ওপেনিং না তিনে, বাবরের ব্যাটিং পজিশন জানালেন রিজওয়ান

মোহাম্মদ আমির যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েছিলেন, পাকিস্তানের আরও কয়েকজন সাবেকের মতও ছিল একই, ‘ওপেনিংয়ে নয়, বাবর আজম যেন তিনে ব্যাট করেন।’ তবে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড সেই পরামর্শ মানেনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাবর উদ্বোধনী ব্যাটার হিসেবেই খেলবেন।

পাকিস্তানের তারকা ব্যাটারের ব্যাটিং পজিশনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে পাকিস্তানের অধিনায়ক জানিয়েছেন, ওপেনিংয়ে বাবরের ওপরই আস্থা রাখছে তার দল।

পুরোনো রূপে নেই বাবর। ওয়ানডেতে শেষবার সেঞ্চুরি পেয়েছেন তাও অনেকদিন। ওপেনিং ছেড়ে তিনে নেমে ব্যাট করছিলেন বেশ কিছুদিন। তবে রানের ধারায় ফিরতে পারেননি। তাই আবারও তাকে ওপেনিংয়ে নামানো হচ্ছে।

কেন বাবর ওপেন করবেন সেই ব্যাপারে যুক্তিও দিয়েছেন রিজওয়ান, ‘বাবর ওপেন করবেন। মিডল অর্ডারে আমাদের ডানহাতি-বামহাতি কম্বিনেশন প্রয়োজন। বাবর তার পজিশনে দলকে সন্তুষ্ট করেছেন। সে একজন গ্রেট খেলোয়াড়। পাকিস্তান তার থেকে সর্বোচ্চটা চাচ্ছে। আশা করি সে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত কিছু করবে।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর্দা উঠতে বাকি মাত্র কয়েক ঘণ্টার। করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আজ বিকালে পাকিস্তানের মোকাবিলা করবে নিউজিল্যান্ড। উদ্বোধনী ম্যাচের ফল নিজেদের পক্ষে আনতে মরিয়া মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। এতটুকু ছাড় দিতে প্রস্তুত নন মিচেল স্যান্টনাররাও। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইটি শুরু হবে বিকাল ৩টায়।

জয়-পরাজয়ের খেরোখাতায় এগিয়ে যেতে পাকিস্তান পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে নামবে। হারিস রউফ চোট কাটিয়ে ফিরেছেন। ফখর জামান থাকছেন দলে। ওপেনিংয়ে বাবরের সঙ্গে তাকে দেখা যেতে পারে। ব্যাটিংয়ে সাউথ শাকিল এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান নামবেন পরে। লম্বা ব্যাটিং লাইন আপে পাকিস্তান স্পিনারও রাখছে দুজন। ম্যাচে তিনজন পেসার খেলাতে পারে টিম পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে নাসিম শাহ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির সঙ্গে থাকবেন হারিস রউফ।

সূত্র: যুগান্তর




দুই দিনের রিমান্ডে হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মিয়াজী

শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব ও ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সালাহউদ্দিন মিয়াজীকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে ঝিনাইদহ আদালতে হাজির করা হয়। সদর আমলি আদালতের বিচারক মো. ফারুক আযম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. মুক্তার হোসেন। তিনি জানান, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সদর থানায় দায়েরকৃত নাশকতা মামলার আসামি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন মিয়াজী।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে যশোরের রুদ্রপুর এলাকার শ্যামলছায়া পার্ক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় সালাহউদ্দিন মিয়াজী। এর আগে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।




হোটেলে গোপন ক্যামেরা আছে কিনা বুঝবেন যেভাবে

হরহামেশা এই অপরাধটি দেখা যায়। হোটেলে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও তুলে রাখছে কেউ। অবকাশযাপন করতে গিয়ে তাতেই পড়তে হয় বড় বিপদে। তবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হোটেল রুমে গোপন ক্যামেরা আছে, সেটা সহজেই বুঝতে পারবেন। স্মার্টফোনের সাহায্যেই ধরে ফেলতে পারবেন রুমের গোপন ক্যামেরা।

যেভাবে জানবেন রুমে ক্যামেরা আছে—

ফোনের ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে ঘরে রাখা গোপন ক্যামেরা চিহ্নিত করা সম্ভব। এজন্য ঘরের আলো নিভিয়ে দিতে হবে। এরপর ঘরের যে অংশে ক্যামেরা লুকানো থাকতে পারে, সেই জায়গায় ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালাতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো এয়ার ভেন্ট, স্মোক ডিটেক্টর, অ্যালার্ম ক্লক অথবা আয়না। ছোট্ট একটি রিফ্লেক্টিভ গ্লিন্ট অথবা লেন্সের মতো সারফেস খুঁজতে হবে কিছু সন্দেহজনক বিষয় চোখে পড়লে সেই জায়গাটি খুঁটিয়ে দেখতে হবে।

স্মার্টফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে ইনফ্রারেড আলো চিহ্নিতকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। এজন্য প্রথমে আলো একেবারে নিভিয়ে দিতে হবে। এরপর স্মার্টফোনের ক্যামেরা অ্যাপ খুলতে হবে। ক্যামেরা কোথায় গোপন করা থাকতে পারে, সেখানে ধীরে ধীরে ক্যামেরা প্যান করতে হবে। ক্যামেরা স্ক্রিনে ছোট্ট পালসিং ডট অথবা গ্লোয়ের দিকে নজর দিতে হবে। এই ইনফ্রারেড আলোই হিডেন ক্যামেরার উপস্থিতি চিহ্নিত করবে।

স্মার্টফোনের জন্য তৈরি বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করে গোপন ক্যামেরা শনাক্ত করা সম্ভব। এই অ্যাপগুলো ইনফ্রারেড আলো, চৌম্বকক্ষেত্র এবং অস্বাভাবিক সংকেত শনাক্ত করতে পারে। নির্ভরযোগ্য একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে সেটির মাধ্যমে রুমের সন্দেহজনক স্থান পরীক্ষা করতে হবে।

অনেক গোপন ক্যামেরা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করে। স্মার্টফোন দিয়ে রুমের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে যুক্ত যন্ত্র শনাক্ত করা সম্ভব। স্মার্টফোনের ওয়াই-ফাই সেটিংসে গিয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত যন্ত্রগুলোর তালিকা দেখতে হবে।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে জামায়াতের ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে মেহেরপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (১৮ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৪টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে হোটেল বাজার মোড়ে এসে শেষ হয়। পরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর জামায়াতের আমীর মাওলানা তাজউদ্দিন খাঁন।

এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম ১৩ বছরেরও অধিক সময় কারাগারে আটক আছেন। তাকে বারবার রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও দেওয়া হয়নি।

দেশবাসী আশা করেছিল যে, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এটিএম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।

তারা আরো বলেন, স্বৈরাচারের আমলে গ্রেপ্তার আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক।

এ সময় নায়েবে আমীর মাওলানা মাহাবুবল আলম, রাজনৈতিক সেক্রেটারি কাজী রুহুল আমিন, বায়তুলমাল সেক্রেটারি জার্জিস হুসেইন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, জেলা সুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য গাংনী ২ আসনের সংসদ প্রার্থী নাজমুল হুদা, গাংনী উপজেলা আমীর ডাঃ রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা সোহেল রানা, মুজিবনগর উপজেলা আমীর মাওলানা খান জাহান আলী, জেলা শিবির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন, জেলা সুরা পরিষদের সদস্য এনামুল হক বকুলসহ অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।




মহেশপুরে অবৈধ মাদকদ্রব্য ও সীমান্ত পারাপারকারী আটক

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ও অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারকারী বাংলাদেশী নাগরিকদের আটক করেছে বিজিবি।

বিজিবি’র মিডিয়া সেলের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক রাত ১১টার সময় মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর অধীনস্থ মেদিনীপুর বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার-৬৩/১-এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হরিহরনগর গ্রামের আম বাগানের মধ্যে হতে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামীবিহীন ৪৮ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়।

অন্যদিকে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর অধীনস্থ যাদবপুর বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার-৫০/৭-এস হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কানাইডাংগা গ্রামের ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে হতে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামীবিহীন ৯৭ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।

তাছাড়া একই দিন রাত সোয়া ৩টার দিকে মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর অধীনস্থ একই বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার-৪৯/৪-এস হতে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পারগোপালপুর গ্রামের ড্রাগন বাগানের নিকট ধানক্ষেতের মধ্যে হতে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামীবিহীন ২৪ বোতল ভারতীয় মদ এবং ৪৪ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও ওই দিনই রাত সাড়ে ৪টার দিকে মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর অধীনস্থ নিমতলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মেইন পিলার-৭৫ হতে আনুমানিক ১ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নতুনপাড়া গ্রামের পাঁকা রাস্তার উপর হতে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামীবিহীন ৪৭ বোতল ভারতীয় মদ এবং ২৪ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।

তাছাড় একই তারিখে মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর অধীনস্থ মাটিলা, বাঘাডাংগা, কুমিল্লাপাড়া, পলিয়ানপুর এবং কুসুমপুর বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকা হতে নিয়মিত টহল পরিচালনার মাধ্যমে ১২ জন বাংলাদেশী নাগরিককে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অপরাধে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।




সরকারি চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য বিধিমালা চূড়ান্ত করল পিএসসি

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বিসিএস-সহ সরকারি চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য বিধিমালা খসড়া চূড়ান্ত করেছে। পিএসসি বলছে, বিধিমালাটি পরীক্ষার্থীবান্ধব করা হয়েছে। এতে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের হয়রানি বন্ধ হবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। পিএসসির এক বৈঠকে এ বিধিমালাসহ আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সোমবার পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খসড়া বিধিতে সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে, কোন কোন পরিস্থিতিতে একজন প্রার্থীকে সরকারি চাকরির জন্য অনুপযুক্ত ঘোষণা করা যাবে। কেন অনুপযুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে তা–ও প্রার্থীকে জানানোর প্রস্তাব বিধিমালায় রাখা হয়েছে। অনুপযুক্ত ব্যক্তিকে পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদনের সুযোগ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে বিধিতে। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ চাইলে অনুপযুক্ত প্রার্থীর বিষয়ে পুনঃ তদন্তের সুযোগ রাখা হয়েছে।

সরকারি চাকরি আইন–২০১৮–এর অধীন একটি বিধিমালা হিসেবে সব শ্রেণির সরকারি কর্মচারীর জন্য এটি জারি করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। বিধিমালাটি জারি করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সার্বিক বিবেচনা করবে। বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরির পুলিশ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে এ বিধি প্রয়োজ্য হবে।

এছাড়া নন-ক্যাডার বিধিমালা ২০২৩ সংশোধনের বিষয়ে পিএসসি নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। পরের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের পরীক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। পরীক্ষাটি তিনটি ধাপে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

সূত্র: যুগান্তর




ঝিনাইদহে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে পায়রা চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আলী আজম মোঃ আবুবকর, সমাবেশ পরিচালনা করেন সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল আওয়াল এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল হাই, কাজী ছগীর আহম্মেদ, কালীগঞ্জ উপজেলা আমীর আব্দুল হক, কালীগঞ্জ নায়েবে আমীর মাওলানা মোঃ আবু তালিব, হরিনাকুণ্ডু উপজেলা আমীর বাবুল হোসেন, শৈলকূপা উপজেলা আমীর অধ্যাপক এস এম মতিউর রহমান, ঝিনাইদহ শহর আমীর এ্যাডঃ ইসমাইল হোসেন, শহর শিবিরের সভাপতি মেহেদী হাসান রাজু, সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে জেলা আমীর ঝিনাইদহ-২ আসনের এমপি প্রার্থী অধ্যাপক আলী আজম মোঃ আবু বক্কর বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের ৬ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে এই প্রথম জামায়াতে ইসলামী রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর দেশবাসী আশা করেছিল তারা সকল প্রকার জুলুম নির্যাতন থেকে রেহাই পাবে। যারা মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন তারা মুক্তি পাবে। কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পর ফাঁসির আসামীসহ অনেকেই মুক্তি পেলেও জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পাননি। তার মুক্তি না হওয়ায় দেশবাসী বিস্মিত ও হতবাক। সুতরাং খুব দ্রুত তাকে মুক্তি দিতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী সরকার দলীয় লোকদের দ্বারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো সাক্ষ্য প্রদান করা হয়েছে যা অবাস্তব ও হাস্যকর। ২০২৪ সালে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পাননি। জামায়াত স্বৈরশাসনামলে জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। স্বৈরশাসনমুক্ত বাংলাদেশে জামায়াত এখনো বৈষম্যের শিকার।




প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট খালি পায়ে ঘাসে হাঁটলে পাবেন যেসব উপকার

খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস গ্রামের মানুষদের মধ্যে একটু আধটু থেকে গেলেও, শহুরে লোকেরা এ কথা ভাবতেও পারেন না। ইঁট-পাথরের তৈরি শহরের শক্ত মাটিতে অবশ্য তা সম্ভবও নয়। অথচ শিশির ভেজা নরম তাজা ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটা যে কতটা উপকারী, তা অনেকেই হয়তো জানেন না। অনিদ্রা ও উদ্বেগ দূর তো হয়ই, রোজ নিয়ম করে খালি পায়ে হাঁটতে শুরু করলে আরও অনেক উপকার পাবেন।

খালি পায়ে হাঁটার উপকারিতা

নেগেটিভ ইলেকট্রন শোষণ

খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটলে পা সরাসরি মাটি স্পর্শ করে। মাটি দেহ থেকে সরাসরি নেগেটিভ ইলেকট্রন শোষণ করে। এটি অভ্যন্তরীণ বায়োইলেক্ট্রিক্যাল পরিবেশের ভারসাম্যতা সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। এর ফলে শরীরে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। মেধার বিকাশ ঘটে।

কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি

আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশ জল। তাই শরীর যত বেশি মাটির সংস্পর্শে আসবে ততই কর্মক্ষমতা বাড়াবে। খালি পায়ে হাঁটা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত এবং শরীরকে শিথিল করবে।

পেশি এবং পায়ের আরাম

হঠাৎ করে শরীরচর্চা বা কোনো ভারি কাজ করার ফলে শরীরে ব্যথা হয় বা পেশিতে টান লাগে। গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পায়ে কিছুক্ষণ হাঁটলে সেই ব্যথা অনেকটা কমে যায়। হিল দেওয়া বা অসমতল জুতো শারীরিক গড়নে যেমন প্রভাব ফেলে, তেমনই ঘাড়, পিঠ, কোমর, গোড়ালি কিংবা হাঁটু ব্যথায় কষ্ট দেয়। খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস পা-কে আরাম দেয় এবং পাতা, গোড়ালি এবং পায়ের আঙ্গুল শক্তিশালী করে তোলে।

মানসিক অবসাদে স্বস্তি এবং অনিদ্রা দূর

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়ম করে খালি পায়ে হাঁটেন তাদের মানসিক অবসাদ অনেক কম হয়। কমে উদ্বেগও। খালি পায়ে হাঁটলে বা মাটির সংস্পর্শে থাকলে খুব ভালো ঘুম হয়। তাই অনিদ্রায় কষ্ট পেলে রোজ ভোরবেলায় খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটুন। শান্তির ঘুম হবে।

নিয়ন্ত্রণে মাইগ্রেন

ক্ষতিকারণ রশ্মির প্রভাবে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে। খালি পায়ে হাঁটলে মাটির স্পর্শে ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব থেকে দেহ অনেকটা মুক্তি পায়। মাইগ্রেনের মাথা ব্যথায় আরাম মেলে।

রক্তের খেয়াল

খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ কমিয়ে লোহিতকণিকার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে কোষের রক্ত জমাট বাধা প্রতিহত হয় যা রক্তের ঘনত্ব কমে। কমে হৃদরোগের ঝুঁকিও।

সূত্র: যুগান্তর




হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে গাংনীতে পিঠা উৎসব

গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে মঙ্গলবার মেহেরপুরের গাংনী সরকারী ডিগ্রি কলেজে তারুণ্যের পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

জমকালো উৎসবে শোভা পাচ্ছে স্বতীন পিঠা, বেক্কল জামাই, মেয়েদের মন, জামাইয়ের প্যাচ, ভালবাসার লাল গোলাপ, পিয়াসা, পাটি সাপটা, চিতই, ভাপা, পুলি, সরু, মালাই রোল, চিটা রুটিসহ পুরনো নানা পিঠার সমারোহ লক্ষ্য করা গিয়েছে।

নিজেদের স্টলগুলো পরিচালনা করেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। দিন দিনব্যাপী পিঠা মেলার উদ্বোধন করেন গাংনী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন। উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক, গাংনী সরকারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম।

তারুণ্যের মেলা উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এই পিঠা উৎসবের। গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া পিঠা তৈরি করে হাজির হন কলেজের শিক্ষার্থীরা। সঙ্গে ছিল আধুনিক সব পিঠাও। ২৫ টি স্টলে পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন শিক্ষার্থীরা। তরুণ প্রজন্ম সকাল থেকেই ভিড় জমান পিঠা উৎসবে। পরিচিত হন নতুন ও পুরাতন হরেক রকমের পিঠার সঙ্গে।

গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ চত্ত্বরে শুরু হওয়া এ পিঠা উৎসবে ছিল বেশ ভিন্নতা। শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে তৈরী করা এসব পিঠা সাজিয়েছেন তাদের স্টলে। ভোজন রসিকরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছেন আর স্বাদ নিচ্ছেন। সেই সাথে অনেকে এসেছেন তাদের সন্তাানদেরকে পিঠা পুলির স্বাদের পাশাপাশি পিঠার সাথে পরিচয় ঘটাতে।

পিঠা উৎসবের আয়োজনে বেজায় খুশি শিক্ষার্থীরা। এ ধরনের আয়োজন তরুণ প্রজন্মকে আরো উদ্যমী করে গড়ে তুলবে বলে মনে করছেন তারা।




অক্ষয়ের ছবির ব্যবসার আয় মিথ্যা, সমালোচনার পালটা জবাব দিলেন পরিচালক

সখানেক আগে মুক্তি পেয়েছিল বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘স্কাই ফোর্স’ সিনেমাটি। যে সিনেমার বক্স অফিস কালেকশন নিয়ে উঠেছিল নানা অভিযোগ। একজন খ্যাতনামা বাণিজ্যিক বিশেষজ্ঞের দাবি অনুসারে, ছবির ব্যবসা নিয়ে ভুল তথ্য প্রদান করা হয়েছিল। ভারতে আশি কোটি টাকার ওপর আয় এবং প্রথম সপ্তাহেই ১০০ কোটি টাকা উপার্জন করেছে।

তিনি দাবি করেন, আয় বেশি দেখাতে প্রযোজনা সংস্থা নিজেরাই বেশি করে টিকিট কেটে রেখেছিল বলে অভিযোগ।

‘স্কাই ফোর্স’-এর বক্স অফিস কালেকশনের এসব বিতর্কে নিয়ে মুখ খুলেছেন সিনেমাটির পরিচালক সন্দীপ কেউলানি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সন্দীপ বলেন, ‘কোনো রকম মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এটা একেবারেই দর্শকের ভালোবাসার ফল। এখনো পর্যন্ত সিনেমার ফিডব্যাক বেশ ভালো। সকলেই প্রশংসা করছেন।’

এখানেই থামেননি সন্দীপ। গতেবাঁধা বক্স অফিস কালেকশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস যদি কারও প্রিয় সিনেমা হয়, তিনি নিশ্চয়ই বক্স অফিস কালেকশনের কথা ভাববেন না।’ তাই পরিচালক মনে করেন, এই বক্স অফিস কালেকশনের বিষয়টা আজীবন থাকবে না। তাই এই আলোচনা করাটাকেও তিনি অর্থহীন বলেই মনে করেন।

একইসঙ্গে, সিনেমার ব্যবসার সঙ্গে কোনো সিনেমা ভালো না খারাপ, তার তুলনা হয় না বলেই মনে করেন পরিচালক। কোনো সিনেমা ৩০০ কোটি টাকা ব্যবসা করলেও, ভালো মানের সিনেমা না-ই হতে পারে। তবে ‘স্কাই ফোর্স’ নিয়ে তিনি আশাবাদী। এই ধরনের সিনেমা দর্শকের ভালোলাগার অনেক কারণ আছে বলেই তার মত।

সূত্র: যুগান্তর