দামুড়হুদা চিৎলায় একরাতে কৃষকের দুই গরু চুরি

দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামে রাতের আধারে দুইজনের বাড়ি থেকে দুইটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। আজ সোমবার দিবাগত রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামের ফরজ শেখের ছেলে গরিবুল্লাহ ইসলাম প্রতি রাতের মত গরুর খেতে দিয়ে ঘুমাতে যায়। পরে ভোরে উঠে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখে লাল এড়ে বাছুর গরুটি আর নেই।

একই গ্রামের আরজুল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম প্রতিরাতের মত গরুর খেতে দিয়ে ঘুমাতে যায়। পরে ভোরে উঠে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখে লাল বকন বাছুর গরুটি আর নেই।পরে তাদের ডাক চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে আসে বিভিন্নস্থানে খোজাখোজি করার পরও খুজে পাইনি। দুইটি গরু প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গরু দুটির কোন খোজ পাওয়া যায়নি।

গরুর মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি লোন তুলে একটি গরু কিনেছিলাম এখনও লোন পরিশোধ করিতে পারিনি।এর মধ্য গরুটি চুরি হয়ে গেল।আমর খুব ক্ষতি হয়ে গেল।




ঝিনাইদহে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

ঝিনাইদহে মাদক মামলায় কামরুল ইসলাম নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ নাজিমুদ্দৌলা এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামী কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৭ জুলাই তারিখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামে কামরুল ইসলামের বাড়িতে ফেন্সিডিল ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কামরুল পালিয়ে গেলেও বাড়িতে তল্লাশী করে ৬০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। পরে ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে মাদক দ্রব্য আইনে কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে।

পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আসামী কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। দীর্ঘবিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আসামীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাসহ যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।




অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঝিনাইদহের বাঁওড় পাড়ের জেলে সম্প্রদায়

‘জাল যার জলা তার’ নীতি প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় বলুহরসহ প্রায় সকল বাওড়েই প্রবেশাধিকার হারিয়েছেন বাওড়পাড়ের জেলেরা। ক্ষমতার অংক আর ইজারা প্রথার প্রবল প্রতাপে ছয়টি বাওড়ের প্রায় ২০/২৫ হাজার মানুষ আজ দিশেহারা। দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে একতরফাভাবে বলুহর বাওড় নিজেদের মতো ভোগদখল করে সরকারি রাজস্ব লোকসান করছে দখলকারীরা।

দখলকারীদের দুর্নীতি ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় ভূমি মন্ত্রণালয় বলুহর বাওড়টি মৎস্য বিভাগের কাছে নবায়ন না করে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ২০২২ সালের ২০ মার্চ। চল্লিশ বছরের প্রশ্নহীন বঞ্চনাকে প্রশ্ন করে আবারও জেগেছে বলুহর বাওড় পাড়ের মানুষ। ঠিক যেমন উপনিবেশকতার জুলুমের বিরুদ্ধে জেগেছিল নীলবিদ্রোহের সময়।

প্রভাবশালীদের ইজারা বাতিল করে বাওড়ে নিজেদের অধিকারের দাবিতে সংগঠিত হয়েছেন বঞ্চিত জেলেরা। কিন্তু কেউ জেলেদের কথা শুনছে না। জনপ্রতিনিধি থেকে নাগরিক সমাজ কিংবা গণমাধ্যম সকলেই এক্ষেত্রে বিস্ময়করভাবে নিশ্চুপ।

ক্ষুধা আর ক্ষোভ নিয়ে বাওড় থেকে জেলেরা পরিবার পরিজন নিয়ে গত ২৮ মে ঢাকায় গিয়েছিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তপ্ত রাস্তায় যেন ভিড় জমেছে একটুকরো দলিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’। খসখসে শিশু, উদভ্রান্ত তরুণ, ক্ষুব্ধ বিধবা কিংবা বিবর্ণ পৌঢ়দের ছায়াগুলোও প্রখর তাপে চুরমার হয়ে যাচ্ছিল। যেন ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ কিংবা ‘তিস্তাপাড়ের বৃত্তান্ত’ থেকে উঠে আসা শত বঞ্চনার দাগ নিয়ে দাঁড়ানো খন্ডবিখন্ড মানুষেরা।

কিন্ত এখনো সেই সমস্যার সমাধান মেলেনি মানুষগুলো আজ পেশা হারিয়ে দিকবিদিক জ্ঞান শুন্য তাই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঝিনাইদহ ও যশোহর অঞ্চলের ৬ বাঁওড় পাড়ের জেলে সম্প্রদায়ের মানুষগুলো। বাঁওড়ই ছিল তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। সেটা গত বছরের এপ্রিল মাসে ভূমি মন্ত্রানালয় কেড়ে নিয়ে ইজারা দিয়েছে। যে কারণে বাঁওড় পাড়ের প্রায় ২০/ ২৫ হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ইজারাদাররা বাঁওড় গুলিতে কৃত্রিম উপায়ে মাছ পোন উৎপাদন ও সংরক্ষণ করায় দেশী জাতীয় মাছ বিলিনের পথে।

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের বলুহর ও জয়দিয়া, মহেশপুরের কাঠগড়া ও ফতেপুর, কালীগঞ্জের মর্জাদ ও যশোরের ১টিসহ মোট ছয়টি বাঁওড়ে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ানে ভূমি মন্ত্রাণালয়ে সাথে মৎস্য অধিদপ্তরের চুক্তির মাধ্যমে ১৯৭৯ সাল থেকে বিল বাঁওড় মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে মাছ চাষ শুরু হয়। এখানে সুবিধা ভোগীরা ছিলেন বাঁওড় পাড়ের জেলেরা।

১৯৮৬ সাল থেকে বাঁওড়টি রাজস্ব খাতে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে আরো কয়েক দফা চুক্তি বৃদ্ধি করে ভূমি মন্ত্রাণালয়। এখানে উৎপাদিত মাছের ৩৫ শতাংশ পেত মৎস্য অধিদপ্তর, ভূমি মন্ত্রাণালয় ২৫ শতাংশ এবং জেলে সম্প্রদায় পেত ৪০ শতাংশ। প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত রানি মাছের ১শত ভাগই পেত বাঁওড় পাড়ের জেলেরা। সর্বশেষ ভূমি মন্ত্রাণালয়ের সাথে মৎস্য মন্ত্রাণালয়ে চুক্তির মেয়াদ ছিল এপ্রিল ২০২৩ সাল পর্যন্ত। পরে আর ভূমি মন্ত্রাণালয় চুক্তিবৃদ্ধি না করে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ভূমি মন্ত্রাণালয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই বাঁওড় গুলোর ইজারা প্রক্রিয়া শুরু করে।

এপ্রিলে ইজারাদারদের বাঁওড় বুঝিয়ে দেয়া হয়। জলমহল ইজারা প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে নিবন্ধনকৃত ও প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির আবেদনের কথা বলা হলেও এখানে একাধিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি’র বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা নিয়ে মৎস্যজীবী নন এমন ব্যক্তিদের বাঁওড় ইজারা পাইয়ে দেয়ার গুরুতর অভিযোগ করেছে বাঁওড় পাড়ের জেলেরা।

