গাংনীতে সাড়ে ১১ শ কৃষক পেলেন প্রণোদনার সার ও রোপা আমনের বীজ

মেহেরপুরের গাংনীতে প্রণোদনার আওতায় সাড়ে ১১ শ প্রান্তিক কৃষক পেলেন রোপা আমন ধানের বীজ ও সার।

২০২৪/২৫ অর্থ বছর রোপা আমন মৌসুম কর্মসুচির আওতায় উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ৫ কেজি করে রোপা আমন ধানের বীজ ( মোট সাড়ে ৫ মেট্রিকটন) ১০ কেজি করে ডিএপি ( ১১ মেট্রিকটন) ও ১০ কেজি করে এমওপি (১১ মেট্রিকটন) সার বিতরণ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান মো: ফারুক হাসান।

গাংনী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাসেল আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন।

এ সময় সরকারি দফতরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, প্রান্তিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।




অপু বিশ্বাস তো ‘ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা’- বুবলী

ঢালিউডের আলোচিত দুই নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী দুজনেই সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক স্ত্রী। শাকিবের সঙ্গে কোন সম্পর্ক না থাকলেও এই দুই নায়িকার মধ্যে যে দা-কুমড়া সম্পর্ক সেটি তাদের পরস্পরের প্রতি তির্যক মন্তব্যেই প্রকাশ পায়। সম্প্রতি আবারও অপু-বুবলী মেতেছেন বাকযুদ্ধে।

পরিচালক মোহাম্মদ ইকবালের ‘বিট্রে’ সিনেমা থেকে বাদ পড়ার পর বুবলী জানিয়েছেন, শাকিব খানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার কারণেই পরিচালক মোহাম্মদ ইকবালের সিনেমা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

বুবলীর এমন বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার অপু বলেন, নিজে সিনেমা থেকে বাদ পড়ে শাকিবকে দেয়াল হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন তিনি। দুর্বল গেমপ্ল্যান। সিনেমা থেকে বাদ না পড়লে, শাকিবের প্রতি দরদ দেখানো এমন কোনো বাক্য ব্যবহার করতেন না। আসলে সবখানে শাকিব খানের নাম মুখে নিয়ে উনি ক্লান্ত হয়ে গেছেন।

সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, এবার অপুর সে কথার জবাবে তাকে ইঙ্গিত করে বুবলী জানালেন, বুবলী নাম নিতে নিতে উনি মানসিক রোগী হয়ে গেছেন! শুধু তাই নয়, অপুকে ‘ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা’র সঙ্গেও তুলনা করেছেন। প্রকাশ্যে এনেছেন নানা গোপন কথাও!

বুবলী বলেন, সব থেকে হাস্যকর হলো, উনি নিজের নিঃশ্বাসের থেকেও বুবলী নামটা বেশি নেন। সব জায়গায় শুধু বুবলী, বুবলী আর বুবলী। ভাইরাল হওয়ার জন্য তিনি এমন কিছু নেই, যা করছেন না। বুবলী নাম নিতে নিতে উনি মানসিক রোগী হয়ে গেছেন।

বুবলী আরও বলেন, শাকিব আমার পরিবার। আমি সবসময় তার নাম নিয়েছি এবং সারাজীবন নেব। পরিবারের সদস্যের নাম নিতে কেউ কখনো ক্লান্ত হয় না। তবে যাদের স্বার্থ থাকে তারা ক্লান্ত হন।

আর যে মহিলা (অপু বিশ্বাস) এসব বলছে, সে কে? যিনি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো সবসময় আমাদের মাঝখানে তিড়িং-বিড়িং করেন। সারাক্ষণ নিজের মতো বানানো মিথ্যা রচনা বলেন।

এখন তার ক্যারিয়ারে আলোচনায় থাকার একমাত্র বিষয় আমি ও আমার ছেলে। জাতীয় টেলিভিশনে কী সব উদাহরণ দিচ্ছে, যার কোনো অর্থই নেই। কি কি সব নোংরা আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করছে, যা খুবই লজ্জাজনক। তার মুখে সবসময় দুর্গন্ধজনক শব্দগুলো থাকে, কারণ তার ভেতরটাও এ রকম।

কিছুদিন আগে অপু বিশ্বাস দাবি করেন, শাকিব খানের শত্রুদের সঙ্গে বুবলীর ওঠাবসা বেশি। এ প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, ২০০৮ সালে শাকিব অসুস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে দৌড় দিয়ে অন্য জায়গায় সিনেমায় সাইন করেছিলেন তিনি। আবার যে নায়কের সঙ্গে সিনেমা সাইন করে, তার মৃত্যুর পরই জানাজা শেষ হতে না হতেই পরিচালকদের অন্য নায়ক খুঁজতে বলায় ৫/৬টি সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল এই মহিলাকে।

আবার নিজ স্বার্থের জন্য শাকিবের কাছে ভিড়েছিল। সবই ইন্ডাস্ট্রির মানুষজন জানেন। জয়া আপু, বিদ্যা সিনহা মিম, ফারুক ভাই, কাজী হায়াত আঙ্কেল থেকে শুরু করে অনেক তারকার সঙ্গেই বিএফডিসিতে বেয়াদবি করেছিলেন তিনি, যা নিউজেও এসেছে। আর বেয়াদবির জন্য তিনি মারও খেয়েছেন।

এই চিত্রনায়িকা আরও বলেন, ২০১৭ সাল থেকে শাকিব ও তার পরিবার নিয়ে কী অপমানজনক কথা বলেছিলেন উনি, সে সবই ভিডিওতে আছে। কোন নায়কের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেছে, সেই কথাও আছে।

অন্য নায়কের সঙ্গে যখন ফের প্রেমের গুঞ্জন উঠল, যখন ওই নায়কের সঙ্গে ওখানে কিছুদিন পর আর বনিবনা হলো না, তখন বলে যে এমন প্রেম প্রেম কথা নাকি ইচ্ছা করে উঠিয়েছেন।

ইকবালের প্রসঙ্গ টেনে এই নায়িকা বলেন, উনি (অপু বিশ্বাস) নাকি ইকবাল ভাইয়ের ছায়াও দেখেন না। কিন্তু কেন? কারণ হচ্ছে, কিছুদিন আগে ইকবাল ভাইয়ের কাছের একজন প্রযোজক অনুদানের একটি সিনেমা থেকে বাদ দিয়েছিলেন তাকে।

আবার সাইনিং মানিও ফেরত নিয়েছিলেন। সেলিম ভাই বা ইকবাল ভাই যখন সিনেমায় আমাকে চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন, আমার কাজের অনেক প্রশংসা করেছিলেন। তখন তাকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছিলেন না, বানালে ঠিকই করতেন।

এ ধরনের কোনো উদাহরণ আছে, তার কাছে উনারা সিনেমা নিয়ে গেছেন অথচ ফিরিয়ে দিয়েছেন উনি। কিন্তু এখানে চালাকি করে শাকিবের নামের ওপর দিয়ে চালিয়ে দিলো। কাকে কি বোঝায় উনি? হাস্যকর।

অপুকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বুবলী বলেন, সে ভেবেছে আমাকে ও আমার ছেলেকে নিয়ে সব সময় মিথ্যাচার করবে; আর আমিও বরাবরের মতো চুপ থাকব। কখনোই না। কেননা, আমার কখনোই তাকে নিয়ে কথা বলার রুচি হয় না।

তবে যখন দেখছি সে তার নিজ স্বার্থসিদ্ধির জন্য আদাজল খেয়ে শেহজাদকে তার বাবার থেকে আলাদা করার জন্য নেমেছে, তখন আমি চুপ থাকব কেন? সে এসব নিয়ে সারাক্ষণ বাজে “গেম প্ল্যান” করে বলেই এই “গেম প্ল্যান” শব্দ তার মুখ থেকে এসেছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে ডিমের আড়তে ভোক্তার হানা, তিনটি দোকানে জরিমানা

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মেহেরপুর জেলা শহরের চারটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

আজ বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ এই অভিযান পরিচালিত হয়।

জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, মেহেরপুর জেলা শহরের বড়বাজার এলাকার মেসার্স শাহিন পোল্ট্রি ফিড নামক একটি ডিম বিক্রি প্রতিষ্ঠানকে ডিম বিক্রির পাকা ভাউচার না দেওয়া ও ডিমের মুল্যতালিকা ঝুলিয়ে না রাখার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ও ৪৫ ধারায় ৩ হাজার টাকা, মেসার্স শুভ পোল্ট্রি ফিড নামক ডিমের আড়তে পাকা ভাউচার প্রদান না করা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পোল্ট্রি ঔষধ সংরক্ষণ করে বিক্রি করার অপরাধে একই আইনের ৪৫ ও ৫১ ধারায় ৪ হাজার টাকা ও মেসার্স মিকাইল ট্রেডার্সকে মেয়াদ উত্তীর্ণ গো-খাদ্য বিক্রি ও অস্বাস্থ্যকরভাবে গো-খাদ্যের সাথে ভেজাল গুড় বিক্রির অপরাধে ৪৩ ও ৫১ ধারায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে সহযোগিতা করেন, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাজ্জাক, সদর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম এবং মেহেরপুর জেলা পুলিশের একটি টিম।

অভিযানে বিশেষ করে ডিমের আড়ত, ফিড, মাছ, সবজি ও মুদি দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়।

সরকারি আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা, পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন ও ক্রয় বিক্রির ভাউচার সংরক্ষণ করা এবং অতিরিক্ত দাম নেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।




ড্র করে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল

পরিষ্কার সমীকরণ মাথায় নিয়ে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। জিততে পারলে ‘ডি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পানামার মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু জিততে পারল না ব্রাজিল। ১২ মিনিটে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছাড়তে হলো ব্রাজিলকে।

যুক্তরাষ্ট্রের সান্তা ক্লারার লেভি’স স্টেডিয়ামে কলম্বিয়া বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ব্রাজিল কোচ দোরিভাল জুনিয়র বলেছিলেন, খেলোয়াড়দের নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা থাকলেও তা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন তিনি। কিন্তু, কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর হয়ত কিছুটা দুশ্চিন্তা তাকে করতেই হবে। আরও একবার শক্ত রক্ষণ ভাঙতে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে তার দলকে।

কলম্বিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে দরিভাল জুনিয়রের দল। দুটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। ১২ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত গোল করেন ব্রাজিল উইঙ্গার রাফিনিয়া। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া সেই ফ্রি কিক থেকে রাফিনিয়ার করা গোল ব্রাজিলের ভক্তদের অনেকদিন মনে থাকবে। বাঁ পায়ের জোরাল শটে বলটা ধনুকের মতো বাঁকিয়ে জালে পাঠান বার্সেলোনা উইঙ্গার। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোলটি শোধ করেন কলম্বিয়ার দানিয়েল মুনোজ। ফরোয়ার্ড জন কর্দোবার থ্রু পাস ধরে সমতাসূচক গোল করেন এই রাইটব্যাক।

৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে পানামার মুখোমুখি হওয়া নিশ্চিত করল কলম্বিয়া। ব্রাজিল ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে সি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে। মার্সেলো বিয়েলসার অধীনে যে দলটি এবারের আসরের অন্যতম ফেবারিট। ফেডে ভালভার্দে, রোনাল্ড আরাউহো কিংবা ডারউইন নুনিয়েজদের সামনে এবার আরেক পরীক্ষা দিতে হবে সেলেসাওদের।

শুধু কঠিন প্রতিপক্ষই নয়, কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের অন্য দুশ্চিন্তাও আছে। হলুদ কার্ড নিষেধাজ্ঞায় সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তারকা উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে পাচ্ছে না ব্রাজিল। কলম্বিয়ার বিপক্ষে হলুদ কার্ড দেখায় নিষেধাজ্ঞাটি পেতে হলো ভিনিকে।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় দুই আলম সাধুর মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর দোয়ারধার নামক স্থানে দুই আলম সাধুর মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে দুই দিক থেকে আসা দুইটা আলম সাধুর মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যাক্তি হলো আলমডাঙ্গা উপজেলার হাঁপানিয়া গ্রামের আমির আলীর ছেলে উজ্জ্বল হোসেন (২৮) এবং আহত ব্যক্তি হলো একই উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম (৪০)।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, গতকাল বুধবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার জয়রামপুর প্রধান সড়কে দর্শনা থেকে একটি মাছের খালি ড্রাম নিয়ে আলম সাধু ও অপর দিক দামুড়হুদা থেকে কাঠ বোঝায় আর একটি আলম সাধু গাড়ি দ্রুত গতিতে চালিয়ে আসে এবং দোয়ারধার নামক স্থানে এসে পৌঁছালে দুইটা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটলে এ দূর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এলাকাবাসী এসে দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উজ্জ্বলকে পরিক্ষা নিরিক্ষার পরে মৃত ঘোষণা করেন এবং অপর গাড়ির চালক ইব্রাহীম চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আলম সাধু দুইটা উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির বলেন দুই আলম সাধুর মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন নিহতের লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে আছে, এখনও পর্যন্ত কারো পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




কলড্রপ ইস্যুতে গ্রামীণফোনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

কলড্রপ ইস্যুতে গ্রামীণফোনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান।

এর আগে, বিটিআরসি আয়োজিত মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান সংক্রান্ত বৈঠকে পলক বলেন, মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় কলড্রপের জন্য টেলিকম অপারেটরদের গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করা হবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক সেদিন জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে গ্রাহকসেবা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানের হুঁশিয়ারিও দেন।

পলক বলেন, কলড্রপ এখন নিয়মিত বিষয়। অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে গ্রাহকেরা যেমন অসন্তুষ্ট, বিটিআরসির জরিপেও অপারেটরদের কোয়ালিটি নিয়ে অসন্তোষ উঠে এসেছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে ওষধ ভেবে বৃদ্ধা রহিমার বিষপান

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জালশুকা গ্রামে ওষধ ভেবে বিষপান করে রহিমা খাতুন(৮০) নামের নারী এখন মৃতু শয্যায়।

রহিমা খাতুন গাংনী উপজেলার জালশুকা গ্রামের মাঝপাড়া এলাকার সলেমান মন্ডলের স্ত্রী। আজ বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরের দিকে নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

রহিমা খাতুনের ছেলে আব্দুর রহসান জানান, প্রায় ৭/৮ মাস পূর্বে আমার মা চোখের সমস্যা নিয়ে ওষধ খাচ্ছেন। সে ইদানীং
চোখে দেখতে পাইনা। আজকে পরিবারের লোকজন অন্যকাজে ব্যাস্ত ছিলেন। এসময় সে ওষধ ভেবে ঘরে থাকা বিষপান খেয়ে ফেলেন। পরে তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।




চুয়াডাঙ্গায় ইটভাটা শ্রমিকের মরদেহ নিয়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

চুয়াডাঙ্গায় ইটভাটার শ্রমিক শান্তর (১৮) মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে তার আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীরা। আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে শহরের শহীদ হাসান চত্বর এলাকায় বিক্ষোভ করেছে তারা। বিক্ষোভকারীরা শান্তর অস্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে।

এদিন দুপুর ২টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে শান্তর মরদেহ নিয়ে শহরের শহীদ হাসান চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে তার আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা। এসময় স্বজনরা বলেন, সোমবার (১ জুলাই) ফজর নামাজ শেষে সকালে শান্ত জালশুকা গ্রামে হিমালয় ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি।

খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ওই ইটভাটার পেছনের পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা দাবী করে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায় তারা। পরে সেখানে মানববন্ধন করেন আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীরা। এসময় পুলিশের আশ্বাসে গ্রামে ফিরে যান আন্দোলনকারীরা।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সেকেন্দার আলী জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এটি হত্যাকাণ্ড কিনা এখনই নিশ্চিত নয়। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।

উল্লেখ্য, সোমবার (১ জুলাই) রাতে সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের হিমালয় ইটভাটার পুকুর থেকে শ্রমিক শান্তর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে পার্শ্ববর্তী ডিঙ্গেদহ পাওয়ারহাউজ পাড়ার আজিজুল হকের ছেলে। পরিবারের দাবী, তাকে হত্যার পর পুকুরের পানিতে ফেলে রাখা হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।




দামুড়হুদায় হেরোইনসহ দুজন মাদক কারবারি গ্রেফতার

দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত দু’জন মাদক কারবারি কে হেরোইন সহ গ্রেফতার করেছে। ওই সময় গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিদের কাছ থেকে ১০ (দশ) গ্রাম হেরোইন জব্দ করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে তাদেরকে থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের (এসপি) পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানের দিক-নির্দেশনায় জেলা পুলিশের সকল ইউনিটে একযোগে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর কবীরের নেতৃত্বে এসআই, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, এএসআই বিপ্লব কুমার দাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে থানার হাউলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। এসময় হাউলী গ্রামের তিন রাস্তার মোড় থেকে মাদক কারবারি দশমী গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে মোঃ শরিফুল আলম (৪১) ও মৃত আবুল কালামের ছেলে মোঃ জহুরুল ইসলাম (৩৫) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই সময় তাদের হেফাজতে থাকা ১০গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার (ওসি) মোঃ আলমগীর কবির বলেন, গ্রেফতারকৃত দুজনেই চিহ্নিত মাদক কারবারি। তাদের নামে একাধিক মামলাও রয়েছে। হিরোইন সহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।




জীবননগরে কিশোরীদের মাঝে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ

দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত পল্লী কমসংস্থান সহায়তা প্রকল্প ( ইরেসপো) ২য় পযায়ে পল্লী উন্নয়ন কিশোরী সংঘের কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এ উপকরণ বিতরণ করা হয়।

বিআর ডিবির উপপরিচালক মোঃ আব্দুল আলীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জেলা প্রশাসক ড.কিসিনজার চাকমা।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান,উপজেলা নিবাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ, উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন কাজল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন,বতমান সমাজে মেয়েদের সজাগ হতে হবে।তাদের প্রতিবাদী হতে হবে বাল্য বিবাহ যেখানে হবে সেখানে আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে সেটা বন্ধ করতে হবে। সমাজে সবাই যদি একটু সচেতন হওয়া যায় তা হলে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা সম্ভব ।আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি শিক্ষাথীদের হাতে একটি করে গাছের চারা উপহার দেন ।

উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জীবননগর উপজেলা বিআরডিবির কমকতা মোঃ জামিল আখতার।