চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্স প্যারেড গ্রাউন্ডে জেলার সকল ইউনিট ইনচার্জ ও অফিসার ফোর্সদের অংশগ্রহণে রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম-সেবা অভিবাদন মঞ্চ থেকে সালামি গ্রহণ শেষে প্যারেড পরিদর্শন করেন।

প্যারেড অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, পিপিএম-সেবা। এ সময় পুলিশ সুপার প্যারেডে অংশগ্রহণকারী অফিসার ফোর্সদের শারীরিক ফিটনেস ও টার্ন আউটের উপর ভিত্তি করে জিএস (গুড সার্ভিসেস) মার্ক প্রদান করেন।

পুলিশ সুপার প্যারেড পরিদর্শনান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং জেলা পুলিশের সকল সদস্যের উদ্দেশ্যে আইজিপি রেঞ্জ ডিআইজি প্রদত্ত নির্দেশনা বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন । এছাড়াও পুলিশ সুপার ২০২৪ সালের ১ম মাস্টার প্যারেডে উপস্থিত টিম চুয়াডাঙ্গার সর্বস্তরের প্রিয় সহকর্মীবৃন্দদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যবৃন্দের চমৎকার টার্ণ আউট সুনিপুন প্যারেড প্রদর্শনীর জন্য প্রশংসা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রের একটি অপরিহার্য অঙ্গ হিসেবে পুলিশ দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করে থাকে। এ মহান দায়িত্ব পালন করতে আইন-শৃঙ্খলা আমাদের শক্তি যোগায়। মাস্টার প্যারেড আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে সহায়তা করে। পুলিশের স্মার্ট টার্ণ আউট ও আধুনিক কলাকৌশল রপ্ত করার জন্য নিয়মিত প্যারেড অনুশীলনের বিকল্প নেই। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। সেজন্য আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আজকের মাস্টার প্যারেডে নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য সকল ফোর্সকে GS মার্ক এবং ১০০(একশত) টাকা অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হলো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হুমায়রা আক্তার,পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) সাইফুল ইসলাম, ডিএসবি সকল অফিসার ইনচার্জ, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, আরআই, আরওআই, টিআই (প্রশাসন), সকল ক্যাম্প ইনচার্জসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স।




চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম-সেবা সভাপতিত্বে রবিবার সকাল এগারোটার সময় জানুয়ারি মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় পুলিশ সুপার কল্যাণ সভায় অংশগ্রহণকারী সকল অফিসার-ফোর্সদের কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন। পূর্ববর্তী কল্যাণ সভায় উপস্থাপিত বিষয়ে সমাধানসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করেন। চাহিদার প্রেক্ষিতে থানা ক্যাম্প ফাঁড়িতে দাপ্তরিক ব্যবহার্য জিনিস-পত্রাদি প্রদান করেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় এবং দাপ্তরিক কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করায় ভালকাজের স্বীকৃতি স্বরূপ শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ জীবননগর থানা এসএম জাবীদ হাসান, জেলা গোয়েন্দা শাখার শ্রেষ্ঠ এসআই (নিঃ) মোঃ রফিকুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ এএসআই (নিঃ) মোঃ আশরাফুজ্জামান, শ্রেষ্ঠ এসআই(নিঃ) (থানা ফাঁড়ি ক্যাম্প পর্যায়ে) এসআই(নিঃ) মোঃ দিদারুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ এএসআই(নিঃ) (থানা ফাঁড়ি ক্যাম্প পর্যায়ে) এএসআই(নিঃ) মোঃ সাইদুর রহমান, বিশেষ পারফরমেন্স (সর্বোচ্চ সাজা ওয়ারেন্ট তামিল) এএসআই(নিঃ) মোঃ রেয়াজুল ইসলাম সহ সর্বমোট ৩২(বত্রিশ) জনকে পুলিশ সুপার ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন।

মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার বলেন, ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ যেমন পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে, তদ্রূপ অসন্তোষজনক পারফরম্যান্সের জন্য তিরস্কার করা হবে। সকলের ঐক্যবদ্ধ চেস্টায় জেলা পুলিশের সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।স্বাস্থ্য সেবাসহ ফোর্সের সার্বিক কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের প্রতিটি স্থাপনাসহ আশপাশ এলাকা পরিস্কার পরিছন্ন রাখতে হবে এবং মেসে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন নিশ্চিত করতে হবে।

উক্ত কল্যাণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হুমায়রা আক্তার,পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) সাইফুল ইসলাম, ডিএসবি সকল অফিসার ইনচার্জ, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, আরআই, আরওআই, টিআই (প্রশাসন), সকল ক্যাম্প ইনচার্জসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স।




প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে ঝিনাইদহে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচী

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ এলাকার খালের পাড়ে শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন বাগান। এখানে রোপন করা হয়েছে চিকরাশি, জারুল, অর্জুন, খয়ের, সোনালু, বাবলা, শিমুল, শিশু, মেহগনি, নিম, বহেরা, হরিতকিসহ প্রায় ১৮ টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।

সবুজায়নের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দর ও উন্নত হয়েছে সেই সাথে অক্সিজেন সরবরাহের উৎস হিসেবে কাজ করছে এই বাগানটি।

জানা যায়, যশোর সামাজিক বন বিভাগ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে জিকে প্রধান সেচখালের ডাউটিয়া ব্রীজ হতে লাঙ্গলবাঁধ বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অন্তত ১০ হাজার টি গাছের চারা রোপণ করেছে। বাগানের দেখভাল করলে ওই এলাকার ৫৭ জন উপকারভোগী। যার মধ্যে পুরুষ ৫২ জন ও মহিলা ৫ জন।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, আগামী ১০ বছর পর বাগানের গাছ বিক্রি করে বিক্রয়লব্ধ অর্থের ৫৫ শতাংশ লভ্যাংশ উপকারভোগী সদস্যের মাঝে সমভাবে প্রদান করা হবে। এছাড়া ভূমি মালিক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকেও সামাজিক বনায়নের নীতিমালা আলোকে লভ্যাংশ প্রদান করা হবে। বাগানটি উপকারভোগী সদস্যগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রোপিত গাছে পাহারা কাজে সহযোগিতা করছেন।

নবায়নের সভাপতি স্থানীয় বাসিন্দা সুজন মিয়া বলেন, এই খাল পাড়ে আগে কোন গাছ ছিলো না। সামাজিক বন বিভাগ এখানে গাছ রোপন করেছে। এতে যেমন এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছি। তেমনি এই এলাকার খাল পাড়ের ভুমি ধ্বস রক্ষা পাবে।

স্থানীয় বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, জিকে সেচ খালের পাড়ে অন্তত ১৮ টি জাতের গাছ রোপন করা হয়েছে। গাছ স্থানীয় লোকজন পরিচর্যা ও পাহারা দিচ্ছে। এ ভাবে যদি গাছ বাড়তে থাকে তাহলে বন বিভাগের এ ধরণের বনায়ন কর্মসূচির কারণে পতিত এ জায়গায় অচিরেই লক্ষ লক্ষ টাকা বৃক্ষ সম্পদে পরিণত হবে।

ঝিনাইদহ বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, লাঙ্গলবাঁধ এলাকার খালের পাড়ে সৃজিত বাগানটি এলাকায় দৃষ্টিনন্দন অবস্থার সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন প্রজাতির পাখ-পাখালি কলরবে বাগানটি পরিপূর্ণ। বাগানটি ভূমিক্ষয়, বাঁধ সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে সহায়তা করছে। স্থানীয় কৃষক ও পথিকগণ গাছর ছায়ায় বিশ্রাম নিয়ে থাকেন। বাগানটি আর্থ সামাজিক উন্নয়নের সাথে সাথে প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নয়ন সাধন করে করছে। শৈলকুপা উপজেলায় বন বিভাগের এই ধরনের বনায়ন কর্মসূচি চলমান থাকবে।




ঝিনাইদহে গরিবের বন্ধু ও মানবিক চিকিৎসক ডাঃ প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ

ঝিনাইদহের গরিবের বন্ধু, মানবিক ও চিকিৎসক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন কার্ডিওলজি স্পেশালিষ্ট ডাঃ প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ। প্রাইভেট চেম্বারেও বিনামূল্যে অসহায় দরিদ্র রোগী দেখে শুধু জেলা শহরে নয় পুরো জেলায় মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তবুও লেশ মাত্র অহংকার নেই এ চিকিৎসকের মনে। সদালপী সাদা মনের মানুষ হয়েও তিনি সব সময় নিজেকে আড়াল রাখতেই পছন্দ করেন । ব্যতিক্রমী এ মানুষটি আবারও ঝিনাইদহে ফিরে এসে চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় সহকর্মী, রোগী আত্মীয়-স্বজন, সুশীল সমাজ ও গুণীজনের প্রশংসা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন।

চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী আব্দুল আজিজ বলেন, বুকে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসক প্রসেনজিৎ বিশ^াসের চেম্বারে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে এসেছিলাম। তার রোগী দেখার ফিস দেওয়ার মত টাকা আমার কাছে ছিলো না। পরে চিকিৎসক বিষয়টি জানতে পেরে আমাকে চেম্বারে ডেকে বিনা টাকায় চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। এমনকি শারীরিক যত্নে নানা পরামর্শ দেন। সেই সাথে আমাকে আশ^স্ত করেন তার চেম্বারে টাকার অভাবে কোন রোগী চিকিৎসা সেবা না নিয়ে ফিরে যাবে না। তার এমন মহতি উদ্যোগে আমরা ঝিনাইদহ বাসী ধন্য। এমন চিকিৎসক যেন প্রতিটি জেলায় জেলায় তৈরি হয় সেই কামনা করি। তাহলে কোন অসহায় দ্ররিদ্র মানুষ আর বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে আসা রোগী বাপ্পি হোসেন জানান, বুকের ব্যাথা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছিলাম। এছাড়াও অনেক চিকিৎসক দেখিয়ে শারীরিক কোন উন্নতি না হওয়ায় ঝিনাইদহ এসে এই চিকিৎসকের সেবা নিয়ে আমি অল্প সময়ে সুস্থ হয়েছি। বর্তমানে আমি চিকিৎসকের পরামর্শে শারীরিকভাবে সুস্থ আছি।

এ বিষয়ে ডাঃ প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ বলেন, বাবার ইচ্ছে ছিলো আমাকে ডাক্তারি পড়ানো। ছোট বেলা থেকেই সেভাবে লেখাপড়ার সহযোগীতা করেছেন আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবা। আমার বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই মনে হয়েছে আমি দেশ ও সমাজের মানুষের সেবা করবো। সেই থেকে বাবার ইচ্ছে আর আমার স্বপ্ন নিয়ে ডাক্তার হবার প্রাণপন চেষ্টা করে চলি। প্রথমে আমি বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাশ করে ৩২ তম বিসিএস এ সুপরিশ প্রাপ্ত হই। পরে ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগে মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করে দীর্ঘ ৫ বছর দায়িত্ব পালন করি। এরপর উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ে ডি-কার্ড কোর্সে ভর্তি হয়ে পাস করি। পরে কার্ডিওলজি তে এফসিপিএস পার্ট-১ পাস করে বাংলাদেশ জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এ্যাসিস্টেন্ট রেজিস্টার হিসেবে ৩ বছর চাকুরি করি। কিন্তু নিজের এলাকার মানুষের চিকিৎসা সেবার কথা চিন্তা করে ঢাকার লোভনীয় পদ ও উন্নত সুযোগ সুবিধা থাকা স্বত্বেও আমি ঝিনাইদহে ফিরে এসেছি। বর্তমানে আমি এখন জেলার শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত আছি। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে জাতীর শ্রেষ্ঠসন্তান সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আমার কাছে ি চকিৎসা সেবা নিতে কোন টাকা লাগবেনা বলে তিনি জানিয়েছেন।

চিকিৎসক এমন একটা পেশা যা সহজেই মানুষের কাছাকাছি এসে প্রত্যক্ষভাবে সেবা করা যায়। তাই জীবনে যতদিন বেচে থাকবো মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করে যাবো। চিকিৎসক ঠিকই আমি হয়েছি কিন্তু কতটুকু মানুষ হতে পেরেছি সেটা আমার অজানা।




কোটচাঁদপুরে ৫২ তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ

কোটচাঁদপুরে শীতকালীন ক্রীড়া বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়েছে। রবিবার স্থানীয় পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোটচাঁদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক কুমার সরকার।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,কোটচাঁদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মোছাঃ শরিফুননেসা মিকি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,কোটচাঁদপুর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসাহক আলী, সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মফিজুর রহমান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, ৩৩ টি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা।

এ বছর ৪৫ টি ইভেন্টে শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আর এ সব খেলায় অংশ গ্রহন করেন,উপজেলার ৩৩ টি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা। পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়দের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়।




জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে ছিল, এখনও তারাই বিরোধী দল: হানিফ

জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে ছিল, এখনও তারাই বিরোধী দল বলো মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশও করেন তিনি।

রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে কুষ্টিয়া মোহিনী মিল মাঠে রহিমা-আফছার স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট এর উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।

বিরোধী দল প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে ছিল, এখনও তারাই বিরোধী দল। আশা করছি বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

জনবিচ্ছিন্ন বিএনপির প্রলাপ নিয়ে কথা না বলার জন্য গণমাধ্যমকে আহ্বান জানিয়ে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণ প্রমাণ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই দেশে-বিদেশেও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। তাই এ নির্বাচন নিয়ে কথা বলে কেউ হয়ত মানুষিক শান্তি পেতে পারে এছাড়া আর কোন লাভ নেই।

এ সময় নির্বাচন পরবর্তি দলের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে হানিফ বলেন, নির্বাচনে বাধা না থাকায় দলের অনেক নেতাকর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলো। যে কারণে দলের মধ্যে কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এটা নিরসনে ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দলের মধ্যে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে উপজেলা নির্বাচনের আগেই তা আর থাকবে না।

পরে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এবং ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে বল মোকাবিলার মধ্য দিয়ে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন।




চুল কেন পড়ে

রাস্তার ধুলাবালি, গাড়ির ধোঁয়া, রোদ্দুর সবই চুলকে বিবর্ণ ও রুক্ষ্ণ করে তোলে। ফ্রি রেডিকেলের সক্রিয়তার ফলে সময়ের আগে চুল পেকে যায়। চুল ভালো রাখতে ভিটামিনের পাশাপাশি জিঙ্কয়ের ভূমিকা আছে। ভিটামিন ই-যুক্ত তেল চুলে মাখলে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা যায়।

দিনে ৫০-১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে খুব বেশি চুল পড়ার কারণগুলো হলো- অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ, রক্তচাপ কমানোর ওষুধ, জন্ম নিরোধক বড়ি সেবন, অতিরিক্ত ভিটামিন ‘এ’ গ্রহণ ইত্যাদি।

এছাড়া অপুষ্টি, গর্ভাবস্থা, মেনোপোজ, অনিয়মিত ঋতুচক্র, জ্বর, থাইরয়েডের অসুখ, প্রোটিনের অভাব, রক্ত স্বল্পতা ইত্যাদিও চুল পড়ার কারণ। আবার খুব বেশি টেনে চুল বাঁধলে এবং ভিজা চুল আচড়ালেও চুল পড়ে যেতে পারে। ক্যানসারের রোগীদের কেমোথেরাপি দিলেও চুল পড়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় চুল পড়ে হরমোনের অসমতার জন্য। রক্ত জমাট বাধার ওষুধ, বিষণ্নতা দূর করার ওষুধ খেলেও চুল পড়তে পারে।

বড় কোনো অপারেশনের পরও চুল পড়তে পারে। আবার বংশগত কারণ, মানসিক উদ্বেগ ইত্যাদিতেও চুল পড়ে। ক্রমাগত প্রোটিন ও ভিটামিনের অভাব চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট করে। যেহেতু চুলের মধ্যে সিসটিন নামক এমাইনো এসিড থাকে, সে জন্য প্রতিদিন ডিম, দুধ, মাছ, মাংস খাওয়া উচিত। এতে ভিটামিন এ-ও পাওয়া সম্ভব। ভিটামিন সি চুলকে ভালো রাখে বলে প্রতিদিনই কিছু না কিছু সি ভিটামিন খাওয়া উচিত।