বাঁওড় পাড়ের জেলেরা কেমন আছে জানতে সরেজমিনে কোটচাঁদপুর জয়দিয়া বাঁওড় পাড়ে গেলে দেখা যায় বাঁওড়ের ঘাটে প্রচুর জেলে ও তাদের পরিবারের লোকজন দাড়িয়ে বাঁওড়ের দিকে চেয়ে আছে। এ সময় আমাদের দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। জয়দিয়া বাঁওড় ও মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি’র সভাপতি শীতল কুমার হালদার বলেন-আর সংসার টানতে পারছি না। বাঁওড় নেই আমরা পথে বসে গেছি। আমার বাবা ৪০ বছরের অধিক সময় ধরে এই বাঁওড় থেকে মাছ ধরে সংসার চালিয়ে আমাদেরকে বড় করেছেন। বাবা তিন বছর আগে গত হয়েছেন। আমরা বাঁওড় পাড়ের জেলেরা এই কাজই শিখে বাঁওড়ের মাছ ধরে সংসার চালিয়ে আসছিলাম। পরিবারের ৬ সদস্যের মধ্যে ছেলে কলেজে পড়ে, মেয়ে পড়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। বাঁওড় পাড়ের জেলেরা আগে বাঁওড়ের উৎপাদিত বড় মাছের ৪০ শতাংশসহ প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত বাঁওড়ের রানি মাছ ধরে সম্পূর্ণ নিজেরা নিত। এখন সে রানি মাছ গুলি ধরা তো দুরে থাক ইজারাদাররা আমাদেরকে বাঁওড়েও নামতে দেয় না। কি করবো ঝুঝে উঠতে পারছিনা। এখন দেখছি আমাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় নেই। বলুহর বাঁওড় ও মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি গোপাল হালদার বলেন- আমরা বাঁওড় পাড়ের মৎসজীবিরা কর্মহীন হয়ে গেছি। বাবা-দাদারা এ বাঁওড় থেকে মাছ ধরেই সংসারের খরচ যোগাতেন। আমরাও একই পেশাতে ছিলাম। বাঁওড় না থাকায় একেবাই পথে বসে গেছি। তিনি বলেন-একই অবস্থা প্রায় সব বাঁওড় পাড়ের জেলে সম্প্রদায়ের। ফতেপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি শান্তি হালদার বলেন-আমরা ধারদেনা করে বাওড়টি ইজারা নিয়েছি। মাছ ছেড়েছি, সামনে কপালে কি আছে বলতে পারছিনা।

জয়দিয়া বাঁওড়ের সাবেক মৎস্যজীবীদের দলপতি নিত্য হালদার বলেন-বাঁওড় পূর্বের ন্যায় ফিরে পেতে ৫ বাঁওড় পাড়ের মৎস্যজীবীদের পক্ষ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি হাইকোর্টে চুড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় আছে। তারপরও ইজারাদাররা বাঁওড় পাড়ের জেলেদের মারধোর করে জোরপূর্বক মাছ ধরছেন।

যশোহর বিল বাঁওড় মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) মোঃ আলফাজ উদ্দীন শেখ বলেন-এ বাঁওড় গুলি আমাদের আওতায় ৪২ বছর ছিলো সে সময় বাঁওড় পাড়ের জেলেদের আত্মসামাজিক মান উন্নয়নে কাজ করে গেছে এ প্রকল্পটি। পাশাপাশি পরিকল্পনা অনুযায়ী বাঁওড়ের বড় মাছের চাষ ও দেশীয় ছোট মাছের প্রজনন ঘটিয়ে নানা প্রজাতির মাছের চাহিদা মিটাতে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সক্ষম হয়েছে প্রকল্পটি। বাঁওড়টি রাখার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি কিন্ত পারিনি। বাঁওড় গুলি ভূমি মন্ত্রালয় ইজারা দিয়েছেন। যে কারণে বাওড় পাড়ের জেলেরা তো বেকার হয়েছে পাশাপাশি বাঁওড় সংশ্লিষ্ট ১৩০ থেকে ১৪০ জন দৈনিক মুজুরী ভিত্তিক কর্মিও বেকার হয়ে গেছে। বর্তমানে এ বাঁওড় কেন্দ্রিক আমাদের আর কিছুই করার নেই।

বলুহর বাঁওড় ম্যানেজার সিদ্দিকুর রহমান বলেন-আমরা বাঁওড় গুলিতে মাছ চাষ করতাম মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সাইজ ও সংখ্যা বিবেচনা করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে। মাছ ধরার সময়ও নির্দ্ধারণ করা থাকতো, ছোট মাছ ধরা হতোনা। একই সাথে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করার জন্য তথা বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণ ও প্রজনন বৃদ্ধির জন্য অভয়াশ্রম করা হতো। সেই সাথে প্রজনন কালিন সময় মাছ ধরা বন্ধ রাখা হত ফলে এক দিকে বিপন্ন প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেত অন্যদিকে জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষিত হতো। বর্তমান ইজারাদারা এ বিষয়ে যত্নশীল না হয়ে অধিক মুনাফার জন্য কৃত্তিম উপায়ে মাছ চাষ করছেন। যখন তখন মাছ ছাড়ছেন এবং ধরছেন। যে কারণে দেশীয় মাছ ও জীববৈচিত্র্য বাঁওড় গুলি থেকে একেবারে ধ্বংস হতে বসেছে।

জানা গেছে-কোটচাঁদপুর বলুহর বাঁওড় সংলগ্ন সরকারী মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য বাঁওড় গুলির আশপাশে আবাদী জমির পানি স্যালো পাম্পের মাধ্যমে বাঁওড় থেকে নেয়া হত। ইজারাদাররা এই পানি বাঁওড় থেকে নেয়া বন্ধ করতে বিভিন্ন ফন্দি ফিকিরি করছেন। একাধিক আবাদী জমির মালিকরা আশংকা প্রকাশ করে বলছেন- বাঁওড় থেকে পানি নেয়া বন্ধ করে দিলে একদিকে যেমন শত শত একর জমি চাষ বাঁধা গ্রস্থ্য হবে। অন্যদিকে সরকারী মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্সও পড়বে পানি সংকটে।

বলুহর বাওড় ইজারা পাওয়া কোটচাঁদপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি শীতল হালদার বলেন-বাওড় থেকে পানি উত্তোলন কেউ যেন না করতে পারে সে জন্য ইতি মধ্যেই জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেছি। এ ছাড়াও তিনি বলেন-আমার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি কাউকে ইজারা পাইয়ে দেয় নাই বা আমরা বাঁওড় সাব-লিজও দিই নাই।

কোটচাঁপুর বলুহর বাওড় পাড়ের কৃষক রেজাউল ইসলাম জানান, বাওড়ের ধারেই আমার সাড়ে ৪ বিঘা জমি আমি শুকনা মৌসুমে স্যালো মেশিন দিয়ে বাওড়ের পানি দিয়ে চাষ-আবাদ করে আসছি। কিন্তু বর্তমানে ইজারাদাররা পানি নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে করে আমরা আর্থিক দিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।

বাওড় পাড়ের আরেক কৃষক ফারুক হোসেন জানান, আমার বাপ দাদারা এই বাওড়ের পানি দিয়ে চাষ-আবাদ করে আসছি কিন্তু ইজারা দেওয়ার পর ইজারাদারের লোকজন বাওড় থেকে পানি নিতে দিচ্ছে না। আমাদের জমিতে বরিংও করা নেই। আমরা এই বাওড়ের পানি দিয়েই জমিতে সেচ দিয়ে শীতকালীন সবজি সহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে আসছি। এখন কি করবো বুঝে উঠতে পারিছিনা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম বলেন, ভূমি মন্ত্রনালয় এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্মাক্ষর হয়েছিল। সেই সমঝোতা স্মারক বলেই এই বাওড়গুলো পরিচালনা করা হতো। এরপর বাংলা ১৪২৯ সালে এই স্মারকের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ভূমি মন্ত্রনালয় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে এই আর বাড়ানো হবে না। ভূমি মন্ত্রনালয়ের এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করেন। ভূমি মন্ত্রনালয়ের এই প্রক্রিয়া শেষে যারা দরপত্র অনুযায়ী বাওড় ইজারা নিয়েছেন ভূমি মন্ত্রনালয় নির্দেশে আমরা তাদের হাতে দরপত্র বুঝিয়ে দিয়েছি। এর প্রেক্ষিতে যারা এতোদিন এই বাওড়ের সূবিধা ভোগ করে আসছিল তারা এটা থেকে বঞ্চিত হলো বলে দাবি করছেন। যারা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলো তারা একটি স্মারলিপি দিয়েছেন। সেই স্মারক লিপিতে তাদের হতাশা এবং কষ্টের কথা উল্লেখ করেছেন আমি সেই স্মারক লিপি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে যে সিদ্ধান দেবেন আমরা সেই আলোকে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।




মুজিবনগরে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ

তীব্র শীতে যখন মানুষ জর্জরিত তখন অসহায় খেটে খাওয়া মানুষদের শীত নিরাবরণের জন্য মুজিবনগরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদ।

আজ সোমবার বেলা ১২ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে কম্বল বিতরণ করা হয়। শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেনের সভাপতিত্বে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজগর আলী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সমস্ত শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

এ সময় আরো উপস্হিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাশরুবা আলম সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বাগোয়ান ইউনিয়নের নিম্ন বিত্ত মানুষের মাঝে ৪৫০ টি কম্বল বিতরণ করা হয়। তীব্র শীতে নিবারণের জন্য বস্ত্র পেয়ে খুশি খেটে খাওয়া মানুষেরা। উল্লেখ্য গেল কয়েকদিন ধরে মৃদু শৈত্য প্রবাহের কবলে পড়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন বধাগ্রস্থ হচ্চে সাধারন মানুষের।




শীতে হাতের যত্নআত্তি

শীত এসেছে। অনেকের জন্যই গরম পানি করে রান্নাঘরের বাসন-কোসন ধোয়ার সুযোগ নেই। তবে রান্নাঘরে থাকলেও হাতের যত্ন নিতে হবে। কারণ হাতে ঠাণ্ডা পানি লাগলে শুধু ত্বকের সমস্যাই হয় না, সর্দি-কাশি লাগার প্রবণতাও বাড়ে।

শীতের সময় পুরু রাবারের গ্লাভস পরে কাজ করুন। আপনি হয়তো হাতের মতো এত ভালো গ্রিপ পাবেন না। কিন্তু আপনার ঠাণ্ডায় বড় সমস্যা হবে না। শীতে পানি দিয়ে প্রচুর কাজ করলেও শরীর শুষ্ক লাগে। তাই প্রচুর পানি পান করুন। শীতে প্রচুর পানি অনেকেই পান করতে চান না। পানি পান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। শরীর থেকে শ্লেষ্মা বেরিয়ে যাবে। আর পানিতে কাজ করলেও হাতের হাইড্রেশনের সমস্যা হবে না।

শীতে কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। ডিটারজেন্টে ক্ষারের পরিমাণ বেশি। তাই হাতের সমস্যা হয়। হালকা ধাতের সাবান ব্যবহার করতে পারলে ভালো।

রাতে ঘুমানোর আগে হাতে স্ক্রাবিং করা মাস্ট। তাহলে হাতের ত্বকে মরা চামড়ার আস্তরণ সরে যাবে। আজকাল অনেকেই হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করেন। হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহারের সময় দেখে নিন এতে শিয়া বাটার, গ্লিসারিন বা হাইলিউরনিক অ্যাসিড রয়েছে কী না। এগুলো আপনার ত্বকে অতিরিক্ত আর্দ্রতা দিতে সাহায্য করে।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী তোফাজ্জেল হোসেন

দামুড়হুদায় বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন উপজেলার জয়রামপুর মালিতা পাড়ার মৃত মূসা করিমের ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন (৫০)। তাঁর মাসিক আয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। অভাব এখন আর তাঁর দুয়ারে হানা দিতে পারে না।

গত রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জয়রামপুরের কুমামীদহ মাঠে তোফাজ্জেল হোসেনের ফুলের বাগান। সেখানে তোফাজ্জেল হোসেন ফুলের বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ২০০০ সালে এই ফুলের চাষ শুরু করেন। প্রথমে তিনি ইটের ভাটায় কাজ করতেন যা হাজিরা পেতেন তা দিয়ে সংসার ঠিক মতো চলতো না, পরে বড় ভাই মোজাম্মেল হকের ফুল চাষে সাফল্য দেখে তিনি ফুল চাষের পরিকল্পনা নেন।

২০০০ সালে ১৮ শতক জমিতে গোলাপ ফুলের চারা লাগান। এতে খরচ হয় প্রায় তিন হাজার টাকা। পাঁচ মাস পর পাঁচ হাজার টাকার গোলাপ বিক্রি করেন। এতে ফুল চাষে উৎসাহ বেড়ে যায়। ওই বছরেই তিনি অবশিষ্ট ৩ বিঘা জমিতে গাদা ফুলের চাষ করেন। ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় তিনি ফুল চাষের পরিমাণ বাড়াতে থাকেন। এর মধ্যে ৩৩ শতক গোলাপ,১৮ শতক গাঁদাফুল, ১৮ শতক কামিনী, ১৮ শতক চন্দ্রমল্লিকা, ১৮ শতক রজনী গন্ধা। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীত মৌসুমে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। দামও তুলনামূলক বেশি থাকে। তবে সারা বছর গাঁদা ও গোলাপ বিক্রি করছেন।

তোফাজ্জেল হোসেন জানান, বর্তমানে তিনি মোট ৯৯ শতক জমিতে নানা জাতের ফুলের চাষ করছেন। খরচ বাদে ফুল বিক্রি করে তাঁর মাসিক আয় গড়ে ১৫ হাজার টাকা। এই আয় দিয়ে ৫ সদস্যের সংসার চলছে। ফুল চাষের আয় দিয়ে নির্মাণ করেছেন ২৬ হাত দৈর্ঘ্য ও ৯ হাত প্রস্থের আধা পাকা একটি ঘর। এ ছাড়া

ছয় লক্ষ টাকা খরচ করে এক ছেলের মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন বাগানে পাঁচজন শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তোফাজ্জেল হোসেন চুয়াডাঙ্গা ও ঢাকায় ফুল সরবরাহ করছেন। তাঁর সরবরাহ করা ফুল বিক্রি করে স্থানীয় ফুল ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, ‘বিভিন্ন জাতীয় দিবসের আগে ফুল সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই আগামী বছর জমি বর্গা নিয়ে আরও তিন বিঘা জমিতে ফুল চাষের উদ্যোগ নিয়েছি।




আবহাওয়া পূর্বাভাস সেবা থেকে বঞ্চিত মেহেরপুরবাসী

মেহেরপুর জেলা দুর্যোগপ্রবণ ও কৃষিপ্রধান একটি অঞ্চল। এ জেলায় কোন আবহাওয়া অফিস না থাকাতে, পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার আবহাওয়া অফিস থেকে এ জেলার আবহাওয়া সংক্রান্ত দৈনিক তথ্য সংগ্রহ করতে হয়।অনেক সময় দৈনন্দিন তথ্য উপাত্ত সঠিকভাবে পাওয়া যায় না। তাই আবহাওয়া সংক্রান্ত নিখুত তথ্য উৎপাত্র সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য মেহেরপুরে একটি ওয়েদার ডিসিসন সাপোর্ট সিস্টেম স্থাপন করা হয়। ২০২২ সালে তৎকালীন কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিস্টেমটির কন্ট্রোল রুম উদ্বোধন করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখান থেকে আবহাওয়ার কোন তথ্য উপাত্ত না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন অনেকে। সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক।

অত্যাধুনিক ওয়েদার ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম স্থাপনকালে বলা হয়েছিলো প্রাত্যহিক জেলার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড সহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ সম্পর্কে আগাম তথ্য দেবে যন্ত্রটি। ফলে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি কমবে। কৃষক অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে। এছাড়াও সিস্টেমটির সাহায্যে মেহেরপুরে বজ্রপাত, ঝড়, ঘুর্ণিঝড়, কালবৈশাখী, ভুমিকম্প, প্রাকৃতিক ভূগর্ভস্থ পানি দূষণসহসহ বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাসসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে।

২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর কন্ট্রোলরুমের উদ্বোধনকালে মেহেরপুরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মনসুর আলম খান বলেছিলেন , অত্যাধুনিক এই সিস্টেমটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকলেও বাংলাদেশের মধ্যে মেহেরপুরই হচ্ছে প্রথম জেলা, যেখানে এই সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। মেহেরপুর জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকতে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর ঐকান্তিক চেষ্টার ফসল হিসেবে জনস্বার্থে ডিসি অফিসে কন্ট্রোল রুমটি স্থাপন করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে লোকবল না দেয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের দুইজন লোকবল দিয়ে সিস্টেমটির
কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ‘

তবে এই ওয়েদার ডিসিসন সাপোর্ট সিস্টেম বাংলাদেশের মধ্যে মেহেরপুর জেলাতে পাইলোট প্রকল্প হিসাবে স্থাপন করা হলেও এটি থেকে দৈনন্দিন সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও জানা সম্ভব হয় না।

দৈনিক লাখোকন্ঠ ও শিক্ষার্বাতার জেলা প্রতিনিধি এস এম রফিকুল আলম বলেন, ‘ওয়েদার ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেমটি কি সেইটা আমি নিজে জানি না। প্রচারপ্রচারণার অভাব আছে। যন্ত্রটি কৃষক ও সাধারণ মানুষের কিভাবে উপকারে আসতে পারে এনিয়ে ব্যাপক প্রচারণার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয়। ‘

মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি তোজাম্মেল আজম বলেন, ‘এত অত্যাধুনিক ও ব্যয়বহুল একটি যন্ত্র মেহেরপুরে থাকার পরও আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্যের জন্য আমাদের পার্শ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় যোগাযোগ করতে হয়। এটা খুবই দুঃখজনক। আশা করছি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে শীঘ্রই ওয়েদার ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেমের পূর্ণ সুবিধা পাবে মেহেরপুরবাসী।’

সিস্টেমটির স্থাপন কাল থেকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত সহকারি কমিশনার রিফাত জাহান বলেন, ‘আমরা লোকবল চেয়ে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি।কিন্তু এখনো কোন লোকবল না পাওয়াতে সিস্টেমটির কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। ‘

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান বলেন, ‘ওয়েদার ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেমটি একটি প্রকল্পের আওতায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাময়িকভাবে স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পরবর্তীতে কোন সিদ্ধান্ত ও জনবল দেওয়া হয়নি। এজন্যই মানুষ কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।




চাকরি দিবে ট্রাস্ট ব্যাংক

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং রিয়েল এস্টেট ডিপার্টমেন্টে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার’ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার

বিভাগ: ইঞ্জিনিয়ারিং এবং রিয়েল এস্টেট ডিপার্টমেন্ট

পদসংখ্যা: ১টি

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ডিপ্লোমা ইন সিভিল

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ২ থেকে ৫ বছর

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক

বয়স: ২৫ থেকে ৪৫ বছর

কর্মস্থল: দেশের যেকোনো স্থান

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে আকর্ষণীয় বেতন

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন

আবেদনের শেষ সময়: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪




দামুড়হুদায় আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১০ টার সময় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় মাসিক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস, উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বিপ্লব কুমার সাহা, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবী, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, নাটুদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি, কুড়ালগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, বিভিন্ন ইউনিটের বিজিবি কোম্পানি কমান্ড সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আইনশৃঙ্খলা মাসিক সভায় প্রধান অতিথি দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু প্রথমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন উপহার দেওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন মাদক ইভটিজিং চোরাকারবার বাল্যবিবাহ এসব প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করলে আমরা ২০৪১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করতে পারব ইনশাল্লাহ। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে, দেশের মানুষ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে।




দুই বাংলায় একই দিনে মোশাররফ করিমের ‘হুব্বা’

জনপ্রিয় মোশাররফ করিম দক্ষ অভিনেতা হিসেবে ইতিমধ্যে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে কলকাতাও তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। সেখানেও চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। আগামী ১৯ জানুয়ারি দুই বাংলায় মুক্তি পাচ্ছে ব্রাত্য বসু পরিচালিত এ অভিনেতার সিনেমা ‘হুব্বা’।

সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, সিনেমাটি বাংলাদেশে আমদানি করছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশে মুক্তির জন্য অনুমতি পেয়েছে ‘হুব্বা’। এক ফেসবুক পোস্টে তারা জানায়, ১৯ জানুয়ারি আপনারা দেখবেন ‘হুব্বা’, আপনার নিকটস্থ প্রেক্ষাগৃহে।

জাজের কর্ণধার আব্দুল আজিজ বলেন, সিনেমাটি মুক্তির জন্য আমরা অনুমতি পেয়েছি। বাংলাদেশে ‘হুব্বা’ প্রদর্শনীতে আর কোনো বাধা নেই। আশা করছি, ক্রাইম থ্রিলারভিত্তিক সিনেমাটি এ দেশের দর্শককে মুগ্ধ করবে।

পশ্চিমবঙ্গের কুখ্যাত গ্যাংস্টার হুব্বা শ্যামলের জীবনের ঘটনাবলি নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘হুব্বা’। ‘হুগলির দাউদ ইব্রাহিম’ নামে পরিচিত ছিলেন এই ব্যক্তি। খুন, মারামারি, মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধে তার দাপট ছিল। অসংখ্য মামলার এই আসামি একপর্যায়ে নির্বাচনেও দাঁড়ান!

সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। এতে পুলিশের ভূমিকায় দেখা যাবে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে।

এ ছাড়াও রয়েছেন পৌলমী বসু, শ্রাবণী দাস, সৌমিক হালদার প্রমুখ। ছবিটি প্রযোজনা করেছে ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশনস।

সূত্র: ইত্তেফাক