উৎপাদনশীলতায় রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প অ্যাওয়ার্ড পেলেন দর্শনা কেরু চিনিকলের এমডি মোশারফ হোসেন

দেশের ঐতিহ্যবাহি ও দেশের সর্ববৃহৎ দর্শনা কেরু চিনিকল। এ চিনিকলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরিতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও উৎকর্ষতা অর্জনে ন্যাশনাল প্রডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২২ অর্জন করেছে কেরু’জ ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।

গতকাল শনিবার (৮জুন ) দুপুরে ঢাকা ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমি হল রুমে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উৎপাদনশীলতায় রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরির অ্যাওয়ার্ড পুরুস্কারে ভূষিত হন দর্শনা কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন (এফসিএ-এর)।

চিনিকলকে আধুনিক করন ও কেরু এন্ড কোম্পানির রূপকার অত্র প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে উন্নীত করার প্রধান সমন্বয়ক হিসাবে তার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে উৎপাদনশীলতায় রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরির অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মোহাম্মদ হুমায়ুন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানাসহ শিল্পমন্ত্রণালয় ও চিনি করপোরেশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

কেরু চিনিকলের মহা ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো: ইউসুপ আলি জানান, দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ছয়টি ইউনিট নিয়ে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে পাঁচটি ইউনিটেই লাভ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে সামগ্রিকভাবে কেরু চিনিকলের সকল শ্রমিক কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টায় মিলটি লাভজনক অবস্থায় আছে।

কেরু’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন বলেন, এ অ্যাওয়ার্ড আপনারা আপনাদের সহযোগীতা করেছেন বলে প্রতিষ্ঠান আজ সব সেক্টরে লাভ করেছে। আগামীতে আপনারা পাশে থাকলে কেরু এ্যান্ড কোম্পানি সব সেক্টর ঘুরে দাড়াবে বলে আশা করছি। আপনারা আমার পাশে থেকে সহযোগিতা করলে চিনিকলটি হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।




রেণু পোনা উৎপাদনে সমৃদ্ধ ভান্ডার ঝিনাইদহের বলুহর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারি

রেণু পোনা নিয়ে এক সমৃদ্ধ ভান্ডার গড়ে উঠেছে বলুহর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারিতে। গোটা দক্ষিনাঞ্চল ছাড়িয়ে বলুহর হ্যাচারির রেণু ঢাকা, বরিশাল ও গাজিপুর জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বলুহর হ্যাচারির এই রেণু চাষ করে মৎস্যজীবীরা আশানুরুপ সাফল্য পাচ্ছেন। আর্থিক সচ্ছলতার পাশাপাশি বেকার যুবকরা হচ্ছেন স্ববলম্বি।

বর্তমান এই হ্যাচারিতে চীন থেকে আমদানীকৃত সিলবার, বিগহেড ও গ্রাসকার্পের রেনু ও ভিয়েতনামীয় পাঙ্গাস, কালিবাউস এবং সুবর্ন রুই মাছ লালন পালন করা হচ্ছে। শুধু রেণু উৎপাদনই নয়, দেশের খ্যতনামা বিশ^বিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা রেণু পোনা উৎপাদনে হাতে কলমে প্রশিক্ষন নিতে এখানে আসছেন।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, উন্নত জাতের কার্প জাতীয় মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করে আমিষের ঘাটতি পুরণের লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালে কোটচাঁদপুরের বলুহর গ্রামে দেশের সর্ববৃহৎ মৎস্য হ্যাচারি কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১০৩ একর আয়তন বিশিষ্ট এই হ্যাচারিতে রয়েছে ৩০টি দৃষ্টিনন্দন পুকুর। ঝিনাইদহ ছাড়াও যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, রাজবাড়ি, মেহেরপুর ও সাতক্ষিরাসহ গোটা দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে এই হ্যচারির উৎপাদিত রেণু পৌছে যাচ্ছে।
হ্যাচারি ম্যানেজার মোঃ আশরাফ-উল-ইসলাম জানান, নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও হ্যাচারিতে রেণু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

