দর্শনায় যথাযোগ্য মর্যদায় মহান বিজয় দিবস পালিত
দর্শনায় যথাযোগ্য মর্যদায় নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। এ সব কর্মসূচির মধ্যে ছিলো রাত ১২টা ১ মিনিটে চিনিকল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের তোপধ্বনী, এ উপলক্ষে দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন, দর্শনা কেরুজ আনন্দবাজার স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পন, শপত বাক্য পাঠ, দোয়া মাহফিল ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়েতের সহকারী সেক্রেটারী আব্দুল কাদের ও পৌর আমির সাইকুল আলম অপু, দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়ার সহ-সভাপতি ও প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট ও শ্রমিক দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাবু, কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান, কেরুজ শ্রমিক ও কমূচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ ও সাবেক শ্রমিক নেতা হাফিজুল ইসলাম ও মাসুদ সংগঠনের কর্নধর সৌমিক হাসান রুপমসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনারে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।
দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী। এরপর দর্শনা পৌরসভাসহ দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন, দর্শনা কেরুজ আনন্দবাজার স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পন, শপত বাক্য পাঠ, দোয়া মাহফিল ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়েতের সহকারী সেক্রেটারী আব্দুল কাদের ও পৌর আমির সাইকুল আলম অপু, দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়ার সহ-সভাপতি ও প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট ও শ্রমিক দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাবু, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী-বেসরকারী সংস্থা, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিজয় দিবসের নানা কর্মসুচি পালন করেছেন।
এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিলো, সকাল সাড়ে ৮টায় দর্শনা কেরু চিনিকলের ফুটবল মাঠে নিজ নিজ সংগঠনের ব্যানার নিয়ে উপস্থিতি।
১৬ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৯টায় জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন।চিনিকল কর্মকর্তা, শ্রমিক-কর্মচারী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রীতি ভলিবল প্রতিযোগীতা সহ বিভিন্ন প্রতিযোগীতা ও পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া বিজয় দিবসে কেরুজ জেনারেল অফিস, ডিষ্টিলারী কারখানা, কেরুজ ক্লাব ও ইউনিয়ন অফিস আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সবশেষে সন্ধায় কেরুজ ক্লাব মাঠে সাংস্কৃতিক সন্ধার আয়োজন করা হয়।এসব সংগঠনের মধ্যে ছিলো দর্শনা পৌরসভা, দর্শনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, দর্শনা অনিবার্ণ থিয়েটার, দর্শনা প্রেসক্লাব, দর্শনা সরকারী কলেজ, দর্শনা রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন, চুয়াডাঙ্গা আন্তঃ ট্রাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন, মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হিন্দোল সংগীত পরিষদ, দর্শনা গণ-উন্নয়ন গ্রন্থাগার, শান্তি নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্যামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পরাণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দর্শনা ডি এস ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসা, দর্শনা দক্ষিন চাঁদপুর মাধ্যামিক বিদ্যালয়, দর্শনা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাথাভাঙ্গা যুব সংঘ, পশ্চিম রামনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন চাঁদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৌচাক সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি হারুন অর রশিদ ও নাটুদহ হাই স্কুলের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন।
সমাবেশে মাসুদ অরুন বলেন, দীর্ঘদিন লড়াই সংগ্রামে থেকেছি এখনো লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছি। ২০২৪ শে আগস্ট এ অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা আজ দ্বিতীয়বারের মতন দেশ স্বাধন পেয়েছি। হাসিনা স্বৈরশাসকের পর আজ মানুষ স্বাধীনভাবে চলতে পারছে তাদের স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে। জনতার অধিকারের জন্য লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ন আহবায়ক আমিরুল ইসলাম, ফয়েজ মোহাম্মদ, সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু, ওমর ফারুক লিটন, গোলাম ফারুক, গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, গাংনী পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, সাবেক যুগ্ন সম্পাদক ইনসারুল হক ও মানজারুল হক, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান লাভলু, সাধারণ সম্পাদক কাউসার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মিন্টু, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি, সাধারণ সম্পাদক শাহেদুর রহমান বিপ্লব, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা লায়লা আরজুমান বানু, গাংনী উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা ফরিদা ইয়াসমিন ও খালেদা আক্তারসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী এসকল কর্মসূচীতে অংশ নেন।