গুজবের গণমাধ্যম এবং মেহেরপুর প্রতিদিন

কুকুরে মানুষ কামড়েছে এটা নয় বরং মানুষে কুকুর কামড়েছে সেটাই খবর। এই চটুলকথনের বাস্তবতা নিঃসন্দেহে পাঠক আকর্ষণের উপযোগী হতে পারে, কাটতি বাড়তে পারে। যেমনটি টেবলয়েড পত্রিকার ক্ষেত্রে হয়। যার একমাত্র উপজীব্য রিউমার। গুজব ছড়িয়ে যেমন সিনেমা সেলিব্রিটিদের ধরাশায়ী করা যায়, আবার কাওকে বানিয় দেয়া যায় রাতারাতি বিখ্যাত। শুধু সিনেমা কেন রাজনীতি, ধর্মনীতি, অর্থনীতি সবক্ষেত্রেই এ গুজবকে পৃথিবীব্যাপী কাজে লাগানো হচ্ছে।

পল গোয়েবলস গুজবের উদাহরণ হয়ে আছেন ইতিহাসে। কী দারুণ প্রতাপে নিয়ন্ত্রণ করেছেন রাজনীতি, গতিপথ পাল্টে দিয়েছেন অর্থনীতির। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে গোয়েবলস গুজবকে কাজে লাগিয়েছেন মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে।

বর্তমানে চারপাশে তাকালে গোয়েবলসকে রাজনীতির মাঠে হাটতে দেখা যায়, ধর্মগুরুদের মাঝে গোয়েবলস উঁকি দেন। চারিদিকে তাকালে গোয়েবলস গোয়েবলস গোয়েবলস!

বর্তমানে দেশের গণমাধ্যম দুভাগে বিভক্ত। একভাগে মিথ্যাকে উপস্থাপন করা হয় সত্যের মতো করে; আর একভাগে সত্যকে ডুবিয়ে দেওয়া হয় মিথ্যার অতলান্তে। দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের গণমাধ্যম রাজনীতি ও রাজনীতিকদের একধরণের চরিত্র প্রচার করে চলেছে, যে কারণে ভয়ানক ডিক্টেটরও এখানে ভীষণ ডেমোক্রেটিক। অথচ গণমাধ্যমকে বলা হয়ে থাকে চতুর্থ স্তম্ভ। ঘুষ, দূর্নীতি, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণের বিস্তার সামাজিকীকরণের পর্যায়ে চলে গেছে। সহজভাবে বলতে গেলে গা সওয়া হয়ে গেছে। অটোরিকশা চালক, লাউ বিক্রেতা যে যার জায়গা থেকে সুবিধামতো অনিয়ম করে চলেছে। যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কণ্টকিত করে তুলবে।

আপাতদৃষ্টিতে উদ্ধৃত কুকুর কামড়ানোর দৃষ্টান্তের প্রমূল্য রয়েছে । বর্তমানে দুশো টাকা ঘুষ, চারশত টাকার জোচ্চুরি কিংবা হাঁস চাষের সফলতার খবর কোনো খবর নয়। বরং সামাজিক কাঠামো ভেঙে পড়ার পেছনে কোন দানবীয় শক্তি দায়ী তার অনুসন্ধান করা এবং বিশ্লেষণী প্রতিবেদন হাজির করা। গণমাধ্যমের থাকতে হয় সুক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ আর নির্মোহ বিশ্লেষণের ক্ষমতা ।

অনেক কিছুর ওপর থেকেই সাধারণ মানুষের নির্ভরতা চলে গেছে, একমাত্র গুটিকয়েক গণমাধ্যমের উপর খানিকটা আস্থা বেঁচে আছে এখনো। তাদের মধ্যে মেহেরপুর প্রতিদিন অন্যতম।

মেহেরপুর প্রতিদিন তার বস্তুনিষ্ঠতার জন্যে ইতোমধ্যে মামলা হামলায় আক্রান্ত হয়েছে। পাশাপাশি সফলতার দৃষ্টান্ত ও কম নয়, তাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হলে স্বপ্রণোদিত হয়ে মহামান্য আদালত মামলা করেন, যার ফলে ভুক্তভোগীরা তাদের ন্যয্যতা ফিরে পান। এ অঞ্চলের মানুষের একমাত্র কন্ঠস্বর মেহেরপুর প্রতিদিন। বহুল প্রচারিত এই পত্রিকা এভাবেই সুষমসহযোগীতা দিয়ে মানুষের পাশে থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা।

লেখক: হাসান রুদ্র (শিক্ষক ও কবি)।




মেহেরপুরের শিক্ষাচিত্র

মোতাহের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘জীবসত্তার ঘর থেকে মানবসত্তার ঘরে উঠবার মই হচ্ছে শিক্ষা।’ সেকথা মনে-প্রাণে ধারণ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে কুদরাত-ই-খুদার নেতৃত্বে প্রথম শিক্ষা কমিশন গঠিন করেন। সেই শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই দেশের পট পরিবর্তিত হয়। এরপর একে একে অনেকগুলি শিক্ষানীতি প্রণীত হয়েছে। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু কোনটিই বাস্তবায়িত হয়নি। সর্বশেষ ২০১০ সালের বর্তমান শিক্ষানীতিতে দক্ষতা, মূল্যবোধও নৈতিকতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাকে বিশেষভাবে জোর দিয়ে বাস্তবায়ন চলছে।

বর্তমান সদাশয় সরকারের আমলে প্রায় শতভাগ শিশুর স্কুলে গমন,বিনামূল্যে বই বিতরণ, নারী শিক্ষায় অর্জিত অগ্রগতিতে উপবৃত্তি ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে মেয়েদের অনুপাত বেশি। নারী শিক্ষার হার উচ্চশিক্ষায়ও বাড়ছে, বর্তমানে ৪০ শতাংশের মতো ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। এর একটি রূপরেখাও তুলে ধরেছেন। কিন্তু তা বাস্তবায়নেবর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা উপযোগী নয় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আমাদের ছাত্ররা যতটা না শিক্ষাথী তার চেয়ে বেশিপরীক্ষাথী। নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে বির্তক চলছে। আমাদের শিক্ষানীতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এখনও হয়নি। যুগের সাথে তালও মেলাতে পারিনি। বহুল আলোচিত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে ধারণও করতে পারিনি।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবটা কী? সেটা বুঝাতে গিয়ে টম গুডউইন বলেছেন,“বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্যাক্সি কোম্পানি উবারের নিজের কোনো ট্যাক্সি নেই, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিডিয়া ফেসবুক নিজে কোনো কনটেন্ট তৈরি করে না, পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাইকার আলিবাবার কোনো গুদাম নেই এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় আবাসন প্রোভাইডার এয়ারবিএনবির নিজেদের কোনো রিয়েল এস্টেট নেই”। অথচ সারা বিশ্বে তাদের প্রভাব ও প্রতিপত্তি অপরিসীম।বর্তমানে ভার্চুয়াল জগত এবং ভৌত জগতমিলে এবং তাদের মিথষ্ক্রিয়ায় এক অমিয় সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে।

বর্তমানে প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নয়ন ও দ্রুত পরিবর্তনের সক্ষমতা বোঝাতে গিয়ে নিম্নোক্ত কথাটি স্মরণ করা যেতে পারে।
“পাঁচ কোটি লোকের কাছে রেডিওর পৌঁছাতে লেগেছে ৩৮ বছর, টেলিভিশনের ১৩ বছর। অথচ ইন্টারনেটের লেগেছে ৪ বছর। আইপডের জন্য সময়টা মাত্র ৩ বছর আর ফেসবুকের? ২৪ মাস”। ‘কোডাক’ ক্যামেরা, মার্ফি রেডিও, এইচ এম টি ঘড়ি, এ্যাম্বাসেডর গাড়ি, প্রভৃতির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। একসময় দাপটের সাথেই এরা রাজত্ব করেছে। গুনে-মানে ভাল হলেও বছর বিশেকের মধ্যে দেউলিয়া হয়ে গেছে। কারণ প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন ঘটেছে। মানুষ এখন এক স্মার্ট ফোন দিয়েই দশ ডিভাইসের কাজ সারছে।

এই পরিবর্তন আর সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হলে উপযুক্ত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা দরকার। কর্মবাজারের কথাই ধরা যাক। পি ডব্লিউ সি নামের একটি চিন্তক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, স্বয়ংক্রিয়করণ ও রোবটিকসের পাল্লায় ২০৩০ সালে বিশ্বের ৮০ কোটি বর্তমান চাকরিই নাই হয়ে যাবে। স্বভাবতই আমাদের মতো শ্রমনির্ভর অর্থনীতির দেশগুলো বিপদে পড়বে। অন্যদিকে নতুন ১০০ কোটি কর্মসৃজন হবে, তবে সেগুলো কেমন, তার বেশির ভাগই আমরা কল্পনা করতে পারছি না। মাত্র এক দশক আগেও কেউ ভাবতে পারেনি, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে লোককে ‘ফেসবুকে নজর রাখা’র জন্য চাকরি দেওয়া হবে।

আমাদের চলমান ব্যবস্থায় ২০৩০ সালে আমরা এমন সব গ্র্যাজুয়েট তৈরি করব, সমাজে যাদের কোনো চাহিদাই থাকবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে মোকাবিলা করতে হলে আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার খোলনলচে পাল্টে ফেলতে হবে; সৃজনশীলতা এবং বিশ্লেষণী ক্ষমতার বিকাশ ঘটাতে হবে; শিক্ষাকে করতে হবে অ্যাকটিভিটিনির্ভর এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে।

এই প্রেক্ষিতে মেহেরপুরের শিক্ষার সামগ্রিক অবস্থা কী এবং আমরা কতটুকু প্রস্তুত তা বোঝার জন্য শিক্ষার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। কৃষি অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল এখানকার গণমানুষ এখনও শিল্প কারখানা, ব্যবসা বাণিজ্য এবং চাকরী-বাকরীর প্রতি অনুরাগী হতে পারেনি, মানসিকতার বদল হয়নি। এখানে বিদেশযাত্রা নিয়ে তরুন যুবকরা যতটা আগ্রহী ততটা শিক্ষা নিয়ে নয়। যে কারণে মেহেরপুর জেলায় শিক্ষার হার মাত্র ৬৬.৭% (২০২২ এর আদমশুমারী অনুযায়ী)।

সরজমিনে পরিদর্শন ও খোঁজ খবর নিয়ে মেহেরপুরের শিক্ষাচিত্র পর্যালোচনা করলে যে বিষয়গুলি দৃষ্টিগোচর হয় তাহলো:
১. জেলার ৫০০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৫১ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা এবং ১৩টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় সবকটির উন্নয়ন হয়েছে। আধুনিক, উন্নত ও দৃষ্টিনন্দন একাডেমিক ভবন নির্মিত হয়েছে যা প্রত্যন্ত অঞ্চলেও দৃশ্যমান। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে, পাঠদান পদ্ধতিতে প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে।

২. ডিজিটাল বাংলাদেশ এর সক্ষমতা সবচেয়ে বেশি প্রযুক্ত হয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে। ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে পরীক্ষার ফল প্রকাশ-সবই এখন অনলাইনে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরূম ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।মেহেরপুরে ইতিমধ্যে প্রায় ৬০% প্রতিষ্ঠানে এই ল্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ৭০% প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত বিজ্ঞানাগার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১০০% বিদ্যালয়ে পাঠাগার এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপিত হয়েছে।

৩. মেহেরপুরে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী দ্রুত কমছে। বিজ্ঞানের প্রতি এই অনাগ্রহ গ্রামাঞ্চলের স্কুল-কলেজগুলোতে আরও বেশি প্রকট। দু’বছরআগে দেখা গেছে, মাধ্যমিকে প্রায় ২২ শতাংশ ও উচ্চ-মাধ্যমিকে ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান পড়ছে।গত বছর যশোর বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞানে পড়াশোনা করেছে মাত্র ২০.৭২%, এইচএসসি পরীক্ষায় ১৪.৮%। দেশে প্রযুক্তি শিক্ষার হার ১৫%। মেহেরপুরের অবস্থা সহজেই অনুমেয়।

৪. ইউনেসকোর মতে, মানসম্পন্ন শিক্ষা মূলত যে তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে- তার প্রথমটি হচ্ছে শিক্ষক। সারা দেশের ন্যায় মেহেরপুরেও দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। পাঠদান, প্রশ্নপ্রণয়নওপরীক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রেশিক্ষকদেরইসৃজনশীলতারঅভাবরয়েছে।ফলে শিক্ষার গুণগত মান আশানুরূপ বৃদ্ধি হয়নি।

৫. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার অভাবে শিক্ষার্থীদের প্রকৃতপক্ষে মানসিক বিকাশ ঘটে না। একজন ছাত্রের পরিপূর্ণ বিকাশে যে সকল সহপাঠ্যক্রমের সুযোগ ও সুবিধা থাকা উচিৎ তা অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অপ্রতুল।মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গী ও সামাজিক সমস্যা নিরসনে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড আরও বৃদ্ধি করা উচিত।

৬. শিক্ষার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনসাধারণ ও অভিভাবকের ভূমিকা খূবইগুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে পূর্বের চেয়ে স্থানীয় সুশীল-শিক্ষিত মানুষের অংশগ্রহণ বেড়েছে। তবে মেহেরপুর জেলার অনেক বিদ্যালয়ে এখনও প্রধান শিক্ষকের ব্যবস্থাপনায় এবং স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়ম, দুর্নীতি আছে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নজরদারী বাড়াতে হবে।

৭. জেলায় চারটি সরকারী স্নাতক পর্যায়ের কলেজ ও ৩টি সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ আছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রায়শ: শিক্ষক স্বল্পতায়পাঠদানে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এ সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। প্রস্তাবিত মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে গণমানুষের মধ্যে বিপুল আশা-আকাঙ্খার সৃষ্টি হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

৮. এনটিআরসি’র মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি কমে গেছে। তবে মেধাবী শিক্ষাথীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের যোগ্যতাভিত্তিক বেতন প্রদান ও আর্থিক পুরষ্কার প্রদানের মত উন্নত ব্যবস্থা সুফল বয়ে আনতে পারে।