তিনি জানান এ বছর রেণু বিক্রি করে ৩৫ লাখ ও টেবিল ফিশ এবং পোনা বিক্রির ১৭ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রা ছিল. যা ইতিমধ্যে অর্জিত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি এখন রাষ্ট্রের লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

হ্যাচারি ম্যানেজার আরো জানান, তিনি যোগদানের পর থেকে পরিত্যক্ত ভবনগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে চালু করা হয়েছে। হ্যাচারির মধ্যে আবর্জনা স্তুপে ভরা ছিল। সেগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে ফুল বাগান তৈরীর মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে মজবুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।

এদিকে হ্যাচারি প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, বলুহর কেন্দ্রীয় হ্যাচারিতে দেশের খ্যতনামা ভার্সিটির শিক্ষার্থীরা আসছেন হাতে কলমে প্রশিক্ষন নিতে। তাদেরকে আধুনিক কলাকৌশল ও সর্বশেষ লাগসই প্রযুক্তি শেখানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পুকুর থেকে ব্রুড সংগ্রহ পদ্ধতি, মাছে ইনজেকশন পুশ, ডিম সংগ্রহ ও বিপনন পদ্ধতি সম্পর্কে হাতে কলমে প্রশিক্ষন প্রদান করা হচ্ছে, যাতে তারা কর্মক্ষেত্রে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগাতে পারেন।

সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের মাছ চাষি আতিয়ার রহমান বিশ্বাস জানান, বলুহর হ্যাচারির রেণু নিয়ে মাছ চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন। তার মতো অনেকেই স্বাবলম্বি হচ্ছেন।

জীবননগরের মাছচাষি রুস্তম আলী জানান, তিনি মাত্র ৫ হাজার টাকার রেণু পোনা নিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকার মাছি বিক্রি করেছেন।

এদিকে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, বলুহর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারিতে লোকবলের অভাবে কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। মোট ২৭টি পদের মধ্যে ১৯টি পদ শুন্য রয়েছে। অনেক ভবন এখনো জরাজীর্ন। গুরুত্বপুর্ন পদগুলোতে জনবল নিয়োগ করা হলে বলুহর হ্যাচারি রেণু উৎপাদনে দেশে নজীর সৃষ্টি করতে পারতো বলে অনেকে মনে করেন।




শৈলকুপা থানা পুলিশের উপরে হামলা, ৫ পুলিশ সদস্যসহ আহত ২৫

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় থানায় এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে থানা পুলিশের উপরে হামলা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপরে। এ ঘটনায় ৫পুলিশ সদস্যসহ ২৫/২৬ আহত হয়েছেন।

আজ রোববার  (৯ জুন) দুপুরে শৈলকুপা থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনগন ও থানা পুলিশের কাছ থেকে জানা গেছে, শৈলকুপায় আওয়ামী লীগ কর্মী এজাহারভুক্ত আসামি ধলহরা চন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়া গ্রামের মোস্তাক সিকদারকে পুলিশ রোববার দুপুরে আটক করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শৈলকুপা থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এতে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং হামলাকারীদের মধ্যে ২০/২৫ জন আহত হয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করায় পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে । এই ঘটনায় পুলিশ ২জনকে আটক করেছে। শৈলকুপা সার্কেলেরর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১০ মিনিটের এ হামলার ঘটনায় অন্তত ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। হামলাকারীদের ২জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

উল্লেখ, গত শুক্রবার ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের একটি বক্তব্য সামাজিক যোযোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ প্রশাসন ও জনমনে ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় যার ফলে এমনটি হয়েছে বলেও অনেকে ধারণা করছেন।

সে দিন সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম শৈলকুপা থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে গলায় গামছা বেঁধে বিতাড়িত করার হুমকি দেন।

এ সময় হাজারো জনতার সামনে মেয়র আরও বলেন, এ দুর্নীতিবাজ ওসি সন্ত্রাস করছে। আমরা চাই দুর্নীতিবাজ প্রশাসন বিশেষ করে এই ওসি এখান থেকে চলে যাক। তা না হলে গলায় গামছা বেঁধে তাকে আমরা বিতাড়িত করব।

পৌর মেয়রের এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মূহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়। এ নিয়ে শৈলকুপা উপজেলা শহরের চায়ের দোকান ও বিভিন্ন আড্ডায় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।




স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় যেসব অভ্যাস

স্ট্রোক মূলত মানুষের মস্তিষ্কে আঘাত হানে। মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে কোষগুলো মরে গেলে স্ট্রোক হয়। জীবনযাপনে সামান্য একটু পরিবর্তন আনলেই এ ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। আমাদের জীবনে ব্রেইন স্ট্রোক একটি মারাত্মক রোগ। স্ট্রোক হলে একদিকে রোগী ও তার স্বজনের মাঝে থাকে মৃত্যুর বিভীষিকা। যাদের মৃত্যু না হয় তাদের প্যারালাইসিস হবার মতো একটা অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থা বিরাজ করে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, মানুষের জীবনে খাদ্যাভ্যাসের নিয়ন্ত্রণ ও কর্মক্ষমতার নিয়মিত সঠিক পরিচর্যা না করলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

গবেষণায় উঠে এসেছে, আমেরিকার মতো জায়গায় বছরে অন্তত ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ স্ট্রোকে মারা যান। আর প্রতি বছর ৭ লাখ ৯৫ হাজার স্ট্রোক রোগে আক্রান্ত হন। বাংলাদেশেও দিন দিন বাড়ছে এই রোগ ও এতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। তাই হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে জেনে আগেই সচেতন হবার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।

স্ট্রোক
বর্তমান বিশ্বে স্ট্রোক মানুষের মৃত্যুর চতুর্থ কারণ হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। এ রোগে মস্তিষ্কের অংশবিশেষ নষ্ট হওয়ায় রোগীর দেহে বেশ কিছু শারীরিক অক্ষমতা দেখা দেয়। যেগুলোকে স্ট্রোকের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেমন: প্যারালাইসিস, পা, হাত, মুখ অথবা শরীরের ডান বা বাম অংশ অবশ হয়ে যাওয়া। কথা বলতে বা কথা বুঝতে সমস্যা হওয়া, বিভ্রান্তিকর অবস্থায় পতিত হওয়া, কথা জড়িয়ে আসা, একটা চোখে অথবা উভয় চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া, অথবা ঝাপসা দেখা, চলাফেরা করতে না পারা, চলাফেরায় ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্রমে অসামঞ্জস্য দেখা দেওয়া, হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা দেখা দেওয়া।

প্রাথমিক অবস্থায় কারও স্ট্রোক দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত তা না হলে রোগীর মস্তিষ্কের বেশি অংশ নষ্ট হয়ে জটিল আকার ধারণ করতে পারে অথবা রোগীর দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা বা মৃত্যু ঘটতে পারে। আমাদের প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস রয়েছে যা হতে পারে স্ট্রোকের কারণ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ট্রোক আমাদের জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে। জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস যদি সঠিক থাকে, তাহলে অনেক অসুখই প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। জেনে রাখা ভালো, কোন কোন জীবনধারা অনিয়মের কারণে স্ট্রোকের সমস্যা দেখা দেয়।

ফ্যাটজাতীয় খাবার
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাটজাতীয় খাবার থাকলে তা রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। প্যাকেটজাত ও প্যাকেটজাত খাবারেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লবণ এবং নাইট্রেট প্রিজারভেটিভ থাকে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। খাবারে একাধিক মাত্রায় লবণের ব্যবহারও রক্তচাপ বাড়িয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় বলে বিশেষজ্ঞরা বলেন।

শরীরচর্চার অভাব
শরীরচর্চা না করলে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে শরীরে। যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ, ওবেসিটি, উচ্চ কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিসের মতো সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। তার ফলেই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা এ কারণেই অতি ব্যস্ত থাকার মাঝেও নিয়মিত শরীরচর্চা করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

মেদ জমলে
শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমলেই তাকে ওবেসিটির সমস্যা বলা হয়। ওবেসিটি হলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ে। এছাড়া ওবেসিটির ফলে ডায়াবেটিস রোগ ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। এতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।

মদ্যপান
অত্যধিক মাত্রায় মদ্যপান স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় বলে বক্তব্য বিশেষজ্ঞদের। অতিরিক্ত মদ্যপান অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের অন্যতম কারণ। অ্যালকোহল শিরা ও ধমনীর স্থিতিস্থাপকতাকে মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত করতে পারে। যা স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ।

ধূমপান
অ্যালকোহলের মতো ধূমপানও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান হৃদপিণ্ডের যেমন ক্ষতি করে তেমনি রক্তচাপেও প্রভাব ফেলে। ধূমপানের ফলে শরীরে অসংখ্য ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করে। এমনকি, পরোক্ষ ধূমপানেও প্রবল ক্ষতি হয় শরীরের। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। ফলে ফুসফুসের পাশাপাশি ক্ষতি হয় সংবহনতন্ত্রেরও।

শারীরিক পরিশ্রম
যাদের শারীরিক পরিশ্রম কম বা যারা প্রতিদিন কাজ করে না তাদেরও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। দিনের অধিকাংশ সময় বসে থাকা, স্থূলতা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। এমন জীবনযাত্রার কারণে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ফলে ভবিষ্যতে স্ট্রোকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে ৪৪৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক ২

ঝিনাইদহে ট্রাক ভর্তি সবজির মধ্যে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল নিয়ে পাচারের সময় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ এবং ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাতে সদর উপজেলার মধুপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো-চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বকন্দিয়া গ্রামের মুসা করিমের ছেলে অমেদুল হক ও দৌলতদিয়া হাতিকাটা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল আহম্মেদ।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থেকে ট্রাক ভর্তি সবজির মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকানো ফেন্সিডিল ঢাকায় পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার এস আই রোকনুজ্জামান, এসআই নিপু সাহা, সোহাগ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মধুপুর এলাকায় চেকপোস্ট বসায়। সেসময় একটি মিনি ট্রাকের গতিরোধ করলে সবজির মধ্য থেকে ৪৪৮ বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া যায়। আটক করা হয় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার অমেদুল হক ও রাসেল আহম্মেদকে।

এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আসামীদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।




কঙ্গনার পাশে ‘প্রাক্তন প্রেমিক’ হৃত্বিক

বলিউড অভিনেতা হৃতিক রোশনের সঙ্গে অভিনেত্রী ও নবনির্বাচিত বিজেপি সংসদ সদস্য কঙ্গনা রনৌতের একসময়ের প্রেম-ঝগড়ার কথা সবারই জানা। এবার চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কঙ্গনাকে চড় মারার ঘটনায় পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রীর প্রাক্তন এই প্রেমিক।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কঙ্গনাকে চড় মারার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন সাংবাদিক ফায় ডি’সুজা। তিনি লেখেন, ‘হিংসা বা উগ্রতা কোনও সমস্যার সমাধান নয়। আর যে দেশে গান্ধীজি অহিংসার কথা বলেন, সেখানে তো নয়ই।

হতেই পারে আপনি কারও মতামত বা তার আদর্শকে সমর্থন করেন না। তার উত্তর হিংসা হতে পারে না। এটা আরও ভয়ঙ্কর হয়, যখন এক জন উর্দিধারীই নিজের মেজাজ খুইয়ে ফেলেন।’

ফায়ের এই পোস্ট ‘লাইক’ দিয়ে সমর্থন জানালেন হৃতিক। শুধু তিনিই নয়, অভিনেত্রী আলিয়া ভাটও কঙ্গনার পক্ষের ফায় ডি’সুজার সে পোস্টে লাইক দিয়ে পরোক্ষ সমর্থন জানান।

হৃতিক-কঙ্গনার সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছিল ‘কৃষ ৩’-র সময় থেকেই। একসঙ্গে ‘কাইট্‌স’ ও ‘কৃষ ২’ ছবিতে কাজ করেছেন তারা। তত দিন লুকোছাপাই ছিল ব্যাপারটা।

