গাংনীতে পেকিন হাঁস পালন বিষয়ে “প্রাণিসম্পদ খামার দিবস অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটভূক্ত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় গাংনী শাখার গাড়াডোব গ্রামে ৭৫ জন খামারি নিয়ে মাংসের জন্য ব্রয়লার টাইপ পেকিন হাঁস পালন বিষয়ে “প্রাণিসম্পদ খামার দিবস” অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত প্রাণীসম্পদ খামার দিবসে হাঁস পালনের উপকারিতা, হাঁস পালনের জন্য সুষম খাদ্য ব্যাবস্তাপনা কিভাবে করতে হয়, হাঁস পালনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সমূহ, বাজার ব্যবস্থাপন সহ ইত্যাদি আনুষঙ্গিক বিষয়ে খামারিদের অবহিত করা হয়।

এছাড়াও হাঁস পালনের বিভিন্ন সংক্রামক রোগ যেমন ডাক প্লেগ, ডাক কলেরা ও তার প্রতিকার, নিয়মিত ভ্যাকসিনেশন প্রদানের উপকারিতা, এন্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যাবহার রোধ, সংক্রামক রোগ সমূহে ভ্যাকসিন প্রদানের উপকারিতা,মাচায় হাঁস পালনের উপকারিতা সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা করা হয়।

এসময় খামারিদের সংস্থার চলমান বিভিন্ন সেবামূলক ও সমন্বিত কৃষি ইউনিটের চলমান বিভিন্ন প্রদর্শনী সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

উক্ত খামার দিবসে রিসোর্স পারসন হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির সমন্বিত কৃষি ইউনিটের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও উপসহকারী কর্মকর্তা বৃন্দ। আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্থার উপ পরিচালক মোঃ সাইফুল রহমান(উপপরিচালক প্রশিক্ষণ)। উক্ত খামার দিবস বাস্তবায়নে আর্থিক ভাবে সহোযোগিতা করেছে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন( পিকেএসএফ)।




ডাবলসে শিরোপা জিতল ভারতীয় তারকা

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পুরুষ ডাবলসে ইতালির টেনিস তারকা সাইমন বোলেনি এবং আন্দ্রিয়া বাবসোরিরকে ৭-৬ এবং ৭-৫ ব্যবধানে হারিয়েছে ভারতের টেনিস তারকা রোহান বোপান্না এবং অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু এবডেন। প্রথমবারের মতো এই ভারতীয় তারকা ৪৩ বছর বয়সে এসে ডাবলসে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন।

সেই সাথে চলতি আসরে সবচেয়ে বেশী বছর বয়সী খেলোয়াড় ছিলেন ভারতের রোহন বোপান্না। সেই সঙ্গে তিনি ১৯৬৮ সালে পর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে একমাত্র খেলোয়াড় যিনি কিনা ৪৩ বছর বষয়ে এই গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন হলেন। ১ ঘন্টা ৩৯ মিনিট ধরে চলে এই ম্যাচ।

এরআগে বোপান্না ২০১০ এবং ২০২৩ সালে পুরুষদের ডাবলসে সেরা পারফরম্যান্স করেছিলেন। সেবার তিনি ইউএস ওপেনে ফাইনালে উঠেন। যদিও দেখা পাননি শিরোপার। এছাড়াও ২০২২ সালে ফরাসি ওপেন এবং ২০১৩, ২০১৫ এবং ২০২৩ সালে উইম্বলডনের সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলেছিলেন তিনি।




প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সন্দেহে প্রাচীন ধাতব মূর্তি সহ আটক ২

কিছু ধাতব মূর্তি নিয়ে ইজিবাইকে যাত্রী বেশে যাচ্ছিলেন মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার নাজিরাকোনা গ্রামের আন্তন মন্ডল এবং বাবুপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম। মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ছিল

মাদকবিরোধী এক অভিযানে। মাদক পাচারকারী সন্দেহে গোয়েন্দা পুলিশ তাদের প্রতিরোধ করে। তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় পুরানো গ্রীক দেবতার মূর্তি, গ্রীক দেবতা হারকিউলিসের মূর্তি, শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালের মূর্তি, অদ্ভুত নকশা খচিত ঘোড়ার মূর্তি, পিতলে নির্মিত শিশু মূর্তি, হাড়ি ও নকশা খচিত বাক্স। সব গুলোই পিতল সাদৃশ্য বস্তু বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে মুজিবনগর উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে মূর্তিগুলি উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।

এ সময় মুজিবনগর উপজেলার নাজিরাকোনা গ্রামের মৃত থমাস মন্ডলের ছেলে আন্তন মন্ডল ও বাবুপুর গ্রামের সাহাদত আলীর ছেলে নজরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

পরবর্তীতে মেহেরপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করে এবং মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
আন্তন মন্ডল বলেন, ‘জমিতে চাষ করার সময় মাটি খুঁড়ে এগুলো পেয়েছি। টেংরামারি গ্রামের এক ব্যক্তিকে দেখানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছিলাম। পথের মধ্যে পুলিশ আমাদের আটক করে।’

মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাইফুল আলম বলেন, মুজিবনগর নাজিরাকোনা গ্রাম থেকে সদর উপজেলার টেংরামারি গ্রামে মাদক পাচার হচ্ছে মর্মে খবর পাই। এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভবানিপুর গ্রামের ব্রিজ এলাকায় দুজনকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে পিতল সাদৃশ্য বিভিন্ন মূর্তি, হাড়ি ও বাক্স উদ্ধার করা হয়। পরে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কোন বেআইনি উদ্দেশ্য না পাওয়ায়, মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বা সম্পর্কিত কোন প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।




নিখোঁজ

নাম মোঃ জনি (১৬) , পিতার নাম: চাদ আলি, মাতার নাম: জসনা, গ্রাম: পুড়াপাড়া, মেহেরপুর।

গত ২৫/০১/২০২৪ আনুমানিক বেলা ১২ টার দিকে পিতা মাতার উপর অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়। এখন পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে আসেনি কেউ যদি ছেলেটার সন্ধান পেয়ে থাকেন তাহলে ০১৯৬৯-৩৬০৩৪৬ এই নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা অনুরোধ করা হল।




জীবননগরে ক্লিনিকের নার্সকে গলা কে*টে হ*ত্যা

জীবননগরে হাফিজা খাতুন (৩০) নামের এক নার্সকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর এলাকার মা নার্সিং হোম ক্লিনিকের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

হাফিজা খাতুন ওই ক্লিনিকের নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত এটা এখনো জানা যায়নি।
ক্লিনিকের এক সহকর্মী জানান, রাতে ক্লিনিকের দ্বিতীয়তলায় হাফিজার সাথে আলাপচারিতা শেষে তৃতীয় তলায় যান। পরবর্তীতে কিছুক্ষন পর দ্বিতীয়তলায় এসে হাফিজাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন তিনি। কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে জানা নেই। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় রক্তাক্ত অবস্থায় হাফিজা খাতুনকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।

তিনি আরও বলেন, সকালে নিহতের স্বামী এই ক্লিনিকে এসেছিলেন। হাফিজার সঙ্গে কোন কারণে বাকবিতণ্ডতা হয়। এরপরই সেখান থেকে তিনি চলে যান।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাগবির হাসান বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ (পিপিএম-সেবা) ও চুয়াডাঙ্গা সার্কেল এসপি জাকিয়া সুলতানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।




চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন

উৎসব উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা কার্যক্রম। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ।

প্রেসক্লাবের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে রাজীব হাসান কচি-নাজমুল হক স্বপন প্যানেল ও ফাইজার চৌধুরী-বিপুল আশরাফ প্যানেল।

অপরদিকে, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের নির্বাচনেও দুটি প্যানেল অংশগ্রহণ করে। একটিতে শেখ সেলিম-এমএ মামুন ও অপরটিতে সরদার আল-আমিন-কামরুজ্জামান চাঁদ।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি পদে রাজীব হাসান কচি ২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ফাইজার চৌধুরী পেয়েছেন ২২ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিপুল আশরাফ ২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী নাজমুল হক স্বপন পেয়েছেন ২১ ভোট। সাংবাদিক সমিতির সভাপতি পদে সরদার আল আমিন ২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী শেখ সেলিম পেয়েছেন ১৯ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে কামরুজ্জামান চাঁদ ২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী এমএ মামুন পেয়েছেন ২১ ভোট।

প্রেসক্লাবের অন্যান্য পদে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, সহসভাপতি পদে রফিক রহমান ২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আহাদ আলী মোল্লা পেয়েছেন ১৯ ভোট। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ইসলাম রকিব ২৫ ভোট পেয়ে পূনরায় নির্বাচিত হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী হুসাইন মালিক পেয়েছেন ২০ ভোট। অর্থ সম্পাদক পদে আতিয়ার রহমান ২৪ ভোট পেয়ে পূনরায় নির্বাচিত হয়েছেন, তার তিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মাহফুজ মামুন পেয়েছেন ২১ ভোট। সাংস্কৃতিক ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে জহির রায়হান সোহাগ ২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী জামান আক্তার পেয়েছেন ২২ ভোট। ক্রীড়া সম্পাদক পদে সোহেল সজীব ২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী সনজিদ কর্মকার পেয়েছেন ২০ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে আবুল হাশেম ২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মফিজুর রহমান জোয়াদ্দার পেয়েছেন ২২ ভোট। কার্যকারী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন ৫জন তার মধ্যে, শাহ আলম সনি পেয়েছেন ২৬ ভোট, আজাদ মালিতা পেয়েছেন ২৪ ভোট, রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ২৪ ভোট, শামীম রেজা পেয়েছেন ২৩ ভোট অন্যান্যদের মধ্যে রিফাত রহমান ২২ ভোট, খাইরুজ্জামান সেতু ২২ ভোট এবং পলাশ উদ্দীন ২২ ভোট। তিনজন সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় লটারীর মাধ্যমে পলাশ উদ্দীন নির্বাচিত হয়।

অপরদিকে, সাংবাদিক সমিতির অন্যান্য পদে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, সহ-সভাপতি পদে খাইরুল ইসলাম ২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী রানা কাদির পেয়েছেন ২২ ভোট। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে রেজাউল করিম লিটন ২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী রুহুল আমিন রতন পেয়েছেন ২০ ভোট। অর্থ সম্পাদক পদে আলমগীর কবির শিপলু ২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী উজ্জল মাসুদ পেয়েছেন ২০ ভোট। ক্রীড়া সম্পাদক পদে আনজাম খালেক বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন পরিচালনা করেন আহ্বায়ক অ্যাড. সোহরাব হোসেন, কমিটির সদস্য অ্যাড. আবুল বাশার ও অ্যাড. ফিরোজ হোসেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ১৩ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র বাছাই ও বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয় ১৪ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ১৫ জানুয়ারি। পরদিন ১৬ জানুয়ারি চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। গতকাল শনিবার ২৭ জানায়ারি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।




আলমডাঙ্গায় সংসদ নির্বাচন পরবর্ত্তী মতবিনিময় সভায় রাজ্জাক খান

আলমডাঙ্গায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব এম এ রাজ্জাক খান নির্বাচন পরবর্ত্তী নেতাকর্মিদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন।

তিনি আজ শনিবার বিকেলে ওয়াপদা চত্বরের এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব এম এ রাজ্জাক খান বলেন,আমি মাত্র ১৬ দিন নির্বাচন করে আপনাদের ভালবাসায় শিক্ত হয়েছি।

আজকে যারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন,তারা নির্বাচনে আমাকে জয়লাভ করার জন্য একাকার হয়ে কাজ করেছেন। অল্প দিনের মধ্যে আমি অনেকের নাম আয়ত্ব করেছি। আমি অনেকের নাম জানি,বহু নাম আমার মোবাইলে সেভ করা আছে। একটি একটি করে ফোন আসে, আমি তাদের সাথে কথা বলি। আমি মনে করি আমরা ভালোবাসায় আবদ্ধ হয়েছি। আমরা একটা প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। আমি যেটা দেখেছি, মানুষ কেঁদেছে,মানুষ বলেছে,ভোট দেবো কোথায়? একটা জায়গা পেয়েছি সেটা হলো ফ্রীজ। আমি আবেগে আপ্লুত হয়েছি। একটা ভাই জড়িয়ে ধরে বললো ভোটটা দিয়ে ফেলেছি, আমি বললাম কোথায় দিয়েছেন, তিনি বললেন ১৪ টি ভোট ফ্রীজে দিয়েছি। এভাবে এই নির্বাচনে আমার প্রতি মানুষ যে ভালোবাসা দেখিয়েছে তা কখনো ভূলে যাবার নয়। আমি আপনাদের এই ভালোবাসায় কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন,আগামীতে আমি নৌকার মনোনয়ন নিয়ে আবার ভোট করবো,আপনারা এভাবেই আমার সাথে থাকবেন। আমি চুয়াডাঙ্গার এই জনপদকে একটি শান্তি ও সমৃদ্ধির জনপদ হিসেবে গড়ে তুলবো। আর আমার কর্মিরা এখন থেকে উপজেলাসহ প্রতিটি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।

আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাশিদুজ্জামান দুদু, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য ও আলমডাঙ্গা উপজেলা মেম্বার এ্যাসোসিয়েসনের সভাপতি মঞ্জুর রহমান জান্টু, সাবেক আওয়ামীলীগ নেতা আবু তালেব, মেম্বার এ্যাসোসিয়েসনের সম্পাদক লাল্টু রহমান মেম্বার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সমসের মল্লিক, লিটন খান, ওলিউর রহমান খান।

যুবলীগ নেতা রেজাউল ইসলামের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীর খান, মহসীন আলী, আনিসুর রহমান, রনি আহম্মেদ, নুহ মেম্বার, আব্দুল মজিদ, মুস্কানিন মেম্বার, মানোয়ার হেসেন, নাসির মাষ্টার, লাভলু চৌধুরি, কৃষকলীগ নেতা আলতাব হোসেন, আতিয়ার রহমান, ইছাহাক মন্ডল, আকতারুল ইসলাম প্রমুখ।




চুয়াডাঙ্গায় জেলা রোভার স্কাউটসের সুবর্ণ জয়ন্তী ডে-ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

“স্কাউটিং করবো “স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো” এই প্রতিপাদ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ মাঠে দিনব্যাপী ডে-ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল নয়টার সময় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ মাঠে চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের যুগ্ম সম্পাদক ও নিগার সিদ্দিক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আবু নাসিরের সভাপতিত্বে ডে-ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ কবির হোসেন।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দক্ষ, যোগ্য ও সুশৃঙ্খল জাতি গঠনে রোভার স্কাউটের বিকল্প নেই।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। আগামী ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের আমরা যে স্বপ্ন দেখছি সেটা বাস্তবায়নের দেশের অন্যান্য সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের মতো কাজ করে যাচ্ছে রোভার স্কাউটসের সদস্যরা। আমি মনে করি ছাত্র জীবনের শুরুতেই স্কাউটিং এর মত একটি সামাজিক সংগঠনের সাথে কাজ করা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর দরকার কারণ এখান থেকেই একজন শিক্ষার্থী নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।

স্বাগত বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার রোভারের সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল হাসান বলেন, স্কাউটিং নতুন প্রজন্মকে নৈতিক ও জীবনধর্মী প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে তরুণদের মাঝে আধুনিক, প্রগতিশীল ও সৃজনশীল গুণাবলী বিকশিত হয়। ফলে স্কাউট সদস্যরা সেবার মন্ত্রে দীক্ষিত হচ্ছে এবং সচেতন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলছে। পরোপকারি হিসেবে সমাজ সেবার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান ও প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোভিড-১৯ কালীন স্কাউট সদস্যদের সেই আন্তরিকতা আমরা দেখতে পেয়েছি। স্কাউট আন্দোলনকে আরও বেগমান করার জন্য আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চলের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী রোভার মুট আগামী ১-৫ মার্চ রোভার পল্লী বাহাদুরপুর গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হবে। এর পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে একযোগে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মতো চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের এই ডে- ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভার আয়োজিত এই ডে ক্যাম্পে ২৫টি দল অংশগ্রহণ করে এবং একজন রোভার স্কাউট লিডারের নেতৃত্বে ৮জন করে রোভার প্রতিটি দলে অংশগ্রহণ করে।

ক্যাম্প ভেন্যুতে রিপোর্টিং-এর মাধ্যমে শুরু হয় ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। যার যার জন্য নির্ধারিত তাবু এড়িনা আবাস উপযোগী করে গড়ে তোলা এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা সাজিয়ে নেয়ার কাজ সম্পন্ন করে রোভার স্কাউটরা।

সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য ক্যাম্পের কার্যক্রম তিন ভাগে ভাগ করা হয়। কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান উদ্বোধনী-সমাপনি, স্কাউট স্কিল এবং নলেজ স্টেশন।

নিজের স্কিল উন্নয়নে রোভার স্কাউটরা কোড অ্যান্ড সাইফার, পাইওনিয়ারিং, প্রাথমিক প্রতিবিধান, অনুমান ও পযবেক্ষণ, নলেজ স্টেশন, রোড টু পিআরএস, আমার লগবুক এবং বেটার ওয়ার্ল্ড ফ্রেম ওয়ার্ক কার্যক্রমে অংশ নেন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক নজরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের কোষাধ্যক্ষ মাকসুদুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভার নেতা আব্দুল মুকিত জোয়ার্দ্দার।

আরও উপস্থিত ছিলেন আব্দুল ওয়াদুদ শাহ্ ডিগ্রী কলেজের ইউনিট লিডার বশির আহম্মেদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের সহকারী কমিশনার( আইসিটি) এমদাদ হোসেন, সহকারী কমিশনার ও উথলী কলেজ রোভার দলের ইউনিট লিডার রাশেদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের ইউনিট লিডার সাইফুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজ রোভার দলের ইউনিট লিডার লিয়াকত আলী, দর্শনা ডি.এস ফাজিল মাদ্রাসা রোভার দলের ইউনিট লিডার মুনজুর আহমাদ, জীনননগর ডিগ্রী কলেজ গার্ল ইন রোভার দলের ইউনিট লিডার খাদিজা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সিনিয়র রোভার মেট সাকিব বিশ্বাস সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের ইউনিট লিডার ও রোভারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




কুষ্টিয়ায় বাবা-ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

কুষ্টিয়া শহরতলীর আলফার মোড় থেকে রেজাউল করিম মধু হোসাইন (৩৮) ও ছেলে মুগ্ধ হোসাইন (৭) নামে বাবা-ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে শহরতলীর আলফার মোড়ের মো. সেলিমের বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পারিবারিক কলহে এই আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মধু শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ছেলে মুগ্ধকে হরেকৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করার কথা বলে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সন্তানকে নিয়ে ফিরে না আসায় স্ত্রী শেফালি খাতুন বিকেলে তাদের ভাড়া বাসায় আসেন। এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করেন। এরপর কোনো সাড়া না পেয়ে জানালার ছিদ্র দিয়ে দেখতে পান তার স্বামী ও সন্তান ঘরের মধ্যে একই রশিতে ঝুলে আছে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দু’টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

মধুর স্ত্রী শেফালী খাতুন বলেন, ‘সকালে আমার বাবার বাড়ি থেকে ছেলে মুগ্ধকে স্কুলে ভর্তি করার কথা বলে নিয়ে আসে আমার স্বামী। এরপর দুপুরে অনেকবার কল করলেও সে রিসিভ করেনি। পরে বিকেলের দিকে বাবার বাড়ি থেকে ভাড়া বাসায় এসে দেখি দরজা জানালা বন্ধ। পরে স্থানীয়রা জানালা ভেঙে দেখে দুজনের মরদেহ ঝুলছে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা জানি না।’

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা জানান, দুপুরের পরে যেকোন সময় ছেলেকে হত্যার পর মধু নিজে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে সঠিক তথ্য জানা যাবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিহত মধূসুধন ৭/৮বছর আগে মুসলিম ধর্মগ্রহণ করে শেফালি খাতুনকে বিয়ে করেন। আলফার মোড়ে তার একটি সোনার দোকান রয়েছে বলেও জানান ওসি।




ঝিনাইদহে জাহেদী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ 

ঝিনাইদহে জাহেদী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ কর্মসুচিতে ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল প্রধান অতিথি হিসেবে এই কম্বল বিতরণের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ।

আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ঝিনাইদহ পৌর পার্কে দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে ৫হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল বিতরণ কালে আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ঝিনাইদহে কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী থাকবে না। যেখানেই এই তিন অপশক্তি থাকবে সেখানেই প্রতিরোধ ও দমন করা হবে। নতুন রুপে এই শহরকে গড়ে তোলা হবে। এ জন্য তিনি ঝিনাইদহ ও হরিণাকুন্ডুবাসির সহায়তা চান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী মহুল, পোড়াহাটীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরণ, বাস মিনিবাস মালিক সমিতির নেতা মোহাম্মদ আলী কানু, জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি আক্কাচ আলী, জাহেদী ফাউন্ডেশনের জেলা সমন্বয়ক তবিবুর রহমান লাবু উপস্থিত ছিলেন।

এমপি মহুল আরো বলেন, ঝিনাইদহের উন্নয়নে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হবে। সে মোতাবেক অগ্রাধীকার ভিত্তিতে মানুষের চাহিদা মোতাবেক তা নিশ্চিত করতে হবে।