সংরক্ষিত নারী আসনে আ’লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন মেহেরুন্নেসা বিউটি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন কুষ্টিয়া-৩ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন মহিলা শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক মেহেরুন্নেসা বিউটি।

তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আমজাদ আলী খানের সহধর্মিনী।

গতকাল বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন। তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর সবার কাছে দোয়া চান।

সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হওয়ার ইচ্ছা আগেই প্রকাশ করেছিলেন মেহেরুন্নেসা বিউটি। তিনি বলেন, আমি দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছি আমার বিশ্বাস দল আমাকে এবার মনোনয়ন দিবে।’

তিনি আরও বলেন, আমি মহিলা শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। ‘দলীয় মনোনয়ন পেলে নারীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। সে কারণেই সংরক্ষিত নারী আসনের দলীয় মনোনয়ন চাই। আমার বিশ্বাস,এই দায়িত্ব পালন করার মতো যোগ্যতা আমার আছে।’ ছাত্রী জীবন থেকে বর্তমান রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত।

১৯৮৬ সালে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ শাখায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভানেত্রী, ১৯৮৮ সালে মিলপাড়া পৌর ৪নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা দায়িত্ব পালন করেন, ১৯৯১ সালে কুষ্টিয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য পদ লাভ করেন (সেসময় সম্মেলনে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন), ১৯৯৮ সালে কুষ্টিয়া লালন একাডেমী আজীবন সদস্য পদ লাভ করেন, ২০০১ সালে কুষ্টিয়া নব যুবক ক্রীড়া চক্রের সহ-সভানেত্রী (জেলা ক্রীড়া সংস্থা অন্তর্ভূক্ত ক্লাব), ২০০৩ সালে কুষ্টিয়া আলী ইমাম ক্রীড়া চক্রের সহ-সভানেত্রী (জেলা ক্রীড়া সংস্থা অন্তর্ভূক্ত ক্লাব), ২০০৯ সালে কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা লাভ করেন, ২০১০ সালে কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন, ২০১৪ সালে কুষ্টিয়া পৌরসভা কর্মচারী এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ) নির্বাচিত নির্বাহী সদস্য, ২০১৫ সালে কুষ্টিয়া জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ মাস্টার্স এ্যাথলেটিকস্ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ মাস্টার্স এ্যাথলেটিকস্ দলে ১৯তম এশিয়া মাস্টার্স এ্যাথলেটিকস্ সিঙ্গাপুর সহকারী টিম ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন।

ভারতে মাহিশুরে টিম ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্ব পালন, ২০১৭ সালে কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের কাউন্সির অধিবেশনের মাধ্যমে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, ২০১৮ সালে কুষ্টিয়া আলী ইমাম ক্রীড়া চক্র সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন (জেলা ক্রীড়া সংস্থা অন্তর্ভুক্ত), ২০২০ সাল থেকে সহ-সভাপতি মহিলা শ্রমিক লীগ, কেন্দ্রীয় কমিটির পদ লাভ করেন, এরপর ইউনিয়ন নেটওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল লিয়াজো কাউন্সিল (টঘওইখঈ) কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন।

এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।




কোটচাঁদপুরে গ্রাহকের প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিলো,৩ টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান

৪ বছরে কোটচাঁদপুর থেকে গ্রাহকের ১২ কোটি ৪২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন,৩ টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে রয়েছে আল – আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের আউটলেট,ব্যাংক এশিয়া’র আউটলেট ও আজিজ কো-অপারেটিভ কর্মাস এন্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেড। ওই ঘটনায় আদালতে মামলা হলেও মূল হোতারা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। গ্রাহকররা ফেরত পাননি ব্যাংকে লগ্নি করা টাকা। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি ভুক্তভোগীদের।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,গেল ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কোটচাঁদপুরে আল – আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের আউটলেটের শাখা খোলা হয়। এই আউটলেট শাখার দ্বায়িত্বে ছিলেন,আহসানগীর (সাবলু)। অল্প দিনেই ব্যাংকের সু-নাম ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে।

