দামুড়হুদায় ভিক্ষা করে নিজ হাতে গড়লেন দোতলা বাড়ি

পাকা ঘরে ঘুমানোর স্বপ্ন সবারই থাকে। হোক ধনী কিংবা গরিব। তবে ইচ্ছা থাকলেও দালান গড়তে পারেন না অনেক অসহায় মানুষ। কিন্তু নিজে ভিক্ষা করে স্বপ্ন পূরণ করেছেন ৫৫ বছর বয়সী রহিম বক্স ওরফে নমে পাগল। ভিক্ষা করেই সরকারি জমির ওপর ২০ বছর ধরে নিজ হাতে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন দোতলা বাড়ি।

ভিক্ষুক রহিম বক্সের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগী গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত কিয়ামুদ্দিন। দীর্ঘদিন আগে রহিম বক্সের স্ত্রী চলে গেছেন। রয়েছে এক ছেলে। বাবাকে নিজের কাছে রাখতে চান দিনমজুর সন্তান। কিন্তু ছেলের কাছে থাকতে নারাজ ভিক্ষুক বাবা।

দিন শেষে রাতটুকু নিশ্চিন্তে থাকতে ভিক্ষাবৃত্তির টাকা দিয়ে প্রতিদিন বিকেলে নিজে ঘর মেরামতের কাজ করে যেতেন রহিম বক্স। এভাবেই একটি দোতলা ঘরের পেছনে কাটিয়েছেন ২০ বছর।

প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক রহিম বক্স জানান, তিনি ৩০ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর মহাসড়কের দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগী গ্রামে সড়ক বিভাগের জমির ওপর একটি ঝুপড়ি ঘর করে থাকতেন। ঝড়-বৃষ্টিতে বিভিন্ন সময় তাকে সমস্যায় পড়তে হতো। এমন অবস্থায় ২০০০ সালে তিনি সেখানে নিজ হাতে ইটের গাঁথুনি দিয়ে থাকার মতো ছোট একটি পাকা ঘর তৈরি করেন। তখন থেকেই তার পরিকল্পনা, ওই ঘরের ওপরে আরো একটি ঘর বানানোর।

সেই সময় থেকে সারাদিনের ভিক্ষাবৃত্তির টাকা দিয়ে কিছু কিছু ইট, সিমেন্ট ও বালু কিনতেন। আর প্রতিদিন বিকেলে একটু একটু করে গাঁথুনির কাজ করতেন। ২০ বছর পর এখন সেখানে নিচতলায় দুটি রুম ও ওপরে এক রুম বানিয়েছেন। নিচে দুটি ঘরের মধ্যে একটিতে নিজে থাকেন। থাকার ঘরে মেঝে ও দেয়ালে টাইলস বসানো। বেশ পরিপাটি।

রহিম বক্স আরো জানান, তার দোতলা ঘরে থাকার স্বপ্ন ছিল। সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বিভিন্ন সময় সড়ক বিভাগ উচ্ছেদ অভিযান চালালে বসতঘরের ওপর উঠে বসে থাকতেন তিনি। তাকে নামানো যেতো না। এছাড়া এলাকাবাসীর অনুরোধে উচ্ছেদ থেকে তিনি রক্ষা পান।

হাউলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দীন বলেন, ভিক্ষুক রহিম বক্স ওরফে নমে পাগল প্রায় ৩০ বছর আগে এখানে একটি ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে থাকা শুরু করেন। ২০০০ সালের দিকে তিনি কাদামাটি ও ইট দিয়ে একটি পাকা ঘর বানান। এরপর ধীরে ধীরে একইভাবে ইট কুড়িয়ে, সামান্য কিছু সিমেন্ট কিনে নিজ হাতে দোতলার কাজ শুরু করেন।প্রায় ২০ বছর ধরে তিলে তিলে সম্প্রতি সিঁড়িসহ দোতলার কাজ শেষ করে এখানে থাকছেন। সড়ক বিভাগ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলে তিনি দোতলায় উঠে বসে থাকতেন। তাকে কোনোভাবেই নামানো যেতো না। এছাড়া ভিক্ষুক হিসেবে সবাই ঘরটি না ভাঙার অনুরোধে অভিযান থেকে রক্ষা পান। বর্তমানে তিনি স্বপ্ন পূরণের তৃপ্তি নিয়ে এখানে থাকছেন।




