মেহেরপুরে আদালত ভবনের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে স্বামী-স্ত্রী আহত
স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে কথাকাটা ও ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনতলার বারান্দা থেকে স্বামী স্ত্রী দুজনেই নিচে পড়ে গিয়ে গুরতর জখম হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তৃতীয় তলার বারান্দায়।
স্বামী মামনুর রশিদ (৩৫) মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। স্ত্রী সীমা আক্তার (৩০) একই উপজেলার রামদেবপুর গ্রামের মালিপাড়ার ফরিদুল ইসলামের মেয়ে।
প্রত্যাক্ষর্দীরা বলেন, একজন কালো বোরখা পরা নারী ও আরেকজন মেরুন রঙের জ্যাকেট পরিহিত পুরুষ আদালত ভবনে তিনতলার বারান্দায় দাড়িয়ে কথা বলছিলো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয় এবং একে অপরের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ধস্তাধস্তি শুরু করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আদালতের বারান্দার রেলিং থেকে দুজনেই নিচে পড়ে যায়। আশেপাশের লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের একটি টিম তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। তারা উভয়েই বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিমা আক্তারের আইনজীবী কামরুল হাসান বলেন, ‘মামুন ও শিমার বিয়ে হয় ২০১১ সালে। এক পর্যায়ে পারিবারিক বিবাদের সূত্র ধরে দু’পক্ষই আদালতে মামলা করে। সিমা খাতুন নারী নির্যাতন, যৌতুকসহ আরো দুটি মামলা করেন মামুন ও মামুনের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের জুলাইমাসে আদালতে মামলা রুজু করা হয়। এর পর আদালত ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করে মামুনুর রশিদকে। আজকেও সেই জরিমানার ২০ হাজার টাকার কিস্তি দিতে এসেছিলো মামুন।’
মামুনের আইনজীবী এডভোকেট রাসেলও একই কথা বলেন।
কোর্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর মানষ রঞ্জন দাস বলেন, ‘একটি সি আর মামলার বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নিতে মামুন ও সিমা আদালতে এসেছিল। কথা কাটাকাটি থেকে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে উভয় তিন তলা থেকে নিচে পড়ে যান। থানা পুলিশ বিষয়টি দেখবে। ‘
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক নাজমুস সাকিব বলেন, দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি টেস্ট করতে দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট দেখার পর বিস্তারিত বলা যাবে।