৯. মেহেরপুর জেলায় সরকারি ও বেসরকারী মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ১৫১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে প্রায় ৭৫ হাজার শিক্ষার্থী। মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলায় টেকনিক্যাল কলেজ ও জেলা সদরে টিটিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার এবং ছহিউদ্দীন টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।ফলে কারিগরী ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার আওতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলায় মন্ত্রী থাকায় অনেক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।তরুন শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভর করছে আমাদের আগামী দিনের আর্থ-সামাজিক অবস্থা। এদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে বদলে যাবে মেহেরপুর। সেক্ষেত্রে কারিগরী শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি দূর করতে হবে।

আজ আমরা গ্লোবাল ভিলেজের বাসিন্দা। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অগ্রগতির সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে আমাদের বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথেই এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষা, জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে শিক্ষানীতি-২০১০ এর পূর্ণ বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই।

তথ্য সূত্র:
১. মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর
২. জেলা শিক্ষা অফিস, মেহেরপুর
৩. মুনীর হাসান: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব।

লেখক: প্রফেসর হাসানুজ্জামান (মালেক), সভাপতি, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ, মেহেরপুর জেলা শাখা।




ঢালিউড সুপারস্টারের জন্মদিন আজ

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের আজ জন্মদিন। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ঢাকাই সিনেমার দর্শকদের মন জয় করে চলেছেন তিনি। উপহার দিচ্ছেন একের পর এক সুপার হিট সিনেমা ।

শাকিব খানের প্রকৃত নাম মাসুদ রানা। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি চাকরিজীবী ও মা গৃহিণী। এক ভাই ও এক বোন। তার শৈশব কেটেছে নারায়ণগঞ্জে। ১৯৯৯ সালে নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রূপালি জগতে পা রাখেন শাকিব খান। তবে, দর্শকের মনে ‘কিং খান’ হিসেবে রাজত্ব পান ২০০৭ সাল থেকে।

ঢাকাই সিনেমার শীর্ষে থাকা এ অভিনেতা তার দক্ষ অভিনয়গুণে এখন পর্যন্ত চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শাকিব খানের জনপ্রিয়তা এখন শুধু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, দক্ষ অভিনয়শৈলী দিয়ে টালিউড, বলিউডেও দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন সুপারস্টার। অভিনয়জীবনে সাফল্য ধরা দিলেও ব্যক্তি জীবনে কিছুটা সমালোচিত শাকিব খান।

ঢালিউড অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্কে জড়ালেও শেষ পর্যন্ত কোনো সম্পর্কই টেকেনি তার। অবশ্য সম্পর্ক না টিকলেও বাবা হিসেবে দুই সন্তানকেই ভালোবাসেন কিং খান।

শাকিব খানের উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- জানের জান, অনন্ত ভালোবাসা, ঠেকাও মাস্তান, স্বপ্নের বাসর, মুখোশধারী, ও প্রিয়া তুমি কোথায়, প্রাণের মানুষ, সাহসী মানুষ চাই, বস্তির রানী সুরিয়া, খুনি শিকদার, আমার স্বপ্ন তুমি, সিটি টেরর, সুভা, বাঁধা, পিতার আসন, ডাক্তার বাড়ি, আমার প্রাণের স্বামী, তুই যদি আমার হইতি রে, ১ টাকার বউ, প্রিয়া আমার প্রিয়া, মাই নেম ইজ সুলতান, ডেয়ারিং লাভার, দুই পৃথিবী প্রভৃতি।

সবশেষ হিমেল আশরাফ পরিচালিত ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার মধ্য দিয়ে একের পর এক রেকর্ড ব্রেক করেছেন এ অভিনেতা।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরকে সমৃদ্ধ করতে পত্রিকাটিকে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে

মেহেরপুরকে সমৃদ্ধ করতে মেহেরপুর প্রতিদিনকে বেশি বেশি ভূমিকা রাখতে রাখতে হবে। জেলার শিক্ষা,শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়ন তুলে ধরে পথ্রিকাটিকে গণমানুষের মুখপাত্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দৈনন্দিন সংবাদের পাশাপাশি অনুসন্ধানমুলক সংবাদ পরিবেশন করে পাঠকের হৃদয়ে ঠায় করে নিতে হবে। জেলার উন্নয়ন অনিয়ম দুর্ণীতি, কৃষি, শিক্ষা সার্বিক বিষয় তুলে আনারও তাগিদ দেওয়া হয়।

মেহেরপুর প্রতিদিনের সপ্তম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব মতামত তুলে ধরেন জেলার বিশিষ্টজনেরা।

গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) মেহেরপুর প্রতিদিনের সভাকক্ষে এই আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক ও আনিশা গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি এমএএস ইমন আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।

পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন।

আলোচনা সভায় মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মহা: আব্দুস সালাম বলেন, মেহেরপুরের শিক্ষা সংস্কৃতি কৃষ্টি কালচার ধারণ করে মেহেরপুর প্রতিদিন ছয় বছর পার করে আজ ৭ বছরে পা রেখেছে, এই শুভক্ষণে অভিনন্দন শুভেচ্ছা ও জানাচ্ছি। নানাধরণের প্রতিকুলতা পার করে আজ মেহেরপুর প্রতিদিন এখন আলোর পথে পৌছেছে। ইলেক্ট্রিনিক মিডিয়ার যুগে কাগজের চাহিদা কমে গেছে। কিন্তু তার পরেও কাগজের পত্রিকার চাহিদা রয়ে গেছে। আজ যুগের পরিবর্তন হয়েছে। আমরা সর্বহারাদের সেই যুগ থেকে আলোর পথে এসেছি। যে ছেলেটি রাতে বিছানা থেকে হারিয়ে যেতো সকালে পত্রিকার মাধ্যমে তার লাশের খবর পেতাম। সেই দুর্বিষহ অবস্থা এখন আর নেই। সেখান থেকে আমরা এখন অনেকদুর এগিয়ে এসেছি।

পৃথিবীর বড়বড় দেশগুলোতে এখন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া একটি যায়গায় পৌছেছে। সেখানে মানুষ কাগুজে পত্রিকা আর পড়তে চাইনা। কিন্তু পক্ষান্তরে দেখা গেছে কাগুজে পত্রিকা আগের যায়গাই আছে। আমরা যতই পার করিনা কেনো প্রয়োজনীয়তা আমাদের সবকিছু রয়ে গেছে। প্রকাশনার শুরুতে মেহেরপুর প্রতিদিন আমাদের সমাজের দর্পণ হিসেবে এসেছিল। আজকের বাস্তবতায় এই পত্রিকাটি ঠিক সেই যায়গায় আছে। মেহেরপুরকে সমৃদ্ধ করতে মেহেরপুর প্রতিদিনকে বেশি বেশি ভূমিকা রাখতে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের সমাজে বড় বাধা মাদক, জঙ্গিবাদ ক্যসিনো। তারপরেও এগিয়ে যেতে হবে। সকল প্রকার দূর্ণীতি, অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। মেহেরপুরের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে হবে। এছাড়া জেলার সঙ্গীত, নাট্য, যাত্রাসহ নানাদিক তুলে ধরতে হবে, যাতে আগামীতে পত্রিকাটি জেলার মানুষের মনের অভাব দুর করে।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক বলেন, সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকতা খুব গুরত্বপূর্ণ কাজ। এটি সহজ কোনো কাজ নয়। এখানে অনেক কিছুই জানার আছে। কিন্তু আমরা নানা কারনে সেটি ধরে রাখতে পারিনি। ন্বাধীনতা উত্তরকালে এজেলাতে অনেক বিজ্ঞজন সাংবাদিকতা করে গেছেন। সাপ্তাহিক মুজিবনগর, পরিচয়, পশ্চিমাঞ্চল ও দৈনিক মেহেরপুর পত্রিকা প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু নানা কারনে সেগুলো টিকে থাকতে পারিনি। সেখানে মেহেরপুর প্রতিদিন নানা ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করে আজ সপ্তম বর্ষে পা রেখেছে।

তিনি বলেন, অনলাইনের যুগে প্রিন্ট পত্রিকা আজ হুমকির মুখে। প্রিন্ট পত্রিকা প্রকাশ এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মেহেরপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে। কিন্তু নানা কারনে আমরা ধরে রাখতে পারিনি। সাহষ সংগ্রাম সংকল্পের পথ ধরে পত্রিকাটি এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই জেলাতে শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব রয়েছে।জেলাতে অনেকের টাকা পয়সা আছে। কিন্তু সেসব লোক অন্য যায়গায় খরচ করতে অভ্যস্ত। সাহষ, সম্পৃতি, সম্পর্কের সাথে অনেক দুর এগিয়ে যাবে এবং সমাজকে বদলে দেওয়া ও পরিবর্তন করাসহ সামাজিক, ভ্রাতিক, শিল্প, সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের প্রত্যয় নিতে হবে।

জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম রসুল বলেন, মেহেরপুর প্রতিদিন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। ভয় করলে হবেনা, সাহষিকতার সাথে আগামীতে পত্রিকাটি তাদের স্বকীয়তা ধরে রাখবে। মেহেরপুর প্রতিদিন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে মানুষের মন জয় করেছে। আগামীতেও বস্তুনিষ্ঠ, সত্য সংবাদ পরিবেশন করে সুনাম অর্জন করবে।

মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, হাটিহাটি পাপা করে মেহেরপুর জেলাসহসহ আশেপাশের জেলাগুলোতেও যায়গা করে নিয়েছে পত্রিকাটি। পত্রিকাটি আগামীতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবে, দেশের উন্নয়ন তুলে ধরবে, শিক্ষা সংস্কৃতি তুলে ধরবে ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলবে।

তিনি বলেন, সততা ও সাহসিকতার সাথে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরে। পত্রিকার মাধ্যেম মেহেরপুরের হারিয়ে যাওয়া বিষয়গুলো তুলে ধরবে এছাড়া জেলার উন্নয়ন তুলে ধরবে।

তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে অশুভ একটা ছায়ার মধ্যে পড়ে আছে। এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করবে এই প্রত্যাশা করছি।

বিশিষ্ট কবি ও প্রাবান্ধিকগাজি রহমান বলেন,মেহেরপুর প্রতিদিন অনেকটাই পরোয়া না করে চলে। মেহেরপুর প্রতিদিন শীরদাঁড়া খাড়া করে চলার প্রবনতা ধরে রেখেছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ডোন্ট কেয়ার মনভোব লক্ষ করা যায় পত্রিকাটির মধ্যে।
আমরা কেউ বিদ্যাসাগর বা নজরুল হতে পারবোনা। তবে, তাদের অনুকরণ করতে পারবো।

মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক এমএএস ইমন বলেন,জনগনের মুখপাত্র শ্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জনপ্রিয় পত্রিকায় পরিণত হয়েছে মেহেরপুর প্রতিদিন। মেহেরপুর প্রতিদিন তিলে তিলে ছয় বছর পার করেই আজকের এই অবস্থানে পৌছেছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সূতিকার মেহেরপুর জেলার পত্রিকা প্রকাশের পথচলা শুরুটায় ছিল নানা জটিলতা। তিনি বলেন এখন মিডিয়া ইমেজ নাই বললেই চলে। এখন ফেসবুকে পেজ খুলেই সাংবাদিক হয়ে যাচ্ছে। মেহেরপুর প্রতিদিন মেহেরপুরে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। সততা ও সাহসিকতার সাথেই মেহেরপুর প্রতিদিন এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন হোটেল আটলান্টিকা, অনলাইন জুয়াসহ নানা অসঙ্গতি তুলে ধরায় অনেকে হোঁচট খেয়েছে তারা। মেহেরপুর প্রতিদিন তার স্বকীয়তা বজায় রেখে মেহেরপুরে একটি বিপ্লব ঘটাবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরবে। ভালোবাসা ও পাশে থাকার জন্য জেলার সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে অনুরোধ করেন।

সিনিয়র সাংবাদিক রফিক উল আলম বলেন, শুরু থেকে মেহেরপুর প্রতিদিন অত্যন্ত সাহষিকতার সাথে সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। তারা কোনো সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে ঝোল টানাটানি করেনা। পত্রিকাটি আগামীতে দূঢ়তার সাথে এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা করেন তিনি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন অব আব্দুল মালেক বলেন, মেহেরপুর প্রতিদিনের সকল দৈনতা কাটিয়ে আগামীতে স্ব মহিমায় এগিয়ে যাবে।




৫ বছরে ১৬২ প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নয়ন বরাদ্দ ২৫৯ কোটি টাকা

ঐতিহাসিক মুজিবনগরখ্যাত মেহেরপুর জেলা এখন উন্নয়নে বাংলাদেশের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ভরপুর এই জেলার অবকাঠামো উন্নয়নে দিনদিন পাল্টে যাচ্ছে সার্বিক উন্নয়ন।

বিশেষ করে জেলার শিক্ষাঙ্গনে এসেছে আমুল পরিবর্তন। মেহেরপুরের শিক্ষাখাতে গত ৫ বছরের উন্নয়নে জেলার তিনটি উপজেলা এখন স্বকীয় অবস্থানে পৌঁছেছে। সৃষ্টির নান্দনিকতায় জেলায় গড়ে উঠেছে সরকারি বেসরকারি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোর সুরম্য ভবন। একে একে গড়ে উঠেছে ১৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এখানকার সরকারি, বেসরকারি স্কুল কলেজের ৪ তলা ও বহুতল ভবনগুলি দৃষ্টি কাড়বে। এই তালিকাতে বাদ যায়নি জেলার দাখিল, কামিল ও ফাজিল মাদ্রাসাও। অথচ, এক সময়ে জরাজীর্ণ ভবণগুলো সময়ের ব্যবধানে পেয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া।

মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, জেলার শিক্ষাখাতের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে বিগত পাঁচ বছরে জেলায় ২৫৮ কোটি, ৮৬ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে ২২০ কোটি, ২৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকার কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোয়নের লক্ষে জেলার ১৮ টি নির্বাচিত বেসরকারি কলেজ সমূহের উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প (পূর্ত কাজ) মাধ্যমে জেলার ১৮ টি নির্বাচিত বেসরকারি কলেজের জন্য ২৬ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেখানে ইতোমধ্যে ২৫ কোটি ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোয়নের লক্ষে জেলার ১৮ টি নির্বাচিত বেসরকারি কলেজ সমূহের উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প (এ্যাপ্রোচ রোড) মাধ্যমে জেলার ১১ টি নির্বাচিত বেসরকারি কলেজের জন্য ৪৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।

বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন (৩০০০ স্কুল) শীর্ষক প্রকল্প (পূর্ত কাজ) এর আওতায় ৫৪ কোটি ৬৮ লাখ ২৯ হাজার টাকা ব্যায়ে জেলার নির্বাচিত ২০ টি বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।

নির্বাচিত ২০ টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন (৩০০০ স্কুল) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যায়ে জেলার নির্বাচিত ২০ টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।

বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উর্দ্ধমুখী সম্প্রশারণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জেলায় নির্বাচিত ২৩ টি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৯ কোটি ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উর্দ্ধমুখী সম্প্রশারণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জেলায় নির্বাচিত ২৩ টি বিদ্যালয়ের আসবাব পত্র তৈরী ও বিতরণ করা হয়েছে। যেখানে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৫ কোটি ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

নির্বাচিত ১২ টি মাদ্রাসা সমূহের উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত ১২ টি মাদ্রাসা সমূহের উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। যেখানে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।

কারিগরী অধিদপ্তারাধীন ৬৪ টি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ(টিএসসি) স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রক্ল্পের আওতায় ১৫ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যায়ে জেলায় একটি কারিগরী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপন করা হয়েছে।

সরকারি কলেজ সমূহের বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ (২০০ সরকারি কলেজ) শীর্ষক প্রক্ল্পের আওতায় ১৫ কোটি ১১ লাখ টাকা বরাদ্দে মেহেরপুরে সরকারি কলেজে কাজ করা হয়েছে।

নির্বাচিত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন (৩২৩ সরকারি স্কুল) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৮২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

রাজস্ব খাতের আওতায় ৩৬ কোটি ৫১ লাখ ছয় হাজার টাকা বরাদ্দে সরকারি /বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহের নতুন ভবণ নির্মানের (মাউশি) কাজ চলমান। ইতোমধ্যে ৪২ টি বিদ্যালয়ের বিল্ডিং কাজ শেষ হয়েছে।

রাজস্ব খাতের আওতায়১১ কোটি ৫৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকা বরাদ্দে জেলার ১১ টি সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

রাজস্ব খাতের আওতায় ৪৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যায়ে সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (সরকারি কামাশি) শীর্ষক প্রকল্প একটি বিদ্যালয়ের নতুন ভবণ নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়া রাজস্ব খাতের আওতায় ৭ টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১কোটি সাড়ে ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দে মেরামত ও সংস্কার কাজ করা হয়েছে। রাজস্ব খাতের আওতায় বেসরকারি ৯৬ টি বিদ্যালয়ে ৮ কোটি সাড়ে ৪৭ লাখ টাকা ব্যায়ে সংস্কার ও মেরামত করা হয়েছে।

রাজস্ব খাতের আওতায় ১৫ টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ব্যায়ে মেরামত ও সংস্কার কাজ করা হয়েছে। মাওশির উদ্যোগে জেলার ৯০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯ কোটি ৫১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যায়ে উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।

মাওশির উদ্যোগে ৬১ টি সরকার ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২ কোটি ৬১ লাখ ১৭ হাজার টাকা ব্যায়ে আসবাব পত্র তৈরী ও বিতরণ করা হয়েছে।

মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যালস্কুল এন্ড কলেজেরজন্য ৭ লাখ ৮ হাজার টাকা ব্যায়ে আসবাব পত্রপ্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৩ টি বেসরকারি কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৪ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যায়ে আসবাব পত্র প্রদান করা হয়েছে।

জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুরম্য বিল্ডিং তৈরী, সংস্কার ও আসবাবপত্র প্রদানসহ নানাবিধ উন্নয়ন করার ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাকিবুল আহসান বলেন, আমাদের বিভাগের উন্নয়ন কাজগুলো স্বচ্ছতার সাথে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এতে সাংবাদিকদেরও সহযোগীতার কামনা করছি।




স্পেনকে রুখে দিল ব্রাজিল

স্পেনের প্রায় নিশ্চিত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ব্রাজিল। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে স্পেনকে ৩-৩ গোলে রুখে দিয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দলটি।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে স্পেনের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। এরপর দারুণভাবে ঘুঁরে দাঁড়িয়ে ২-২ গোলে সমতা আনে দরিভল জুনিয়রের শিষ্যরা।

