চুয়াডাঙ্গায় ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি গৃহ প্রদান উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্স

‘আশ্রায়ণের অধিকার,শেখ হাসিনার উপহার’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং গৃহ প্রদান করার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে রবিবার (৯ জুন) দুপুর ২টায় প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ-জোহরা জানান, আগামী বৃহস্পতিবার (১১জুন) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ম পর্যায়ে নির্ধারিত গৃহ উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমিসহ হস্তান্তর কাজের উদ্বোধন করবেন। চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে ৬টি এবং আলুকদিয়া ইউনিয়নের ঝোড়াঘাটা গ্রামে ৪ জন উপকারভোগীদের জমি ও গৃহের কবুলিয়ত এবং নামজারীর কপি তুলে দেয়া হবে।

এরা হলো আলুকদিয়া ইউনিয়নের ঝোড়াঘাটা গ্রামের স্বামী মফিজুর মল্লিক ও তার স্ত্রী কবিতা খাতুন, একই গ্রামের স্বামী জাহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী লিপি খাতুন, ওই গ্রামের কাওছার আলী ও তার স্ত্রী তামান্না খাতুন মেঘনা, স্বামী কামরুজ্জামান কল্লোল ও তার স্ত্রী সুরভী খাতুন। তিতুদহ ইউনিয়নের হুলিয়ামারী গ্রামের মোফাজ্জেল মন্ডলের মেয়ে সালেহা বেগম, তিতুদহ গ্রামের স্বামী আলমগীর হোসেন ও তার স্ত্রী পারভীনা খাতুন, একই গ্রামের স্বামী ইদবার আলী ও তার স্ত্রী নারগিস বেগম, বাদল উদ্দীনের মেয়ে ছারু খাতুন, স্বামী আনোয়ার শেখ ও তার স্ত্রী রশিনা বেগম এবং স্বামী রুহজেল হোসেন ও তার স্ত্রী আরজিনা খাতুন।

উল্লেখ্য, ১ম থেকে ৪র্থ পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ২০১টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং গৃহ প্রদান করা হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গা চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগ ও পুনঃতফসিলের দাবিতে ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন

চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে স্বচ্ছ ভোটারতালিকা হালনাগাদ পূর্বকআসন্ন দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের পুনঃ তফসিলের দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এই দাবিতে মানববন্ধন, জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি আজ রবিবার সকাল ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়। পরে দুপুর ১২ টায় শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ব্যবসায়ীরা।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী ও চেম্বার সদস্যরা অভিযোগ করেন, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আসন্ন দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ২০২৪-২০২৫ ও ২০২৫-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনী তফসিল গত ২৫ মে প্রকাশিত হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী গত ৩ জুন খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ভোটার তালিকায় অনেক ভূয়া ভোটার অন্তর্ভুক্ত আছে।

এক ব্যবসায়ী নেতার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদেরও ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে খসড়া ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমান সভাপতি ও সচিবের যোগসাজশে মে’২০২৪ মাসের মধ্যেই পাঁচ শতাধিক সদস্য অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। বাণিজ্য সংগঠনের নীতিমালার তোয়াক্কা না করে বর্তমান সভাপতি ইয়াকুব হোসেন জালিয়াতির মাধ্যমে বহু সদস্যকে অন্তর্ভুক্তি করেন। প্রতি বছর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও গত ১০ বছরে কোন সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। তাদের দাবি, এই কমিটির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই ঘোষিত তফসিল ও বর্তমান কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে।

এদিকে, স্মারকলিপি গ্রহণকালে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, স্মারকলিপিটি গ্রহণ করা হয়েছে। স্মারকলিপিটি বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট্য পর্যায়ে জানাবো। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চেম্বার অব কমার্সের সদস্য আলাউদ্দীন হেলা।

উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ী নেতা চেম্বারের সদস্য সাইফুল হাসান জোয়ার্দ্দার, হাবিবুর রহমান, আবুল কালাম, মফিজুর রহমান, হাবিল হোসেন জোয়ার্দার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নানসহ অন্যরা।




আলমডাঙ্গায় ২’শ গ্রাম গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া ক্যাম্প পুলিশের অভিযানে ২’শ গ্রাম গাঁজাসহ ডাবলু হক নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।

আজ রবিবার সকালে উপজেলার চর-শ্রীরামপুর গ্রামে এ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

আটক ডাবলু হক (৪৪) উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের চর-শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত মোশারফ মন্ডলের ছেলে।

পুলিশ জানান, গতকাল রবিবার সকালে গোপন সংবাদ আসে চর-শ্রীরামপুর এলাকায় মাদক দ্রব্য গাঁজা বিক্রির জন্য একজন অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পাইকপাড়া ক্যাম্প পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সন্দেহজনক ভাবে ডাবলু হককে আটক করে পুলিশ। তাঁর স্বীকারোক্তিতে কাছে থাকা ২’শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।

এঘটনায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, একজনকে ২’শ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গা ব্যাংকে টাকা তুলে গণনা, হাতিয়ে নিলো প্রতারক চক্র

আলমডাঙ্গার ব্যাংক থেকে টাকা তুলে গোনার সময় আলো মতি নামের এক মহিলার কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মহিলার চক্রের সদস্যরা।

আজ রবিবার দুপুরে আলমডাঙ্গার সোনালী ব্যাংকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি জানতে পেরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কলাপসিবল গেট বন্ধ করে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চালালেও চক্রের সন্ধান করতে পারেননি । এ ঘটনায় ওই মহিলা থানায় জিডি করেছেন।

জানা গেছে,আলমডাঙ্গার হারদী ইউনিয়নের প্রাগপুর গ্রামের তারিক আজিজের স্ত্রী আলো মতি গতকাল রোববার সকাল ১০ টার দিকে আলমডাঙ্গার সোনালী ব্যাংকে আসেন টাকা উত্তোলন করতে। তিনি ৩৫ হাজার টাকা কাউন্টার থেকে উত্তোলন করে পাশে দাঁড়িয়ে গণনা করছিলেন। উত্তোলিত টাকার মধ্যে কয়েকটি নোট ছেড়া দেখে তিনি ৩০ হাজার টাকা ব্যাগে রেখে ছেড়া নোট কাউন্টারে বদল করতে দেন। সুযোগ বুঝে পাশে থাকা কয়েক মহিলা চক্র ব্যাগ থেকে টাকা বের করে নিয়ে সটকে পড়ে। ছেড়া টাকা বদল করে আলো মতি দেখেন তার ব্যাগে টাকা নাই।

এ সময় তিনি কান্নাকাটি শুরু করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেন। টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করলেও চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

পরে ওই মহিলা তার স্বজনদের নিয়ে আলমডাঙ্গা থানায় জিডি করেন।




আলমডাঙ্গায় গাঁজা ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সেবনে দুজনের কারাদণ্ড

আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার রাধিকাগঞ্জে গাঁজা ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সেবনের দায়ে একজন ১ বছরের ও অন্যজনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা দাস।

এর আগে গতকাল রবিবার বিকেলে আলমডাঙ্গা পৌরসভাধীন রাধিকাগঞ্জ এলাকার অভিযুক্ত মিলনের বসতবাড়িতে মাদক সেবন করছিল। এমন ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালান। এসময় মাদক সেবনরত অবস্থায় তাদের আটক করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা দাস মিলন হোসেন (২২) কে ১ বছর ও হাসিবুল ইসলামকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা দাস জানান, গাঁজা ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সেবনের অপরাধে দুজনকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দুজনকে পৃথক ১ বছর ও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।




উৎপাদনশীলতায় রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প অ্যাওয়ার্ড পেলেন দর্শনা কেরু চিনিকলের এমডি মোশারফ হোসেন

দেশের ঐতিহ্যবাহি ও দেশের সর্ববৃহৎ দর্শনা কেরু চিনিকল। এ চিনিকলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরিতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও উৎকর্ষতা অর্জনে ন্যাশনাল প্রডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২২ অর্জন করেছে কেরু’জ ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।

গতকাল শনিবার (৮জুন ) দুপুরে ঢাকা ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমি হল রুমে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উৎপাদনশীলতায় রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরির অ্যাওয়ার্ড পুরুস্কারে ভূষিত হন দর্শনা কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন (এফসিএ-এর)।

চিনিকলকে আধুনিক করন ও কেরু এন্ড কোম্পানির রূপকার অত্র প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে উন্নীত করার প্রধান সমন্বয়ক হিসাবে তার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে উৎপাদনশীলতায় রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরির অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মোহাম্মদ হুমায়ুন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানাসহ শিল্পমন্ত্রণালয় ও চিনি করপোরেশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