হঠাৎই হৃতিকের সঙ্গে সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনেন বলিউড ‘কুইন’। যদিও কঙ্গনার প্রসঙ্গে সব সময় মৌনতা বজায় রেখেছেন হৃতিক। বিস্তর জলঘোলাও হয় তাদের সম্পর্ক নিয়ে।

দিল্লি যাওয়ার পথে চন্ডীগড় বিমানবন্দরে নিরাপত্তারক্ষীর হাতেই চড় খেলেন বিজেপির সদ্য নির্বাচিত সাংসদ ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের। এই মুহূর্তে কঙ্গনার চড়কাণ্ড নিয়ে দেশ জুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে হারানো ৭৯ মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দিল পুলিশ

মেহেরপুরে হারানো ৭৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট।

সেই সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভুল নম্বরে চলে যাওয়া ৮১ হাজার টাকা উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ রবিবার (৯ জুন) বেলা সাড়ে ১২টায় মেহেরপুর পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকৃত মালিকদের কাছে মোবাইল ফোন ও টাকা হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক।

তিনি জানান, মেহেরপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৭৯টি মোবাইল ফোন ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভুল নম্বরে চলে যাওয়া ৮১ হাজার টাকা উদ্ধার করে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট। হারানো মোবাইল এবং প্রতারণার শিকার হওয়া টাকা উদ্ধারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।

এর মধ্যে সদর থানায় ৬৮টি,গাংনী থানায় ০৮টি ও মুজিবনগর থানায় ০৩টি ফোন উদ্ধার করা হয়।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ আহসান খানসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।




গুনগুন করলেই গান খুঁজে দেবে ইউটিউব

অনেক সময় এমন হয়, কোনো একটা গানের সুর হয়তো মনে পড়ছে, কথা মনে পড়ছে না। ইউটিউবে সার্চ দিয়ে যে গানটা শুনবেন তারও উপায় নেই। তবে এতদিন উপায় না থাকলেও এখন আছে। আপনি গুনগুন করলেই এখন গান খুঁজে দেবে ইউটিউব। আর আপনাকে গানের কথা মনে করে সার্চ দিতে হবে না।

প্রায় চার বছর ধরে ফিচারটি অ্যান্ড্রয়েডে গুগল অ্যাপ্লিকেশনের অংশ হিসেবে থাকলেও তা নতুনভাবে যুক্ত হচ্ছে ইউটিউবে। গত বছর তা অফিশিয়াল ইউটিউব অ্যাপ্লিকেশনের অংশ হয়েছিল। বর্তমানে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যান্ড্রয়েডে (৭.০২ ভার্সন অথবা তার ওপরের ভার্সনগুলোর ক্ষেত্রে) ইউটিউব মিউজিক অ্যাপ্লিকেশনে চিহ্নিত করেছে।

ইউটিউব মিউজিক অ্যাপ্লিকেশনের লেটেস্ট ভার্সন আপডেট করা সত্ত্বেও একাধিক ডিভাইসে এ সার্চ ফিচার পাওয়া যায়নি। কিন্তু যেহেতু এরইমধ্যে এটা ইউটিউব এবং গুগল অ্যাপের অংশ, ফলে ইউটিউব মিউজিকের সাধারণ ব্যবহারকারীরা শিগগিরই ফিচারটি উপভোগ করতে পারবেন।

ইউটিউব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ফোনের অ্যাপে নতুন ভয়েস সার্চ সুবিধা চালুর জন্য কাজ চলছে। এ সুবিধা চালু হলে ব্যবহারকারীরা ৩ সেকেন্ডের বেশি সময় কোনো গান গুনগুন করে গাইলেই সেই সুরের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক গানগুলো খুঁজে দেবে ইউটিউব। বর্তমানে নির্দিষ্টসংখ্যক ব্যবহারকারীদের ওপর এ সুবিধার কার্যকারিতা পরখ করা হচ্ছে।

অর্থাত্ বিটা ব্যবহারকারীরা এই ফিচার ব্যবহার করছেন। বিশেষ করে যারা অ্যান্ড্রয়েডে ইউটিউব ব্যবহার করেন। যারা আইওএস ব্যবহার করেন তারা এখনই এই সুবিধা পাবেন না বলেই জানা গিয়েছে। শিগগির ইউটিউব সব ব্যবহারকারীর জন্য এই ফিচারটি চালু করবে।

ইউটিউব মিউজিকে কীভাবে গান খুঁজে বের করবেন

নিজের ডিভাইসে গান সার্চ করার ফিচার খুঁজতে ইউটিউব মিউজিক অ্যাপের ওপরের দিকের ডান কোণের দিকে যেতে হবে। সেখানে সার্চ আইকনে ক্লিক করতে হবে। সেখানে মাইক্রোফোন সাইনের পাশে একটা নতুন ঢেউয়ের মতো আইকনের দেখা মিলবে। নতুন আইকনে ক্লিক করলে এমন একটি পেজে পৌঁছে যাবেন, যেখানে ওপরের দিকে লেখা থাকবে ‘প্লে সিঙ্গ অথবা হাম আ সং’-এর মতো কয়েকটি শব্দ। স্ক্রিনের নিচের দিকে দেখা যাবে ঢেউয়ের মতো অ্যানিমেশন।

সূত্র: ইত্তেফাক




ছাগল নিয়ে ইউএনওর তুঘলকি কাণ্ড

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্তরে ছাগল প্রবেশ করার অপরাধে দুটি ছাগল আটক করে ছাগল মালিক লাভলী খাতুনের সাথে অসৌজন্য মুলক আচরন করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার বিরুদ্ধে। পরে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিলে তারপর থেকে ছাগল ফেরত দিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।

শুক্রবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। ছাগল মালিক লাভলী খাতুন গাংনী বাজারের কম্পিউটার ব্যবসায়ী গাংনী সাইন্স এন্ড টেকলোজি কলেজের পরিচালক নাজমুল হুদার স্ত্রী।

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফের কাছে বিচার চেয়ে মোবাইল ফোনে আবেদন করেন নাজমুল হুদা। এ ঘটনায় বিচারের আশ্বাস দিয়েছে বিভাগীয় কমিশনার।

ছাগল মালিক লাভলী খাতুন জানান, আর্থিক সচ্ছলতার জন্য বাড়িতে দুটি ছাগল পালন করেন। উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীর না থাকার কারনে শুক্রবার দুপুরে ছাগল দুটি উপজেলা পরিষদের মধ্যে প্রবেশ করে। এঘটনায় গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা ক্ষুদ্ধ হয়ে ছাগল দুটি আটক করে। অনেকবার অনুরোধ করার পরও ছাগল ফেরত না দিয়ে অসৌজন্য মুলক আচরন করে তাড়িয়ে দেন। এরপর আবারো ছাগল আনতে গেলে আবারো অসৌজন্য মুলক আচরন করেন।

লাভলী খাতুনের স্বামী নাজমুল হুদা বলেন, ছাগল দুটি আনার জন্য তিনি নিজেও দুইবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গিয়েছিলেন। বারবার অনুরোধ করার পরও ছাগল না দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রাণী সম্পদ বিভাগের কাছে হস্তান্তর কিংবা কোনো খামারে প্রদান অথবা বিক্রি করে দেওয়া হবে বলে হুমকী দেন। পরে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের মোবাইল নম্বরে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। অবশেষে রাত ১১ টায় বিষয়টি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ মহোদয়কে জানানো হলে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিছুক্ষন পর গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাস্টাররোলে কর্মচারী হাবিবুর রহমান হাবিব, ইউএনও অফিসের নাজির আবু হানজালা, গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাহউদ্দীন শাওন ও সবশেষে গাংনী থানার জনৈক্য একজন উপপরিদর্শক (এসআই) কে দিয়ে ছাগল ফেরত নেওয়ার কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন অসৌজন্য আচরন ও ছাগল আটকের বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন,মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মো: আব্দুর রহমান সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানানো হবে। তবে তিনি ও তার পরিবার সার্বিক বিষয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন।

গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাহ উদ্দীন শাওন বলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুরোধে ছাগল মালিক লাভলী খাতুন ও নাজমুল হককে ফেরত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার মেহেরপুর প্রতিদিন অফিস থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছাগল মালিকের অভিযোগ সংর্বাশে সঠিক নয়। তবে ছাগল দুটি কিছুক্ষণ আটকিয়ে রাখলেও রাতেই মালিকের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ছাগল কাণ্ড নিয়ে দিনভর নানা আলোচনা-সমালোচনা কেটেছে গাংনী উপজেলা শহর।




পাকিস্তান-ভারত মহারণ আজ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতেছে ক্রিকেট বিশ্ব। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রোমাঞ্চকর ম্যাচও দেখে ফেলেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে আসরের সব থেকে আকাঙ্ক্ষিত ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আজ। যেটি দেখার জন্য টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশের পর থেকেই অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে আছে সমর্থকরা। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় নিউ ইয়র্কের আলোচিত-সমালোচিত নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। ভারত-পাকিস্তানের মাঠের লড়াই উপভোগ করে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।

তবে দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা ছাড়া বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্ট ছাড়া একে অপরের বিপক্ষে মাঠে লড়তে দেখা যায় না। তাইতো গোটা ক্রিকেট ভক্তরা মুখিয়ে থাকে এই দুই দলের লড়াই দেখতে। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত একটি করে ম্যাচ খেলেছে ভারত ও পাকিস্তান। ২০০৭ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা নিজেদের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেলেও প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খায় ২০০৯ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কেননা, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে বাবর আজমের দল। তাই টুর্নামেন্টে শেষ আটে খেলার দৌড়ে টিকে থাকতে হলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে জয়ের বিকল্প নাই পাকিস্তানে সামনে। ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচ হারলে এবারের আসর থেকে প্রায় বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে পাকিস্তানের।

সবশেষ ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ৪ উইকেট হারায় রোহিত শর্মার দল। এছাড়াও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে মোট সাত বার মুখোমুখি হয় এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। সেসব দেখায় জয়ের পাল্লা ভারী ভারতের। রোহিত-কোহলিদের পাঁচ জয়ের বিপরীতে বারব-রিজওয়ানদের জয় কেবল একটি ম্যাচে। এছাড়াও বাকি একটি ম্যাচ ড্র হয়। শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মঞ্চে নয়, ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সব মিলিয়ে মোট ১২ বার মুখোমুখি হয় এই দুই দল। সেখানে পরিসংখ্যান কথা বলে ভারতের পক্ষে। প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নদের ৯ জয়ের বিপরীতে পাকিস্তানে জয় তিনটি ম্যাচ।

‘সিট নম্বর থার্টি’

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের একটি বিশেষ আসনের এই অবিশ্বাস্য মূল্য উঠেছে। যার নাম রাখা হয়েছে ‘সিট নম্বর থার্টি’। ২৫২ সেকশনের ২০ নম্বর সারির এই টিকিটটির দাম ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার। ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিসেলের ওয়েবসাইটে দেড় কোটি টাকা দাম উঠেছে এক টিকিটের। এই ওয়েবসাইটে যে কোনো জিনিসকেই ফের বিক্রি করা যায়।

তবে তার মূল্য নির্ধারণ করেন বিক্রেতা। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে আইনসম্মতভাবে এই পদ্ধতিকে ‘কালোবাজারি’ বলা যায় না। বাউন্ডারি ক্লাব সেকশনের টিকিট মূল্য ১৫০০ মার্কিন ডলার। সেখানে ডায়মন্ড ক্লাবের টিকিটের দাম আইসিসি বেঁধে দিয়েছে ১০ হাজার মার্কিন ডলার। যারা সেই টিকিট আবেদনের মাধ্যমে পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই চড়া দামে রিসেল করছেন। আর সেখানেই ‘সিট নম্বর থার্টি’র দাম ওঠে দেড় কোটি টাকা।

সূত্র: ইত্তেফাক