“হিন্দু মুসলিম এক সাথে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মধ্যে দিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন”
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, দু’শো বছরের ইতিহাস স্বাক্ষী দেয় বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম এক সাথে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মধ্যে দিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বিভিন্ন পূজা মন্ডপে পৌঁছালে মন্ডপের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ তাদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।
এসময় উপজেলা বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক ও রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহিল মারুফ পলাশ, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, গাংনী পৌর বিএনপির সাংগাঠনিক সস্পাদক ইয়ামিন আলী বাবলু, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম কালাম, মেহেরপুর জেলা মহিলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসমা তারা, রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সারগিদুল ইসলাম, গাংনী পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, রাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভিজা, গাংনী পৌর বিএনপির অর্থ সম্পাদ গোলাম হোসেন, গাংনী পৌর বিএনপির ৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি গোলাম কাওছার, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক, সাহারবাটি ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মাষ্টার, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা আহসান হাবিব, যুবদল নেতা আমজাদ হোসেন, কৃষকদল নেতা ফজলুর রহমানসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন গাংনী উপজেলা শহরের কেন্দ্রীয় পুজামন্ড, দাশপাড়া পুজামন্ডপ, চৌগাছা দাশপাড়া পুজামন্ডপ, গাঁড়াডোব পুজামন্ডপ, সাহারবাটি ইউনিয়নের ভোমরদহ দাশপাড়া পুজামন্ডপ ও হিজলবাড়িয়া দাশপাড়া পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুজা মন্ডপের নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
গাংনী কেন্দ্রীয় পুজা কমিটির সভাপতি সুশান্ত কুমার পাত্র, সাধারণ সম্পাদক সুকেস চন্দ্র বিশ্বাস, গাংনী দাশপাড়া পূজা কমিটির সভাপতি ধীরেন দাশ, চৌগাছা পূজা কমিটির সভাপতি তারাপদ দাশের হাতে তার ব্যক্তিগত আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
সনাতন সম্প্রদায়ের কাছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের পক্ষে শারদীয় শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন এবং নির্বিঘ্নে শারদীয় উৎসব পালনের আহ্বান জানান।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আমজাদ হোসেন বলেন, এদেশে হিন্দু মুসলমান এক সাথে সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছেন। পুজা উৎযাপন উপলক্ষে হিন্দু মুসলিমদের বন্ধন সব সময় অটুট থাকে। শারদীয় দুর্গোৎসব পালনে কেউ কোনো বাঁধা দিলে বিএনপির সকল নেতাকর্মীরা সেটা প্রতিহত করা হবে। পুজা বিসর্জন পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃবৃন্দ পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
উল্লেখ্য, গাংনী উপজেলা ১৭টি মণ্ডপে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব চলছে। শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে পালনে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি সদস্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল রয়েছে। এছাড়া সাদা পোষাকে গোয়েন্দাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে সোনাতলার ১৭টি মন্ডপে যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের হেল্পডেক্সসহ রয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।