ঝিনাইদহে বরুণ ঘোষ হত্যার ঘটনায় ৭ জন গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ কর্মী বরুণ ঘোষ হত্যার ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে শহরের হামদহ, ব্যাপারীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, আওয়ামী লীগ কর্মী বরুন ঘোষ হত্যা মামলার এজাহার ও সন্ধিগ্ধ আসামীরা শহরের হামদহ ও ব্যাপারীপাড়ায় অবস্থান করছে এমন খবরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ঝিনাইদহ শহরের হামদহ ঘোষপাড়া এলাকার কার্তিক ঘোষ ও তার ছেলে কল্লোল ঘোষ, কামারকুণ্ডু এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে সবুজ হোসেন, হামদহ এলাকার তফসের হোসেনের ছেলে আইয়ুব আলী, ইসলামপাড়ার ডাবলু মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া, ব্যাপারীপাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে মুন্না ও রমজান আলীর ছেলে হাতকাটা তরুণ। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দীন জানান গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বুধবার রাতে নিহত বরুন ঘোষের স্ত্রী বাদি হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৯/১০ জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

উল্লেখ গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের হামদহ এলাকার নিজ বাড়ী থেকে বরুন ঘোষ চা পানের উদ্দেশ্যে মাঝিপাড়ায় যায়। এসময় মহাসড়কে পৌঁছালে একদল দুবৃর্ত্ত তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত বরুন ঘোষ আওয়ামী লীগের কর্মী এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ ২ আসনের পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাহজিব আলম সিদ্দিকী সমি’র সমর্থক ছিলেন। তবে আসামীরা কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীকের প্রত্যক্ষ কর্মী বা সমর্থক ছিলেন না বলে দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতিনিধির। স্থানীয়রা জানান এই হত্যাকান্ড পারিবারিক জমি জায়গা নিয়ে সংঘটিত হয়েছে এর সাথে কোন রাজনৈতিক বা ভোটের যোগসূত্রতা নেই।




ধর্ষণের দায়ে লামিচানের আট বছরের জেল

ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া নেপালের তারকা ক্রিকেটার সন্দীপ লামিছানেকে বড় শাস্তি দিয়েছে কাঠমান্ডুর একটি আদালত। নেপালের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট’র প্রতিবেদন বলছে, ঐ মামলায় প্রতিভাবান এই ক্রিকেটারকে আট বছরের জেল এবং ৩ লাখ নেপালি রুপি জরিমানা করেছে। সেই সঙ্গে ক্রিকেটের ক্ষতিপূরণ হিসাবে আরও ২ লাখ রুপি জরিমানা করে এই ক্রিকেটারকে।

এর আগে ২০২২ সালে কাঠমান্ডুতে এক হোটেলে এক তরুণীতে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠে এই তারকা লেগ স্পিনারের বিরুদ্ধে। এরপর ২০২২ সালের গত ৬ অক্টোবর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করে নেপাল পুলিশ। যদিও এরপর জামিনে বাহিরে ছিলেন নেপালের এই তারকা ক্রিকেটার। সেই সঙ্গে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ দুই ম্যাচ খেলতে তাকে জাতীয় দলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তখন শর্ত সাপেক্ষে ২০ লাখ নেপালি রুপির জামানতে জামিনে মুক্তি পান এই ক্রিকেটার।

এরপর গেল বছরের ৩০ ডিসেম্বর দেশটির আদালত লামিছানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের প্রমাণ পায়। অবশেষে গতকাল এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন লামিছানে। যদিও ধর্ষণের সময় ঐ তরুণীর বয়স ১৭ বছর উল্লেখ করা হলেও আদালতে প্রমাণ হয় তখন তার বছর ছিল ২২ বছর। নেপালি একমাত্র ক্রিকেটার যে কিনা আইপিএল খেলেছেন। এছাড়া ২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলে সিলেট সিক্সার্সের হয়েও মাঠ মাতান এই হিমালয়ের ক্রিকেটার।

সূত্র: ইত্তেফাক




কুষ্টিয়া শহর শ্রমিক লীগের উদ্যোগে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভা

কুষ্টিয়ায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া আদর্শ কলেজ মোড় মিলপাড়ায় জেলা শ্রমিকলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে কুষ্টিয়া শহর শ্রমিক লীগের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক কেন্দ্র কমিটির সদস্য জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আমজাদ আলী খান।

কুষ্টিয়া শহর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মহসিন আলীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেনের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক মোঃ হামিদুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক বাদশা আলমগীর, জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াজ আলী, ক্রীড়া সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য আসাদুল হক খান, মোতালেব হোসেন, জেলা যুব শ্রমিক লীগের যুগ্ন আহবায়ক রবিউল ইসলাম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস হোসেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে ফিরে আসার মাধ্যমে বাঙালির স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে। সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রে সবকিছুই অনিশ্চিত ছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন করেছেন। ওই সময়ে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে টিকে থাকতে পারবে না। বলা হয়েছে- বাংলাদেশ যদি উন্নয়ন করতে পারে তাহলে বিশ্বে আর কোনো দেশে উন্নয়ন অসম্ভব হবে না। তেমনই একটি বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে সকল আশঙ্কাকে দূরে ঠেলে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে পুনর্গঠন করেছেন বঙ্গবন্ধু। এই সময়ে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব না দিলে অস্ত্র উদ্ধার সম্ভব হত না। ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সৈন্যরা সহসা দেশে প্রত্যাবর্তন করত না। বাংলাদেশ অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন লাভ করেছে তার কোনোটিই অর্জিত হত না।’

বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশকে সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন বঙ্গবন্ধু। আর তারই সুযোগ্য কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তারই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছেন।




আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রী কলেজের উদ্যোগে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

আলমডাঙ্গা অফিসঃ আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রী কলেজের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ সকাল ১১ ঘটিকার সময় থেকে র‍্যালী সহকারে উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর মু‍্যালে পুষ্পম‍াল‍্য অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুর ১২ টায় কলেজের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডক্টর জে এম আব্দুর রকীব। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ডক্টর মোহাম্মদ মাহবুব আলম।

তাছাড়া বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মোঃ আনোয়াউজ্জামান, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তাপস রশিদ, বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিতুর রহমান, সহকারি অধ‍্যাপক গোলাম সরোয়ার মিঠু, কলেজের শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি সাইদুর রহমান, ক্রীড়া শিক্ষক সাঈদ হিরন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহকারী অধ্যাপক শরীয়তউল্লাহ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের শিক্ষক মন্ডলীসহ শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।




আলমডাঙ্গা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের উদ্দ্যোগে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ পত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯ টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। বেলা সাড়ে ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামীলীগ অফিসে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রশান্ত অধিকারি।

তিনি বলেন ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানিরা বাঙ্গালীদের হত্যা করতে অপারেশন সার্চলাইট নামে হত্যা জজ্ঞ চালায়। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে গৃহবন্দি করে রাখে।বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারেন পাকিস্থানীরা তাকে হত্যা করতে টারে,বা আটক করতে পারে। তাই তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা পত্র লিখে পাঠিয়ে দেন। ২৬ তারিখে বঙ্গবন্ধুকে সেনাবাহিনি আটক করে নিয়ে যান।সেদিন চট্রগ্রাম কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করেন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হান্নান। পরবর্তিতে মেজর জিয়াকে দিয়েও ঘোষনাটি পাঠ কারনো হয়েছিল। এর পর দীর্ঘ ৯ মাস বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্থানের কারাগারে বন্দি জীবন কাটাতে হয়েছে।তাকে কয়েকবার হত্যা করার পরিকল্পনা করার পরও হত্যা করতে পারে নি।এর পর দেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধুকে পাক সেনারা মুক্তি দিলে প্রথমে লন্ডনে,পরে ভারত হয়ে ১০, জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন।বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দেশের মাটি তার মাথায় মাখেন।বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে এবং এই দেশের মানুশকে কতভাল বাসতেন তা বলে বোঝানো যাবে না।

অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য সিরাজুল ইসলাম,কাজী খালেদুর রহমান অরুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, আনিসুজ্জামান মল্লিক, শাহ আলম মন্টু, হামিদুল ইসলাম আজম। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টারের উপস্থাপনায়,বক্তব্য রাখেন পৌর যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম অপু মোল্লা,দপ্তর সম্পাদক উৎপল।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা সোনা মিয়া,, জাহাঙ্গীর হোসেন, খন্দকার মজিবুল হক, দ্বীনেশ কুমার, জহুরুল হক স্বপন, সরোয়ার হোসেন, শহিদুল ইসলাম,আব্দুল মালেক,যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান হিটু,সয়ফাল,পাপন রহমান,আবু ডালিম, আব্দুর রশিদ, পিয়ার মোহাম্মদ কচি, মহাসিন কামাল, যুবলীগ নেতা আসাবুল হক ডিটু, সৈকত খান, পৌর ছাত্রলীগের সম্পাদক নাহিদ হাসান তমাল, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল , ছাত্রলীগ নেতা হাসানুজ্জামান, আব্দুল্লাহ আল হোসাঈদ বাদশা, ইছানুর কবীর, সাকিব, সৈকত, সুরুজ, রকি, হাসান, সজিব, পিয়াস, রোমান।

