পাঁচজন মিলে ছাগল করলাম চুরি আর পুলিশ আটক করলো আমাকে– চোর রাজু

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চারুলিয়া গ্রামে ছাগল চুরির অভিযোগে রাজু খান নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার দুপুর ১ টার দিকে দিকে ছাগলসহ রাজুকে তার বাড়ি থেকে আটক করে নাটুদাহ ফাঁড়ি পুলিশ। এর আগে গতকাল রবিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে ছাগল চুরির ঘটনা ঘটে।

আটকের সময় আক্ষেপ করে রাজু বলেন, ‘পাঁচজন মিলে ছাগল চুরি করলাম। আর পুলিশ সবাইকে না আটক করে, শুধু আমাকে আটক করলো। আমি চাই সবাই আটক হোক।’

সরল স্বীকারোক্তিতে অভিযুক্ত রাজু আরও বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী শিবপুর গ্রাম থেকে সাদা রঙের একটি ছাগল ইজিবাইক নিয়ে পাঁচজন মিলে চুরি করি। পরে ১২ হাজার টাকা ছাগলের দাম ধরে সহযোগী অন্যদের টাকা দিয়ে দেই এবং ছাগল নিয়ে বাড়ি আসি। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ আমাকেই ধরে এনেছে।’

ছাগল চুরির সময় আর কে কে ছিল- এমন প্রশ্নে রাজু বলেন, ‘একটা ইজিবাইক নিয়ে আমরা ছাগল চুরি করি। এসময় আমি, চারুলিয়া গ্রামের সালমান শাহ, ইজিবাইক চালক সুজন, জামিরুল ও নবাব একসঙ্গে ছিলাম।’

স্থানীয়রা জানান, ছাগল চুরির ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে। গতকাল রবিবার রাতে একটা ছাগলসহ ফাঁড়ি পুলিশ একজনকে আটক করেছে। তবে এই ছাগল চোরদের একটা গ্যাং আছে।

এ বিষয়ে নাটুদাহ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রুহুল আমীন বলেন, ‘গতকাল রবিবার বিকেলে শিবপুর গ্রামে ছাগল চুরি হয়। রাজু ও সালমান নামের দুজন চোরকে ধরে দামুড়হুদা মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে আর একজন চোর পলাতক রয়েছে বলেও জানান। এই চোরচক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান চোরদের বিষয়ে আইনগত ব্যাবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে। ছাগল চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করায় দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির ও নাটুদা ক্যাম্পের এ এস আই রুহুল আমিন কে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।




মুজিবনগরে বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল 

মুজিবনগরে বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার বিকেলে বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স পর্যটন মোটেলে এ আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বাগওয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান মধু এর সভাপতি তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের (সাবেক) সাংগঠনিক সম্পাদক আয়ুব হোসেন, বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম,বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রকিবউদ্দীনসহ বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃকর্মীবৃন্দ।

উপজেলা সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে আরো গতিশীল করে, সংগঠিত করার মাধ্যমে মেহেরপুর মুজিবনগরের গর্ব জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এর হাতকে শক্তিশালী করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন অতিথিবৃন্দ।




কুষ্টিয়ায় পৃথক ঘটনায় পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় দুই উপজেলায় পৃথক ঘটনায় পুকুরের পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল ১০টা ও দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা ও হরিনারায়নপুরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার সকাল ১০টায় খেলাধুলা করতে গিয়ে খোকসা উপজেলার কোমরভোগ গ্রামের শয়ন হোসেনের আড়াই বছর বয়সি মেয়ে জান্নাতী খাতুন, রতন হোসেনের সাড়ে তিন বছরের মেয়ে মুসলিমা খাতুন পুকুরের পানিতে পড়ে মারা যায়। তাদের এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের বাড়িতে শোকার্ত স্বজনদের আহাজারি-কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।

এদিকে, খেলার সাথীদের সঙ্গে দুপুর ১২টার দিকে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে রিয়াসাদ (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রিয়াসাদ হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য ইন্তাজ শেখের ছোট ছেলে। সে শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে খোকসা ও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হবে।