সুপার শপ মীনা বাজারে চাকরির সুযোগ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সুপার শপ মীনা বাজার। প্রতিষ্ঠানটি রাজধানীর পল্টন আউটলেটের জন্য সেলসম্যান/ ক্যাশিয়ার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা আগামী ৮ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: মীনা বাজার

পদের নাম: সেলসম্যান/ ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়

বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকে চাকরির সুযোগ
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

অভিজ্ঞতা: প্রয়োজন নেই

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা: ১৮ থেকে ২৮ বছর

কর্মস্থল: পল্টন (ঢাকা)

বেতন: ৮,০০০-১০,০০০ টাকা

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন

আবেদনের শেষ সময়: ৮ মার্চ ২০২৪




আমঝুপিতে তৃণমূল মডেল একাডেমীর শিশুবরণ ও বার্ষিক অভিভাবক সম্মেলন

গবেষণা ধর্মীশিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃণমূল মডেল একাডেমী আমঝুপি শাখার অভিভাবকদের নিয়ে বার্ষিক সম্মেলন, শিশুবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে তৃণমূল মডেল একাডেমী চত্বরে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আমঝুপি ইউনিয়নের কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপের সহ-সভাপতি আব্দুর রকিবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: ফারুক উদ্দীন।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিম।

এ সময় বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপের সদস্য আক্তার হোসেন, অভিভাবক নারগিস চৌধুরী ও আশরাফ ইসলাম।

পরে তৃণমূল মডেল একাডেমী-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে ও মিষ্টি মুখ করিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মানবাধিকার কর্মী সাদ আহম্মেদ ও সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন মানবাধিকার কর্মী মোছাঃ কাজল রেখা।




আর্জেন্টিনার ম্যাচ বাতিল করলো চীন

আগামী মাসে চীনে আফ্রিকান দল নাইজেরিয়া ও আইভরি কোস্টের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল আর্জেন্টিনার। তবে সেই দুই ম্যাচের একটি ম্যাচ বাতিল করে দিয়েছে চীন।

আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়ার মধ্যকার প্রথম প্রীতি ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল চীনের হ্যাংজুতে। কিন্তু এই ম্যাচ আয়োজন করতে দিতে রাজি নয় হ্যাংজু কর্তৃপক্ষ। হ্যাংজু কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের মতে প্রীতি ম্যাচটি আয়োজনের জন্য পরিবেশ যথাযথ নয়। যে কারণে আমরা ম্যাচটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

ঘটনার শুরু ইন্টার মায়ামির হংকং সফরকে কেন্দ্র করে। চোটের জন্য হংকং একাদশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলতে পারেননি মেসি। কিন্তু এর দিন তিনেক পরই জাপানে ভিসেল কোবের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন মেসি। আর এটাই ভালোভাবে নেয়নি হংকং সরকার।

আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলারকে দেখতে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করে টিকেট কিনেছিলেন হংকংয়ের ফুটবলপ্রেমীরা। নাইজেরিয়ার ম্যাচের সঙ্গে আইভরি কোস্টের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। আইভরি কোস্টের ম্যাচ নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানায়নি চীন।

সূত্র: খবর রয়টার্স




মেহেরপুরে সংরক্ষিত নারী এমপি প্রত্যাশী ৭ নেত্রীর মনোনয়ন ফর্ম উত্তোলন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবার লক্ষ্যে মেহেরপুর থেকে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন সাত নারী নেত্রী।

গত বৃহস্পতিবার ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম তোলার শেষ দিন দিনে তারা এই ৭ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেনও বলে জানা গেছে।

মনোনয়ন ফরম যারা তুলেছেন তারা হলেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরজাহান বেগম, সদস্য শামিম আরা হীরা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তহমিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদিকা লাভলি ইয়াসমিন, গাংনী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আঞ্জুমান আরা, গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাকুলি খাতুন।

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফেসবুক ওয়াল ও দলীয় নেতা নেত্রীদের সাথে কথা বলে মনোনয়ন ফর্ম উত্তোলণ ও জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক জানান, দলীয়ভাবে কোন তথ্য আমার কাছে নেই তবে আমি শুনেছি মেহেরপুর ও গাংনী থেকে আট জন নেত্রী মনোনয়ন ফরম তুলেছেন।

তিনি আরো জানান, গত সংসদ নির্বাচনে দলীয় কেন্দ্রীয় ভাবে তিনজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল কিন্তু এবার কেন্দ্র থেকে কোন নির্দেশনা না আসায় আমরা কারো নাম প্রস্তাব করিনি আগামী ১৩ অথবা ১৪ তারিখের মধ্যে মনোনয়ন কনফার্ম হবে বলে জানতে পেরেছি।




বাংলা ও হিন্দি ভাষায় কাজী মারুফের নতুন ছবি

চিত্রনায়ক কাজী মারুফ তার নতুন ছবির ঘোষণা দিয়েছিলেন অনেক আগেই। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলেও সিনেমার বাইরে নন ‘ইতিহাস’ খ্যাত অভিনেতা কাজী মারুফ। সেখানেও ‘গ্রিন কার্ড’ নামে নতুন একটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন।

এতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাঙালিদের জীবনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। সিনেমায় মারুফ ছাড়াও অভিনয় করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি মডেল, ফ্যাশন ডিজাইনার নুসরাত তিসাম ও নাজিদা সৈয়দ। আরও রয়েছেন অভিনেত্রী নওশীন, হিল্লোল, শিরিন বকুল, কাজী আরিশা, রাফি আহমেদ, আকাশ রহমান প্রমূখ।

ফিল্ম ফ্যাক্টরির ব্যানারে বাংলা এবং হিন্দি ভাষায় সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। এর গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন তিনি। ছবিটি প্রসঙ্গে কাজী মারুফ বলেন, ‘গ্রিন কার্ড’ সিনেমা নির্মাণের মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা হচ্ছে আমার। এরইমধ্যে এর কাজ শেষ হয়েছে। এটিই প্রথম কোনো বাংলা সিনেমা যেটি পুরোটা যুক্তরাষ্ট্রে শুটিং হয়েছে।’

অভিনেতা আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাঙালিদের জীবনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে আমার এ সিনেমায়। এখন মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি আমি। আশা রয়েছে এ মাসের শেষ সপ্তাহে বা মার্চের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরব। তারপর মুক্তির যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করব।’

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী দম্পত্তি আটক

মেহেরপুরের মুজিবনগরে ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী দম্পত্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মুজিবনগর-আটকবর সড়কের বটতলা নামক স্থানে মুজিবনগর থানার এসআই মো: খালিদুর আশিকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করেন। আটক দম্পত্তিরা হলেন, ঢাকা পল্লবীর ব্লক- সি ৩৫ নম্বর বাসার বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের ছেলে তানভীর হোসেন (৩০) এবং তার স্ত্রী স্বর্ণা খাতুন।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ আটকবর সড়কের হরেনের বটতলা নামক স্থানে এস আই মো: খালিদুর আশিক, এস আই ইস্রাফিল ও এএসআই সীমা খাতুন সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ওই স্থানের একটি চা দোকানের পাশের একটি হেয়ারিং রাস্তায় ওই দম্পত্তিতে দেখে তারা চ্যালেঞ্জ করেন এবং তানভির হোসের হাতে হাতে সাদা বস্তাতে তল্লাশি করে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেন।

এস আই মো: খালিদুর আশিক জানান, তানভিরের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় আরও দুটি মামলা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তারা সীমান্ত এলাকা থেকে মাদক নিয়ে গিয়ে রাজধানী এলাকায় ব্যবসা করেন। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।




এখন ফ্যাশনেও চলছে শাঁখা

সাধারণত বাঙালি হিন্দু বিবাহিত নারীরা স্বামীর মঙ্গলের জন্য হাতে শাঁখা পরে থাকেন। এর সঙ্গে তারা আরও পরেন নোয়া ও পলা।

শাঁখা পরা নিয়ে বেশ কিছু বিচিত্র গল্প আছে। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের মতে, প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে মহাভারতের সময়কাল থেকে শাঁখার ব্যবহার শুরু হয়। সে সময় ত্রিভুবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে শঙ্খাসুর নামের এক অসুরের তাণ্ডবে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্বর্গের দেবতারা শরণাপন্ন হন বিষ্ণুর। বিষ্ণু এই অসুরকে বধ করে দেবতাদের রক্ষা করেন। তখন নারায়ণের কাছে স্বামীকে ফেরত পাওয়ার জন্য ধ্যান শুরু করেন শঙ্খাসুরের ধর্মপরায়ণ স্ত্রী তুলসী। নারায়ণ তুলসীর প্রার্থনায় সাড়া দিলেও শঙ্খাসুরকে ফিরিয়ে দিতে পারেন না। পরিবর্তে শঙ্খাসুরের প্রতীক হিসেবে তাঁরই হাড় দিয়ে তৈরি করেন শাঁখা এবং তুলে দেন তুলসীর হাতে। সেই থেকেই স্বামীর মঙ্গল কামনায় শাঁখা পরার চল শুরু হয় বিবাহিত নারীদের মধ্যে।

এখন শুধুমাত্র বিবাহিত নারীরা নয়, কম-বেশি অনেকেই সাদা শাঁখা এবং লাল রঙের পলা ফ্যাশানের অংশ হিসেবে পরতে দেখা যায়। শাঁখা তৈরি হয় শঙ্খ। এ শঙ্খ পাওয়া যায় শ্রীলঙ্কা ও চেন্নাইয়ের সমুদ্রতীরে। একসময় মাদ্রাজ থেকে আমদানি করা হলেও বর্তমানে শ্রীলঙ্কা থেকে আমদানি করে এ দেশে শঙ্খের চাহিদা মেটানো হয়। হাতের শাঁখার মধ্যেও বিভিন্ন নামের শাঁখা রয়েছে। এর মধ্যেসাতকানা, পাঁচদানা, তিনদানা, বাচ্চাদার, সাদাবালা, আউলাকেশী উল্লেখযোগ্য। সৌখিনদের জন্য রয়েছে সোনা বাঁধাই শাঁখা।

শাঁখা যেভাবে বানায়
প্রথমে শঙ্খগুলোর মুখ ভেঙে দিতে হয় হাতুড়ির ঘায়ে। ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হয়। এর পরের ধাপে শঙ্খ কাটতে হয়। বিশেষ ধরনের করাত দিয়ে শঙ্খকে গোলাকার করে কেটে বিভিন্ন আকারের বলয় তৈরি করা হয়। এরপর সেটিকে শিল দিয়ে ঘষে মসৃণ করা হয় এবং বিভিন্ন নকশা করা হয়। প্রতিটি শাঁখার জোড়া অংশ নিখুঁতভাবে লাগিয়ে তাতে ফুল, লতা, মাছ, পাখি, আলপনাসহ নকশা তোলা হয়। মোটা শঙ্খ থেকে দুটি, অর্থাৎ এক জোড়া শাঁখা তৈরি হয়। সরু শঙ্খ থেকে চারটি শাঁখা পাওয়া যায়।

ফ্যাশনে শাঁখা
হিন্দু সম্প্রদায়ের বিয়েতে শাঁখা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে বদল এসেছে অনেক প্রচলিত নিয়ম-রীতি। এখন আর বিবাহিত নারীদের অনেকে আগের মতো প্রতিদিন শাঁখা-পলা পরেন না। কোন অনুষ্ঠানে বা বাড়ির পূজার সময় পরতে দেখা যায়। অন্যদিকে অনেকেই আবার এই শাঁখা-পলাকে ফ্যাশনে পরিণত করেছেন। আগে নারীরা দুই হাতে দুটি শাঁখা পরতেন। এখন ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে এ ধারা। এক হাতে একাধিক শাঁখা এবং আরেক হাত সম্পূর্ণ খালি রাখার চলও চোখে পড়ছে আজকাল। একটা সময় সরু শাঁখার চল ছিল। বর্তমানে শুরু হয়েছে মোটা শাঁখার ফ্যাশন। এ ধরনের শাঁখা পরা যায় পলার সঙ্গে, আবার পলা ছাড়াই পরা যায়। সঙ্গে থাকতে পারে অন্য কোনো বালা বা কয়েক গাছা সরু চুড়ি। এছাড়াও দেখা যায় বাজারে কিছু শাঁখা শুধুই সাদা প্লাস্টিকের ওপর নকশা করা, আবার কিছু সোনালি প্লাস্টিক বা হালকা কোনো ধাতু দিয়ে সাজানো।

কোথায় পাওয়া যাবে
ঢাকার শাঁখারীবাজার, স্বামীবাগ, রমনা কালীমন্দির, ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দিরের সামনের স্টেশনারি দোকানগুলোয় শঙ্খের তৈরি শাঁখা পাওয়া যায়। প্লাস্টিক বা অন্যান্য উপাদানের তৈরি শাঁখা মিলবে ঢাকার গাউছিয়া, চাঁদনী চক, দেশের সব ছোট-বড় শপিং মল, মার্কেট, স্টেশনারি ও গয়নার দোকানে।

দরদাম
সাধারণ নকশার শাঁখার দাম তুলনামূলকভাবে কম। বড় আকারের একটি শঙ্খ থেকে দুই বা তিন জোড়া শাঁখা তৈরি হয়। এসব শাঁখা প্রতি জোড়া ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। তবে মূলত নকশার ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয় শাঁখার দাম। শাঁখার দোকান থেকে বিশেষ ধরনের ঘর করে কাটা নকশাবিহীন শাঁখা কিনে স্বর্ণকারের কাছ থেকে সোনা দিয়ে বাঁধাই করতে দেন অনেকেই। ৪ হাজার থেকে শুরু করে দাম ওঠে ১০ হাজার পর্যন্ত। সে ক্ষেত্রে সোনার পরিমাণ, নকশা ও কারিগরের মজুরির ওপর নির্ভর করবে এক জোড়া শাঁখার খরচ। এ ছাড়া পুঁতি বসানো শাঁখাও পাওয়া যায় বাজারে। এগুলোর দাম ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। তবে প্লাস্টিকের তৈরি শাখার দাম শুরু হয় ১২০ টাকা থেকে।

সূত্র: ইত্তেফাক




ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু গাংনীতে ভূয়া চিকিৎসকের দুই বছর কারাদন্ড

ভূল চিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় মেহেরপুরের গাংনীতে সুজন আলী নামের এক ভূয়া ডাক্তারের ২০ হাজার টাকা ও দুই বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার দাবি করে চিকিৎসা দেওয়ার অপরাধে তাকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এ দন্ড দিয়ে মেহেরপুর জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও গাংনী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম।

দন্ডিত সুজন আলী মহাম্মদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

বাওট গ্রামের মনিরুল ইসলামের দুই দিন বয়সী নবজাতক শিশুর চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় মহাম্মদপুর গ্রামের হালিমা ফার্মেসীতে। সেখানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শরিফুল ইসলামের ব্যক্তিগত চেম্বার ছিল। শরিফুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে সেখানে সুজন আলী নামের এক ব্যক্তি নিজেকের ডাক্তার দাবি করে নবজাতকের চিকিৎসা দেয়।

কয়েকটি এন্টিবায়োটিক ওষুধসহ বিভিন্ন ওষুধ দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরে ওই ওষুধ সেবন করানোর পর নবজাতক আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিকেলে নবজাতকের মৃত্যু হলে ওই ফার্মেসীতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে আরও জানা যায়, সুজন আলী চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতির বিষয়ে কোন বৈধতা প্রমাণ করতে পারেননি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে তাকে ভূয়া ডাক্তার হিসেবে প্রমাণ হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ এর ১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছর কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশে দন্ডিত সুজন আলীকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আব্দুল আল মারুফ ও গাংনী থানা পুলিশের সহায়তায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।




আলমডাঙ্গায় ২৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার

আলমডাঙ্গায় ২৫ পিস ইয়াবাসহ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে পৌর এলাকার সোহাগ মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী রফিকুল ইসলাম কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন পাটিকাবাড়ি গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌর এলাকার সোহাগ মোড়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ গণি মিয়ার নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাদিউজ্জামান। সোহাগ মোড়ে অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলাম নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় তার কাছ থেকে ২৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত আসামী ইয়াবা বিক্রেতা। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’