আলমডাঙ্গার পুটিমারী বাজারে মুদি দোকানে চুরি

আলমডাঙ্গা উপজেলা পুটিমারী বাজারে আনিছ ষ্টোর নামে এক মুদি দোকানে তালা ভেঙ্গে নগত ও দেড় লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।

আজ মঙ্গলবার মধ্যরাতে জেহালা ইউনিয়নের পুটিমারী বাজারে এ চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।

জানাগেছে, উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের ছোট পুটিমারী গ্রামের আলী আসমানের ছেলে আনিছুর রহমান (৪০) তিনি পুটিমারী বাজারে মুদি দোকান ব্যবসা করেন। গতকাল সোমবার রাতে দোকানে তালা মেরে বাড়িতে চলে যায়। গভির রাতে চোরচক্রের সদস্যরা দোকানের তালা ভেঙে নগত টাকা ও মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।

আজ মঙ্গলবার সকালে দোকান মালিক আনিছুর দোকান খুলতেই তালা ভাঙা দেখতে পান। দোকানে প্রবেশ করেই মালামাল এলোমেলো ভাবে পড়ে রয়েছে ও দোকানের ক্যাশের তালা ভাঙা। এসব দেখে দোকান মালিক আনিছুর ভেঙে পড়ে। চুরির ঘটনায় আনিছুর বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।




আলমডাঙ্গায় ঈগল প্রতীকের কর্মীদের বিরুদ্ধে নৌকার কর্মীদের বাড়িতে হামলা অভিযোগ

আলমডাঙ্গায় সংসদ নির্বাচনের পরের দিন নাগদাহ গ্রামে ঈগল প্রতিকের কর্মীদের বিরুদ্ধে নৌকার কর্মীদের উপর দেশীয় অস্ত্রে হামলা ও ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল সোমবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার নাগদাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে আজ  মঙ্গলবার মধ্যরাতে আবারো নৌকার দুই কর্মীর বাড়িতে পেট্রোল বোমা ও খড়ের গাদায় আগুনের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানাপুলিশ ও ঘোলদাড়ি ফাঁড়ি পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে। ওই ঘটনার পরপরই এলাকাজুড়ে থমথমে বিরাজ করছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৭ জানুয়ারি রবিবার চুয়াডাঙ্গা ১ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকে ঘিরে নাগদাহ দক্ষিণপাড়া গ্রামে আওয়ামীলীগের নৌকা ও স্বতন্ত্র ঈগল প্রতিকের দুই প্রার্থীর পক্ষে ওই এলাকার পৃথক কর্মীরা নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা করেন। পক্ষ-বিপক্ষে অংশ নেওয়া ও মতবিরোধের কারণে দু’গ্রুপে নির্বাচনি বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই সূত্র ধরে- গতকাল সোমবার সকালে ঈগল প্রতিকের কর্মী মৃত করিম মোল্লার ছেলে ইকরামুল মোল্লা (৪৬), পচা মোল্লা (৫১), ইদ্রিস মোল্লা (৪০) একই এলাকার আওয়ামীলীগের নৌকার কর্মী সাগর হুসাইন (৩৫) এবং তার পরিবারের উপর দেশীয় অস্ত্র (রামদা) নিয়ে হামলা চালায়।

এসময় ঈগল প্রতিকের কর্মীদের সমর্থনে হামলায় অংশ নেয় খাইরুল মোল্লার ছেলে শামিম মোল্লা (২৬), রায়হান মোল্লা (২১), মৃত দিন মোহাম্মদের ছেলে মিলন মোল্লা (৩৪), ইকরামুল মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা (২৮), সোহেল মোল্লক (২৪), আবু বক্করের ছেলে জাহাঙ্গীর বিশ্বাস (৩২), পচা মোল্লার ছেলে আলিহিম মোল্লা (২৬), রব্বানি মোল্লার ছেলে ইমরান মোল্লা (২৬), জনি মোল্লা (৩২), মৃত আদম বিশ্বাসের ছেলে কটু বিশ্বাস (৩৮), আলাউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে লতিফ বিশ্বাস (৪০), মৃত মোজাহার বিশ্বাসের ছেলে মাহাবুল বিশ্বাস (৪০), মৃত বরকতের ছেলে শওকত আলী (৫৫)। ওই ঘটনার সময় নৌকার কর্মী সাগর হুসাইনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এছাড়াও আজ মঙ্গলবার মধ্যরাতে প্রতিবেশী হাবিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেয়।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী সাগর হুসাইন জানান, নির্বাচন কেন্দ্রীক ইকরামুল মোল্লা গং তারা ঈগল প্রতিকে নির্বাচনের জন্য চাপ দেয়। আমি নৌকার একজন কর্মী। এছাড়া আমার মহল্লার অনেকে ছেলুন জোয়ার্দ্দারের সমর্থনকারী। সেই হিসেবে এ মহল্লার নৌকার বিপরীতে ভোট না করায় তারা বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে।

