অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ২-০ গোলে হারলো বাংলাদেশ

অ্যাওয়ে ম্যাচে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। হোম ম্যাচে ভালো কিছুর আশা নিয়ে মাঠে নেমেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বেশ লড়াই করেছেন তপু বর্মন-তারিক কাজিরা। তবে ঘরের মাঠেও হারতে হয়েছে। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় পর্বের হোম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের রক্ষণে মুহুর্মুহু আক্রমণ করতে থাকে সফরকারীরা। তবে শক্ত রক্ষণে অস্ট্রেলিয়াকে আটকে রাখে তপু-তারিকরা।

তবে ম্যাচের ২৯ মিনিটে লিড পায় অস্ট্রেলিয়া। দুর্ভাগ্যজনক এক গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার আজদিন হুরস্টিকের নেওয়া শট বাংলাদেশের ডিফেন্ডার মেহেদী মিঠুর পায়ে দিক পরিবর্তন হয়ে জালে জড়ায়।

আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এগিয়ে গিয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। তবে আর কোনো গোল না হলে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতি থেকে ফিরে আবারও অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণ রুখতে ব্যস্ত থাকে বাংলাদেশের ডিফেন্স। ম্যাচের ৬২ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় অস্ট্রেলিয়া। বাম দিক বাড়ানো বলে হেড করে বল জালে জড়ান ইয়াংগি। তার গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে অস্ট্রেলিয়া।

মাঝে হঠাৎ কিছু কাউন্টার অ্যাটাকে যায় বাংলাদেশ। তবে তা আটকে যায় অ্যাটাকিং থার্ডে। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে ২-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে ভুয়া ওয়ারেশ সেজে ৮ কোটি টাকার অর্পিত সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা

জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ওয়ারেশ সেজে সরকারের ‘ক’ তফশীলভুক্ত বিপুল পরিমান সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা অবশেষে ব্যর্থ হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের একটি আদালতের রায়ে সরকারের প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা মুল্যের ৮৩ বিঘা জমি রক্ষা পেয়েছে। ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোঃ আব্দুল মতিন চাঞ্চল্যকর এই রায় প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসকের ভিপি শাখা ও মামলার রায় সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২নং মধুহাটী ইউনিয়নের ৪টি মৌজায় বিপুল পরিমার ‘ক’ তফশীলভুক্ত অর্পিত সম্পত্তি ছিল। ২০১৩ সালে সদরের কালীচরণপুর গ্রামের প্রদ্যুত মিত্রের ছেলে স্মৃতি মিত্র নামে এক ব্যক্তি ভুয়া ওয়ারেশ সেজে অর্পিত সম্পত্তি আইনে দুইটি মামলা করেন, যার মামলা নং ৮১৮/১৩ ও ৮১৩/১৩। মামলায় বাদী দাবী করেন, সদর উপজেলার ২০ নং বসুপুর, ২১ নং মহামায়া, ২২ নং বামুনপাড়া পদ্মবিলা ও ৪৮ নং চান্দুয়ালী মৌজায় তার পুর্ব পুরুষরা ২৪.৪৪ একর জমির মালিক ছিলেন যা পরবর্তীতে ভিপি তালিকাভুক্ত (‘ক’ তফশীল) হয়। ওযারেশ প্রমানে জনৈক স্মৃতি মিত্র জাল কাগজপত্র ও ওয়ারেশ কায়েম সনদও যোগাড় করেন।

এদিকে এলাকাবাসি আজিজুর রহমান সালাম জানান, ১৯৪৬ সালে রায়টের সময় বসুপুর, মহামায়া ও বামুনপাড়া পদ্মবিলা এলাকার অনেক হিন্দু তাদের জমিজমা ও অস্থাবর সম্পত্তি ফেলে ভারতে চলে যান। ফলে বসুপুর ও বামুনপাড়া পদ্মবিলা মৌজা হিসেবে বহাল থাকলেও সেখানে কোন গ্রাম নেই। আগে এই দুইটি স্থানে গ্রাম ছিল। সেই জমিগুলো পরবর্তীতে ‘ক’ তফশীল হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। অন্যদিকে ৭ বছর মামলা চলার পর ২০২০ সালে ঝিনাইদহের নিম্ন আদালতের বিচারক কে এম আলমগীর হোসেন বাদী স্মৃতি মিত্রের পক্ষে রায় দেন। এ নিয়ে সে সময় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনে হৈ চৈ পড়ে যায়। মামলায় হেরে ২০২০ সালে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের নির্দেশে সরকার পক্ষ আবার আপিল করেন, যার মামলা নং ১৯/২০ ও ২০/২০। মামলার বাদী স্মৃতি মিত্রের পিতা ও উল্লেখিত ৮৩ বিঘা জমির প্রকৃত মালিকের পিতার নাম এক হলেও দাদার নাম ছিল ভিন্ন। জমির প্রকৃত মালিকের দাদার নাম ছিল হেমন্ত কুমার এবং তাদের কোন ওয়ারেশ বাংলাদেশে নেই। পক্ষান্তরে মামলার বাদীর দাদার নাম রঞ্জন কুমার মিত্র। আর এটাই আদালতে প্রমানিত হওয়ার পর সরকারের ‘ক’ তফশীলভুক্ত বিপুল পরিমান সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা ভেস্তে যায়। সরকার পক্ষের ভিপি কৌশলী এ্যাড সুভাষ বিশ্বাস মিলন বৃহস্পতিবার বিকালে খবর নিশ্চিত করে জানান, সরকারের পক্ষে মামলাটি খুবই চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা প্রমান করতে সক্ষম হয়েছি বাদীর দাদার নাম এক এবং প্রকৃত জমির মালিকের নাম ভিন্ন ভিন্ন। ফলে বিজ্ঞ আদালত বিচক্ষনতার সঙ্গে রায় প্রদান করেন। তিনি আরো জানান, এই মামলায় মধুহাটী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ জুয়েল ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনসহ ৫ জন সরকারের পক্ষে সাক্ষ্য দেন। বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ্যাডঃ মীর সাখাওয়াত হোসন।

মধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন জানান, মামলার বাদী স্মৃতি মিত্রের পিতার নাম ও ভারতে থাকা জমির বর্তমান ওয়ারেশদের পিতার নামের মিল থাকলেও দাদার নাম ভিন্ন ভিন্ন। আমি সাক্ষ্য প্রদানের সময় এ কথায় বলেছি। তিনি আরো জানান, বসুপুর, মহামায়া, বামুনপাড়া পদ্মবিলা ও চান্দুয়ালী মৌজায় এখন ১০/১২ লাখ টাকা করে জমির বিঘা। সেই হিসেবে ৮৩ বিঘা জমির দাম আনুমানিক সাড়ে ৮ কোটি টাকা হবে। এ ব্যাপারে মামলার বাদী স্মৃতি মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রায় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।




ঝিনাইদহে আদিবাসী ফোরামের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে আদিবাসী ফোরামের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ  বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ফ্যামিলি জোন কমিউনিটি সেন্টারে সদর উপজেলা আদিবাসী ফোরামের আয়োজনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম সদর উপজেলা শাখার আহকবায়ক স্বপন কুমার বাগদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা কনক কান্তি দাস।

বিশেষ অতিথি হিসাবে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাহাজ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ-সাধারণ সম্পাদক গজেন্দ্রনাথ মাহাতো, আদিবাসী ফোরামের জেলা সভাপতি অসিত কুমার বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এতে সদর উপজেলার ৪৩টি গ্রামের আদিবাসী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।




আমের সঙ্গে যেসব খাবার নহে

গরমে জনজীবন যতই অতিষ্ঠ হোক তবুও সবার একটা অপেক্ষা থেকেই যায়। এসময়ের রসালো নানা ফলের স্বাদ পেতে গরম সহ্য করতেও সবাই রাজি। বিশেষ করে আমের প্রতি যাদের ভালবাসা তাদের সারা বছরের অপেক্ষা থাকে এই উষ্ণ ঋতুটির জন্য।

কাঙ্ক্ষিত এই ঋতুতে আম তো খাচ্ছেন ভরপুর। সঙ্গে কিন্তু কিছু খাবার খেলেই বিপদ। হতে পারে পেটের গোলমাল।

মশলাদার খাবার
দুপুর হোক বা রাত খেয়ে উঠে শেষপাতে মিষ্টিমুখে চলছে এখন আম খাওয়ার ধুম। কিন্তু তেল-মশলাদার খাবারের সঙ্গে আম না খাওয়াই ভালো। এতেও আপনার পেট বিগড়ে যেতে পারে। আমে থাকা অ্যাসিড মশলার সঙ্গে বিক্রিয়া করে হজমের সমস্যা হতে পারে।

দই
দই, চিড়া, আম, কলা একসঙ্গে মেখে খেতে কে না ভালবাসেন। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, আমের সঙ্গে দই না খাওয়াই ভালো। দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কোমল পানীয়
আম খাওয়ার পর ঠান্ডা কোমল পানীয় না খাওয়াই ভালো। কারণ আম ও এই ধরনের পানীয় দুটোতেই চিনির পরিমাণ অনেক বেশি। তাই একসঙ্গে খেলে শরীরে হঠাৎই শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।

পানি
ফল খেয়ে পানি খেতে হয় না এতো সকলের জানা। আম খেয়ে পানি খাওয়া আরও মারাত্মক। আম খাওয়ার পরে পানি পানে নানা রকম শারীরিক অস্বস্তি হতে পারে। বুকজ্বালা, বদহজমের পাশাপাশি পেটের নানা গোলমাল হতে পারে। আম খাওয়ার অন্তত আধ ঘণ্টা পরে পানি খাওয়া ভালো।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে ভর্তুকি মুল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়

ঝিনাইদহে জুন মাসের ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রি শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব-বাংলাদেশ (টিসিবি)।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে শহরের শিশু একাডেমিতে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম।

সেসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অশোক ধর, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, টিসিবি’র সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আয়ুব হোসেন, টিসিবি’র ডিলার ভাই ভাই ভ্যারাইটি ষ্টোরের স্বাধিকারী খায়রুল ইসলাম টিটন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, এবারও জেলার ৬ উপজেলায় ১০৪ জন ডিলারের মাধ্যমে ১ লাখ ২০ হাজার ১’শ ৩৩ জন ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রতিটি ফ্যামিলি কার্ডে ৪’শ ৭০ টাকায় ২ কেজি মসুরের ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৫ কেজি চাউল মিলবে।




ঝিনাইদহে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কম্পিউটার প্রশিক্ষন

অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ঝিনাইদহে ৪০ দিন ব্যাপী কম্পিউটার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ শহর সমাজসেবা কার্যালয়ে এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজসেবা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মমিনুর রহমান, শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ।

আয়োজকরা জানায়, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মুল শ্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে জেলার বিভিন্ন এলাকার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর যুবদের ৪০ দিন ব্যাপী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছে। তেলী, নাপিত, ঋষি, মালো, বাগদিসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ৩০ জন এ প্রশিক্ষণ প্রদাণ করা হচ্ছে।

৪০ দিন ব্যাপী এই কর্মসূচীতে তাদের কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশন, ভিডিও এডিটিং, এক্সেলসহ নানা এপ্লিকেশনের কাজ শেখানো হবে।




নিয়োগ দেবে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন ম্যানেজার’ পদে জনবল নিয়োগ দেবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ

পদের নাম : মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন ম্যানেজার

আবেদনের বয়সসীমা : নির্ধারিত নয়

পদসংখ্যা : ০১টি

কর্মস্থল : জামালপুর

বেতন : ৮০,০০০-৯০,০০০টাকা (মাসিক)

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৮ বছর

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ০৫ জুন, ২০২৪

কর্মক্ষেত্র : অফিস

কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ তারিখ : ১৩ জুন, ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : অর্থনীতিতে মাস্টার্স অব সোশ্যাল সায়েন্স (এমএসএস) এবং পরিসংখ্যানে মাস্টার্স অব সোশ্যাল সায়েন্স (এমএসএস)ডিগ্রি।

অন্যান্য সুবিধা : প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, ডি/এ, মোবাইল বিল, সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন, বছরে দুটি উৎসব বোনাস ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতি অনুযায়ী বিভিন্ন সুবিধা পাবেন।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

ঠিকানা : শান্তা ওয়েস্টার্ন টাওয়ার (১৪ তলা), ১৮৬ বীর উত্তম মীর শওকত সড়ক (গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোড), তেজগাঁও, ঢাকা-১২০৮




বর্শিবাড়িয়ার বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক কালাম দম্পতির বিরুদ্ধে সহকর্মীর মামলা

মেহেরপুর সদর উপজেলার বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও তার স্ত্রী একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নার্গিস খাতুনের বিরুদ্ধে মানহানী মামলা করা হয়েছে।

সম্প্রতি ওই স্কুলের শিক্ষক সাদ্দাম হোসেন মেহেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল হাজির হয়ে তিনি এ মামলা করেন। যার মামলা নম্বর-৯১/২০২৪।

মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসিকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি আবুল কালাম আজাদকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত করে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বাদির পিতা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামি নার্গিস খাতুন বাদি হয়ে সাদ্দাম হোসেন ও তার পিতা বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই অভিযোগ সত্য নয় বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর পরে আসামিরা বিদ্যালয়ে সাক্ষীদের সন্মুখে পুনরায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করার হুমকি দেন। বাদি এ দম্পতির হাত থেকে আইনি সুরক্ষা পেতে তিনি এ মামলা দায়ের করেন।




নিপুণকে নিয়ে আবারো ডিপজলের মন্তব্য

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচণের পর থেকে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার ও অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের তর্কযুদ্ধ যেন থামছেইনা।

সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিপুণকে নিয়ে আবারও মুখ খুলেছেন ডিপজল। তিনি বলেন, ‘নিপুণকে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে এনে আমি ভুল করেছিলাম। আমার এখন মনে হয়, আমি ভুল করেছিলাম। তাকে আমি আর চিনি না।’

ডিপজল আরও বলেন, ‘শিল্পী সমিতির চেয়ারে টাকা-পয়সা বলে কিছু নাই। এটা একটা ইজ্জত। আমার নির্বাচন করার ইচ্ছে ছিল না। তবুও নির্বাচন করলাম। কারণ গতবার অনেক অনিয়ম দেখেছি। যে কারণে এবার সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করলাম।’

এই অভিনেতা নিপুণের মূল ব্যবসা প্রসঙ্গে বলেন, ‘নিপুণের মূল ব্যবসাটা কী? আমি যে সিনেমা করছি, এটাই কী আমার মূল্য ব্যবসা? না, এটা আমর মূল্য ব্যবসা না। শুনলাম, উনি পার্লার দিয়েছেন। কী পার্লার এটা? সেই পার্লারে গিয়ে আপনারা দেখেন, সেটা কেমন পার্লার। সেখানে কী হয়।’

কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচণে সাধারণ সম্পাদকের পদে নিপুণকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন ডিপজল। তাদের দু’জনের জয়-পরাজয়ের মাঝে ভোটের ব্যবধান ছিল ১৬।

নির্বাচনের পরপরই ডিপজলকে ফুলের মালা গলায় পড়িয়ে বরণ করে নেন পরাজিত প্রার্থী নিপুণ। তবে মাস ঘুরতেই সুর পাল্টে যায় অভিনেত্রীর। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ করে আদালতে রিট দায়ের করেন তিনি।

নিপুণের সেই রিটের প্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটিতে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। পরে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করে চেম্বার আদালত। ফলে শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা।

সেসময় ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেন নিপুণ। এর জবাবে নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে বলে মন্তব্য করেন ডিপজল।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে কাজলা নদীর অবৈধ বাধ দখলমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন

ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, নদী দখল ও স্থানীয়দের নির্যাতনের প্রতিবাদে মেহেরপুরে মানববন্ধন,স্মারকলিপি প্রদান ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল ১০ টার মেহেরপুর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সদর উপজেলার কাঁঠালপোতা, সোনাপুর ও টুঙ্গি গ্রামের প্রায় দুই হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসানের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।

মানববন্ধনের নেতৃত্ব দেন পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আশাদুল ইসলাম। এ সময় পিরোজপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আশান্নুরী, সালমা বেগম, আওয়ামী লীগ মেতা আব্দুল লতিফ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক, কাঁঠালপাতা দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন, শহিদুল ইসলাম, কাঠালপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুস সামাদ, সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দীন, নাজমুল হাসান শুভ, মৎস্যজীবী রহিদুল ইসলাম, শরিয়ত, জিনারুল, মিয়ারুল, মিজান, ফারুক, আজিজুল, কামরুল, মিজানুর, মেন্টুলসহ কাঁঠালপোতা, সোনাপুর ও টুঙ্গী গ্রামের গণমান্য ব্যক্তি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, জেলে সম্প্রদায় ও বিভিন্ন বয়সী সহস্রাধিক নারী-পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু ও তার কিছু সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে সরকারের আইন তোয়াক্কা না করে বাদ দিয়ে জোর পূর্বক মাছ চাষ করে আসছে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে নদীটি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। তার অপকর্মের প্রতিবাদ করায় অনেকেই তার ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। মিলু বাহিনী হামলা করে উল্টো আমাদের নামেই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

বক্তারা আরও বলেন, কাজলা নদী সংলগ্ন টুপলা ও নেংড়ো বিলের মাছ চাষের আড়ালে নদীতে বাধ দিয়ে প্রবাহিত স্রোত বাধাগ্রস্ত করছে এর ফলে বিভিন্ন সময় পানি প্রবাহিত হয়ে পাশে ফসলী জমি নষ্ট হচ্ছে।

নদী বাঁচাতে ও ফসলি জমি রক্ষায় অবৈধ বাঁধ অপসারণ করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।