ঝিনাইদহের “সমাধান ফাউন্ডেশনের” চেয়ারম্যান আটক

যুবক-যুবতিদের নিকট থেকে কাজের প্রলোভন দিয়ে ৪৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালানোর সময় প্রশাসনের হাতে আটক হয়েছে ঝিনাইদহের সমাধান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার মেহেদি হাসান। চুয়াডাঙ্গায় থেকে ৭৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালানোর পর ঝিনাইদহে ঘাঁটি গেঁড়েছে এই প্রতারণা মুলক প্রতিষ্ঠানটি। ইতিমধ্যে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলা থেকে প্রায় দেড়’শ যুবক-যুবতীর কাছ থেকে ৩০ হাজার ৫শ টাকা করে প্রায় ৪৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে খবর পেয়ে অফিসটিতে হানা দেয় পুলিশ। অভিযানের খবর আঁচ করতে পেরে অফিসের নিচে বিপুল অংকের টাকা নিয়ে দাড়িয়ে থাকা ঢাকা মেট্রো-গ-২৬-৭৫২৩ নাম্বারের একটি প্রাইভেট কার আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চালানোর আগেই পালিয়ে যায়।

কথিত সমাধান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার মেহেদী হাসানও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, সেসময় পুলিশ তাকে আটক করে ঝিনাইদহ সদর থানায় নিয়ে যায়। তবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় সমাধান ফাউন্ডেশনের অর্গানাইজার ও টাকা আদায়কারী হরিণাকুন্ডু উপজেলার রথখোলা গ্রামের হায়দার হাসনাত।

সরকারের একটি গোয়ন্দা বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, প্রায় আড়াই মাস আগে ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়া জোড়াপুকুর সড়কে নিঝুম টাওয়ারে অফিস খুলে শত শত যুবক-যুবতীকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করায় সমাধান ফাউন্ডেশনের কথিত চেয়ারম্যান কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার সংলগ্ন বাদেডিহী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে চিহ্নিত প্রতারক খন্দকার মেহেদী হাসান। এপর্যন্ত ৪৬৯ জনের রেজিষ্ট্রেশন করা হলেও দেড় শতাধীক যুবক যুবতী বিনা স্লিপে লাখ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে দেড়’শ যুবক যুবতী প্রায় ৪৬ লাখ টাকা দিয়েছেন।

অভিযুক্ত সমাধান ফাউন্ডেশনের কথিত চেয়ারম্যান খন্দকার মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, তারা যুবক যুবতীদের বিভিন্ন প্রডাক্ট এমনকি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে সহায়তা করবেন।

কিন্তু আশপাশের জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমাধান ফাউন্ডেশনের কথিত চেয়ারম্যান খন্দকার মেহেদী হাসান বংশগত ভাবেই প্রতারক। সারা দেশে অফিস খুলে বেকার ও অসহায় যুবকদের ভুলভাল বুঝিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে ঢাকার উত্তরার ১০ নং সেক্টরে বিপুল বিত্ত বৈভব গড়ে তুলেছেন।

প্রতারক মেহেদীর অফিসে রক্ষিত কাগজপত্র ঘেটে দেখা যায়, ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় ৪৬৯জন রেজিষ্ট্রেশন করেছেন। এরমধ্যে রেজিষ্ট্রারে ৩৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। অফিসটিতে গোয়েন্দারা বৈধ কোন কাগজপত্র পাননি। সব ভুয়া ও জাল কাগজ তৈরী করে “সমাধান ফাউন্ডেশন” গঠন করা হয়েছে। অফিসে রক্ষিত কাগজপত্র ঘেটে দেখা গেছে, এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আরো যে সব প্রতারকরা জড়িত তারা হলেন, সেক্রেটারি জেনারেল এনামুল হক, এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর শহীদুল্লাহ, রজনী আক্তার, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আব্দুল্লাহ, একেএম সাহিদুর রহমান, বিল্লাল হোসেন, সোহেল আলী, এসএম আশরাফুল্লাহ ও মাহবুবুর রহমান।

শহরের মহিষাকুন্ডু গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, তিনি ও তার স্ত্রী তহমিনা খাতুন সমাধান ফাউন্ডেশনের কথিত চেয়ারম্যান খন্দকার মেহেদী হাসানের কাছে ৬১ হাজার, বারোবাজার এলাকার কাজল ৫ লাখ, হরিণাকুন্ডুর জোড়াপুকুর গ্রামের মাজেদা খাতুন ৩০ হাজার ৫০০, চটকাবাড়িয়া গ্রামের মিতা খাতুন ৩০ হাজার ৫০০ টাকা বিনা রশিদে জমা দিয়েছেন।

এছাড়া সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামের সেলিনা খাতুন, হরিণাকুন্ডু উপজেলার জোড়াপুকুর গ্রামের আফাজ, বড়ভাদড়া গ্রামের আল আমিন, অনিক, সদরের বড় গড়িয়ালা গ্রামের সোহেল রানা, শ্রীপুর গ্রামের হাসানুজ্জামান, বিল্লাল হোসেন ও কোটচাঁদপুর উপজেলার দুর্বাকুন্ডু গ্রামের সাইফুজ্জামানসহ শত শত যুবক টাকা প্রদানের কথা স্বীকার করেন। তারা সমাধান ফাউন্ডেশনের কথিত চেয়ারম্যান খন্দকার মেহেদী হাসান ও জেলা চীফ অর্গানাইজার হায়দার হাসনাতের কাছে টাকা দিয়েছেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ-আল মামুন জানান, প্রতারক চক্রের খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায় এবং ভুক্তভোগীর বক্তব্য রেকর্ড করে। অফিসটির কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় খন্দকার মেহেদী হাসান নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই আরিফ জানান, কাগজপত্র দেখে মনে হলো সংস্থাটি প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। সমাধান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার মেহেদী হাসানের কথাবার্তা অসংলগ্ন। একেক সময় একেক তথ্য দিয়ে তিনি বিভ্রান্ত করছেন। এজন্য তাকে থানায় আনা হয়েছে। তিনি জানান, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে পুলিশ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করবে।




মেহেরপুরে পালিত হলো বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস

‘পোকা মাকড় রক্ষা করে পাখির জীবন’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে নিয়ে মেহেরপুরে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস-২০২৪। দিবসটি উপলক্ষে আজ বুধবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে পরিযায়ী পাখি রক্ষা বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর ফাউন্ডেশনের আয়োজনে জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ।

মেহেরপুর ফাউন্ডেশনের পরিচালক নাসের চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক কাউসার আলী, বিএনপি নেতা আনোয়ারুল হক কালু, জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, দৈনিক কালের কন্ঠ প্রতিনিধি ইয়াদুল মোমিন, বাসস প্রতিনিধি দিলরুবা খাতুন, সাংবাদিক আমিরুল অল্ডাম, হারুনর রশিদ রবি, আকতারুজ্জামান, সিদ্দিকী শাহিন, মাসুদ রানা, তোফায়েল হোসেন, পাভেল মাহমুদ, পিজেইউএস এর নির্বাহী পরিচালক গোলাম কিবরিয়া।

বক্তারা বলেন, শীতের শুরুতে বিভিন্ন পরিযায়ী পাখির আমাদের এখানে আগমন ঘটে। পরিযায়ী পাখি অনেক দুর দুরান্ত থেকে আমাদের এলাকায় এসে পর্যটকদের আনন্দ দেয়। অতিরিক্ত শীতে পরিযায়ী পাখি নিজ এলাকায় থাকতে না পেরে আমাদের এলাকায় চলে আসে। এসকল আশ্রয়প্রার্থী পরিযায়ী পাখিদের রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

বক্তারা আরও বলেন, পরিযায়ী পাখি বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকা মাকড় খেয়ে থাকে। এর ফলে আমাদের ফসল উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়। ফসলে কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে অনেক পরিযায়ী পাখি ফসল খেয়েও মারা যায়। এক শ্রেণির পাখি শিকারি বিভিন্ন মাধ্যমে পরিযায়ী পাখিদের হত্যা করে। আমাদের উচিত পরিযায়ী পাখি সংরক্ষনে এগিয়ে আসা।

আলোচনা সভায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




বিজয় দিবসে ওপেন কনসার্টে গান গাইবেন জেমসসহ একঝাঁক শিল্পীরা

রকস্টার জেমস মানেই তারুণ্যের উন্মাদনা। কখনো স্বপ্নচারিণীর কবিতা কিংবা পাগলা হাওয়ায় বন্ধু আসার বার্তা দেন গানের সুরে। আবার গানের সুরেই আকাশের কাছে জানতে চান মায়ের কথা। বুক ফাটা প্রেমিকের আর্তনাদে হয়ে ওঠেন এক নদী যমুনা। তিনি বরাবরই তারুণ্যের জোয়ারে উন্মাতাল। যার গানের উন্মাতালে সদা ভদ্র ছেলেটিও খানিক সময়ের জন্য পরিণত হন দুষ্টু ছেলের দলে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দেশের খ্যাতিমান সব শিল্পীদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে ‘সর্বজনীন কনসার্ট’। সেখানে পারফর্ম করার কথা রয়েছে দেশবরেণ্য সব সংগীতশিল্পী ও ব্যান্ডের, গাইবেন জেমসসহ দেশের জনপ্রিয় একঝাঁক শিল্পী।

জানা গেছে, কনসার্টটির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এই কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়।

১৬ ডিসেম্বর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজন করা হবে এই কনসার্টের। সেখানে বাংলাদেশের গান ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে, নতুন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করানো হবে। এছাড়াও ভিনদেশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে মুক্তি প্রত্যাশাও করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

এদিকে জেমসের মঞ্চে ওঠা প্রসঙ্গে রবিন ঠাকুর গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘জেমস ভাই অনেক দিন পর দেশের কোনো ওপেন কনসার্টে গাইবেন। এই মাসেই দেশের বেশ কয়েকটি কনসার্টে গাইবেন তিনি। বিজয় দিবসের কনসার্টের শেষ আকর্ষণ হিসেবে মঞ্চে উঠবেন তিনি।’

জেমস ছাড়াও বিজয় দিবসের এই কনসার্টে এককভাবে গাইবেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী, খুরশিদ আলম, কনকচাঁপা, বেবী নাজনীন, মনির খান, কণা, ইমরান, প্রীতম, মৌসুমী ও জেফার।

এ ছাড়া ডিফারেন্ট টাচ, আর্ক, সোলস, শিরোনামহীন, আর্টসেল, অ্যাভয়েড রাফা ও সোনার বাংলা সার্কাস সংগীত পরিবেশন করবে। ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে এই কনসার্ট।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে নিষিদ্ধ ইনজেকশন ও অবৈধ ভারতীয় মালামালসহ চার চোরাকারবারী আটক

মেহেরপুরের মুজিবনগরে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ফেনসিডিল, এক্যুরিয়াম ফিস ও নিষিদ্ধ ইউরিফেলিট্রপিন ইনজেকশনসহ চার চোরাকারবারী কে আটক করেছে বিজিবি।

বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার ভোর ৪ টার দিকে মুজিবনগর বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের সোনাপুর বাজারে অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে ৬২৬ টি নিষিদ্ধ ইউরিফেলিট্রপিন ইনজেকশন, ৭৫০ পিস এক্যুরিয়াম মাছ, ৫ বোতল ফেন্সিডিল ও ২ টি মোটরসাইকেলসহ ৪ চোরাকারবারিকে আটক করে।

আটককৃত হলো- মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস পূর্বপাড়ার জহির খাঁ এর ছেলে মানিক (২০), মৃত নূরবকস্ এর ছেলে লাল্টু মিয়া (৩৫), রিয়াজ মল্লিকের ছেলে জাকিরুল হোসেন (৩৩) এবং সোনাপুর মাঝপাড়া গ্রামের লৎফর রহমানের ছেলে এনামুল হক (৩৫)।

দুপুরে বিজিবি আটককৃত মালামালসহ আসামীদের মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করেছেন

মুজিবনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, আজ দুপুরে মুজিবনগর বিজিবি ৪ জন আসামিসহ জব্দকৃত মালামাল মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।




‘আপত্তিকর ভাষা’ ব্যবহারে শাস্তি পেলেন জোসেফ

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শুরুর আগে স্পাইকযুক্ত জুতা পড়ে উইকেটে হাঁটছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার আলজারি জোসেফ। তাকে হাঁটতে মানা করলে চতুর্থ আম্পায়ার গ্রেগরি ব্র্যাথওয়েটকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেন এই ক্যারিবিয়ান পেসার। আম্পায়ারের সঙ্গে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহারে আচরণবিধি ভঙ্গ করায় তাকে শাস্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

এ বিষয়টি দুই অনফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধার্মাসেনা ও লেজলি রিফার এবং তাদের সহযোগী আসিফ ইয়াকুবকে নিয়ে ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোকে জানান গ্রেগরি ব্র্যাথওয়েট। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে জোসেফকে শাস্তি দেন ক্রো।

আইসিসির আচরণবিধির লেভেল-১ এবং ২.৩ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করায় ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানার পাশাপাশি একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে জোসেফকে।

এই ধারার অপরাধে সর্বনিম্ন শাস্তি সতর্ক করা। সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা ও ১ বা ২ ডিমেরিট পয়েন্ট। জোসেফ নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।

সূত্র: ইত্তেফাক




বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর জীবননগর শাখার আহবায়ক কমিটি গঠন

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর জীবননগর শাখার আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটিতে সাংবাদিক আতিয়ার রহমানকে আহবায়ক এবং সাংবাদিক মতিয়ার রহমানকে সদস্য সচিব নির্বাচিত করা হয়েছে।

কমিটি গঠন আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক আতিয়ার রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি জহির রায়হান এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সাধারন সম্পাদক আদিল হোসেন।

আহবায়ক কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-রাজেদুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম, বাউল শিল্পী আজাদ, শাহজান আলী লিটন, মিঠু মিয়া, মুন্সী রিপন হোসেন, সবুজ হোসেন, শরিফ উদ্দিন, শাহাব উদ্দিন, খাজা মতিয়ার শাহ, স্কুল শিক্ষক ও লেখক শফিকুল ইসলাম, সেলিম হোসেন, রফিক শাহ, লাল্টু মিয়া, আলী হোসেন ও আব্দুল খালেক।

উল্লেখ্য, উক্ত আহবায়ক কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে কার্যকরি ভুমিকা পালন করবেন।




মুজিবনগরে ব্র্যাক কর্মসূচি পরিদর্শন করলেন ইউএনও

মুজিবনগরে ব্র্যাক পরিচালিত টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের স্বাস্থ্য সেবিকাদের ওরিয়েন্টেশন ও মুজিবনগর ব্র্যাক অফিস পরিদর্শন করেছেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম।

আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের স্বাস্থ্য সেবিকাদের ওরিয়েন্টেশন ও মুজিবনগর ব্র্যাক অফিস পরিদর্শন করেন তিনি।

এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান এবং মেহেরপুর ও মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তারা ব্র্যাক মুজিবনগর কার্যালয় পরিদর্শন করে সংস্থার উন্নয়ন কার্যক্রমের বিষয়ে অবগত হন এবং সেবিকাদের ওরিয়েন্টেশনে

উপস্থিত হয়ে তাদের সাথে কথা বলেন এবং ব্যাকের মাঠ পর্যায়ে টিবি রোগ চিকিৎসায় ডটস পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন এবং জেনে কার্যক্রমের প্রসংশা করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য প্রয়োজনীয় সচেতনতা বৃদ্ধি করার ওপর নির্দেশনা প্রদান করেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা সেবিকাদের সঠিক নিয়মে ডটস প্রদান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।

এছাড়াও এসময় ব্র্যাক জেলা সমম্বয়ক শেখ মনিরুল হুদা, টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ডিসিট্রিক্ট ম্যানেজার অচিন্ত কুমার বোস, মাইক্রোফাইনান্স (দাবি) কর্মসূচীর এরিয়া ম্যানেজার মোঃ জসিম উদ্দিন, ম্যানেজার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ম্যানেজার (বিসিইউপি) মোঃ আল আমিন বিশ্বাস,শাখা হিসাব কর্মকর্তা আব্দস সামাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন

চুয়াডাঙ্গা দর্শনায় ডি.এস ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মাও. শফি উদ্দিন মোল্লার পদত্যাগের দাবিতে প্রায় এক ঘন্টা সড়ক বন্ধ করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। পরে দর্শনা থানার ওসি শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের জন্য আশ্বস্ত করাই তারা সড়ক ছেড়ে মাদ্রাসায় ফিরেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাবের সামনে এ আন্দোলন করে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।

জানাগেছে, দর্শনা ডি.এস ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মাও. শফি উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগের দাবিতে এ আন্দোলন করে। বেলা ১১ টা ৪৫ থেকে ১২ টা ২৫ পর্যন্ত ৪০ মিনিট ধরে শিক্ষার্থীরা রাস্তা বন্ধ করে এ আন্দোলন করতে থাকে। যার ফলে দূর পাল্লার পরিবহন, ট্রাক, মাইক্রো-বাস, ইজিবাইক, ভ্যান, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল সহ এ সড়কে চলাচলকারী পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। পরে খবর পেয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর থানার অফিসার ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের জন্য আস্বস্ত করে তাদেরকে সাথে নিয়ে মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ সহ অন্যান্য শিক্ষক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করেন। বিষয়টি প্রায় সমাধানের পর্যায়ে রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ হচ্ছে- দাখিল (এসএসসি) পরিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা টেস্টে একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে পরিক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া। মাদ্রাসার ঘর ভাড়া দিয়ে ফান্ডে টাকা থাকার সত্বেও গরীব শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন করতে মাদরাসা ফান্ড থেকে সহায়তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করা। তিনি দ্বায়িত্ব নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী দিনে দিনে কমে যাওয়া। মাদ্রাসার ঘর/গোডাউন ভাড়া নেওয়া লোকজন মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে সেখানে শিক্ষার্থীদের সামনে সিগারেট ধরিয়ে যাওয়া-আসায় কোন বাঁধা না দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা সেখানে সিগারেট খাচ্ছে এসব বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেওয়া সহ বেশ কিছু অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন করে।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মাও. শফি উদ্দিন মোল্লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ করা হয়েছে তা পরিকল্পিত ও ভিত্তিহীন। শিক্ষার্থীদের পিছনে কোন এক ইন্দোনদাতা অপশক্তি হিসাবে কাজ করছে আমাকে হেও প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে। তবে আমি আমার জায়গা থেকে সঠিকভাবে দ্বায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি।




আলমডাঙ্গায় জার্মানি প্রবাসীর সংবাদ সম্মেলন

আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে জীবন আহম্মেদ তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

লিখিত এ সংবাদ সম্মেলনে জীবন আহম্মেদ জানান, দীর্ঘ ১৩ বছর জার্মানি প্রবাস শেষে গত ৩ মাস আগে দেশে এসেছেন। তার বড় ভাই সাগর লিবিয়া প্রবাসী। তার বড় ভাইয়ের নামে ইটালি পাঠানোর নাম করে খেজুরতলা গ্রামের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম রফি এলাকার অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে লিবিয়ায় পাঠিয়েছে। তাদের দুর্দশা-দুর্ভোগ সম্পর্কে আমি অবগত নই। আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। আমি তিন মাস আগে দেশে আসলেও তারা প্রায় ৯ মাস আগে বিদেশ যাবার জন্য রফির নিকট টাকা দেয় এবং তারা লিবিয়ায় যায় । আমি এবং আমার চাচি বেদেনা খাতুন সহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। প্রকৃতি অর্থে রফি মেম্বার ওই সকল ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে সাগরের সাথে লেনদেন করেছে। এ বিষয়ে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার কেউই এই ঘটনার সাথে জড়িত নই। বিষয়টি তদন্ত করলেই প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটিত হবে।

এমতাবস্থায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।




দামুড়হুদায় টিসিবির পণ্য বিতরণ ; কার্ড আছে পণ্য নাই

দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নে টিসিবির কার্ড আছে কিন্তু পণ্য নেয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে পণ্য বিতরণ শুরু হয়ে বিকাল ৪ টার আগেই পণ্য বিতরণ শেষ, কিন্তু তখনো বেশ কয়েক জনের কার্ড আছে তবে পণ্য নেই।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, আজ দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হয়েছে। ইউনিয়নে মোট ২২০৬ টি কার্ড বিতরণ করা হয়। বিকাল ৪ টার দিকে দেখা যাই পণ্যবিতরণ শেষ। কিন্তু তখনো ১৪ জনের পণ্য বিতরণ হয়নি। ১৪ জনের হাতে ১৪ টি টিসিবির কার্ড আছে কিন্তু পণ্য নেয়। তাহলে পণ্য গেলো কোথায়? এর কোন সদুত্তর পাওয়া যাইনি। হাউলী ইউনিয়নে টিসিবির ডিলার এর দায়িত্ব পালন করে দামুড়হুদার তামিম স্টোর এর স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম। টিসিবির পণ্য বিতরণ হচ্ছে কিন্তু ট্যাগ অফিসারের দেখাও পাওয়া যাইনি।

ট্যাগ অফিসার আতিকুর রহমান জানান টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হবে এবিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি, যার কারনে আজ আমি হাউলী ইউনিয়ন পরিষদে যাইনি। কার্ড আছে পণ্য নেই শুনে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, পণ্য বিতরণ করে ডিলার। কয়জনকে দেওয়া হয়েছে আর কয়জনকে দেওয়া হয়নি তা ডিলার জানে। কারন টিসিবির কার্ড ছাড়া পণ্য বিতরণের কোন সুযোগ নেই। তাহলে কার্ড থাকলে পণ্যও থাকতে হবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৪ জনের টিসিবির পণ্য কিনে দেয় ডিলার।

এবিষয়ে হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দিন বলেন, ১৪ জনের টিসিবির পণ্য বিতরণ বাকী থাকতেই ডিলারের পণ্য বিতরণ শেষ হয়ে যায়, পরে পণ্য নিয়ে এসে ডিলার বাকী থাকা ১৪ জনের মাঝেই পণ্য বিতরণ করা হয়।