কুষ্টিয়ায় ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন মাহবুবউল আলম হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি কুষ্টিয়ায় সাধারণ মানুষের সাথে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বলেছেন, আমি আপনাদের ভালোবাসার কাছে ঋণী। আমাকে নির্বাচিত করে তৃতীয়বারের মতো যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা যেন আপনাদের সাথে নিয়ে সুন্দরভাবে পালন করতে পারি। আমার জীবন দিয়ে হলেও আমি আপনাদের উন্নয়ন-অগ্রগতি এবং শান্তি ও কল্যাণে পাশে থাকবো। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

আজ শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মনোহরদিয়া, পাটিকাবাড়ি, ঝাউদিয়া, ঊজানগ্রাম, গোস্বামী দূর্গাপুর, আইলচারা, বটতৈল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

নির্বাচনের পরে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীরা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপিকে কাছে পেয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং সেইসাথে তৃতীয়বারের মতো বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া একটি জনপদ ছিল যেটিকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করায় এবং কুষ্টিয়া সদরকে শান্তির জনপদে পরিণত করায় মাহবুবউল আলম হানিফ এমপির প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গ্রামের সাধারণ মানুষ।

এসময় সর্বস্তরের জনতার উদ্দেশে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আমি মনে করি, আপনাদের দেয়া এই ভোট আমার কাছে এক একটি আমানত। এই আমানতের যাতে কোনোভাবেই খেয়ানত না হয় সেই প্রচেষ্টা আমার থাকবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁরই নির্দেশিত পথে আমি আপনাদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। কাজের মধ্যে কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে কিংবা কোনো কাজ বাদ পড়লে আপনারা আমাকে সাথে সাথে জানাবেন।

এসময় তাঁর সাথে ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আসগর আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মমিনুর রহমান মোমিজ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হকসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীরা।




মেহেরপুর বড় বাজার স্বপ্নচূড়া সংগঠনের আনন্দ ভ্রমণ আয়োজনে আলোচনা

মেহেরপুর বড় বাজার স্বপ্নচূড়া সংগঠনের আনন্দ ভ্রমণ আয়োজন উপলক্ষে বড় বাজার কাঁচামাল আড়তে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার সময় বড়বাজার কাঁচামাল আড়তে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ সম্পাদক সুজনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি শফিক, সহ-সভাপতি আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, কোষাধ্যক্ষ রাসেল, সদস্য জুয়েল, সুমন্ত, ফেরদৌস।

এসময় মেহেরপুর বড়বাজার স্বপ্নচূড়া সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদসহ উপস্থিত কাঁচামালের আড়ৎ দারমিলে মোট ৪০ জন সদস্য নিয়ে ২২ শে জানুয়ারি রোজ সোমবার সকাল দশটার হাফিজুর মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে আনন্দ ভ্রমণ রওনা দিবেন বলে জানান।




ঝিনাইদহে ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ির দৌড় ও গ্রামীন মেলায় মানুষের ঢল

আবহমান কাল থেকে কৃষকের হালচাষের একমাত্র ভরসা ছিল গরু। আর মাঠ থেকে কৃষি পণ্য বহনের জন্য ব্যবহার করা হতো গরুর গাড়ি। কালের বির্বতনে সে সবের পরিবর্তে এখন শুরু হয়েছে যান্ত্রিক চাষাবাদ ও পরিবহন ব্যবস্থা। এখনো সেই পুরাতন ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বছরের এই সময়ে কৃষকের গরু এবং গরুর গাড়ি নিয়ে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ির দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় সাথে আয়োজন করা হয় গ্রামীন মেলার।

জোয়াল কাঁধে দেওয়ার পর কর্তার হাতের ছোঁয়ায় যেন মুহূর্তে পাল্টে যায় চরিত্র। একে অপরকে পেছনে ফেলতে ছুটতে থাকে বিদ্যুৎ গতিতে। যা দেখে উচ্ছসিত হাজার হাজার দর্শক। তেমনই এক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের বেতাই গ্রামের মাঠে ।

আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ দৌড় পতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আর এই খেলাকে কেন্দ্র করে বসে গ্রামীন মেলা। মেলায় স্থান পাই মিষ্টি, মিঠাই, মেয়েদের বিভিন্ন প্রসাধনী, বাচ্চাদের জন্য ছিল নাগরদোলা ও চরকি খেলা।

মেলায় গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যন্ত পল্লী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেতাই গ্রামের মাঠ । ঘনকুয়াশা, বৈরী আবহাওয়া ও প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে আশেপাশের জেলাসহ কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে শুধুমাত্র গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ব্যতিক্রমী গরুর গাড়ির দৌড় প্রতিযোগীতা ও গ্রামীণ মেলা উপভোগ করতে। বেতাই মাঠ জুড়ে যেন উৎসবে পরিণত হয়। আমন মৌসুমের ধান কাটার পর ফাঁকা মাঠে এই গরুর গাড়ির দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। গরুর গাড়ির এমন রোমাঞ্চকর প্রতিযোগিতা দেখতে আশপাশের কয়েক গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরাও অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে সকাল থেকে মাঠে উপস্থিত হয়। দুর-দুরান্ত থেকেও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন খাবারের দোকান ও শিশুদের জন্য নাগরদোলাসহ বিভিন্ন স্টল বসেছিল মাঠটিতে।

আয়োজক কমিটি সূত্রে জানাযায়, ঝিনাইদহের সদর, মহেশপুর, যশোরের চৌগাছা, এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর , আলমডাঙ্গা থেকে আগত ১১টি গরুর গাড়ীর দল এ প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ী ১ম পুরস্কার ২০ হাজার টাকা, ২য় পুরস্কার ১৫ হাজার টাকা, ৩য় পুরস্কার ১০ হাজার টাকা। এছাড়াও পত্যেক অংশগ্রহণকারী দলকে সান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়।

যশোর চৌগাছা থেকে গরুর গাড়ির দৌড় দেখতে আসা আলী হাসান জানান, আমরা অনেক দূর থেকে এসেছি। আধুনিক যুগে এসে গরুর গাড়ির এমন দৌড় প্রতিযোগিতা দেখে আমাদের খুব ভালো লাগছে।

ঝিনাইদহের ডাকবাংলা এলাকা থেকে খেলা দেখতে আসা রবিউল জানান, তিনি এর আগে কখনো এই খেলা দেখেননি। লোকের মুখে শুনেছেন। এজন্য পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি দৌড় খেলা দেখতে এসেছেন।

খেলাই অংশ নেওয়া হাবিবুর রহমান বলেন, এর আগেও বিভিন্ন অঞ্চলে খেলাই অংশগ্রহণ করেছি। খেলাই অংশ নিয়ে খেলা করা খুবই আনন্দের। এরকম আয়োজন বার বার হলে নতুন প্রজন্ম আমাদের গৌরবান্বিত ইতিহাস সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবে। তাই প্রতি বছর আয়োজন করা দরকার।

খেলা দেখতে আসা সেলিনা খাতুন বলেন, ১০ বছর ধরে এই খেলা দেখে আসছি। আমার এখানে বাবার বাড়ী । গরুর গাড়ি যে মানুষকেএত আনন্দ দিতে পারে তা এখানে না এলে বোঝা যাবে না। এমন খেলা যেন প্রতিবছর হয় আমরা সেটাই চাই।

আসিয়া খাতুন জানান, তার স্বামীর বাড়ি শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজারে। এখানে তার বাবার বাড়ি। প্রতিবছর খেলার সময় আসলে ভাইয়েরা ফোন করে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসে। পরিবারের সবাই মিলে খেলা দেখতে আসেন। এটা তাদের কাছে ঈদের আনন্দের চেয়েও বেশি।

খেলার আয়োজক গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুল হাসান মাসুম বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতেই প্রতিবছর এই খেলার আয়োজন করা হয়। আগামীতে আরও বেশি উৎসব মুখোর ও বড় পরিসরে এই খেলার আয়োজন করার ইচ্ছা আছে । এই খেলার মাধ্যমে দেশীয় ঐতিহ্য ধরে রাখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, এবারের প্রতিযোগিতায় ঝিনাইদহ জেলা মহেশপুর উপজেলার মিরাজ হোসেনকে ১ম পুরুস্কার হিসেবে ২০ হাজার টাকা, যশোরের জোড়াদাহ থেকে আয়ুব হোসেন ২য় হওয়ায় তাকে ১৫ হাজার টাকা এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর গঙ্গারামপুর মিয়ারাজ ৩য় হওয়ায় তাকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী সবাইকে শান্তনা পুরুস্কার হিসেবে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।

গরুর গাড়ির দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, সমাজ থেকে অন্যায়, অপরাধ ও মাদক দুর করতে হলে এ ধরনের বিনোদনের কোন বিকল্প নেই। বিশেষ করে যুবসমাজকে অপরাধ থেকে দূরে রাখতে হলে, তাদের নিয়মিত খেলার মাধ্যমে বিনোদনের মধ্যে রাখতে হবে। এছাড়াও দেশের ঐতিহ্যবাহী খেলার সাথে নতুন প্রজন্মের পরিচিতি করানোর জন্য হলেও সরকারি ভাবে এইসব আয়োজন করা উচিৎ।




ঝিনাইদহে ডায়াবেটিক হাসপাতালে নবনির্বাচিত এমপি মহুল’র মতবিনিময় সভা

ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক হাসপাতালে মতবিনিময় সভা করলেন ঝিনাইদহ-২ আসনের নবনির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল।

আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক সমিতির সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল ডায়াবেটিক হাসপাতালের উন্নয়নে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মীর নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান ফোটন, জাহেদী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আবু শাহরিয়ার জাহেদী পিপুল, জাহেদী ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী তবিবুর রহমান লাবু, শিক্ষানুরাগী মনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য সদস্যরা।




কুষ্টিয়ার ভেড়ামারাতে নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি জব্দ, গোডাউন সিলগালা

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে বিপুল পরিমান নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি, তামাক, বিড়ির লেবেল এবং নকল ব্যান্ডরোল জব্দ করে গোডাউন সিলগালা করে দিয়েছে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনের আভিযানিক দল।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি বাজার সংলগ্ন করিম বিড়ি ফ্যাক্টরিতে কাস্টমের যৌথ অভিযান পরিচালনা করে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনের কর্মকর্তারা।

অভিযানকালে করিম বিড়ি ফ্যাক্টরির গোডাউন থেকে ঘোষনা বহির্ভূত প্রক্রিজাতকরণ ৯২৬ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৪০ কেজি) তামাক স্থানীয় বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবনের জিম্মায় ২ টি গোডাউন সিলগালা করা হয়। এছাড়াও ঘোষনা বহির্ভূত থাকায় ৯৯ বস্তা বিড়ির লেবেল বা পেটি বিড়ির পেপার, ১৪ বস্তা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত করিম বিড়ি এবং ৫ পেটি বা ২৫০০ সিট নকল ব্যান্ডরোল জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন বলেন, ‘অভিযান পরিচালনা করে ২টি গোডাউন সিলগালা করেছেন কর কর্মকর্তারা এবং বেশ কিছু তামাক, নকল ব্যান্ডরোল এবং বিড়ির পেপার জব্দ করে নিয়ে গেছেন।’




কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৪ কেজি গাঁজাসহ রুবেল হোসেন (৩২) নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে।

শনিবার র‌্যাব-১২’র সিপিসি-১, কুষ্টিয়া কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল ‘‘কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানাধীন বাগুয়ান কান্দিরপাড়া গ্রামে” একটি অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

এসময় চার কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।

আটককৃত রুবেল হোসেন দৌলতপুর উপজেলার বাগুয়ান এলাকার মোঃ মোজাম্মেল হকের ছেলে।

র‌্যাব-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়ার কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার বিএনএম আবুল হাশেম সবুজ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামিদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ লোক চক্ষুর আড়ালে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিলো।

আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত সোনার বাংলা গঠনে র‌্যাব-১২, বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি।




ভোড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে এমপি কামারুল

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফীন।

শনিবার বিকেলে ভেড়ামারা উপজেলা হাসপাতালের সার্বিক খোঁজ খবর নেন।

পরিদর্শন কালে কামারুল আরেফীন এমপি হাসপাতালে উপস্থিত রোগীদের খোঁজ খবর নেন। স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।

পরিদর্শনজালীন সময়ে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও মিডওয়াইফদের সাথে বৈঠক করেন।




ভেড়ামারা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র; বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি দ্রুত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। মেশিন মেয়াদোত্তীর্ণ ও ব্যয়বহুল হওয়ায় দ্রুত স্থায়ীভাবে বন্ধের জন্য কেন্দ্রটিতে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এখানে কর্মরত জনবল অন্য কেন্দ্রে বদলি করতে বলা হয়েছে। গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এ নির্দেশ দেয়।

আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান।

ভেড়ামারা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ডিজেলে চলা ৬০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের মেশিন মেয়াদোত্তীর্ণ, জরাজীর্ণ, অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় ২০২২ সালে দুটি ইউনিট বন্ধ করা হয়। ইউনিটগুলোর মেয়াদকাল ধরা হয় ১৫ বছর। অথচ এক ও দুই নম্বর ইউনিট ৪৬ বছর ধরে চলার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর ৩ নম্বর ইউনিটটি ৪৪ বছর ধরে সচল আছে। সেটিও স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক ও দুই নম্বর ইউনিট বন্ধের পর প্রায় ২০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে বদলি করা হয়েছে। তিন নম্বর ইউনিট এখনো সচল রাখা হয়েছে। সেখানে ৭৫ জন কর্মরত রয়েছেন। তবে ২০২২ সাল থেকে তিন নম্বর ইউনিট থেকে কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। অথচ কেন্দ্রটি রক্ষণাবেক্ষণ, ডিজেল খরচ, কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ ২০২২ সালে সরকারের খরচ হয়ে গেছে ৮ কোটি টাকা। ২০২০ সালে ১৩ কোটি, ২০২১ সালে ১২ কোটি, ২০২২ সালে ৮ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

জানা গেছে, ভেড়ামারার ঐতিহ্যবাহী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১৯৭৬ সালের ২৭ এপ্রিল জার্মানির এজি কার্নিস কোম্পানির প্রযুক্তিতে একটি জিট ইউনিট নিয়ে প্রথম উৎপাদনে আসে। একই বছরের ২৮ জুলাই দ্বিতীয় ইউনিট চালু হয়। সে সময় ২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট থেকে মোট ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। চাহিদার কারণে ১৯৮০ সালের ১৯ জানুয়ারি জাপানের হিটাসি কোম্পানির প্রযুক্তিতে ২০ মেগাওয়াটের আরেকটি ইউনিট চালু করা হয়। তখন মোট সক্ষমতা দাঁড়ায় ৬০ মেগাওয়াট। কিন্তু মেয়াদোত্তীর্ণ, জরাজীর্ণ আর অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় দুই বছর আগে এক ও দুই নম্বর ইউনিটটি বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে এখনো প্রস্তুত রাখা হয়েছে তিন নম্বর ইউনিটটি।

ভেড়ামারা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, তিন নম্বর ইউনিটটি দ্রুত বন্ধের জন্য গত বুধবার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড আমাদের নির্দেশ দিয়েছে। বর্তমানে ৭৫ জন কর্মরত রয়েছেন। তাদের বদলি করার জন্য লিখিতভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব বন্ধ করতে হবে। কেন্দ্রের জনবল অন্যত্র বদলি করতে ও মেশিনটি বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ, জরাজীর্ণ, অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এক নম্বর ইউনিট ও দুই নম্বর ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিন নম্বর ইউনিট থেকে ২০২২ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করা হলেও মেশিনটি সচল রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে যে কোনো মুহূর্তে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। তবে এটি বন্ধ করে অকশন দিয়ে জায়গাটি ক্লিয়ার করতে হবে। এখানে ৮ মেগাওয়াটের সোলার প্যানেল (সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র) বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ও ব্যয়বহুল হওয়ায় বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যে ইউনিটটি সচল আছে সেটি খুবই ভালো। এটি জাপানি মেশিন। মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও খুব ভালো আছে, একদম ফ্রেশ আছে, যে কোনো সময় আমরা পাওয়ার দিতে পারব। ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন মেশিন এটি। সারাদেশে বিদ্যুৎ অফ হয়ে গেলে তখন কাজে লাগবে। তেলের দাম বেশি, উৎপাদন ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ইমার্জেন্সি লাগলে, উৎপাদন করা যাবে। এটি সচল রাখতে মেশিন চালু রাখতে হয়। চালু রাখতে বছরে এক থেকে দেড় লাখ টাকার তেল খরচ হয়। যন্ত্রাংশ কেনা লাগে না, খরচ খুবই সীমিত। ২০২৩ সালে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ডিজেল, মেডিকেল, স্কুলসহ মোট সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বর্তমানে ৭৫ জন কর্মরত আছেন। তাদের মাসিক বেতন বাবদ ব্যয় হয় ২৫ লাখ টাকা। ২০২২ সালে তিনটি ইউনিটে কর্মরত ছিলেন ২৭০ জন। ২০২২ সালে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সর্বমোট ২০২৪ সালে দুই কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালে দুটি ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিন নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যাবে। এ অবস্থায় ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং পররর্তীতে ২২৫ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে খুব সহজেই এটি পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব। তিন নম্বর ইউনিটের খরচে নতুন কেন্দ্রের পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হবে। কেননা, নতুন কেন্দ্র নির্মাণ এবং পরিচালনার জন্য জায়গা, পানিসহ যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি প্রয়োজন তার সবটাই এখানে রয়েছে।




কুষ্টিয়ায় অর্ধকোটি টাকার কোকেনসহ বাস জব্দ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৯৮৫ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করেছে বিজিবি। আজ  শনিবার দুপুরে উপজেলার মথুরাপুর বাস স্ট্যান্ড বাজারে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ এ মাদক উদ্ধার করা হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, বাস যোগে মাদক পাচারের গোপন সংবাদ পেয়ে ৪৭বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ প্রাগপুর বিজিবি ক্যাম্পের ইনচার্জ হাবিলদার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবি’র টহল দল মথুরাপুর বাজারে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রাগপুরগামী যাত্রীবাহী রোহান পরিবহনে তল্লাশি অভিযান চালায়।

এসময় মালিক বিহীন প্যাকেটজাত অবস্থায় ৯৮৫ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করে যার মূল্য ৪৯ লক্ষ ২৫টাকা বলে বিজিবি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

উদ্ধার করা মাদক সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দিয়েছে বিজিবি।




কুষ্টিয়ায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

কুষ্টিয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষদের কিছুটা শীতের হাত থেকে রক্ষা করতে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল বিতরণ করেছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো: এহেতেশাম রেজা।

আজ শনিবার সকালে জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কার্যালয়ের সামনে দুই শতাধিক পরিবারের মধ্যে নিজে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল তুলে দেন জেলা প্রশাসক।

তীব্র শীতের মধ্যে শীতবস্ত্র পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠেন অসহায় মানুষগুলো।

কম্বল পাওয়া শহরপর রেললাইন সুখনগর বস্তি এলাকার রিকসাচালক বাশার বলেন, আমি রিকশাচালক। রাত হলে ছেলে মেয়ে নিয়ে শীতে খুব কষ্ট করি। রোজগার করে যে টাকা পাই তা দিয়ে একটা ভালো কম্বল কিনার সাধ্য নেই। অনেকের কাছে একটা কম্বল চাইছিলাম কেউ দেয়নি। আজ শুনলাম ডিসি স্যার কম্বল দেবে শুনেই আসিছি। ডিসি সাব আমাকে একটা শীতবস্ত্র দিয়েছেন। এটা আমার জীবনের সব থেকে বড় পাওয়া। মনে হয় আল্লাহ আমার চাওয়া কবুল করছে। এখন রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারব।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো: এহেতেশাম রেজা বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে খুব কনকনে শীত পড়েছে। এই জেলায় ছিন্নমূল মানুষের পাশাপাশি দরিদ্র এবং নিম্ন আয়ের মানুষরা শীত বেড়ে যাওয়ায় এসব মানুষ শীতে অনেক কষ্ট পাচ্ছে। তাই তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করার জন্য এই শীতবস্ত্র বিতরণে উদ্যোগ নেওয়া। এতে করে তাদের কষ্ট লাঘব হবে।

শুধু সরকার নয়, সমাজের বিত্তশালীদের শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা এ বছর দুযোর্গ ব্যবস্থপনা মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভান্ডার থেকে ৪৮ হাজার কম্বল পেয়েছি। যেগুলো আমরা উপজেলা ও ইউনিয়নভিত্তিক বিভাজন করেছি। ইতোমধ্যে স্ব-স্ব উপজেলা দুস্থ ও শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেছে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজকেও সাড়ে ৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।