সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও আওয়ামীলীগ নেতা আসলাম শিহির আর নেই

মেহেরপুরের কৃতী সন্তান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপস্থাপক আসলাম শিহির আর নেই (ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ১ টার দিকে ঢাকা ভাড়া বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি সদর উপজেলা আমঝুপি গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত আজাহার বিশ্বাসের ছেলে।

দুরারোগ্য থাইরয়েড ব্যাধিতে ভুগছিলেন দেশের বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী, নাট্যাভিনেতা, টিভি ও রেডিওর উপস্থাপক আসলাম শিহির।

থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে গিয়ে তীব্র ব্যথা হলে গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)-তে ভর্তি হন আসলাম শিহির। সেখানে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে চিকিৎসকরা তার অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। দুর্ভাগ্যবশত অপারেশন সফল হয়নি।

উল্লেখ্য, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক উপকমিটির সদস্য। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুবার সাংস্কৃতিক সম্পাদক হন।

এর আগে আসলাম হোসেন শিহির মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্যক্তি জীবনে তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে-মেয়ে দুজনেই স্কুলে পড়ছে।




মেহেরপুরে সৌখিন প্রজাতির বিদেশী পাখি পালনে কর্মসংস্থান

সৌখিন প্রজাতির বিদেশী পাখি পালন শিক্ষিত বেকার যুবক ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে মেহেরপুরে। সখ পুরুনের পাশাপাশি বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও বেকার যুবকদের আয়ের অন্যতম উৎস এখন বিদেশী সৌখিন প্রজাতির পখি পালন। ইতোমধ্যে জেলার কয়েক হাজার যুবক বিদেশী প্রজাতির সৌখিন পাখি বিক্রি করে বাড়তি আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। অনেকেই আবার পাখি পালন সম্পর্কে পরামর্শ নিচ্ছেন উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে। প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর বলছেন সৌখিন প্রজাতির পাখি পালন বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের অন্যতম মাধ্যম। এব্যাপারে আগ্রহীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আর বন বিভাগ অধিদপ্তর বলছেন, পাখি পালন করতে হলে সরকারি বিধি মোতাবেক করতে হবে।

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার নওযাপাড়া গ্রামের যুবক পালু মিয়া সখ করে বছর পাঁচেক আগে কয়েক প্রজাতির সৌখিন পাখি কিনে বাড়িতে পালন শুরু করেন। কয়েকমাস পর ওই পাখি গুলো ডিম পেড়ে বাচচা ফুটায়্। এভাবে পর্যায়ক্রমে বংশবৃদ্ধি করতে থাকে। এখন তিনি বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন একটি সৌখিন পাখির পারিবারিক খামার। খামারে রয়েছে লাভবার্ড, ককোটেলবার্ড, বাজেরিকা, প্রিন্স বার্ড, ডায়মন্ড ঘুঘু, অস্ট্রেলিয়া ঘুঘুসহ মোট ১৫ প্রজাতির পাখি। এলাকায় বিভিন্ন মানুষের কাছে পাখি বিক্রি করে বছরে আয় করেন লক্ষাধিক টাকা।

পাখি পালনকারি পালু মিয়া বলেন, আমি প্রথমে সখ করে পাখি পালন শুরু করি। এলাকায় সৌখিন পাখির ব্যপাপক চাহিদা থাকায় আমি অনেক পাখি বিক্রি করি। এতে প্রতি বছর খরচ বাদি দিয়ে লক্ষাধিক টাকা আয় করি। যা আমার সংসাওে এটি একটি বাড়ি আয়। আমার কাছে অনেক শিক্ষার্থীরা পাখি কিনতে আসে। আমি তাদের পাখির পরিবেশ ও খাবার সরবরাহ বিষয়ে পরামর্শ দিই। হাঁস মুরগি পালনের পাশাপাশি সৌখিন প্রজাতির পাখি পালনও হতে পারে আয়ের একটি অন্যতম মাধ্যম।

সৌখিন খামারি মেহেরপুরের পাভেল মাহমুদ বলেন, ককাটেল জাতের পাখির অনেক দাম এবং চাহিদা অনেক বেশি। এক জোড়া ককাটেল পাখির দাম ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকায় বিক্রি হয়॥ এবং বাজরকা জাতের পাখি বিক্রি হয় ৫০০ টাকা জোড়া তবে মজার বিষয় হলো এ প্রজাতির পাখি বছরে চারবার ডিম দেয়। প্রতিবারে ৫ থেকে ৮টি করে বাচ্চা দেয়। যার বানজ্যিক খামার করতে পারলে মোটা টাকা আয় করা সম্ভব।

কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সাহারবাটি গ্রামের সুমন আহমেদ বলেন, আমার এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দেখেছিলাম বাড়ির ছাদে বিদেশী পাখি পালন করেছে। আমারও সখ হয়। বন্ধুর পরামর্শে আমিও পাখি পালন করি। এখন আমার বাড়িতে প্রায় ১০ প্রজাতির পাখি আছে। পাখির কিচিরমিচির ডাকে সকালে আমাদের ঘুম ভাঙ্গে। অনেকেই আমার পাখি দেখেতে আসে। কয়েক প্রজাতির পাখি বছরে তিন বার ডিম দেয়। আমি প্রতিমাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার পাখি বিক্রি করি। এতে আমার পড়ালেখার খরচ পরিবারের কাছ থেকে নিতে হয়না। উপরন্ত আমি অনেক সময় পরিবারে আর্থিক ভাবে সহায়তা করতে পারছি।

সৌখিন পাখির বানিজ্যিক খামারি আকবর আলি জানান, স্বল্প জায়গা আর অল্প টাকায় সৌখিন পাখির খামার করা যায়। বাড়িতে যেভাবে হাঁস,মুরগিপালন করে,পাশাপাশি সৌখিন পাখি পালন করেও অনেকেই সংসারে বাড়তি আয় করছে। আমার খামার থেকে বিশেষ করে যবক ও স্কুল শিক্ষার্থীরা বেশি পাখি কিনে অনেকেই এখন সাবলম্বী।

গাংনীর জিয়ারুল ইসলাম বলেন, কয়েকজন প্রতিবেশি বাড়ির উঠান কিংবা ছাদের ওপর বিদেশি পাখি পালন দেথে আমি উদ্বুদ্ধ হই। তিন বছর যাবত আমি পাখি পালন করছি। এসকল পাখি আমার বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে অন্য দিকে আর্থিক ভাবেও সহায়তা পাচ্ছি।

মেহেরপুর বার্ড ক্লাবের সদস্য মাজেদুল হক বলেন, সৌখিন প্রজাতির পাখি পালন করে অনেক যুবক তাদের বেকারত্বের হতাশা দুর করছেন। অনেক শিক্ষার্থী পড়া লেখার খরচ যোগাচ্ছেন। তবে পাখি পালনের যে বিধি রয়েছে তা মেনে পাখি পালন করতে হবে। এজন্য তিনি এসকল উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ্এবং বন বিভাগ থেকে লাইসেন্স নিয়ে পাখি পালনের পরামর্শ দেন তিনি।

মেহেরপুর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা বলেন, সৌখিন প্রজাতির পাখি পালন বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের অন্যতম মাধ্যম। এব্যাপারে আগ্রহীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

জেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা হামিম হায়দার বলেন, পাখি পালন করতে হলে সরকারি বিধি মোতাবেক করতে হবে। খামারীদের অবশ্যই লাইন্সে নিতে হবে। এবং খেয়াল রাখতে হবে বিদেশী সৌখিন পাখির সাথে কোন ক্রমেই দেশীয় পাখি পালন বা ক্রয় বিক্রয় করা যাবেনা। আমরা সৌখিন পাখি পালনকারিদের তালিকা করে লাইসেন্স করার জন্য ইতোমধ্যে তাগিদ দিচ্ছি।




পাওনা টাকা চাওয়ায় গরম দুধে ঝলসে দিলো চা দোকানীকে

চা পানের পাওনা টাকা চাওয়ায় দোকানের গরম দুধ ঢেলে দিয়ে শরীর ঝলসে দিয়েছে বাবু হোসেন নামের এক চা দোকানীর।

আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকালে মেহেরপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বাবু হোসেন শহরের মল্লিকপাড়া এলাকার তাহের উদ্দিনের ছেলে।

ঝলসানো বাবু হোসেনকে উদ্ধার করে মেহেরপুর-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বাবু হোসেন বাদি হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, বাস স্ট্যান্ড পাড়া এলাকার নাড়ুর ছেলে সানোয়ারুল হোসেন বিভিন্ন সময় বাবু হোসেনের দোকানে বাকিতে চা পান করেন।

গতকাল রবিবার বাবু হোসেন অভিযুক্ত সানোয়ারুল হোসেনের কাছে তার পাওনা টাকা পরিশোধ করতে বলেন। আজ সোমবার সন্ধ্যার দিকে পুনরায় সানোয়ারুল হোসেনেক পাওনা টাকা পরিশোধ করার জন্য বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সানোয়ারুল হোসেন। সানোয়ারুল হোসেন তার ভাই খোকনকে ডেকে নেন। শুরু হয় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা। এক পর্যায়ে সানোয়ারুল হোসেন ও তার ভাই খোকন মিলে চা দোকানী বাবু হোসেনের দোকানের চুলাতে রাখা গরম দুধ তার গায়ে ঢেলে দেন। এতে চা দোকানী বাবু হোসেনের শরীর ঝলসে যায়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেন। ঘটনার পরপরই সানোয়ারুল হোসেন ও তার ভাই খোকন পালিয়ে যায়।




ঝিনাইদহে শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারী) বিকেলে সদর উপজেলা অফিসে শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে এসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের জেলা ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান, সহসভাপতি আমির হোসেন, সেক্রেটারি কে এম সালেহ, কোষাধ্যক্ষ অতিন্দ্র নাথ, পরিচালক কামরুল ইসলাম ও রাইজুল ইসলাম প্রমূখ।

সভাটি পরিচালনা করেন উপজেলা ম্যানেজার হারুনুর রশীদ। সর্বিক সহযোগিতায় ছিলেন প্রোগ্রাম অফিসার আজম খান ও জুয়েল রানা। সভায় মাসিক ঋনদান ও সদস্য অন্তরভুক্তিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।




শৈলকুপায় ৩৬ বছরের পুরাতন সরকারি গাছ কেটে নিলো মফিজ চেয়ারম্যান

ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার ১২ নং নিত্যান্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে সরকারি রাস্তার ৬টি রেন্টি কড়াই গাছ নিজের মালিকানা দাবি করে কেটে বিক্রির করার অভিযোগ উঠেছে। কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই ক্ষমতার দাপটে এসব গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে চেয়ারম্যন। গাছ গুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা।

আজ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বকশিপুর বাজার সংলগ্ন ১৬৭ নং ভান্ডারিপাড়া মৌজার ৩৫ শতক জমির পাশের রাস্তার গাছগুলো কেটে ফেলে রাখেছে। এছাড়া গাছের অবশিষ্ট খড়ি ইট ভাঁটা ও তামাকের জ্বালানি হিসাবে বিক্রি করে দেওয়া হয়ছে। আর মাঝারি সাইজের লগ গুলো পশের করাত কলে ফেলে রাখা হয়েছে ফাঁড়াই করার জন্য। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ার কারণে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরাসরি কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’একজন এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, গাছ গুলোর আনুমানিক বয়স প্রায় ৩৬ বছর। সরকারি রাস্তা হওয়ার সময় গাছগুলো লাগিয়ে ছিলো একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এখন কিভাবে গাছ গুলো চেয়ারম্যানের হয় তা তাদের জানা নেই। তাঁরা বলেন বাগুটিয়া এমপির মোড় হতে হাটফাজিলপুর বাজার পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে এরকম শতশত কড়াই গাছ আছে তাহলে সেগুলো কি কারো মালিকানা গাছ ?

সরকারি রাস্তার গাছ কাঁটার বিষয়ে শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মফিজ চেয়ারম্যান বকশিপুর বাজারের কিছু গাছ কাটা দরকার বলে তাকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন তবে কোন কাগজপত্র দেয়নি মোবাইলে দেয়ার কথা বলেছে। তিনি আরও বলেন আমি সরজমিনে বিষয়টি দেখে আপনাদের জানাবো।

গাছ কাঁটার অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিত্যন্দপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান কে পাঠান। গাছ কাঁটার বিষয়ে নায়েব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সেখানে গিয়ে দেখি তাদের কাছে শুধু মাত্র একটা জেলা পরিষদের দরখাস্তের কাগজ আছে এতে প্রমাণিত হয় না গাছগুলো তাদের। আমি গাছ গুলো জব্দ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।

সরকারি গাছ কাঁটার বিষয়ে মফিজ চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে সে জানান,আমার জমি রাস্তার মধ্যে ৫ শতক ঢুকে গেছে। আমি আরো সরকারের কাছে জমি পাবো, গাছ আমার জমির সীমানায় পড়েছে বলে কেটেছি ওই জমিতে মার্কেট করব।

জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার দেখে গেছে এখন আবার ইউএনও ঝামেলা করছে যা হবে তা পরে দেখবো। রাস্তার পাশের গাছ কাঁটার বিষয়ে জেলা পরিষদের সচিব সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার একটা দরখাস্ত জমা দিয়েছে এবিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। ইউএনও সাহেবকে নির্দেশ দিয়েছি গাছগুলো বর্তমান জব্দ তালিকায় আছে। গাছ গুলো কোন সমিতির মাধ্যমে লাগানো হতে পারে তদন্ত করে সঠিক আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।




আলমডাঙ্গায় জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রয়; দু’জনকে জরিমানা

আলমডাঙ্গায় ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির দায়ে ২ জনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কেদারনগর মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার ভূমির নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউনিয়নের কেদারনগর গ্রামে মাঠে অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিত্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা নাহিদ বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় মাটি বিক্রি ও বহন করার দায়ে স্থানীয় সরকার (ইউনিযন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৮৯ (২)ধারায় মাটি বয়ে নিয়ে যাওয়া গাড়ির চালক শিশির ও সাকিবকে ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে সহযোগিতায় ছিলেন থানা পুলিশের একটি টিম।




সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় সাবিনা শারমিন পেলেন জয়িতার সম্মাননা

সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় সাবিনা শারমিনকে খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে জয়িতার সম্মাননা পেয়েছেন।

গতকাল রবিবার দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) সম্মাননা প্রদান করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমাদের সংবিধান প্রতিটি মানুষকে মানুষ হিসেবে বাঁচার অধিকার দিয়েছে। যেখানে নারী বা পুরুষ আলাদা করে বিবেচনা করা হয়নি। সমাজকে পাল্টানোর দায়িত্ব জয়িতাদের। জয়িতারা জীবন সংগ্রামে জয়ী হবেই।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সমতার দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করেছেন। নারীর জন্য যেন সমঅধিকারের জায়গাটা প্রশস্ত হয়, আমাদের সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। জয়িতা আজ সমাজে যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, তা সমাজের নারীদের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করছে।

খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান, পরিচালক জাকিয়া আফরোজ, খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) সুশান্ত সরকার, খুলনা জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসনা হেনা ও কুষ্টিয়া জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নূরে সফুরা ফেরদৌস প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া জেলার বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ জয়িতা সফল জননী নারী চন্দনা রানী কুন্ডুসহ খুলনা বিভাগের পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতার প্রত্যেককে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র ও ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

কুষ্টিয়া জেলা থেকে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় সাবিনা শারমিনসহ শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী শামীমা ইয়াসমিন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা রীনা খাতুন এবং অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে ঝর্ণা খাতুনসহ বিভাগীয় পর্যায়ে রানারআপ ও বিভাগের ১০ জেলা থেকে নির্বাচিত জয়ীতাদের সনদপত্র ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।




চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

“বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবনেই সমৃদ্ধি” প্রতিপাদ্যে চুয়াডাঙ্গায় ৪৫ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ও ৮ম বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে দু’দিন ব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসন।

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের তত্ত্বাবধানে ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় সদর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষর্থীদের অংশগ্রহণে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার।

এ সময় তিনি বলেন, শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি ও দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীদের নতুন প্রজন্মের প্রতি পড়ালেখার পাশাপাশি বিজ্ঞানের ওপর আরো বেশি চর্চা ও গবেষণার আহবান জানান। বর্তমানে বিজ্ঞান প্রযুক্তির বিশ্বে টিকে থাকতে হলে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের ওপর আরো বেশি লেখাপড়া, চর্চা ও গবেষণা করতে হবে। কেননা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বিজ্ঞানের ওপর ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন।

সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার সোহেল আহম্মেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান গরীব রুহানি মাসুম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ। সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাজ্জাদ হোসেন।

আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী জারিন তাসনিম।

এ সময় সদর উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে ১৫টি ও কলেজ পর্যায়ে তিনটি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। আগামীকাল আনুষ্ঠানিক ভাবে সমাপ্তি ও পুরষ্কার প্রদান করা হবে।




চুয়াডাঙ্গায় ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে মোটরসাইকেল জব্দ

চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এ সময় কাগজপত্র বিহীন মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

আজ সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এই অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং ৩৭টি কাগজপত্র বিহীন মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

অভিযানের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা ট্রাফিক বিভাগের টি আই হাসান বলেন জেলা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম সেবা নির্দেশনায় জেলায় অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের লক্ষ্যে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। তবে যখন যে এলাকায় অবৈধ যানবাহন চলাচল বেড়ে যায়, তখন সে এলাকায় আমরা অভিযান পরিচালনা করি।

এরই ধারাবাহিকতায় সকাল হতে দিনব্যাপী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দশ মাইল বাজার, সরোজগঞ্জ বাজার এবং ডিঙ্গেদহ সহ বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং ৩৭ টি অবৈধ কাগজপত্র বিহীন মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আটককৃত অবৈধ ও কাগজপত্র বিহীন মোটরসাইকেল গুলো চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হেফাজতে রাখা হয়েছে। অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট বুলবুল, সার্জেন্ট তাজরুল হক, টিএসআই মোমিন সহ ট্রাফিক পুলিশ ও জেলা পুলিশের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।




হরিনাকুণ্ডুতে সকল ব্যাংকের আয়োজনে কৃষকদের মাঝে কৃষি ঋণ বিতরণ

ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডুতে সকল সরকারি বেসরকারি ব্যাংকের আয়োজনে কৃষকদের মাঝে কৃষি ঋণ বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

আজ সোমবার (২৯জানুয়ারি) বেলা এগারোটায় উপজেলা কৃষি অফিস মিলনায়তনে জনতা ব্যাংক পিএলসি হরিনাকুণ্ডু শাখার ম্যানেজার আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনতা ব্যাংক পিএলসি এরিয়া অফিসের (এরিয়া ইনচার্জ) সহকারী মহাব্যবস্থাপক আশরাফুজ্জামান। ঋণ বিতরন কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক মিজানুর রহমান এবং উপজেলা কৃষি অফিসার শাহিন ইসলাম।

প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তার হোসেন প্রতিষ্ঠিত বুনিয়াদী কৃষকদের পাশাপাশি শিক্ষিত তরুন কৃষি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কৃষি ঋণ বিতরণের জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। ঋণ বিতরণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী সম্মানিত অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তৃতায়, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে এই শ্লোগানের বাস্তব প্রতিপালন ঘটাতে কৃষকদের কল্যানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বরাদ্দকৃত সমুদয় অর্থ যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে বিতরণের তাগিদ প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে তিনজন কৃষক প্রতিনিধি তাদের বক্তৃতায় মধ্যসত্ত্বভোগির কোন তদবির এবং অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় ছাড়াই স্বল্পতম সময়ে ঋণ পেয়ে কৃষি খাতে সঠিক সময়ে বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হচ্ছেন বলে মত প্রকাশ করেন। উপজেলার আটটি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার ৬০ জন কৃষকের মাঝে বিভিন্ন ব্যাংকের ১৩টি শাখা প্রায় ৬০ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করেন।

অংশগ্রহনকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহ জনতা ব্যাংক পিএলসি, সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক , পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক। প্রানবন্ত কৃষি ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট অতিথিবৃন্দ ছাড়াও, কৃষক প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মীসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।