৮৬ মিনিটে স্পেনের মিডফিল্ডার রদ্রির দ্বিতীয় পেনাল্টি গোলে ফের ৩-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। শেষ মুহূর্তে সেই গোল শোধ করে ব্রাজিলকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত রাখেন লুকাস পাকেতা।

স্বাগতিক স্পেনকে ম্যাচের ১২ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে গোল করে লিড দেন রদ্রি। এরপর ৩৬ মিনিটে দানি এলবোর গোলে ২-০ তে এগিয়ে যায় স্পেন। দারুণভাবে ঘুঁরে দাঁড়িয়ে ৪০ মিনিটে রদ্রিগো ও ৫০ মিনিটে এনড্রিকের গোলে সমতায় ফেরে ব্রাজিল। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল করলেন বিস্ময়বালকখ্যাত এনড্রিক।

ব্রাজিলে দারুণ শুরু করেছেন দরিভল। ইনজুরিতে বিধ্বস্ত দলকে বড় দুটি দলের অপরাজিত থেকে সবাইকে চমকে দিয়েছেন তিনি। এর আগে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষক মারা গেছেন

পাঁচ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষক আসাদুল বিশ্বাস(৪৮)। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালের দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নিহত আসাদুল বিশ্বাস মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি বিশ্বাস পাড়ার হানিফ বিশ্বাসের ছেলে ও আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

আমঝুপি গ্রামের স্কুল শিক্ষক ফয়জুল কবীর জানান, নিহত আসাদুল বিশ্বাস গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা সড়কের কোলারমোড় নামক স্থানে মোটরসাইকেলযোগে রাস্তা ক্রস করছিলেন। এমন সময় অপর একটিদ্রুতগামী মোটরসাইকেল তাকে সরাসরি ধাক্কা মারে। এতে রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন স্কুল শিক্ষক আসাদুল বিশ্বাস।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

সেখানেই আজ সকালের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।




মুজিবনগরে স্বাধীনতা দিবস পালিত

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মেহেরপুরের মুজিবনগরে ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনটির শুভ সূচনা করা হয়।সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স স্মৃতিসৌধে এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তব ও অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, উপজেলা নবাগত নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুস সাদাত রত্ন, মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল কুমার দত্ত, মুজিবনগরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আসাদুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আহসান আলী খান সহ মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মোল্লা, মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন দারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম রবি, দারিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাকিম হক খোকন কমান্ডার, বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান মধু, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা এ্যাড: রুত শোভা মন্ডল, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি তকলিমা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক তহমিনা খাতুন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেব লীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতিন,সদস্য সচিব আইয়ুব হোসেন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জাহিদ হাসান রাজীব, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান মানিক, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীবৃন্দ সহ উপজেলা আনসার ভিডিপি টুরিস্ট পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে সকাল ৮ টায় মুজিবনগর উপজেলা চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম ও মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল কুমার দত্ত।

পরে মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ ও বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এ সময় বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বিএনসিসি এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন করেন।

কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রোদর্শনের পরে বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা শেষে মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধ পরবর্তী সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল শেষে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।




মেহেরপুর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন

জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতপ পুস্পস্তবক অর্পণ এবং আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করেছে মেহেরপুরের বিচার বিভাগ।

গতকাল মঙ্গলবার মেহেরপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা জজ আদালত ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বৃন্দ। এ সময় তাদের সাথে জাজশিপ ও ম্যাজিস্ট্রেসির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বককর সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস। এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ ১ম ও ২য় আদালতের বিচারক মোঃ শাহিনুর রহমান ও কবির হোসেন সহ জেলা জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকবৃন্দ।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা জজ আদালতের নাজির উসমান গনি এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আসাদুজ্জামান আসাদ।




কুষ্টিয়ায় অবৈধ ট্রলির ধাক্কায় স্কুল শিক্ষার্থী নিহত

কুষ্টিয়ায় স্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ ট্রলির ধাক্কায় আলী হোসেন (১৪) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালের দিকে শহরের হরিশংকরপুরে এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আলী হোসেন কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাঁওতা কারিগরপাড়া গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী হাসান আলীর ছেলে এবং সে সাঁওতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, স্কুল শিক্ষার্থী আলী হোসেন নিজ বাড়ি থেকে বাইসাইকেল যোগে কুষ্টিয়া শহরের যাওয়ার পথে হরিশংকরপুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ইট বোঝায় ট্রলি তাকে ধাক্কা দেয়। এতে স্কুল ছাত্র রাস্তায় ছিটকে পড়ে ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।