কেরু চিনিকলের মহা ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো: ইউসুপ আলি জানান, দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ছয়টি ইউনিট নিয়ে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে পাঁচটি ইউনিটেই লাভ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে সামগ্রিকভাবে কেরু চিনিকলের সকল শ্রমিক কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টায় মিলটি লাভজনক অবস্থায় আছে।

কেরু’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন বলেন, এ অ্যাওয়ার্ড আপনারা আপনাদের সহযোগীতা করেছেন বলে প্রতিষ্ঠান আজ সব সেক্টরে লাভ করেছে। আগামীতে আপনারা পাশে থাকলে কেরু এ্যান্ড কোম্পানি সব সেক্টর ঘুরে দাড়াবে বলে আশা করছি। আপনারা আমার পাশে থেকে সহযোগিতা করলে চিনিকলটি হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।




রেণু পোনা উৎপাদনে সমৃদ্ধ ভান্ডার ঝিনাইদহের বলুহর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারি

রেণু পোনা নিয়ে এক সমৃদ্ধ ভান্ডার গড়ে উঠেছে বলুহর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারিতে। গোটা দক্ষিনাঞ্চল ছাড়িয়ে বলুহর হ্যাচারির রেণু ঢাকা, বরিশাল ও গাজিপুর জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বলুহর হ্যাচারির এই রেণু চাষ করে মৎস্যজীবীরা আশানুরুপ সাফল্য পাচ্ছেন। আর্থিক সচ্ছলতার পাশাপাশি বেকার যুবকরা হচ্ছেন স্ববলম্বি।

বর্তমান এই হ্যাচারিতে চীন থেকে আমদানীকৃত সিলবার, বিগহেড ও গ্রাসকার্পের রেনু ও ভিয়েতনামীয় পাঙ্গাস, কালিবাউস এবং সুবর্ন রুই মাছ লালন পালন করা হচ্ছে। শুধু রেণু উৎপাদনই নয়, দেশের খ্যতনামা বিশ^বিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা রেণু পোনা উৎপাদনে হাতে কলমে প্রশিক্ষন নিতে এখানে আসছেন।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, উন্নত জাতের কার্প জাতীয় মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করে আমিষের ঘাটতি পুরণের লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালে কোটচাঁদপুরের বলুহর গ্রামে দেশের সর্ববৃহৎ মৎস্য হ্যাচারি কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১০৩ একর আয়তন বিশিষ্ট এই হ্যাচারিতে রয়েছে ৩০টি দৃষ্টিনন্দন পুকুর। ঝিনাইদহ ছাড়াও যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, রাজবাড়ি, মেহেরপুর ও সাতক্ষিরাসহ গোটা দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে এই হ্যচারির উৎপাদিত রেণু পৌছে যাচ্ছে।
হ্যাচারি ম্যানেজার মোঃ আশরাফ-উল-ইসলাম জানান, নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও হ্যাচারিতে রেণু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

তিনি জানান এ বছর রেণু বিক্রি করে ৩৫ লাখ ও টেবিল ফিশ এবং পোনা বিক্রির ১৭ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রা ছিল. যা ইতিমধ্যে অর্জিত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি এখন রাষ্ট্রের লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

হ্যাচারি ম্যানেজার আরো জানান, তিনি যোগদানের পর থেকে পরিত্যক্ত ভবনগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে চালু করা হয়েছে। হ্যাচারির মধ্যে আবর্জনা স্তুপে ভরা ছিল। সেগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে ফুল বাগান তৈরীর মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে মজবুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।

এদিকে হ্যাচারি প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, বলুহর কেন্দ্রীয় হ্যাচারিতে দেশের খ্যতনামা ভার্সিটির শিক্ষার্থীরা আসছেন হাতে কলমে প্রশিক্ষন নিতে। তাদেরকে আধুনিক কলাকৌশল ও সর্বশেষ লাগসই প্রযুক্তি শেখানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পুকুর থেকে ব্রুড সংগ্রহ পদ্ধতি, মাছে ইনজেকশন পুশ, ডিম সংগ্রহ ও বিপনন পদ্ধতি সম্পর্কে হাতে কলমে প্রশিক্ষন প্রদান করা হচ্ছে, যাতে তারা কর্মক্ষেত্রে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগাতে পারেন।

সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের মাছ চাষি আতিয়ার রহমান বিশ্বাস জানান, বলুহর হ্যাচারির রেণু নিয়ে মাছ চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন। তার মতো অনেকেই স্বাবলম্বি হচ্ছেন।

জীবননগরের মাছচাষি রুস্তম আলী জানান, তিনি মাত্র ৫ হাজার টাকার রেণু পোনা নিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকার মাছি বিক্রি করেছেন।

এদিকে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, বলুহর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারিতে লোকবলের অভাবে কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। মোট ২৭টি পদের মধ্যে ১৯টি পদ শুন্য রয়েছে। অনেক ভবন এখনো জরাজীর্ন। গুরুত্বপুর্ন পদগুলোতে জনবল নিয়োগ করা হলে বলুহর হ্যাচারি রেণু উৎপাদনে দেশে নজীর সৃষ্টি করতে পারতো বলে অনেকে মনে করেন।




শৈলকুপা থানা পুলিশের উপরে হামলা, ৫ পুলিশ সদস্যসহ আহত ২৫

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় থানায় এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে থানা পুলিশের উপরে হামলা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপরে। এ ঘটনায় ৫পুলিশ সদস্যসহ ২৫/২৬ আহত হয়েছেন।

আজ রোববার  (৯ জুন) দুপুরে শৈলকুপা থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনগন ও থানা পুলিশের কাছ থেকে জানা গেছে, শৈলকুপায় আওয়ামী লীগ কর্মী এজাহারভুক্ত আসামি ধলহরা চন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়া গ্রামের মোস্তাক সিকদারকে পুলিশ রোববার দুপুরে আটক করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শৈলকুপা থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এতে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং হামলাকারীদের মধ্যে ২০/২৫ জন আহত হয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করায় পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে । এই ঘটনায় পুলিশ ২জনকে আটক করেছে। শৈলকুপা সার্কেলেরর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১০ মিনিটের এ হামলার ঘটনায় অন্তত ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। হামলাকারীদের ২জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

উল্লেখ, গত শুক্রবার ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের একটি বক্তব্য সামাজিক যোযোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ প্রশাসন ও জনমনে ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় যার ফলে এমনটি হয়েছে বলেও অনেকে ধারণা করছেন।

সে দিন সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম শৈলকুপা থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে গলায় গামছা বেঁধে বিতাড়িত করার হুমকি দেন।

এ সময় হাজারো জনতার সামনে মেয়র আরও বলেন, এ দুর্নীতিবাজ ওসি সন্ত্রাস করছে। আমরা চাই দুর্নীতিবাজ প্রশাসন বিশেষ করে এই ওসি এখান থেকে চলে যাক। তা না হলে গলায় গামছা বেঁধে তাকে আমরা বিতাড়িত করব।

পৌর মেয়রের এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মূহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়। এ নিয়ে শৈলকুপা উপজেলা শহরের চায়ের দোকান ও বিভিন্ন আড্ডায় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।




স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় যেসব অভ্যাস

স্ট্রোক মূলত মানুষের মস্তিষ্কে আঘাত হানে। মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে কোষগুলো মরে গেলে স্ট্রোক হয়। জীবনযাপনে সামান্য একটু পরিবর্তন আনলেই এ ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। আমাদের জীবনে ব্রেইন স্ট্রোক একটি মারাত্মক রোগ। স্ট্রোক হলে একদিকে রোগী ও তার স্বজনের মাঝে থাকে মৃত্যুর বিভীষিকা। যাদের মৃত্যু না হয় তাদের প্যারালাইসিস হবার মতো একটা অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থা বিরাজ করে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, মানুষের জীবনে খাদ্যাভ্যাসের নিয়ন্ত্রণ ও কর্মক্ষমতার নিয়মিত সঠিক পরিচর্যা না করলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

গবেষণায় উঠে এসেছে, আমেরিকার মতো জায়গায় বছরে অন্তত ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ স্ট্রোকে মারা যান। আর প্রতি বছর ৭ লাখ ৯৫ হাজার স্ট্রোক রোগে আক্রান্ত হন। বাংলাদেশেও দিন দিন বাড়ছে এই রোগ ও এতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। তাই হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে জেনে আগেই সচেতন হবার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।

