চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন শপথের পর গতকাল বৃহস্পতিবার আলমডাঙ্গায় নেতাকর্মিদের মাঝে উপস্থিত হলে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছায় শিক্ত করা হয়। বেলা ১১ টার দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মিদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন তিনি ।
এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন এমপি বলেন, আপনারা আপনাদের পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন। রাব্বুল আলামিন আমাদের দিকে তাকিয়েছেন, সেজন্য দলের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ও আমার পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী বিশেষ করে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বৃন্দসহ যারা নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন, তাদের সকলকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আমাদের কিছু কাজ এখনও বাকি আছে, স্কুল কলেজের অনেক কাজ বাকি আছে, কিছু রাস্তাঘাটের কাজও বাকি আছে, সেই সব অসম্পুর্ন কাজগুলো এই ৫ বছরে সম্মন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা একটি শান্ত জেলা। একসময় চুয়াডাঙ্গাকে অশান্ত করে তুলেছিল,অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল,আমাদের আমলে ১৫ বছরে সেই চুয়াডাঙ্গায় শান্ত পরিবেশে গড়ে তুলেছি।আমরা শান্তিপুর্ণ পরিবেশে বসবাস করতে চাই।ভোটকে কেন্দ্র করে কিছু সহিংস ঘটনা ঘটেছে,আপনারা শান্ত থাকবেন। নতুন করে কেউ কোন ঘটনা ঘটাবো না,তবে যদি কেহ পায়ে ল্যাং মেরে ঝগড়া বাধাতে চাই তাহলে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদেরকে সব সময় ধৈর্য ও শান্ত থাকতে হবে,বিনা কারণে কেউ ঝগড়া বিবাদে জড়াবেন না।আমরা সবাই শান্ত থাকব,শান্ত থাকলে আমাদের সকলেই ভাল বলবে।
সকলকে স্বীকার করতে গত ১৫ বছরে চুয়াডাঙ্গায় কোন চাঁদাবাজী নেই,আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা,দামুড়হুদার কোন ব্যবসায়ি বলতে পারবে না চাঁদাবাজী হয়েছে। আমরা কিন্ত এইদিকটা কঠোর ভাবে দেখেছি,আমরা এও দেখেছি বিএনপি,জামাতের আমলে কাপড়ের দোকানদের কাছ থেকে বাড়িতে দেখানোর নাম করে নিয়ে গেছে আর ফিরে আসেনি।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে আমরা চুয়াডাঙ্গা জেলায় শান্তিপুর্ণ পরিবেশে বসবাস করেছি,আগামী ৫ বছরও সেভাবে বসবাস করবো। এই নির্বাচনে গরীব মানুষেরা আপনাদের কথা রেখেছে,আপনাদের তাদের প্রতি সদয় আচরণ কতে হবে।
তিনি আরো বলেন আওয়ামীলীগ একটা ঐতিহ্যবাহী সংগঠন।এবারের নির্বাচনে আপনারা প্রমাণ করেছেন তৃনমুল সংগঠনের নেতাকর্মিরা কখনও ভুল করে না।আজ বিএনপি যদি নির্বাচনে আসত আমরা সহজে চিনতে পারতাম অমুক লোক বিএনপি করে,কিন্ত নিজ দলের মধ্যেকার লোক যখন অন্য পক্ষ অবলম্বন করে তখন সেভাবে কাউকে চেনা যায় না। কে কোন দিকে কি করছে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা। উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক ইয়াকুব আলীর উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার টোটন,জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, শাহ আলম, হামিদুল ইসলাম, জেলা সদস্য সিরাজুল ইসলাম, শাহ আলম, কাজী খালেদুর রহমান অরুন, আলমডাঙ্গা, পৌর সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, হাজী ঠান্ডু রহমান, সাবেক পৌর আওয়ামীলীগের সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম অপু মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, মাসুদ রানা তুহিন, ইউপি চেয়ারম্যান এজাজা ইমতিয়াজ বিপুল, মোখলেছুর রহমান শিলন, মোজাহিদুর রহমান লোটাস, মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, আসাদুল হক মিকা, আবু সাইদ পিন্টু,তাফসির আহমেদ লাল, সোহানুর রহমান সোহান, জেহালা ইউনিয়ন সভাপতি হাসানুজ্জামান হান্নান, মোস্তাফিজুর রহমান রুন্নু, বিল্লাল গনি, দিদার মালিতা, রাহাব উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাক, জয়নাল আবেদীন, জিনারুল ইসলাম বিশ্বাস, নাহিদ হাসনাত সোহাগ, মকবুল হোসেন, শহিদুল ইসলাম লাল্টু, যুবলীগের আহবায়ক সোনাহার মন্ডল, আশাদুল হক ডিটু, পাপন, মনিরুজ্জামান হিটু, সাবেক ছাত্রনেতা আশরাফুল ইসলাম, বাদশা, নাহিদ হাসান তমাল, সাকিব, অটল, জেলা মৎসজীবি লীগের সভাপতি শাহাবুল ইসলাম, সহসভাপতি আলতাব হোসেন, ববিতা খাতুন, স্বপন, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি এম আজিজুল হক, মহিলা আওয়ামীগের সভাপতি সাহিদা খাতুন সহ নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.জে.এম আব্দুর রকিবের নেতৃত্বে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারি অধ্যাপক সাইদুর রহমান লিটন, মহিতুর রহমান, সিরিয়র প্রভাসক ড.মাহবুবুর রহমান, তাপস রসিদ, ওসি শেখ গনি মিয়া, ওসি তদন্ত একরাম হুসাইন, টোটন জোয়ার্দার, সহকারি অধ্যাপক, আব্দুল মেনায়েম, শেখ শফিউজ্জামান, সাইদুর রহমান লিটন, মহিতুর রহমান, ইকবাল হাসান, সিনিয়র প্রভাষক আনোয়ারুজ্জামান, মাকুদুর রহমান, জিয়াউর রহমান, আদিল হোসেন, তাসলিমা খাতুন, রাহাত আরা, জেসমিন আরা খানম, শরিয়ত উল্লাহ, মনিরুজ্জামান, রাশেদুল মমিন, ড.মহাবুব আলম, রফিকুল ইসলাম, মঞ্জুরুল ইসলাম, তাপস রশিদ, রেজাউল করিম, আব্দুল হাই, হাবিবুর রহমান, আব্দুস সেলিম প্রমুখ।