তিনি আরো বলেন, গতকাল সোমবার সকাল ৯ টার দিকে ঈগল প্রতিকের প্রার্থী হেরে যাওয়ায় ১৫-২০ জন ঈগল প্রতিকের কর্মীরা আমার বাড়িতে জোরপূর্বক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। আমি পালিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলেও দরজায় রামদা দিয়ে কোপ মারে। এতে আমি আমার পরিবারসহ মহল্লাবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এছাড়া আজ মঙ্গলবার মধ্যরাতে আমার বাড়ির রান্না ঘরের টিনের উপর পেট্রোল বোমা রেখে যায়। এছাড়া প্রতিবেশী নৌকা কর্মী রবিউলের বসতবাড়িতে থাকা খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেয়।

আরেক ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান জানান, আজ মঙ্গলবার রাতে পরিবার নিয়ে ঘরে ঘুমিয়েছিলাম।হঠাৎ রাত ১ টার দিকে কয়েকজন লোকের উপস্থিত টের পাই। গতকাল সোমবারের ঘটনার কারণে আমরা কেউ বাইরে বের হয়নি। পরে প্রতিবেশীদের চিৎকারে বাইরে বেরিয়ে খড়ের গাদায় আগুন দেখতে পায়।

তিনি আরো বলেন, গতকাল সোমবার সকালে ঈগল প্রতিকের কর্মীরা সাগরের নিকট হামলা চালালে আমি প্রতিবাদ করি। ওই একারণেই আমার বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

আলমডাঙ্গা ঘোলদাড়ি ফাঁড়িপুলিশের আইসি গোলাম হোসেন জানান, গতকাল সোমবারের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ওই মামলায় বাদি পক্ষ জামিন নিয়েছে। তবে, আজ মঙ্গলবার রাতে পেট্রোল বোমা উদ্ধার ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ভুক্তভোগীরা কেউ এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ করেনি।




হাজারো নেতা-কর্মীদের ফুলে সিক্ত নব নির্বাচিত এমপি ‘কামারুল আরেফিন’

প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে মিরপুর উপজেলার আমলা সদরপুর নিজ বাড়ী, মিরপুরের বাসভবন ও মিরপুরের উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, পেশাজীবি ও ব্যবসায়ী সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, উপজেলার সকল গ্রাম পুলিশসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা হাজার হাজার নেতা-কর্মী তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

অনেকে ঢাক-ঢোলসহ মিছিল নিয়ে এসেছেন তাঁর সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করতে। জয়ের মালা পরাতে হাজার হাজার নেতা-কর্মী প্রচণ্ড ভীড় ঠেলে তাঁর গলায় মালা পরিয়েছেন। অনেকে আবার আবেক আপ্লুত হয়ে কামারুল আরেফিনকে বুকে জড়িয়ে ধরে তাঁর সাথে কোলাকোলি করছেন, কেউ পরাচ্ছেন ফুলের মালা, কেউ কেউ দিচ্ছেন ফুলের তোড়া।

এতে বিন্দু পরিমাণ ক্লান্ত নয় নব নির্বাচিত এমপি কামারুল আরেফিনের বরং তিনি সকলকে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।

ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে তিনি বলেন, আজকের এই আনন্দঘন মুহুর্তটি আমার প্রতিটি নেতা-কর্মীর জন্য উৎসর্গ করলাম। তাঁরা নির্বাচনের সময় অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমি আমার প্রতিটি নেতা-কর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি আরও বলেন. আমি অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভোটে জয়লাভ করেছি, এ অর্জন মিরপুর ও ভেড়ামারার মানুষের।

আমি একটি সুন্দর সুখী এই দুই উপজেলা গঠনে সকলের সহযোগিতা চাই। মিরপুর ভেড়ামারা উপজেলার দৃশ্যমান উন্নয়নে আমাকে যা যা করতে হয় আমি তা তা-ই করব। শুধু এ দুই উপজেলার মানুষ আমার পাশে থাকলেই হবে।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছরে এই আসনে আওয়ামী লীগের আমি এমপি হলাম এবং ৩২ বছর পর এ আসনের মিরপুর উপজেলা থেকে এমপি নির্বাচিত হলাম। ১৫ বছর ধরে এ আসনে হাসানুল হক ইনু এমপি থাকলেও এই দুই উপজেলায় তেমন কোন অবকাঠামোগত দৃশ্যমান উন্নয়ন করতে পারে নি। আমি একটি স্মার্ট আসন বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছি। আমার কোন নেতা-কর্মীকে কোন অন্যায় কাজ করতে দেওয়া হবে না। যারা বিগত দিনে মানুষের প্রতি অত্যাচার অন্যায় করেছে তাদের দিন শেষ।

গেলো ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মনোনীত প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে ২৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হয় কামারুল আরেফিন।

এদিকে দিনব্যাপী মিরপুর উপজেলায় কর্মযজ্ঞ শেষে ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গা মাদকবিরোধী অভিযানে ফেনসিডিল সহ আটক ১

চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানে ৫৩ (তিপ্পান্ন) বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক বহনকারী মোটরসাইকেল সহ এক জনকে গ্রেফতার করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখা।

চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা দিকনির্দেশনায় জেলা পুলিশের সকল ইউনিটে একযোগে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানে চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) শিহাব উদ্দিন, এসআই(নিঃ) সাজ্জাদ হোসেন, এসআই(নিঃ)সুমন্ত বিশ্বাস, এসআই(নিঃ) মুহিদ হাসান, এএসআই(নিঃ) রমেন কুমার,এএসআই(নিঃ) রজিবুল হক জেলা গোয়েন্দা শাখার ফোর্সসহ মাদক বিরোধী অভিযানে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন ভিমরুল্লা নতুন শাহী মসজিদের সামনে দামুড়হুদা টু চুয়াডাঙ্গাগামী পাকা রাস্তার উপর হতে ধৃত আসামী দামুড়হুদা থানার কুতুবপুর মাঝেরপাড়ার মৃত তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে আসামি মোঃ ওয়ালিদ হোসেন(৪২) গ্রেফতার পূর্বক আসামীর হেফাজত হতে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৫৩ (তিপ্পান্ন) বোতল মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল, যার মূল্য অনুমান-১,০৬,০০০ টাকা ও মাদক বহনকারী লাল-কালো রংয়ের Discover-125cc মোটরসাইকেল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।




কোটচাঁদপুর পল্লীতে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু

কোটচাঁদপুরে টিউবওয়েলের গর্তের পানিতে পড়ে আবু হুরাইরা নামের ২ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ঘটনা ঘটেছে সাবদারপুর গ্রামে।

জানা যায় , দুপুরের দিকে বাড়ির উঠানে খেলছিল হুরাইরা ও সহ পাটিরা। খেলতে খেলতে বল চলে যায় টিউবওয়েলের পানির গর্তে। এরপর বলটি তুলতে গিয়ে ওই গর্তের পানিতে পড়ে যায় শিশুটিও। পরে স্বজনরা পানির গর্ত থেকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। তবে পথের মধ্যেই সে মারা যায় বলে জানান তিনি। হুরাইরা মশিয়ারের একমাত্র ছেলে।  তবে তাঁর আরেকটি মেয়ে আছে। হুরাইরা কোটচাঁদপুর সাবদারপুর কলেজ পাড়ার মশিয়ার রহমানে ছেলে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ রাজিয়া সুলতানা (ডানা) বলেন,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। আমরা তাঁকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।

কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই), হারুন অর রশিদ বলেন,বাড়ির উঠানে খেলছিল আবু হুরাইরা (দেড় বছর)। খেলতে খেলতে হঠাৎ বলটি চলে যায় বাড়ির পাশের টিউবওয়েলের পানির গর্তে। এরপর সে ওই বল তুলতে গেলে গর্তের পানিতে পড়ে যায়।

তাঁর স্বজনরা দেখতে পেয়ে,উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর শিশুটির মৃত্যু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলার প্রস্তুতি চলছিল।




কার্পাসডাঙ্গায় মেসার্স ন্যাশনাল ট্রেডার্সের শুভ উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা সাইকেল বাজারে নিজস্ব ন্যাশনাল ট্রেডার্সের প্রতিষ্ঠানে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকাল ৪ টার সময় এই মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ট্রেডার্সের সত্বাধীকারি শ্রী শম্ভু গোপাল বসু, আরো উপস্থিত ছিলেন কবি সাহিত্যিক রবিউল হোসেন শুকলাল, আশরাফুল হক, সহ কার্পাসডাঙ্গা বাজারের সমস্ত ক্ষুদ্র কাচামালের ব্যবসায়ী বৃন্দরা সহ আরো অনেকে।

এসময় রবিউল হোসেন শুকলাল বলেন কার্পাসডাঙ্গা বাজারে একটি একটি হিমাগার খোলা হচ্ছে, এখানে আলু পেয়াজ রসুন ফল জাতীয় দ্রবাদী সহ সমস্ত কাচামাল এই হিমাগারে রাখা যাবে। তিনি আরো বলেন এই ন্যাশনাল এর মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানি কৃত আলু পেয়াজ রসুন শুকনা মরিচ সহ আদা বিভিন্ন কাচামাল দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে। যাতে করে মানুষ সাশ্রয়ী হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সালাউদ্দিন।




ঝিনাইদহ-২ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মহুলের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

ঝিনাইদহ-২ আসনের নবনির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের সাথে সংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলাবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঝিনাইদহ ভাষা সৈনিক মুসা মিয়া আইসিটি সেন্টারে এই মতবিনিয়ম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন জেলার মানুষের প্রত্যাশা পুরণের অঙ্গীকার নিয়ে আমি সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলাম। ঝিনাইদহ-২ আসনের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছেন। আমি ভোটারদের সেই প্রত্যাশা ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার চেষ্টা করবো। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর ঝিনাইদহ ও হরিণাকুন্ডু উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা নিয়েও তিনি কথা বলেন। সাংবদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই বরং ঈগল সমর্থকরাই হামলার শিকার হচ্ছে। কোথাও কোথাও ব্যক্তি ও সামাজিক আক্রোশ থেকে এগুলো হচ্ছে, তবে আমার বার্তা হলো এগুলো যারা করবে তারা নিজ দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বলেছি আপনারা কোন দলীয় পরিচয় দেখবেন না সহিংসতার সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসেন।

সংবাদ সম্মেলন চলাকালে ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সালাহ উদ্দীন মিয়াজী উপস্থিত হয়ে সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং ঝিনাইদহের উন্নয়নের জন্য সকলকে নিয়ে এক সাথে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেণ।

এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তৈয়ব আলী জোয়ার্দার, ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম জাহেদী হিজল, নবনির্বাচিত এমপি’র ভাই আবু শাহরিয়ার জাহেদী পিপুল, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরণ ও জাহেদী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য তবিবুর রহমান লাবুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থি ছিলন।

সংবাদ সম্মেলনে নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল আরও বলেন, মিডিয়ায় ঈগল সমর্থকরা নৌকার সমর্থকদের উপর হামলা করছে বলে যে খবর প্রকাশিত ও প্রচারিত হচ্ছে তার সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই এবং একপেশে নিউজ প্রকাশিত হচ্ছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেণ। সাংবাদিকদের সবকিছু জেনে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে উভয় পক্ষের বক্তব্য নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের আহবান জানান। তিনি বলেন, আমি শান্তিতে বিশ্বাসী, আমি উন্নয়নে বিশ্বাসী। ভোটের আগে আমি ঝিনাইদহ-২ আসনের মানুষের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা পুরণ করতে আমি চেষ্টা করবো। জেলায় রেল পথ, মেডিকেল কলেজ স্থাপন, শিক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ সামাজিক উন্নয়ন ও বেকার সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাব। তবে একক ভাবে এমপি সবকাজ পারেনা সকলের সহযোগীতায় প্রয়োজন রয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার সমর্থকদের বলেছি কোন হামলা- মামলা বা কারো বাড়িঘরে ভাংচুর করা যাবে না। ভোট শেষ হয়ে গেছে এখন সবাই ভাই ভাই হিসেবে সমাজে বসবাস করতে হবে এক সাথে চা খেতে হবে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে হবে। সৌহার্দ্য ও ভাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে হবে, আমি হানাহানীতে মোটেও বিশ্বাসী নয় ভালবাসা দিয়ে সমাজকে বদলাতে হবে।




শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপাকে চুয়াডাঙ্গা জেলার খেটে খাওয়া মানুষেরা

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতে কাঁপছে এ জেলার মানুষরা। সকালের সূর্যের দেখা মিলছে দুপুরে।

প্রচণ্ড শীত আর কুয়াশায় বিপাকে পড়েছে জেলার খেটে খাওয়া মানুষ। পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। কোল্ড ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষ। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ। সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ।

গতকাল সোমবার ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে আগামী কয়েকদিন। সেইসঙ্গে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।




পাঁচ বছরে গণতন্ত্রের সূচক আরও বেড়েছে

গত পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গণতন্ত্রের সূচক শুধু বেড়েছে। কখনও একসঙ্গে আট ধাপ, আবার কখনও চার ধাপ করে এগিয়ে গেছে গণতন্ত্রের সূচক। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) গত পাঁচ বছরের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ৮৮তম, ২০১৯ সালে ৮০তম, ২০২০ সালে ৭৬তম, ২০২১ সালে ৭৫তম ও ২০২২ সালে ৭৩তম স্থানে উন্নীত হয়েছে।

ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় বারের মতো সরকার গঠন করে। পরবর্তী বছর ২০১৮ সালের প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইআইইউ। সেখানে বলা হয়, আগের বছরের তুলনায় চার ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সূচক। ১৬৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮৮তম অবস্থানে রয়েছে। পাঁচটি মানদণ্ডে ২০১৮ সালের পরিস্থিতি বিচারে বাংলাদেশের স্কোর ৫ দশমিক ৫৭। আগের বছর ২০১৭ সালে পরিস্থিতি বিচারে ৫ দশমিক ৪৩ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯২তম।

ইআইইউ প্রতিটি দেশকে গণতন্ত্র সূচক পরিমাপ করতে পাঁচটি মানদণ্ড ব্যবহার করে। সেগুলো হলো – নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, নাগরিক অধিকার, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণ।

এই হিসেব অনুযায়ী, একটি দেশকে ‘পূর্ণ গণতান্ত্রিক’ অবস্থায় যেতে হলে গণতান্ত্রিক সূচকে ৯ থেকে ১০ স্কোর করতে হয়। যেসব দেশের স্কোর ৭ থেকে ৮ সেসব দেশকে ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’ বলা হয়। তবে এর নিচের অবস্থান ‘হাইব্রিড রেজিম’-এ তালিকাভুক্ত দেশগুলোর স্কোর ৫ থেকে ৬ এবং ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ দেশগুলোর স্কোর ০ থেকে ৪ এর মধ্যে হয়ে থাকে।

২০১৯ সালের প্রতিবেদনে আট ধাপ উন্নতি করে বাংলাদেশ। আট ধাপ অগ্রগতি হলেও বাংলাদেশকে আগেরবারের মতো ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থার’ বিভাগে রাখা হয়। সেসময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের আগে অবস্থান করলেও আগের বারের তুলনায় ভারতের অবস্থান নেমে যায় ১০ ধাপ।

এরপরের বছর গণতন্ত্র সুচকে আরও দুই ধাপ উন্নতি করে বাংলাদেশ। ২০২০ ও ২০২১ সালে ৫ দশমিক ৯৯ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে যথাক্রমে ৭৬ ও ৭৫তম অবস্থানে ছিল।

বিশ্বে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৭৩তম। দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ৭ দশমিক ০৪ স্কোর নিয়ে সবার ওপরে আছে ভারত। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির স্কোর ৬ দশমিক ৪৭। বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। চতুর্থ অবস্থানে ভুটান, পঞ্চম অবস্থানে নেপাল ও ষষ্ঠ অবস্থানে আছে পাকিস্তান।

গণতন্ত্র সূচক ২০২২-এ বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি সংসদ বর্জন, সংসদ থেকে পদত্যাগের মতো অপরাজনীতি না করলে বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের আরও উন্নতি হতো। প্রকৃতপক্ষে গত ৫ বছরের প্রতিবছরই গণতন্ত্র সূচকে ধারাবাহিক ভাবে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। বিএনপির নেতারা, তাদের সমমনা নেতারা এবং কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী ক্রমাগতভাবে বলে আসছে, টিভির পর্দা ও জনসভা গরম করছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করা অপচেষ্টা করছে দেশে গণতন্ত্র নেই বলে। অথচ গত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশ গণতন্ত্র সূচকে ক্রমাগত অগ্রগতি করছে। এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপিসহ অন্যান্য দল বা ব্যক্তি বিশেষ বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং গণতন্ত্র নাই বলে যে ধোয়া তোলা এগুলো যে মিথ্যা ও অসাড় সেটাই প্রমাণ করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত পক্ষে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও সংহত হতো। গণতন্ত্রকে দৃঢ় ও সংহত করার দায়িত্ব শুধু সকারের একার নয়। সবার সম্মিলিত দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্র সংহত করা। সেটা সব রাজনৈতিক দল, সরকারি দল, বিরোধীদলের দায়িত্ব। সে সরকারের থাকুক বা না থাকুক। বাংলাদেশ গণতন্ত্র আরও সংহত হতো। আরও অগ্রগতি করতো, কয়েক ধাপ উন্নীত হতো। যদি বিএনপির অপরাজনীতি না থাকতো। সংসদ বর্জন, সংসদ থেকে পদত্যাগ- এই অপরাজনীতি যদি না থাকতো গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ আরও বহু ধাপ এগিয়ে যেতে পারতো। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যে চর্চা হচ্ছে, রীতিনীতির চর্চা হচ্ছে সেটার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে গণতন্ত্র সুচকের এই প্রতিবেদন।’




কর্মক্ষেত্রে স্মার্টফোন ব্যবহার কমাতে পারে মানসিক চাপ: গবেষণা

কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের মানসিক চাপ কমিয়ে আনার পাশাপাশি তাদের কাজ/জীবনে ভারসাম্য আনার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখে নিজের স্মার্টফোনটির ব্যবহার, এমনই দাবি গবেষকদের।

বিষয়টি উঠে এসেছে ‘ইউনিভার্সিটি অফ গ্যালওয়ে’ ও ‘ইউনিভার্সিটি অফ মেলবোর্ন’-এর চালানো নতুন এক গবেষণায়। গবেষণাটি চালানো হয়েছে এক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ইউরোপ অংশের শাখায়। তবে, বৈশ্বিক ওই কোম্পানির নামটি অপ্রকাশিত রয়েছে।

স্টিয়ারিং সমস্যায় চীনে ১৬ লাখেরও বেশি গাড়ি রিকল করল টেসলাস্টিয়ারিং সমস্যায় চীনে ১৬ লাখেরও বেশি গাড়ি রিকল করল টেসলা ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানি নিজেদের ফোন সংশ্লিষ্ট নীতিমালায় নতুন এক পরিবর্তন এনেছে, যেখানে এর আগে ব্যক্তিগত কাজে ফোন ব্যবহারের সুযোগ কম থাকলেও এখন কাজের বাইরেও অন্যান্য কারণে ফোন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে কোম্পানিটি।

এ গবেষণায় কর্মক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিভিন্ন এমন সম্ভাব্য সুবিধার কথা বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে কর্মীর কাজের পারফরম্যান্সে তেমন বড় প্রভাব পড়ার ঝুঁকি নেই। গবেষণাটির নেতৃত্বে ছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ গ্যালওয়ের ‘জে.ই. কেয়ারনেস স্কুল অফ বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্স’ বিভাগের অধ্যাপক ইয়ইন হোয়েলান।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, পরীক্ষা চালানো ফার্মা কোম্পানিটি ৯০-এর দশকেই স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার মতো বিষয়াদিকে কারণ দেখিয়ে কর্মক্ষেত্রে ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। এর সূত্রপাত ঘটেছিল বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্যের আশপাশে ফোন ব্যবহার কর্মীদের কাজে ব্যাঘাত ঘটাবে, এমন ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকে। তবে, এ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কোম্পানির কর্মীরা অসন্তোষের কথা জানানোর পাশাপাশি দাবি করেছিলেন, এতে তাদের কাজে মনোযোগ বসে না।

এমনকি কোম্পানির শীর্ষ ব্যবস্থাপনাও বলেছে, কোম্পানির ওই শাখায় এমন নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে এমন ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, দপ্তরটি প্রযুক্তিবিদ্বেষী। আর এতে কোম্পানির অন্যান্য শাখার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এ গবেষণার আগে কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন আনার সুযোগ পেতেন কেবল কোম্পানির শীর্ষ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা।

নাগরিক সচেতনতায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মনাগরিক সচেতনতায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তবে, প্রায় এক বছর ধরে চালানো এ গবেষণায় কোম্পানির প্রায় ৪০জন কর্মীর জন্য নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পাশাপাশি তাদেরকে কাজের সময় ব্যক্তিগত স্মার্টফোন ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়।

গবেষণায় একইসংখ্যক কর্মীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়, যারা নিজে থেকেই ফোন বাড়িতে রেখে দপ্তরে কাজ করতে আসতেন। এছাড়া, কর্মীদের ‘কোয়ালিটিটিভ ইন্টারভিউ’ বা গুণগত সাক্ষাত্কারের মাধ্যমে এ গবেষণার অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

এ পরীক্ষার মূল ফলাফলগুলোর মধ্যে রয়েছে:

স্মার্টফোন ব্যবহারে কর্মীদের কাজে মনোযোগ হারানোর ও ব্যাঘাত সৃষ্টির ভীতি থাকলেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরও তাদের কাজের মান কমে আসেনি।

পেশাগত ও ব্যক্তি জীবনের দ্বন্দ্ব: এ পরীক্ষায় পেশা জীবন ও ব্যক্তি জীবনের চাহিদা ও দ্বন্দ্ব ব্যাপক কমে এসেছে। তবে, তা কেবল সেইসব কর্মীর জন্য প্রযোজ্য, যারা কাজের সময় ফোন ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছেন।

কাজে ফোন ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া কর্মীরা তাদের কর্মক্ষেত্র থেকেও পারিবারিক সমস্যা সমাধানের সুযোগ পেয়েছেন, যার ফলে তাদের সঙ্গীদের ওপর এ ধরনের চাপ কমতে দেখা গেছে। কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত যোগাযোগের আরেক মানে দাঁড়ায়, কাজ শেষ হওয়ার পর ফোন চালু করার পর তাদের মধ্যে বড় কোনো শঙ্কা সৃষ্টি হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে চালানো আগের বিভিন্ন গবেষণায় মনোযোগ দেওয়া হয়েছিল কর্মক্ষেত্রের বাইরে কাজ সংশ্লিষ্ট যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর। তবে, এ গবেষণায় দেখা গেছে তার উল্টোটা, যেখানে মূল মনোযোগ ছিল দপ্তরের ভেতর কর্মীদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের ওপর।
গবেষকদের বিশ্বাস, তারা এ গবেষণা থেকে যুগান্তকারী তথ্য সংগ্রহ করেছেন। আর প্রযুক্তি ও কর্মজীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এটি। এ ছাড়া, যেসব প্রতিষ্ঠান কাজের পরিবেশকে তুলনামূলক স্বাস্থ্যসম্মত ও ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে ইচ্ছুক, তাদের জন্যেও বাস্তবভিত্তিক তথ্য প্রদান করে এ গবেষণা।

‘কর্মক্ষেত্রে স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরিবর্তে আমাদের গবেষণায় স্মার্টফোন ব্যবহারের বিষয়টি ট্র্যাক করা হয়েছে, যা দপ্তরে একটি সাংগঠনিক পরিবেশ তৈরির কার্যকর সমাধান দেয়। উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, কর্মীরা যেন অফিসের মিটিং বা ক্যান্টিনে স্মার্টফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন, তা নিশ্চিত করবেন তারা নিজেরাই।’বলেছেন গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া অধ্যাপক হোয়েলান।

এছাড়া, কর্মক্ষেত্রে স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের সম্ভাব্য প্রভাবের বিষয়টি কোম্পানির ব্যবস্থাপকদেরকেও বুঝতে হবে। কর্মক্ষেত্রে ফোন ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি পেশাগত ও ব্যক্তি জীবনের দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে দিতে পারে, যেখানে কর্মীর পারফরম্যান্স, কাজের সন্তুষ্টি, অনুপস্থিতি, টার্নওভারের উদ্দেশ্য এমনকি মানসিক সুস্থতার ক্ষেত্রেও বড় প্রভাব পড়তে পারে।

এ গবেষণায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে তা হলো, ব্যক্তিগত কাজের উদ্দেশ্যে কর্মীরা গড়ে দৈনিক সময় কাটান ৫৬ মিনিটের মতো। আর প্রতিদিন গড়ে দেড়শবার নিজের ডিভাইস চেক করেন তারা।