স্ট্রোক
বর্তমান বিশ্বে স্ট্রোক মানুষের মৃত্যুর চতুর্থ কারণ হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। এ রোগে মস্তিষ্কের অংশবিশেষ নষ্ট হওয়ায় রোগীর দেহে বেশ কিছু শারীরিক অক্ষমতা দেখা দেয়। যেগুলোকে স্ট্রোকের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেমন: প্যারালাইসিস, পা, হাত, মুখ অথবা শরীরের ডান বা বাম অংশ অবশ হয়ে যাওয়া। কথা বলতে বা কথা বুঝতে সমস্যা হওয়া, বিভ্রান্তিকর অবস্থায় পতিত হওয়া, কথা জড়িয়ে আসা, একটা চোখে অথবা উভয় চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া, অথবা ঝাপসা দেখা, চলাফেরা করতে না পারা, চলাফেরায় ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্রমে অসামঞ্জস্য দেখা দেওয়া, হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা দেখা দেওয়া।

প্রাথমিক অবস্থায় কারও স্ট্রোক দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত তা না হলে রোগীর মস্তিষ্কের বেশি অংশ নষ্ট হয়ে জটিল আকার ধারণ করতে পারে অথবা রোগীর দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা বা মৃত্যু ঘটতে পারে। আমাদের প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস রয়েছে যা হতে পারে স্ট্রোকের কারণ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ট্রোক আমাদের জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে। জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস যদি সঠিক থাকে, তাহলে অনেক অসুখই প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। জেনে রাখা ভালো, কোন কোন জীবনধারা অনিয়মের কারণে স্ট্রোকের সমস্যা দেখা দেয়।

ফ্যাটজাতীয় খাবার
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাটজাতীয় খাবার থাকলে তা রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। প্যাকেটজাত ও প্যাকেটজাত খাবারেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লবণ এবং নাইট্রেট প্রিজারভেটিভ থাকে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। খাবারে একাধিক মাত্রায় লবণের ব্যবহারও রক্তচাপ বাড়িয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় বলে বিশেষজ্ঞরা বলেন।

শরীরচর্চার অভাব
শরীরচর্চা না করলে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে শরীরে। যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ, ওবেসিটি, উচ্চ কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিসের মতো সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। তার ফলেই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা এ কারণেই অতি ব্যস্ত থাকার মাঝেও নিয়মিত শরীরচর্চা করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

মেদ জমলে
শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমলেই তাকে ওবেসিটির সমস্যা বলা হয়। ওবেসিটি হলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ে। এছাড়া ওবেসিটির ফলে ডায়াবেটিস রোগ ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। এতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।

মদ্যপান
অত্যধিক মাত্রায় মদ্যপান স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় বলে বক্তব্য বিশেষজ্ঞদের। অতিরিক্ত মদ্যপান অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের অন্যতম কারণ। অ্যালকোহল শিরা ও ধমনীর স্থিতিস্থাপকতাকে মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত করতে পারে। যা স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ।

ধূমপান
অ্যালকোহলের মতো ধূমপানও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান হৃদপিণ্ডের যেমন ক্ষতি করে তেমনি রক্তচাপেও প্রভাব ফেলে। ধূমপানের ফলে শরীরে অসংখ্য ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করে। এমনকি, পরোক্ষ ধূমপানেও প্রবল ক্ষতি হয় শরীরের। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। ফলে ফুসফুসের পাশাপাশি ক্ষতি হয় সংবহনতন্ত্রেরও।

শারীরিক পরিশ্রম
যাদের শারীরিক পরিশ্রম কম বা যারা প্রতিদিন কাজ করে না তাদেরও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। দিনের অধিকাংশ সময় বসে থাকা, স্থূলতা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। এমন জীবনযাত্রার কারণে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ফলে ভবিষ্যতে স্ট্রোকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে ৪৪৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক ২

ঝিনাইদহে ট্রাক ভর্তি সবজির মধ্যে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল নিয়ে পাচারের সময় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ এবং ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাতে সদর উপজেলার মধুপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো-চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বকন্দিয়া গ্রামের মুসা করিমের ছেলে অমেদুল হক ও দৌলতদিয়া হাতিকাটা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল আহম্মেদ।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থেকে ট্রাক ভর্তি সবজির মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকানো ফেন্সিডিল ঢাকায় পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার এস আই রোকনুজ্জামান, এসআই নিপু সাহা, সোহাগ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মধুপুর এলাকায় চেকপোস্ট বসায়। সেসময় একটি মিনি ট্রাকের গতিরোধ করলে সবজির মধ্য থেকে ৪৪৮ বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া যায়। আটক করা হয় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার অমেদুল হক ও রাসেল আহম্মেদকে।

এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আসামীদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।