কুষ্টিয়ায় তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
কুষ্টিয়ায় তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রিতে নেমে যাওয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তার আগেই শিক্ষার্থীরা স্কুলে চলে এসেছিল। যদিওবা অন্যান্য দিনের শৈত্য প্রবাহের থেকে আজকে রৌদ্রজ্বল বেশি ছিল।
আবহাওয়া অফিস থেকে জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলার উপর দিয়ে বইছে শৈত্য প্রবাহ। আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হলেও তাদের ক্লাস না নিয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে কিছু কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলায় ব্যস্ত ছিল।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আবহাওয়া অফিস থেকে তাপমাত্রার তথ্য পাওয়ার পর আজ সকাল ৮টায় বিভিন্ন গ্রুপে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এ নির্দেশ কেবল আজকের জন্যই। আগামীকাল তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ওপরে গেলে এ নির্দেশ উঠে যাবে।
কুমারখালী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মামুন আর রশিদ বলেন, ‘আজ কুষ্টিয়ায় তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রিতে নেমেছে।’
সরেজমিনে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বলিদাপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে যে শিক্ষার্থীরা চলে এসেছিল তারা স্কুল প্রাঙ্গণে খেলায় মেতেছে। শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, স্কুলে আসার পর আমাদের ম্যাডাম স্কুল ছুটি দিয়ে দিয়েছে। পাশেই বলিদাপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। সেখানকার শিক্ষার্থীরা খেলাধালায় ব্যাস্ত।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সুলতান আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা স্কুলে চলে আসায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ তবে রোদ্রজ্জল থাকায় কিছু শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করে বাসায় ফিরে গেছে।
কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নাদিরা খানম বলেন, সকাল ৮টা থেকে আমাদের প্রথম শিফট চালু হয়। আবহাওয়ার বৈরিতার কারণে সকাল সোয়া আটটার দিকে ঘোষণা পাওয়ার পরপরই স্কুলের ফেসবুক পেজসহ সব গ্রুপে বন্ধের মেসেজ দিয়ে দিই। এরপরও কিছু শিক্ষার্থী মেসেজ না পেয়ে স্কুলে উপস্থিত হয়। পরে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।’
জেলা শিক্ষা অফিসার আল মামুন তালুকদার বলেন, ‘গতরাত ১২টার আগপর্যন্ত যোগাযোগ করেও কুমারখালী আবহাওয়া অফিস থেকে আমরা কোনো রেসপন্স পাইনি। পরে আজ সকাল ৮টার দিকে তারা জানায় যে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে। তাই পরে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।’