এছাড়াও শ্রমিক নেতা রিয়াজ উদ্দিন,আব্দুল কুদ্দুস,আমিরুল ইসলাম,শাহাবুল হক, চুন্নু মিয়া, চপল মুন্সি, সেলিম,বঙ্গবন্ধু পরিষদের মানোয়ার হোসেন প্রমুখ। পরে দোয়া পরিচালনা করা হয়েছে। সাবেক পৌর কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম, মামুন অর রশিদ হাসান। উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শাহিন রেজা শাহিন, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি এম আজিজুল হক, যুবলীগ নেতা আসাদুল হক ডিটু,নেছার আহমেদ প্রিন্স, আরিফুল ইসলাম, বাইতুল, টাইগার, আনিস, রায়হান, সেলিম রেজা, ফারুক, রাজু, সুমন, হারুন অর রশিদ,সজিব, নিশান, সাইফুল, রফিকুল, রনি, সজিব, সনি প্রমুখ। পরে তবারক বিতরন করা হয়।

এ ছাড়াও আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রী কলেজ ও মহিলা ডিগ্রী কলেজে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় ৫ ব্যবসায়ীকে অর্ধ লাখ টাকা জরিমানা

আলমডাঙ্গায় তিন ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগে ৫ ব্যবসায়ীকে অর্ধ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় সেখান থেকে মাটি কাটার যন্ত্র (ভেকু) ও মাটি পরিবহনের ট্রাক্টর অপসারণে করেছেন।

আজ বুধবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার খাদিমপুর এলাকায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ।

অভিযুক্ত উপজেলার খাদিমপুর এলাকার মৃত নুর ইসলামের ছেলে জুয়েল রানা, মৃত হাবুল সর্দ্দারের ছেলে মানোয়ার হোসেন, মৃত সাদেক আলীর ছেলে আবুল কালাম, মৃত খলিল উদ্দিনের ছেলে টিকু, সানোয়ার মোল্লার ছেলে তুসার আলী।

জানা গেছে, উপজেলার খাদিমপুর এলাকায় ফসলি জমির মাঠে জুয়েল রানাসহ ৫ ব্যক্তি তিন ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করছে। এমন অভিযোগে গত কয়েকদিন পূর্বে গোকুলখালি ভুমি কর্মকর্তা ওই জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দেন। তারা আবারো গোপনে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে বিক্রি শুরু করেন। সেই মাটি স্থানীয় ইট ভাটায় বিক্রি করা হয়।

বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালিয়ে ৫ জন মাটি ব্যবসায়ীকে অর্ধ লাখ টাকা জরিমানা করেন । এদিকে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে জমির মালিক ও শ্রমিকেরা পালিয়ে যান।




দর্শনা প্রেসক্লাবে ডিউকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সদস্য ও বাংলাদেশ বেতারের জেলা সংবাদদাতা এবং চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আকাশ খবর পত্রিকার প্রকাশক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এ্যাডভোকেট তছিরুল আলম মালিক ডিউকের মৃৃত্যুতে দর্শনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ বুধবার সন্ধায় দর্শনা প্রেসক্লাব ভবনে প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন, সাংবাদিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আহসান হাবিব মামুন, সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাবেক সাধারন সম্পাদক ওসমান আলী, সাবেক সাধারন সম্পাদক চঞ্চল মেহমুদ।

এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বলেন, এ্যাড. তছিরুল আলম মালিক ডিউক তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা শহর থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় দৈনিক আকাশ খবর পত্রিকার প্রকাশক, বাংলাদেশ বেতারের জেলা সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা ওয়াইছিয়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সদস্য ছাড়াও চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের আইনজীবী ছিলেন। তিনি গতকাল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের টাউন মাঠের অপর পাশে অবস্থিত নিজ বাড়ীতে ইন্তেকাল করেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। পরে বাদ মাগরিব তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়।

