ঝিনাইদহে বিদ্যুতের লাইন সহকারীদের কর্মবিরতি, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

চাকুরীর বয়স শিথিল করে শূন্য কোঠায় দৈনিক মজুরী ভিত্তিক স্থায়ীকরণের দাবীতে কর্মবিরতি, বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর লাইন সহকারীরা।

আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কর্মবিরতি দিয়ে বিদ্যুৎ অফিস প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

মিছিলটি অফিসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। কর্মসূচীতে লাইন সহকারী ইমামুল হক রকি, মশিউর রহমান, টিপু সুলতান, শাহিন আলম, আমির হোসেন, মিঠু শেখসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সেসময় আন্দোলনকারীরা বলেন, জীবনের ঝুকি নিয়ে বছরের পর বছর বিদ্যুৎ অফিসে কাজ করলেও তারা বেতন ভাতা পান না। আমাদের দিয়ে কাজ করানোর পরও কর্তৃপক্ষ চাকুরী স্থায়ী করছেন না। তাই অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। তাদের চাকুরী স্থায়ী করণের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচী চলমান থাকবে বলেও হুশিয়ারি দেন । এদিকে লাইন সহকারীদের কর্মবিরতি পালন করায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জেলার বিদুৎ গ্রাহকদের।




অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেলেন আবদুল্লাহ আল আমিন ধুমকেতু

মেহেরপুরের কৃতি সন্তান মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল আমিন অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেছেন। আবদুল্লাহ আল আমিন ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আকবর হায়দার ও জাহানারা বেগম দম্পতির সন্তান। তিনি একাধারে লেখক, লোক গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিক হিসেবে ব্যাপক পরিচিত।

আবদুল্লাহ আল আমিন ১৯৮৭ সালে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস এস সি, ১৯৮৯ কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৯২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স, ১৯৯৩ সলে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

আবদুল্লাহ আল আমিন ১৮ তম বিসিএ এর মাধ্যমে প্রভাষক হিসাবে মেহেরপুর সরকারি কলেজে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজ দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে সহকারী অধ্যাপক। এবং ২০১৪ বগুড়া শাহ সুলতান কলেজে কর্মরত অবস্থায় সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে পদোন্নতি পান। পরে সেখান থেকে মেহেরপুর সরকারি কলেজে দীর্ঘদিন চাকরি করার পর সম্প্রতি তিনি উপাধাক্ষ হিসেবে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে যোগদান করেন। এবং সেখানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার তিনি অধ্যাপক হিসাবে পদোন্নতি লাভ করেন।
১ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক আবদুল্লাহ আল আমিনের পিতা আকবর হায়দার এবং পিতামহ বানি আমিন বিশ্বাস শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। শিক্ষক পরিবারের এই কৃতি সন্তান অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করায় বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।

তিনি মূলত প্রাবন্ধিক ও অনুসন্ধিৎসু গবেষক। সমাজ-সংস্কৃতিমনস্ক ও ঐতিহ্যসন্ধানী। তাঁর চর্চা ও অনুসন্ধিৎসার বিষয় সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব, আঞ্চলিক ইতিহাস, লোকধর্ম ও লোকজ সংস্কৃতি। গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন বাংলা একাডেমি ও এশিয়াটিক সোসাইটিতে। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : আজাদ শাহের পদাবলী (২০০৯), ব্রাত্যজনের রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (২০১২), বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি : মেহেরপুর (২০১৩) ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালির সম্প্রীতি সাধনা ও ভাটপাড়া নীলকুঠি ও উনিশ শতকের বাংলাদেশ।




মেহেরপুরে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদের স্মারকলিপি প্রদান

স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান সকল নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করণের দাবিতে মেহেরপুরে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদ মেহেরপুর জেলা শাখা আয়োজিত মানববন্ধন আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়‌। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদ মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, গাংনী উপজেলার সভাপতি মোঃ মাসুদুর রশিদ, মুজিবনগর উপজেলার সভাপতি বরকত উল্লাহ।

এসময় বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন হলে দেশে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আপনি দায়িত্ব গ্রহণ করায় পতিত সরকারের চরম বৈষম্যের শিকার নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। বিগত সরকারের দুঃশাসনের সময়ে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্তর দাবিতে ঢাকায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, সংবাদ সম্মেলন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পদযাত্রা ও আমরণ অনশনের মতো অনেক কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবি না মেনে বরং আমাদের উপর পিপার স্প্রে, জল কামান, লাঠি চার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও বিভিন্নভাবে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে।

তারা আরো বলেন, আমাদের প্রত্যাশা-আপনি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করে আমাদের যাবতীয় কষ্ট লাঘবের ব্যবস্থা করবেন। কষ্ট লাঘব হলে চিন্তামুক্ত অবস্থায় শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ জনসম্পদ ও উদ্যোক্তা তৈরির প্রয়াসে আমরা কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। দেশের চলমান সকল নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত হলে আমরা বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার করছি।

মানববন্ধনে এছাড়াও নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদ মেহেরপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, উপদেষ্টা ইয়ারুল ইসলাম, গাংনী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, মুজিবনগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মোহা: নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




বেহুলা লক্ষীন্দরের আত্মকাহিনী নিয়ে ‘পদ্মপুরাণ’

মনের বাসনা পূরণ করতেই গ্রামাঞ্চলে আয়োজন করা হয় পদ্মপুরাণ গানের। সাধারণত রাত জেগে মনসা-মঙ্গলের নাটক পরিবেশন করা হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গভীর রাত পর্যন্ত তাঁরা যা করেন, এর পুরোটাই নাচ-গান-নাটক। এ নাটক নামেমাত্র মঞ্চে পরিবেশন করা হয়।

বিশেষ করে মানুষকে যখন সর্পদংশনে তাড়া করে তখন মনের ভেতর জমে থাকা এসব আতঙ্ক তাড়ানোর জন্যই এই গানের আয়োজন করা হয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে চর্মজাতীয় ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ায় এসব সারানোর কোন উপায় না পেয়েও এই গানের আসর দিয়ে থাকেন।

এই পদ্মপুরাণ গানের জন্য একটি দলে ১০-১৫জনের সদস্য প্রয়োজন। ঢোলক বাদ্যের সঙ্গে আরও কিছু বাদ্যযন্ত্র নিয়ে কখনো গানের আসর আবার কখনো কথাকাব্য নিয়ে রচিত এই পদ্মপুরাণ গান। এজন্য কোনো মুখস্ত বিদ্যায় কিংবা বই পড়ে তাদের শিখতে হয়নি। শখের বসে আবার অনেকের ভালোলাগার থেকেই এই দলের সদস্য হিসেবে সম্পৃক্ত হয়। এ শিল্পীরা সরাসরি এই আসর মাতিয়ে রাখেন। দর্শক শ্রোতারাও বেশ উপভোগ করেন পদ্মপুরাণ।

এই পদ্মপুরাণ গানের মূল বিষয় হচ্ছে কালনাগিনীর দংশনে লক্ষীন্দরের মৃত্যু থেকে শুরু করে আগাগোড়া বেহুলারই কাহিনী। প্রথম দিকে একটানা সাপের গীত আর সাপের বর্ণনা। নানা প্রকার ও নানা জাতের বাস্তব ও কাল্পনিক সাপের বর্ণনায় পূর্ণ এই গানের প্রথম অংশ। শেষে বর্ণনা করা হয় ভুরা বা ভেলাভাসিয়ে বেহুলার ইন্দ্রপুরীতে গমন ও মৃত স্বামীর প্রাণ ফিরে পাওয়ার বর্ণনা। এভাবেই শেষ করতে হয় মুল অনুষ্ঠানের।

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের পদ্মপুরাণের নামকরা দলনেতা ছিলেন ফজর আলী মৃধা। তার নেতৃত্বে আশপাশ এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী জেলায় পদ্মপুরাণ গানের নেতৃত্ব দিতেন। তারই শিষ্যত্ব লাভ করেন তার ছোটভাই ইউনুস আলী মৃধা। এভাবেই আশেপাশ এলাকায় নেতৃত্ব দেওয়া অনেকেই পদ্মপুরাণ গানের আসরে বসে।
গতকাল মঙ্গলবার মিরপুর উপজেলার বলিদাপাড়া গ্রামের সেকেন আলীর বাড়ির আঙ্গিনায় এই গানের আসর বসে। দিনে এবং রাতে চলে একটানা এই গানের আসর। নারী পুরুষ শিশু বৃদ্ধা-বনিতারা এই পদ্মাপুরন গানের অনুষ্ঠান উপভোগ করছে।

এই দলে নেতৃত্ব দেওয়া চঞ্চল বার্তা২৪.কমকে বলেন, পদ্মপুরাণ গানে দলে ১২-১৫জন থাকে। ঢোলকসহ অন্যান্য বাদকের পাশাপাশি একটি টিমের অন্তত ৩-৪ জন পুরুষকে শাড়ি পরিয়ে, চুল লাগিয়ে ও মেকাপ করে তাদের নারী সাজানো হয়। এভাবেই চলতে থাকে পুরো অনুষ্ঠান। দিন রাত মিলিয়ে আমাদের সম্পন্ন করতে হয় বেহুলা লক্ষীন্দরের আত্মকাহিনীকে কেন্দ্র করে নাটিকার পাশাপাশি গান করা হয়।

তবে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে এক সপ্তাহ সময় লাগে। কিন্তু অর্থনৈতিক দৈনতার কারণে দুই রাত ও এক দিনের মধ্যেই শেষ করতে হয় আসর। গানের জন্য আমরা ৮-১২হাজার টাকা পর্যন্ত নেই। এই বাড়ীতে সাত দিন-রাত ব্যাপী গানের আসর বসানো হয়েছে। এতে করে ২৫ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে বাড়ীর মালিককে।

পদ্মপুরাণ গানের সাথে কাজ করে আসা আরেক শিল্পী খাইরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, পদ্মপুরাণকে আবার বা মনসার গান বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। পদ্মপুরাণ এ অঞ্চলের একটি উল্লেখযোগ্য কাব্য আলেখ্য। সাপের দেবীমনসা বা পদ্মার নাম অনুসারে এই নামকরণ। এই গান বর্ণনামূলক।

আপাম আলী বিশ্বাস নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই গানের আসর। তিনি বলেন, যে মনসা দেবীকে পূজা দিতে চাননি চাঁদ সওদাগর, শত বছর ধরে বাঙালি সেই মনসা দেবীকে পূজা দিয়ে যাচ্ছে। শত বছর ধরে বংশ পরম্পরায় এ রীতি পালন করে আসছেন জনগণ। হিন্দু, মুসলমান সবাই। তাঁদের বিশ্বাস, এ সময় মা মনসার পূজা দিলে সারা বছর সাপ আর বিরক্ত করবে না তাঁদের। এমন সব কাহিনী নিয়েই এই পদ্মপুরাণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।

এই দলের আরেক সদস্য নারী সজীব। যার ভুমিকা নারীর হিসেবে অভিনয় করা। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি ইন্টারমিডিয়েট পড়াশোনা শেষ করেছি। ছোটবেলা থেকে নাচগান আমার কাছে ভালো লাগতো। তাই এই দলের সাথে মিশতাম। এখন শিল্পী হিসেবে পদ্মপুরাণ গানে অংশগ্রহণ করে থাকি। সমাজে শিল্পী হিসেবে আমরা স্বীকৃতি চাই বলেও দাবী করেন তিনি।

আরেক নারী সদস্য রনি বলেন, আমি একটা তামাক কোম্পানিতে কাজ করি। ছয় মাস কাজ হয় আবার ৬ মাস বন্ধ থাকে। সংসার চালাতে আমি এই গানের আসরে অংশ নিয়ে থাকি। এখন শিল্পী হিসেবে পদ্মপুরাণ গানে অংশগ্রহণ করে থাকি। এই অনুষ্ঠান তো আর সারা মাস থাকে না। তাই কাজের পাশাপাশি সময় সুযোগ করেই অংশ নিয়ে থাকি। ২-৩দিন ধরে অনুষ্ঠান করলে আমি হাজার খানেক টাকা পেয়ে থাকি।

দর্শক বাপ্পি মনে করেন, গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্য পদ্মাপুরন জাতীয় এবং আন্তজার্তিক ভাবে তুলে ধরলে এসব শিল্পীরা উপকৃত হবে। তাই সংশ্লিষ্টদের নজর দেওয়া জরুরি বলেও মনে করেন তিনি।

তবে স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই মনসার গানের আয়োজন করলে সাপের কামড়ে পরিবারের কারো অকাল মৃত্যু ঘটবে না। এছাড়াও অনেক জ্বিনগত সমস্যা সমাধানের উপায় কেবল এই গানের মধ্যে খুঁজে পায় তারা।




অফিসার পদে লোক নিবে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল। ওয়েব এবং ডিজিটাল চ্যানেল বিভাগ কমিউনিকেশনস অফিসার পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানের নাম : প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ

পদের নাম : কমিউনিকেশনস অফিসার

বিভাগ : ওয়েব এবং ডিজিটাল চ্যানেল

পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয় অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ২ থেকে ৩ বছর

বয়সসীমা : উল্লেখ নেই

কর্মস্থল : ঢাকা

বেতন : ৫৫,০২০ থেকে ৬৮,৭৭৫ টাকা (অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে)

আবেদন শুরুর তারিখ : ২৪ সেপ্টেম্বর

চাকরির ধরন : চুক্তিভিত্তিক

কর্মক্ষেত্র : অফিসে

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ সময় : ০২ অক্টোবর

শিক্ষাগত যোগ্যতা : গণযোগাযোগ/সাংবাদিকতা/আন্তর্জাতিক সম্পর্ক/সামাজিক বিজ্ঞান/ডিজিটাল প্রোডাকশন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

অন্যান্য যোগ্যতা : ইংরেজি এবং বাংলায় ভালো যোগাযোগ দক্ষতা, মার্কেটিং, গবেষণা, বিশ্লেষণ এবং মিডিয়া অ্যাডভোকেসিতে ভালো জ্ঞান। অন্যান্য সুবিধা : জীবন বিমা, হাসপাতালে ভর্তি বিমা কভারেজসহ চিকিৎসা সুবিধা।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

সূত্র: কালবেলা




জীবননগরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মী সমাবেশ

জীবননগরের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে জীবননগর কলেজ মাঠে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, জীবননগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে কর্মি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জীবননগর উপজেলা শাখার সভাপতি শ্রমিক নেতা আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্ঠা এডভোকেট রুহুল আমীন।

এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, জেলার অন্যতম উপদেষ্টা এডভোকেট আসাদুজ্জামান, শ্রমিক ফেডারেশনের চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি মাওলানা ইসরাইল হোসেন, উপদেষ্টা জিয়াউল হক, মাওলানা সাজেদুর রহমান, জেলা সেক্রেটারী মাহফুজুর রহমান, অধ্যক্ষ সাখাওয়াত হোসেন, ইমাম আশাবুল হক, হাফেজ ফিরোজ হোসেন, সাংবাদিক মাজেদুর রহমান লিটন, ব্যবসায়ী জাহিদুর রহমান, উপজেলা সেক্রটারি শ্রমিক নেতা সুলতান আহাম্মদ, মাওলানা মফিজুর রহমান, ইউপি সদস্য আরেফিন হোসেন, শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম ও মাহবুব হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শ্রমিক নেতা ইব্রাহিম খলিল।




পাবজি খেলে কোটি টাকা আয়!

সম্প্রতি নেপালে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া পাবজি মোবাইল সুপার লিগে ভালো ফলাফল করেই দেশে ফিরেছেন এ-ওয়ান ইস্পোর্টস দলের সদস্যরা। সেখানে বাংলাদেশ থেকে মোট দুটি দল অংশগ্রহণ করলেও ফাইনালে জায়গা করে নেয় শুধুমাত্র এওয়ান ইস্পোর্টস।

বাংলাদেশ ছাড়াও সেখানে অংশগ্রহণ করেছিল নেপাল, পাকিস্তান, মঙ্গোলিয়া, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কাজাকিস্তান ও রাশিয়ার দলের প্লেয়ারগুলো।

বাংলাদেশে শত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও এ দেশের ইস্পোর্টস খেলোয়াড়রা এগিয়ে যাচ্ছে। যথাযথ সহযোগিতা পেলে দেশের ছেলেরা অনেক ভালো করবে বলে আশা করেন সংশ্লিষ্টরা। কাজী আরাফাত হোসেন ২০২০ সালে A1 Esports প্রতিষ্ঠিত করেন, যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইস্পোর্টস দল। এই দলটি ২০২১ সালে দুবাইতে প্রথমবারের মত পাবজি মোবাইলের নিজস্ব ওয়ার্ল্ড কাপে অংশগ্রহণ করেছিল। ইস্পোর্টস নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন এওয়ান ইস্পোর্টসের সদস্য হাসান মাহমুদ।

তিনি জানান, রিসেন্টলি তারা নেপাল থেকে পাবজি মোবাইল সুপার লিগ সিজন-২ খেলে এসেছে। ওই টুর্নামেন্ট থেকে পাবজি ওয়ার্ল্ডকাপের জন্য কোয়ালিফাই করা হয়। যেখানে পুরো বিশ্ব থেকে বিভিন্ন টিম অংশগ্রহণ করে। আর এই ওয়ার্ল্ডকাপ টুর্নামেন্টে প্রায় ৬৫০ কোটির টাকার প্রাইজ দেওয়া হয়। রিসেন্টলি তারা যেটা খেলে এসেছে ওইটার প্রাইজমূল্য ছিল ২ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ। সেখানে সেন্ট্রাল এশিয়া এবং সাউথ এশিয়ার টিমগুলো অংশগ্রহণ করে। সেখানে কয়েক হাজার টিমের মধ্যে তারা টপ-১৬তে ছিল।

হাসান মাহমুদ জানান, দেশের বেশিরভাগ বয়স্ক মানুষ পাবজি পছন্দ করেন না। কিন্তু তারা যখন কমপিটিভ লেভেলে খেলেন, তখন তাদের মাতাপিতাও সাপোর্ট করে। অনেকে মনে করে পাবজি খেলতে খেলতে ছেলে-মেয়েরা অ্যাডিকটেড হয়ে যায়, যার কারণে পাবজি ব্যান করে দেওয়া হয়। কিন্তু যারা অ্যাডিকটেড তারা এখনো খেলছে আর সমস্যায় ভুগছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ব্যান হওয়ার কারণে পাবজির অফিসিয়াল কোনো টুর্নামেন্ট আসছে না। যেটার জন্য আমরা স্পন্সরশিপও পাচ্ছি না, আমরা ইজিলি কোয়ালিফাইও করতে পারছি না। অনেক কষ্ট করে আমাদের কোয়ালিফাই করা লাগছে। পাবজি প্লেয়ার হিসেবে আমাদের একটাই চাওয়া, বাংলাদেশ থেকে পাবজি যেন আনব্যান করা হয়। আমরা অনেকগুলো টুর্নামেন্ট খেলেছি, আমরা দেশকে রিপ্রেজেন্ট করেছি। এবার দেশেও অফিসিয়াল টুর্নামেন্টে খেলতে চাই। আর পাবজি আনব্যান করা হলে আমরা দেশকে আরও বেশি রিপ্রেজেন্ট করতে পারব।

গেমিং ও ইস্পোর্টস; সিনেমা বা সংগীত ইন্ডাস্ট্রির চেয়েও অনেক বড়। এখন উপযুক্ত সময় এটা নিয়ে আমাদেরকে ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা করার। সৌদি আরবেই ই-স্পোর্টসের একটি চ্যাম্পিয়নশিপের প্রাইজমানি রাখা হয় ৬৫৮ কোটি টাকা।

বিশ্বের সব দেশ ইস্পোর্টস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পাশের দেশগুলো ইস্পোর্টসকে সরকারিভাবে স্বীকৃত দিচ্ছে। এমনকী মালয়েশিয়ার মতো দেশে ইস্পোর্টসকে জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাম্প্রতিক সময়ে তাদের দেশের গেমার ও ইস্পোর্টস অ্যাথলেটদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন; আগামী দিনে কীভাবে এই শিল্পটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই বিষয়ে। জাপানের স্কুলে ইস্পোর্টসকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুতরাং আমাদেরও এই সম্ভাবনাময় ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে যথাযথ নীতিমালার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে এবং এখনই তার উপযুক্ত সময়। সরকারের সুনজর এখানে একান্তই কাম্য বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র: কালবেলা




আলমডাঙ্গায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীকরণ দাবীতে শিক্ষক পরিবারের মানববন্ধন

আলমডাঙ্গায় বৈষম্য দুরিকরনে মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীকরণ, জাতীয়করণের পুর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবীতে মানববন্ধন ও স্বরকলিপি পেশ করা হয়েছে।

গতকাল আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন পুর্ব আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার ইমরুল হক।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক।তিনি বলেন সমগ্র বাংলাদেশে বেসরকারি স্কুলে যে ভাবে লেখাপড়া করান হয়, সেভাবে কিন্ত সরকারি স্কুলে হয় না, তারপরও এই সব শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার, আজ একই দিনে সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপি বেসরকারি স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক বৃন্দ মানব বন্ধন ও স্বারক লিপি প্রদান কর্মসুচি পালন করেছে। আমাদের পার্শবতি দেশ ভরতে শিক্ষকদের জাতীয়করন করা হয়েছে, আমাদের প্রতিটি স্কুলে যে ফিসের টাকা আদায় হয় এবং অন্যান্ন খাতে যে টাকা আয় হয় সেগুলো সরকারি ফান্ডে জমা করলে শিক্ষকদের দাবি পুরন করতে সরকারকে আলাদা টাকা খরচ করতে হবে না, যদি হয় তা যতসামান্ন। তাই শিক্ষক বৃন্দের দাবি সময়োপযোগী দাবি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা মহদয়কে মেনে নেওয়ার অনুরোধ করেন। প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়বের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম মোল্লা, প্রধান শিক্ষক আনোয়ার রশিদ সাগর, প্রধান শিক্ষক আব্বাস উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম,প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম দিপু, প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান, প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক শামিম, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ, প্রধান শিক্ষক আবরদুল হামিদ, প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক রহিদুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক বিপ্লব প্রমুখ।




দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন কোরীয় অভিনেত্রী ক্লাউডিয়া কিম

অবশেষে পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন কোরীয় অভিনেত্রী ক্লাউডিয়া কিম। কোরীয় সংবাদমাধ্যম স্টারনিউজ বিবাহবিচ্ছেদের খবর প্রকাশের পর ক্লাউডিয়ার এজেন্সি ওয়াইজি এন্টারটেইনমেন্ট বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এক বিবৃতিতে ওয়াইজি এন্টারটেইনমেন্ট লিখেছে, ‘দুই পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্লাউডিয়া কিম।’

এজেন্সি আরও লিখেছে, ‘যদিও তারা আলাদা হয়েছেন, তবে একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা থাকবে। বিষয়টি নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।’

২০১৯ সালে উইওয়ার্ক কোরিয়ার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চামিন জিউনকে বিয়ে করেন ক্লাউডিয়া। দুজনের সংসারে এক মেয়েসন্তান রয়েছে।

দ্য আটিপিক্যাল ফ্যামিলিসহ বেশ কয়েকটি আলোচিত ড্রামায় অভিনয় করেছেন এই তারকা অভিনেত্রী। কোরীয় সিনেমায়ও অভিষেক ঘটছে তার। আগামী ৯ অক্টোবর মুক্তি পাবে কিমের প্রথম সিনেমা ‘আ নরমাল ফ্যামিলি’।

সূত্র: ইত্তেফাক




দর্শনায় বিজিবির অভিযান সাড়ে ২৩ লাখ টাকাসহ আটক ২

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে হুন্ডির ২৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকাসহ দু’জনকে আটক করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার দর্শনা পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে হুন্ডির টাকাসহ দু’জনকে আটক করে বিজিবি।

আটককৃতরা হলো- চুয়াডাঙ্গা জেলার সুবদিয়া গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম (২৬) এবং একই জেলার জয়নগর গ্রামের মৃত মস্তর আলীর ছেলে মো. শওকত (৫২)।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সারে ৭ টার সময় বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানের (পিএসসি) পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনস্থ দর্শনা বিওপির টহল কমান্ডার নায়েক মো. জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার অন্তর্গত সীমান্ত হতে আড়াই কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শ্যামপুর তিন রাস্তার মোড়ে অবস্থান নেয়। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে দু’জন ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেলযোগে সীমান্ত এলাকা দিয়ে দর্শনার দিকে আসতে দেখলে বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে।

এ সময় বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া করে একটি কালো রঙের ব্যাগসহ তাদেরকে আটক করে। পরবর্তীতে আটককৃত আসামীসহ ব্যাগটি তল্লাশি করে নগদ ২৩ লাখ ৪৮ হাজার ১০০ টাকা, ১ টি মোটরসাইকেল এবং ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। আটক দু’জনকে টাকাসহ দর্শনা থানায় হস্তান্তর করতঃ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।