পারিবারিক প্রতারণা, নির্যাতন, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ও বাবার হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে মেহেরপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাসেল আহমেদ নামের এক যুবক। গতকাল রবিবার সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবে তিনি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, তার বাবা রাজু কামল ছিলেন মেহেরপুরের বীজ ব্যবসায়ী। তার বাবার নগদ অর্থ ও সম্পত্তি আত্মসাত করার লক্ষ্যে তার মা খুশি, দুই চাচা জয়নাল ও নবাব, বোন রাখি ও ভগ্নিপতি মামুন এক জোট হয়ে তার বাবাকে হত্যা করে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তার চাচা, মা এবং বোন জবাই তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আমাকে পাগল সাজানোর চেষ্টা করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন অনুযায়ী আমার বাবার হত্যার বিচার দাবি করছি। তার বাবার মৃত্যু তার কাছে রহস্যজনক মনে হয়েছে।
তিনি বলেন, বাবার মৃত্যুর পর যখন হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে যায় তখন সেই লাশ তারা বাড়িতে ঢোকাতে দেয়নি। এমনকি ওই সময় আমার বোন ও ভগ্নিপতি কাউকে দেখা যায়নি। পরে দাদির বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বাবার লাশের দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। ওই সময় আমার বোন ও ভগ্নপতি সেখানে আসে। তারা চার থেকে ৫ ঘন্টা কোথায় ছিলো। বাবার মৃত্যুর পর তারা বাবার আলমারি থেকে নগদ টাকা ও জমির দলিল গাংনীতে রেখে আসতে গিয়েছিলো।
বাবার মৃত্যুর পর সঞ্চয় অফিস ও রুপালি ব্যাংক থেকে ওয়ারিশ হিসেবে আমার মা প্রায় দেড় কোটি টাকা তুলে আত্মসা’ করেছে। আমি ওই সব প্রতিষ্ঠানে গিয়ে স্টেটমেন্ট চাইলেও আমাকে দেওয়া হয়নি।
রাসেলের স্ত্রী বলেন, আমার যখন প্রথম সন্তান পেটে আসে তখন শাশুড়ি মা আমার পেটের সন্তান নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করে একইভাবে দ্বিতীয় সন্তান যখন পেটে আসে তখন তার খালা সেটাও নষ্ট করার চেষ্টা করে বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। আমি না খাওয়াতে তারা তখন আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আমার সন্তানকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যই এটা করা হয় যাতে করে মামুনের কোন ওয়ারিশ না থাকে এবং সম্পত্তির ভাগ না পায়।
সংবাদ সম্মেলনে মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, কোষাধাক্ষ দিলরুবা খাতুন, দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানাসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।