তিনার মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ সহ শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন দর্শনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হানিফ মন্ডলের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান সুমন, সাংবাদিক এফএ আলমঙ্গীর হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান কচি, হাসমত আলী, ওয়াসিম রয়েল, ইমতিয়াজ আহমেদ রয়েল, ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।




মন্ত্রিসভার শপথ নিতে ফোন পেলেন ফরহাদ হোসেন

নতুন মন্ত্রিসভায় শপথ নেওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অনেকেই ইতিমধ্যে ফোন পেয়েছেন তার ভিতরে ফোন পেয়েছেন মেহেরপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রসাশন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন ফোন দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

মো. মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ ২৫ পূর্ণমন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী তালিকা পেয়েছি। তাদেরকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছি এবং আগামীকাল সন্ধ্যা ৭টায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকার জন্য বলেছি।

এছাড়াও নতুন মন্ত্রীদের আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর ১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে ৯৪৩০৩ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

তবে নতুন মন্ত্রণালয়ে তাদের কি পদ দেওয়া হবে তা পূর্ণাঙ্গভাবে জানা যাবে দপ্তর বণ্টনের পর।




সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন চুয়াডাঙ্গা দুটি আসনের এমপিরা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এলাকা ৭৯ চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত টানা চারচার বারের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রতিকে বিজয়ী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও ৮০ চুয়াডাঙ্গা-২ সংসদীয় আসনের হাজী আলী আজগর টগর।

আজ বুধবার সকাল ১০টার সময় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে এ শপথ অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।

গত ৭ জানুয়ারি ২৯৯ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ২৯৮ আসনের ফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করে ইসি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২২, জাতীয় পার্টি ১১ এবং ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে নির্বাচিত হয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জেতেন ৬২টি আসনে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে টানা চারবারের মতো সরকার গঠন করে।

৭৯ চুয়াডাঙ্গা ১ সংসদীয় আসনে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন তিনি মোট ৯৬ হাজার ২শত ৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।এ নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ঈগল প্রতীকে ৭২ হাজার ৭ শত ৬৮ ভোট পান।

৮০ চুয়াডাঙ্গা ২ সংসদীয় আসনে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাজী মোঃ আলী আজগার টগর তিনি মোট ১ লাখ ৭ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।এ নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হাশেম রেজা ট্রাক প্রতীকে ৬০ হাজার ৮৩৪ ভোট পেয়েছিলেন।

গত ৭ জানুয়ারি রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক ড কিসিঞ্জার চাকমা।




কোটচাঁদপুরের বর্গা চাষি কবির হোসেনের কলা গাছ কর্তন

কোটচাঁদপুরের বর্গা চাষি কবির হোসেনের ১০৩ টি ফলন্ত কলা গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালসার গ্রামের খেয়াঘাট পাড়ার মাঠে। এতে করে ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দাবি ওই চাষি কবির হোসেনের।

চাষি কবির হোসেন বলেন,আমার নিজের কোন জমি নাই। জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করি আর পরের জমিতে কাজ করে সংসার চালায়। এক বিঘা জমি এখানে। এ জমির মালিককে বছরে ১৬ হাজার টাকা বর্গা বাবদ দিতে হয়। আর চাষ খরচ হয়েছে প্রায় লক্ষ্যাধিক টাকা। দূর্বৃত্তরা আমার জমির যে কলা গাছ কেটে দিয়েছেন, এতে আমার প্রায় ৭০/৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আমি ওই দূর্বৃত্তদের শাস্তি চাই। বিষয়টি থানা অথবা পুলিশ ফাঁড়িকে জানিয়েছেন কিনা,এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, এখন জানানো হয়নি। জানাতে হবে।

প্রতিবেশী কামরুল হাসান বলেন, তালসারের ঘাটপাড়ার মাঠ এটি। একবিঘা জমি বর্গা নিয়ে কবির ভাই কলার চাষ করেছিল। জমিতে ২৪০ টি গাছের মধ্যে ১০৩ টি কলার গাছ কেটে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমার জানামতে যে কলা গাছ কেটে দিয়েছে,তা প্রতি কাদি কলা ৭ শ থেকে ৮ টাকা দামে বিক্রি হত। ওই হিসেবে ৭০/৮০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধিত হয়েছে ওই চাষির।

কোটচাঁদপুরের তালসার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) কিশোর কুমার দত্ত বলেন, আমি জানতাম না। আর এ পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ ও করেনি এ বিষয়ে। এখন আপনারদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোজ নিয়ে দেখছি, আসলে কি ঘটেছে।