ সভাপতি মহাবুব হক, ওয়াড সভাপতি নজরুল ইসলাম, আমঝুপি বিএডিসির পরিচালক জিয়াউর রহমান, আবু তাহের, ইকবাল হোসেন, আনিছুর রহমান, পাবলিক ক্লাবের সোহেল রানা সবুজ, শহিদুল ইসলাম সাগর প্রমুখ।

পরে সকালে ৭টার দিকে আমঝুপি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে প্রধান অতিধি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চেয়ারম্যান রোবহান উদ্দিন আহম্মেদ চুন্নু ।

এ সময় মতিয়ার রহমান, আনোয়ার সাদাত, মাহাবুব হক, আঃ জলিল, ফারুক, মন্টু, সাজ্জাদ হোসেন, রবিউলরাও উপস্থিত ছিলো।




মুজিবনগরে মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন

মুজিবনগরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।দিবসটি উপলক্ষে বুধবার রাতের প্রথম প্রহরে ১২.১ মিনিটে শহীদ বেদীতে রাষ্টের পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী ভারপ্রাপ্ত অফিসার নাজমুস সাদাত রন্ত ও উপজেলা চেয়ারম্যান জীয়াউদ্দীন বিশ্বাস।

এর পরে মুজিবনগর থানার পক্ষে অফিসার ইনচার্জ উজ্জ্বল দত্ত ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান আলী খাঁন এর নেতৃত্বে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ এর নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামীলীগ , উপজেলা যুবলীগ ,উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ এর সহ সভাপতি মতিউর রহমান মতিন এর নেতৃত্বে উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান রাজিব এর নেতৃত্বে উপজেলা কৃষকলীগ, ছাত্রলীগের পক্ষে মোনাখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি স্বপন গাজী ও বাগোয়ান ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগ, ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজের নেতৃত্বে মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদীকা তাহমিনা খাতুনের নেতৃত্বে যুব মহিলা লীগের, মহাজনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলুর নেতৃত্বে মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদ, মুজিবনগর উপজেলার ইয়াং বাংলা ফিউচার লিডার সভাপতি হাসানুজ্জামান লালটুর নেতৃত্বে ইয়াং বাংলা ফিউচার লিডার, সহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন ।

এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।




দামুড়হুদায় একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিনম্র শ্রদ্ধা ও যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে ভাষা শহীদদের স্মরণ করেছে দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

এ উপলক্ষে রাত ১২টা ১ মিনিটে উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ মিনারে প্রথমেই পুষ্পস্তাবক অর্পণ করেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সাংসদ সদস্য হাজী মো: আলী আজগার টগর, দামুড়হুদা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, এরপরে একে একে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ, দামুড়হুদা মডেল থানা, দর্শনা থানা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দর্শনা পৌরসভা, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন, উপজেলা আওয়ামী লীগ, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব, উপজেলা যুবলীগ, উপজেলা শ্রমিক লীগ, উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজে, উপজেলা ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শহীদ মিনারে পুস্তক অর্পণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আছির উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস, উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবীর, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বিপ্লব কুমার সাহা, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবির ইউসুফ, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবী প্রমূখ।




দর্শনা পরানপুর মোড় থেকে লোকনাথপুর পর্যন্ত সড়কের ৭৯টি গাছ কেটে সাবাড়

দর্শনা পরানপুর মোড় থেকে লোকনাথপুর পর্যন্ত সড়ক নিমার্ন কাজ চলছে। আর এই সুযোগে সড়কের পাশে বিভিন্ন প্রজাতির ৭৯টি গাছ কেটে সাবাড় করেছে অসাধু ব্যক্তি।

এ খবর পেয়ে আজ বিকাল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, দামুড়হুদা উপজেলা নিবার্হী অফিসার রোকসানা মিতা জেলা পরিষদের নিবার্হী প্রধান মিজানুর রহমান ও সহকারী নিবার্হী ইসরাইল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা পরানপুর দক্ষিন পাড়া মোড়ে আসে।
এসময় উপজেলা নিবার্হী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন, জেলা পরিষদ আমাদের আইনি ব্যবস্থা নিতে বল্লে আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।

এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, যে গাছগুলো কেটে ফেলেছে সে গুলো আগে উদ্ধার করা হোক তারপর কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর পুলিশ ডেকে গাছগুলো উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। স্থানী লোকজন জানান, জেলা পরিষদের একজন সরকারী লোক এসে বলেছে যার যার জমির সামনে যে গাছগুলো কেটে নেওয়ার কথা। এরপর হাজী গোলজার মিয়ার জমির রাস্তার পাশের গাছগুলো কেটে নেয়।

এ খবর পেয়ে সড়কের পাশের জমির মালিক পরানপুর গ্রামের মৃত গোলজার হাজীর ছেলে আনারুল আজিম ১০টা, বাবর আলী ছেলে খোকন ৪টি, লোকনাথপুর মৃত ওয়াদুদ শাহের ছেলে গ্রামের মুকুল শাহ ৩টি, ইদ্রিস আলী ৪টি, মদু মিয়ার ছেলে জামাল উদ্দিন ৪টি, মাও হাবিবুর মওলানার ছেলে ৩টি, লাউ ক্ষেতের পাশে ৩টি ও গম ক্ষেতের পাশ থেকে ১টি মেহুগুনি গাছ কেটে নেয় জমির মালিকরা। এছাড়া পরানপুর গ্রামের সানোয়ার মন্ডলের ছেলে বাবু ৩টি,আকবার আলীর ছেলে মাসুদ ৬টি, ফেলু মন্ডলের ছেলে ইসরাফিল হোসেন ৪টি ও আব্দুর রব ২টি, নবাব আলীর ছেলে মহসিন ১৩টি, গাছগুলো কেটে নেয়।

এ সুযোগে কিছু সুযোগসন্ধানী লোক সড়কের পাশের ৭৯টি গাছ কেটে ফেলেছে। কেউ কেউ গাছ কেটে বিক্রীও করেছে। কেউ বাড়ি বাড়ি জমা করে রেখেছে। এ বিষয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মঞ্জু জেলা পরিষদের কর্মকতার্দের নির্দেশ দেন পুলিশ সাথে নিয়ে কাটা গাছগুলো যেখানে আছে উদ্ধার করে দর্শনা ডাকবাংলো চত্বরে রাখার। কেউ যদি কোন সো মিলে রাখে সেখান থেকে উদ্ধার করার নির্দেশ প্রদান করেন।




কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলনের দায়ে ৪ জনের কারাদণ্ড

কুষ্টিয়ার পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে চারজনকে ৩ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দবির উদ্দিন এ আদালত পরিচালনা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোলদাগ এলাকার ছামেদুল ইসলাম (৪০), একই এলাকার সোহাগ আলী (৩৮) আলমগীর হোসেন (২৭) ও মাহাবুল ইসলাম (৩৭)।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পদ্মা নদীর থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করে আসছিল। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার হাটশহরিপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ১০ এর (৫) ক ধারায় চার জনকে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।




দামুড়হুদায় অন্যের গরু নিজের বলে দাবী করে জয়রামপুরের বাবু বিপাকে

দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের বাবু অন্যের গরু নিজের বলে দাবী করে এখন বিপাকে। আজ মঙ্গলবার বেলা ২ টার দিকে উপজেলার ছোট দুধপাতিলায় এঘটনা ঘটে।

সরজমিনে জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ছোটদুধপাতিলা গ্রামের আব্দুল হাকিম এর ছেলে আহসান হাবীব সে একজন গরুর ব্যাপারী। গরু কেনাবেচা করে।

গত সোমবার ডুগডুগি পশুহাট থেকে ৪৮ হাজার টাকায় একটা লালচে রং এর গরুর বাছুর কেনে। কিন্তু উপজেলার জয়রামপুর কলোনী পাড়ার মৃত নূর হোসেনের ছেলে রিপন হোসেন বাবু’র সোমবার দিবাগত রাত ৩ টার পরে যেকোন সময় তার গোয়ালঘর থেকে লালচে রঙের একটি গরুর বাছুর চুরি হয়ে যাই। গরু চুরির বিষয়ে সে একটি জিডিও করে থানায়।

আজ মঙ্গলবার সকালে সে সন্ধান পায় ছোট দুধ পাতিলা গ্রামে একটি লালচে রঙের গরুর বাছুর আছে। সেখানে গিয়ে সে গরুটিকে নিজের বলে দাবি করে। সেখানে ৩ টি গরু ছিলো। হাউলী ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বাবু’র স্ত্রীকে গরু সনাক্ত করতে বল্লে সে অন্য একটি গরু সনাক্ত করে এবং বাবু আর একটি গরু সনাক্ত করে। স্বামী স্ত্রী দুইজন দুইটা গরু সনাক্ত করে। তখনি বাঁধে-বিপত্তি। ঘটনার সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং গরুটি উদ্ধার করে হাউলী ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়।

ছোট দুধ পাতিলার গরুর ব্যাপারী আহসান হাবীব গরুটি যার কাছ থেকে কেনা হয়েছে তাকে সন্ধান করে বাছুর গরুটি নিয়ে উপজেলার কুড়ালগাছি ইউনিয়নের সদাবাড়ি গ্রামে গরুর আসল মালিকের বাড়ি যাওয়া হয়। গরুর বাছুর টি ছেড়ে দিলে দৌড়ে তার মা গাভী গরুর কাছে চলে গিয়ে দুধ পান করে। গরুর মালিক এবং স্থানীয় পাড়া-প্রতিবেশী বলেন এই বাছুর গরুটি তারা বিক্রি করেছেন। সেখানে প্রমাণ হয় গরুটি ছোটদুধপাতিলা গ্রামের ব্যাপারী আহসান হাবীব আসলেই কিনেছে। এটা চোরাই গরু নয়। জয়রামপুরের বাবু যে গরুটি নিজের বলে দাবি করছে সে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বানোয়াট তথ্য দিয়ে মানুষজন এবং পুলিশকে বিভ্রান্তি করেছে। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে গরুটিকে নিজের বলে দাবি করে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছে। এলাকাবাসী দাবি তুলেছে এই প্রতারককে আইনের আওতায় এনে শাস্তি হওয়া উচিত।

এবিষয়ে আহসান হাবীব বলেন, এলাকাবাসী ও পুলিশ কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। বাবু আমাকে হেনস্থা করেছে। মানুষজনের সামনে আমাকে চোর সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছে। আমি বাবুর নামে দামুড়হুদা মডেল থানায় মান হানীর মামলা করবো। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। বাবু বলেছে ৮/ ৯ মাস ধরে গরুটি তারা পুষছে। তাহলে তারা নিজের গরু চিনতে পারছে না। তারা ইচ্ছা করেই আমাকে চোর সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছে। আমার গরুটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি যে গরুটি কিনেছি সেটা একটা বাছুর গরু এখনো সে দুধ খায়।

এবিষয়ে হাউলী ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার প্রতিবেশী আঃ হাকিম এর ছেলে আহসান হাবীব গত সোমবার ডুগডুগি গরুর হাট থেকে একটি গরুর বাছুর কেনে।

কিন্তুু জয়রামপুরের মৃত: নুর হোসেন এর ছেলে রিপন হোসেন বাবু বাছুর গরুটিকে নিজের বলে দাবি করলে দামুড়হুদা মডেল থানার এস আই তৌহিদ গরুটি আমার হেফাজতে রাখে। তখন আমি আমার প্রতিবেশী কে বলি গরুটি কার কাছ থেকে কেনা হয়েছে তার সন্ধান করো এবং সেখানে চলো। তারপর আমরা বাবু’র ভাই সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সেখানে যায়। কিন্তু বাবু আমাদের সাথে যায়নি। গরুর আসল মালিকের বাড়ি গিয়ে আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয় গরুটি আসলে চোরাই গরু নয়। গরুটি আসলেই ক্রয়কৃত গরু। বাবু আমাদের মিথ্যা বলেছে। আসলে গরুর বাছুর টি বাবুর নয়। তবে এটাও সত্যি যে বাবুর একটি গরু হারিয়ে গেছে। কিন্তু এই গরুটি তার নয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির বলেন,যার গরু তার সত্যতা পাওয়া গেছে।একজনের গরু যদি অন্য একজন যদি মিথ্যাভাবে দাবি করে তাহলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