সেই সুযোগে ব্যাংকের গ্রাহকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন (সাবলু)। অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখান গ্রাহকদের। ওই সময় ১৩ জন গ্রাহকের কাছ থেকে পৃথক স্ট্যাম্প করে হাতিয়ে নেন ১১ কোটি টাকা। এ ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গা ঢাকা দেন আহসানগীর ( সাবলু)।

ওই ঘটনায় গ্রাহকদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার ভূট্রো নামের এক যুবক ও কোটচাঁদপুরের আল- আমিন আদালত মামলা করেছেন। গ্রাহক ভূট্রোর মামলায় আদালতে সাজাও হয়েছে আহসানগীরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী আল-আমিন।

তিনি বলেন, আহসানগীরের কথামত সরল বিশ্বাসে আমি ব্যাংকে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা দিয়ে ছিলাম। চুয়াডাঙ্গার ভুট্টো নামের আরেক গ্রাহক দিয়ে ছিল ৩০ লাখ। এ ভাবে তিনি ১৩ জন গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ১১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ভূট্রো ও আমি আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এরমধ্যে ভূট্রোর মামলায় সাজাও হয়েছে সাবলুর।

সে মহেশপুর উপজেলার কাকিলা দাড়ি গ্রামের আমিনুর রহমান ছেলে। এরপর ২০১৯ সালে ব্যাংক এশিয়া’র আউটলেট খোলা হয় কোটচাঁদপুরে। ওই সময় ব্যাংকের দায়িত্বে ছিলেন কোটচাঁদপুর শহরের মৃত কাওসার মন্ডলের ছেলে মনিরুল ইসলাম। এরপর ২০২১ সালের ব্যাংকের দায়িত্ব নেন তাঁর বড় ভাই জেলা পরিষদের সদস্য রাজিবুল কবির (রাজিব)। ওই সময় তাঁর অনুরোধে কোটচাঁদপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রোকনুজ্জামান মাসিক মুনাফা সঞ্চায়ী হিসাব খোলা হয়। যার হিসাব নাম্বার ১০৮২৭৪৪০০০০০৮,১০৮২৭৪৪০০০০০৯। পরে ওই হিসাব নাম্বারে ৪০ লাখ ও ১০ লাখ টাকা রাখা হয়। ওই গ্রাহককে বলা হয়েছিল জমাকৃত টাকার প্রতি মাসে ৩৫ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেবেন ব্যাংক।

সে অনুযায়ী হিসাব নাম্বার গুলিতে ৩ বছরে লভ্যাংশ ও মূলধনসহ প্রায় ৬৩ লাখ টাকা জমা হওয়ার কথা।অথচ ২০২৩ সালের জুলাই মাসে দেশে ফিরে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে জানতে পারি প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার ব্যাংকের ৩ টি হিসাব নাম্বারের টাকা গায়েব হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে ভূক্তভোগী রোকনুজ্জামান (রোকন) এজেণ্ট ব্যাংকিং ডিভিশন,ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড ঢাকা,ব্যাংক এশিয়া ঝিনাইদহ শাখা ও বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

রোকন বলেন,গেল ২০ বছর ধরে কুয়েতে ছিলাম। ২০১৯ সালে দেশে এসে কোটচাঁদপুর ব্যাংক এশিয়া এজেণ্ট ব্যাংকে একটি সঞ্চায়ী হিসাব খুলে লেনদেন করেছিল। যার হিসাব নং-১০৮৩৪৪৪০০৬১০৬। এ সময় এজেণ্ট ব্যাংকিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন কোটচাঁদপুর শহরের মৃত কাওসার মন্ডলের ছেলে মনিরুল ইসলাম। ২০২০ সালের ২ মার্চে ব্যাংক এশিয়ার এজেণ্ট আউটলেটে আরো দুইটি মাসিক মুনাফা সঞ্চায়ী হিসাব খোলা হয়।
হিসাব নং- ১০৮২৭৪৪০০০০০৮,১০৮২৭৪৪০০০০০৯। পরে ওই হিসাব নাম্বারে ৪০ লাখ ও ১০ লাখ টাকা রাখা হয়।

আমাকে বলা হয়েছিল জমাকৃত টাকার প্রতি মাসে ৩৫ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেবেন ব্যাংক। সে অনুযায়ী হিসাব নাম্বার গুলিতে ৩ বছরে লভ্যাংশ ও মূলধনসহ প্রায় ৬৩ লাখ টাকা জমা হওয়ার কথা। রাজিবুল ইসলাম কোটচাঁদপুরের জগদীশপুর গ্রামের মৃত কাওসার আলীর ছেলে।

এর আগে ২০২০ সালে কোটচাঁদপুরে আজিজ কো-অপারেটিভ কর্মাস এন্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেড ৩৭ জন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৭৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে কর্তৃপক্ষ উধাও হয়ে যান। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গ্রাহকরা টাকা ফেরতের দাবীতে ওই সময় মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচীও পালন করেন।

এ ভাবে গেল ৪ বছরে কোটচাঁদপুর থেকে গ্রাহকের ১২ কোটি ৪২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন,৩ টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ওই ঘটনায় আদালতে মামলা ও হোতারা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। গ্রাহকরা ফেরত পাননি ব্যাংকে লগ্নি করা টাকা।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নিকট তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।




ঢাকায় নিয়োগ দেবে আগোরা

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আগোরা। প্রতিষ্ঠানটিতে সেলসম্যান পদে এই নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

সেলসম্যান।

যোগ্যতা

প্রার্থীকে এসএসসি পাস হতে হবে। প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ। বয়স: ১৮-৩২ বছর।

কর্মস্থল

ঢাকা (উত্তরা, কাকরাইল, খিলক্ষেত, গ্রীন রোড, গুলশান, ধানমন্ডি, ফার্মগেট, বনশ্রী, মগবাজার, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, সেগুনবাগিচা)

বেতন

৭,৫০০-৯,০০০ টাকা।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীদের বিডিজবস অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের তারিখ

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সূত্র : বিডিজবস




যেসব কারণে নড়তে পারে দাঁত

ছোটদের দুধ দাঁত নির্দিষ্ট সময় পর নড়ে গিয়ে পড়ে সেখানে স্থায়ী দাঁত ওঠার প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক হলেও স্থায়ী দাঁত নড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক নয়।

কোনো না কোনো অস্বাভাবিক কারণে স্থায়ী দাঁত নড়ে যায় বা পড়ে যায়। মুখের সঠিক পরিচর্যার নিয়মিত অনুশীলন দাঁতের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে, সুস্থ দাঁত শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার অন্যতম শর্ত।

দাঁত নড়ে যাওয়ার নানাবিধ কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-

* দাঁতের ধারক কলাতে প্রদাহ : প্রতিটি দাঁত মাড়ি ও চোয়ালের হাড়ের সাহায্যে নিজ অবস্থানে দৃঢ়ভাবে আটকে থাকে। সঠিক উপায়ে নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করলে অথবা যাদের দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকে তারা ফ্লস বা ইন্টার ডেন্টাল ব্রাশ ব্যবহার না করলে ক্রমান্বয়ে দাঁতের ধারক কলাতে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি উলটোদিক দিয়েও ঘটতে পারে, যেমন কোনো আক্রান্ত দাঁতের সংক্রমণ দাঁতের মধ্যকার মজ্জাকে নষ্ট করে চোয়ালের হাড়ের মধ্যে প্রবেশ করে নানা ধরনের প্রদাহ, সিস্ট বা টিউমার করতে পারে যেখান থেকে ধারক কলা নষ্ট হয়ে দাঁত নড়ে যেতে পারে।

* আঘাত : দুর্ঘটনা বা সংঘর্ষ থেকে মুখে আঘাত পেলে দাঁত নড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে সড়ক দুর্ঘটনা, বাসায় ছোট বাচ্চাদের কাছ থেকে আঘাত, একে অপরকে আঘাত করা, খেলার সময় পড়ে গিয়ে নতুবা ক্রিকেট খেলায় মাউথ গার্ড ব্যবহার না করার কারণে বল লেগে দাঁত নড়ে যেতে পারে। জোরে শক্ত কোনো কিছু কামড় পড়লেও দাঁত নড়তে পারে।

* হরমোনের প্রভাব : প্রোজেস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন হরমোনের আধিক্যের জন্য প্রেগনেন্সির সময় ও মেনোপোজে হাড় ক্ষয় হয়ে দাঁতের মবিলিটি আসতে পারে।

* অসম কামড় : আমাদের মধ্যে অনেকের অনিয়ন্ত্রিতভাবে দাঁতে দাঁত ঘষা বা কামড়ানোর বদভ্যাস আছে, যাকে ব্রুকসিজম বলা হয়। আবার অনেকের দাঁত এলোমেলো, উঁচুনিচু বা বাঁকা। এসব ক্ষেত্রে দাঁত পরিষ্কার রাখা কষ্টসাধ্য ও কোনো কোনো দাঁতে অতিরিক্ত চাপ পড়ার সম্ভাবনা থাকে, ফলে দাঁত নড়ে যেতে পারে।

* হাড় ক্ষয় রোগ : অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ঘনত্ব কমে হাড় ক্ষয় অনেকের মধ্যেই দেখা য়ায়। ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি স্বল্পতায়ও হাড় ক্ষয় হতে পারে। হাড় ক্ষয় শরীরের সব হাড়কেই দুর্বল করে, তখন চোয়ালের হাড়ও ক্ষয় হয়ে দাঁত নড়ে যেতে পারে।

* চিকিৎসা থেকে : ভুল চিকিৎসায় ফিলিং বা ক্যাপের সঙ্গে স্বাভাবিক কামড় না মিললে বা পাশের দাঁতের সঙ্গে সংযোগ যথাযথ না হলেও দাঁত নড়ে যেতে পারে।

* অন্যান্য রোগ : শারীরিক ক্রনিক রোগ, বিশেষ করে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ক্যানসার, শ্বাসকষ্ট, ভিটামিনস মিনারেল বা অতিরিক্ত রক্ত স্বল্পতা বা কিছু ওষুধের পার্শ্বপতিক্রিয়া যেমন উচ্চরক্তচাপ, বিষণ্নতা, ধূমপান থেকেও মাড়িতে প্রদাহের মাধ্যমে দাঁত নড়ে যেতে পারে।

* সঠিক চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়

প্রকৃত পরিচর্যার মাধ্যমে দাঁতকে সুস্থ ও মজবুত রাখা সম্ভব আজীবন। সঠিক পরিচর্চা বলতে সকালে নাস্তার পর ও রাতের খাবার শেষে দুমিনিট ধরে প্রতিটি দাঁতের পাঁচটি পৃষ্ঠকে পরিষ্কার করা, টুথপিক বা কাঠির পরিবর্তে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার, খাদ্য তালিকায় চিনির তৈরি মিষ্টিজাতীয় খাবারের পরিবর্তে মৌসুমি তাজা শাকসবজি, ফলমুল, দুধ, টকদই, ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছসহ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সিযুক্ত খাবারে উৎসাহিত হতে হবে। কোনো উপসর্গ না হলেও বছরে কমপক্ষে একবার ডেন্টাল চিকিৎসকের পরামর্শের বিষয়ে জোর তাগিত দেওয়া হয়। মুখ শুষ্ক বা অন্যান্য রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।

মাড়ি ফোলা, বা রক্ত পড়া অনুভূত হলেই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে স্কেলিংয়ের মাধ্যমে নিরাপদভাবে দাঁতের পৃষ্ঠে জমে ওঠা ব্যাকটেরিয়াল প্ল্যাক বা ক্যালকুলাস দূর করতে হবে। তবে অবহেলা বা অধিক বিলম্ব হলে অনেক সময় রুট প্ল্যানিং, গ্রাফটিং, কামড় শুদ্ধকরন, বাইট প্লেট, স্প্লিনটিং-এর মতো চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে।

দাঁত হারালে কৃত্রিম দাঁত সংযোজন অতি জরুরি, তা না হলে অন্য দাঁত নড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সূত্র: যুগান্তর




রংতুলি ডিলিজেন্ট একাডেমী স্কুলে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

রংতুলি ডিলিজেন্ট একাডেমী স্কুলে নবীন বরণ, বিদায়,পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রংতুলি ডিলিজেন্ট একাডেমী স্কুল চত্বরে এসকল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রংতুলি ডিলিজেন্ট একাডেমী স্কুলে পরিচালক মোঃ রাশেদ খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড.মহা: আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র মোঃ মাহফুজুর রহমান রিটন। এছাড়াও স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় স্কুলের নতুন শিক্ষার্থীদের মিষ্টি খাইয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।




শিল্পকলায় আহমেদ রুবেলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

বাংলা নাটক ও চলচ্চিত্রের শক্তিশালী অভিনেতা আহমেদ রুবেল (৫৫) মারা গেছেন। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। গণমাধ্যমকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা নুরুল আলম আতিক।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় অভিনেতা আহমেদ রুবেলের মরদেহ শিল্পকলা একাডেমিতে আনা হয়। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভিন্ন সংগঠন। তার আত্মার শান্তি কামনা করেন সহকর্মী, অগ্রজ, অনুজরা।

এরপর গাজীপুরে নেয়া হয় আহমেদ রুবেলের মরদেহ, সেখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন এ অভিনেতা।

কথা ছিল নিজের সিনেমার প্রিমিয়ারে আসবেন, সহকর্মীদের সাথে দেখবেন ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমাটি। এসেছিলেন কিন্তু দেখা হয়নি কারো সাথে। কারণ সিনেমা শুরুর আগেই নিয়তির কাছে হার মানলেন গুণি অভিনেতা আহমেদ রুবেল।

মঞ্চ, টেলিভিশন আর সিনেমার দর্শকপ্রিয় মুখ ছিলেন আহমেদ রুবেল। তার অকাল প্রয়াণের শূন্যতা পূরনীয় নয়, বলছেন সংস্কৃতিজনরা।

সেলিম আল দীনের ‘ঢাকা থিয়েটার’ থেকে আহমেদ রুবেলের অভিনয় জীবন শুরু। তার অভিনীত প্রথম নাটক গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নযাত্রা’। হুমায়ূন আহমেদের ‘পোকা’ নাটকে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান রুবেল। তিনি চলে গেছেন, রেখে গেছেন তার কাজ। কাজ দিয়েই আহমেদ রুবেল থাকবেন শোবিজ কর্মীদের অন্তরে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে নিখোঁজের এক দিন পর মানসিক প্রতিবন্ধীর লাশ উদ্ধার

মুজিবনগরে নিখোঁজের এক দিন পর ভুট্টা ক্ষেত থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী আয়ুব আলীর লাশ উদ্ধার করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার ( ০৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজার হাটের পশ্চিমে তারের কোল নামক মাঠে মানিকনগর গ্রামের আলী মল্লিকের কলা ক্ষেতে কাজ করার সময় সুজয় নামের লেবার পাশে বল্লভপুর গ্রামের হুদা মাষ্টারের ভুট্টা ক্ষেতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে আশে পাশের লোকজনকে খবর দিলে লোকজন এসে সনাক্ত করে এটি আইয়ুব আলীর লাশ। পরে মুজিবনগর থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ এসে লাশ হেফাজতে নেয়।

থানা পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

মৃত আয়ুব আলীর পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে গত ১৫ দিন থেকে তার মাথার সমস্যা দেখা দিয়েছিল। গতকাল বুধবার সকাল দশটার দিকে সে বাড়ি থেকে বের হয় দুপুরে বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। বিকেলে এলাকায় তার নিখোঁজের জন্য মাইকিং করা হয়। সাথে চলতে থাকে খোঁজাখুঁজি সকালে খোঁজ পেয়ে এসে দেখে ভুট্টা ক্ষেতে তারা লাশ পড়ে আছে।

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল দত্ত জানান,খবর পেয়ে লাশ পুলিশ হেফাজতে নেয়। লাশের কিছু অংশ শিয়াল বা অন্য কোন প্রাণীতে খেয়ে ফেলেছে এবং পাশে একটি বিষের বোতল পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যায়নি এটা হত্যা না অন্য কিছু লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে উপকৃত ঘটনা সম্পর্কে।

এ দিকে মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক (পিপিএম বার, বিপিএম) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।




অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত

২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয় ভুটানে, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ২০২১ সালে এই টুর্নামেন্টই অনূর্ধ্ব-১৯ বছরের খেলোয়াড়দের নিয়ে, সেবারও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০২২ সালে আবার অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সের খেলোয়াড়দের নিয়ে হয়, প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত, রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে অনূর্ধ্ব-২০ বছর বয়সের খেলোয়াড়দের নিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ হয় বাংলাদেশে। সেবারও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

এ বছর আবার সেই সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ বছর বয়সী খেলোয়াড়দের নিয়ে হচ্ছে। আবার বাংলাদেশ ফাইনালে খেলছে। ভারতের বিপক্ষে তিনবার ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ভারতকে হারিয়ে একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। নেপালকে হারিয়ে দুই বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন সময় বয়স পরিবর্তন হলেও চারবারই বাংলাদেশ ফাইনাল খেলেছে এবং আজকে চতুর্থবার নারী ফুটবলের এই ফাইনালে খেলছে বাংলাদেশ।

এসবের দিকে নজর নেই ভারতের। ভারতীয় নারী কোচ শুক্লা দত্ত জানিয়েছেন তারা সাফের প্রতিশোধ নিতে এসেছেন। মরিয়া হয়ে টুর্নামেন্টে লড়াই করছেন। একই সঙ্গে এটাও বলছেন এই টুর্নামেন্টের অতীতে কি হয়েছে সেটা নিয়েও তিনি ভাবছেন না। কোচ বলেন, ‘আমরা ভয় পাচ্ছি না। আমার মেয়েরা বুঝতে পারছে তারা কোথায় ভুল করেছে। আমি উইনিং মেন্টালিটি নিয়ে চলি। মেয়েদের মধ্যেও সেটি দেওয়ার চেষ্টা করি।’

ফরিদপুরের মেয়ে শুক্লা দত্ত। বাংলাদেশে আসলে তিনি নিজের দেশ মনে করেন। কিন্তু খেলার যুদ্ধে এসে তার দলের বাইরে অন্য কিছু ভাবতে রাজি না। তাই পদ্মা ব্রিজ হয়ে এক ঘণ্টার পথ হলেও একবারও বাপ-দাবার ভিটেয় উকি দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি শুক্লা দত্ত। তিনি বলেছেন, ‘আমি দল নিয়ে ভাবছি। যখন গুরুতে আসব তখন দেখা যাবে।’

চার দলের লড়াইয়ে ভারত তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে, বাংলাদেশও তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হবে তারা নিজেদের মাঠে খেলছে। কোচ সাইফুল বারী টিটু জানিয়েছেন নিজেদের মাঠে খেললেও প্রয়োজনের সময় কতোটুকু সুবিধা নিতে পারল সেটাই প্রমাণ করতে হবে। নিজের মাঠে সারা বছর অনুশীলন হয়। মাঠ চেনানোর কোনো সুযোগ নেই। নিজেদের মাঠের সুবিধা সময়মতো কাজে লাগাতে পারলে মাঠের এডভান্টেজ নেওয়ার গুরুত্ব থাকবে।’

নেপালকে হারিয়েছে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ, দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট সেদিনই নিশ্চিত করেছিল অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার, সুরমা জান্নাত, স্বপ্না রানী, পূঁজা দাস, সাগরিকা, মুনকি আক্তার, উমেহ্লা মারমা, বন্যা খাতুন, জয়নব বিবি, সাগরিকারা। ভুটানের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ৯ ফুটবলারকে বসিয়ে বেঞ্চের ৯ ফুটবলারকে নামান কোচ। তাতেও বাংলাদেশ বারুদ ফুটবল খেলল। লিমা, সুলতানা, নাদিয়া, রিতু, মিতু, ঐশী, জুথী, তৃষ্ণা রানী, রুমা, কানন রানীরা বেঞ্চ থেকে উঠে এসে ৪-০ গোলে ভুটানকে হারিয়ে দিলেন। বেঞ্চের মেয়েরাও দারুণ ফুটবল খেলল।

বিশ্রামে থাকা মুল দলটি নতুন উদ্যামে আজ মাঠে নামবে। ভারত কতোটুকু শক্তিশালী তার প্রমাণ মিলবে আজ। তাদের ঘরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ৮ জন ফুটবলার রয়েছেন বলে মঙ্গলবার নেপালকে হারিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষে বলছিলেন। শুক্লা দত্ত বাংলাদেশকে দেখেছেন। তারা দলের সঙ্গে বিশ্লেষক এনেছে। বাংলাদেশ কোথায় দুর্বল এবং কোথায় শক্তিশালি তা নিয়ে ছক এঁকেছেন। এখন সেটি মাঠে প্রমাণ করার পালা। অন্য দিকে কোচ টিটু একটা কথা বলেছেন, ‘মেয়েরা ভেতরে শক্তি আছে। মানসিক শক্তি আছে। এখন সেটা কাজে লাগানোর অপেক্ষা।’




মিরপুরে নির্মাণকৃত ওয়াটার টাওয়ার পরিদর্শনে ফুটস্টেপ্সের চেয়ারম্যান

মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের স্কুলে নির্মাণকৃত ওয়াটার টাওয়ার পরিদর্শন করেছেন ফুটস্টেপ্স এর চেয়ারম্যান শাহ রাফায়েত চৌধুরী।

আজ বুধবার দুপুরে মিরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় সহ কয়েকটি বিদ্যালয়ে স্থাপন করা ওয়াটার টাওয়ারগুলো পরিদর্শন করেন।

এছাড়াও কয়েকটি বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় মনোনিবেশ করতে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এসময় জনপ্রিয় ইউটিউবার ও ব্লগার নিওন, মিরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামানসহ ফুটস্টেপ্স এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরআগে সকালে ফুটস্টেপ্স এর মিরপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে পৌঁছালে ফুটস্টেপস এর চেয়ারম্যান শাহ রাফায়েত চৌধুরীসহ অন্যান্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, মাত্র ১৭ বছর বয়সে ২০১৩ সালে ফুটস্টেপস বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন শাহ রাফায়েত চৌধুরী। এর লক্ষ্য ছিলো এমন সব সামাজিক উদ্যোগের পরিকল্পনা করা যেগুলো কেবল বিদ্যমান চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে না বরং ত্রাণ নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশে টেকসই ও প্রাণোচ্ছ্বল সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৬টি জেলার এক লাখেরও বেশি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছে ফুটস্টেপ্স।

এসব মানুষের জন্য নিরাপদ খাবার পানি, দুর্যোগ মোকাবিলা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্য কর্মসূচির ব্যবস্থা করেছে সংস্থাটি।

প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে তরুণ বিশ্ব নাগরিকদের জন্য প্রবর্তিত এএফএস পুরস্কার লাভ করেন বাংলাদেশের ২৪ বছর বয়সী পরিবেশবাদী ও সামাজিক উদ্যোক্তা শাহ রাফায়েত চৌধুরী। উন্নয়ন খাতে অসামান্য অবদান রাখায় বিশ্বের হাজার হাজার তরুণদের মধ্য থেকে এই পুরস্কারের জন্য তাকে মনোনীত করা হয়। রাফায়েত বাংলাদেশের সুপরিচিত সামাজিক ব্যবসায়িক উদ্যোগ ফুটস্টেপস বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এবং সহ প্রতিষ্ঠাতা।




আলমডাঙ্গার পারলক্ষীপুরে কলেজছাত্রীর আত্ম*হ*ত্যা

আলমডাঙ্গা উপজেলায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে রেশমা খাতুন (১৭) নামের এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় তার নিজ ঘর বন্ধ করে ঘাস মারা বিষপান করেন। পরে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের নিকট নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রেশমা খাতুন উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নের পারলক্ষীপুর গ্রামের জরিপ হোসেনের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে কলেজছাত্রী রেশমা তার মা সাহেদা খাতুনের সাথে মাছ কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে নিজ ঘরে দরজা বন্ধ করে ঘাস মারা বিষপান করে আত্নহত্যা করে। পরে সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো প্রস্তুতি চলছিল। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রেশমার মা বলেন, আমার মেয়ে সরোজগঞ্জের তেতুল শেখ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। অভাবের সংসারে তার লেখাপড়ার খরচ জোগাতে সে নিজেই সেলাই মেশিনের কাজ করে। তাকে মাছ কাটতে বলায় আমার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। আমার উপরে অভিমান করে, দুরে চলে গেলো।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) একরামুল হুসাইন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।