ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে জোর পূর্বক জমি দখলে থানায় অভিযোগ

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের ভায়না গ্রামের পালপাড়া এলাকায়। ওই এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে বজলুর রহমান একই গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে মহসীন হাসান আকাশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।

জানা যায়, বজলুর রহমানের এ জায়গার দখল নিয়ে ইতিপূর্বে হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছিলো। দখলকারীরা জমিদখল ছাড়াও ভুক্তভোগী বজলুর রহমানের কাছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবিসহ তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগ দাখিলের পর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবগের সালিশ বৈঠকে দলিলপত্র যাচাই করে বজলুর রহমানের জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে মহসীন হাসানের দখলকৃত জমি ছেড়ে দেয়ার কথা বলেন। তাৎক্ষণিক ছেড়ে দিলেও পরবর্তীতে সেই জায়গা আবার তার দখলে নিয়ে নেয় এবং বজলুর রহমানকে হুমকি দিয়ে আসছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৭নং ভায়না মৌজার আরএস খতিয়ান ২৮০৮/ ১০১৯৯/১১৮১৪ নং দাগে ২৮ শতক ও ১০২০০/১১৮১৫ নং দাগে ৬ শতক সর্বমোট ৩৪ শতাংশ জমি (যার দলিল নং ২২৬৬/২৩ এবং নামজারী খতিয়ান নং ২৬১৪) আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে বিভিন্ন ফলদ গাছ রোপণ করে ওই জমি ভোগ দখল করেন।

সম্প্রতি মহসিন হাসানের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ওই জমি দখলের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন এবং তার রোপনকৃত গাছগাছালি ও জমিঘেরার কাজে ব্যবহৃত কনক্রিটের খুটি ও বেড়া উপড়ে ফেলেন সে সময় বজলুর রহমান বাঁধা দিলে তাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বজলুর রহমানকে উদ্ধার করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মহসিন হাসান বলেন, ক্রয়সূত্রে ওই জমির মালিক আমি। বজলুর রহমান প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে জোরপূর্বক আমার জমি দখল করেছেন। আবার তিনি আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাসহ থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ ও দায়ের করেছেন। এছাড়া জমিঘেরার কাজে ব্যবহৃত কনক্রিটের খুঁটি ও বেড়া উপড়ে ফেলার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে বজলুর রহমান হরিণাকুণ্ডু থানায় অভিযোগ করলে অভিযোগ আমলে নিয়ে হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ অভিযুক্ত মহসিনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছিলো।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বজলুর রহমান জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জায়গাগুলো দখলমুক্ত করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যপারে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, এ বিষয় আমার জানা আছে। ইতিপূর্বে বজলুর রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত মহসিনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিলো । আবারও তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




মানসিক চাপ কমাবে ফুল

সুবাস শুধু মন ভালোই করে না মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। রোজকার ব্যস্ততা ভরা জীবনে মানসিক চাপ বাড়ে একশ একটা কারণে। এই চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কিছু ফুলের সুবাস। চলুন জেনে নেই কোন ফুলগুলো মানসিক চাপ কমায়:

ল্যাভেন্ডার
দেখতেই যেমন সুন্দর, গন্ধও তেমন স্নিগ্ধ। এর গন্ধে মন হয় শান্ত। অ্যারোমা থেরাপিতে ল্যাভেন্ডার ব্যাবহার করা হয় মানসিক চিন্তা, উদ্বেগ কমাতে।

ক্যামোমাইল
ক্যামোমাইল ফুল থেকে স্বাস্থ্যকর চাও তৈরি হয়। এর গন্ধ মন ভালো করে তুলে। উদ্বেগ, চাপ কমাতে ক্যামোমাইলের গন্ধ বিশেষ সহায়ক।

জুঁই
জুঁই প্রায় সকলেই পছন্দ করেন। বাড়িতে জুঁইয়ের গাছ থাকলে টাটকা ফুলের মিষ্টি সুবাস মেলে। না হলে ঘরের মধ্যে একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে জুঁই ফুল ছড়িয়ে রাখলেও সুবাসে ঘর ভরে যায়। ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফিরলে সেই গন্ধ নিমেষে মন ভালো করে দেয়।

গোলাপ
গোলাপের রূপ-গন্ধ নিয়ে আলাদা কিছু বলার অপেক্ষা থাকে না। কবিতা থেকে গান, প্রেম সর্বত্রই এই ফুল। অ্যারোমাথেরাপিতে এই ফুলের ব্যবহার হয় মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে। এই ফুলের সুবাস মন ফুরফুরে রাখে।

সূত্র: ইত্তেফাক




প্রশিক্ষণ কক্ষেই মারা গেলেন সহকারী শিক্ষিকা

প্রশিক্ষণ কক্ষেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মূর্শিদা খাতুন মৌসুমী (৪২)।গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে গাংনী উপজেলা রির্সোস সেন্টার (ইউআরসি) এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

মূর্শিদা খাতুন মৌসুমী গাংনী উপজেলার মহম্মদপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তিনি একই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য রাসেল আহমেদ মামুনের স্ত্রী।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়া মোহম্মদ আহসান মাসুম বলেন, শিক্ষাক্রম বিস্তরণ-২০২৪ এর আওতায় তিনদিন ব্যাপি শিক্ষকেদর প্রশিক্ষণ চলছে। আজ ছিল প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় দিন। ঘটনার সময় শিক্ষিকা মৌসূমীর পাঠ প্রদর্শন চলছিল। পাঠ প্রদর্শণ চলা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এসময় অন্যান্য সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, গাংনী সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিও) আরিফুল ইসলাম ও মেহেরপুর পিটিআই এর প্রশিক্ষক আনিছুর রহমান প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক সীমা বিশ্বাস জানান, ওই শিক্ষিকা হাসপাতালের আসার আগেই মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে হার্ট এট্যাক হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।




ঝিনাইদহে কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি-২০২৩-২৪ এর আওতায় ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে হরিণাকুন্ডু উপজেলার পোড়াহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা ক্রীড়া অফিসার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হরিণাকুন্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি পিন্টু লাল দত্ত, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আয়ুব হোসেন, ঝিনাইদহ টিসিবি’র সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান, পোড়াহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ, , উপজেলা ও জেলা ক্রীড়া অফিস সহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ। এতে অংশগ্রহণ করে উজেলার ৪টি বিদ্যালয়। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় পোড়াহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কাবাডি দল।




ঈদে মুখোমুখি হচ্ছে না তুফান-জংলি

ঈদে প্রেক্ষাগৃহে আসছে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান ও রায়হান রাফি জুটির তুমুল আলোচিত সিনেমা ‘তুফান’। ফার্স্ট লুক, টিজ এবং গান প্রকাশের পর সিনেমাটির সব কনটেন্ট এখন ট্রেন্ডিংয়ে! হল মালিকরাও মুখিয়ে রয়েছেন সর্বোচ্চ রেন্টালে সিনেমাটি মুক্তি দিতে। ঠিক সেই মুহূর্তে আগে থেকে ঘোষণা দেওয়া সিয়াম আহমেদের ‘জংলি’ সিনেমা ঈদে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও নিজেদেরকে সরিয়ে নিয়েছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘জংলি’র নির্মাতা এম রাহিম জানায়, সিনেমাটি ঈদুল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে না।

এর নির্মাতা এম রাহিম কারণ হিসেবে জানালেন সময় স্বল্পতার কথা।

তিনি বলেন, ‘টানা শুটিং করেছি আমরা। একই সঙ্গে ভারতে চলছিল ছবির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। শুটিংয়ের পাশাপাশি ডাবিংও চলছিল ঢাকায়। মে মাসে আউটডোরে শুটিংয়ের সময় প্রচণ্ড গরমে ইউনিটের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবু আমরা কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে গেছি।

সবশেষ ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে শুটিং বন্ধ রাখতে হয় আমাদের। পুরো একটি সেট ঝড়ে ভেঙে যায়। প্রকৃতির ওপর তো কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। দর্শকদের যে সিনেমা আমরা উপহার দিতে চাই, সেই কোয়ালিটি অ্যাচিভ করা সম্ভব হবে না এই ঈদে।

এই মানের সিনেমার সঙ্গে কোয়ালিটিতে কম্প্রোমাইজ করাটা একেবারেই আনএথিক্যাল হবে।’

তুফানের দাপটে ভয় পেয়ে সরে গেল কিনা ‘জংলি’— এমন প্রশ্নের উত্তরে রাহিমের অকপট জবাব, “তুফান আর জংলি এক জনরার সিনেমা নয়। তুফান আসবে– এটি জেনে বুঝেই আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমাদের মিউচুয়াল রেসপেক্ট আছে, ঘুরেফিরে তো একই টিম আমরা।

‘তুফান বনাম জংলি’ কখনোই আমরা সমর্থন করি না; বরং আমরা বিশ্বাস করি ‘তুফান ও জংলি’তে। ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে দুটি ছবিরই ভালো ব্যবসা করতে পারা উচিত। তাহলেই ইন্ডাস্ট্রি গ্রো করবে। আমাদের বাজার বড় হবে।”

‘জংলি’র সিনেমার মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ। তার বিপরীতে রয়েছেন শবনম বুবলী। বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ। সিনেমাটিতে চারটি গানের সুর ও সংগীত করেছেন প্রিন্স মাহমুদ।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্বারকলিপি প্রদান

যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবিতে ২০৬টি সংগঠনের পক্ষে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের পক্ষ থেকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

আজ রবিবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসানের হাতে স্বারকলিপি তুলে দেন জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম।

এসময় জাতীয় কন্য শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নার্গিস সুলতানা, সদস্য আজিজুল হক রানু, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর গাংনী এরিয়া অফিসের সমন্বয়ক হেলাল উদ্দীন।

স্বারকলিপিতে বলা হয়, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়ন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশ ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আপনার আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতা নারী ও কন্যাশিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা রেখেছে। রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্চ পদসমূহে নারীর সক্রিয় উপস্থিতিতে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বের কাছে অনুসরণীয়।

আমরা জানি, বিগত তিন দশকে ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১’, ‘পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন২০১০’, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ (সংশোধিত)’, ‘হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন-২০১২’, তৃতীয় লিঙ্গের আইনি স্বীকৃতি, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭’-সহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আইন প্রণীত হয়েছে। এরপরও, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। পরিবারে, সামাজিক পরিসরে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, যানবাহনে কোথাও এদেশের নারী ও শিশুরা সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার একটি বড় অংশ হচ্ছে- যৌন হয়রানি ও নির্যাতন। রাস্তাঘাট, গণপরিবহন, জনসমাগমস্থল, এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠেও এই যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। সম্প্রতি সহপাঠীদের দ্বারা যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ময়মনসিংহে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীর শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। একইসাথে বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসা, কলেজ, গণপরিবহন, রেলস্টেশনে যৌন হয়রানির ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে যেগুলো বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দুঃখজনক বিষয় হলো, যৌন হয়রানি বিষয়ক সুনির্দিষ্ট আইন না থাকার কারণে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে এধরনের সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েই চলেছে।

অনলাইনেও হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নারী ও শিশুরা। জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ- পুলিশ সাইবার সাপোর্ট সেন্টার ফর উইমেনের (পিসিএসডাবি−উ) তথ্য অনুসারে, বিগত ১৫ মাসে অনলাইনে ভুয়া আইডি (পরিচয়) খোলা, আইডি হ্যাক, প্রতারণা, মুঠোফোনে হয়রানি ও আপত্তিকর আধেয় বা কনটেন্ট ছড়ানোর সাড়ে ১২ হাজারের বেশি অভিযোগ এসেছে। এ বাস্তবতা থেকেই প্রতীয়মান হয় যে, যৌন হয়রানির শিকার ব্যক্তিদের জন্য অনতিবিলম্বে সুনির্দিষ্ট একটি আইন প্রয়োজন, যার মাধ্যমে তাঁরা সুরক্ষা ও প্রতিকার পেতে পারেন। জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম ৭০টি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা এবং ২৮টি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে।

সংগৃহীত তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩ সালে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন মোট ৩৮৫ জন, যার মধ্যে ১১১ জন নারী এবং ২৭৪ জন কন্যাশিশু। অন্যদিকে গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) তথ্য বলছে, বিগত ২৩ বছরে এই সেন্টার থেকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন এবং দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় ৬২ হাজারের বেশি নারী ও শিশু সহায়তা পেয়েছে। মামলা হয়েছে মাত্র ১৯ হাজার ৪৪১টি। এর মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ এর ক্ষেত্রে রায় হয়েছে এবং সাজা কার্যকর হয়েছে ১ শতাংশের কম।

ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারের কাছে যৌন সহিংসতার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকারে পূর্ণাঙ্গ কোনো আইন না থাকায় ভুক্তভোগীরা মানসিক, শারীরিক, আর্থিক এবং সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা মনে করি সহিংসতা ও যৌন হয়রানির এই ভয়াবহ বাস্তবতার পেছনে যথাযথ বিচার না হওয়া এবং বিচার না পাওয়ার বিষয়টি সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। আমরা আরও মনে করি, যৌন হয়রানির ঘটনার বিচারের জন্য সুনির্দিষ্ট আইন না থাকা ন্যায়বিচার পাওয়ার পথে একটি বড় অস্তরায়। এই সমস্যার কার্যকর সমাধানের জন্য প্রয়োজন একটি যথাযথ ও সুনির্দিষ্ট আইন, যা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক যৌন হয়রানি প্রতিরোধে প্রদত্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের নিমিত্ত আইন প্রণয়ন করা আবশ্যক বিষয়টিও সুনিশ্চিত করবে।

এছাড়াও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্ম, বর্ণ, বয়স, পেশা ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের জন্য সম-সুযোগ ও সম-অধিকার নিশ্চিত করবার বিধানটিকেও নিশ্চিত করবে। এই বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে আমরা সর্বত্রচিত্তে আপনার কাছে প্রত্যাশা করি, একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আপনি স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি আইন ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন‘ অতিসত্ত্বর প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। যার মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সু¯পষ্ট অঙ্গীকার ‘কন্যাশিশুদের প্রতি বৈষম্য, নির্যাতন বন্ধ ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা’র যে প্রতিশ্রুতি, সেটা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। আমাদের জোরালো দাবি আপনার নেতৃত্বেই যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন অতিসত্বর প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হবে, যার মাধ্যমে নারী ও শিশুদের জন্য সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত হবে এবং সর্বস্তরে সংঘটিত যৌন সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুরা আইনের আশ্রয় লাভ করতে পারবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।




ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ কোনটা সেরা

ডেস্কটপ কম্পিউটারের চেয়ে সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় কাজ কিংবা ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ল্যাপটপকেই প্রাধান্য দেন অনেকেই। তবে ডেস্কটপ নাকি ল্যাপটপ কে সেরা কিংবা কোনটা কিনলে আপনি জিতছেন এ প্রশ্নে রীতিমতো যুদ্ধ করাও সম্ভব।

পার্থক্য

ডেস্কটপ কম্পিউটার আপনার বাসা বা অফিসের ডেস্ক বা টেবিলের ওপর থাকবে। এতে বিভিন্ন অংশ থাকে। মনিটর, সিপিইউ, কি-বোর্ড, মাউস ও ইউপিএস। অন্যদিকে ল্যাপটপ বা নোটবুক সহজেই বহনযোগ্য। একের ভেতর সব হিসেবেই পরিচিত এটি। এতে বিল্ট ইন স্ক্রিন, কি-বোর্ড, মাউসের কাজের জন্য টাচ প্যানেল বা ট্র্যাকপ্যাড, ইউএসবি পোর্ট থাকে।

কেন ল্যাপটপ কিনবেন

শিক্ষার্থীদের জন্য ল্যাপটপ সবচেয়ে ভালো। কারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাসে অংশগ্রহণের জন্য বাসার বাইরে স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হয়। আর এক্ষেত্রে ল্যাপটপ শিখন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। চলার পথে ল্যাপটপ হাত থেকে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভয় থাকে। তবে বর্তমানে বিল্ড কোয়ালিটির দিক থেকে শক্তপোক্ত ল্যাপটপ পাওয়া যায়। যেগুলো হাত থেকে পড়লেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

মূলত হালকা কাজ, যেমন—পড়া, ওয়ার্ডের কাজ, ভিডিও স্ট্রিম করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের জন্য ল্যাপটপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যদি আপনি কিংবা আপনার সন্তান সারাদিনে ইন্টারনেটের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিচরণের স্বাধীনতা চান, তাহলে পরিপূর্ণ চার্জ দেওয়া একটা ল্যাপটপ আপনাকে সেই সুযোগ দেবে। তবে বর্তমানে উন্নতমানের ল্যাপটপও বাজারে আনছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব ল্যাপটপের মাধ্যম গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, গেমিং, লাইভ স্ট্রিমিংসহ বিভিন্ন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। তবে এ ধরনের ল্যাপটপের বাজারমূল্য অনেকের হাতের নাগালের বাইরে থাকে।

কেন ডেস্কটপ কিনবেন

যদি আপনি অনেক কিছু করার জন্য কম্পিউটার খুঁজে থাকেন, তবে ডেস্কটপ আপনার জন্য। ডেস্কটপে আপনি সহজেই বড় ফাইল সংরক্ষণ করতে পারবেন। সেই সঙ্গে আপনি আপনার পছন্দের গেমগুলোও ভালো গ্রাফিক্সে খেলতে পারবেন। এছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি আপনার ডেস্কটপ আপডেট করতে পারবেন।

আপনি চাইলে ডেস্কটপে অতিরিক্ত র্যাম, ভালো গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। যেটা আপনার কম্পিউটারের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে। এছাড়াও ডেস্কটপ চালাতে কোনো ব্যাটারির প্রয়োজন হয় না। তাই আপনি নিশ্চিন্তে চার্জ দেওয়ার চিন্তা ছাড়াই দীর্ঘ সময় এটি ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু আপনি চাইলেই আপনার ডেস্কটপ কম্পিউটার সহজে বহন করতে পারবেন না। ডেস্কটপে অল ইন ওয়ান পিসি সুবিধাও রয়েছে। এতে মনিটরের সঙ্গেই কম্পিউটারের অন্যান্য অংশ জুড়ে দেওয়া থাকে। তাই এসব কম্পিউটার সহজেই বহন করা সম্ভব হয়। তবে এগুলো অনেক ব্যয়বহুল এবং আপনি চাইলেই আপডেট করতে পারবেন না। কিন্তু প্রাথমিকভাবে এটা আপনাকে কম খরচেই সব সুবিধা দেবে।

যে বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে

যদি কোনো ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপের কনফিগারেশন একই হয়, তবে ল্যাপটপের দাম বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। তবে যত দামিই হোক না কেন ল্যাপটপের যেসব প্রতিবন্ধকতার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো সব ক্ষেত্রেই উপস্থিত। তবে কাজের পাশাপাশি গেমিং এবং বিনোদনের জন্য এখনো অনেকে ভালো কনফিগারেশনের ল্যাপটপ কিনে থাকেন। অন্যদিকে কনফিগারেশনের দিক থেকে একটি ভালো ডেস্কটপ কিনতে আপনাকে খুব বেশি খরচ করতে হবে না। তবে ডেস্কটপ পিসি আপডেট সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।

সূত্র: ইত্তেফাক




নাটোরের হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরপুরে গ্রেফতার

নাটোরের গুরুদাসপুর থানার একটি হত্যা মামলায় আত্মগোপনে থাকা প্রধান আসামি মোঃ হায়দার আলী (২৩)কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) এর সিপিস-৩ গাংনী ক্যাম্প।

আজ রবিবার (২ জুন) ভোররাতের দিকে গাংনী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ ইছাহাক আলীর বাড়িকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩, মেহেরপুর কোম্পানী কমান্ডার এএসপি মোঃ মনিরুজ্জামান এই গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন।গ্রেফতারকৃত হায়দার আলী নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কুমারখালী গ্রামের মোঃ আশরাফ আলীর ছেলে।

গ্রেফতারকৃত হায়দার আলী নাটোরের গুরুদাসপুর থানার মামলা নং-২২, তারিখ-২৪/০৫/২৪ ইং, ধারা-৩২৬/৩০২/৩০৭/ ১১৪/৩৪ পেনাল কোড, মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি। মামলার পর সে গ্রেফতার এড়াতে গাংনী পৌর শহরে আত্মগোপনে ছিলেন।

র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩, মেহেরপুর কোম্পানী কমান্ডার এএসপি মোঃ মনিরুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,
গ্রেফতার পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত হায়দার আলীকে কোম্পানী কমান্ডার, সিপিসি-২, নাটোর, র‌্যাব-৫, রাজশাহীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েয়ছে।




মেহেরপুর পৌর গড়পুকুরে গোসল করতে গিয়ে স্কুল ছাত্র নিহত

মেহেরপুর শহরের পৌর গড়পুকুরে গোসল করতে গিয়ে তৌফিক (১২) নামের এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। আজ রবিবার (২ জুন) সকাল ১১ টার সময় মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে মারা যায় শিশুটি।

নিহত তৌফিক মেহেরপুর শহরের নতুনপাড়া এলাকার তোজাম্মেল হকের ছেলে ও মেহেরপুর টেকনিক্যাল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র। মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সকাল ১০ টার দিকে নিহত তৌফিক ও তার কিছু বন্ধু মিলে স্কুল থেকে গড়পুকুরে গোসল করতে নামে। পুকুরে বন্ধুদের সাথে জলকেলি খেলতে গিয়ে অসাবধানতা বসত তৌফিক পানির নিচে তলিয়ে যায়। এসময় ওই পুকুরে গোসলরত অন্যান্য লোকজন খুঁজতে থাকে।

খবর পেয়ে মেহেরপুর ফাঁয়ার এন্ড সিভিল ডিফেন্সের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছান। ফাঁয়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার শামীম রেজা ও মনিরুল ইসলাম ঘন্টাব্যাপী খোঁজা-খুজির পর তাকে পানির নিচ থেকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতু ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ বর্তমানে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর পৌর গড়পুকুরকে (১১ বিঘা জমির) উপর দাতা সংস্থা এশীয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে বিনোদন কেন্দ্রে রূপান্তর করা হয়েছে।

গড়পুকুরের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে এখন প্রতিদিন হাজার নারী পুরুষ এখানে আসেন। পুকুরের পানিতে গোসল ও জলকেলিতে ব্যাস্ত থাকেন।

এখানে রয়েছে, ঢাল সুরক্ষা বেস্টনি, গণমানুষের জন্য দু’টি পাবলিক টয়লেট, নিরাপত্তা রক্ষীর কামরা, শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা, পুরো গড় এলাকা জুড়ে তৈরী করা হচ্ছে সবুজ বেস্টনি, পুকুরের চতুর্দিকে ওয়াকওয়ে, পুকুরের দক্ষিণ দিকে নির্মাণ করা হচ্ছে নাট্যমঞ্চ, থাকবে চারদিক জুড়ে কংক্রিট বেঞ্চ, দুটি ফুড কর্নার, নারী-পুরুষের জন্য আলাদা চেঞ্জিং রুম, দু’টি কফি হাউজ, গড়ের মাঝখানে ওভারব্রিজ,পুরো পুকুর জুড়ে রয়েছে ৭টি সিঁড়ি, গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা। সাবেক পৌর মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু ২০০৮ সালে গড়পুকুরে ক্যাবলকারসহ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বিনোদনকেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু তেমন কার্যকর হয়নি।

নিম্নমানের হওয়ায় প্রায় সময় ক্যাবলকার পুকুরের মাঝখানে বন্ধ হয়ে যেত। ফলে বিনোদন কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়।




দামুড়হুদায় ১ কেজি গাঁজাসহ তিনজন আটক

দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ পৃথক পৃথক স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১ কেজি গাঁজাসহ তিন জনকে আটক করেছেন।আটকৃতরা হলো জজ(২৩) মোক্তারপুর গ্রামের ছাব্দার আলির ছেলে, তৈয়ব আলি (২৮) মোক্তার পুর গ্রামের কুদ্দুসের ছেলে আবু জাফর (৪৫) উজিরপুর গ্রামের মৃত্যু মফিজ উদ্দীনের ছেলে ।

গতকাল শুক্রবার সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে আটক করেন।

জানাযায়, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির এর নির্দেশনায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস আই মাহবুবুর রহমান,এস আই জাহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দামুড়হুদা উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামের ছাব্দার আলির ছেলে জজ ও একই গ্রামের কুদ্দুসের ছেলে তৈয়ব আলি ও উজিরপুর গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে আবু জাফর আলিকে আটক করেন। পরে তাদের দেহ তল্লাশী করে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।