গাংনীতে আমৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামি রিপনকে পাবনা থেকে গ্রেফতার

হত্যা মামলায় আমৃতপ্রাপ্ত আসামি রিপন আলী (৪৫)কে গ্রেফতার করেছে গাংনী থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে পাবনা শহরের বড়বাজার এলাকায় গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে রিপন আলীকে গ্রেফতার করে।

আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাংনী থানার তদন্ত অফিসার মনোজিত কুমার নন্দী সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিমুল বিল্লাহ’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গ্রেফতার অভিযানে অংশ নেন।

রিপন আলী গাংনী উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের আবু ছদ্দীনের ছেলে। তার নামের মামলা নং এস/সি, ০৬/২০০৮। ধারা ৩০২,৩২৪ প্যানেল কােড। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে রিপন আলীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরােধের জের ধরে ২০০৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি গাংনী উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের আবু ছদ্দীনের ছেলে রিপন আলী ও প্রতিবেশী মহাসিন আলীর মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় মহাসিন আলী গুরুতরভাবে আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সেখান থেকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেন। চিকিৎসাধীন থাকার পরের দিন রাতে মারা যান তিনি।

নিহত মহাসিন আলীর ভাই বাদি হয়ে রিপন আলীকে প্রধান ও তার বোন জাহানারা খাতুনসহ ৪ জনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় জাহানারা খাতুন দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন। পরে সে জামিনে মুক্ত হন। মামলার রায়ে ১ জন আসামীর বেকসুর খালাস দেন। এছাড়া প্রধান আসামি রিপন আলীকে আমৃত্যু কারাদন্ডসহ বাকী আসামীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। মামলার রায়ের পর থেকে রিপন পলাতক ছিল।

গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনােজিত কুমার নন্দী গ্রেফতারকৃত রিপনকে আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর আদালতে নেয়া হয়েছে।




বাঁচা-মরার লড়াইয়ে টস জিতে ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মাঠে নামছে খুলনা টাইগার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্লে অফে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই এই দু’দলের সামনে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাঁচা-মরার ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম।

১১ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে চট্টগ্রাম। অন্যদিকে ১০ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে খুলনা। তাদের সঙ্গে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে তিনে আছে ফরচুন বরিশাল।

এই তিন দলের দুই দল জায়গা করে নিবে প্লে অফে। আর তাই এই ম্যাচ মহাগুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম ও খুলনার জন্য। তাই এই ম্যাচ জিততে মরিয়া দু’দল।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স একাদশ: মোহাম্মদ ওয়াসিম, তানজিদ হাসান তামিম, সৈকত আলি, টম ব্রুস, রোমারিও শেফার্ড, শুভাগত হোম (অধিনায়ক), শাহদাত হোসেন দিপু, শহিদুল ইসলাম, নিহাদুজ্জামান, সালাউদ্দিন শাকিল, বিলাল খান।

খুলনা টাইগার্স একাদশ: এভিন লুইস, এনামুল হক বিজয় (অধিনায়ক), পারভেজ হোসেন ইমন, শাই হোপ, আফিফ হোসেন, মাহমুদুল হাসান জয়, জেসন হোল্ডার, ওয়ায়েন পার্নেল, আরিফ আহমেদ, মুকিদুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ।

সূত্র: ইত্তেফাক




সাকিবের আউটের পর তামিমের ‘ব্যাঙ্গাত্মক উদযাপন,যা বললেন মুশফিক

বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মধ্যকার তিক্ত সম্পর্ক যেন নতুন মাত্রা পেল চলমান বিপিএলে। রংপুর-বরিশাল ম্যাচে তামিমকে আউট করে উদযাপন করেন সাকিব।

পরে সাকিব আউট হলে ব্যাঙ্গাত্মক উদযাপন করেন তামিম। দুইজনের এমন ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরুর পর সাকিবের বলে পরাস্ত হন তামিম। মুমিনুল হক বল হাতে লুফে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তামিমের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে এক হাত তুলে মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় উদযাপন করেন সাকিব।

পরক্ষণে রংপুরের হয়ে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন সাকিবও। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বদলি ফিল্ডার প্রীতম কুমারের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন তিনি। সে সময় সাকিবের উদযাপনটা কিছুটা ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে নকল করেন তামিম।

সোমবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বরিশালের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকে তামিমের এই অঙ্গভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি জানান, তামিমের সেই ব্যাঙ্গাত্মক উদ্‌যাপন দেখেননি।

এ প্রসঙ্গে মুশফিক বলেন, ‘তামিমের উদ্‌যাপন সত্যি কথা আমি দেখিনি। একজন আউট হয়েছে, দেখছিলাম ক্যাচটা হয়েছে কি না। এরপর ব্যাটসম্যান কে আসবে, পরিকল্পনা কী হবে এসব ভাবছিলাম। সত্যি কথা, আমি (তামিমের উদ্‌যাপন) দেখিনি। এখন যেহেতু বললেন, তাহলে গিয়ে হাইলাইটস দেখতে হবে।’

সূত্র: যুগান্তর




চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ

চুয়াডাঙ্গায় কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃক আয়োজিত চাঁদমারী মাঠে গত মঙ্গলবার বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকাল তিনটার সময় বার্ষিক ক্রিয়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কবির হোসেনের সভাপতিত্বে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে দেশ ও জাতীয় চেতনার সাথে সম্পৃক্ত করতে তাদেরকে পরিপূর্ণভাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। আমাদের তরুণরা খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় উৎকর্ষতা অর্জনের মাধ্যমেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হবার মতো বিজয় অর্জন করবে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ক্রীড়া প্রেমিক মানুষ। দেশ এবং দেশের মানুষ কিভাবে সবসময় উন্নতি লাভ করবে এটার জন্য সবসময় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। দেশ এবং দেশের বাইরে কিভাবে ক্রীড়ার মাধ্যমে আরও ব্যাপক হারে পরিচিত লাভ করা যায় এজন্য তিনি নতুন নতুন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন ।

উল্লেখ গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা চাঁদমারি মাঠে সকাল দশটার সময় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন ও বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়। দলগত ডিসপ্লে, মশাল প্রজ্জ্বলন, মার্চ পাস্টের পর বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ইভেন্টের মধ্যে ছিল, চকলেট দৌড়, রিলে দৌড় সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা

পুরষ্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা কালেক্টর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার সুমাইয়া পারভীন সহ চুয়াডাঙ্গা কালেক্টর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকমন্ডলী সহ অভিভাবকবৃন্দ।




সবাই মিলে এই মিরপুর উপজেলাকে এগিয়ে নিতে চাই — কামারুল আরেফীন

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য কামারুল আরেফীন বলেছেন, সবাই মিলে এই মিরপুর উপজেলাকে এগিয়ে নিতে চাই। আমি এই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। এখন জনগনের ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছি। আমি সাধারণ মানুষের সেবা দিতে এসেছি। তিনি বলেন, কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। বিভিন্ন গবাদিপশু পালন ও মৎস খামার প্রকল্পের মাধ্যমে বেকার কর্মসংস্থান তৈরি করতে কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে মিরপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা পর্যায়ের সকল দপ্তর প্রধানদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, আমার এই উপজেলার অবহেলিত মানুষ আমার মুখের দিকে চেয়ে আছে। এই উপজেলার মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আর সেটি হলো স্বাস্থ্য সেবা। হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে শীঘ্রই মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে ৪১ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজ হবে।

তিনি বলেন, আমি সাধারণ জনগনের সেবা ও মিরপুর উপজেলার ভাগ্য উন্নয়নের মাধ্যমে মডেল একটি উপজেলা গড়ার জন্য আপনাদের সাথে নিয়ে কাজ করবো। মানব কল্যাণ ও অবহেলিত মিরপুর উপজেলার ভাগ্যউন্নয়ন এটাই আমার মূল লক্ষ্য।

উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এমপি মহোদয় বলেন, আপনারা নিজ স্থানে থেকে মিরপুর উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের মডেল প্রকল্প তৈরি করবেন। সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাস্তবায়নের দ্বায়িত্ব আমার। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমি আমার মিরপুর উপজেলায় কৃষি, মৎস,গরীব,আসহায় ও বেকার যুবকদের ভাগ্য উন্নয়নের চিত্র পরিবর্তন করবো। একই সাথে সরকারী কর্মকর্তারা সততার সাথে নিজেকে মেলে ধরে ভালো কাজ করলে বছর শেষে তাদের পুরষ্কৃত করা হবে। আপনাদের সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে আমি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় একটি মডেল উপজেলা গড়বো।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভার:) আবুল কাশেম জোয়ার্দার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. হারুন অর রশিদ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মর্জিনা খাতুন, উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ উপজেলায় কর্মরত সকল দপ্তর প্রধানগন।




দামুড়হুদায় ২দিন ব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধন

দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর হাই স্কুল মাঠে দুই দিনব্যাপী কৃষি মেলার শুভ উদ্বোধন করলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। আজ সোমবার বেলা ১১ টার দিকে।

দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, আমাদের দেশের কৃষকরাই হলো সেরা বিজ্ঞানী, কৃষিকাজে আমরা প্রতিনিয়তই তাদের কাছ থেকে কিছু না কিছু শিখি। কৃষি কাজে প্রচুর পরিমানে পানির ব্যবহার করা হয়, সে পানি যেন যুগোপযোগী ভাবে ব্যবহার হয় এবং পানির সাশ্রয় করা যায়। অর্থাৎ দক্ষ পানির ব্যবহার এবং উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনা। এই কৃষি উৎপাদন করতে গিয়ে আমরা যে পানি ব্যবহার করি, সেই পানি যাতে অপচয় না হয় সেদিকে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে। একটা ইউনিয়নে মাঠের পর মাঠ এত ধান চাষ হয়, তাহলে সেখানে কতো পানির ব্যাবহার করা হয়। এই পানি কোনভাবেই অপচয় করা যাবে না। সব ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে পানির ব্যবহার করা হয়। এই পানি সাশ্রয় করে কমিয়ে কিভাবে উৎপাদন বাড়ানো যায়, সে দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। তাই এই কৃষি মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো দক্ষ ভাবে পানি কিভাবে ব্যবস্থাপনা করা যায়, পানির উত্তম ব্যবহার করে কৃষি ব্যবস্থাপনা কিভাবে করা যায়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি তদন্ত মাহবুবুর রহমান সহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত কৃষকেরা, বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা, আমন্ত্রিত অতিথি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনা প্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শন করলেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় প্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শন করলেন সমাজ সেবা অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা এর উপ-পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ। আজ সোমবার দুপুরে তিনি দর্শনা পৌরসভার বিশেষ শিক্ষা প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।

দর্শনা পৌর এলাকার রামনগরে অবস্থিত প্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয় বরং তারা দেশের সম্পদ। তারা বেড়ে ওঠার সকল সুযোগ সুবিধা পেলে প্রতিবন্ধী শিশুরাও দেশ ও সমাজের সম্পদে পরিণত হতে পারবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধীদের শিক্ষিত ও প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী দক্ষ করে গড়ে তুললে তারাও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।

২০১৪ সালে একযোগে সারাদেশে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে সমাজসেবা অধিদপ্তর দ্বারা পরিচালিত বিশেষ শিক্ষা (প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয় সারা দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়। তারই অংশ হিসাবে দর্শনায় প্রতিষ্ঠিত বিশেষ শিক্ষা (প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ে অগ্রগতি, কার্যক্রম দেখতে পরিদর্শনে আসেন।

অতিথিদের আগমনে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীরা ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেন। এরপর অতিথিদয় ক্লাসরুমের কার্যক্রম ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং ছাত্র ছাত্রীদের সাথে কথা বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে তিনি শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা করেন। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অগ্রগতি, সুফল ও সমস্যার কথা শোনেন এবং বিদ্যালয়ের সমস্যা গুলো অতিসত্বর সমাধানের আশ্বাস দেন। সেই সাথে খুব দ্রুত প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত’র আওতায় আসবে বলে আশ্বস্ত করেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিবন্ধী সাহায্য সেবা কেন্দ্র’র কর্মকর্তা আনোয়ার ইসলাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিবন্ধী সাহায্য সেবা কেন্দ্র’র কনসালট্যান্ট ডাঃ মোঃ নুর আলম আকাশ।

শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা চাই, শিক্ষার কোন বয়স নাই, শিক্ষা ছাড়া গতি নাই” এই স্লোগানকে সামনে রেখে স্বপ্ন ছোঁয়া পলাশ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার পরিচালনায় এই বিদ্যালয়টি হাঁটি হাঁটি পা পা করে সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রতিবন্ধীদের নিয়ে এগিয়ে চলেছে সুদৃঢ় পথ। এই প্রতিষ্ঠানের একঝাঁক নবীন-প্রবীন শিক্ষক এবং শিক্ষিকার অক্লান্ত পরিশ্রমে এগিয়ে চলেছে দুর্বার।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা পৌর বিশেষ শিক্ষা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিরিনা আখতার, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আঃ কাদের, সিনিয়র শিক্ষিকা শাহিনুর আক্তার, সহকারী শিক্ষক- মৌসুমী আক্তার, হাফিজুর রহমান, নাসরিন নাহার, হাবিবুর রহমান, শিলা খাতুন, রেমী খাতুন, সিমা পারভীন, আশরাফিয়া, শারমিন সুলতান, সারা খাতুন, আকলিমা খাতুন, শিক্ষা সহায়ক- নাজমা জামান, রুপালি খাতুন, শিউলি খাতুন, ইকলাচ উদ্দিন, নৈশ প্রহরী শ্রী সুফল বিশ্বাস সহ অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।




ভারতের মেদিনীপুরে ৫দিন ওরশ শেষে দেশে ফিরলো বাংলাদেশের বিশেষ ট্রেন

দর্শনা, ভারতের মেদিনীপুরের হুজুর পাকের রওজা মোবারকে ৫দিন ওরশ শেষে বিশেষ স্পেশাল ট্রেনটি বাংলাদেশে ফিরছে।

আজ সোমবার (১৯ ফেব্রয়ারি) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলপথ দিয়ে ফিরে এসেছে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল স্টেশন ম্যানেজার কামরুল ইসলাম ও দর্শনা চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আতিক হাসান জানান, প্রতি বছরের মতো এবারো স্পেশাল ট্রেনটি ২৪টি বগিতে ২২৬৩ জন যাত্রী নিয়ে গত বুধবার ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রা.) এর বংশধর হযরত আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আ.) মশহুর নাম ‘মওলাপাক’ এর পবিত্র ওরশ শরীফের ১২৩ তম ওরশ অনুষ্ঠিত হয়।

এদের মধ্যে পুরুষ যাত্রী ১৩২৫,মহিলা ৮৫৪,শিশু ৮৪ জন মোট ২২৬৩ জন ওরশ শরীফে যোগ দেয়।

১৮ ফেব্রয়ারি রবিবার ওরশের বয়ানের পর ভোরে বিশেষ দোয়া শেষে রওনা হয়। সোমবার (১৯ ফেব্রয়ারি) সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে স্পেশাল ট্রেনটি দর্শন দর্শনা রেল স্টেশনে পৌছায়। উলেখ্য গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টার দিকে এ বিশেষ ট্রেনটি ভারতের উদ্দ্যেশে রওনা দেয়।

বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরশকে ঘিরে এ ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে।

তিনি বলেন, বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানীর বংশধরদের নৈকট্য লাভ, তাদের এক নজর দেখতে ও পূণ্য লাভের আশায় প্রতিবছর এই দিনে মেদিনীপুরে যান ভক্তরা। ওই ওরশের সঙ্গে মিল রেখে একইদিন রাজবাড়ীর বড় মসজিদ খানকা শরীফে নানা আনুষ্ঠানিকতা হয়। পীরের ভক্তরা এতে যোগ দেন।

ওরশে যোগদানের জন্য ভারত সরকারের সুপারিশ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ভারতীয় দূতাবাস বিশেষভাবে ভিসা দিয়ে থাকেন বলে জানান আজিজ কাদেরী।




দামুড়হুদায় প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশের সম্পদ লুটপাট

দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা টু মুজিবনগর মহাসড়কের পাশে থাকা সরকারি গাছের ডাল এবং গাছ কেটে দিনে দুপুরে পাঁচার হয়ে যাচ্ছে যেন দেখার কেউ নেই। প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশের সম্পদ লুটপাট করে খাচ্ছে।

হাউলী ইউনিয়নের রুদ্রনগর গ্রামের মজিদের ছেলে মোঃ বিল্লাল হোসেন (৪০) নামের এই তরতাজা যুবক দেশের সম্পদ জনগণের সম্পদ লুটপাট করে খাচ্ছে। সে এবং তার কিছু সঙ্গ পাঙ্গ।

সরজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় সে পেশায় একজন দেশের সম্পদ জনগণের সম্পদ আত্মসাৎ কারী। যেখানে সরকারি মালামাল আছে সেখানে তার লুটপাট আছে। আর তাঁর পাশাপাশি লোক দেখানো পাখিভ্যান চালিয়ে মানুষকে দেখায় আমি সৎ উপার্জন করি। আসলে তিনি সৎ উপার্জন করেন না, তিনি অসৎ কাজে লিপ্ত থাকে এমনকি দুষ্টু পানি, কোমলপানিসহ, নানা ধরনের মাদকদ্রব্যে আসক্ত গ্রামের লোকজনের সাথে ভালো সম্পর্ক নাই এমনকি যাবতীয় দুষ্ট পানি পান করে গ্রামের লোকজনের সাথে দাঙ্গামা হাঙ্গামা করে, তাঁর ভয়ে গ্রামের কেউ কথা বলার সাহস পায় না ।

তিনাকে গ্রামের লোকজন বাঁধা দিতে গেলে তিনি বলেন আমি কাউকে তোয়াক্কা করি না, আমার ভাই অমক আমার ভাই তমুক আমার পিছনে বড় বড় লোকের হাত আছে। এমনকি আমি প্রশাসন কেউও তোয়াক্কা করি না। আমি জেল জরিমানার ও ভয় করি না, জেলখানা আমার শশুর বাড়ির মতো, সকালে গেলে বিকালে বাড়ি চলে আসবো ইত্যাদি ইত্যাদি ।

বিষয়টি দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা কে বিশেষ ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ জানাচ্ছি দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতকদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল।




ভেড়ামারায় অবৈধ প্রক্রিয়ায় গুড় তৈরী: দুইটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অবৈধ প্রক্রিয়ায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গুড় প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ এবং বাজারজাত করায় দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে উপজেলার জুনিয়াদহ বাজার ও মালিপাড়া এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল।

তিনি জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গুড় সংরক্ষণ, অবৈধ প্রক্রিয়ায় আখের গুড় তৈরির অপরাধে ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ বাজার ও মালিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে রানা গুড় আড়ৎ এর মালিক আব্দুল গনিকে ৩০ হাজার টাকা এবং আরব আলী গুড়ের কারখানা মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। একইসাথে প্রক্রিয়াজাত করা গুড় ধ্বংস করা হয়।

তিনি আরও বলেন, অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণ মানুষের জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হয় এমন কোনো প্রক্রিয়া- যা আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিম্নমানের গুড় তৈরি যারা করেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।

এসময় জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ আরাফাত আলী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।