সৃজনশীলতায় টিকটক

ডিজিটাল জগতে নানান প্ল্যাটফর্ম তৈরি হওয়ার সাথে সাথে এসব মাধ্যমে সুযোগ বাড়ছে সৃজনশীলতা প্রকাশের। নিজের সৃজনশীলতা তুলে ধরতে নতুন প্রজন্মের কাছে অন্যতম একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হলো টিকটক। স্মার্টফোন ব্যবহার করে নিজের মতো কনটেন্ট তৈরি করাকে আরও সহজ করে তুলেছে টিকটক। তাই যে কেউ কনটেন্ট বানাতে বেছে নিচ্ছে এই প্ল্যাটফর্মকে।

টিকটকে ভিডিও তৈরির পদ্ধতি সহজ হওয়ায় প্ল্যাটফর্মের ইউজাররা কনটেন্ট তৈরি করতে উৎসাহিত হয়। টিকটক অ্যাপের বিল্ট-ইন এডিটিং টুলস, ফিল্টার এবং ইফেক্ট এমনভাবেই ডিজাইন করা যা ইউজাররা খুব সহজেই তাদের ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারে। তাই তাদের কনটেন্টেও দেখা যায় নতুনত্ব। এমনকি যাদের ভিডিও বানানোর কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই তারাও এই ফিচারগুলো ব্যবহার করে ভিডিও বানাতে পারছে। টিকটকের “ফর ইউ” পেইজটি ভিউয়ারদের পছন্দের ভিত্তিতে কনটেন্ট দেখায়, ক্রিয়েটরদের ফলোয়ারের সংখ্যার ভিত্তিতে নয়। তাই নতুন বা কম পরিচিত ক্রিয়েটরদের ভিডিও পরিচিত ক্রিয়েটরদের মতোই টিকটকে জনপ্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রাখে।

টিকটকের জনপ্রিয়তার একটি কারণ হলো শর্ট ভিডিও ফরম্যাটে দ্রুত কনটেন্ট তৈরি করার সুবিধা। একইসাথে এতে মিউজিক বা সাউন্ড যুক্ত করার সুযোগ থাকায় টিকটকের কনটেন্টেও হয়ে উঠে আকর্ষণীয়। যেখানে প্ল্যাটফর্ম ইউজাররা কেবল কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তাদের আইডিয়া, কিংবা কোন মেসেজ এখানে তুলে ধরছে। টিকটকের ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট, আর উদ্ভাবনী এডিটিং ফিচার ব্যবহারের মাধ্যমে কনটেন্টের গল্পগুলো উঠে আসছে নতুন রূপে। টিকটকের এমন একটি অভিনব ফিচার হলো “চ্যালেঞ্জ”।

বাংলাদেশে টিকটকের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো বাংলা অ্যালফাবেট চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জে প্রায় ৪৯ হাজার ৭ শত ভিডিও বানিয়েছে টিকটক ইউজাররা। মূলত ডিজিটাল স্পেসে বাংলা ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপন করতে এই চ্যালেঞ্জটি শুরু হয়। বাংলাদেশে পরিচিত হয়ে ওঠা আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো টেন মিনিটস স্কুলের ‘একশতে একশ’ চ্যালেঞ্জ। গণিত, ইংরেজি বা অন্য যে কোনও বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায় এই চ্যালেঞ্জে। এমন চ্যালেঞ্জগুলো একাডেমিক বিষয়বস্তুগুলোকে টিকটকে তুলে ধরতে উৎসাহ দেয়। অন্যদিকে, এই চ্যালেঞ্জগুলো খুবই সহজে অংশগ্রহণ করা যায় বলে ক্রিয়েটর-ভিউয়ার সকলেই যুক্ত হচ্ছে।

টিকটক প্ল্যাটফর্মে বিশ্বের এক প্রান্তের ট্রেন্ড, মিউজিক, অথবা চ্যালেঞ্জ দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অন্য প্রান্তে। তাই টিকটক কেবল এখন সৃজনশীলতার একটি প্ল্যাটফর্ম নয়; এটি হয়ে উঠেছে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জায়গা। এই বিনিময়কে ত্বরান্বিত করতে টিকটকের সম্প্রতি একটি উদ্যোগ ছিল দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ট্র্যাভেল ক্রিয়েটরদের সাথে হ্যাশট্যাগ #DiscoverWithTikTok ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনে ক্রিয়েটররা নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের স্থানগুলো এবং সেখানে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে টিকটকে।

সংস্কৃতির ধারক হলো নতুন প্রজন্ম। আর এই নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করার মধ্য দিয়ে ডিজিটাল দুনিয়ায় উঠে আসছে দেশ-বিদেশের সাংস্কৃতিক দিকগুলো। যেখানে #DiscoverWithTikTok হ্যাশট্যাগে ভ্রমণপ্রিয় অনির্বাণ কায়সার তুলে ধরেছে শ্রীলঙ্কার সৌন্দর্য। অন্যদিকে, টুহালাল এর ফুড ভ্লগার জাওয়াদ কাজী শেয়ার করেছে তার নেপাল যাত্রা। এই ধরনের কনটেন্টগুলোর মধ্য দিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, নানান দেশের রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে মানুষ জানতে পারছে। এমনকি বিভিন্ন সমাজের সমস্যা এবং সচেতনতা সম্পর্কেও কথা বলছেন এই ক্রিয়েটররা।

ডিজিটাল জগতে নতুনত্ব যোগ করেছে টিকটক। সৃজনশীলতা, অ্যাক্সেসযোগ্যতা এবং উদ্ভাবনের উপর প্ল্যাটফর্মটি গুরুত্ব দেয়। যার মধ্য দিয়ে টিকটক ইউজাররা সুযোগ পাচ্ছে নিজেদের নতুন করে প্রকাশ করার। গান, নাচ, কমেডি বা শিক্ষা — বিভিন্ন বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে এই প্ল্যাটফর্মে। সম্প্রতি উদ্যোক্তারাও তাদের ব্যবসা এবং কাজগুলো ডিজিটাল মাধ্যমে তুলে ধরতে বেছে নিচ্ছে টিকটক। বাংলাদেশেও এখন যারা ব্যবসা শুরু করছে অথবা কোন স্টার্টআপে যুক্ত হয়েছে, তাদের অনেকে টিকটক ব্যবহার করছে। তেমনই একজন উদ্যোক্তা হলো লাবিবা ইবনাথ যিনি তার গ্রাহকদের জন্য কিভাবে কাস্টমাইজড জুতা তৈরি করেন সেটি তার টিকটক অ্যাকাউন্টে তুলে ধরেন। আরেকজন পেশাদার, চিত্রশিল্পী শ্বেতা তার ফলোয়ারদের সাথে শেয়ার করেন তার আর্ট প্রজেক্ট আর নতুন কাজ। এমন উদ্যোক্তাদের কনটেন্ট আরও তুলে ধরতে টিকটক এখন গুরুত্ব দিচ্ছে এসএমবি (ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা) ব্যবসাগুলোর উপর।

কনটেন্ট বানানোকে টিকটক যেমন সহজ করেছে তেমনি কনটেন্টে সৃজনশীলতা বজায় রাখতেও প্ল্যাটফর্মটি নিয়ে আসছে নিত্যনতুন সব ফিচার। ফলে কনটেন্ট ক্রিয়েটররাও এখন আরও উৎসাহিত হচ্ছে ভিন্ন ধরনের সব বিষয়বস্তু তুলে ধরতে। যা টিকটককে জনপ্রিয় করে তুলছে আরও বড় পরিসরের দর্শকদের কাছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে লাল্টু বাহিনীর হামলায় আহত-১০

কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লাল্টু গ্রুপের হামলায় ১০ জন আহত হয়েছে। এসময় মোটরসাইকেল ভাংচুর, বসতবাড়িতে হামলা, গবাদিপশুসহ বাড়ীঘরের মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুমারখালি উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের বাঁধবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব এবং আধিপত্য বিস্তারে বিধ্বস্ত কুমারখালির পাহাড়পুর গ্রামের জনজীবন। এই এলাকার মন্ডল গ্রুপের আমিরুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর লাল্টু নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সজীব ও মোমিনসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাজারে একটি দোকান লিজ নেওয়াকে কেন্দ্র করে শালিসি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এসব বিষয় নিয়ে বাঁধবাজার কমিটির নেতাদের সাথে কথা বলতে গেলে লাল্টুর নেতৃত্বে লাল্টু,সজিব, মমিন,মাসুদ, আমিরুল, সজল, মতিয়ার, আতিয়ার, এনামুল, নান্নু, ওসমান দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে বাঁধবাজার এলাকার তালেব বিশ্বাসের ছেলে রিয়াজ আলী (৪২), হাকিম বিশ্বাসের ছেলে রফিক বিশ্বাস (৪৩) একই এলাকার গফফারের ছেলে তারিকুল ইসলাম, নাজিম বিশ্বাসের রাজন, মৃত: সাজ্জাদ আলী শেখের ছেলে মুক্তার হোসেনসহ অন্তত আটজন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

পরে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রফিক বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রাজমিস্ত্রীর কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলাম। এসময় বাজারের একটা লীজকৃত দোকান নিয়ে আজকে শালিসি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠকের আগেই লাল্টু তার দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে জখম করে। পরে লাল্টু তার লোকজন নিয়ে আমাদের ঘরবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আমরা এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’

তুষার নামের স্থানীয় একজন বলেন, ‘লাল্টু এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে এই হামলা চালিয়েছে। হামলার পর আমার বাড়ি থেকে দুইটা ল্যাপটপ ও একটা কম্পিউটার এবং তিনটা ছাগল লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও তারিকুলের গোয়ালঘর থেকে আড়াই লাখ টাকার গরু লুট করে যায়। এছাড়াও জাফরের ছেলে সজলের পালসার মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। লাল্টুর কারনে এলাকায় অশান্তি। আমরা এলাকায় শান্তি চাই। কোনো সংঘাত বা মারামারি চাই না।’ এরআগেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেও কোন সুফল পায়নি।

কুমারখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাধবাজারে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় দলাদলি, আধিপত্য ও জায়গাজমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাজারে স্থানীয়দের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়েছি। একপর্যায়ে মারামারিতে রুপ নেয়। তিনজনের বাড়ী থেকে গবাদিপশু নিয়ে গেছে। কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী সময়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।




অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদ থেকে জাল সনদে সার্ভেয়ার

মোর্শেদুর নাহার নিশির কর্মজীবন শুরু হয় আলমডাঙ্গা পৌরসভার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে। এরপর জাল সনদের মাধ্যমে তিনি সার্ভেয়ার পদে নিয়োগ পান। সার্ভেয়ার হবার পর দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা অবৈধপন্থায় উপার্জন করেছেন। তার অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে নিরাপত্তার স্বার্থে নাম-পরিচয় গোপন রেখে গত (৩ অক্টোবর) ঝিনাইদহের আঞ্চলিক দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সার্ভেয়ার মোর্শেদুর নাহার নিশি পৌর এলাকার বাবুপাড়ার বাসিন্দা ও আলমডাঙ্গা পৌরসভার টিকাদান কর্মী আঞ্জুমান আরা বেবীর মেয়ে।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, গত ২০১৬ সালে মোর্শেদুর নাহার নিশি আলমডাঙ্গা পৌরসভায় মাস্টার রুলে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ৫ বছরের মাথায় সার্ভেয়ার (আমিন) সার্টিফিকেট পৌরসভার পদে বসেন। সাবেক মেয়র হাসান কাদির গনুর মাধ্যমে জাল সনদে ও অর্থবাণিজ্যের কারণে সহজে নিশি সার্ভেয়ার পদে নিয়োগ পান। তার মা আঞ্জুমান আরা বেবী পৌরসভার টিকাদান কর্মী হওয়া সত্বেও সাবেক মেয়রের সাথে ছিলো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তিনিও দীর্ঘদিন টিকাদান কার্যক্রম কিংবা অফিসেও ঠিক মত না করারও অভিযোগ রয়েছে। অফিস না করেই বছরের পর বছর বাড়িতে বসেই বেতন তুলতেন। সাবেক মেয়রের ঘনিষ্ট হওয়ায় তার সহকর্মীরাও তাকে কিছু বলতে সাহস পাননি। টিকাদান কর্মী বেবির মেয়ে নিশি ওই ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাপযোগ করার জন্য বিভিন্ন ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে লুটে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। গত জুলাই মাসে এক ভুক্তভোগী জাবর আলী বাদি হয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার মেলেনি।

এই প্রতিবেদন লেখার আগে খোঁজ নেওয়া হয় বগুড়া জেলাতে। মোর্শেদুর নাহার নিশি সার্ভেয়ার (আমিন) সার্টিফিকেট নিয়োগ পাবার আগে যে সনদ দিয়েছেন তার কোন হদিস মেলেনি। তিনি (সিট ফাউন্ডেশন, বগুড়া) নামক প্রতিষ্ঠানের একটি সনদ দিয়েছেন। ওই নামে কোন প্রতিষ্ঠান নেই বলে জানাগেছে।

এ ঘটনায় নাম না প্রকাশ শর্তে আলমডাঙ্গা পৌরসভার একাধিক কর্মচারীরা বলেন, টিকাদান কর্মী বেবী ও তার মেয়ে নিশি দুজনে ইচ্ছা মূলক ভাবে আইন অমান্য করে তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যায়। সাবেক মেয়রের ঘনিষ্ট হওয়ায় কেউ তাদের প্রতিবাদ করতে পারেনি। উপর মহল কোন তদন্ত করতে আসলেও টাকার মাধ্যমে তাদের ম্যানেজ করা হতো।

আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কে একটি অভিযোগ দিয়েছে। ওই অভিযোগের কপি পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, দুদক এসে তারা তদন্ত পূর্বক যেকোন ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলে আমরা সেটিই করবো।




মেহেরপুর শহর আ. লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্কাস গ্রেফতার

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর হামলা ও ভাঙচুর মামলায় মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলীকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল আক্কাস আলীর দোকানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাস আলী শহরের হোটেলপাড়া এলাকার আব্বাস উদ্দিনের ছেলে।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলের পর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া ও ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আক্কাস আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সদর থানার মামলা নং ২০।




বাড়ি মেহেরপুরের ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

বাড়ি মেহেরপুর অরাজনৈতিক, অলাভজনক, সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠন জনপ্রকৌশল অধিদপ্তর সংলগ্ন, মেহেরপুর প্রধান কার্যালয়ে ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিক আয়োজন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ( ৮ অক্টোবর) বিকেল ৫টার সময় বাড়ি মেহেরপুর অরাজনৈতিক, অলাভজনক, সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠন জনপ্রকৌশল অধিদপ্তর সংলগ্ন, মেহেরপুর প্রধান কার্যালয়ে ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিক পালন করা হয়।

বাড়ি মেহেরপুরের প্রতিষ্ঠাতা এডমিন আমেরিকান প্রবাসী এম এম নুরুজ্জামান বাবু সহযোগিতায় ও বাড়ি মেহেরপুরের এর উদ্যোগে এই সময় উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ রিনু (এডমিন), নাসরিন বিনতে মেরাজ (এডমিন), এম এ মাবুদ (মডারেটর), আসাদুজ্জামান খান রাজ (এডমিন), মো: একরামুল, মো: সোহেল, মো: আসিব, মো: রায়হান সদস্য প্রমুখ।




ঝিনাইদহে র‌্যাবের অভিযানে হত্যা মামলার ৩ পলাতক আসামি গ্রেফতার

ঝিনাইদহের মহেশপুরে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ৩ পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬। গতকাল সোমবার রাত ১টার দিকে র‌্যাব-৬ (ঝিনাইদহ ক্যাম্প) এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে মহেশপুর থানার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ পলাতক আসাম কে উপজেলার ভালাইপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ পলাতক আসামীরা হলেন একই উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের মাহাতাব বিশ্বাসের জেন্টু (৫০), কেসমত খাঁর ছেলে আবদার (৫২), এবং মৃত ইদবার খার ছেলে আলী হোসেন (৫৪)।

উল্লেখ, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে মহেশপুর থানাধীন ১নং এসবিকে ইউনিয়নের ভালাইপুর গ্রামের তৌহিদুল ইসলাম এর বাড়িতে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন চোর গরু চুরির উদ্দেশ্যে গিয়ে তৌহিদুল ইসলামকে আহত করে পালিয়ে যায়। এছাড়া একই রাতে তার প্রতিবেশী সুমন খান এর বাড়ি হতে দুইটি গরু চুরি হয়।

উক্ত চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামিরা হত্যা মামলার বাদীর স্বামী, মিঠু শেখ ছেলে রাশেদ শেখ (৩৮), ও ভিকটিমের চাচা মোঃ বজলুর রহমান এবং ভিকটিমের ছোট ভাই মোঃ রাজদুল ইসলাম শেখ দেরকে চোর সাব্যস্ত করে খুজতে থাকে। উক্ত তারিখ সকালে ভিকটিম বাড়ি হতে মটর সাইকেল যোগে খালিশপুর বাজারে যাওয়ার সময় মহেশপুর থানাধীন এসবিকে ইউনিয়নে ভালাইপুর গ্রামের রাহাতুল্লাহ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ইটের সলিং রাস্তার উপর পৌঁছা মাত্রই আসামীগন একত্রিত হয়ে ভিকটিমের গাড়ি থামিয়ে মারার চেষ্টা করলে ভিকটিম ভয়ে দৌড়ে ভালাইপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গেলে আসামীরা সেখানে গিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি ঘুষি, লাথি ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। ভিকটিমের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে এবং বাড়ি থেকে ভিকটিমের চাচা ও ছোট ভাইকে মারতে মারতে ভালাইপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। আসামিগন ভিকটিম ও ভিকটিমের চাচা এবং ছোট ভাইকে কাঠের বাটাম দিয়ে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে ভিকটিম ও ভিকটিমের চাচা এবং ছোট ভাইকে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশেদ শেখকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার বিষয়ে র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় হস্তান্তর হয়েছে।




মেহেরপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

ভারতীয় পুরোহিত রামগিরি মহারাজ বিজেপি নেতা নিতেশ নারায়ণ এবং বাংলাদেশের পার্থ বিশ্বাস পিন্টু কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি এবং ফিলিস্তিনের গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলির বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে মেহেরপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর ) বিকেল ৫ টার দিকে মেহেরপুর জেলা উলামা পরিষদ ও ইমাম পরিষদের আয়োজনে মেহেরপুর শহরের জেলা মডেল মসজিদ চত্ত্বরে থেকে এই মিছিল শুরু হয়।

“রামগিরির দুই গালে জুতা মারো তালে তালে”, “বিশ্ব মুসলিম অস্ত্র ধরো ফিলিস্তিন স্বাধীন করো”, “সাবিলুনা সাবিলুনা আল জিহাদ আল জিহাদ” সহ বিভিন্ন স্লোগানে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর সভার সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়। পরে যেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে মেহেরপুর জেলা উলামা পরিষদ ও ইমাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন অংশগ্রহণ নেয়।

জেলা উলামা পরিষদের সভাপতি হযরত মাও. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি সাদিকুর রহমান, জেলা উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি হাফিজুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মুফতি আবু বকর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মাও. আঃ কাদের প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তিকারী ভারতের পুরোহিতকে দ্রুত গ্রেপ্তার এবং গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলীর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান। সমাবেশ শেষে মুসলিম জাহানের শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়াও মাও. ইয়ারুল ইসলাম, মাও. খাইরুল ইসলাম, মাও. জাবের হুসাইন, মাও. গোলাম কিবরিয়া, মাও. মহসিন, মাও. মিনারুল ইসলাম, মাও. ইলিয়াস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে দুটি দোকানে ভোক্তার অভিযান, ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

উচ্চ মুল্যে ডিম বিক্রি ও ভাউচার না দেওয়ায় ডিম ব্যবসায়ী ও অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, বাসি গ্রিল ও খাবার অস্বাস্থ্যকরভাবে সংরক্ষণ করে বিক্রির অপরাধে দুটি দোকানে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সজল আহমেদ গাংনী উপজেলা শহরে এই অভিযান পরিচালনা করেন।

তিনি জানান, উচ্চ মুল্যে ডিম বিক্রি ও গ্রাহককে ভাউচার না দেওয়ার অপরাধে মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ২ হাজার টাকা এবং পুর্বে সতর্ক করার পরেও নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, বাসি গ্রিল অন্যান্য খাবার অস্বাস্থ্যকরভাবে সংরক্ষণ করে পুনরায় বিক্রি করা, কর্মচারিদের স্বাস্থ্যবিধি না মানা, জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বিভিন্ন রকম ছাপা ও লেখা কাগজের ঠোংগা ব্যবহারসহ বিভিন্ন অপরাধ মেসার্স গাংনী সুইটস এন্ড বিরিয়ানি হাউজের মালিককে একই আইনের ৪৩ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় হোটেলে রাখা প্রচুর পরিমাণ অস্বাস্থ্যকর ও বাসি খাবার জনসম্মুখে নষ্ট করা হয়।

অভিযানে সহযোগিতা করেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো: রিয়াজ মাহমুদ, গাংনী উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান এবং মেহেরপুর জেলা পুলিশের একটি টিম।

পরে উপজেলা শহরের বিভিন্ন ডিম, মাংশ, মাছ, সবজি হোটেল ও মুদি দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়।

আইন মেনে সকলকে ব্যবসা পরিচালনা, মুল্যতালিকা প্রদর্শন ও কেনা- বেচার ভাউচার সংরক্ষণ করা এবং অতিরিক্ত দাম নেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।

এ সময় ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।




দর্শনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭২৪ লিটার মদসহ গ্রেফতার ৩

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌরসভার আনোয়ারপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৭২৪ লিটার রেকটিফাইট স্পিরিটসহ (মদ তৈরির কাঁচামাল বা উপকরণসহ) যুবদল ও শ্রমিক দলের তিন মাদককারবারিকে গ্রেফতার করেছে ।

আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ভোররাতে দর্শনার থানার আনোয়ারপুর হঠাৎ পাড়া থেকে তাদের ৩জনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত চুয়াডাঙ্গা জেলা শ্রমিক দলের সদস্য আমিনুল ইসলাম (৪৫) দর্শনার আনোয়াপুর এলাকার মৃত সোনা মিয়ার ছেলে, জেলা যুবদলের সদস্য কিতাব আলীর ছেলে মিতুল (৪২) একই এলাকার নৃর মিয়ার ছেলে আলীর ছেলে ও শফিকুল ইসলামকে (৩৫)৭২৪ লিটার বাংলামদসহ তাদেরকে গ্রেফতার করে।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরিন আক্তার ও ৫৫ পতাদিক ডিভিশনের সার্জেন্ট মাসুদের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর সদস্যরা চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার আনোয়ারপুর হঠাৎপাড়ায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় যৌথবাহিনী তিন মাদককারবারীর ভাড়া বাসা থেকে ৭২৪ লিটার রেকটিফাইট স্পিরিট (মদ তৈরির কাঁচামাল ও উপকরণ) উদ্ধার করে। যৌথবাহিনী গোপন সংবাদে জানতে পারে দর্শনা আনোয়ারপুর হঠাৎ পাড়ায় ভেজাল মদ তৈরির জন্য বিপুল পরিমাণ স্পিরিট ওই বাড়িতে মজুদ রেখে ভেজাল মদ তৈরি করছে। এসব রেকটিফাইট স্পিরিট ও বাংলা মদ কেরু এন্ড কোম্পানী থেকে সংগ্রহ করেছে বলে তারা জানায়।

চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরিন আক্তার জানান, গ্রেপ্তারকৃত তিন মাদককারবারীর বিরুদ্ধে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মাদক আইনে দর্শনা থানায় মামলা হয়েছে যার মামলা নং ৬।




টি-টোয়েন্টি অবসরের ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দিলেন অভিজ্ঞ এ অলরাউন্ডার।

আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন মঞ্চ আগেই প্রস্তত ছিল। বাকি ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আসা। এরপর এলেনও তিনি। শুরুতেই জানিয়ে দিলেন টি-টোয়েন্টি সংস্করণ থেকে তার অবসরের সিদ্ধান্তের কথা।

চারপাশে চলমান আলোচনা যে মিথ্যে নয়, সেটাই শুরুতে জানিয়ে দিলেন ৩৯ ছুঁই ছুঁই এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ভারতের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি হবে তার ম্যাচ, ‘হ্যাঁ, সত্যিই আমি এই সিরিজের শেষ ম্যাচেই অবসর নিতেছি।’

১৭ বছরের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শুরুটা হয় কেনিয়ার বিপক্ষে। আর শেষ হচ্ছে ভারতের বিপক্ষে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩৯ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ২৩৯৫। তার গড় ২৩.৪৮। আর কোনো শতক না থাকলেও টি-টোয়েন্টিতে ৮ অর্ধশতক রয়েছে তার।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল, এ চার বছরে ৪৩ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন মাহমুদউল্লাহ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়া ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ড তার দখলে। তবে সে এককভাবে এ রেকর্ডের মালিক নয়। তার সমান ১৬টি করে জয় রয়েছে সাকিব আল হাসানেরও।

এর আগে ২০২১ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বেশ সাড়া ফেলে সেই অবসর। হারারে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের মাঝপতে সতীর্থরা গার্ড অব অনার দেন তাকে। যা দেখে অনেকে তার অবসরের বিষয়টি অনুমান করে নেন।

টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণায় কোনো নাটকীয়তা করেননি তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেন বিদায়। বুধবার (৯ অক্টোবর) দিল্লিতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ অবসরের ঘোষণা দিলেন। ভারতের বিপক্ষে হায়দরাবাদে হওয়া সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি দিয়ে ইতি টানবেন ক্যারিয়ারের।

টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ছেন না মিডল অর্ডার এ ব্যাটার। চালিয়ে যাবে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে।

সূত্র: কালবেলা