ছাগল নিয়ে ইউএনওর তুঘলকি কাণ্ড

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্তরে ছাগল প্রবেশ করার অপরাধে দুটি ছাগল আটক করে ছাগল মালিক লাভলী খাতুনের সাথে অসৌজন্য মুলক আচরন করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার বিরুদ্ধে। পরে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিলে তারপর থেকে ছাগল ফেরত দিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।

শুক্রবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। ছাগল মালিক লাভলী খাতুন গাংনী বাজারের কম্পিউটার ব্যবসায়ী গাংনী সাইন্স এন্ড টেকলোজি কলেজের পরিচালক নাজমুল হুদার স্ত্রী।

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফের কাছে বিচার চেয়ে মোবাইল ফোনে আবেদন করেন নাজমুল হুদা। এ ঘটনায় বিচারের আশ্বাস দিয়েছে বিভাগীয় কমিশনার।

ছাগল মালিক লাভলী খাতুন জানান, আর্থিক সচ্ছলতার জন্য বাড়িতে দুটি ছাগল পালন করেন। উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীর না থাকার কারনে শুক্রবার দুপুরে ছাগল দুটি উপজেলা পরিষদের মধ্যে প্রবেশ করে। এঘটনায় গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা ক্ষুদ্ধ হয়ে ছাগল দুটি আটক করে। অনেকবার অনুরোধ করার পরও ছাগল ফেরত না দিয়ে অসৌজন্য মুলক আচরন করে তাড়িয়ে দেন। এরপর আবারো ছাগল আনতে গেলে আবারো অসৌজন্য মুলক আচরন করেন।

লাভলী খাতুনের স্বামী নাজমুল হুদা বলেন, ছাগল দুটি আনার জন্য তিনি নিজেও দুইবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গিয়েছিলেন। বারবার অনুরোধ করার পরও ছাগল না দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রাণী সম্পদ বিভাগের কাছে হস্তান্তর কিংবা কোনো খামারে প্রদান অথবা বিক্রি করে দেওয়া হবে বলে হুমকী দেন। পরে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের মোবাইল নম্বরে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। অবশেষে রাত ১১ টায় বিষয়টি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ মহোদয়কে জানানো হলে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিছুক্ষন পর গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাস্টাররোলে কর্মচারী হাবিবুর রহমান হাবিব, ইউএনও অফিসের নাজির আবু হানজালা, গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাহউদ্দীন শাওন ও সবশেষে গাংনী থানার জনৈক্য একজন উপপরিদর্শক (এসআই) কে দিয়ে ছাগল ফেরত নেওয়ার কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন অসৌজন্য আচরন ও ছাগল আটকের বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন,মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মো: আব্দুর রহমান সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানানো হবে। তবে তিনি ও তার পরিবার সার্বিক বিষয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন।

গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাহ উদ্দীন শাওন বলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুরোধে ছাগল মালিক লাভলী খাতুন ও নাজমুল হককে ফেরত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার মেহেরপুর প্রতিদিন অফিস থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছাগল মালিকের অভিযোগ সংর্বাশে সঠিক নয়। তবে ছাগল দুটি কিছুক্ষণ আটকিয়ে রাখলেও রাতেই মালিকের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ছাগল কাণ্ড নিয়ে দিনভর নানা আলোচনা-সমালোচনা কেটেছে গাংনী উপজেলা শহর।




পাকিস্তান-ভারত মহারণ আজ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতেছে ক্রিকেট বিশ্ব। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রোমাঞ্চকর ম্যাচও দেখে ফেলেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে আসরের সব থেকে আকাঙ্ক্ষিত ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আজ। যেটি দেখার জন্য টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশের পর থেকেই অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে আছে সমর্থকরা। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় নিউ ইয়র্কের আলোচিত-সমালোচিত নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। ভারত-পাকিস্তানের মাঠের লড়াই উপভোগ করে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।

তবে দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা ছাড়া বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্ট ছাড়া একে অপরের বিপক্ষে মাঠে লড়তে দেখা যায় না। তাইতো গোটা ক্রিকেট ভক্তরা মুখিয়ে থাকে এই দুই দলের লড়াই দেখতে। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত একটি করে ম্যাচ খেলেছে ভারত ও পাকিস্তান। ২০০৭ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা নিজেদের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেলেও প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খায় ২০০৯ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কেননা, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে বাবর আজমের দল। তাই টুর্নামেন্টে শেষ আটে খেলার দৌড়ে টিকে থাকতে হলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে জয়ের বিকল্প নাই পাকিস্তানে সামনে। ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচ হারলে এবারের আসর থেকে প্রায় বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে পাকিস্তানের।

সবশেষ ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ৪ উইকেট হারায় রোহিত শর্মার দল। এছাড়াও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে মোট সাত বার মুখোমুখি হয় এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। সেসব দেখায় জয়ের পাল্লা ভারী ভারতের। রোহিত-কোহলিদের পাঁচ জয়ের বিপরীতে বারব-রিজওয়ানদের জয় কেবল একটি ম্যাচে। এছাড়াও বাকি একটি ম্যাচ ড্র হয়। শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মঞ্চে নয়, ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সব মিলিয়ে মোট ১২ বার মুখোমুখি হয় এই দুই দল। সেখানে পরিসংখ্যান কথা বলে ভারতের পক্ষে। প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নদের ৯ জয়ের বিপরীতে পাকিস্তানে জয় তিনটি ম্যাচ।

‘সিট নম্বর থার্টি’

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের একটি বিশেষ আসনের এই অবিশ্বাস্য মূল্য উঠেছে। যার নাম রাখা হয়েছে ‘সিট নম্বর থার্টি’। ২৫২ সেকশনের ২০ নম্বর সারির এই টিকিটটির দাম ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার। ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিসেলের ওয়েবসাইটে দেড় কোটি টাকা দাম উঠেছে এক টিকিটের। এই ওয়েবসাইটে যে কোনো জিনিসকেই ফের বিক্রি করা যায়।

তবে তার মূল্য নির্ধারণ করেন বিক্রেতা। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে আইনসম্মতভাবে এই পদ্ধতিকে ‘কালোবাজারি’ বলা যায় না। বাউন্ডারি ক্লাব সেকশনের টিকিট মূল্য ১৫০০ মার্কিন ডলার। সেখানে ডায়মন্ড ক্লাবের টিকিটের দাম আইসিসি বেঁধে দিয়েছে ১০ হাজার মার্কিন ডলার। যারা সেই টিকিট আবেদনের মাধ্যমে পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই চড়া দামে রিসেল করছেন। আর সেখানেই ‘সিট নম্বর থার্টি’র দাম ওঠে দেড় কোটি টাকা।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরের আমঝুপি ইউনিয়নে শিশু বরণ অনুষ্ঠিত

প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন, সবার জন্য মান সম্মত শিক্ষা ও ঝরে পড়া রোধ কল্পে শিশুদের বিদ্যালয়ে আনন্দ মুখর ও অনিয়মিত দুর করতে মেহেরপুর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
হয়।

আজ রবিবার সকাল ১০ টার সময় প্রাক প্রাথমিক এবং অন্যান্য শ্রেনীতে ভর্তিকৃত ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে শিশুবরণ অনুষ্ঠিত হয়।

গণসাক্ষরতা অভিযানের সহযোগীতায় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) ও কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, জন প্রতিনিধি, এস এম সি ও ওয়াচ গ্রুপ সদস্য সহ অভিভাবকগণ।

এসময় অভিভাবকদের দায়-দায়িত্ব ও করণীয় সম্পর্কে বিশদ আলোচনা রাখেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজল রেখা।

এছাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মিজানুর রহমান, ইউপি ও ওয়াচ সদস্য আব্দুল মজিদ এবং এস.এম.সি ও যুব ফোরামের সদস্যগণ গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে নবীন শিশুদের ফুল দিয়ে ও মিষ্টি মুখ করে বরন করে নেওয়া হয় এবং প্রত্যেক শিশুর হাতে বিশেষ উপহার তুলে
দেওয়া হয়।




ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রেস বিফিং করেন জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রথীন্দ্রনাথ রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী। সে সময় ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রেসব্রিফিং জেলা প্রশাসক বলেন আগামী ১১ জুন মঙ্গলবার সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা, কোটচাদপুর ও মহেশপুর উপজেলার ৯০টি পরিবারের মাঝে তাদের জমির দলিল ্এবং ঘর বুঝে দেবেন।




কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে সদর উপ জেলার বটতৈল ইউনিয়নের কবুরহাট সর্দার পাড়া এলাকায় সংঘর্ষটি হয়। এ সময় দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও বিএনপি নেতাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার সেল ছোড়ে।

পুলিশ জানায়, আজ বিকেলে অনুমতি না নিয়েই কবুরহাট এলাকায় কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিস্থলে আসতে থাকেন। দলটির নেতাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে যায়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্যে করে বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ চলে। এক পর্যায়ে বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান।

ঘটনাস্থলে থাকা জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে বিএনপি নেতাদের একটি দল কুষ্টিয়ায় আসলে তাদের নিয়ে পুলিশের মৌখিক অনুমতিতে শহরের নবীন টাওয়ারে সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে পুলিশ আমাদের সমাবেশ বন্ধ করতে বলে। ছোট পরিসরে অন্য কোথাও সমাবেশ করার জন্য বলা হয়। সেই মোতাবেক কবুরহাটে অবস্থিত যুবদল নেতা মজিদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে যায়। সেখানেও পুলিশ গিয়ে নেতাকর্মীদের মারধর শুরু করে। এ সময় নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে কয়েকটা ইট নিক্ষেপ করে। এরপরেই পুলিশ নেতাকর্মীদের লক্ষ্যে করে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এসময় ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, তারা (বিএনপি) অনুমতি ছাড়াই কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। কর্মসূচিস্থলে পুলিশ দেখে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যে ধরনের ব্যবস্থা প্রয়োজন ছিল তা আমরা নিয়েছি।




দামুড়হুদায় ভূমিসেবা সপ্তাহের উদ্বোধন

স্মার্ট ভূমিসেবা, স্মার্ট নাগরিক” প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে দামুড়হুদায় ভূমিসেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে। কোন নগদ লেনদেন ছাড়াই সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক সেবা নিশ্চিতে ৮ জুন থেকে ভূমিসেবা সপ্তাহ ১৪ জুন পর্যন্ত চলবে।

এ উপলক্ষে র‌্যালি ও জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ভূমি অফিস চত্বর থেকে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি উপজেলা চৌরাস্তার মোড় ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

র‌্যালি শেষে ভূমি অফিস চত্বরে চুয়াডাঙ্গা জেলা স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শারমিন আক্তার প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন।

পরে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শারমিন আক্তার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলি, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি অফিসার মহাতাব উদ্দীন ও দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসার পান্না মিয়া।এসময় উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির মহিদুল ইসলাম, ছাব্বির হোসেন, সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মতিউল হক, আবুল হাসেম,হাউলি ইউনিয়ন ভূমি অফিসার রকিবুল ইসলামসহ উপজেলার সকল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী,বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষাথী ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ভূমিসেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সর্বস্তরের ভূমি সেবা প্রত্যাশিরা অনলাইনের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর, ই-নামজারি, খতিয়ান, জমির ম্যাপ, জলমহলের আবেদন, ভূমি বিষয়ক অভিযোগসহ সকল ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।এসময় অনুষানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন, সকরকারের ডিজিটালাইজেশনের অন্যতম সেবা হচ্ছে ভূমি সেবা ডিজিটালাইজেশন। এর ফলে কোন নগদ লেন-দেন ছাড়াই ভূমিসেবা গ্রহীতারা কোন সময় ক্ষেপন ছাড়া ও হয়রানি মুক্ত ভাবে ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে স্ব”ছন্দে সেবা নিতে পারছেন। আমরা আশা করছি সময়ের ব্যবধানে স্ব-শরীরে উপস্থিত না হয়েও অনলাইনের মাধ্যমে সরকারি যে কোন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে করে সময় সাশ্রয়সহ সাধারণ নাগরিকদের অর্থ ব্যয়ও অনেক কমে আসবে।




চুয়াডাঙ্গায় ভূমি সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গায় ৭দিন ব্যাপী ‘ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৪ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টায় সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডিসি সাহিত্য মঞ্চে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে ভূমি সেবা সপ্তাহের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা উদ্বোধন করেন ।

এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো ‘ স্মার্ট ভূমিসেবা, স্মার্ট নাগরিক’ উদ্বোধকালে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( রাজস্ব) মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সচেতনামূলক সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অর্থ) ( পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( শিক্ষা ও আইসিটি) কবীর হোসেন, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ পিপিএম সেবা , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা , চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি বিপুল আশরাফ, প্রথম আলো জেলা প্রতিনিধি শাহ্ আলম সনি উপস্থিত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহমানের উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সেদিন হলো, যেদিন থেকেই ভূমি ব্যবস্থাপনা শুরু হলো। জমির মালিকরা ঘরে বসেই আবেদন করেই সব কাজ করতে পারবেন। ভূমি ব্যবস্থাপনা ওইভাবে ছিলোনা। কালক্রমে ১৮৭৫ সালে সার্ভে এ্যাক্ট চালু হয়। ভূমির খাজনা নিতে দাখিলা লাগবে না। রেজিস্ট্রেশন করলে নিজেরা ঘরে বসেই খাজনা দিতে পারবেন। মিউটেশন করতে পারবেন। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে গেলেও সেবা পাবেন। সেবা সহজীকরণ করে মানুষের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এটাই আশা করবো।

সারাদেশে অনলাইন ভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ সংক্রান্ত ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম চলমান। সকল ভূমি মালিকগণকে তাদের মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি ছবি, নামজারি খতিয়ানের ফটোকপি/সর্বশেষ খতিয়ানের ফটোকপি, সর্বশেষ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলার কপি। সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল সেন্টারে যোগাযোগ করে ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি দেওয়া নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে অথবা নিজ নিজ ইউনিয়ন/ পৌর ভূমি অফিসে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) দাবি একবার নির্ধারণ হলে সংশোধন করা সম্ভব হবে না। এসময় প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং আগত সেবা প্রত্যাশীদের সাথে কথা বলেন।ভূমি সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য-পরামর্শ এবং সেবা নিতে ডিসি সাহিত্য মঞ্চের স্টলে সেবা প্রত্যাশীদের যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো জানান তারা।

ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ডিসি সাহিত্য মঞ্চে বির্তক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ভিক্টোরিয়া জুবিলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ভিক্টোরিয়া জুবিলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় দল।




দামুড়হুদায় প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার দিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা

দামুড়হুদা উপজেলা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের কমিটির পক্ষ থেকে এক প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার প্রদান করলেন। প্রতিবন্ধী ফজলুর রহমান (৫০) কেশবপুর গ্রামের মৃত জাবেদ মল্লিকের ছেলে। আজ শনিবার সকাল দশটার দিকে তাদের বাড়িতে এই হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়।

জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলার কেশবপুর গ্রামের মৃত জাবেদ আলী ছেলে ফজলুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবন্ধী থাকায় চলাফেরা করার খুব অসুবিধা হয় এমন সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা একটা কমিটির মাধ্যমে একটি হুইলচেয়ার প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মিনহাজ উদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুর রহমান, দুই নং ওয়ার্ডের সদস্য শামসুল আলম এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ফজলুর রহমান বলেন, আমি হেঁটে চলাফেরা করতে পারি না। এখন হুইল চেয়ারটা পেয়ে আমি চলাফেরা করতে পারব। যারা আমাকে এই হুইল চেয়ার দিয়েছেন তাদের সর্বাঙ্গীন দোয়া কামনা করি এবং এই হুইল চেয়ারটা পেয়ে আমি খুব খুশি হয়েছি।




চুয়াডাঙ্গায় সদর উপজেলার নব- নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনা

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নঈম হাসান জোয়ার্দারকে সংবর্ধনা দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কর্মাস। আজ শনিবার বেলা ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কর্মাসের কমিউনিটি সেন্টারের এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে আলোচনা সভা করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক। এসময় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোওয়াত করেন চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কর্মাসের পরিচালক হারুনর-রশিদ। এরপর চেম্বার অব কর্মাসের সকল পরিচালকরা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নঈম হাসান জোয়ার্দারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চেম্বার অব কর্মাসের পরিচালক নাসির আহাদ জোয়ার্দার। অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নঈম হাসান জোয়ার্দারকে তার নির্বাচনি প্রতিক ঘোড়া তার হাতে তুলে দেন অনুষ্ঠানে সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক।

এরপর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নঈম হাসান জোয়ার্দার বলেন, জনগণের সেবা করাটা আমাদের উত্তম। তাই আগামীদিনের মানুষের প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করতে চাই। সবার সহযোগীতা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সকল শ্রেণি পেশার মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। সকল প্রতিবন্ধকতা পিছনে রেখে চুয়াডাঙ্গা জেলার উন্নয়ন করতে চাই। সবাই এক সাথে পথ চলে আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই। আর আমার এই সংবর্ধনা দেয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কর্মাসের সকল পরিচালক ও কর্তৃপক্ষকে জানায় ধন্যবাদ।

এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলে সম্পাদক ও প্রকাশক আজাদ মালিতা, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাড. মানিক আকবর, চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রাজিব হাসান কচি, দৈনিক সময়ের সমীকরণের প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, দৈনিক আকাশ খবরের সম্পাদক জান্নাতুল আওলিয়া নিশি, প্রমুখ।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কর্মাসের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহরিন হক মালিক, সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল আলম মালিক লার্জ, পরিচালক সালাউদ্দিন মোহাম্মদ মর্তুজা, সালাউদ্দিন মিঠু, তাজুল ইসলাম, এস এম তসলিম আরিফ বাবু, কিশোর কুমার কুন্ডু, কামরুজ্জামান হিরা, প্রমুখ।




চুয়াডাঙ্গায় আন্তজেলা অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় ৬ সদস্য আটক

চুয়াডাঙ্গার বি‌ভিন্ন এলাকায় অ‌ভিযান চা‌লিয়ে আন্তজেলা অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় ৬ সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পু‌লিশ। এসময় পু‌লিশ তাদের কাছ থেকে চেতনা নাশক ঔষধ উদ্ধার করেছে।

আটককৃত আন্ত জেলা অজ্ঞান পার্টির ৬ হলো; জেলার জীবননগরের সন্তোষপুর গ্রামের মৃত: ইসমাইলের ছেলে ইব্রাহিম ওরফে ইব্রা (৫০), একই উপজেলার মৃগমারী গ্রামের নওশাদ মন্ডলের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪৭), দামুড়হুদা উপজেলার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রা‌মের মৃত: রইচ উ‌দ্দি‌নের ছেলে সালামত (৫৫), বড় দুধ পা‌তিলা গ্রামের মৃত: গোলাপ মন্ডলের ছেলে হাসেম আলী (৪৮), চুয়াডাঙ্গা সদর উপ‌জেলার বোয়ালমা‌রি গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে শাহাবুদ্দিন ওরফে সুখচান (৩০) ও বাগেরহাট জেলার শরনখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত: কাশেম মা‌ঝির ছেলে বাচ্চু মা‌ঝি। তাদের দখল থেকে উদ্ধার হয়েছে চেতনাশক ওষুধ সামগ্রী।

এ‌ বিষয়ে আজ শ‌নিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পু‌লিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রি‌ফিং আয়োজন করেন পু‌লিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান।

‌প্রেস ব্রি‌ফিং এ জেলা পু‌লিশের প‌ক্ষে অ‌তি‌রিক্ত পু‌লিশ সুপার না‌জিম উদ্দিন (ক্রাইম এন্ড অপস) লি‌খিত বক্তব্যে জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী দ‌ামুড়হুদার ডুগডুগি, জীবননগরের শিয়ালমারি পশু হাট সহ মোট ১১টি পশুর হাট। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগি, জীবননগরের শিয়ালমারি, আলমডাঙ্গার মু‌ন্সিগঞ্জ, সদরের সরোজগঞ্জ পশুর হাট গুলো জমজমাট হয়ে ওঠে। পশু হাট গুলো শুরু হওয়ার সাথে সাথেই প্রায় প্রতি বছরই অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টি প্রতারণা সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম দৌরাত্ম বেড়ে যায়।

এছাড়াও পরিবহনগুলোতেও বাসের যাত্রীবেশী অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা টার্গেট করে সাধারণ যাত্রীদের অজ্ঞান করে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেওয়ার সংবাদও কম নয়।

জেলায় এসব পশুহাটে ও হা‌টে আসার প‌থে গত ১৬ই মে ফরিদপুরের ইউনুস শেখ জীবননগরের শিয়ালমারি হাটে, ২৩ শে মে জীবননগর কালীগঞ্জ সড়কের পশু হাসপাতালের সামনে সানোয়ার হোসেন (৪৫), ৩০ শে মে আলমডাঙ্গা শমসের আলী শিয়ালমারি হাটে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে। সর্বশেষ অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা ৩ জুন দামুড়হুদার ডুগডুগির হাটে নোয়াখালীর জসিম উদ্দিনকে টার্গেট করে চেতনা নাশক পুষ করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় হাতে নাতে বাগেরহাটের বাচ্চু মাঝি নামের একজন গ্রেপ্তার হয়। এই ঘটনায় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানার মামলা দা‌য়ের করা হয়। মামলা নম্বর ০৪ তারিখ ০৩/০৬/২০২৪।

এসব ঘটনার পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানা, জীবননগর থানা, দর্শনা থানা ও দামুড়হুদা থানা সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একাধিক টিম অভিযান পরিচালনা করতে থাকে এবং তাদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার এর উদ্দেশ্যে কৌশলে ফাঁদ পাতা হয়। এই ফাঁদে আটকা পড়ে অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় সদস্য জেলার জীবননগ‌রের স‌ন্তোষপুর গ্রা‌মে ইব্রাহিম ওরফে ইব্রা, আব্দুর রাজ্জাক, সালামত, শাহাবুদ্দিন ওরফে সুখচান, বাচ্চু মা‌ঝি ও হা‌সেম আলী। আটকের সময় তাদের দখল থেকে উদ্ধার হয় চেতনাশক ওষুধ সামগ্রী।

এখন পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ এই আন্ত:জেলা অজ্ঞান পার্টি চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এটা একটা সংঘবদ্ধ চক্র। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে টার্গেট ভিকটিম কে চেতনা নাশক প্রয়োগ করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তদন্তকালে আমরা এই চক্রের বেশ কিছু নাম পেয়েছি তাদের চলমান কার্যক্রম মনিটর করা হচ্ছে। এই চক্রের সকল সদস্যকে আইনের আওতায় আনার জন্য সুষ্ঠ তদন্ত এবং গ্রেপ্তার অভিযান চলবে। জনগণের জান-মাল রক্ষায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সর্বদা আপনাদের পাশে রয়েছে।