মুজিবনগরের জমি সংক্রান্তের জের ৩ জন আহত: আটক ২

মেহেরপুরের মুজিবনগরে জমিজমা সংক্রান্তের জের ধরে খুন করার উদ্দেশ্যে হাসুয়ার কোপে তিনজনকে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন মুজিবনগর উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের হেকমত আলীর ছেলে মিয়ানুল ইসলাম (৫০), আসাদুল ইসলাম (৫৮), হাবিবুর রহমান (৪৭) কে গুরুতর জখম। এ সময় স্থানীয় ও পরিবারের লোকেরা উদ্ধার মুজিবনগর সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে।

পরে এ ঘটনায় আহত ব্যক্তির ভাই অষ্টমুল ইসলাম বাদী হয়ে আমানুল ইসলাম আমানকে এক নম্বর আসামি করে ১৭ জনের নামে মুজিবনগর থানায় মুজিবনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।

বাকী আসামীরা হলেন, বিশ্বনাথপুর গ্রামের মৃত আজেহারের ছেলে রবি (৫০), আশা (৫১), মৃত গকুলের ছেলে মোঃ মান্নান (৪২), মোঃ আল আমিন (২৫), মোঃ আমানুল ইসলাম (আমান), মোঃ কিতাব (৫৫), মোঃ জিনারুল (৫৭), মোঃ ইজারুল (৫২), মোঃ আবুল হোসেন (৬০), আবুল হোসেনের ছেলে নাজমুল (৪০), আয়ূবের ছেলে মোঃ ফরিদুল ইসলাম (৪৮), দাউদ মালের ছেলে মোঃ ইদ্রিস (৬০), মোঃ বাদশা (৪৫), কাশেমের ছেলে মোঃ হাবিবুর (২৫), হায়াতের ছেলে মোঃ ভাষান (৩৫), মৃত; ইমান আলীর ছেলে মোঃ মহত আলী (৬০) ও মহত আলীর ছেলে মোঃ মতি (৩৮)।

পরে আজ শনিবার সকালে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামিদের মধ্যে আবুল হোসেন ও হাবিবুর রহমানকে আটক করে মুজিবনগর থানা পুলিশ।

বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, আমাদের সাথে আসামী পক্ষের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় শনিবার ভোর রাতে আমরা কয় ভাই ফজরের নামাজ পড়তে গেলে আমাদের খুন করার উদ্দেশ্যে বিশ্বনাথপুর কদম তলায় লাঠি, দা, হাসুয়া নিয়ে আসামীরা অবস্থান করেন। এমন সময় মসজিদ থেকে বের হওয়ার পরে তারা আমার ভাই হাবিবুর রহমানকে দেখতে পেলে আমানুল ইসলাম (আমান) আমার ভাইকে হাসোয়া দিয়ে কোপ মারতে গেলে হাত দিয়ে হাসোয়া ঠেকানোর সময় তার হাতে কোপ লাগে। এ সময় তার বাকি সঙ্গীরা আমার ভাইদের উপর লাঠি দিয়ে এলোপাতরি মারপিট শুরু করে। এতে করে আমার তিন ভাই গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে নিয়ে আসি।

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, মারপিটের ঘটনায় ১৭ জনের নামে মুজিবনগর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা দুজনকে আটক করেছি। বাকি আসামীদের ও দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।




ঝিনাইদহে পিপিএল’র পর্দা উঠছে আগামী ১৬ ডিসেম্বর

ঝিনাইদহে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো শুরু হচ্ছে পবহাটি প্রিমিয়ার লীগ (পিপিএল)’র চতুর্থ আসর। আগামী সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে এই লীগ শুরু হচ্ছে।

এ উপলক্ষ্যে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলেেনর মাধ্যমে লীগের গ্রুপ নির্ধারণ ও ট্রফি উন্মোচন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পিপিএল’র আহবায়ক মোস্তাক আহম্মেদ। এ সময় ক্রীড়াবিদ শাহ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, জজ আদালতের এপিপি সরদার মনিরুল ইসলাম মিল্টন, সাংস্কৃতিক কর্মী নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস, প্রিমিয়ার লীগের সদস্য সচিব এ্যাড. আনোয়ার হোসেন চাঁদ, রোকনুজ্জামান, এমদাদুল ইসলাম, আব্দুর রাকিব, রাসেল রানা ও সানজিদ শুভ্রসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা জানায়, আগামী ১৬ ডিসেম্বর শহরের পবহাটি বলফিল্ডে জমকালো ও বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ প্রিমিয়ার লীগের উদ্বোধন করা হবে। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড এম এম মজিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ২৪ টি দল ৮ টি গ্রুপে অংশ গ্রহন করছে। ২৭ ডিসেম্বর রাতে ফাইনাল খেলার মাধ্যমে পবহাটি প্রিমিয়ার লীগ শেষ হবে। লীগের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিও বাংলাদেশ, রাবেয়া হাসপাতাল, শান্দা এগ্রো, জাপানিজ ল্যাংগুয়েজ, ইউনাইটেড ডায়াগোনেস্টিক সেন্টার, রায়হান মটরস ও কার ট্রেড স্পন্সর করছে।




ঝিনাইদহে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

ঝিনাইদহ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আওয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদ বিপিএম-সেবা বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এম এম শাহজালাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ঝিনাইদহ ল কলেজের প্রিন্সিপাল এবং পিপি মশিয়ার রহমান, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায়, ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি এম এ কবীর, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবু হুরাইরা প্রমূখ। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বকুল চন্দ্র কবিরাজ এর পরিচালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তারা ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরে সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিনম্র শ্রদ্ধাভারে স্মরণ করেন ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

সভায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ,স্কাউটস ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনায় সাদা ৫ জাতের পেয়ারায় স্বপ্ন দেখছেন ওমর ফারুক

চাকরির পিছনে না ছুটে কৃষি কাজকে ভালোবেসে লেখাপড়ার পাশাপাশি বারোমাসি সাদা ৫ জাতের পেয়ারায় স্বপ্ন দেখছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা নাস্তিপুর গ্রামের তরুণ উদ্যেক্তা ওমর ফারুক। শখের বসে ১০ কাটা জমিতে দুইশত পেয়ারার চারা রোপণ করে সফলতা পাওয়ার পাশাপাশি নিজেকে সাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলেছেন তরুণ এই উদ্যোক্তা।

ওমর ফারুক বলেন পেয়ারার অন্যান্য অনেক জাত থাকলেও সাদা ৫ জাতের পেয়ারায় ফলন বেশি পাওয়া যায় এবং স্বাদও বেশি। বারোমাস গাছে পেয়ারা থাকায় এর চাহিদা বেশি, পাশাপাশি বাজার মূল্য ভালো পাওয়া যায়। আমার পেয়ারা বাগানের বয়স এখন দুই বছর। শুরুতে বাগান তৈরিতে চারা কেনা, জমি প্রস্তুত করা, সার, ঔষধ ইত্যাদি কিনতে আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকা মতো খরচ হয়েছিল। বাগান শুরুর ৭ মাস পর থেকে আমি পেয়ারা বিক্রি করি। সাদা ৫ জাতের পেয়ারায় রোগ বালাই কম দেখা যায়। রোগ বালাই বলতে ছত্রাক দেখা যায় এবং গাছের ডাল পঁচা রোগ দেখা যায় এক্ষেত্রে ওষুধ দিলেই এর সমাধান করা যায়। পেয়ারার একটু পরিচর্যা করলেই অধিক ফলন ও মুনাফা পাওয়া যায়।

উদ্যেক্তা ওমর ফারুক আরও বলেন আমার বাবা কৃষি কাজ করে, আমি কৃষক পরিবারের সন্তান। ছোটবেলা থেকেই কৃষি কাজ ভালো লাগে। আমি পড়াশোনা করেছি কৃষি বিষয় নিয়ে, এতে করে আমার অনেক সুবিধা হচ্ছে চাষ করতে। চাকরির প্রতি আমার কোন আগ্রহ নেই আমি কৃষি কাজ নিয়েই থাকবো। আমি মেহেরপুর প্রতিদিন কে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই আমার গল্প তুলে ধরার জন্য। কারন আমার এই বাগান দেখে অনেক তরুণ কৃষি কাজে আগ্রহ দেখাবে।




কুষ্টিয়ার হালসা আদর্শ ডিগ্রি কলেজে শিক্ষার মান উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মিরপুর উপজেলার হালসা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ব্যারিষ্টার রাগীব রউফ চৌধুরী বলেছেন, দেশ, জাতি ও সমাজের সার্বিক উন্নয়নে, শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা জরুরি। তবে শিক্ষার গুণগত মানের উন্নয়ন হঠাৎ করে নিশ্চিত করা যাবে না, মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ তৈরির জন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই আমরা এগিয়ে যেতে পারব ও শতভাগ শিক্ষার মান নিশ্চিত হবে।

আজ শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার হালসা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের উদ্যোগে শিক্ষার মান উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার গুণগতমান যদি ঠিক থাকে, তাহলে সেই শিক্ষাকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে নিতে পারবে। তাই শিক্ষিত হয়ে এ সমাজ তথা দেশের উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি দান করে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যাদের অবদান ছিল তাদের নাম হয়তোবা বর্তমানে অনেকেই জানে না এমনকি সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও কতৃপক্ষও মনে করেন না। এটা শুধু এই মিরপুরে নয় গোটা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও ঘটনা। সেক্ষেত্রে কোন আয়োজন বা অনুষ্ঠান করলেই জমিদাতাদের ডাকা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান উন্নয়ন না ঘটিয়ে নিয়োগ বানিজ্য মেতে ওঠে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অর্থের বিনিময়ে অযোগ্যদের নিয়োগ দিলে শিক্ষা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাই
আমি মনে করি এসব নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ হওয়া উচিত।

হালসা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল মজিদের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন, শিক্ষক প্রতিনিধি অধ্যাপক জোমারত আলী, স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বকুল আলী, অভিভাবক সদস্য ও বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এসময় কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




সহজেই তৈরি করুন রসালো দুধ পুলি পিঠা

শীতে বাঙালি ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে পিঠা। শীত আসলেই বাঙালির ঘরে ঘরে তৈরি করা হয় বিভিন্ন পিঠা। পিঠা ছাড়া শীতকালে বাঙালির আতিথেয়তাও যেন সম্পূর্ণ হয় না।

বিভিন্ন ধরনের পিঠার মধ্যে বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পিঠার নাম হলো পুলি পিঠা। পুলি পিঠার স্বাদ আরও বেড়ে যায় যখন তা ভিজানো হয় দুধে। তখন এর নামও পরিবর্তন হয়ে হয় দুধ পুলি। সহজ উপায়ে দুধ পুলি কীভাবে তৈরি করবেন তা থাকছে আজকের আয়োজনে-

প্রয়োজনীয় উপকরণ:
পুরের জন্য ক্ষীর ও ছানা, ডো তৈরির জন্য চালের গুঁড়ো ৪ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি ২ চা চামচ, গুঁড়ো দুধ ১ কাপ।

দুধের মিশ্রণ তৈরির উপকরণ:
তরল দুধ ২ লিটার, গুঁড়ো দুধ ১ কাপ, কনডেন্সমিল্ক ১/২ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২ টি, এলাচ ২ টি, লবণ পরিমাণমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন:
দুধ পুলি তৈরির জন্য প্রথমে পুর তৈরি করুন। এর জন্য আপনাকে একটি বাটিতে ছানা ও ক্ষীর মিশিয়ে নিতে হবে। এবারে ডো তৈরি করতে একটি সসপ্যানে গরম পানিতে ডোর সব উপকরণ দিয়ে চুলায় কিছুক্ষণ নেড়ে নামিয়ে ফেলুন। এরপর এই ডো দিয়ে রুটি তৈরির জন্য ছোট ছোট বল তৈরি করুন। রুটির ভিতরে ছানা আর ক্ষীরের পুর দিন। দুই ভাজে করে যেকোনো একটি ডিজাইন করে পিঠার সাইডগুলো বন্ধ করে দিন।

বাজারে আজকাল প্লাস্টিকের পুলি পিঠার সাজ কিনতে পাওয়া যায়। সেইভাবে পিঠাপুলি তৈরি করলে আপনি আরও সহজে এবং কম সময়ে পুলি পিঠা বানাতে পারবেন। পুলি পিঠা বানানো হয়ে গেলে তা ভাপে সিদ্ধ করে নিন। এরপর সিদ্ধ পুলি পিঠা দুধে ভিজানোর জন্য দুধের মিশ্রণ তৈরি করুন।

দুধের মিশ্রণটি তৈরি করতে একটি সসপ্যানে রেসিপির সব উপকরণ দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। অপেক্ষা করুন, মিশ্রণটি ঘন হওয়া পর্যন্ত। দুধের মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে তাতে সিদ্ধ পুলি দিয়ে দিন। তৈরি হওয়া এই পিঠা গরম গরম কিংবা ঠান্ডা দুইভাবেই খেতে দারুণ লাগে। তো এই শীতে দুধ পুলির স্বাদ উপভোগ করতে আপনিও বাড়িতে তৈরি করতে পারেন শীতের এই লোভনীয় পিঠা।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে চাঁদা দাবি সম্বলিত চিরকুট ও দুটি হাতবোমা উদ্ধার

তিন লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে গরু খামারীর গরু খামারের সামনে দুটি হাতবোমা ও চিরকুট রেখেছে দূর্বৃত্তরা।

আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালের দিকে গাংনী থানা পুলিশ হাতবোমা ও চিরকুটটি উদ্ধার করে থানায় নিয়েছেন। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চিরকুটে লেখা রয়েছে- ৩ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে বাড়ি ঘর থাকবে, কিন্তু তুই থাকবিনা। টাকা না দিলে তোকে মেরে ফেলা হবে।

প্রবাস ফেরৎ গরু খামারি ইসারুল ইসলাম গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।

গরু খামারি ইসারুল ইসলাম জানান, আমার বাড়ির পাশে গরুর খামারের সামনে একটি প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগের মধ্যে লালকসটেপ মোড়ানো দুটি হাতবোমা ও একটি চিরকুট দেখতে পেয়ে গাংনী থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাল কচটেপ মোড়ানো দুটি হাতবোমা দুটি উদ্ধার করে।

জানা গেছে, ইসারুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে ছিলেন। বছরখানেক আগে বাড়ি ফিরে বাড়ির সাথে গরুর খামার গড়ে তুলেছেন। তবে, কারা বোমা রেখে চাঁদা দাবি করছেন তা নিশ্চিত হতে পারছে না প্রবাস ফেরৎ খামারি ইসারুল ইসলাম।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা শুরু করেছে পুলিশ।




ধর্ম মন্ত্রণালয়ে চাকরির সুযোগ

ঢাকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানটি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত একাধিক শূন্য পদে জনবল নিয়োগ দেবে। এ মন্ত্রণালয়ে ৫ ক্যাটাগরির পদে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে ১০ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

১. পদের নাম : সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা : ৩

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ৪৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৭০ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ ই-মেইল ও ফ্যাক্স চালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল : ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড–১৩)

২. পদের নাম : কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা : ১

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল : ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

৩. পদের নাম : ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা : ১

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ ই-মেইল ও ফ্যাক্স চালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল : ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৪. পদের নাম : ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর

পদসংখ্যা : ১

যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৫. পদের নাম : অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা : ৪

যোগ্যতা : এসএসসি বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল : ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

বয়সসীমা : ১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে আবেদনকারীর ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ বয়স হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর। তবে সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আবেদনের ক্ষেত্রে বিভাগীয় প্রার্থীদের বয়স ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

আবেদন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই  লিংকে জানা যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে কল অথবা alljobs.query@teletalk.com.bd ও admin_sec1@mora.gov.bd ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়া টেলিটকের জবপোর্টালের  ফেসবুক পেজে মেসেজের মাধ্যমেও যোগাযোগ করা যাবে। মেইল বা মেসেজের সাবজেক্টে প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম এবং ইউজার আইডি ও যোগাযোগের নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

আবেদন ফি : অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ৪ নম্বর পদের জন্য ২০০ টাকা, অনলাইন ফি ২৩ টাকাসহ মোট ২২৩ টাকা এবং ৫ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা, অনলাইন ফি ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে ১২ জানুয়ারি ২০২৫, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

সূত্র: কালবেলা




কুষ্টিয়ায় পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় প্রাণ গেলো মাদক ব্যবসায়ীর: ৩ পুলিশ সদস্য অবরুদ্ধ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় রফিকুল ইসলাম দুদু (৪৫) নামে এক চা বিক্রেতা নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক পিটিয়ে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় জনতারা। এ ঘটনায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের একটি মোটরসাইকেল।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ৪নং ব্রিজের নিকট এ ঘটনা ঘটে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। রাত দশটার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ এবং বিজিবি অভিযান চালিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে।

নিহত রফিকুল ইসলাম দুদু (৪৫)। তিনি চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের ছোট ভাই এবং ওই এলাকার আজিজ মণ্ডলের পুত্র।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভেড়ামারা থানা পুলিশের এসআই সালাউদ্দীন সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালায়। মাদক ট্যাপেন্ডলসহ তাকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ব্রিজ থেকে রফিকুল ইসলাম দুদু লাফ দেন ওই মাদক ব্যবসায়ী। পুলিশ সেখানে ধাওয়া করে তাকে আটক করে। এ সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জাসদ নেতাকর্মীরা পুলিশের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে পুলিশকে ধাওয়া দেয়। এর মধ্যে ৩ জনকে ধরে ফেলে বেধড়ক পেটায়। তাদেরকে জাসদ অফিসে আটকে রাখা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, নিহত রফিকুল ইসলাম দুদু একজন মাদক ব্যবসায়ী। তাকে আটকের উদ্দেশেই পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় পালাতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় জাসদের নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় এবং ৩ পুলিশকে বেধড়ক মারপিট করে জাসদ অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ভেড়ামারা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়েও তাদের উদ্ধার করতে পারেনি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাত ১০টার দিকে অবরুদ্ধ ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, পুলিশ দুদুকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এসময় সে যেতে চায়নি। এ জন্য পুলিশ তাকে মারধর করে করে মেরে ফেলেছে। এই হত্যার দায় পুলিশের। বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

কুষ্টিয়ার এসপি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ এবং বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।




সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা আরো কমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রচণ্ড ঠান্ডায় প্রাণ-প্রকৃতিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরো একটু কমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাতাসের আর্দ্রতা ৮৫ শতাংশ।

তিনি আরো জানান, আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা আরো কমে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এরপর ১৬ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে, ঠান্ডা হিমেল বাতাস আর কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন অসহায় ছিন্নমূল শ্রেণির মানুষ। অন্য বছর সরকারিভাবে তাদের মাঝে কম্বল বা গরম কাপড় বিতরণ করা হলেও এ বছর তা এখনো শুরু হয়নি। ফলে শীতে এক প্রকার কাহিল হয়ে পড়েছেন তারা। এছাড়া তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।