দামুড়হুদায় জাতীয় যুব দিবস পালিত

“দক্ষ যুব গড়বে দেশ,বৈষম্যহীন বাংলাদেশ”-এ স্লোগান কে সামনে রেখে দামুড়হুদা উপজেলায় জাতীয় যুব দিবস -২০২৪ পালিত হয়েছে।

দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনা সভা-যুব ঋণ-সনদ ও গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, দামুড়হুদা কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী অফিসার মমতাজ মহল।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জামান পলাশ,সাধারণ সম্পাদক তানজীর ফয়সাল।

সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান,সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান,শারমিন নাহার,সাংবাদিক হাতেম সহ প্রায় অর্ধশতাধিক যুবক।

আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, আমরা বীরের জাতি,আমাদের যুবরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।ভবিষ্যতের জন্য আশার আলো নিয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবকরা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে এবং সফলতা অর্জন করবে এমন আশাব্যাক্ত করে।

আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন ট্রেডে ২০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণকৃত প্রশিক্ষিত যুবকদের মাঝে ৩০ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৬ লাখ টাকার যুব ঋণের চেক, ৩ জনকে প্রশিক্ষণ সনদ ও ১০ জন যুবকের মাঝে ফলজ গাছের চারা বিতরণ করেন।




গাংনীতে হত্যা মামলার আসামি সাবেক ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের নাহারুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৯ নং আসামি সাবেক ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা মহিবুল ইসলামকে (৬৮) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১২ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্পের একটি দল।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে তার মেঝো ছেলে স্যাকমো চিকিৎসক ঝন্টুর বাসাতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১২ এর একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে কাশিয়ানি থানা পুলিশের সহযোগীতায় তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত মহিবুল ইসলাম গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের মৃতু ওয়াজ উদ্দীন মন্ডলের বড় ছেলে। সে বিএনপির স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য (মেম্বর)।

আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১২ এর ক্রাইম প্রিভেনসন সেন্টার সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র এএসপি আশরাফ উল্লাহ পিপিএম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এর আগে একই মামলায় গত ৭ অক্টোবর ভোররাতে মহিবুল ইসলামের দুই ছেলে মো. সাহাবুর রহমান মিন্টু (৪০) ও মো. শাহা আলম ওল্টু (২৮) কে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামে তাঁদের শশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তারা মেহেরপুর জেলা কারাগারে রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট রাত ১০টার দিকে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে বাওট গ্রামের কুরু বিশ্বাসের ছেলে নাহারুল ইসলাম (৫৫) নিহত হন। এতে আহত হন উভয়পক্ষের আটজন।

আহতরা হলেন, নিহত নাহারুল ইসলামের বড় ভাই আইনাল হোসেন (৬২), আব্দাল হোসেন (৫৮), ইনামুল হক (৪০) ও তার ছেলে সিয়াম (১৭)।

অপরপক্ষের আহত হন মটমুড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বার বিএনপি নেতা মহিবুল ইসলাম (৬৮), ভাই সাবেক মেম্বার বিএনপি নেতা আশরাফুল ইসলাম কালু (৫৬), হামিদুল ইসলাম (৪৬) ও আমিরুল ইসলাম (৪০)।

এ ঘটনায় নিহত নাহারুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন বাদী হয়ে গাংনী থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামিরা পলাতক ছিলেন।

আজ শুক্রবার সকালের দিকে গ্রেপ্তারকৃত মহিবুল ইসলামকে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।




মেহেরপুরে জাতীয় যুব দিবস পালিত

“দক্ষ যুব গড়বে দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরে জাতীয় যুব দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা, যুব ঋণের চেক, সনদপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনার আগে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে একটি র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়।

জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

এসময় যুবকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যুবসমাজকে সচেতন থাকতে হবে এবং অন্যদের কেউ সচেতন করতে হবে।
যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে এবং একজন দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) মোঃ তরিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) গাজী মূয়ীদুর রহমান, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ডেপুটি কো-অডিনেটর ইকবাল মাহমুদ, ডিবির ওসি শেখ মেজবা উদ্দিন প্রমুখ।

জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সিনিয়র প্রশিক্ষক মোছাঃ মাহমুদা খাতুনের সঞ্চালনায় এছাড়াও এসময় সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাজেদুল ইসলাম, সিনিয়র প্রশিক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনার পরে শপথ পাঠ, যুব ঋণের চেক, সনদপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।




মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডঃ শফিকুল আলম জামিনে মুক্তি

সন্ত্রাস বিরোধী আইনে র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২)’র অভিযানে গ্রেফতারের একদিন পরেই জামিনে মুক্তি পেলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের বিচারক মো মনজুল ইমামের আদালতে জামিনের আবেদন করলে তিনি জামিন দেন।

মেহেরপুর জজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, খন্দকার আব্দুল মতিনসহ কয়েক ডজ্জন আইনজীবী সিনিয়র আইনজীবি জামিনের আবেদন করেন।

তবে, একই মামলায় পৃথকভাবে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেকের পক্ষে জামিনের আবেদন করলেও তিনি জামিন পাননি ।

অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী বলেন, মেহেরপুর জজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলমের পক্ষে জেলা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে জেলা জজকোর্টের বিচারক মো মনজুল ইমাম এ্যাডঃ শফিকুল আলমের জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিক জামিনের পর অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি সাংবাদিকদের কাছে কৃতজ্ঞ। সাংবাদিকরা আমার ব্যাপারে সবাই পজেটিভ সংবাদ পরিবেশন করেছে। তিনি আরও বলেন, আমাকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার উদ্দেশ্য আটক করা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ খালেক এবং যুগ্ম সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শফিকুল আলমকে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব-১২) সিপিসি-৩ গাংনী ক্যাম্প পৃথক অভিযান চালিয়ে আটক করেন।

তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) ধারা ৬(২)/১০/১১/১২/১৩ মূলে দায়ের করা মামলা যার নম্বর -১১, তারিখ ১৯/০৮/২৪ গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।




আলমডাঙ্গার জামজামি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগবাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া স্কুল ফান্ডের টাকায় কেনা জমি স্ত্রীর নামে রেজিস্ট্রিসহ শিক্ষকদের বেতন বন্ধ রেখেছে ওই অধ্যক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এসব অভিযোগ তোলেন।

তারা বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষ বনে গেছেন। দেশের পটপরিবর্তনের পর শিক্ষক ও সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা তাঁর বিষয়ে মুখ খুলতে বসেছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে আলমডাঙ্গার জামজামী গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য গ্রামের শাহাদৎ হোসেন মন্টু ৪২ শতক ও মঙ্গল সর্দ্দার নামের একব্যক্তি ৩০ শতক জমি দান করেন। গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার পর প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মহিবুল ইসলাম। তিনি স্কুলের পাশে প্রতিষ্ঠানের টাকায় নবিরন নেছা নামের এক মহিলার নিকট থেকে ৩২ শতক জমি ক্রয় করেন। ওই জমি ক্রয়ের সময় প্রধান শিক্ষক মহিবুল ইসলাম তার স্ত্রী জেসমিন আরার নামে রেজিষ্ট্রি করেন। কয়েক বছর আগে প্রতিষ্ঠানে কলেজ শাখা খোলা হয়। কলেজ শাখা খোলার সময় মহিবুল ইসলাম তার স্ত্রীকে দিয়ে জমিটি কলেজের নামে রেজিস্ট্রি করে অবৈধভাবা দাতা সদস্য মনোনীত হন। এছাড়াও ততকালিন ক্ষমতাসিনদের ছত্রছায়ায় শিক্ষকদের সাথে অসদাচারণ,বেতন না দিয়ে শিক্ষদের হয়রানি করাসহ শিক্ষক নিয়োগের নামে টাকা আত্মসাত করেন।

প্রতিষ্ঠানের সাবেক ম্যাজিং কমিটির সদস্য রফি উদ্দিন জানান, তার ভাগ্নে হবি থানার গাংদী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের চাকুরীর জন্য অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলামের নিকট চারজন শিক্ষককে সাথে নিয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেন। পরে দুই দফায় রফিউদ্দিন আরও ১ লাখ ৫ হাজার টাকা দেন। ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে চাকুরী দেননি। চাকরী না পেয়ে টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে তিনি আওয়ামীলীগের ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেন।

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মহিনুর রহমান, জহুরুল ইসলাম, ছানোয়ার হোসেন, আরমান আলী, জিন্নাত আলী, হেকিম আলী, শরিফুল ইসলাম, ইমাদুল হক, আবুল কাশেম অভিযোগ করে জানান অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলাম গত ১৬ বছর ধরে দলীয় ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে তার তেলবাজ অনুসারী শিক্ষকদের সাথে নিয়ে শিক্ষক প্রতিনিধি করে প্রতিষ্ঠান চালাতেন। তিনি তৎকালিন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সেলুন জোয়ার্দ্দারের ভাই রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনকেও সভাপতি করেন । তাকে সাথে নিয়ে মেতে উঠেন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বাণিজ্যে। কয়েক বছরে নিয়োগ বাণিজ্য করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করে অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলাম। দীর্ঘ বছর ধরে প্রতিষ্ঠান থেকে কোন টাকা শিক্ষকদের দেননি, এমনকি শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে নেওয়া উপবৃত্তির টিউশন ফ্রির টাকাও আত্মসাৎ করেন তিনি।

শিক্ষকরা আরও জানান, বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বেতন বিনা কারণে বন্ধ করে রেখে হয়রানি করেন।

অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলাম তার দাড়ি ছিড়ে দেওয়াও হুমকি দেওয়া সহ প্রতিষ্ঠানের বেশকিছু শিক্ষককে মামলার ভয় দেখাতে থাকেন।

এসকল অভিযোগ তুলে শিক্ষকরা অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলামের অপসারন দাবী করেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলাম বলেন, তার নামে শিক্ষকরা যে সকল অভিযোগ তুলেছেন তা সঠিক নয়। তিনি এসকল কাজের সাথে জড়িত নন।




দর্শনায় ছাত্র জনতার নির্যাতন ও বোমা হামলার প্রতিবাদে অবিভাবকদের মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় ছাত্র ছাত্রীরা দর্শনা বাজার থেকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়।

এ মিছিলে ৪ আগস্ট কতিপয় দুর্বৃত্ত কতৃক ছাত্র জনতার উপর নগ্ন ও বোমা হামলার প্রতিবাদে অভিভাবকরা মানববন্ধন করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে দর্শনা বাসষ্ট্যান্ড চৌরাস্তার মোড়ে ছাত্র জনতার অবিভাকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে। ঐদিন বিকাল ৫ টায় দর্শনা থানা এলাকায় নির্যাতনের স্বীকার ছাত্র জনতার অবিভাবক মা বাবা ভাই বোন ও আত্নীয় স্বজনেরা মানব বন্ধনে দাড়ালে দর্শনা -চুয়াডাঙা গামী ও দর্শনা -যশোরগামী পরিবহন সহ সব ধরনের যান বাহন চলাচল আধাঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায়। এতে সাধারন মানুষ চলাচলে বিঘ্ন ঘটে সৃষ্টি হয় জানজোটের।

এ সময় ছাত্র জনতা দর্শনা বাসষ্ট্যান্ড বগ চত্তরে ৪ আগষ্টের কথা তুলে ধরে। এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন রাজিব আহম্মেদ,সজিব হাসান,পলাশ আহম্মেদ,রুবেল হোসেন,সাইদুর রহমান লিংকন ও আঃ হাই মিয়া।

এ সময় বক্তব্যকালে বলেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাসহ ২ আসনের সাবেক এমপি আলী আজগার টগরের গুন্ডা বাহীনী দিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের উপর যে হামলা চালিয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ছাত্ররা আরও বলেন,ফ্যাসিস্ট সরকারের আলোচনা সমালোচনা করে বলেন ছাত্র জনতার প্রতিরোধে যেসব সন্ত্রাসীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল, তারা ফের এলাকায় এসে আইন শৃংখলার অবনতি ঘটানোর চেস্টা করছে,তাদেরকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে বলে হুসিয়ারি দেন।




দর্শনাতে ২ পলাতক আসামি গ্রেফতার

দর্শনা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে দর্শনা পৌরসভার জয়নগর ও দর্শনা থানা পাড়ায় অভিযানে দীর্ঘ দিনের ২ পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

জানাযায় আজ বৃহস্পতিবার ভোরে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে, অভিযান চালায় দর্শনা জয়নগর গ্রামে। এ সময় দর্শনা থানার এস আই সেকেন্দার আবু জাফর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালায় তার বাড়িতে। এ সময় পুলিশ দীর্ঘ দিনের পলাতক আসামি জয়নগর গ্রামের নাসির উদ্দীনের ছেলে নাইম ইসলাম (৩২) ও দর্শনা থানা পাড়ার দর্শনা পরানপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম রবির মামলায় মুনজুর মোর্শেদের ছেলে ফাহিমকে(১৯) গ্রেফতার করে।

২০২১ সালের মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক ছিলো নাইম ইসলাম ও ফাহিম । আজ তাদের দুজনকে ঐ মামলায় চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে সোপর্দ করেছে।




দর্শনা কেরু ডিষ্ট্রিলারী থেকে চুরি ঠেকাতে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার 

চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্যবাহী কেরু চিনিকল এ চিনিকলে ৪টি কমপ্লেক্স নিয়ে গঠিত চিনিকলটি।এ চিনিকলের মৃল হচ্ছে দর্শনা ডিষ্ট্রিলারী। ইতিমধ্যে ডিষ্ট্রিলারী থেকে চুরি ঠেকাতে নানা মুখি পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন নবাগত এমডি রাব্বিক হাসান।

দর্শনা কেরু শ্রমিক ইউনিয়নের নবাগত সাধারন সম্পাদক হাফিজুর ইসলাম হাফিজ বলেন,বর্তমানে কেরু ডিষ্টিলারীতে চুরি ঠেকাতে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করেছে। যে সব শ্রমিক কাজ করে ফরেনলিকার ও বাংলা মদের ফ্যাক্টরিতে তাদের প্রত্যকের চেকিং করে বেরোনো ও ঢুকনো হচ্ছে। এবং গেটে ৪ জন দারুয়ান রাখা হয়েছে। এসব নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করার ফলে বর্তমানে চুরি শুন্যের কোঠায় চলে এসেছে।এসব পদক্ষেপ গ্রহন করায় এমডি রাব্বিক হাসানকে সাধুবাদ জানিয়েছে শ্রমিক ইউনিয়ন ও সুধি মহল। দর্শনা কেরু ডিষ্ট্রিলারী থেকে ফরেনলিকার ও বাংলা মদ চুরি করার যতই চাতুরী ও কৌশল অবলম্বন করেন না কেন নিশ্চিত ধরা খাবেন চোরেরা ।

আজ দর্শনা কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান জানান, চোরেরা কেরু ডিষ্ট্রিলারী থেকে ফরেনলিকার বা বংলা মদ চুরি করার যতই চেষ্টা করুক না কেন ধরা খাবে নিশ্চিত। দীর্ঘদিন ধরে দর্শনা কেরু ডিষ্ট্রিলারী থেকে ফরেনলিকার ও বাংলা মদ চুরি হয়ে আসছে নানা কৌশলে। ফলে ফরেনলিকার ও বাংলা মদ চুরি বন্ধ করতে বেশ কিছু গোপন পদক্ষেপ নিয়েছেন কেরুজ নবাগত এমডি রাব্বিক হাসান।

তিনি আরো জানান দীর্ঘদিন কেরুজ মদ চুরি ঘটনা ঘটে চলেছে। ফলে এবার আমরা শুধু সিসিটিভি ক্যামেরা নয় বেশ কিছু গোপন পদক্ষেপ নিয়েছি। মদ চুরি করতে যত ধরনের কৌশল এবং ছলচাতুরতা অবলম্বন করুক না কেন আমারা ঠিক তাকে ধরে ফেলতে পারবো। এছাড়া তিনি চোরেদের উদ্যেশে সর্তক করে বলেন আগে যা করেছেন এখন থেকে ভাল হয়ে যান। সরকারী সম্পদ চুরি করে কেউ রেহায় পাবে না। ধরা পড়লে সাথে সাথে কঠোর হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি ডিষ্ট্রিলারীর ইলেক্ট্রিক হেলপার আব্বাস আলীর বাক্সে ৬ বোতল ফরেনলিকার ও খালী ২টি মদের বোতল উদ্ধার হয়।

এ ঘটনায় কেরজ কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্যর তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করে আব্বাস আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। আগামীতে কেউ যদি মদ চুরি করে ধরা পড়ে তাহলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।




ঝিনাইদহে হেফাজত ইসলামের দায়িত্বশীল সম্মেলন ও কমিটি গঠন

ঝিনাইদহে হেফাজত ইসলামের দায়িত্বশীল সম্মেলন ও কমিটি গঠন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে শহরের ঢাকা কমিউনিটি সেন্টারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক মুফতি আরিফ বিল্লাহ কাসেমী এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি বশিরুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আফসার মাহমুদ, হেফাজতে ইসলাম মাগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মাওঃ কাজী জাবের বিন মুহসিন, হেফাজতে ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মুফতী মোস্তফা কামাল কাসেমী, হেফাজতে ইসলাম ঝিনাইদহ জেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মাও: ওসমান গণী, সদস্য সচিব মাও: যুবায়ের আহমাদ কাসেমী ও কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলন শেষে হেফাজতে ইসলাম ঝিনাইদহ জেলা শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সর্বসম্মিক্রমে মুফতী আরিফ বিল্লাহ কাসেমীকে সভাপতি ও মাওলানা ওসমান গণীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান, সহ-সাধারন সম্পাদক যুবায়ের আহমাদ কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সেলিম উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক মাওলানা ইলিয়াস, প্রচার সম্পাদক মাওলানা ফারুক নোমানী, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল করিম নির্বাচিত হন। বাকী পদে আগামী ২০দিনের মধ্যে পূরণ করা হবে বলে জানান।




ঝিনাইদহে মাসব্যাপী মেয়েদের কারাতে প্রশিক্ষণের সমাপ্তী ও সনদ বিতরণ

ঝিনাইদহে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আওতায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের মেয়েদের আত্ম-রক্ষার্থে মাসব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণের সমাপ্ত ও সনদ বিতরণ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সমাপনী বক্তব্য রাখেন এবং সনদপত্র বিতরণ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী।

সেসময় সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও সোতোকান কারাতে দো ঝিনাইদহের পরিচালক প্রশিক্ষক কাজী আলী আহাম্মেদ লিকুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মাসব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণে অংশ নেয় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের চারটি স্কুলের ২৫ জন মেয়ে শিক্ষার্থীর মাঝে সনদ বিতারণ করা হয় ।