চুয়াডাঙ্গা সড়াবাড়ীয়া গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের সড়াবাড়ীয়া গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে মাদ্রাসা ছাত্রী মালিহা খাতুন (৮) মারা গেছে। মৃত মালিহা খাতুন সাড়াবাড়ীয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে এবং ওই গ্রামের কাওমি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে সড়াবাড়ীয়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের পুকুরের ধারে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলা করছিল। সকলের অলক্ষে সে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ দিন বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন মৃত অবস্থায় পুকুরের পানিতে লাশ ভাসতে দেখে। এ সময় তারা লাশটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, মেয়েটি পুকুরের ধারে খেলছিলো। খেলতে খেলতে পুকুরের ভিতর পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।




দামুড়হুদার নতিপোতা আদালতের আদেশ অমান্য করে জোর পূর্বক ঘর নির্মান

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতার ইউনিয়নের কালিয়া বকরি গ্রামে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে জোর পূর্বক ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, কালিয়া বকরি গ্রামে সহিরদ্দী মন্ডলের ছেলে আজিমুদ্দীনের শরিকানা জমি জোর পূর্বক একই গ্রামের ক্ষুদার্ত বক্সের ছেলে হারুন জোর করে দখল করে ঘর নির্মান করছে। হারুনের শরিকানা জমি ৪১ নং রুদ্রপুর মজার ২৬৭০ দাগে হলেও তিনি ২৬৭১ দাগে ১৪৩ নং খতিয়ানে আজিমুদ্দীনের ২ শতক ভিটা জমি দখল করে ঘর নির্মান করছে।আজিমুদ্দীনের ভাই মজিবার জানান আমার ভাই বাইরে থাকে সে তার অংশের জমি ফেলে রেখেছে এ সুযোগে হারুন জমিটি জোর করে দখলে নিয়ে ঘর করছে।

এ ঘটনায় আজিমুদ্দীনর স্ত্রী ছালমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। যার পিটিশন নং ২৮৩/২৩। বিজ্ঞ আদালত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে নালিশি জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা আদেশ প্রদান করলে হারুন গং জোর পূর্বক জমিটি দখলে নিয়ে ঘর নির্মান করছে। এতে করে জমি টকে কেন্দ্র করে যে কোন মূর্হুতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে। মজিবার জানান হারুন সহ তার ছেলে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমরা চরম আতংকে দিন পার করছি। তারা যেকোন মূর্হতে আমাদের বড় ক্ষতি করতে পারে।

এ বিষয়ে হারুনের সাথে কথা বললে তিনি হুমকির বিষযটা অস্বীকার করেন। বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে ঘর নির্মান করায় তদন্ত সাপেক্ষে হারুনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যাবস্থা নিতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।




কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের এসএস পাইপের কাজে অনিয়মের অভিযোগ

কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের এসএস পাইপের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট অফিসের কারোর জানা নাই কাজে তথ্য। বিষয়টি জানতে চাইলে চটে গিয়ে কেন কি হবে এমন সব পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন প্রতিবেদককে উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,গেল ২৫-০৫-২০২৩ সাল থেকে ৬ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬শ ৬৩ টাকা ব্যয়ে এগিয়ে চলেছে কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের নির্মান কাজ। এ কাজটি পান চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের জাকাউল্লা কনস্ট্রাকশন। পরে কাজটি কিনে করছেন মহেশপুরের মেসার্স মনিরুল আলম খান নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

ওই ভবনের নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে।বর্তমানে কাজ চলছে এসএস পাইপের। অভিযোগ উঠেছে এ কাজে ব্যবহারিত এসএস পাইপের পুরুত্ব নিয়ে।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে কে জানালে,তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাকে ঘটনা দেখে রিপোর্ট দিতে বলেন। তবে আজও রিপোর্টটি দেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ দিকে এ কাজের অনিয়ম খুজতে গিয়ে প্রথমে এ প্রতিবেদক খোজ করেন কাজ দেখা শোনা করা উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে। অবশেষে জানা গেল তিনি উপসহকারি প্রকৌশলী হুজাইফা রহমান। তিনি রয়েছেন দেড় মাস যাবৎ ট্রেনিংয়ে বাইরে।

মুঠো ফোনে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলেন, সিডিউল না দেখে কিছু বলা সম্ভব না। আর আমি রয়েছি ট্রেনিংয়ে বাইরে। কাজটি দেখার জন্য অফিসের সার্ভেয়ার আলী আহম্মদ কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি সব বলতে পারবেন।

এবার এ প্রতিবেদক গেলেন সার্ভেয়ার আলী আহম্মেদের কাছে। জিজ্ঞাসা করা হল এসএস পাইপ নিয়ে। তিনি বললেন,কাজটি আমার না। আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। আপনারা প্রকৌশলীকে জিজ্ঞেস করেন।
শেষ ভরসা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, এটা সঠিক জানা নাই। সিডিউল দেখে বলতে হবে।
তিনি আরো বলেন,দুই এক দিনের মধ্যে আপনারা নতুন প্রকৌশলীকে পাবেন। আপনারা ওনার কাছে জিজ্ঞেস করলে সব পাবেন।

রবিবার ছিল উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডুর এ উপজেলায় প্রথম কর্ম দিবস। বিষয়টি জানতে চাইলে প্রতিবেদকের উপর চটে গেলেন তিনি। পাল্টা প্রশ্ন করলেন প্রতিবেদককে। বললেন কেন আপনারা এ সব জেনে কি করবেন,আপনারা কি এ কাজটি করছেন।

এরপর তিনি বলেন,আমার কিছুই জানা ছিল না। আমি এখন জানতে পারলাম। খোজ নিয়ে দেখি কোথায় কি সমস্যা হয়েছে।

ঠিকাদার জাকাউল্লা বলেন,এখন কাজ খারাপ করার কোন সুযোগ নাই। কাজ শেষে সংশ্লিষ্ট অফিস কাজ মেপে বুঝে নিবেন। যেমন পাইপ দিয়ে কাজ করার কথা, সেটা দিয়েই করছেন তারা এমন দাবি ঠিকাদারের।

ঠিকাদার মনিরুল আলম খান (মিন্টু)বলেন,কাজটি আমি কিনে করছি। আর ওই কাজের এসএস পাইপের কাজটি বিক্রি করে দিয়েছি। এ জন্য কি হচ্ছে বলতে পারবো না। তবে এটা দেখে নেওয়ার দায়িত্ব অফিসের, ওনারা কি করছেন। তিনি বলেন, আমি আগামী কাল কাজের সাইডে যাব। কাজ খারাপ হলে সব খুলতে হবে তাদের।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন,ওটা তো প্রকৌশল বিভাগের কাজ। ওই সম্পর্কে ওনারা ভাল বলতে পারবেন।

তিনি বলেন,দিন শেষে সবই আমার মধ্যে, এ কারনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দেখে রিপোর্ট দিতে বলেছি। তবে তারা এখনো পর্যন্ত কোন রিপোর্ট আমাকে দেননি। এভাবেই চলছে কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের নির্মানধীন ভবনের এস এস পাইপের কাজ। কোন সদোত্তর নাই কারো কাজে। কেউ জানেন না কাজ সম্পর্কে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।




কোটচাঁদপুরে অভিযোগকারীকে পিটিয়ে আহত করলেন অভিযুক্তরা

অভিযোগের তদন্ত করে পুলিশ থানায় ফেরার আগেই আবারও অভিযোগকারীকে পিটিয়ে আহত করেছেন অভিযুক্তরা। গেল ২৮ মার্চ বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের হাড়ভাঙ্গা বিদ্যাধরপুর গ্রামে। বর্তমানে ভুক্তভোগী তাসলিমা খাতুন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ভুক্তভোগী তাসলিমা খাতুন বলেন,গেল ২৫ মার্চ আমাদের বাড়িতে ঢিল ছোড়েন খায়রুলের ছেলে ইসরাফিল হোসেন। এই কথা জিজ্ঞেস করায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইয়ারুল ইসলাম,সাদ্দাম হোসেন,তাসলিমা, কল্পনা,পাখি দল বেধে এসে আমাকে মারতে থাকেন।

এ সময় আমার চিৎকার স্থানীয়রা ছুটে আসলে তারা আমাকে ছেড়ে দেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন,তাদের মূলত রাগ গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা নৌকার পক্ষে ভোট করেছিলাম। আর তারা ভোট করেছিল ট্র্যাক মার্কায়। সে থেকে তারা আমাদের ভাল চোখে দেখেন না। বিভিন্ন সময় তারা হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। সেদিন সামান্য ঘটনা নিয়ে তারা আমাকে মারপিট করেন।

বিষয়টি নিয়ে গেল ২৫-০৩-২৪ তারিখে কোটচাঁদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। গেল ২৮ মার্চ ওই অভিযোগের তদন্ত আসেন কোটচাঁদপুর থানা থেকে। তিনি তদন্ত করে থানায় যাবার আগেই তারা দল বেধে এসে আবারও আমাকে মারপিট করতে থাকে। এতে আমি গুরুতর আহত হয়ে পড়ি।

এ সময় স্থানীয়রা আমাকে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। ওই ঘটনায় আমার স্বামী বাবলু রহমান বাদি হয়ে থানায় আবারও একটা জিডি করেছেন।

বাবলু রহমান বলেন,তাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ ভোটকে কেন্দ্র করে। আমরা নৌকার পক্ষে ভোট করায় তাঁরা বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। মারার কোন সুযোগ পাচ্ছিল না। সে দিন সামান্য ঢিল ছোড়ার কথা জিজ্ঞেস করতেই তারা আমার স্ত্রী এভাবে মেরে আহত করেছেন।

ঘটনাটি নিয়ে থানায় জিডি করলেও এখানও তারা হুমকি ধামকি অব্যহত রেখেছেন। অন্যদিকে তাদের হাতে মার খেয়ে আমার স্ত্রী এখনও গুরুতর অসুস্থ্য রয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
বিষয়টি বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন,ওই মহিলা আমাদের জায়গায় দখল করে বসবাস করেন। জায়গা ছেড়ে দেবার কথা বলে চলে আসাররপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় আমাদের বাড়ির লোকজন পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। গালিগালাজের এক পর্যায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে আমরা কেউ তাকে মারিনি।

তিনি বলেন, মূলত তারা এখন আমাদের জায়গাটা ছাড়বে না। এ কারনে মামলা দিয়ে ঘটনাটি ভিন্ন দিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ওই মহিলা বেশ খারাপ। আমাদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আবার আদালতও মামলা করেছেন ওই নারী।

কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক( ওসি) সৈয়দ আল- মামুন বলেন,ওই ঘটনায় থানায় একটা অভিযোগ ও একটা জিডি করেছেন ভুক্তভোগী। এরমধ্যে জিডিটি আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত আমাদের আদেশ দেবেন। এরপর আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।




শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে ১৮৭ পদে নিয়োগ

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের রাজস্ব খাতে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ১০ ক্যাটাগরির পদে ১১ থেকে ১৬তম গ্রেডে মোট ১৮৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আবেদন ১৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী ০৯ মে পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম : স্টোর অফিসার

পদসংখ্যা : ১টি

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত যে কোনো বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। শিক্ষাজীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি অথবা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ১২৫০০–৩০২৩০ টাকা (গ্রেড–১১)

২. পদের নাম : হিসাবরক্ষক

পদসংখ্যা : ২৫টি

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত যে কোনো বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। শিক্ষাজীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি অথবা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা (গ্রেড-১১)

৩. পদের নাম : কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা : ২৭টি

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিটিউড টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

৪. পদের নাম : সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা : ৪টি

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। সাঁটলিপিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে ৮০ শব্দ ও বাংলায় ৫০ শব্দ; কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিং, ই-মেইল, ফ্যাক্স মেশিন ইত্যাদি চালনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

৫. পদের নাম : উচ্চমান সহকারী

পদসংখ্যা : ৯টি

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৬. পদের নাম : সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা : ৩টি

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। সাঁটলিপিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে ৭০ শব্দ ও বাংলায় ৪৫ শব্দ; কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিং, ই-মেইল, ফ্যাক্স মেশিন ইত্যাদি চালনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৭. পদের নাম : হিসাব সহকারী/হিসাব সহকারী কাম ক্যাশিয়ার/অফিস সহকারী কাম ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা : ৩৯টি

যোগ্যতা : ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে এইচএসসি বা সমমান পাস। এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৮. পদের নাম : অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদসংখ্যা : ৭৬টি

যোগ্যতা : অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দের গতি থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিং, ই-মেইল, ফ্যাক্স মেশিন ইত্যাদি চালনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৯. পদের নাম : স্টোর কিপার

পদসংখ্যা : ১টি

যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

১০. পদের নাম : ইলেকট্রিশিয়ান

পদসংখ্যা : ২টি

যোগ্যতা : সংশ্লিষ্ট ট্রেডে এইচএসসি (ভোকেশনাল) পাসসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অন্যূন ছয় মাসের বাস্তব অভিজ্ঞতা; অথবা এইচএসসি বা সমমান পাসসহ এক বছরের ট্রেড সার্টিফিকেট কোর্সে উত্তীর্ণ। ইলেকট্রিসিটি লাইসেন্সিং বোর্ডের বি-সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত হতে হবে।

বয়স : ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন স্কেল : ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

বয়সসীমা : ১ মার্চ ২০২৪ থেকে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর।

আবেদন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা পঞ্চগড় সিভিল সার্জনের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে ক্লিক করুন এখানে।

আবেদন ফি : অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ ও ২ নম্বর পদের জন্য ৩০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৩৫ টাকাসহ মোট ৩৩৫ টাকা এবং ৩ থেকে ১০ নম্বর পদের জন্য ২০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ২৩ টাকাসহ মোট ২২৩ টাকা টেলিটক প্রি–পেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা : ১৮ এপ্রিল থেকে ৯ মে ২০২৪, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।




জমে উঠেছে কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ কাপড়ের হাট

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাপড়ের বাজার কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ কাপড়ের হাট। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে প্রতিদিনই বাড়ছে বেচাকেনা। শুধু পাইকারি নয়, এই হাটে খুচরাও বিক্রি বেড়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকানগুলোতে বেচাবিক্রি চলে।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও নিত্যনতুন ডিজাইনের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসিয়েছে দোকানিরা। ফলে ক্রেতাদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে বাজার।

জানা যায়, প্রায় অর্ধ শতাধিক বছর আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহে গড়ে ওঠে পাইকারি কাপড়ের হাট। সপ্তাহের বুধবার, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পরপর এই তিনদিন এখানে হাট বসে।

দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় কুষ্টিয়াসহ পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষ এই হাটে কাপড় কিনতে আসেন। এছাড়া পাইকারি বাজার হওয়ায় আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরাও আসেন এখানে। এই হাটে গজ কাপড়, থান কাপড়, পাঞ্জাবির কাপড়, থ্রিপিচ, শাড়ি, সুতির কাপড়, জাকাতের কাপড়, মশারি, কোর্ট, প্যান্ট ও শার্টের পিচ, লুঙ্গি, রেডিমেট পোশাক পাওয়া যায়। সপ্তাহের বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার পোড়াদহ কাপড়ের হাট বসে। এই হাটে প্রায় ২ হাজার দোকান আছে।
যেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে প্রায় ১৫-২০ হাজার লোকের।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম এই পাইকারি পোশাকের বাজার পোড়াদহের কাপড়ের হাট। ঈদকে সামনে রেখে দেশের হাজার হাজার পাইকাররা শাড়ি, পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, গামছা, বেডশিট, থ্রিপিস, টুপিস, প্যান্ট-শার্ট পিসসহ বিভিন্ন ধরনের বাহারি পোশাক কিনতে ছুটে আসেন এই হাটে।

নিত্যনতুন ডিজাইনের কাপড়ের পাশাপাশি দাম কম হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন তারা। সুলভ মূল্যে এ সকল পণ্য কিনতে পেরে খুশি পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারা।

বর্তমানে এই হাটে পাইকারি হিসেবে থ্রিপিস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০০ হাজার টাকা, লুঙ্গি ১৮০ থেকে ৭০০ টাকা, শাড়ি ৩৫০ থেকে ২০০০ টাকা এবং পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত।

এছাড়াও অন্যান্য পণ্য হাতের নাগালে পাওয়া যায়। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও চাঁদরাত পর্যন্ত দেড় থেকে দুইশো কোটি টাকা বিক্রির আশা করছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।

পোড়াদহ বাজারের সবচেয়ে বড় শাড়ি, থ্রিপিস, শার্ট পিস, পাঞ্জাবির মোকাম অঙ্গশোভায় গিয়ে দেখা গেছে, দোকানে প্রচণ্ড ভিড়। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মশান থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা বিপুল হোসেন বলেন, ‘পোড়াদহ কাপড়ের হাটে কেনাকাটা করার মজাই আলাদা। আমি প্রতিবছর পরিবারের জন্য এখান থেকেই কেনাকাটা করি।’

জাকাতের কাপড় কিনতে আসা ইয়াসিন আলী বলেন, ‘দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় আমি এখান থেকে কাপড় কিনি।’

মেহেরপুর থেকে আসা পাইকারি কাপড় ব্যবসায়ী সাব্বির ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখান থেকে পাইকারি কাপড় কিনি। কম দামে বেশ ভালো কাপড় পাওয়া যায়।’ তিনি বলেন, এই হাট থেকে আমি বিভিন্ন আইটেমের থ্রি-পিসসহ অন্যান্য কাপড়চোপড় কিনেছি। এলাকায় আমার দোকান আছে, সেখানে এগুলো বিক্রি করবো। ভালোই লাভ হয়।

সেতু গার্মেন্টসের মালিক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো হাওয়ায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা এখানে কাপড় কিনতে আসেন।’

হাটে আসা ক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এই হাটে ঈদের মার্কেট করতে এসেছি। এক দোকান থেকে অন্য দোকানে গিয়ে কাপড় দেখছি। যেটা ভালো লাগে সেটা কিনবো। তবে তুলনামূলক মোটামুটি সকল কাপড় সাশ্রয় মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।

কেনাকাটা করতে আসা আফরোজা খাতুন বলেন, শুনেছি পোড়াদহ হাটে কম দামের কাপড় সস্তায় পাওয়া যায়। আমরা এখানে আসি কম দামে কাপড় কেনার জন্য। এখানে অনেক ভালো ভালো কোয়ালিটির কাপড়ও বিক্রি হয়।

কাপড়ের হাটের ব্যবসায়ী ছালেহা বস্ত্র বিতানের স্বত্বাধিকারী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, রমজানের অর্ধেকের বেশি চলে গেলেও বেচাকেনা বেশ ভালোই হচ্ছে। পোড়াদহ কাপড়ের হাটটি পাইকারি মার্কেট। যার কারণে এক দামে কেনা-বেচা হয়। তাতে ক্রেতাদের ঠকার কোন সম্ভাবনা থাকে না। এ জন্য উৎসব মুখরভাবে ম্যাক্সিমাম যারা ক্রেতা, তারা সরাসরি হাটে চলে আসে।

পোড়াদহ কাপড়ের হাট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনি খা বলেন, এই হাটে প্রচুর লোকের সমাগম হয়। দেশের দূরদূরান্ত জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা কেনাকাটা করতে আসে। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও চাঁদরাত পর্যন্ত দেড় থেকে দুইশো কোটি তাকার কাপড় বিক্রি হবে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিরপুর সার্কেল) আব্দুল খালেক বলেন, ‘পোড়াদহ হাটে পুলিশের টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।’




শিশুদের স্বার্থে একসঙ্গে বিটিআরসি ও সিসিমপুর

ইন্টারনেট জগতে শিশুদের নিরাপদ রাখা ও ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এ বিষয়ে শিশু ও অভিভাবকদের উৎসাহী করার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও সিসিমপুর।

পাশাপাশি বিটিআরসি পরিচালিত ‘সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাব্যবস্থা ডিজিটালকরণ’ প্রকল্পের ১০০ স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা তৈরিতেও কাজ করা হবে। সিসিমপুর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘সেইফ ইন্টারনেট ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।

এ উপলক্ষ্যে সোমবার (০১ এপ্রিল) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ও সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (এসডব্লিউবি)-এর মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিটিআরসি’র চেয়ারম্যানের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেম এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক লে. কর্ণেল এস এম রেজাউর রহমান, পিএসসি, সিগন্যাল এবং এসডব্লিউবি’র পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহ আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় বিটিআরসি’র সিস্টেম এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল -উর- রহমান, এনডিসি, পিএসসি, টিই উপস্থিত ছিলেন।

২০২১ সাল থেকে শিশুদের জন্য ইন্টারনেটে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত এবং ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ইন্টারনেট সোসাইটি ফাউন্ডেশন-এর অর্থায়নে ‘সেইফ ইন্টারনেট ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে সিসিমপুর-এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ। প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যেই শিশুদের জন্য গল্পের বই, শিশু ও অভিভাবদের জন্য সচেতনতামূলক ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, গেমস তৈরি ছাড়াও বিটিআরসি’র সাথে যৌথভাবে অভিভাবকদের জন্য প্যারেন্টাল ম্যানুয়াল তৈরি করা হয়েছে।

সূত্র: ইত্তেফাক