বিশেষ করে প্রতিদিন দুটি আমলকী খেতে পারলে ভালো হয়। পুষ্টিহীন শিশুদের চুলের রং ধূসর ও পাতলা হয়ে থাকে। এদের চুলের গোড়া ক্রমশ আলগা হয়ে যায়। খাদ্যে প্যান্টোথেনিক এসিডের অভাবেও চুলের ভীষণ ক্ষতি হয়। প্রাণীদেহের লিভার ও কিডনিতে প্যানটোথেনিক এসিড থাকে।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরের খোকসায় আগুনে পুড়ে ছাই ব্যবসায়ীর ১ হাজার মণ পাট

মেহেরপুরে সদর উপজেলার খোকসা গ্রামের তারিকুল নামের এক ব্যবসায়ীর পাটের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।এতে গুদামে থাকা ১ হাজার মণ পাট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে দাবি ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের খোকসা গ্রামের শেখ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মোঃ তারিকুল ইসলাম জানান, তার গুদামে ১ হাজার মণ পাট মজুদ করা ছিল। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কোনো এক সময় গুদামের মধ্যে আগুন লেগে যায়।

স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণ চেষ্টা করে পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগেই গুদামে থাকা সব পাট পুড়ে যায়। এতে প্রায় ২৬ লাখ টাকার পাট পুড়ে যায়।

তারিকুল বলেন, রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে আমার ওপর শত্রুতা করে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমি এখন পথে বসেছি।

এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলেও জানান তিনি।

এবিষয়ে এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের টীম লিডার শামীম রেজা বলেন, আগুন লাগার কারণ এখনো অজ্ঞাত রয়েছে। আগুন লাগার মূল কারণ এখনো জানা যায়নি।




অফিসার পদে নিয়োগ দিচ্ছে সিঙ্গার

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি অফিসার/সিনিয়র অফিসার পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ১৮ জানুয়ারি থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড

পদের নাম: অফিসার/সিনিয়র অফিসার

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ব্যাচেলর অফ সায়েন্স (বিএসসি), ব্যাচেলর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ)

অন্যান্য যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ২ বছর
চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র: অফিসে

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩০ বছর
কর্মস্থল: ঢাকা (গুলশান-১)

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা: চিকিৎসা ভাতা, পারফরমেন্স বোনাস, লাভ শেয়ার, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স, গ্র্যাচুইটি, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস।
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে https://jobs.bdjobs.com/ ভিজিট করুন।

আবেদনের শেষ সময়: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪




গাংনীতে কৃষকের ৬ বিঘা জমির কলা গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের দুই কৃষকের ৬ বিঘা জমির কলাগাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে কৃষকের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকা।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় শাজাহান আলীর এক বিঘা ও রহিদুল ইসলামের ৫ বিঘা জমির কলাগাছ কেটে দেয়ার ঘটনা ঘটে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থায় নেওয়ার আশ্বাস পুলিশের। এতে কৃষকের ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সাজাহান আলী ও রহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিবিঘা ৩০ হাজার টাকায় অন্যের কাছ থেকে বর্গা নিয়ে কলার চাষ শুরু করেন। প্রতি বিঘায় তাদের খরচ হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। সকালে লোকজন দেখে কৃষকদের জানানোর পরে জমিতে এসে দেখি জমির সব গাছ কেটে দিয়েছে। কারো সাথে কোন শত্রুতা নেই তারপরও এমন করার কারণ বুঝছি না। ফসল মাঠেই থাকে। ফসলের সাথে শত্রুতা করা হয়েছে । এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকা।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরান হোসেন বলেন, কৃষকের ফসল কেটে তছরুপ করার বিষয়টি ন্যাক্কার জনক। এতে শুধু কৃষকের ক্ষতি হয়নি। জেলার অর্থনীতির ক্ষতি করা হয়েছে। এমন ন্যাক্কার জনক কাজে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা উচৎ।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, কলাবাগান কেটে দয়ার ঘটনা শুনেছি।ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।