মেহেরপুরে আদালত ভবনের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে স্বামী-স্ত্রী আহত

স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে কথাকাটা ও ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনতলার বারান্দা থেকে স্বামী স্ত্রী দুজনেই নিচে পড়ে গিয়ে গুরতর জখম হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তৃতীয় তলার বারান্দায়।

স্বামী মামনুর রশিদ (৩৫) মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। স্ত্রী সীমা আক্তার (৩০) একই উপজেলার রামদেবপুর গ্রামের মালিপাড়ার ফরিদুল ইসলামের মেয়ে।

প্রত্যাক্ষর্দীরা বলেন, একজন কালো বোরখা পরা নারী ও আরেকজন মেরুন রঙের জ্যাকেট পরিহিত পুরুষ আদালত ভবনে তিনতলার বারান্দায় দাড়িয়ে কথা বলছিলো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয় এবং একে অপরের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ধস্তাধস্তি শুরু করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আদালতের বারান্দার রেলিং থেকে দুজনেই নিচে পড়ে যায়। আশেপাশের লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের একটি টিম তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। তারা উভয়েই বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সিমা আক্তারের আইনজীবী কামরুল হাসান বলেন, ‘মামুন ও শিমার বিয়ে হয় ২০১১ সালে। এক পর্যায়ে পারিবারিক বিবাদের সূত্র ধরে দু’পক্ষই আদালতে মামলা করে। সিমা খাতুন নারী নির্যাতন, যৌতুকসহ আরো দুটি মামলা করেন মামুন ও মামুনের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের জুলাইমাসে আদালতে মামলা রুজু করা হয়। এর পর আদালত ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করে মামুনুর রশিদকে। আজকেও সেই জরিমানার ২০ হাজার টাকার কিস্তি দিতে এসেছিলো মামুন।’

মামুনের আইনজীবী এডভোকেট রাসেলও একই কথা বলেন।

কোর্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর মানষ রঞ্জন দাস বলেন, ‘একটি সি আর মামলার বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নিতে মামুন ও সিমা আদালতে এসেছিল। কথা কাটাকাটি থেকে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে উভয় তিন তলা থেকে নিচে পড়ে যান। থানা পুলিশ বিষয়টি দেখবে। ‘

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক নাজমুস সাকিব বলেন, দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি টেস্ট করতে দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট দেখার পর বিস্তারিত বলা যাবে।




ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে ফিঞ্চ ফিরলেন শূন্য হাতে

প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কাছে নিজের প্রথম এবং শেষ ম্যাচটা অন্য সব ম্যাচের চেয়ে বিশেষ কিছু। তবে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটা হয়তো ভুলে যেতে চাইবেন অস্ট্রেলিয়া দলের সাবেক অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। কেননা নিজের পেশাদার ক্রিকেটের শেষ ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে।

বিগ ব্যাশে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে শনিবার রাতে নিজের পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে ওপেনিং করতে নামেন এই অজি ক্রিকেটার। তিন বল খেলে নিজের নামের পাশে কোনো রান যোগ করার আগে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলে থাকাকালীন সময়ে আরেক সতীর্থ গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। এর মধ্যে দিয়ে পেশাদার ক্রিকেটের ইতি টানেন এই অজি ক্রিকেটার।

ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ শূন্য রানে ফিরলেও টি-টোয়েন্টি মনে রাখার মতো একটি ক্যারিয়ার গড়েন ফিঞ্চ। ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ৩৮৭ ম্যাচ খেলে ৩৩.৬০ গড় ও ১৩৮.১৬ স্ট্রাইকরেটে করেন ১১ হাজার ৪৫৮ রান। ৭৭ ফিফটিসহ সেঞ্চুরি করেছেন ৮টি। তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল উন্ডিজ সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার ক্রিস গেইল (২২) এবং পাকিস্তানরে ক্রিকেটার বাবর আজমের (১০)। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সপ্তম স্থানে অবস্থান তার।




উইন্ডোজে থাকছে না ওয়ার্ডপ্যাড

প্রায় ৩০ বছর আগে উইন্ডোজ ৯৫-এ ওয়ার্ডপ্যাড ছিল। অনেকটা মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মতোই কিন্তু আসলে নোটবুক অ্যাপটি এতদিন উইন্ডোজে টিকে যাওয়ার বিষয়টি অদ্ভুতই বটে। উইন্ডোজ ইলেভেনে আর এটি অটোম্যাটিক্যালি থাকবে না। সম্প্রতি ক্যানারি চ্যানেলে ২৬০২০ উইন্ডোজ ১১ ইনসাইডার প্রিভিউতে এই নতুন সংস্কার হয়েছে।

ওয়ার্ডপ্যাড বহুদিন ধরেই পূর্ণ ওয়ার্ড ও নোটপ্যাডের মাঝামাঝি সংস্করণ হিসেবে ছিল। ওয়ার্ডে বিভিন্ন ধরনের টেক্সট ফাইল করা গেলেও নোটপ্যাড প্লেইন টেক্সট ফাইল তৈরি করে। মাইক্রোসফটের কাছে অপশন থাকায় ওয়ার্ডপ্যাড ডেভেলপ করার মধ্যে কোনো ধরনের আগ্রহ দেখায়নি। মাইক্রোসফটের ভাবনা এখানে স্পষ্ট। সোজাসাপ্টা ফাইলের জন্য নোটপ্যাড। আর অ্যাডভান্স কিছু চাইলে তো অফিস স্যুট আছেই। মাঝখানে থেকেই বাদ পড়লো ওয়ার্ডপ্যাড।

সূত্র: ইনডিয়ান এক্সপ্রেস




র‍্যাবের অভিযানে গাংনীতে মাদক সহ আটক-১

মাদক বিরোধী এক অভিযানে মাদক ও মাদক বিক্রির টাকাসহ মোঃ সিদ্দিক আলী (৬০) নামের এক মাদক ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব। আটককৃত মোঃ সিদ্দিক আলী (৬০) গাংনী উপজেলার খাসমহল গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে। আজ সোমবার এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব সিপিসি ১২ গাংনী ক্যাম্পের কমান্ডার মোঃ মনিরুজ্জামান।

প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে, ১৪ জানুয়ারী রাত সাড়ে ৬ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় সিপিসি-মেহেরপুর ক্যাম্পের একটি দল মেহেরপুর জেলার গাংনী থানাধীন ১ নম্বর কাথুলি ইউনিয়নের খাসমহলে মোঃ সিদ্দিক আলী এর চায়ের দোকানের সামনে ৩ গ্রাম হেরোইনসহ সিদ্দিক আলীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে মাদক বিক্রয়ের নগদ ১৬ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

মো: মনিরুজ্জামান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ সিদ্দিক আলী মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য গাংনী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।




কোটচাঁদপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরি করতে গিয়ে হাতে-নাতে ধরা ২

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরি করতে গিয়ে হাতে- নাতে ধরা পড়েছেন,নানী- নাতনী। আজ রবিবার সকালে ধরা পড়ার তাদেরকে পুলিশে সৌপর্দ করেছেন,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কতৃপক্ষ।

জানা যায়, রবিবার সকালে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন সখিনা বেগম (৪২) আর সোনিয়া খাতুন (২০)। সম্পর্কে নানী- নাতনী টিকিট কেটে লাইনেও দাড়ান তারা। এরপর সুযোগ বুঝে লাইনে দাড়ানো চিকিৎসা নিতে আসা রজিনার ব্যাগে হাত দেন টাকা চুরি করতে। এ সময় হাতে- নাতে ধরে ফেলেন নাতিন সোনিয়াকে। পরে তাঁর কথা মত আটকানো হয় নানী সখিনা বেগমকেও।

পরে খবর দেয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর থানায় নিয়ে যান।

আটকৃত হলেন,যশোর রুপদিয়া এলাকার শহীদ মুন্সীর স্ত্রী সখিনা বেগম (৪২),ও ফরিদপুর বদুরপুরের জিয়ারুলের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন (২০)। তারা সম্পর্কে নানী- নাতনী বলে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সুত্রে।

বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ বলেন,যার মালামাল খোয়া গেছে, সে বাদী হবে। এর আগেও চুরি হয়েছে, আমরা তো জিডি করছি।

তিনি বলেন আমরা কতগুলো চুরির বাদি হব। এটা তো প্রতিনিয়ত ৩৬৫ দিনই চুরি হচ্ছে। আমরা সবগুলোর বাদি হয়ে সারা মাস ধরে আদালতে হাজিরা দিয়ে বেড়াই আর কি। তিনি আরো বলেন, এটার বাদি তো পুলিশই হতে পারে।

কোটচাঁদপুর থানার ডিউটি উপপরিদর্শক( এসআই) নাজিবুল হক বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে এসেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।




চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে আজ রবিবার সকাল দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাসিক সভায় মানব পাচার প্রতিরোধ, চোরাচালান নিরোধ, চোরাচালান মামলা সমূহ নিস্পত্তি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে মনিটরিং সেলের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কার্যক্রম পর্যালোচনা, মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান নিরোধ, অনিষ্পন্ন চোরাচালান মামলার নিষ্পত্তি ত্বরান্বিতকরণ, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ, মানব পাচার প্রতিরোধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা, সড়কের শৃঙ্খলা, ফুটপাত দখলমুক্ত, দ্রব্যমূল্য সহনশীল, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার উপর বিস্তারিত আলোচনা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে জেলার আইন-শৃঙ্খলা ও সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় জেলা প্রশাসন জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে ধন্যবাদ জানান।

উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম-সেবা, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সহ চার উপজেলার নির্বাহী অফিসার বৃন্দ সহ চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গায় শীতবস্ত্র বিতরণ

আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ও আলাউদ্দিন আহমেদ পাঠাগারের উদ্যোগে দুস্থ শীতার্থ মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে আলাউদ্দিন আহমেদ পাঠাগারের শাখা কার্যালয়ে এ শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস।

আলাউদ্দিন আহমেদ পাঠাগারের পরিচালক কবি গোলাম রহমান চৌধুরির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার,উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা এনামুল হক,আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ওমর আলী মাষ্টার,সাধারণ সম্পাদক কবি,সাহিত্যিক নাট্যকার হামিদুল ইসলাম,গাঙচিল সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদের সম্পাদক কবি হাবিবুর রহমান মজুমদার,লিটন চানাচুর ফ্যাক্টরির মালিক হাজী লিটন মিয়া,কবি আব্দুল খালেক,কবি জোয়াদ আলী মন্ডল,বিশারত মন্ডল,বিশিষ্ট ব্যবসায়ি আবুল কালাম আজাদ,সানবিম ক্যাডেট একাডেমীর শিক্ষক বাবু,আমজাদ হোসেন প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ পাঠাগারে এসে পৌছালে তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে শীতার্থ মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেন প্রধান অতিথি স্নিগ্ধা দাস।এ সময় প্রধান বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ম তাপ মাত্রা চলছে।

গরীব দুঃস্থ মানুষ শীতে কষ্ট পাচ্ছে।আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে যতটুকু সম্ভব দিয়ে যাচ্ছি।সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে প্রচন্ড শীতে যারা কষ্ট পাচ্ছেন তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

এখানে কবি গোলাম রহামন প্রতিবছর এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন বলে জানতে পারলাম,তাই তার শীত বস্ত্রের সাথে সরকারি ত্রাণের কম্বল বিতরণ করা হল।




দামুড়হুদায় আলমারী ভেঙ্গে প্রায় ৫ লাখ টাকা চুরির অভিযোগ

দামুড়হুদার পুড়াপাড়ার তাম্মী পোল্ট্রি ফার্মের আলমারী ভেঙ্গে ব্যবসায়ীর ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হাবিবুর রহমান হাবীব ও তার সহযোগী জহির কে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হেফাজতে নেয় দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ।

গতকাল শনিবার রাত ১১ টার দিকে তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এরা হলো দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দশমী পাড়ার বকুল হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবীব ও একই পাড়ার মৃত আবুল কালামের ছেলে জহির হোসেন। এবিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শমশের আলী বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় ৩ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের খোদা বক্স শেখের ছেলে শমশের আলী দামুড়হুদা পুড়াপাড়ায় অবস্থিত তাম্মী পোল্ট্রি ফার্মে ভূষি মালের আড়ত করে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।

অভিযুক্তদের সাথে সখ্যতা থাকার কারনে তারা প্রায় দিন আড়তে আসা যাওয়া করতো। এরই এক পর্যায়ে শনিবার বিকেল ৪টার দিকে অভিযুক্তরা শমশের আলী’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাই। আছরের আজান হলে তাদেরকে অফিসে রেখে শমসের আলী নামাজ পরতে যাই। এসে দেখে কেউ নেই। অফিসের আলমারির তালা ভাঙ্গা ও ড্রয়ার মেঝেতে পরে আছে। ওই ড্রয়ারে নগদ ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা রাখা ছিলো। যা চুরি হয়ে যায়। এসময় শমশের আলীর ডাক চিৎকারে ফার্মের কর্মরত শ্রমিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।

শ্রমিকরা জানায় দামুড়হুদা দশমীপাড়ার বকুল হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবীব একই পাড়ার মৃত আবুল কালামের ছেলে জহির হোসেন ও দামুড়হুদা গার্লস স্কুল পাড়ার খোকন হোসেনের ছেলে কাশেম আলী ঘরে ঢুকেছিল। এরপর হাবিবুর রহমান ও জহির হোসেন ঘটনাস্থলে আসলে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনা অস্বীকার করে। উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ ২ জনকে হেফাজতে নেয়। পরে বাদী ও বিবাদীদ্বয় এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হয়ে নিজেরায় ২ লক্ষ টাকায় আপোষ মিমাংসা করে এবং থানা থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া ২ জনকে ছেড়ে দেয়।

উল্লেখ্য হাবিবুর রহমান হাবীব দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের এক জরুরী সভার আহবান করা হয়। সভায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবীব এর বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ উঠলে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়। টাকা চুরির দায়ে সে দামুড়হুদা মডেল থানা হেফাজতে আছে। তার বিরুদ্ধে টাকা চুরির বিষয়ে পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যার কারনে তার দ্বারা প্রেসক্লাব সহ সাংবাদিকদের সম্মানহানি হয়েছে। যারফলে উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিক্রমে দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে মোঃ হাবিবুর রহমান হাবীব কে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয় এবং সাধারণ সভায় তদন্ত সাপেক্ষে স্থায়ীভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

এবিষয়ে ব্যবসায়ী ও দৈনিক আকাশ খবর পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি সাংবাদিক শমসের আলী বলেন, আমি হাবীব কে নিজের ছোট ভাই এর মতো ভালোবাসতাম। সে আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা আলমারি ভেঙ্গে চুরি করেছে। আমি থানায় লিখত অভিযোগ দিয়েছিলাম। পরে স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসা হলে থানা থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির বলেন, কারো কোন অভিযোগ না থাকায় তাদেরকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।




মেহেরপুরে বিএনপির ও অঙ্গ -সংগঠনের লিফলেট বিতরণ

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে মেহেরপুরে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলটির নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

রবিবার সকাল ৯ টার সময় বড়বাজার কাঁচাবাজার এলাকায় জেলা বিএনপি ও সহযোগী অংক সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং সকাল ১১ টার দিকে শহরের কোর্টমোড় এলাকায় জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে সড়কে থাকা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লিফলেট বিতরণ করা হয়।




গাংনীতে স্মার্ট জাতের টমেটো চাষে কৃষকের বাজিমাত

প্রতি বছরই আগাম জাতের সবজি চাষে বেশি মুনাফা অর্জন করলেও এবার আগাম ও উন্নত জাতের স্মার্ট-১২১৭ জাতের টমেটো চাষে বাজিমাত করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক সজিব রহমান।

ইতোমধ্যে দেড় লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন। আরও লক্ষাধিক টাকার টমেটো বিক্রি করবেন বলে তিনি আশাবাদি। উন্নত জাত ও সঠিক পরিচর্যা ও কৃষি বিভাগের প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেলে সবজি চাষিদের ভাগ্যবদলাতে পারে এমন প্রত্যাশা তার। নতুন ও উন্নত জাতের ফসল চাষে মাঠ দিবসের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে এমন দাবী কৃষি অফিসের।

মেহেরপুর জেলায় এই প্রথম স্মার্ট-১২১৭ জাতের টমেটো আবাদ করেছেন ভাটপাড়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে কৃষক সজিব রহমান। তিনি জানান, এক বীজ কোম্পানীর মাঠ দিবসে অংশ গ্রহন করে স্মার্ট-১৭ জাতের হাইব্রীড টমেটোর বিষয়ে জানতে পারেন তিনি। পরে পরীক্ষামুলক এক বিঘা জমিতে স্মার্ট-১২১৭ জাতের টমেটোর চারা রোপন করেন। তিনমাস যেতে না যেতেই গাছে আসে ফুল ও ফল। প্রতিটি গাছের পাতার নিচে থোকায় থোকায় ঝুলতে দেখা যায় টমেটো। গাছ ঠেকাতে গাছের সাথে বেঁধে দিতে হয় বাঁশের খুঁটি। ইতোমধ্যে তিনি দেড় লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন। এখনও জমিতে লক্ষাধিক টাকার টমেটো রয়েছে। সঠিক সময়ে কৃষি অফিসের সহায়তা ও নতুন নতুন উন্নত জাত কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে আরও লাভবান হওয়া সম্ভব।

কৃষক সজিব রহমানের টমেটো চাষে বাজিমাতের খবরে অনেকেই আসছেন তার কাছে পরামর্শ নিতে। সবজি চাষি শাহীন জানান, তিনি জানান, অন্যান্য জাতের টমেটো চাষে লাভ হয় তবে স্মার্ট জাতের টমেটো চাষে প্রায় তিনগুন লাভ সম্ভব। এবার দুই বিঘা জমিতে এ নতুন জাতের টমেটো আবাদ করবেন বলে জানান তিনি। একই কথা জানালেন রাইপুর গ্রামের সবজি চাষি মিনাজ উদ্দীন।

সবজি চাষি কাবিরুল ইসলাম জানান, শুধু স্মার্ট-১২১৭ জাতের টমেটো নয়, অনেক উন্নত জাত আছে যা চাষিরা জানে না। স্থানীয় কৃষি অফিস যদি ওইসব আবাদ সম্পর্কে ধারনা দেয় তাহলে এই অঞ্চলে সব আবাদেই চাষিরা লাভবান হতে পারে। বিভিন্ন বীজ কোম্পানীর উদ্যোগে চাষিরা আবাদ সম্পর্কে যে টুকু ধারনা পেয়ে থাকে শুধুমাত্র সেটুকুতেই সীমাবদ্ধ। স্থানীয় কৃষি অফিসার ও উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা যদি চাষিদেরকে উন্নত জাত নির্বাচনে সহায়তা করে তাহলে নতুন নতুন আবাদের খোঁজ পাবেন চাষিরা। চাষি সজিবের মতো তিনিও এবার উন্নত ও আগাম জাতের টমেটো আবাদ করবেন এবং সে ব্যাপারে পরামর্শ নিচ্ছেন তিনি।

কৃষি অফিসের হিসেব মতে, এ অঞ্চলে বেশ কয়েকটি আগাম জাতের টমেটো চাষ হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বারি টমেটো-৪, বারি টমেটো-৫, রোমা ভিএফএম রোমারিও, টিপু সুলতান, গ্রেট পেলে, ডেল্টা এফ-১, নিউ রুপালী এফ। এগুলো ভরা মৌসুমী জাত। শীতকালে স্বাভাবিক ভাবেই এসব জাতের টমেটো আবাদ হয়ে থাকে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বীজ বপনের পর অক্টোবর – নভেম্বরে এসব জাতের টমেটোর চারা রোপন করা হয়ে থাকে। এসব জাতের টমেটো গাছে ফুল ও ফল আসতে একটু দেরি করে তাই ফলন নিয়েও হতাশায় থাকেন চাষিরা।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরান হোসেন জানান, চলতি বছরে ৬৫ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের টমেটো আবাদ হয়েছে। এতে ১৫০০ মে. টন টমেটো উৎপাদন হবে। যা জেলার চাহিদা পুরুনের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে চাষিরা লাভবান হবে।

তিনি আরও জানান, এ অঞ্চলের জেলার মাটিতে সব ধরনের ফসল উৎপাদন হয়। যা দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে এখানকার উৎপাদিত টমেটো ও সবজির সু-স্বাদু হওয়ায় চাহিদা ও দাম ভাল। সে কারনে কৃষক সজিব রহমানের মত কৃষকদের পাশে থেকে মাঠ দিবসের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের জাত সম্পর্কিত নানা পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ।