ঝিনাইদহে ডায়াবেটিক হাসপাতালে নবনির্বাচিত এমপি মহুল’র মতবিনিময় সভা

ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক হাসপাতালে মতবিনিময় সভা করলেন ঝিনাইদহ-২ আসনের নবনির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল।

আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক সমিতির সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল ডায়াবেটিক হাসপাতালের উন্নয়নে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মীর নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান ফোটন, জাহেদী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আবু শাহরিয়ার জাহেদী পিপুল, জাহেদী ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী তবিবুর রহমান লাবু, শিক্ষানুরাগী মনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য সদস্যরা।




কুষ্টিয়ার ভেড়ামারাতে নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি জব্দ, গোডাউন সিলগালা

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে বিপুল পরিমান নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি, তামাক, বিড়ির লেবেল এবং নকল ব্যান্ডরোল জব্দ করে গোডাউন সিলগালা করে দিয়েছে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনের আভিযানিক দল।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি বাজার সংলগ্ন করিম বিড়ি ফ্যাক্টরিতে কাস্টমের যৌথ অভিযান পরিচালনা করে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনের কর্মকর্তারা।

অভিযানকালে করিম বিড়ি ফ্যাক্টরির গোডাউন থেকে ঘোষনা বহির্ভূত প্রক্রিজাতকরণ ৯২৬ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৪০ কেজি) তামাক স্থানীয় বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবনের জিম্মায় ২ টি গোডাউন সিলগালা করা হয়। এছাড়াও ঘোষনা বহির্ভূত থাকায় ৯৯ বস্তা বিড়ির লেবেল বা পেটি বিড়ির পেপার, ১৪ বস্তা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত করিম বিড়ি এবং ৫ পেটি বা ২৫০০ সিট নকল ব্যান্ডরোল জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন বলেন, ‘অভিযান পরিচালনা করে ২টি গোডাউন সিলগালা করেছেন কর কর্মকর্তারা এবং বেশ কিছু তামাক, নকল ব্যান্ডরোল এবং বিড়ির পেপার জব্দ করে নিয়ে গেছেন।’




কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৪ কেজি গাঁজাসহ রুবেল হোসেন (৩২) নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে।

শনিবার র‌্যাব-১২’র সিপিসি-১, কুষ্টিয়া কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল ‘‘কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানাধীন বাগুয়ান কান্দিরপাড়া গ্রামে” একটি অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

এসময় চার কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।

আটককৃত রুবেল হোসেন দৌলতপুর উপজেলার বাগুয়ান এলাকার মোঃ মোজাম্মেল হকের ছেলে।

র‌্যাব-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়ার কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার বিএনএম আবুল হাশেম সবুজ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামিদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ লোক চক্ষুর আড়ালে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিলো।

আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত সোনার বাংলা গঠনে র‌্যাব-১২, বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি।




ভোড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে এমপি কামারুল

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফীন।

শনিবার বিকেলে ভেড়ামারা উপজেলা হাসপাতালের সার্বিক খোঁজ খবর নেন।

পরিদর্শন কালে কামারুল আরেফীন এমপি হাসপাতালে উপস্থিত রোগীদের খোঁজ খবর নেন। স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।

পরিদর্শনজালীন সময়ে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও মিডওয়াইফদের সাথে বৈঠক করেন।




ভেড়ামারা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র; বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি দ্রুত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। মেশিন মেয়াদোত্তীর্ণ ও ব্যয়বহুল হওয়ায় দ্রুত স্থায়ীভাবে বন্ধের জন্য কেন্দ্রটিতে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এখানে কর্মরত জনবল অন্য কেন্দ্রে বদলি করতে বলা হয়েছে। গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এ নির্দেশ দেয়।

আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান।

ভেড়ামারা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ডিজেলে চলা ৬০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের মেশিন মেয়াদোত্তীর্ণ, জরাজীর্ণ, অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় ২০২২ সালে দুটি ইউনিট বন্ধ করা হয়। ইউনিটগুলোর মেয়াদকাল ধরা হয় ১৫ বছর। অথচ এক ও দুই নম্বর ইউনিট ৪৬ বছর ধরে চলার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর ৩ নম্বর ইউনিটটি ৪৪ বছর ধরে সচল আছে। সেটিও স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক ও দুই নম্বর ইউনিট বন্ধের পর প্রায় ২০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে বদলি করা হয়েছে। তিন নম্বর ইউনিট এখনো সচল রাখা হয়েছে। সেখানে ৭৫ জন কর্মরত রয়েছেন। তবে ২০২২ সাল থেকে তিন নম্বর ইউনিট থেকে কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। অথচ কেন্দ্রটি রক্ষণাবেক্ষণ, ডিজেল খরচ, কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ ২০২২ সালে সরকারের খরচ হয়ে গেছে ৮ কোটি টাকা। ২০২০ সালে ১৩ কোটি, ২০২১ সালে ১২ কোটি, ২০২২ সালে ৮ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

জানা গেছে, ভেড়ামারার ঐতিহ্যবাহী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১৯৭৬ সালের ২৭ এপ্রিল জার্মানির এজি কার্নিস কোম্পানির প্রযুক্তিতে একটি জিট ইউনিট নিয়ে প্রথম উৎপাদনে আসে। একই বছরের ২৮ জুলাই দ্বিতীয় ইউনিট চালু হয়। সে সময় ২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট থেকে মোট ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। চাহিদার কারণে ১৯৮০ সালের ১৯ জানুয়ারি জাপানের হিটাসি কোম্পানির প্রযুক্তিতে ২০ মেগাওয়াটের আরেকটি ইউনিট চালু করা হয়। তখন মোট সক্ষমতা দাঁড়ায় ৬০ মেগাওয়াট। কিন্তু মেয়াদোত্তীর্ণ, জরাজীর্ণ আর অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় দুই বছর আগে এক ও দুই নম্বর ইউনিটটি বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে এখনো প্রস্তুত রাখা হয়েছে তিন নম্বর ইউনিটটি।

ভেড়ামারা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, তিন নম্বর ইউনিটটি দ্রুত বন্ধের জন্য গত বুধবার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড আমাদের নির্দেশ দিয়েছে। বর্তমানে ৭৫ জন কর্মরত রয়েছেন। তাদের বদলি করার জন্য লিখিতভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব বন্ধ করতে হবে। কেন্দ্রের জনবল অন্যত্র বদলি করতে ও মেশিনটি বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ, জরাজীর্ণ, অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এক নম্বর ইউনিট ও দুই নম্বর ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিন নম্বর ইউনিট থেকে ২০২২ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করা হলেও মেশিনটি সচল রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে যে কোনো মুহূর্তে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। তবে এটি বন্ধ করে অকশন দিয়ে জায়গাটি ক্লিয়ার করতে হবে। এখানে ৮ মেগাওয়াটের সোলার প্যানেল (সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র) বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ও ব্যয়বহুল হওয়ায় বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যে ইউনিটটি সচল আছে সেটি খুবই ভালো। এটি জাপানি মেশিন। মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও খুব ভালো আছে, একদম ফ্রেশ আছে, যে কোনো সময় আমরা পাওয়ার দিতে পারব। ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন মেশিন এটি। সারাদেশে বিদ্যুৎ অফ হয়ে গেলে তখন কাজে লাগবে। তেলের দাম বেশি, উৎপাদন ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ইমার্জেন্সি লাগলে, উৎপাদন করা যাবে। এটি সচল রাখতে মেশিন চালু রাখতে হয়। চালু রাখতে বছরে এক থেকে দেড় লাখ টাকার তেল খরচ হয়। যন্ত্রাংশ কেনা লাগে না, খরচ খুবই সীমিত। ২০২৩ সালে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ডিজেল, মেডিকেল, স্কুলসহ মোট সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বর্তমানে ৭৫ জন কর্মরত আছেন। তাদের মাসিক বেতন বাবদ ব্যয় হয় ২৫ লাখ টাকা। ২০২২ সালে তিনটি ইউনিটে কর্মরত ছিলেন ২৭০ জন। ২০২২ সালে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সর্বমোট ২০২৪ সালে দুই কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালে দুটি ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিন নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যাবে। এ অবস্থায় ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং পররর্তীতে ২২৫ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে খুব সহজেই এটি পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব। তিন নম্বর ইউনিটের খরচে নতুন কেন্দ্রের পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হবে। কেননা, নতুন কেন্দ্র নির্মাণ এবং পরিচালনার জন্য জায়গা, পানিসহ যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি প্রয়োজন তার সবটাই এখানে রয়েছে।




কুষ্টিয়ায় অর্ধকোটি টাকার কোকেনসহ বাস জব্দ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৯৮৫ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করেছে বিজিবি। আজ  শনিবার দুপুরে উপজেলার মথুরাপুর বাস স্ট্যান্ড বাজারে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ এ মাদক উদ্ধার করা হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, বাস যোগে মাদক পাচারের গোপন সংবাদ পেয়ে ৪৭বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ প্রাগপুর বিজিবি ক্যাম্পের ইনচার্জ হাবিলদার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবি’র টহল দল মথুরাপুর বাজারে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রাগপুরগামী যাত্রীবাহী রোহান পরিবহনে তল্লাশি অভিযান চালায়।

এসময় মালিক বিহীন প্যাকেটজাত অবস্থায় ৯৮৫ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করে যার মূল্য ৪৯ লক্ষ ২৫টাকা বলে বিজিবি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

উদ্ধার করা মাদক সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দিয়েছে বিজিবি।




কুষ্টিয়ায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

কুষ্টিয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষদের কিছুটা শীতের হাত থেকে রক্ষা করতে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল বিতরণ করেছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো: এহেতেশাম রেজা।

আজ শনিবার সকালে জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কার্যালয়ের সামনে দুই শতাধিক পরিবারের মধ্যে নিজে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল তুলে দেন জেলা প্রশাসক।

তীব্র শীতের মধ্যে শীতবস্ত্র পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠেন অসহায় মানুষগুলো।

কম্বল পাওয়া শহরপর রেললাইন সুখনগর বস্তি এলাকার রিকসাচালক বাশার বলেন, আমি রিকশাচালক। রাত হলে ছেলে মেয়ে নিয়ে শীতে খুব কষ্ট করি। রোজগার করে যে টাকা পাই তা দিয়ে একটা ভালো কম্বল কিনার সাধ্য নেই। অনেকের কাছে একটা কম্বল চাইছিলাম কেউ দেয়নি। আজ শুনলাম ডিসি স্যার কম্বল দেবে শুনেই আসিছি। ডিসি সাব আমাকে একটা শীতবস্ত্র দিয়েছেন। এটা আমার জীবনের সব থেকে বড় পাওয়া। মনে হয় আল্লাহ আমার চাওয়া কবুল করছে। এখন রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারব।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো: এহেতেশাম রেজা বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে খুব কনকনে শীত পড়েছে। এই জেলায় ছিন্নমূল মানুষের পাশাপাশি দরিদ্র এবং নিম্ন আয়ের মানুষরা শীত বেড়ে যাওয়ায় এসব মানুষ শীতে অনেক কষ্ট পাচ্ছে। তাই তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করার জন্য এই শীতবস্ত্র বিতরণে উদ্যোগ নেওয়া। এতে করে তাদের কষ্ট লাঘব হবে।

শুধু সরকার নয়, সমাজের বিত্তশালীদের শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা এ বছর দুযোর্গ ব্যবস্থপনা মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভান্ডার থেকে ৪৮ হাজার কম্বল পেয়েছি। যেগুলো আমরা উপজেলা ও ইউনিয়নভিত্তিক বিভাজন করেছি। ইতোমধ্যে স্ব-স্ব উপজেলা দুস্থ ও শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেছে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজকেও সাড়ে ৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।




দামুড়হুদায় ওরা বন্ধু সংঘ’র পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ

দামুড়হুদায় ওরা বন্ধু সংঘ’র উদ্যোগে “উষ্ণতার ছোঁয়ায় আমরা,এই শীতে শীতবস্ত্র নিয়ে আপনাদের পাশে” স্লোগানকে ধারণ করে বিগত বছরগুলোর ন্যায় এ বছরেও শীতার্ত বিধবা, গরীব, দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেছেন। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক মানুষের মধ্যে শীত নিবারনের জন্য শীতবস্ত্র(কম্বল) বিতরণ করা হয়। এতে শীতার্ত ওই মানুষগুলোর মুখে ফুটেছে হাসি।

 আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে প্রতিষ্ঠানটির অস্থায়ী কার্যালয়ে ওই শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

ওরা বন্ধু সংঘ’র” প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক মুরশেদ বীন ফয়সাল( তানজীর) এর সভাপতিত্বে বিতরণ কালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাজী মো.আব্দুল কাদির।

শীতার্ত অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ সত্যিই আনন্দের এমন অনুভূতি প্রকাশ করে অসহায় গরীব, বিধবা দরিদ্র মানুষের কল্যানে কাজ করার জন্য “ওরা বন্ধু সংঘ” র ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন,শীতের সময়ে বিভিন্ন স্থানে বস্ত্রহীন মানুষের দেখার মত মানুষের সংখ্যা কমই রয়েছেন। অবশ্য সেবামূলক এই সংগঠনটির সাথে নিজেকে দীর্ঘদিন জড়িত রেখে বুঝেছি ,সংগঠনটির সকল কার্যক্রম সত্যিকার অর্থে প্রসংশার দাবি রেখে চলেছেন,এজন্য আয়োজকদেরকে জানাচ্ছি অভিনন্দন।

তিনি আরও বলেন, কনকনে শীত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে সমাজের অসহায় মানুষগুলোকে আরও অসহায়ত্ব করে তোলেন।এই শীতে শীতার্ত অসহায় দরিদ্র মানুষের প্রতি সমাজের সামর্থ্যবান মানুষের সাহায্য সহানুভূতির হাত সম্প্রসারিত করে এসকল মানুষেরমাঝে পর্যন্ত পরিমাণ শীতবস্ত্র বিতরণ করে পাশে থাকাও আহবান জানিয়ে অতীতের মতোই তিনি অত্র সংগঠনটির সকল উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কার্যাক্রমে পাশে থাকার আশাব্যাক্ত করেন।

ওরা বন্ধু সংঘ’র উপদেষ্টা শিক্ষক ও সাংবাদিক মো. হাফিজুর রহমান কাজলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর, মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো.ইমরান হোসেন,দামুড়হুদা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো: মাকসুদুর রহমান রতন। সংগঠনের সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ,সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো: নেছার আহমেদ সহ সংগঠনটির সদস্যগণ।

শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির পূর্বে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শীতার্ত অসহায়,দরিদ্র মানুষের পাশে সমাজের বিত্তশালীদের দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন,এ বছরে কিছু মানুষের আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় আজকে অর্ধ শতাধিক মানুষের হাতে “ওরা বন্ধু সংঘ” দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গার পক্ষ থেকে উপজেলা সদরের আশপাশের গ্রামের অসহায়, দরিদ্র, বিধবা ও বয়স্কদের হাতে শীত নিবারনের জন্য শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আরো কিছু শীতবস্ত্র আগামী বুধবারের মধ্যে বৃদ্ধা, অসুস্থ প্যারালাইসিজ রোগে বিছানায় রয়েছেন তাদেরকে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

উপস্থিত সুবিধাভোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,আপনাদের মাঝে এই শীতে শীতবস্ত্র তুলে দিতে পেরে ভালো লাগছে। এই শীত আসেন কারো কাছে রং বাহারির পোশাক গায়ে জড়ানো, আবার কারো কারো কাছে বেঁচে থাকার লড়াই। এই শীতে উপস্থিত সহ তাদের পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধাদের বাড়তি যত্ন নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি উপস্থিত সকলের নিকট যাদের সহযোগিতায় শীতবস্ত্র বিতরণ করতে পারছি তাদের ও তদের পরিবারের জন্য দোয়া কামনা করেন।




মেহেরপুর জেলা বিএনপি আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে মেহেরপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি আব্দুর রহমার, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।




গাংনীতে শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের গাংনীতে ৫২-তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ এর সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার বিকালে জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন খেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।মোট ৬৭ টি ইভেন্টে উপজেলার ৪২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।

গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জে্লা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকের সভাপতিত্বে এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আবদুল্লাহ আল মাসুমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর ২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক সাগর।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা,সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনী মোবারক, সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ও জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আল নুরানি।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন গাংনী সরকারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান লালু, লুৎফুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জাকির হোসেন, হিজলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, বিপিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম অহিদুল হক আসাদ, জোতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদা আক্তার, আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ স্বপন, ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান সহ উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

চলতি মাসের ১৫ তারিখ শুরু হয়ে আজ সকল ইভেন্টের ফাইনাল খেলার মাূূধ্যমে খেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাজমুল হক সাগর বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার্থীদের শারিরীক ও মানসিক দক্ষতা বৃদ্বির জন্য খেলাধুলার প্রতি বিচেষ গুরুত্ব দিয়েছে। সরকার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্বি করা হচ্ছে।

তিনি উপজেলার সকল প্রধান শিক্ষকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মাঠ খেলার উপযোগী করে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলায় মনোনিবেশ করার আহবান জানান। তিনি বিজয়ী এবং বিজিত সবাইকে খেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত খেলোয়াড় তৈরীর আহবান জানান। এই আয়োজনের সাথে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। সবশেষে প্রধান অতিথিসহ অতিথি বর্গ বিজয়ীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন।