বাবা-মার পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন খালিদ

বাবা-মার পাশেই সমাহিত হলেন চাইম ব্যান্ডের মূল ভোকাল ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ। আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাদ জোহর গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদে তার আরেকটি জানাজা শেষে শহরের গেটপাড়ার কবরস্থানে বাবা-মার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হন তিনি।

পুরো নাম খালিদ সাইফুল্লাহ। যিনি খালিদ নামেই অধিক পরিচিত। গতকাল সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খালিদের মৃত্যুতে দেশের সংগীতভুবনে শোকের ছায়া নেমে আসে।

গতকাল রাত ১১টায় ঢাকার গ্রিন রোড জামে মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে খালিদের মরদেহ নিয়ে রাতেই গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা করে স্বজনরা। রাত সাড়ে ৩টায় গোপালগঞ্জ শহরের বাসায় পৌঁছায় খালিদের নিথর দেহ।

১৯৬৫ সালে গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এ শিল্পী ১৯৮১ সাল থেকে গানের জগতে পা রাখেন। ১৯৮৩ সালে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন। এখান থেকেই তার খ্যাতির শুরু। তার গান এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘আবার দেখা হবে’, ‘তুমি নেই তাই’ ইত্যাদি।

সূত্র: ইত্তেফাক




আলমডাঙ্গায় পাম্প সচলের দাবিতে কৃষক জোটের মানববন্ধন

জিকে সেচ প্রকল্পের অকেজো পাম্প দ্রুত সচলকরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষক জোট।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে পৌর এলাকার পানি শূণ্য জিকে খালের মধ্যে অবস্থান করে এ মানববন্ধন করেন। এতে অংশ নেন সেচ খালের আওতাধীন কয়েক শতাধিক কৃষক। ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি থেকে এ অঞ্চলে প্রত্যেক কৃষকের বোরো ধানের জমিতে সেচের পানি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন কৃষক জোটের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী, উপজেলা কৃষক জোটের সভাপতি এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস উষা, মহাসিন আলী, কৃষক জোটের ডাউকি ইউনিয়ন সভাপতি মোজাম্মেল হক, কালিদাসপুর ইউনিয়ন সভাপতি হাসানুজ্জামান রিপন, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান খাঁন, সদস্য মজিরন নেছা, তাপসি খাতুন, তহমিনা বেগম। কৃষক জোটের প্রকল্প সমন্নয়কারী মশিউর রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা আসমা হেনা চুমকি, রিসোর সমন্নয়কারী দারুল ইসলাম, কৃষক জোটের মাঠ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার কৃষকের বোরো মৌসুমে ধান চাষ জিকে খালের পানির উপর নির্ভরশীল। এই অঞ্চলের কৃষকদের দিনের পর দিন অবহেলা করা হচ্ছে। তাঁরা ঠিকমতো পানি পাননি। অতিকষ্টে তাঁদের ফসল ফলাতে হয়। মৌসুমের শুরুতেই সেচ পানি সংকটে রয়েছে। দীর্ঘদিন সেচ পাম্প নষ্টের অজুহাতে কৃষকদের দুর্ভোগে ফেলে হয়রানীর অভিযোগও করেন।

উপস্থিত কৃষক আব্দুল ওহাব আলী বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে সেচ খালে পানি সরবরাহ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলার জিকের অধীনে সেচের জমি আছে ১ লাখ ৯৭ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে বোরো ৩৫ থেকে ৪০ হাজার; আমন ৫০ থেকে ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়।

ভেড়ামারায় প্রধান পাম্প হাউসের দুটির মধ্যে ২০২২ সাল থেকে একটি নষ্ট। অন্যটি দিয়ে পানি সরবরাহ করা হচ্ছিল। ফেব্রুয়ারির শুরুতে চুয়াডাঙ্গায় পানি দিলে চাষিরা বোরো রোপণ করেন। ২১ দিনপর আবারো সচল সেচ পাম্পটিও অকেজো হয়ে পড়ে। সেচ পানি না পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রায় দুইশত হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়ে পড়েছে। দ্রুত সেচ পাম্প সংস্কার করে পানি দেওয়ারও দাবি জানান তাঁরা।




মেহেরপুরে নাশকতা মামলায় বিএনপির ৭ নেতার জামিন

নাশকতার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও অঙ্রগ সংগঠনের ৭ নেতা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকালে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাসের আদালতে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন দেন।

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও আমঝুপি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহাবুব আলম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজিদ, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রায়হান, আমঝুপি ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাফিজুর রহমান।

এদিকে বিএনপি সহযোগী সংগঠনের এই ৭ নেতা সন্ধ্যায় কারাগার থেকে বের হলে কারাফটকে ফুলের মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন তাদের ফুলের মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এর আগে একই মামলায় সাবেক সাংসদ মাসুদ অরুন জামিনে মুক্তি লাভ করেন।

২০২৩ সালে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে সরকার বিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় নাশকতার অভিযোগ এনে সদর থানা পুলিশ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে।

মামলা দুটিতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহাবুব আলম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজিদ, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রায়হান, আমঝুপি ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাফিজুর রহমানকে আসামি করা হয়।

মামলায় মাসুদুর রহমানসহ অন্যান্যরা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন।

গত ১০ মার্চ দুপুরে মেহেরপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক আবু বক্কর সিদ্দিক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন বলেন, সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে তাদের মিথ্যা মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জেলে যান।




গরমে সুস্থ থাকতে হতে হবে সচেতন

রমজানের শুরু আর বাড়ছে গরমের দাবদাহ। গরমের তীব্রতা বাড়ায় বেশির ভাগ মানুষই যেন কাহিলও হয়ে পড়ছেন। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। এই গরমে সারা দিনের কর্মব্যস্ততায় ঘেমে নেয়ে মাথা ব্যথা, বমিভাব, শরীরে অস্বস্তি, ডায়রিয়া, অ্যালার্জি ও হিট স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত গরমে নিজেকে সুস্থ রাখতে সচেতন হতে হবে নিজেদেরই।

সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা উচিত । আর যেহেতু গরমকালে শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে পানি ও লবণ বের হয়ে যায় তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যালাইন, পানি ও ফলের রস খেতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। ডাবের পানিও এসময় অত্যন্ত উপকারী।

এছাড়া অত্যধিক মাত্রায় ঘাম হলে শরীর থেকে সব পানি বেরিয়ে যায়। তাতে পেটের সমস্যাও তৈরি হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে পেট ফুলে থাকে অনেকের। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়, বেশি পরিমাণে পানি পান করা। সেই সাথে শরবত ও তরল খাবার বেশি খাওয়া।

মেলাটোনিন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। অতিরিক্ত গরমে আমাদের শরীরের মেলাটোনিন উৎপাদন কমিয়ে দেয়। তার মাত্রা কমে গেলে আমাদের শরীরের ক্লান্তিভাব বেশি হয়।

কারণ, গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখার জন্য ঘাম হওয়া প্রয়োজন। আর সেটা করতে শরীরের যথেষ্ট পরিশ্রম হয়। তাই শরীর অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এ জন্য রোদে বের হওয়ার আগে ছাতা ব্যবহার করতে হবে সেই সঙ্গে সানগ্লাস।

শরীরে মেলাটোনিনের সংখ্যা কমে গেলে ঘুম আসতেও দেরি হয়। যেহেতু গরমে দিন বড় এ জন্য রাতে শরীর মানিয়ে নিতে সময় নেয়। ঘুম আসতে দেরি হয়। ঘুমের অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। ঘুমের সময় সঙ্গে ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখবেন না।

অনেকসময় শরীর হুট করেই তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে না। তাতেই জ্বর, ঠাণ্ডালাগা, মাথাধরার মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয়। এ জন্য প্রটেকশন নিয়ে তারপর বাইরে বের হওয়া উচিত

গরমে হালকা সুতির পোশাক পরাই ভালো। যাতে ঘাম হলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। এছাড়া ঢাকা জুতোর বদলে খোলা চপ্পল ব্যবহার করতে পারেন। গরমে বিয়ার, সোডা বা নরম পানীয় না খাওয়াই ভালো। এতে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা বে়ড়ে যায়। এডাড়া চা বা কফির পরিমাণও কমিয়ে ফেলা শরীরের জন্য খুব ভালো।

গরমে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং জ্বর, ঠান্ডার সংক্রমণ ঠেকাতে টিস্যু ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া এসময় বাইরে থেকে ফিরেই ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি সরাসরি পান করা যাবে না। এসি রুমে থাকলে তাপমাত্রা খুব বেশি না কমিয়ে বাইরের আবহাওয়ার সঙ্গে মিল রেখে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রিতে কমানো যায়।

এছাড়া গরমে জীবাণু হাত থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত হাত ধুয়া উচিত। এসময় ঘনঘন চোখ-নাকে হাত না দেয়া ভালো। আর হাত ধোয়ার পরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন এবং বারবার হাত ধুতে না চাইলে ব্যাগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা উচিত। এতে প্রয়োজনে হাতে লাগিয়ে নিতে পারেন।

শিশুকে গরমে প্রতিদিন গোসল করাতে ভুলবেন না। সামান্য কাশি হলেও করাবেন। সম্ভব হলে আদাপানি, তুলসীপানি খাওয়াতে পারেন। গোসলের পর অবশ্যই শিশূর চুলটা ভালোভাবে মুছে দিতে হবে। ঘেমে গেলেও ভালোভাবে চুলটা শুকনো করে মুছে দিন এছাড়া টানা কয়েক দিন থাকে তবে এসবের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




কিউআর কোড প্রতারণা থেকে বাঁচতে

কিউআর কোড ব্যবহারে এখন জীবন অনেকাংশেই সহজ হয়ে গেছে। কোনো তথ্য পাওয়া, কোনো সাইটে যাওয়া, কোনো কিছু করা এমনকি পেমেন্টের ক্ষেত্রেও কিউআর কোড অতি জরুরি ব্যবস্থা হয়ে পড়েছে। কিন্তু একই সময়ে কিউআর কোড প্রতারণাও বেড়েছে। এখন কিউআর কোড জেনারেট করা সহজ। সহজ বলেই যে কেউ চাইলেই এমন কোড বানাতে পারেন। আর এভাবে করতে গিয়েই তাদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে। এই বিপাক থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে।

কোম্পানির পরিচয় নিশ্চিত হোন
কোম্পানি বা সেবার ক্ষেত্রে প্রথমে তাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হোন। তাদের সবকিছু সম্পর্কে জেনেই এমন কোনো কিউআর কোড স্ক্যান করুন। প্রয়োজনে কল সেন্টারে কল দিয়ে নিশ্চিত হোন।

অবশ্যই ইউআরএল দেখুন
প্রথমে দেখুন লিংকে https:// দিয়ে শুরু হচ্ছে কি না। তা না হলে সেটি সুরক্ষিত না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

অচেনা কেউ হলে
অচেনা কেউ হলে তাদের সঙ্গে লেনদেনের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিষয়গুলো ভেবে দেখুন। নেট বা ব্যাংকিং ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো ভেবে দেখা জরুরি অবশ্যই। অনেক সময় পাওনা টাকা দেয়ার ক্ষেত্রে কিউ আর জেনারেট করে দেওয়া হয়। এই কোড জেনারেট করে দেওয়া হয় কোনো সাইট থেকে। এসব সাইট থেকে জেনারেট করা কোড স্ক্যান না করাই ভালো। তথ্য চুরি হওয়ার শঙ্কা থাকে।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে ১২ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

১২ টি মামালায় বিভিন্ন মেয়াদে ১২টি সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামী শেখ লুৎফর রহমান জুয়েল(৩৩)কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) এর সিপিস-৩ মেহেরপুর ক্যাম্প।

শেখ লুৎফর রহমান জুয়েল সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নাজিমগঞ্জ বাজার এলাকার মোঃ আব্দুল ওহাবের ছেলে।

আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোররাতের দিকে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) এর সিপিস-৩ মেহেরপুর ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কেদারগঞ্জ বাজারের মহিলা কলেজ রোডে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) এর সিপিস-৩ মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মনিরুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃত জুয়েল সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থানার সিআর-২২৮/১৯, সিআর-৩৩৭/১৯, সিআর-৭০/১, সিআর-১৯৭/১৯, সিআর-৫৫/১৯, সিআর-৩১৫/১৯, সিআর-৩৪২/১৯, সিআর-৩৩৬/১, সিআর-৩২৩/১৯, সিআর-৪২৪/১৯, সিআর-৩২০/১৯, সিআর-৩৪১/১৯ নং মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত। সে দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কালীগঞ্জ থানায় হস্তাস্তর করা হয়েছ।




আইপিএল খেলতে দেশ ছেড়েছেন মোস্তাফিজ

কিছুদিন পরই পর্দা উঠছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসরের। এবারের আসরে একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে দল পেয়েছেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে মাঠে নামবেন এই টাইগার পেসার।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আইপিএলে খেলার উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন মোস্তাফিজ। দেশ ছাড়ার আগে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই টাইগার পেসার লেখেন, ‘নিজের নতুন দায়িত্বে জন্য উত্তেজনা নিয়ে অপেক্ষা করছি। ২০২৪ সালের জন্য চেন্নাইয়ের পথে। প্রার্থনায় রাখবেন, যেন নিজের সেরাটাই দিতে পারি।’

নিলামে ২ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে ভেড়ায় চেন্নাই সুপার কিংস। বাংলাদেশি এই পেসারের ভিত্তি মূল্য ছিল ২ কোটি টাকা। ফিজকে পেতে নিলামের শুরুতেই বিট করে চেন্নাই। বাকি দলগুলো আগ্রহ না দেখানোয় ভিত্তিমূল্যেই মোস্তাফিজকে পেয়ে যায় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।

সূত্র: ইত্তেফাক




দর্শনায় গাঁজাসহ ইজিবাইক চালক জনি গ্রেফতার

দর্শনায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী ইজিবাইক চালক জনি আক্তারকে গ্রেফতার করেছে দর্শনা থানা পুলিশ।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১১ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে থানার এসআই তারেক হাসান সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন দর্শনা থানাধীন রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের নতুনপাড়ায়। এসময় গ্রামের নতুনপাড়ার জনৈক মোসলেম উদ্দীনের বাড়ির সামনে রাঙ্গিয়ারপোতা- সিংনগরগামী পাঁকা রাস্তার উপর হতে সিংনগরগামী একটি ইজিবাইকের গতিরোধ করে তাতে তল্লাসী চালিয়ে চালকের হেফাজত হতে ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা সহ চালক জনি আক্তারকে (২৪) গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের পুরাতনপাড়ার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।

সেই সাথে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর নিকট হতে মাদক বহনকাজে ব্যবহৃত একটি নীল রংয়ের পুরাতন তিন চাকা বিশিষ্ট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ইজিবাইক উদ্ধার পূর্বক জব্দ তালিকা মোতাবেক জব্দ করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় বসতবাড়ির সামনে প্রাচীর নির্মাণ করে একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ

আলমডাঙ্গার পারকুলা গ্রামে চলাচলের রাস্তায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে ভুক্তভোগী পরিবার হয়ে পড়েছেন দিশেহারা।

পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এ অমানবিক কাজ বন্ধের আহবান জানালেও অভিযুক্তরা তা না মেনে ভূক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে বলে একটি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলা কালিদাসপুর ইউনিয়নের পারকুলা গ্রামের মিরাজুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা গত ৯ বছর পূর্বে একই এলাকার সাহাবুদ্দিন সাবুর নিকট থেকে ৩.৩২ শতক জমি ক্রয় করেন। সাহাবুদ্দিন সাবুর আর.এস খতিয়ানের ৪৬ নং দাগের ২২ শতক জমির মধ্যে ৩.৩২ শতক জমির উত্তর পার্শ্বে রাস্তা দেখিয়ে তিনি বিক্রি করেন। এনিয়ে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক আবু হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলামের সাথে রাস্তা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তবে, সাবু দুই পক্ষকে ডেকে ওই জমির পিছন ইসমাইলের বের হওয়া রাস্তা দিক থেকে বের হবার ব্যবস্থা বের করে দেন সোহেল রানার পরিবারকে । গত ৪ বছর যাবৎ ওই রাস্তা ব্যবহার করছে সোহেল রানা তার পরিবারের লোকজন। এর একপর্যায়ে আরেক প্রতিবেশী মৃত আরশেদ আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন গত তিন মাস যাবৎ রাস্তা নিয়ে ঝামেলা শুরু করে। এনিয়ে দফায় দফায় স্থানীয় ফাঁড়িপুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে বৈঠক হয়। বৈঠকে ইসমাইলের জমির মধ্যে সরকারি খাস জমিতে রাস্তা বের করার সিদ্ধান্ত দেয়। তবুও ইসমাইল ও তার পরিবারের লোকজন তাদের যাতায়াত করতে দিবে না।

ইতোমধ্যে আজ সোমবার সকালে ইসমাইল ও তার পরিবারের লোকজন ইটের প্রাচীল দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। এহেন অমানবিক কাজের জন্য এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে।




দামুড়হুদায় বিদ্যুৎ শটসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ড: ঘর বাড়ি পুড়ে ভস্মিভূত

দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামে বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডে কানাইডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোবার আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (ভেদু কলেরা) বসত বাড়ি পুড়ে ছাই হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সব পুড়ে শেষ। আজ সোমবার দুপুর ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানাযায়,দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোবার আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (ভেদু কলেরায়)এর বাড়িতে বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুন লেগে যায়। আগুন দেখে ডাক চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে থাকে।

ততক্ষণে বসত বাড়িতে থাকা আসবার পত্রসহ সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে করে জাহাঙ্গীর আলম ভেদু কলেরায় এর প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দুরুত্ব গতিতে রওনা হলেও ঘটনাস্থলে পৌয়ছানো আগেই পুড়ে সব শেষ হয়ে যায়। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস টিম পথের মধ্যে থেকে ফিরে আসে।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন আমি ঘটনা শুনেছি এবং তাদেরকে অফিসে আসার জন্য বলেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করার দরকার আমরা করবো।