চুয়াডাঙ্গায় ইউএনও’র নিরাপত্তা কর্মী আনসার সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ইউএনও অফিস ও সদর উপজেলার আনসার ব্যারাকের শৌচাগার থেকে জামাল উদ্দিন(৫৫) নামে অচেতন অবস্থায় এক আনসার সদস্যকে উদ্ধার করে হয়। উদ্ধার পরবর্তীতে রাত সাতটার দিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জামাল উদ্দিন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ঠাকুরবাড়িয়া গ্রামের গঞ্জের আলীর ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা-তুজ-জোহরার নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন।
উদ্ধারকারী আনসার সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, জামাল উদ্দিনসহ আমরা কয়েকজন সদস্য ডিউটিতে ছিলাম। এর মধ্যে যে কোনো এক সময় জামাল উদ্দিন আনসার ব্যাকারের শৌচাগারে যান। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলে আমরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। পরে আনসার ব্যারাকের শৌচাগার মধ্যে জামাল উদ্দিনকে পড়ে থাকতে দেখি। দ্রুত জামাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম বলেন পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর জামাল উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি স্ট্রোক করেছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলি বলেন, সদর উপজেলার আনসার ব্যাকারের শৌচাগার থেকে এক আনসার সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে তিনি স্ট্রোক করেছেন। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।