মানববন্ধনের মাইক বন্ধে পুলিশ পাঠিয়ে, ইউএনওর দুঃখ প্রকাশ

মেহেরপুরে সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য চলাকালীন সময়ে পুলিশ পাঠিয়ে মাইক বন্ধের নির্দেশ দিয়ে পরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা।

আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের পাশে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ লিংকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম এ খালেক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ খালেক বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনার সাথে জড়িত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার গাংনী সংবাদদাতা আমিরুল ইসলাম অল্ডামের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসুচিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য একরামুল হক, তেরাইল জোড়পুকুরিয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাসুমুল হক মিন্টু, বাঁশবাড়িয়া টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ স্বপন, গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান পাভেল, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের গাংনী এরিয়া সমন্বয়কারি হেলাল উদ্দিন, এনজিও কর্মী নুরুল ইসলাম রিন্টু, সমাজ কর্মী, আব্দুর রব প্রমুখ।

এদিকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালিন সময় গাংনী থানার এস আই তৌহিদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার উদ্ধৃতি দিয়ে মাইক বন্ধ করার জন্য বলেন। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষ সাংবাদিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার অফিসকক্ষে দেখা করেন। এবং মাইক বন্ধ করতে পুলিশ পাঠানোর বিষয়টি জানতে চান। পরে ইউএনও প্রীতম সাহা বলেন, এসএসসি পরীক্ষা চলার কারনে মাইক বন্ধ করার জন্য ওসি সাহেবকে ফোন দিয়ে মাইক বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে গাংনী উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা পর্যায়ের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতায় মাইক ব্যবহার করে উচ্চ শব্দে নাচ গান চলছে এটা কতটা যুক্তিযুক্ত?

মানববন্ধন চলাকালে বিভিন্ন ক্লিনিক ও মাংস বিক্রেতার একাধিক মাইকিংয়ের গাড়ি পাকা সড়কে যেতে দেখা গেছে তাদের জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর একদিন আগে সন্ধ্যায় প্রশাসনের নাকের ডগায় ও হাসপাতালের একশ গজ দূরে বিশাল কনসার্ট ও সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, এসব ঘটনায় প্রশাসনের কোন নজরদারি দেখা যায়নি। এলাকায় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অনিয়ম ও অসংগতির সংবাদ প্রকাশ হলেও উল্লেখযোগ্য কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়না। প্রশাসনের নাকের ডগায় গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ইটভাটা গড়ে তুলে বনাঞ্চল উজাড়সহ পরিবেশ দুষন ঘটানো, সরকারি যায়গা দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ, ড্রেজার মেসিন দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, দাপ্তরিক কাজ ফেলে রেখে সরকারি সকল দফতরের কর্মকর্তাদের নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগদানের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানকে চাইলে এসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর মেলেনি ইউএনও প্রীতম সাহার কাছ থেকে।

তবে এসব প্রসঙ্গ উঠলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা মানববন্ধনের ঘটনায় মাইক বন্ধের নির্দেশনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে তিনি বলেন, আপনারা নিউজ করতেই পারেন। আজ এখানে আছি কর্তৃপক্ষ মনে করলে বান্দরবন চলে যেতে হবে।

এদিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মাসে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলার করমদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভির আহমেদ মাইকের উচ্চ শব্দে হিন্দি গানের সাথে নেচে সমালোচনায় পড়েছেন আয়োজকরা।

এ বিষয়েও প্রশাসনের নজরদারির গাফেলতিকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।

পাশে সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাহলে উচ্চ শব্দে মাইক বাজিয়ে এমন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন জানান এটা ইউএনও স্যারের প্রোগ্রাম। মাইক চললে কোন অসুবিধা নাই। তবে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে ইউএনও প্রীতম সাহা অফিসের সহায়ক মনিরুল ইসলামকে পাঠিয়ে মাইক বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, গেল ১২ ফেব্রুয়ারী আমঝুপি মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) সংস্থা অফিসের সামনে সড়ক দূর্ঘটনার সংবাদ সংগ্রহকালে নিউজ ২৪ এর স্টাফ রিপোর্টার রাশেদুজ্জামান ও দৈনিক জবাবাদিহি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সিরাজুদ্দোজা পাভেল দূর্বৃত্তদের হাতে হামলার শিকার হন। এই নিয়ে সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসুচি পালন করে আসছে।




ঝিনাইদহে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে মতবিনিময় সভা

ঝিনাইদহে ‘সমৃদ্ধি’ প্রকল্পের কাজের অংশ হিসেবে সেবান প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে হোম বেইজড গার্মেন্টস নারী শ্রমিকদের সেবা প্রাপ্তি বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ এর সহায়তায় ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই) এর বাস্তবায়নে আজ মঙ্গলবার সকালে ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই) এর প্রশিক্ষণ কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই) এর পরিচালক শরিফা খাতুন। সঞ্চালনা করেন সমৃদ্ধি প্রকল্পের সমন্বকারী মো: ছাব্দার হোসেন। সেবাপ্রদাকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ঝিনাইদহ বিসিক এর উপ-ব্যবস্থাপক সেলিনা রহমান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুল হাই সিদ্দিক, ঝিনাইদহ সদর থানার এস আই মোঃ নূর ইসলাম, ঝিনাইদহ উত্তরা ব্যাংক লি: এর ব্যবস্থাপক প্রশান্ত কুমার বর্মন, ঝিনাইদহ সদর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মোঃ আশরাফুজ্জামান, দৈনিক অবজারভারের ডিস্ট্রিক করোসপোনডেন্ট জাফর উদ্দীন রাজু। বক্তারা স্ব-স্ব অধিদপ্তরের সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং তাদের দপ্তরের সেবা সমূহ আন্তরিকতার সাথে প্রদানের দূঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।




জীবননগরে ভেজাল থিয়োভিট উদ্ধার,ব্যবসায়ীকে জরিমানা

জীবননগরে ভ্র্যাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ভেজাল থিয়োভিট উদ্ধার এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৫হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেছে ।

আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় জীবননগর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভ’মি তিথি মিত্র জীবননগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় জীবননগর উপজেলার বাকা ব্রিক ফিল্ডের মের্সাস সাগর ট্রেডার্সে ভেজাল বিরোধী অভিযান চালিয়ে দোকানের মধ্যে থেকে ৬ প্যাকেট নিন্মমানের ভেজাল থিযোভিট উদ্ধার করে।

এ সময় মেসার্স সাগর ট্রেডার্সের মালিক সিরাজুল ইসলামকে ভেজাল থিয়োভিট বিক্রি করার অপরাধে নগদ ৫হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন।

মেসার্স সাগর ট্রেডার্সের মালিক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন,আমি সিনজেন্টার থিয়োভিট গুলো দামুড়হুদা বাজারের মের্সাস নাঈম ট্রেডার্সের নিকট থেকে ক্রয় করেছি আমি তো জানি না এ গুলো ভেজাল সে আমার নিকট থেকে সিনজেন্টার থিয়োভিটের দাম নিয়েছে।

জীবননগর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভুমি তিথি মিত্র বলেন,একটি গোপন সুত্রে জানতে পারি বাকা ব্রিক ফিল্ডের একটি কীটনাশকের দোকানে ভেজাল থিয়োভিট বিক্রয় করা হচ্ছে এ সংবাদ পেয়ে বাকা ব্রিক ফিল্ডের মের্সাস সাগর ট্রেডার্সে অভিযান পরিচালনা করে তার দোকান থেকে ৬ প্যাকেট নকল থিয়োভিট উদ্ধার করা হয় । উদ্ধারকৃত মালামালগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। কৃষকদের সাথে প্রতারনা করায় ওই প্রতিষ্ঠানের মালিককে জরিমানা প্রদান করা হয় এবং তাকে সর্তক করা হয়। জনস্বার্থে এবং কৃষকদের স্বার্থে ভেজাল বিরোধী এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান।