মেহেরপুরে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি দেওয়ায় আনন্দ র‌্যালি

মেহেরপুর জেলা বিএনপির বর্তমান নির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করে জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে আহবায়ক এবং অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে সদস্য সচিব করায় মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার সময় মুখার্জি পাড়ায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ , জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান লাবলু, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, পিপি আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, সদর থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিবুজ্জামান স্বপ্নন, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহমুদ সানিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে পৌর বিএনপির পথসভা ও লিফলেট বিতরণ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করেছে মেহেরপুর পৌর বিএনপি।

আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে পৌর বিএনপির আয়োজনে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।

এ সময় জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, আমরা ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের নিয়ে আগামী দিনের তারেক রহমানের স্বপ্নের বিএনপি গড়ে তুলব। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব এবং ঐক্যের শক্তি দিয়ে স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিগ্রস্ত শেখ হাসিনার শাসনের পতন ঘটিয়েছি। ভবিষ্যতেও সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করব। ত্যাগী নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে আমরা দেশ গঠনে এগিয়ে যাব।

সুবিধাবাদী, ধান্দাবাজ ও দালালদের দিয়ে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। যারা দেশের জন্য, জনগণের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তারাই আগামী দিনের তারেক রহমানের স্বপ্নের বিএনপি গড়ে তুলবেন। আমাদের লক্ষ্য একটাই ত্যাগী নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে একটি সুশাসিত ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

এছাড়াও এসময় সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন,
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওবায়দুল্লাহ সেন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনি, হাজী ফজলু খান, হাবিব ইকবাল, যুগ্ম সম্পাদক আবু ইউসুফ মিরণ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবীব সোনা, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজিরসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করেন তারা।




মেহেরপুরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের গণসংযোগ

মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট কামরুল ইসলাম ও যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদের নেতৃত্বে কুতুবপুর ইউনিয়নে একটি গণসংযোগ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩ টার দিকে কুতুবপুর ইউনিয়নের কালী গাংনী থেকে এ গণসংযোগ কার্যক্রম শুরু করেন তারা। পরে উত্তর শালিকা ও সুবিদপুর গ্রামে এ গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

নেতৃত্বস্থানীয়দের সাথে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা গণসংযোগে অংশ নেন এবং জেলা বিএনপির নব নির্বাচিত সদস্য সচিব এডভোকেট কামরুল ইসলাম ও যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদকে ফুলের শুভেচ্ছা দেন।

এসময় জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খাঁন সাতু, ওমর ফারুক লিটন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান লাবলু, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, সদর থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিবুজ্জামান স্বপ্নন, জেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক এডভোকেট নজরুল ইসলাম, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব ও জেলা যুবদলের সদস্য মনিরুল ইসলাম মনিসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




ব্র্যাক ব্যাংকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির চ্যানেল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনক্লুসিভ বিজনেস বিভাগ ম্যানেজার/সিনিয়র ম্যানেজার পদে লোক নিয়োগ দেবে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম: ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি

পদের নাম: ম্যানেজার/সিনিয়র ম্যানেজার

বিভাগ: চ্যানেল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনক্লুসিভ বিজনেস

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক পাস। ঋণ পরিচালনা, ডাটা বিশ্লেষণ, ডিজিটাল ঋণদান, ক্রেডিট স্কোরকার্ড ডেভেলপমেন্ট এবং নতুন ব্যবসায়িক বিভাগ উন্নয়নে দক্ষতা থাকতে হবে। এ ছাড়া ৫ থেকে ১০ বছর প্রাতিষ্ঠানিক চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা: উল্লেখ নেই

কর্মস্থল: ঢাকা

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে  এখানে ক্লিক করুন

আবেদনের শেষ সময়: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সূত্র: কালবেলা




গাংনীতে জামায়াতের যুব বিভাগের উদ্যোগে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

গাংনীতে জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের উদ্যোগে বিশাল র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গাংনী পৌর যুব বিভাগের উদ্যোগে আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে এই র‌্যালিটি গাংনী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও হাসপাতাল চত্তর ঘুরে গাংনী বড়বাজার শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে এসে শেষ হয়।

র‌্যালি শেষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গাংনী পৌর যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন।

সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা যুব বিভাগের সেক্রেটারি মজনুল হক লিপটন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, গাংনীয় উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ আবু সায়েম, গাংনী পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি ওয়াস কুরুনি জামিল, উপজেলা জামাতের বাইতুল মাল সম্পাদক শামসুল হুদা।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গাংনী পৌর যুব বিভগের সেক্রেটারি যুব বিভাগের রওশন মাহমুদ, পৌর জামাতের চার নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি হাফেজ সাইফুল্লাহ, ৭ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি হাসান সাঈদ সরোয়ার প্রমুখ।

আগামীকাল রবিবার ২২ ডিসেম্বর গাংনী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ উপলক্ষে এই র‌্যালির আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামীর যুব সংগঠনটি।

এদিকে কর্মী সম্মেলনের নির্ধারিত স্থান গাংনী ফুটবল মাঠটি পরিদর্শন করেছেন জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

বিকালে গাংনী উপজেলা জামায়াতের আমীর ডাক্তার মো: রবিউল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সূরা সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা, পৌর জামায়াতের আমীর আহসানুল হক, উপজেলা জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদক জিল্লুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৭ বছর পর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে গাংনীতে রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করতে যাচ্ছে দলটি। কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর- কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তাজ উদ্দিন খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।




ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে হলুদের চাঁদর বেছানো ফসলের মাঠ

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠে মাঠে হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ সরিষা ফুল। দূর থেকে সরিষার ক্ষেতগুলো দেখে মনে হয়, কে যেন হলুদ চাদর বিছিয়ে রেখেছে। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত যেমন মাঠ, তেমনি বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

এদিকে, ফসলের মাঠে ফোটা ফলগুলো রোদ ঝলমল আলোয় প্রকৃতির মাঝে অপরূপ সৌর্ন্দযের শোভা ছড়াচ্ছে। তেমনি সরিষার হলুদ রাজ্য দেখতে ভিড় করছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। একই সঙ্গে শীতের কুয়াশাকে উপেক্ষা করে চাষীরা সরিষা ক্ষেতের যত্ন নিচ্ছেন।
সরিষা চাষীরা জানান, গত বছর আশানুরূপ দাম পাওয়ায় এবং কৃষি বিভাগ সরিষা চাষে প্রণোদনা দেওয়ায় চলতি মৌসুমে কৃষকেরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের তরুন কৃষক সম্রাট বলেন, গত বছর ১ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছিল ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। ফলন পেয়েছিলেন ১২ মণ হারে। প্রতি মণ সরিষা ৩ হাজার দরে ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলেন।

তিনি আরও বলনে, গত বছর সরিষা চাষে আশানুরূপ লাভ হওয়ায় এবার ২ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আশা করছি এবারও ভালো ফলন ও ভালো দাম পাবো।

গাজীপুরের জুয়েল জানান, এবার তিনি ১ বিঘা জমিতে রবি সরিষার আবাদ করেছেন। তার জমিতে আগাম সরিষার ফুলে ভরে গেছে। তিনি আশা করছেন প্রতি বছরের মতো এবারও ভালো ফলনের।

তিনি আরও বলেন, আগে অনেক কৃষক সরিষা চাষ করতেন। আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় তারা চাষ কমিয়ে দিয়েছিলেন। বাজারদর ৩ হাজার টাকার বেশি থাকলে কৃষকেরা সরিষা চাষে আরও বেশি উৎসাহী হবেন বলে মন্তব্য করেন এ কৃষক।
বলরামপুর গ্রামের কৃষক শান্ত বলেন, গত বছর ১০ কাঠা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম। এবার ১ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করছি, গত বছর সরিষার ফলন ভালো ছিল, দামও ভালো পেয়েছিলাম। এবার প্রতি বিঘা জমিতে ৬-৭ মণ হারে সরিষা পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

উপজেলা কৃষি অফিসার শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর বলেন, সরিষা ৩ মাস মেয়াদি ফসল। কম খরচ ও কম পরিশ্রমে সরিষা চাষ করতে পারেন কৃষকেরা। বর্তমানে সরিষা চাষ কৃষকের কাছে লাভজনক ফসলে পরিণত হয়েছে। গত বছর সরিষার আশানুরূপ ফলন ও দাম পাওয়ায় কৃষকেরা উৎসাহী হয়েছেন। সরিষা চাষ একদিকে যেমন মাটির উর্বরতা বাড়ায়, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করে।

তিনি আরও জানান, আশা করছি কৃষকরা সরিষার ভালো ফলনে লাভবান হবেন। এখানকার উৎপাদিত সরিষার তেল দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণেও বড় ভূমিকা রাখবে।




ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে পাকিস্তানি ব্যাটারের উদ্ভট প্রস্তাব

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সম্প্রতি উভয় দেশের জন্য একটি হাইব্রিড মডেল অনুমোদন করেছে। তবে পাকিস্তানের ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজনের জন্য একটি অদ্ভুত প্রস্তাব দিয়েছেন।

আইসিসি জানিয়েছে, ২০২৪-২৭ সাল পর্যন্ত আইসিসি ইভেন্টে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। এর মূল কারণ হলো ভারতীয় দল পাকিস্তানে সফর করতে রাজি নয়।

ইউটিউবে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আহমেদ শেহজাদ আইসিসির নতুন মডেলের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের জন্য এটি খুবই হতাশাজনক। ২০২১ সালে সব বোর্ড চুক্তি করেছিল যে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে। এখন আইসিসি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। আমার মনে হয়, আমরা একটি বড় সুযোগ হারিয়েছি। ভারতীয় দল আর কখনো পাকিস্তানে আসবে না। এটাই সত্যি মেনে নেওয়া উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি একটি পডকাস্টে বলেছিলাম, সীমান্তে একটি স্টেডিয়াম তৈরি করা যেতে পারে। একপাশে পাকিস্তানের গেট, আরেক পাশে ভারতের গেট। খেলোয়াড়রা নিজ নিজ গেট দিয়ে প্রবেশ করবে এবং খেলবে। তবে এমন পরিস্থিতিতেও সমস্যা থেকেই যাবে। কারণ, ভারতের খেলোয়াড়দের পাকিস্তানের দিক দিয়ে আসার জন্য ভিসার প্রয়োজন হবে, যা তারা পাবে না।’

পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, ২০১৭ সালের ফাইনালে ভারতকে পরাজিত করেছিল। দুই দল এ পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে পাকিস্তান তিনবার জিতেছে। সর্বশেষ ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচে ভারত ৬ রানে জয়লাভ করে এবং শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিতে নেয়।

শেহজাদের প্রস্তাব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। তবে সীমান্তের দুই পক্ষের মধ্যকার কূটনৈতিক জটিলতা এমন উদ্ভট পরিকল্পনাকেও অবাস্তব করে তুলছে।

সূত্র: কালবেলা




ঝিনাইদহে দুস্থ নারীদের মাঝে বিনামূল্যে গরুর বাছুর বিতরণ

ঝিনাইদহে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়াতে দুস্থ, অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারদের মাঝে বিনামূল্যে বকনা গরুর বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল সকালে সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঝিনাইদহের যৌথ অগ্রসরমান সৃজক সংস্থা (জাগো)।

জাগো’র নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুল শরীফ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জিল্লুর রহমান এনডিসি।

সেসময় উপস্থিত ছিলেন হরিশংকরপুর ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল বারী, সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য সালমা খাতুন,  জাগোর নির্বাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম, প্রকল্প সমন্বয়ক এস এম নাজির আরেফিনসহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামের ৫ জন নারীর মাঝে গরুর বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়। এর আগে গাভী পালনের উপর ওই নারীদের ১ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদাণ করা হয়। প্রশিক্ষণ প্রদাণ করেন সদর প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: তারেক হাসান মুসা।




মুড়ি খেলে কমবে ওজন

জলখাবার হিসেবে মুড়ি খেতে সবাই পছন্দ করেন। বিশেষ করে ডায়াবেটিসের রোগীদের কাছে মুড়ি খুব জনপ্রিয়। সকাল-বিকালের নাশতায় সেহজ উপায় হিসেবে তারা মুড়িকেই বেছে নেন। তবে মুখরোচক খাবারের পাশাপাশি মুড়িতে কতটা পুষ্টিগুণ রয়েছে, সে সম্পর্কে জানেন না অনেকেই।

মুড়ি সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়েছেন জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. শিমু আক্তার। চলুন জেনে নেই-

ওজন কমাতে: যারা ওজনের ব্যাপারে সচেতন, তাদের জন্য মুড়ি একটি ভালো খাবার হতে পারে। কারণ, মুড়ি কম ক্যালরি এবং কম চর্বিযুক্ত খাবার। ১৫ গ্রাম মুড়িতে মাত্র ৫৪ ক্যালরি আছে। শুধু তা–ই নয়, প্রচুর ফাইবার থাকার কারণে মুড়ি খেলে অনেক সময় পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। মুড়িতে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম ও জিংক আছে।

গ্যাসের সমস্যায়: বিভিন্ন খাবার খাওয়ার কারণে অনেক সময় বুক জ্বালাপোড়াসহ গ্যাসের সমস্যা হয়। মুড়ি সেসব ক্ষেত্রে ভালো সমাধান হতে পারে। বিশেষ করে মুড়ি পানিতে ভিজিয়ে খেলে গ্যাসের সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: মুড়িতে প্রচুর ফাইবার আছে। সুতরাং যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন, তাদের জন্য মুড়ি খুব উপকারী।

হাড় শক্ত করে: মুড়িতে প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন ও অল্প পরিমাণ ‘ভিটামিন ডি’ বিদ্যমান, যা হাড় শক্ত করতে খুবই প্রয়োজনীয়।

ত্বকের যত্নে: বয়সের ছাপ নিয়ে কমবেশি সবাই চিন্তিত হয়। এ ক্ষেত্রে একটি উত্তম সমাধান হতে পারে মুড়ি। কারণ, মুড়িতে রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যার প্রভাবে আল্ট্রাভায়োলেটের কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তা সহজেই রোধ করা যায়।

যাদের সতর্ক হতে হবে
ডায়াবেটিসের রোগী: অনেক ডায়াবেটিসের রোগীর কাছে নাশতা হিসেবে মুড়ি খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না মুড়িতে বেশ শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট আছে। মুড়ির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি ও মুড়ি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। তবে প্রচুর ফাইবার থাকায় এবং ক্যালরি কম থাকায় মুড়ি নাশতা হিসেবে অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। ব্রাউন মুড়ি বা লাল চালের মুড়ি অপেক্ষাকৃত ভালো।

কিডনিজনিত সমস্যা: ডায়াবেটিসের রোগীদের মতো যারা দীর্ঘদিন কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত, তারাও মুড়ি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ, মুড়িতে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম আছে, যা কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপের রোগী: মুড়িতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকায় রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। এ কারণে যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে ও যারা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন, তারা মুড়ি খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবেন।

বাজারের মুড়িতে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান, যেমন আর্সেনিক, ইউরিয়া মেশানো থাকে, যা নানান স্বাস্থ্য সমস্যাসহ রোগীর মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

সূত্র: ইত্তেফাক




কুষ্টিয়ায় কৃষি বিপণন আইন বিধি এবং নীতির সংবেদনশীলতা বিষয়ক কর্মশালা

কুষ্টিয়ায় কৃষি বিপণন আইন, বিধি এবং নীতির সংবেদনশীলতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া শহরের দিশা টাওয়ারের অডিটোরিয়ামে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং ফিড ফিউচার পলিসি লিঙ্ক এগ্রিকালচারাল পলিসি একটিভিটি এর সহযোগিতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বাজার ও সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোঃ সুজাত হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু জাফর মোল্লা ও দেশ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের সত্বাধিকারী এম এ খালেক।

কর্মশালায় কৃষি বিপণন নীতি প্রণয়নের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলা হয় বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষকের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষক উন্নয়নে অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অধিকাংশ উদ্যোগে কৃষি উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যার ফলে কিছু উৎপাদনে আমরা আজ ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছি।

টেকসই উৎপাদনের সফলতা নির্ভর করে দক্ষ কার্যকর বিপণন ব্যবস্থার উপর। কৃষকের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের প্রকৃত মূল্যায়ন করে কৃষিকে একটি নিশ্চিত লাভজনক বাণিজ্যিক কর্মে রুপান্তর করতে পারলেই কেবল কৃষকের প্রকৃত উন্নয়ন হবে এবং একটি দীর্ঘ মেয়াদি স্থিতিশীল অর্থনীতির নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে। কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী বিপণন অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী হিসেবে কৃষি বিপণন তথ্য ব্যবস্থাপনা, কৃষি পণ্যের মূল্য নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কৃষি পণ্যের গুণগত মান নির্ধারণ ও পরিবীক্ষণ, কৃষিভিত্তিক সংগঠন ব্যবস্থাপনা, কৃষি পণ্যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন, কৃষি পণ্যের মূল্য সহায়তা প্রদান, বাজার অবকাঠামো নির্মাণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ সহায়তাসহ বিপণন সংক্রান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আরোও অনেক দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। উক্ত আইন বিধি ও কার্যাবলী সম বাস্তবায়নে একটা কার্যকর কৃষি বিপণন নীতি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

বর্তমানে একদিকে কৃষক ন্যায্য মূল্য হতে বঞ্চিত হচ্ছে, এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা অস্বাভাবিক মুনাফা করছে অন্যদিকে সাধারণ ভোক্তা অধিক মূল্যে কৃষি পণ্য ক্রয় করছে এবং বিপণন সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ তুলছে। ফলে কৃষি বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নে একটি সুপরিকল্পিত বিপণন নীতি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। প্রণীত জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি ২০২৩ সকলের সহযোগিতায় যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করলে কৃষক অন্যতম মূল্য সহায়তা পাবে, কৃষি পণ্যের জন্য সর্বোচ্চ যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া যাবে, বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন হবে, কৃষিতে নারীর ক্ষমতায়ন হবে, তরুণ-তরুণীরা কৃষি উদ্যোক্তা হয়ে উঠবে, একটি সুসংজ্ঞায়িত সাপ্লাই চেন উন্নয়ন সম্ভব হবে, কৃষি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে, কৃষিতে নারী উদ্যোক্তা বাড়বে, গ্রাম ও শহরের অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস পাবে এবং কৃষি ব্যবসায় দায়িত্বশীলতা আসবে। সর্বোপরি কৃষি বিপণন ব্যবস্থায় গতিশীলতা আসবে এবং কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রদানের মাধ্যমে একটি টেকসই কৃষি বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ী, খাজানগরের চালকল মিল মালিকগণ, কৃষি সেক্টরের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

পলিসি এক্টিভিটি টিমের সিনিয়র ম্যানেজার মো: আশিক বিল্লাহ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রেজেন্টেশন পরিবেশন করেন সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম।