মেকআপের সঠিক নিয়ম জানেন তো?

কমবেশি মেকআপ আজকাল সবাই করেন। তবে মেকআপ ত্বকের অপরিহার্য অংশ হয়ে যাওয়ায় তোলার দিকে অনেকেরই মনোযোগ থাকে না। বাসায় ফিরে ঘুমানোর আগে যদি ভালোভাবে মেকআপ না তোলা হয় তাহলে বাঁধে বিপত্তি। মুখ-ভর্তি ব্রণ, র্যাশ, নিষ্প্রাণ ত্বক, ত্বকের পোর বড় হওয়া নিয়ে নানা জটিল সমস্যা তখনই শুরু হয়ে যায়। তাই শুধু ত্বকে মেকআপ করলেই হবে না। মেকআপ তোলার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা জরুরি। সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি।

ফেসওয়াশের ব্যবহার
মেকআপ তুলতে যেকোনো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলেই মেকআপ ত্বক থেকে ভালোভাবে তোলা হয়ে যায় না। মেকআপ ভালোভাবে তোলার কিছু নিয়ম রয়েছে। সঠিকভাবে মেকআপ তোলার ফলে ত্বক অনেক বয়স পর্যন্ত সতেজ ও স্নিগ্ধ থাকে। ফেসওয়াশ ব্যবহার করাটা প্রথমেই প্রায়োরিটি পাওয়া উচিত নয়।

মেকআপ রিমুভার লোশন
সবার প্রথমে মেকআপ রিমুভার লোশন বা যেকোনো স্কিন ওয়েল মুখে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এভাবে মেকআপ খুব সহজে উঠে আসে এবং একই সঙ্গে ত্বকে বেশি ঘষা লাগে না। ত্বকে মাত্রাতিরিক্ত স্ক্রাবিং বা ঘষাঘষি ঠিক না। তা করলে ত্বক সহজেই ঝুলে যায়।

তোয়ালের ব্যবহার
ফেস টিস্যু নিয়ে আলতো করে ঘষে মেকআপ তুলতে হবে। ছোট ফেস তোয়ালেগুলো ব্যবহার করা ভালো যেহেতু এই তোয়ালেগুলো খুব নরম হয়ে থাকে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি মেকআপ রিমুভার নিয়ে আরেকবার পুরো ত্বকে ভালো করে অ্যাপ্লাই করে মেকআপ তুলে নিতে হবে।

মেকআপ রিমুভার
অ্যালার্জিপ্রবণ ত্বক বা সেনসিটিভ ত্বকের মেকআপ রিমুভার বাজারে খুব সহজেই কিনতে পাওয়া যাবে। নরমাল বা স্বাভাবিক ত্বক হলে যেকোনো ব্র্যান্ডের মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ভালো ব্র্যান্ডের রিমুভার ব্যবহার করাই ভালো। এরপরের ধাপে ত্বক অনুযায়ী একটি ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে পুরো মুখের ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে, যাতে করে মেকআপ ভালোভাবে ওঠে এবং রিমুভার লোশন, তেল কোনোকিছুই ত্বকে অবশিষ্ট না থাকে। ফোম ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার ব্যবহার করা ভালো। এভাবে ত্বকের তেল, ধুলো, মেকআপ সবই ভালোভাবে রিমুভ হয়ে যাবে। মেকআপ এই পদ্ধতিতে রিমুভ করাকে বলা হয় ডাবল ক্লিনজিং পদ্ধতি। মেকআপ তুলে অবশ্যই ভালো একটা টোনার, ময়েশ্চারাইজার ও আই ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় ত্বক দিন দিন নিষ্প্রাণ হতে থাকবে বা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা শুরু হবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




জিয়ার মৃত্যুতে শোক করেছে আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশন

দাবা খেলা অবস্থায় আকস্মিকভাবে মারা গেছেন বাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশন-ফিদে। তাদের ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিক শোক বার্তায় জিয়ার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে সংস্থাটি।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনে চলছিল জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২তম রাউন্ডের খেলা। এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে খেলছিলেন জিয়া। দুপুর ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে খেলাকালীন হঠাৎ করেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা দ্রুতই তার চিকিৎসা শুরু করেন। প্রায় ১৫ মিনিট পর্যন্তও জিয়ার পালস খুঁজে পাননি ডাক্তাররা। অবশেষে তাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।

জিয়াকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল দাবাড়ু উল্লেখ করে ফিদে জানিয়েছে, ‘জিয়াউর রহমানের আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। তার পরিবার, বন্ধু ও ভালোবাসার মানুষদের প্রতি জানাচ্ছি সমবেদনা।’

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে গোসল করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্টে নিথর হলেন বালি ব্যবসায়ী

গাংনীতে গোসল করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন শাহিন আলম (৩৫) নামের এক বালি ব্যবসায়ী। বিদ্যুত চালিত মটরের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান তিনি।

নিহত শাহিন আলম বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের বাজারপাড়া এলাকার রেজাউল হকের ছেলে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎপৃষ্টের এই ঘটনা ঘটে।

পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে গাংনী পৌর সভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন জানান, শাহিন সারাদিনের কাজ সেরে নিজ বাড়িতে গোসল করার জন্য বিদ্যুৎ চালিত মটরে পানি নিতে যান। তিনি মটরের সুইচ দিতে গেলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। পরে তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক আতিকুজ্জামান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চিকিৎসক আতিকুজ্জামান জানান, হাসপাতালে আসার আগেই শাহিন আলমের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পাম্পের তারের ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে তিনি মারা গেছেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।




গাংনীতে প্রেমিকার ছেলে কাস্তে দিয়ে কুপিয়ে জখম করলো যুবলীগ নেতাকে

গাংনীতে মায়ের পরোকীয় প্রেমিক গ্রাম যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকে (৫২) ধারালো কাস্তে (ধান কাটা অস্ত্র) দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে ছেলে। মারাত্বক জখম নিয়ে যুবলীগ নেতা শফিকুল এখন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার গলায় ৬১ টি, হাতে ১২টি ও শরীরের অন্য অংশে ১৫ টির অধিক সেলাই হয়েছে বলে পারিবারিকভাবে জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় গতকাল শুক্রবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত ২ টার দিকে।

আহত শফিকুল ইসলাম গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার মোকাদ্দেস আলী মহুরার ছেলে। সে হিজলবাড়িয়া গ্রাম যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম একই পাড়ার মামা সম্পর্কের দিন মজুর কৃষক সাবাজুল ইসলামের বাড়িতে ওঠাবসা করেন। এই সুযোগে ওই কৃষকের স্ত্রীর সাথে পরোকীয়ায় লিপ্ত হন শফিকুল। পরোকীয়া প্রেমের জের ধরে গতরাত দেড় টার দিকে শফিকুল ইসলাম সাবজুলের বাড়িতে যান। চুপি চুপি মামী সম্পর্কের প্রেমিকার ঘরে ওঠেন তিনি। এসময় সাবজুল ইসলামের ছেলে ফিরোজ দেখে ফেলেন। রাতে তার মায়ের ঘরে উঠতে দেখে ফিরোজ ধারালো দেশীয় অস্ত্র কাস্তে নিয়ে বাড়ির প্রধান দরজার সামনে এসে দাঁড়ায় থাকেন। কিছুক্ষণ পর তার মায়ের ঘর থেকে শফিকুল পালিয়ে যাওয়ার সময় ফিরোজ তাকে জাপটে ধরে। এসময় দুজনের মধ্যে ধস্তা ধস্তি হয়। এক পর্যায়ে ফিরোজকে জোর করে ফেলে পালানোর সময় ফিরোজের হাতে থাকা কাস্তে তার গলায়, হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। এতে শফিকুলের গলায়, হাতে ও বুকসহ বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক জখম হয়।

ফিরোজ জানান, মায়ের সাথে শফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন পরোকীয়া প্রেম করে আমি গ্রামের মানুষের মুখ থেকে শুনি। আমি বলেছিলাম আমি এসব বিশ্বাস করিনি। যেদিন আমার সামনে তারা পড়বে, সেদিন বিচার করবো। গতরাতে আমি আমার মায়ের পাশের রুমে সুয়ে আছি। ওই সময় জেগে ছিলাম। শফিকুলকে আমার মায়ের ঘরে উঠতে দেখে। বাড়ির প্রধান গেটে (বাঁশের র‌্যালিং দিয়ে তৈরী) কাস্তে হাতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সে মায়ের ঘর থেকে নেমে আস্তে আস্তে পালিয়ে গেটের সামনে আসা মাত্রই আমি তাকে জাপটে ধরি। সে আমাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধস্তা ধস্তি হয়। এক পর্যায়ে হাতে থাকা কাস্তে দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করি।

তিনি আরও বলেন, মায়ের সাথে এই ঘটনাটি গ্রামের মানুষের মুখে মুখে। আমি তাদের পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি একাধিকবার জানিয়েছি। শফিকুলকে আমাদের বাড়িতে না আসতে বারবার নিষেধ করেছি। তারপরেও সে শোনেনি। গ্রামের লোকজনও তাকে বারবার নিষেধ করেছেন। তারপরও সে নিষেধ শোনেনি।

এদিকে ওই নারী দাবি করেন, আমার কাছে না আসার জন্য আমি প্রায় এক বছর যাবৎ তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তারপরেও সে আমাকে বিভিন্নভাবে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছে। গতরাতে আমি আমার স্বামীকে পাশে নিয়ে ঘুমিয়ে আছি। এই সুযোগে সে জোরপূর্বক আমার কাছে এসেছে। আমি এখন তার বিচার চাই।

এদিকে শফিকুল ইসলামের পিতা মোকাদ্দেস আলী মহুরি ও বোন রহিদা খাতুন শফিকুল ইসলামের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, ওই নারী চরিত্রহীন। আমার ছেলেকে মোবাইল ফোনে ডেকেছে, আমার ছেলে তার কাছে গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক নারী ও গ্রামবাসি জানান, শফিকুলের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে। ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারেনা। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে, এলাকার মানুষ শফিকুল ইসলামের বিচার দাবি করেছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম বলেন, রাতে ঘটনাটি শোনার পর পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। শফিকুল ইসলাম বর্তমানে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দেইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




কালীগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রেল স্টেশন এলাকা থেকে ফেন্সিডিলসহ রনি আহমেদ (২২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তাকে আটক করা হয়। আটক রনি চৌগাছা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের রিজাউল ইসলামের ছেলে।

ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেল স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চৌগাছা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের রনিকে আটক করা হয়। এসময় তার সাথে থাকা ট্রলি থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। ট্রেনে করে এই ফেন্সিডিল ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে আটক রনি। তাকে দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।




শৈলকুপায় সামাজিক দ্বন্দ্বের বলি ১০ হাজার কলাগাছ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রাতের আঁধারে যোগীপাড়া গ্রামের মাঠে ২৫ কৃষকের ৪০ বিঘা জমির কলাগাছ কেটে দিয়েছে দুর্বত্তরা।

স্থানীয়রা জানায়, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই গ্রামের আব্দুল হান্নানের সমর্থকদের সাথে রইচ উদ্দিন কমান্ডারের সমর্থকদের বিরোধ চলে আসছিলো। গত উপজেলা নির্বাচনের পর থেকেই উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিলো। শুক্রবার রাতে আব্দুল হান্নানের সমর্থকদের ফসল কেটে দেয় প্রতিপক্ষ দুর্বৃত্তরা।

ওই গ্রামের কৃষক শাহীন আলম জানান, সকালে মাঠে এসে দেখি আমার দেড় বিঘা জমির কলাগাছ কে বা কারা কেটে দিয়েছে। দুই দিন আগেও আমি আমার জমিতে সার দিয়েছি। কিছুদিন পরেই কলা গাছে কাদি আসা শুরু হতো। কিন্তু আমার গাছগুলো কেটে দিয়েছে। আমি তো সর্বশান্ত হয়ে গেছি।

একই গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম বলেন, আমাদের মাঠে অন্তত ২৫ জন কৃষকের জমির ফসল নস্ট করে দিয়েছে। এই গ্রামে আমাদের সামাজিক দ্বন্দ আছে। সেই দ্বন্দে¦র কারণেই আমাদের ফসলের ক্ষতি করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এত বড় ক্ষতি করেছে যা পুরণ হবে না। রইচ কমান্ডার আর মতিয়ারের লোকজন আমাদের এই ফসল নস্ট করে দিয়েছে। আমাদের সাথে শত্রুতা থাকতে পারে। তাই বলে আমাদের ফসল নষ্ট করবে। আমরা এর উপযুক্ত শাস্তি দাবী করছি।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ শৈলকুপা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার অমিত কুমার বর্মন বলেন, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর আমরা সেখানে অফিসার পাঠিয়েছিলাম। প্রাথমিক ভাবে আমরা জানতে পেরেছে সামাজিক দ্বন্দ্বের কারণে এই ফসলহানি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।




আর কত বয়স হলে আব্দুর রব পাবে বয়স্ক ভাতা!

যাত্রাশিল্পী আব্দুর রব এখন বেকার, সম্পূর্ণ বেকার। বয়স্ক ভাতা পেতে সমাজ সেবায় আবেদন করেছিলেন বছর খানেক আগে। এখনও ভাতা পেতে তালিকায় নাম উঠেনি। ভাতা পাবার জন্য অনেকের দারস্থ হচ্ছেন।

আশির দশকের যাত্রামঞ্চের চূড়ামনি, মঞ্চমাতানো ডার্ক-হিরোর এখন আর কোনো কাজ নেই। পেশাদারি ও অ্যামেচার মঞ্চ যিনি এক সময় দাঁপিয়ে বেড়িয়েছেন, সেই তিনি-ই কোনো রঙ্গমঞ্চে পা দেবার শক্তি হারিয়েছেন। রোগশোকে হারিয়েছেন কর্মশক্তি। শহরের হোটেল বাজারের মৌসুমী টেইলার্সেও আর বসেন না। প্রয়াত স্ত্রী আর যাত্রার আলোকোজ্জ্বল রঙ্গমঞ্চ ও দর্শকদের ভালবাসার স্মৃতি তার বড় সম্বল। তার শরীরে বাসা বেঁধেছে বার্ধক্যজনিত রোগ। সেসব রোগের চিকিৎসার আর্থিক প্রয়োজনে তাকে স্বজনদের কাছে হাত পাততে হয়।

প্রতিদিন সকাল হলেই অসুস্থ শরীর নিয়ে লাঠিতে ভর করে শহরের পরিচিত স্বজনদের কাছে ছুটে যান। সেসব স্বজনদের দেয়া সহায়তায় ওষুধ কিনে থানা সড়কে মুখার্জি পাড়ার বাড়িতে ফেরেন। তিন সন্তানের পিতা রব। দুই ছেলে পৃথক। ছোট ছেলে তার সাথে। সেই ছেলে শহরের হোটেল বাজারে রাস্তার পাশে চা স্টলের উপর্জনে চলে চার সদস্যের সংসার চালাতে নুন আনতে পান্তা ফুরায়।

আব্দুর রব শহরের হোটেল বাজারে একটি ফার্মেসীর পাশে বসেছিলেন ওষুধ কেনার সহায়তা পেতে। কেমন আছেন জানতে চাইলে এই অভিনেতার চোখ দিয়ে পানি ঝরতে শুরু করে। এক সময় যাত্রামঞ্চেও চোখে পানি ঝরেছে। সে পানি কৃত্রিম। তিনি বলেন- “অভিনয় জীবনে সংসার, সমাজ, দেশের দুঃসাশনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি। আজ নিজ জীবনের হিসাব মেলাবার চেষ্টা করছি হাত পেতে। জেলা সমাজসেবা অফিসে দুস্থ ভাতার জন্য এক বছর আগে আবেদন করেছিলাম। এখনও কোন সাড়া পা্ইনি।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেন- দুস্থ যাত্রাশিল্পী হিসেবে বার্ষিক সহায়তা করা হয়।
মেহেরপুরের যাত্রাশিল্পের পরম্পরায় এক অনিবার্য নাম আব্দুর রব। যাত্রাশিল্পকে মেহেরপুরের সর্বস্তরের মানুষের কাছে জনপ্রিয় করতে কৈশোর থেকে কাজ করেছেন তিনি। বিরল এই অভিনেতা বহু পালায় নির্দেশক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। শারীরীক কারণে যাত্রার আসর ছেড়েছেন প্রায় দেড় দশক আগে, তারপরও যাত্রাশিল্পী হিসেবে তার নাম আজও এ জনপদের মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

বিশ শতকের আশির দশক পর্যন্ত আব্দুর রব নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন কখনও অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবে, কখনও-বা যাত্রা সংগঠক হিসেবে। তিনি নিজগ্রাম ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার পাটিকাবাড়িতে একটি নাট্যসংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। খ্যাতিমান অভিনেতারা সেই দলে অভিনয় করতেন।

আব্দুর রবের জন্ম ১৯৫২ সালে মুর্শিদাবাদ জেলার পাটিকাবাড়ি গ্রামে। তার বাবার নাম আহসান নবী, মাতা ছুরাতন বিবি। ১৯৬৯ সালে তার পরিবার মেহেরপুর শহরের মুখার্জি পাড়ায় স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে। জীবিকা হিসেবে বেছে নেন দর্জির কাজ। কৈশোর থেকেই তিনি সংস্কৃতিমনস্ক ও যাত্রামোদী। যাত্রাগানের আলোক-উজ্জ্বল রঙ্গমঞ্চ, সাজঘর, যাত্রাপালার অতিনাটকীয় সংলাপ আর অর্কেস্ট্রাদলের সুরমুর্ছনা তাকে মুগ্ধ, বিহবল ও আলোড়িত করত বেশি। যেখানেই যাত্রার আসর, সেখানেই তিনি বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে হাজির হতেন। একটি পয়সা দাও, কলংকিনি বধূ, এক মুঠো অন্ন চাই, ময়লা কাগজ, নাচমহল, কোহিনূর, অশ্রু দিয়ে লেখা, রক্তে রোয়া ধান, অচল পয়সা, অনুসন্ধান, দেবী সুলতানা প্রভৃতি যাত্রাপালায় অভিনয় করে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন।




মেহেরপুরে যুব মহিলা লীগের ২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে মেহেরপুরে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা যুব মহিলা লীগ আয়োজনে শনিবার (৬ জুলাই ) দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাসভবনের সামনে এ আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি।

জেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রুতশোভা মন্ডলের সভাপতিত্বে এসময় সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লতিফুননেসা লতা, মুজিবনগর উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তকলিমা খাতুন, পৌর যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা কামাল রুনুসহ জেলা যুব মহিলা লীগের অন্যান্য সদস্যবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।




কোটচাঁদপুরে চুরির অভিযোগ এনে ছাত্রদের মারপিট

চুরির অভিযোগে এনে ছাত্রদের মারপিট করেছেন কোটচাঁদপুরের কাগমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই অভিযোগে তদন্তে যান সংশ্লিষ্টরা। তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ওই শিক্ষককে শোকজের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম।

ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান বলেন, গত বুধবার সকালে বিদ্যালয়ে যাবার পর স্যার আমাকে ডেকে ওনার রুমে নিয়ে যান। এরপর জিজ্ঞাসা করেন গ্রীল চুরির কথা। আমি স্যারকে বলি আমি চুরি করিনি। কে করেছেন তাও জানিনা। এরপর স্যার আমাকে ও ইয়ামিনকে হাতের স্কেল দিয়ে মারতে থাকে। এ সময় আমাদের মার দেখে পালিয়ে যান সোহাগ হোসেন।

এ ব্যাপারে সোহাগ হোসেন বলেন, ৫০ কেজি ওজনের গ্রীল কি আমরা তিন জন নিতে পারি। স্যার আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। ওই ছাত্র বলেন,স্যার যখন আমিনুর ও ইয়ামিনকে মারছিল, আমি তখন ভয়ে পালিয়ে যায়।

ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র আমিনুর রহমানের পিতা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ওই সময় বাড়িতে কাজ করছিলাম। বিদ্যালয় থেকে খবর পেলাম প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম আমার ছেলে মারধার করছেন। এ সময় আমি বিদ্যালয়ে ছুটে যায়। ওই শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করি ছেলেকে মারার কারন। এতে করে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকেও গলা ধরে ধাক্কা দেন। গালি দেন খারাপ ভাষায়।

এরপর জানতে পারি ওই শিক্ষক আমার ছেলেকে চুরির অভিযোগে মারধর করেছেন। পরে বিষয়টি আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।

ওই অভিযোগের পেক্ষিতে ওনারা আজ বিদ্যালয়ে এসে অভিভাবকদের ডেকে সভা করেন। এরপর উভয় পক্ষের কাছে শুনে স্যারকে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন।

কাগমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক( ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রহিম বলেন,কারা চুরি করেছে, সেটা আমি দেখিনি। তবে শুনেছি তারাই ছাদে উঠেছিল।

তিনি বলেন, আমি তাদের মেরেছি, তবে ওভাবে মারিনি। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তবে তাদের মারাটা আমার ঠিক হয়নি। আমি ওই সমস্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের নিকট ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।

কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম বলেন, ওই শিক্ষক ছাত্রদের মারপিট করেছেন। তবে অভিভাবকরা যেমন ভাবে বলছেন, তেমন ভাবে মারেনি জানান ওই প্রধান শিক্ষক ।

তিনি বলেন, অভিভাবকদের অভিযোগের পেক্ষিতে তদন্তে গিয়েছিলাম কাগমারি স্কুলে। ওই ছাত্রকে মারার ঘটনায় শিক্ষকে শোকজ নোটিশ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।




নিয়োগ দিবে মিনিস্টার হাইটেক পার্ক

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মিনিস্টার হাই টেক পার্ক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির সার্ভিস বিভাগ অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। ০৪ জুলাই থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও মোবাইল বিল, টি/এ, প্রভিডেন্ট ফান্ড, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে দুইটি উৎসব বোনাসসহ প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার

পদসংখ্যা

০১টি

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য যোগ্যতা

ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি। ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি/গৃহস্থালী যন্ত্রপাতিতে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। শুধু পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

অভিজ্ঞতা

কমপক্ষে ৩ বছর।

কর্মক্ষেত্র

অফিসে

বয়সসীমা

২৫ থেকে ৩৫ বছর।

কর্মস্থল

দেশের যেকোনো জায়গায়

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদনের শেষ সময়

২৩ জুলাই ২০২৪।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক