কুষ্টিয়ার মিরপুরে ট্রলির ধাক্কায় শিশু নিহত

কুষ্টিয়ার মিরপুরে মাটি বোঝাইকৃত একটি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত স্টিয়ারিং ট্রলির ধাক্কায় আরিয়ান (৪) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের কালিতলায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রলি চালক পালিয়ে গেলেও জনতা ঘাতক স্টিয়ারিং ট্রলিটিকে আটক করে।

নিহত আরিয়ান ছাতিয়ান কালিতলার আরিফ জোয়ার্দ্দারের ছেলে।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, বাড়ীর পাশে সড়ক দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় মাটি বোঝাইকৃত শ্যালো ইঞ্জিন চালিত স্টিয়ারিং ট্রলির ধাক্কা লেগে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।




হরিণাকুণ্ডু সরকারি লালন শাহ কলেজে পিঠা উৎসব

লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীদের শিল্প নৈপুণ্যের ধারক ও বাহক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়ে থাকে। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে এই পিঠা উৎসব। প্রতি বছর শীতে এলেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব।

গ্রামীণ ঐতিহ্য ও নতুন প্রজন্মের কাছে হরেক রকমের পিঠার পরিচয় তুলে ধরতে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু সরকারি লালন শাহ কলেজের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা উৎসব।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হয়ে দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এ উৎসবে শিক্ষার্থীরা ১৩টি স্টল সাজিয়ে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হরেক রকমের বাহারী ও মুখরোচক পিঠার আয়োজন করে।

ভোজন রসিকরাও পিঠা খেয়ে প্রশংসা করেছেন। আর আয়োজকরা বলছেন প্রতি বছরই এমন আয়োজন থাকবে নতুন প্রজন্মের কাছে পিঠা পুলির পরিচিতি তুলে ধরার জন্য।

এছাড়া সপ্তাহ ব্যাপি বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার আহবায়ক আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরিফুজ্জামান শেখর, বিশেষ অতিথি হিসেবে ক্রীড়া প্রতিযোগীতার আহবায়ক মহব্বত আলী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নজরুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ আব্দুর রাকিব উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে আনন্দ উপভোগ করেণ।




বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ‘গুপ্তচর ক্যামেরা’ বানিয়ে সাড়া ফেলল চীন

চীনের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি অপটিক্যাল ইমেজিং প্রযুক্তিতে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছেন। অত্যন্ত শক্তিশালী এক লেজার ক্যামেরার মাধ্যমে তারা নজরদারি তথা গুপ্তচরবৃত্তির বৈশ্বিক মানকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে চলেছেন।

এই প্রযুক্তি বেইজিংকে বিদেশি সামরিক উপগ্রহগুলোর কার্যক্রম নজরদারির ক্ষেত্রে নজিরবিহীন সুবিধা দিতে পারে। এমনকি নিম্ন-কক্ষপথ (low-Earth orbit) থেকে মানবমুখের মতো সূক্ষ্ম বিশদও শনাক্ত করতে পারে।

চীনা অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের অ্যারোস্পেস ইনফরমেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একদল গবেষক অতি সম্প্রতি ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূর থেকে মিলিমিটার-পর্যায়ের স্পষ্ট ছবি ধারণ করতে সক্ষম হয়েছেন। যা এতদিন পর্যন্ত অসম্ভব বলে মনে করা হতো।

এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নিয়ে সম্প্রতি চাইনিজ জার্নাল অব লেজারস-এ একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।

পরীক্ষাটি কিভাবে পরিচালিত হয়?

বিজ্ঞানীরা চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিংহাই লেক এলাকায় পরীক্ষাটি পরিচালনা করেন।

লেকের উত্তর তীরে একটি সিন্থেটিক অ্যাপারচার লাইডার সিস্টেম স্থাপন করা হয়, যা লেজার-ভিত্তিক চিত্রগ্রহণের একটি উন্নততর পদ্ধতি।

ডিভাইসটি ১০১.৮ কিলোমিটার দূরে স্থাপিত প্রতিফলিত প্রিজমের সারিকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে চিত্র সংগ্রহ করে। আদর্শ আবহাওয়ার (পরিষ্কার আকাশ, কম বাতাস) কারণে ডিভাইসটি নিখুঁতভাবে ১.৭ মিলিমিটার (১/১৬ ইঞ্চি) পর্যন্ত সূক্ষ্ম বিশদ ধরতে সক্ষম হয়। এটি দূরত্ব পরিমাপেও অত্যন্ত নিখুঁত—শুধুমাত্র ১৫.৬ মিলিমিটারের পার্থক্য দেখা গেছে, যা বর্তমান গুপ্তচর ক্যামেরা ও টেলিস্কোপের তুলনায় ১০০ গুণ উন্নত।

প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন কী কী?

গবেষকরা একাধিক অভিনব পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন—

বর্ধিত অপটিক্যাল অ্যাপারচার:

৪×৪ মাইক্রো-লেন্স গ্রিড ব্যবহার করে লেজার বিমের বিস্তার বাড়ানো হয়েছে। এতে অপটিক্যাল অ্যাপারচার ১৭.২ মিমি থেকে ৬৮.৮ মিমিতে উন্নীত হয়, যা সাধারণত অ্যাপারচার ও দৃষ্টিক্ষেত্রের মধ্যে বিরাজমান সীমাবদ্ধতা দূর করে।

উন্নত লেজার সংকেত:

চওড়া ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড (১০ গিগাহার্টজ-এর বেশি) ব্যবহার করে সূক্ষ্ম রেঞ্জ রেজল্যুশন অর্জন করা হয়েছে। সংকীর্ণ রঙের স্পেকট্রামে লেজার রশ্মি ধরে রেখে আড়াআড়ি বিশদ আরও স্পষ্ট করা হয়েছে।

শব্দ কমানোর জন্য উন্নত অ্যালগরিদম:

বিশেষ অ্যালগরিদম ব্যবহার করে অপটিক্যাল শব্দ কমিয়ে আনা হয়েছে ১০,০০০ গুণ, ফলে দূরবর্তী বস্তুর খুব ক্ষীণ সংকেতও ধরা সম্ভব হয়েছে।

অত্যন্ত শক্তিশালী লেজার:

প্রচলিত লাইডার সিস্টেমের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ১০৩ ওয়াটের লেজার ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিশাল পরিমাণ ডেটা দ্রুত প্রসেস করতে পারে।

এই প্রযুক্তির সামরিক গুরুত্ব কতটা?

বেইজিং-ভিত্তিক একজন ইমেজিং বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ‘এটি শুধু স্যাটেলাইটই নজরদারী করবে না—এর সিরিয়াল নম্বরও পড়তে পারবে!’

এতো উচ্চ রেজল্যুশনে—উপগ্রহের ক্ষুদ্র ক্ষয়ক্ষতি (যেমন- মাইক্রোমিটিওরয়েডের আঘাত) শনাক্ত করা যাবে। উপগ্রহের সেন্সর ও পেলোড (সজ্জিত যন্ত্রাংশ) চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।

এই প্রযুক্তি মাইক্রোওয়েভ-ভিত্তিক সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডারের নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হলেও, অপটিক্যাল তরঙ্গদৈর্ঘ্যে কাজ করার কারণে এটি অনেক বেশি স্বচ্ছ ছবি তুলতে সক্ষম।

এখন পর্যন্ত এ ধরনের প্রযুক্তির সবচেয়ে উন্নত নজির ছিল— ২০১১ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা ঠিকাদার লকহিড মার্টিন মাত্র ১.৬ কিলোমিটার দূর থেকে ২ সেন্টিমিটার রেজল্যুশন অর্জন করেছিল। পরে চীনের বিজ্ঞানীরা ৬.৯ কিলোমিটার দূর থেকে ৫ সেন্টিমিটার রেজল্যুশন অর্জন করতে সক্ষম হন।

এবার চীনা গবেষকরা ১০০ কিলোমিটার দূর থেকে মিলিমিটার-পর্যায়ের রেজল্যুশন অর্জন করেছেন, যা একটি বিশাল সাফল্য।

প্রয়োগের সীমাবদ্ধতা কী কী?

তবে, বাস্তব পরিস্থিতিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে—

আবহাওয়ার ওপর নির্ভরতা:

লেজার ইমেজিংয়ের গুণমান নির্ভর করে আবহাওয়ার স্বচ্ছতা, মেঘের উপস্থিতি ও বাতাসের গতির ওপর।

গতিশীল লক্ষ্যের ক্ষেত্রে জটিলতা:

চলমান লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করার জন্য অত্যন্ত নিখুঁত যান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রয়োজন, যা তৈরি করা সহজ নয়।

এই নতুন লেজার-ভিত্তিক গুপ্তচর ক্যামেরা চীনকে নজরদারি প্রযুক্তির শীর্ষে নিয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে সামরিক পর্যায়ে এটি বিপ্লব ঘটাতে পারে—বিদেশি উপগ্রহের ক্ষুদ্রতম বিবরণ শনাক্ত করা, স্যাটেলাইটের সেন্সর চিহ্নিত করা, এমনকি মহাকাশযানের ক্ষতি নির্ধারণ করার মতো কাজেও এটি ব্যবহৃত হতে পারে।

তবে বাস্তবিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে আবহাওয়া ও লক্ষ্যের গতি সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।

সূত্র: যুগান্তর




গাংনীতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ র‌্যাবের জালে ৩ যুবক

প্রতিপক্ষকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের ৩ জন অস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে আটক হয়েছে।

গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্য রাতে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) সিপিসি ৩ গাংনী ক্যাম্পের এক বিশেষ অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়।

তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ওয়ান শুটারগান এবং দুইটি বাটন মোবাইল ফোন।

আটককৃতরা হলেন গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের তরিকুল ইসলাম, জেনারুল ইসলাম ও সামিম আজাদ ওরফে বাবুল।

র‌্যাব-১২ গাংনী ক্যাম্প কমান্ডার সহকারি পুলিশ সুপার এনামুল হক জানান, ছাতিয়ান গ্রামের ওমর আলীর ছেলে রতন আলী নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসাতে তার বসতবাড়ির ভিতরে মাটির নিচে অস্ত্র পুতে রেখে র‌্যাবকে খবর দেন আটক তিন জন। রতনকে ফাঁসাতে অস্ত্র রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত হয় র‌্যাব। রাতে অভিযান চালিয়ে ওই দিনজনকে আটক করার পর তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক রতনের বসতবাড়িতে পুতে রাখা একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়। এদের আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে রতনকে ফাঁসাতে অস্ত্র রাখার বিষয়টি স্বীকার করে তারা।

আটক তরিকুল, জেনারুল ও বাবলুর বিরুদ্ধে গাংনী থানায় অস্ত্র আইনে মামলাসহ সোপর্দ করা হয়ে হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব কমান্ডার।




জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকে চাকরি, পদ ২৩৩

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত ২টি ব্যাংকে সমন্বিতভাবে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। এসব ব্যাংকে ‘অফিসার-রুরাল ক্রেডিট (ও-আরসি)’ পদে ২৩৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনতা ব্যাংক পিএলসিতে ১০০ জন ও অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি ১৩৩ জনসহ মোট ২৩৩ জনকে দশম গ্রেডে ‘অফিসার-রুরাল ক্রেডিট (ও-আরসি)’ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদের জব আইডি—১০২২৩।

 

আবেদনের জন্য স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। এসএসসি/সমমান এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষায় ন্যূনতম একটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। গ্রেডিং পদ্ধতির ফলাফলের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীর বয়সসীমা ১৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে।

 

আগ্রহী প্রার্থীদের বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটের এই লিংকে নির্ধারিত ছক পূরণের মাধ্যমে নিবন্ধন করে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।

অনলাইনে আবেদন করার পর আবেদন ফি বাবদ ডাচ্–বাংলা ব্যাংক পিএলসির মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘রকেট’–এর মাধ্যমে বিল পে ব্যবহার করে ২০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রকেট অ্যাপ বা ম্যানুয়াল উভয় ক্ষেত্রেই ফি প্রদানের জন্য বিলার আইডি হিসেবে Bankers Selection Committee Secretariat অথবা 499 সিলেক্ট করতে হবে। আবেদন ফির পেমেন্ট পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে। অনগ্রসর নাগরিক গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের জন্য সরকার নির্ধারিত আবেদন ফি ৫০ টাকা যা পরে তাঁদের আবেদন ও দাখিলকৃত দলিলাদি যাচাই সাপেক্ষে সমন্বয় করা হবে।

সূত্র; যুগান্তর




মেহেরপুরে আওয়ামী লীগের তিন নেতা গ্রেফতার

অপারেশন ডেভিল হান্টে মুজিবনগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান (৬০), গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ স্বপন মাস্টারসহ তিন আওয়ামী লীগের নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আব্দুর রউফ স্বপন মাস্টারকে ও আব্দুল মান্নানকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের পৃথক টিম।

গ্রেফতারকৃত আব্দুল মান্নান মুজিবনগর উপজেলার গোপালনগর গ্রামের এলাহী বকসের ছেলে ও কাজিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রউফ স্বপন কাজিপুর গ্রামের হালশানা পাড়ার গিয়াস উদ্দীন মেম্বরের ছেলে ও আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অপর আটককৃত হলেন, গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের ২ নং ওয়ার্ড শিশিরপাড়া গ্রাম আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল ও মুজিনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বানী ইসরাইল ও মিজানুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমণ আইনে পৃথক মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে তাদের আদালতে নেওয়া হবে।




যেসব পেশাজীবীদের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের হার সর্বোচ্চ

বর্তমানে আমাদের সমাজে বিচ্ছেদ প্রবণতা বেড়েছে। খুব সহজে এই ঘটনাটি ঘটে যাচ্ছে। দাম্পত্য জীবনে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া হওয়া কিংবা মনোমালিন্য খুবই সাধারণ বিষয়। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার এই সামান্য কারণটাই যখন বিচ্ছেদে গড়ায় তখন ভেঙে যায় গোটা একটা পরিবার। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কয়েকটা জীবন।

তবে ঝগড়া বা মনোমালিন্যই যে বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ বিষয়টা এমন না। এই বিচ্ছেদের কারণে থাকে একাধিক কারণ। সম্প্রতি ডিভোর্স ডটকমে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বিবাহ বিচ্ছেদের নেপথ্যে ব্যক্তির পেশাও একটা বড় কারণ। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী ১০ পেশাজীবীদের মধ্যে বিচ্ছেদের হার সর্বোচ্চ। কিন্তু কেন এই পেশাগুলোর মানুষের বিচ্ছেদ বেশি হয়। চলুন জেনে নেই এই সম্পর্কে।

১. বারটেন্ডার

তালিকায় সবার ওপরে আছেন বারটেন্ডাররা। তারা বারে পানীয় তৈরি ও পরিবেশন করেন। এই পেশাজীবীদের মধ্যে বিচ্ছেদের হার সর্বোচ্চ।

২. এক্সোটিক ডান্সার ও অ্যাডাল্ট পারফরম্যান্স আর্টিস্ট

দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন এক্সোটিক ডান্সার ও অ্যাডাল্ট পারফরম্যান্স আর্টিস্টরা। পেশাগত কারণে তাদের দাম্পত্য সম্পর্কে মানসিক চাপ, অনিরাপত্তাবোধ, ঈর্ষা, প্রতারণার মতো বিষয়গুলো অতিমাত্রায় বেশি থাকে।

৩. উচ্চপর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা

এটি এমন এক পেশা, যেখানে সব সময় মানসিক চাপে থাকতে হয়। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে এই পেশাজীবীদের মানসিক দূরত্ব থাকে। তাদের জীবনসঙ্গীরা একাকিত্ব ও সম্পর্কে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। ফলে স্বাভাবিক একটা দাম্পত্য জীবনের অভাবে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা।

৪. চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী

এই পেশাজীবীদের কাছে সব সময় প্রথম প্রাধান্য থাকে রোগী, জীবনসঙ্গী নয়। এই পেশাজীবীরা খুব কমই সঙ্গী বা পরিবারকে সময় দিতে পারেন। তারা অনেক ক্ষেত্রেই সঙ্গীর মানসিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হন।

৫. গেমিং সার্ভিসেস ওয়ার্কার

যারা ক্যাসিনোতে কাজ করেন বা জুয়ার সঙ্গে যুক্ত, তাদের জীবনযাপনের ধরনের কারণে তাদের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়।

৬. ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্টস

অনেকের কাছে খুবই আকর্ষণীয় চাকরি। এই পেশাজীবীরা বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পান। বেতনও তুলনামূলকভাবে ভালো। তবে আপনার কাছে যতই আকর্ষণীয় আর গ্ল্যামারাস লাগুক না কেন, পেশাটি কম চাপের নয়। ক্রমাগত ভ্রমণের ফলে তারা শারীরিক আর মানসিকভাবে ক্লান্ত থাকেন। লম্বা সময় পরিবার থেকে দূরে থাকা ও ‘লং ডিস্টেন্স রিলেশনশিপ’ চালিয়ে নেওয়া সহজ কথা নয়।

৭. কাস্টমার কেয়ার, টেলিমার্কেটের ও সুইচবোর্ড অপারেটর

এই পেশাজীবীরা সব সময় চেয়ারে বসে থাকেন। পুরোটা সময় ফোনে কথা বলেন। ফোনের অপর পাশের ব্যক্তির ঝাড়ি খান, গালি খান। ঠান্ডা মাথায় মানুষের সমস্যার সমাধানও দিতে হয়। ফলে তারা মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন। মানসিক চাপ থাকে ভীষণ। ফলে জীবন থেকে সুখ বিষয়টা দূরে চলে যায়। আর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সম্পর্কে। তাদের নিয়মিত কাউন্সেলিং প্রয়োজন।

আপনি এর পরেরবার যখন তাদের কারও সঙ্গে বিভিন্ন সেবা নিয়ে আপনার বাজে অভিজ্ঞতা ও সমস্যার কথা বলবেন, যথাসম্ভব নরম স্বরে কথা বলুন। মনে রাখবেন, আপনার ভোগান্তি বা অসুবিধার জন্য তারা দায়ী নন। তারা কেবল জীবন চালানোর জন্য চাকরি করছেন।

৮. ডান্সার ও কোরিওগ্রাফার

বিশেষ করে ব্যালে ডান্সারদের মধ্যে বিচ্ছেদের হার সর্বোচ্চ। পেশাজীবনে সর্বোচ্চ সফলতার দেখা পাওয়ার জন্য তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। তাদের ফিটনেস বজায় রাখা খুবই জরুরি। শরীরে ব্যথা, ফ্র্যাকচার, লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া, হাড় ভাঙা—এ রকম নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগেন তারা। নিজেদের শরীর নিয়ে হীনম্মন্যতা ও অসন্তুষ্টিতে ভোগার হারও তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই পেশাজীবীরাই সবচেয়ে বেশি ‘ইটিং ডিজঅর্ডার’–এ ভোগেন। তাদের একটা বড় অংশ অসুখী। তাই তাদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে অপর ব্যক্তি যে সুখী হবেন না, এটাই তো স্বাভাবিক!

৯. ম্যাসাজ থেরাপিস্ট

জীবনসঙ্গীরা এই পেশাজীবীদের পেশা নিয়ে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতায় ভোগেন।

১০. টেক্সটাইল নিটিং ও ওয়েভিং মেশিন অপারেটর

তাঁরা চাকরিজীবন নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ ক্লান্তি নিয়ে ঘরে ফেরেন। এটা তাদের মানসিক চাপ বাড়ায়। এর প্রভাব পড়ে মেজাজ, মানসিক স্বাস্থ্য ও সম্পর্কে।




দর্শনায় এক সপ্তাহে ১৩টি বোমা উদ্ধার, ভোরে বিকট বিস্ফোরণ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৩টি শক্তিশালী বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক বোমা উদ্ধারের ঘটনায় বেশ ভাবিয়ে তুলছে দর্শনাবাসিকে। দর্শনায় ভোর রাতে বিকট শব্দে বোমার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত।

দুটি গ্রামে পৃথক স্থান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় লাল কসটেপ ও কালো কসটেপ মোড়ানো সাদা পলিথিনের মধ্যে পাওয়া গেছে ৬টি বোমা। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ও সকালে এ বোমাগুলো পাওয়া যায়। এ শক্তিশালী বোমাগুলো ঘিরে রেখেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

এতে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দর্শনা সহ দুটি গ্রামের মানুষের মধ্যে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দল।

জানাযায়, বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা পৌরসভাধীন ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে গ্রামের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে দিক-বিদিক ছুটাছুটি শুরু করে।

ভোর রাতে গ্রামের বড় মসজিদপাড়ার মৃত আনছার আলীর ছেলে রুবেল হোসেনের বসত ঘরের পিছনে এ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় লোকজন পরিত্যক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে রাস্তার উপরে দুটি বোমা রেখে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে দর্শনা থানার আকন্দবাড়িয়া মাঝপাড়ার মৃত নুরুুল ইসলাম মাস্টারের বাঁশঝাড়ের নিচে ৪টি বোমা পড়ে আছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার সার্কেল এএসপি ও দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শহীদ তিতুমীর। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সেনাবাহিনীর একটি টিম। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখে কালো ও লাল কসটেপ মোড়ানো ৪টি বোমা পড়ে আছে। এ ঘটনায় গোটা দর্শনা জুড়ে বিরাজ করছে বোমা আতঙ্ক।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কেরুজ চত্বরে ভোরে ১টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। পরে সকাল ১১টায় ১টি লাল কসটেপ মোড়ানো বোমা উদ্ধার করে বিস্ফোরণ ঘটায় বোমা ডিসপোজাল টিম রাজশাহীর র‍্যাব ৫ একটি দল। তারপর ১৫ ফেব্রুয়ারি কেরুজ চত্বরের পুকুরের ভিতর কালো কসটেপ মোড়ানো আরও ১টি বোমা উদ্ধার করে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দর্শনা কেরুজ চত্বরে যৌথ চিরনী অভিযানে আরও ৪টি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে। এ বোমাগুলো ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরের দিন বিকাল ৪টায় যশোর সেনাবাহিনীর বোমা ডিসপোজাল একটি টিম বোমাগুলো বিকট শব্দে নিষ্ক্রীয় করে। গত ৪ দিনের মাথায় আবারও ১ বোমা বিস্ফোরণ ও ৬টি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় দর্শনাবাসিকে বেশ ভাবিয়ে তুলছে।

এ বিষয়ে এএসপি জাকিয়া সুলতানা বলেন, “আমরা বোমা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। তবে যে কোন সময় আমরা অপরাধীকে ধরে ফেলব।” এদিকে বোমাগুলো ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।




রয়েল এনফিল্ড কাঁপাচ্ছে দেশ, ২৯ বছর আগেই ব্যবহার করেছিলেন সালমান

বর্তমানে বাংলাদেশে বহুল জনপ্রিয় রয়েল এনফিল্ড বাইক, যা আমরা ২০২৫ সালে পেয়েছি। অথচ বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান শাহ ‘৯০ দশকেই বাংলাদেশের রোড কাঁপিয়ে গেছেন রয়েল এনফিল্ড দিয়ে।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ছবিটি মূলত ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ সিনেমা থেকে নেওয়া হয়েছে। সিনেমার ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ গানটি শুরু হয় এই বাইকে চড়ে কালো পোশাক পরা সালমান শাহকে দেখিয়ে। ১৯৯৬ সালে এমএম সরকার পরিচালিত এ সিনেমাটি মুক্তি পায়। এতে সালমানের নায়িকা ছিলেন শাবনূর।

রয়েল এনফিল্ডে চড়া ছবিটির পোস্টে সালমানভক্তরা মন্তব্যের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন— এ জন্যই সালমান শাহকে উত্তরাধুনিক নায়ক বলা হয়। তিনি ছিলেন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে। আরেক নেটিজেন লিখেছেন— আমাদের সালমান শাহ ছিলেন আন্তর্জাতিক মানের একজন স্টাইলিশ নায়ক। তার রুচি ও ফ্যাশন আজও প্রাসঙ্গিক।

জেকে খোকন নামে একজন প্রশ্ন তুলেছেন— এত বছর আগে বাংলাদেশে রয়েল এনফিল্ড এলো কোত্থেকে? অনুমতি ছিল কি? তাকে উত্তর দিয়েছেন বেশ কয়েকজন। এক নেটিজেন লিখেছেন—আগে রাস্তায় বাইকের সিসি লিমিট ছিল না। ২০০০ সালের পর থেকে সিসি লিমিট চালু হয়। তার আগে হোন্ডা কোম্পানি ২০০ সিসির বাইকও বাংলাদেশে বিক্রি করেছে।

রাশেদ নিজাম বিপলু নামে আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন—কেউ কি এই বাইকের অরিজিনাল মালিকের কথা জানেন? এই বাইকের মালিক হচ্ছে— মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে বসবাসকারী বাংলা সিনেমার ভিলেন ফকিরার। এখনো তার কাছে এই বাইকটি আছে।

মোহাম্মাদ ইমরান হাসান জানতে চেয়েছেন, বাইকটি এখন কোথায় আছে? জাফিরুল ইসলাম নামে একজন উত্তর দিয়েছেন, ‘বাইকটি এখনো এফডিসিতেই আছে।’ তবে এফডিসিতে এমন কোনো বাইকের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এভাবেই প্রিয় নায়ককে ২৯ বছর আগে বর্তমানের ট্রেন্ডি স্টাইলিশ বাইক রয়েল এনফিল্ড চালাতে দেখে সালমানভক্তরা বন্দনায় মেতেছেন এবং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। অনেকে নস্টালজিক হয়ে সালমান শাহর ব্যবহার করা বিভিন্ন গাড়ি ও বাইকের ছবি শেয়ার করেছেন ফেসবুকের সেই পোস্টে।

মোটরবাইক ব্র্যান্ড রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশের বাজারে এখন ভীষণ জনপ্রিয় । দেখতে আকর্ষণীয় এ ব্র্যান্ডের বাইক তরুণদের দারুণ আগ্রহে রয়েছে। এটি হয়ে উঠেছে তাদের ফ্যাশন ও প্যাশনের অনুষঙ্গও। সম্প্রতি বাজারে আসার পর বাইকটি নিয়ে রীতিমতো হইচই হয়েছে বাংলাদেশে।

মজার একটি তথ্য সামনে এসেছে ‘রয়েল এনফিল্ড ফ্যান ক্লাব-বাংলাদেশ’ নামের একটি পেজ। সেখানে অমর নায়ক সালমান শাহের একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হয়েছে— আজ থেকেই ২৯ বছর আগে এই ব্র্যান্ডের বাইক ব্যবহার করে গেছেন সবার প্রিয় নায়ক। ছবিতে সালমানকে দেখা গেছে সাদা রঙের একটি বাইকে। ছবির পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে। প্রায় ৩৬ হাজার রিয়েক্ট পড়েছে ছবিটিতে।




ঝিনাইদহে জাল সনদে চাকরির অভিযোগ

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ইসলামী শিক্ষক ইয়াসির আরাফাতের বিরুদ্ধে দেড় দশক ধরে জাল নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর শৈলকুপা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ইসলামী শিক্ষক পদে যোগদান করেন ইয়াসির আরাফাত। সে সময় যোগ্য প্রার্থী থাকা স্বত্তেও ক্ষমতার বলে জাল সনদ দিয়েও চাকরি পেয়ে যান আরাফাত।

অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে শিক্ষক আরাফাত হোসেন বলেন,‘পরিচালনা পরিষদের দায়িত্বরতরা আমাকে যাচাই-বাছাই করে চাকরি দিয়েছেন।’

শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি ওই সময় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলাম না। এজন্য বিষয়টি আমি জানি না।’

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপিত ও শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা রানী দাস বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।’